কোথায় যেন এক মন খারাপ করা মালবাহী ট্রেন সরে পড়েছিলো তার লাইন থেকে।
আর আমাদের মহানগর প্রভাতী ক্লান্ত শরীরে মফস্বলের কোন এক স্টেশনে ঠায় দাড়িয়ে ছিল অনেকক্ষণ।
চা কিংবা ম্যাগাজিন স্ট্যান্ডের লোভে আমি হাটছিলাম এলোমেলো।
তোমাকে কখন প্রথম চোখে পড়লো মনে পড়ে না।
বাকী দশটা বেশ্যা পুরুষের মতোই তোমাকে আমি দেখিনি।
আমি দেখেছি তোমার চুল, গ্রীবা, ঠোট কিংবা শাড়ীর বাধা পেরিয়ে যতটুকু দেখা যায়।
তোমার পরনে ছিলো নীল আর গোলাপী রংয়ের খুব সাদামাটা একটা শাড়ী,
আধুনিকারা যেই শাড়ী আর পড়ে না।
পাশে বসে থাকা ওই বয়স্ক ভদ্রলোকটা কে ছিলেন?
তোমার বাবা নাকি ভাই?
স্বামীও হতে পরে।
কেন যেন ভাবতে ইচ্ছে হয়নি।
তুমি কোন ট্রেনের জন্য বসে ছিলে?
কোথায় যাবে তুমি?
হঠাৎ একটা ক্লান্তকর হুইসেল যেন কুকুরের মতো আমাদের মাঝে এসে দাড়ায়।
তোমাকে আর দেখিনি কখনো।
দেখতে ইচ্ছে করে অনেক।
*সৌরভ সাখওয়াত
মন্তব্য
কবিতা ভালো লেগেছে। আরো চলুক। সচলে আরো একজন ভালো কবির আবির্ভাব হলো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভালো লাগল।
প্রথম ও তৃতীয় স্তবক দু'টি অসাধারণ। মাঝের স্তবকটি সাধারণ। কবিত্বের অমিত সম্ভাবনাকে পাঁচতারা দিলাম। খুব শীঘ্রই এই কলম থেকে মুক্তোর মতো অসাধারণ কিছু শব্দের ফুলঝুরি বেরিয়ে এলে আশ্চার্যান্বিত হবো না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
হঠাৎ একটা ক্লান্তকর হুইসেল.........এখানে ক্লান্তিকর হবে কি?
কবিতা ভালো লেগেছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অসাধারণ লেগেছে কবিতাটি। আপনার আরও কবিতা পড়তে চাই।
নতুন মন্তব্য করুন