বাঁকা শিঙওলা, ভূষভূষে কালো রঙের বিরাট এক মোষের পাশে বসে আমার স্কুলের প্রথম দিনটা শুরু হয়েছিল । এখনকার বাচ্চারা কি সুন্দর কার্টুন আঁকা ব্যাগ, বারবি পানির বোতল নিয়ে টুক টুক করে ঝাঁ চকচকে স্কুলে পড়তে যায় । আমাদের সময়ে এত কিছু ছিলনা । বাবার ছিল বদলির চাকরি, তাতে আবার ওপরঅলাদের তৈল সিঞ্চনে অপারগ । অবধারিত ভাবেই কিছুদিন পর পর ট্রাকের পেছনে মাল সামান নিয়ে এ শহর ও শহর করতাম আমরা । সেবার গেলাম পলাশবাড়ী নামে একটা ছোট্ট শহরে । গিয়েই মা বললেন এইবার বড়টাকে স্কুলে দিতেই হবে ।
খুব বেশিদিন আগের কথা না হলেও তখন বাচ্চাদের স্কুলে দেয়াটা এখনকার মতো দুঃস্বপ্নের ছিলনা । নিয়ম কানুন ভারী সহজ । আর স্কুলও তো বাড়ির উঠোনেই বলতে গেলে । ঝোপ ঝাড়ে ভরা ফাঁকা একটা মাঠের মাঝ খানে আমাদের হলুদ রঙের দোতলা বাড়ি, তার ওপাশে একটা পুকুর, পুকুরের পাশেই বাঁশের চাটাই ঘেরা চার পাঁচটা ঘর নিয়ে স্কুল । আমার ধারনা হল যেহেতু ভাই স্কুল যেতে পাচ্ছে, নিশ্চয় সেটা ভালো জিনিষ হবে । কাজেই মা যেদিন ভাইকে নিয়ে গেলেন, বায়না ধরলাম, আমিও যাব । হেড মাস্টার সায়েব খুব গম্ভীর চোখে আমার আপাদমস্তক মেপে নিয়ে বললেন, অসুবিধা কি, ওকেও দিয়ে দিন । ব্যাস, হয়ে গেল ।
ভর্তি তো হলাম কিন্তু ক্লাস রুমে ঢুকতেই ভ্যাবাচ্যাকা খেতে হল । ঘর ভর্তি এক পাল বাচ্চাকাচ্চা ইচ্ছেমত হাউকাউ করছে আর এক দিকে পাজামা পাঞ্জাবি পরা একজন লোক বেত হাতে কি যেন বলে চলেছেন, কেউ কারো কথা শুনছেনা । আমাকে দেখে সবাই জুলজুল করে চেয়ে রইল কিন্তু কেউই বসতে দেয়না । শেষটায় বসতে পেলাম শেষের ভাঙ্গা বেঞ্চ টায় । বসেই দেখি এত্তবড় ওই মহিষটা আগেই পাশে বসে আছে । কী আপদ । ভয়ে উঠেও যেতে পারিনা । আমাকে দেখে মোষটার বোধ হয় সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স হল, হটাত গা ঝাড়া দিয়ে উঠে আমার পায়ের কাছে থ্যাচ থপাত থ্যাচ থপাত করে একগাদা লাদা ফেলে দিয়ে হেলে দুলে সামনে এগিয়ে গেল । মাস্টার মশায়, এহ্ হে, হেট্ হেট্ করে ছাত্র পেটানো বেত দিয়ে মোষ পেটাতে লাগলেন আর ওই ফাঁকে আমার সহপাঠীরা এসে আমাকে মেরে খিমচে পুরো গায়ে লাল করে দিল । এরকম করে বিদ্যার্জন করার দিন সাতেক পরে মা 'যথেষ্ট হয়েছে' বলে স্কুল ছাড়িয়ে দিলেন ।
এরপর থেকে স্কুলে যেতে পেতাম না কিন্তু খুব আগ্রহ নিয়ে সামনের পুকুরের পাড়ে বসে থাকতাম । স্কুলের ছেলেগুলো দল বেঁধে ছুটে এসেই ঝপাং ঝপাং করে পানিতে ঝাঁপাত । ঝাঁপ দিয়ে উঠেই পাড়ের বালির ওপর গড়িয়ে গড়িয়ে পুরো গায়ে বালি মেখে আবার ঝপাং করে ঝাঁপ । এক দুনিয়া সুখ বোধ হয় ওদের মুঠোয় ভরা থাকত ।
এর কদিন পরে আমরা চলে গেলাম রংপুরে । ওখানে কি একটা মিশনারি স্কুলে ভর্তি হলাম । প্রথম দিন এসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে আছি, হটাত বাতাস বেয়ে কোথা থেকে এক রাশ ফুঁও ফুঁও সাদা শিমুলতুলো উড়ে এল । কী সুন্দর কী সুন্দর ! শিমুল তুলোর রূপে মুগ্ধ হয়ে আমরা কজন দৌড়াদৌড়ি করে তুলো কুড়োতে লাগলাম । একটু পরেই অবশ্য রোদের মধ্যে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে টের পেলাম প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হওয়াটা মোটেই কাজের কথা নয় । সেই আমার প্রথম নিয়ম ভেঙ্গে 'শাস্তি' পাওয়া । সেদিন অবশ্য ঠিকমত বুঝিনি কেন শাস্তি পাচ্ছি ।
এর পর দিনাজপুরে । এতদিন স্কুল স্কুল খেলা খেললেও মা এবার সিরিয়াস । শুরু হল পড়াশুনো । গেলাম আরেকটা নামকরা মিশনারি স্কুলে । কিন্তু অভাগা যায় বঙ্গে, অভাব যায় সঙ্গে । প্রথম দিন গিয়েই শুনলাম সেখানে সব বাচ্চাকে টিকা দেয়া হচ্ছে । অম্নি ক্লাশের বড় জানালা টপকে যত ছেলেমেয়ে সব ভোঁ ভাঁ । আমার প্রসেসর মনে হয় ভীষণ স্লো , জানালার সামনে দাঁড়িয়ে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করবার আগেই ধরা পড়ে গেলাম । আমার মতো আরও কটা বেকুবও ধরা পড়ল । সবাই কেঁদে চিল্লিয়ে নাকের পানি চোখের পানি এক করছে আর আমি গম্ভীর মুখে নিজেকে সান্তনা দিচ্ছি যে, টিকা দিলে কি হবে, সাথে তো চোখ পরীক্ষাও করছে, এইবার একটা চশমা পাব ! একটা চশমার আমার খুব শখ । তাই টীকার ব্যাথা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করলাম । কিন্তু চোখের ডাক্তার দেখে বললেন, সব ঠিক আছে , যাও । কি মুশকিল, চশমাটা কি পাবো না !? মরিয়া হয়ে বলেই ফেললাম, কই ঠিক আছে ? আমি তো দেখতেই পাইনা । ডাক্তারটাও যেন কেমনধারা, হাসি চেপে বললেন, সে কী ! তুমি দেখতে পাওনা ? এই যে এটা কি লেটার, বলতো ? চেনোনা ? আমি বললাম, এটা পি, আমি জানি, কিন্তু সেটা তো আমি দেখতে পাচ্ছিনা !!
আজ এত বছর পরেও আমার চোখে চশমা ওঠেনি কিন্তু কোন কোন অলস দুপুরে ডাক্তারের সেই হাসির আওয়াজ এখনও শুনতে পাই । সময় বুঝি সত্যিই উড়ে চলে । এখন ধানমণ্ডির ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়াদের গাড়ির বহরে আটকা পড়ে কপালে ভাঁজ ফেলি রোজ । খুব বিরক্ত হয়ে উঠতে উঠতে কক্সবাজারের সৈকতে দেখা নীল সাদা ইউনিফরম পড়া একদল উচ্ছল ছেলেমেয়ের কথা হুট করে মনে পড়ে যায় । রোজ বিকেলে ওদের দেখতাম ছুটির পর সমুদ্রের পানিতে পা ভেজাতে ভেজাতে সৈকত ঘেঁষে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরতে । আজকাল প্রায়ই বাড়ি ফেরার সময় গ্রিডলক জ্যাম নামের অদ্ভুত এক যান্ত্রিক যন্ত্রণায় পড়ে ঘামতে ঘামতে হটাৎ হটাৎ ওই ছেলেমেয়ে গুলোর কথা মনে পড়ে, আর কেন যেন ভীষণ হিংসে হতে থাকে ।
আশালতা
মন্তব্য
মহিষের ব্যাপারটা বুঝি নাই। ক্লাসের মধ্যে আসলেই একটা মহিষ ছিল?
বাবা মায়ের পারমিশন ছাড়া কি বাচ্চাদের টীকা দিতে পারে?
রু, গ্রাম্য সরকারি স্কুলগুলোর বেহাল দশা সম্পর্কে সম্ভবত আপনার কোন ধারনা নেই । আমি যেটায় গিয়েছিলাম সেটা স্কুলও ছিলনা, সেটার জাত- গোত্র আরও নিম্নমানের । সেগুলোকে বলা হত পাঠশালা । দরমা, চাটাই ঘেরা খান কতক ঘর, যাতে দরজা জানালার পাল্লা- কপাটের বালাই ছিলনা । ইউনিফরম তো দুরস্থান । ছাত্ররা খালি পায়েই মাটিতে বসে পড়া শোনা করত । অনেক সময় গরু ছাগল মাঠে চরাতে দিয়ে দৌড়ে এসে ক্লাসে ঢুকে পড়তে বসে যেত, আবার উঠে দৌড়ে গিয়ে ওদের দেখভাল করে আসত । ওদের অইসব পোষা গরু ছাগল মায় হাঁস মুরগি পর্যন্ত ক্লাসে ঘুরে বেড়াত । কেউ কিছু মনে করত না।
আর বিসিজি টিকা তখন সরকার থেকে সব স্কুলের বাচ্চাকেই দেয়া হত । বাবা মাকে জিজ্ঞেস করার কোন বালাই ছিলনা । তখনকার বাবা মায়েরা এত কিছু নিয়ে মাথাও ঘামাত না । ভাবটা এমন যেন স্কুলে দিয়েছি এইই ঢের । বাকিটা নিজেরা বুঝে নাও । তা আমরাও নিজের সমস্যা নিজেরাই সামলাতাম, উনাদের সহজে ঘাঁটাতাম না । টিকা অনেকেরই একাধিক বার দেয়া হয়েছে, আমারও ।
এই লাইনগুলোর কোন প্রতিমন্তব্য করা সম্ভব নয়, খালি একটা প্রতিক্রিয়াই সম্ভব, এটা
আপনার প্রত্যেকটা লেখাই দারুণ। চালিয়ে যান... শুভকামনা থাকলো।
ধন্যবাদ অপছন্দনীয়
আপনার সব লেখাই পড়েছি...... সব সময় অবশ্যি একমত হতে পারিনি, মাঝে মাঝে কষে তর্ক করতে খুব ইচ্ছে হয়েছে
তর্ক করতে ইচ্ছে হলে শুরু করে দেবেন ... কষে ঝগড়া করার মত একটা ক্রিয়েটিভ ব্যাপারে মানুষের কেন যেন ইদানীং আর আগ্রহ নেই (দীর্ঘশ্বাস)
আবোলতাবোলগুলো পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এত বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরের পরেও আপনার চশমা না পাওয়া প্রমাণ করে যে দুনিয়ায় ইনসাফ বলে কিছু নাই। লেখা চালিয়ে যান।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আসলেই দুনিয়ায় ইনসাফ বলে কিছু নাই !!! ( দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার ইমো )
স্কুল লাইফটা আসলেই বেশ মজার কিন্তু জগতের আর সব কিছুর মতই ভালো জিনিশ বেশি দিন থাকে না, সুখ বেশিদিন সয় না।
লেখা পড়ে বেশ মজা পেলাম।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ পাগল মন ।
ধানমণ্ডির ভাড়া করা বাড়িতে থাকা কবুতরের খুপরির মতো এইসব স্কুলে পড়ুয়া হতভাগা বাচ্চাদের কথা একটু ভাবুন। ওদের কী দোষ? ওদের বাবা-মায়েদেরই বা কী করার আছে? যে স্কুলে খেলার মাঠ নেই, একটু দৌড় দেবার পর্যন্ত জায়গা নেই সেটা কী রকম স্কুল? আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য এটা কোন্ পৃথিবী তৈরি করেছি! আজ থেকে বিশ বছর পর যে আশালতার বয়স আপনার আজকের বয়সের সমান হবে তার স্কুল জীবনের গল্পটা কী বীভৎস হবে সেটা ভাবতে পারেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বিশ বছর পরের কথা ভাবলে আসলেও আতঙ্ক হয় ষষ্ঠ পাণ্ডব । কিন্তু এতে বাবা মায়েদের কোন হাত নেই এ আমি মানিনা । তাদের সমষ্টিগত চাওয়ার ফল হিসেবেই কিন্তু আমাদের এই জীবন তৈরি হয়েছে, তা না হলে তো সম্ভব ছিলনা । আমি নিজেই বেশ কজনকে জানি যারা ছোট জেলা শহরে যথেষ্ট ভালভাবেই চলছিলেন, ছেলেমেয়ে নামকরা জেলা স্কুলে খব ভালো রেজাল্ট করছিল, কিন্তু রাজধানিতে বাস করে 'ইজ্জত' বাড়ানর জন্য নানান রকম ধর্না দিয়ে সব ছেড়ে চলে এসেছেন । এই বাবা মায়েরাই ছেলেমেয়েদের ওপর অতিরিক্ত এক্সপেকটেশন এর বোঝা চাপিয়ে তাদের শৈশব টাকে নেই করে দিচ্ছেন । ছেলেমেয়েগুলো অনেক কিছু না পেয়ে পঙ্গু মানসিকতা নিয়ে বড় হচ্ছে ঠিকই, আর সেটা করছে তাদের নিজেদের বাবা মায়েরা !!
আর আরেকটা ব্যপার হল, পেয়ে হারালে তবেই সেটার বেদনা তৈরি হয় । আমরা মুক্ত জীবন দেখেছি বলেই কষ্ট পাই, এই বাচ্চাগুলো সেটা পায়নি, পায়না কখনও, কাজেই না পাবার কষ্টটা আমাদের মতো ওদের বাজেনা বিশেষ । শুধু একটা শূন্যতার বোধ থাকে ভেতরে, তার সংজ্ঞা ওরা বোঝেনা বলেই কম্পিউটার গেম, কার্টুন আর নানাবিধ শো অফ দিয়ে সেই শূন্যতা ভরবার প্রয়াস পায় ।
নিশ্চিত ভাবেই বিভৎস হবে। তবে কি না, তখনও কোন এক ষষ্ঠ পান্ডব ঐ আশালতার কাছে ভবিষ্যতের আশালতাদের নিয়ে শংকা প্রকাশ করবেন যেখানে কোন কোন মর্ম এসে সমর্থন জানাবে!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বটে !
বার বার একই মন্তব্য চলে আসছে কেন সেটাই বুঝতে পারছি না
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
স্কুলের সামনে একটুকরো মাঠ না থাকলে সেটা স্কুল নামের কলঙ্ক! ওই রকম স্কুল বাংলাদেশ থেকে নিপাত যাক! নিপাত যাক!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
একশভাগ সহমত। নিপাত যাক। [ কিন্তু যাবেটা কোথায় ? এই বিশাল জনসংখ্যার দেশে স্কুলে যেতে পাওয়াটাই তো মাঝে মাঝে ভাগ্যের বিষয়। ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ছোট্ট একটা টিলার ওপরে আমার স্কুল। সামনে লাল ইটের মাঠ, দুপাশে ছায়া দিত সার বেঁধে থাকা বাদাম গাছেরা। আমরা অবশ্য বাদামগুলোর মোক্ষম ব্যবহার করতাম, ডায়েরিকে ব্যাট বানিয়ে বাদামগুলোকে পিটিয়ে ছাতু করে দিতাম...অনেক কথাই মনে পড়ে গেল।
আপনার লেখা কিন্তু মুচমুচে হয়েছে, স্মৃতিচারণ জারি থাকুক।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
টিলার ওপরে স্কুল !! আহা !!
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অদ্রোহ ।
আমার স্কুলের চারপাশে ছিল চম্পা ফুল ও দেবদারু গাছ।চারদিকে চম্পা গাছ ছিল বলে অনেকে ডাকত চম্পাতলী স্কুল।
স্বপ্নডানা, আমার সত্যিকারের স্কুলটা এতটা কাব্যিক না হলেও বিরাট মাঠ সহ দারুন ছিল । আর ছিল একটা তেঁতুল গাছ যেটায় একটা পরী থাকত বলে আমরা খুব রোমাঞ্চিত হতাম । সেই পরীটা আবার প্রায়ই আমার সুন্দরী এক বান্ধবীকে কিছুদিন পরপর তুলে (!) নিয়ে যেত । সে ফিরে এসে নানারকম গল্প বলত, আমরাও হা করে সেসব গিলতাম
ঘ্যাচাং
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মন্তব্যগুলো পড়লে কোন খটকাই আর থাকে না, তবে আশা রইলো পরের লেখা থেকে মন্তব্যে ব্যাখ্যা পাওয়া পর্যন্ত মোটেও অপেক্ষা করতে হবে না।
আপনার লেখা ভাল লাগে পড়তে, ভাল থেকে 'ভালতর' হচ্ছে; মন্তব্য না করলেও নিয়মিত পড়ি এটুকু জানিয়ে যাই।
নীচের অংশটুকু দুর্দান্ত লাগলঃ
[url=www.sachalayatan.com/guest_writer/31200]পুরোন[/url=www.sachalayatan.com/guest_writer/31200] কথা মনে করিয়ে দিলেন।
লেখা চলুক
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মর্ম, আপনার মন্তব্য ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে । সেসময়কার সামাজিক প্রেক্ষাপট আমার জানা হলেও এখনকার যারা পড়ছে তাদের সেটা জানা না থাকায় যে খটকা লাগতে পারে সেটা লেখার সময় আমি খেয়াল করিনি । তাই রু এর প্রশ্নে একটু হোঁচট খেয়েছিলাম । আপনার মন্তব্যে সেটা পরিস্কার হল । এরপর এই জিনিষটা মাথায় রাখার চেষ্টা করব ।
আর...... কেউ আমার লেখা নিয়মিত পড়ছে !!! সেরেছে !! ভয় পেয়েছি সত্যি সত্যি
ব্যাপক মজা পাইলাম পইড়া।
লেখার নামটা অসাধারন হইছে!
কিন্তু ঝামেলায় ফালাই দিলেন!
এখন আপ্নের আগের লেখাগুলান খুঁইজা বাইর কইরা পড়তে হইব!!
লিখতে থাকেন, ভাল থাকেন।।
আবজাব লিখা পড়ে মাথা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবিলিটি... ঝামেলায় না গেলেন !
মজারু লেখা।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
পড়ে মজা পেলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অপ্রাসংগিক যদিও
তবু ও বলি
আর ৫ বছর পর বাংলাদেশের শহরের শিশুদের জন্য সবচে বড় থিম পার্ক হবে মনে হয় ১ বর্গ কি মি ফাকা জায়গা ।তবে ভয় হয় শিশুরা এই ১ বর্গ কি মি র ফাকা জায়গাকেই না বিশাল শুন্য মনে করে আতংকিত হয় !
লেখাটা পড়ে নিজের ছেলেবেলার প্রায় ভুলে যাওয়া দুয়েকটা মধুর স্মৃতি মনে পড়ল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্মৃতিটুকু খুঁচিয়ে দেবার জন্যে।
বাব্বাহ, এত পুরনো লেখায় চার চারটে কমেন্ট করে আবার মুছে দেয়া- আপনার পেশি শক্তির প্রশংসা করতেই হয়।
আপনার লেখা অনেক দিন থেকে পড়ছি তো, তাই ভেতরে একটা লুকোনো অপেক্ষা ছিল আপনার কমেন্টের জন্য। ভীষণ ভীষণ ভাল লাগল সেটা পেয়ে। ধন্যবাদ অনেক অনেক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মানে? কমেন্ট কি মোছা যায় নাকি? আমি তো পারি না!
আচ্ছা, বলেন তো আপনার পুরানো লেখার সন্ধান আজকে আবার সবাই পেলো কী করে? কারণ সাত সকালে আমি পড়ে একটা দাঁত বের করা হাসি দিয়ে শেয়ার দিয়েছিলাম। এইরকম ->
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যায় কি যায়না আমি কি আর ঠিক মত জানি রে ভাই। দেখলাম তো মুছে দিতে তাই ভাবলাম সচলেরা পারেন বোধ হয়। আপনাদের সবার কমেন্টে এই লেখাটা যে আবার এতোটা ভাললাগা এনে দেবে ভাবিনি।
আর... আপনার দাঁত বের করা হাসির কারণ জেনে আমার তো আরও বেশি দাঁত বেরোল। এই দেখেন
শেয়ারের জন্য
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দিদি এতদিন পরে তোমার এই চমৎকার লেখাটা পড়বার সুযোগ পেলাম। যিনি এটা খুঁচিয়ে তুলেছেন তাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়! আছো কেমন? (গুড়) (গুড়) আরো মিষ্টি মিষ্টি লেখা আসুক তোমার হাত থেকে।
ধন্যবাদ রে আয়নামতি। ডুব দিয়ে আবার উঠেছ দেখছি। মিষ্টি মিষ্টি লেখা ! জাতের লেখক তো হতে পেলাম না এখনও। কে জানে পরে কেমন লিখব। দেখা যাক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশাদি, আপনার লেখা যতবারই পড়ি ততবারই আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে।
আপনার লেখার কথা আর কি বলি?
তবে... আপনার শৈশবটাকে খুব হিংসে করি আমি, তা লোকে আমায় যতই হিংসুটে বলুক।
লেখা চলুক।
পরের লেখার জন্য অপেক্ষায়...
হিংসুটে কিন্তু ভারী মিষ্টি মেয়ে বন্দনা কবীরকে মেলাই ধনেপাতা আর
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কল্যাণের জন্য শুভ কামনা আর
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহহ আশাদি কতদিন গুড় খাই না, ২৫০গ্রাম গুড় নিয়ে আসছিলো আমার বউ, তা যত্ন করে রাখতে রাখতে শেষ পর্যন্ত ছাতা ধরে সেই গুড়ের অবস্থান হল ময়লার ঝুড়িতে। আপনার পোস্টে আসলেই কিছু খাওয়া দাওয়া পাবোতো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হাসতে হাসতে কাত। তারপর গিন্নীকে ডেকে পড়ে শোনালাম - আপনার গোটা কয়েক মন্তব্যসহ। কোথায় গেলেন আশাদি? ফিরে আসুন, প্লীজ!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন