জোনাকিরা আলো জ্বালে,
টিমটিমে অপূর্ব শোভামণ্ডিত আলো,
বসন্তের শেষে বা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়।
স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ রহস্যময় দ্যুতি,
তার সহজাত সঙ্গী আহবান।
আমরাও আলো জ্বালি,
টিমটিমে চরম প্রত্যাশাময় আলো,
দিনের শুরুতে বা যখন দিনমণি অস্ত যায়।
প্যান্ডোরার বাক্সবন্দী আশারূপ অদৃশ্যমান শিখা,
আমাদের সহজাত অস্তিত্বের আবেদন।।
___________________________________________________________________
অনুপ্রেরনাঃ
জোনাকি (Lampyris noctiluca)ঃ
জোনাকির তলপেটের শেষের দিকে আলাদা একটি উপাঙ্গ থেকে এই আলোর উৎপত্তি হয়। এই প্রত্যঙ্গ হতে লুসিফেরিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয় যা জোনাকির শ্বাসনালী দ্বারা গৃহীত অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়। এই জারণ বা অক্সিডেশনে লুসিফারেজ নামক জৈবঅনুঘটক বা এনজাইম সহায়তা করে। জারণ বিক্রিয়াটিতে যে পরিমাণ শক্তি বা আলো উৎপন্ন হয়, তার মাত্র ২% হল তাপ। তাই এই আলো এতটা স্নিগ্ধ মনে হয়। ঐ বিশেষ অঙ্গটির স্নায়ু দ্বারা এই আলোর স্থায়িত্ব নিয়ন্ত্রিত হয়।
এই আলো তারা ব্যবহার করে তাদের বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতে। স্ত্রী প্রজাতির জোনাকিরা এই আলো দিয়ে পুরুষ জোনাকিকে আকর্ষণ করে। তবে এই আকর্ষণের ব্যাপারটা প্রজাতিভেদে ভিন্ন। যেমন, আমেরিকায় এক প্রকারের জোনাকি আছে, যাদের পুরুষ প্রজাতি পাঁচ সেকেন্ড অন্তর জ্বলে উঠে, আর এর প্রতিক্রিয়ায় মাটিতে অপেক্ষমান স্ত্রী জোনাকি দুই সেকেন্ড পর পর জ্বলে উঠে। এভাবে তারা মিলন সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান করে।
____________________________________________________________________
নিশাচর পার্থ
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন