৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসিতে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার সেই চুপচাপ ছেলেটা সবাইকে অবাক করে দিয়ে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিল।তারপর এইচ এস সি।তাক করানো রেজাল্ট।পাশ করে বের হবার পর আর যোগাযোগ হয়নি ইয়াদূলের সাথে ।
২০১০এর কোন একদিন পেপার পড়তে গিয়ে দেখি আমার বন্ধু ইয়াদুলের নাম। ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নিয়ে যে গোলমাল চলছে তা সমাধান করার জন্য বাংলাদেশের হয়ে যারা কাজ করবে তাদের মধ্যে ইয়াদুল অন্যতম। গর্বে বুকটা ফুলে উঠল।
এইচ এস সি পাশ করার পর ইয়াদুল বাংলাদেশ নেভিতে জয়েন করে। বুয়েট থেকে নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ দারুন রেজাল্ট নিয়ে সবার মাঝে একজন দক্ষ সমুদ্রযোদ্ধা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। পেশাগত প্রশিক্ষনের পাশাপাশি সম্পুন নিজের চেস্টায় সে মাস্টারস ইন হিউম্যান ম্যানেজমেন্ট, মাস্টারস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ, মাস্টারস ইন বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ও পিএইচডি ইন ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রী লাভ করে। তবে তার মুল পদচারনা ছিল সমুদ্র আইন। প্রায় তিন বছ র গবেষনা শেষে সমুদ্রসীমান্ত সংক্রান্ত বিশাল এক থিসিস পেপার রেডি করেছে যা জানামতে এইদেশে প্রথম। বাংলাদেশ সরকার হীরা চিনতে ভুল করেনি। তাকে দেশের প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। দেশের স্বার্থ তার চেয়ে বেশি কে দেখবে ?
আমার বন্ধু ইয়াদুল এখন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হসপিটালে শুয়ে আছে। আমাদের মহামুল্যবান সমুদ্রসম্পদ মেধা আর দক্ষতা দিয়ে রক্ষা করার জন্য সে যখন প্রস্তুত তখন সে লড়াই করছে জীবনের সাথে।ক্যান্সারের সাথে।
মেধাবী এই মানুষটির বেচে থাকা দরকার শুধু তার পরিবারে জন্য নয়। দেশের জন্য। জাতির জন্য।আমরা তার সহপাঠিরা, বুয়েটের ক্লাসমেটরা, নেভীর সহকর্র্মীরা, মাচের্ন্ট নেভী সহ নাম না জানা অনেক শুভাকাংখী তার পাশে দাড়িয়েছি।
কিন্তু খরচের বোঝাটা যে অনেক ভারী।
অনাগত প্রজন্মের জন্য যিনি আমাদের বিশাল সমুদ্র আগলে রাখছিলেন তার দূসঃময়ে পাশে না দাড়ানো হবে ক্ষমাহীন অপরাধ।আসুন। আমরা তার রোগ মুক্তির জন্য দোওয়া করি।নিজ নিজ সার্মথে অর্থ সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসি।নীচের একাউন্টে টাকা পাঠানো যেতে পারে তা যত সামান্যই হোক।
শাহিনা ইসলাম। একাউন্ট; ০০০২-০৩১৩০০০১৯৪।ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ।ঢাকা সেনানীবাস।
বিদেশি বন্ধুরা এই একাউন্টে পাঠাতে পারেন।
Account name: Md Hasan Iftekhar; DBS Saving Plus account number: 054-5-027108; DBS Bank; Branch code :054; BankCode:7171; Singapore
সকলের জন্য শুভকামনা
মন্তব্য
উনি জলদি সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা করছি। ইয়াদুল সাহেবের পুরো নামটা জানাবেন দয়া করে।
পাবনা ক্যাডেট-এর ইয়াদুল না কি??
ইয়াদুল পাবনা ক্যাডেট কলেজের ৪থ ব্যাচের
ইয়াদুল সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন এই কামনা করছি। কিন্তু পোষ্টের লেখকের নামটা জানা হলো না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বুয়েটের সোহরাওয়ার্দী হলের নর্থ ব্লকের তৃতীয় তলায় আমি এবং ইয়াদুল ভাই দু'জনেই থাকতাম। আমি যে চার বছর উনাকে দেখেছি সেই চার বছর সময় কালে উনার কোন আচরণ, ব্যবহার নিয়ে কেউ বিন্দুমাত্র অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে পারবেন না - এটা বলতে পারি। একজন নম্র-ভদ্র-নিপাট ভদ্রলোক। তাঁর সহকর্মী আমার এক বন্ধুর পারিবারিক বিপদে তাঁকে পেশাগত দায়িত্বের বাইরে প্রচুর সহযোগিতা করতে দেখেছি। বিভিন্ন সুযোগে তাঁর নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশও দেখেছি।
ইয়াদুল ভাই বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা বাংলাদেশের গর্ব। তাঁর এই বিপদের দিনে সরকারের কতটুকু করার আছে? একজন দায়িত্ব পালনরত নেভী কমান্ডারের চিকিৎসার জন্য সরকারের ব্যয় বহনের সীমা কতটুকু? আমার খারাপ ভাষার জন্য আগে-ভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে যদি বলি - আজকে ইয়াদুল ভাই যদি কোনো কারণে কর্মে অক্ষম হয়ে পড়েন তাহলে সরকারের কতো টাকা জলে যাবে? সেই টাকার পরিমাণ কি ইয়াদুল ভাইয়ের চিকিৎসা ব্যয়ের চেয়ে কম?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা, খোঁজ খবর নিয়ে এই বিষয়ে একটা বিস্তারিত লেখা দিতে পারেন।
উনার পাশে সবাই মিলে দাঁড়ালে কিছুই কি করতে পারবো না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইয়াদুল পাবনা ক্যাডেট কলেজের ৪ থ ব্যাচের
এই বিষয়ে ব্লগ লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ইয়াদুল আমার বন্ধু ও ব্যাচমেট। বুয়েটের সোহরাওয়ার্দী হলে থাকত সে। মার্কিন দেশে অঙ্কুর ইন্টারন্যাশানাল ইয়াদুলের জন্য সাহায্য সংগ্রহ করছে। আমি লিঙ্ক দিলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উনি সুস্থ হয়ে উঠুন শীঘ্রই।
নতুন মন্তব্য করুন