জানেন কি?
যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে জামাত নেতা মীর কাশেম ২০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়াশিংটনে লবিয়িস্ট নিয়োগ করেছে?
খবর ডট কমের বরাত দিয়ে জানা গেছে -
যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল জামাত। তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে আন্তর্জাতিক লবিং-এর জন্যে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে। চুক্তি করেছে ২৫ মিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশী মুদন্সায় এর পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে দায়িত্বরত একটি বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে চুক্তির অর্থও পাঠিয়েছেন জামাত নেতা মীর কাশেম আলী।
আরো জানা গেছে -
সম্প্রতি এই অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে জামাত নেতা মীর কাশেম আলী লবিস্ট নিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্টেন্সর একটি কনসালটেন্সি ফার্মের সঙ্গে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছেন। ২০১০ সালের ১০ মে ৬ মাসের জন্য আমেরিকান কনসালটেন্সি ফার্ম কেসিডি এন্ড এসোসিয়েটের সঙ্গে চুক্তি করেন মীর কাশেম আলী। পরে সিটি ব্যাংক এনএ-এর মাধ্যমে ইলেক্টন্সনিক্স টন্সান্সফার করে চুক্তির অর্থ কেসেডি এন্ড এসোসিয়েটের হিসাব যার নম্বর সিএমজিআরপি·আইএনসি ৩০৭১৭২৪৮ (সুইফ্ট কোড : সিটি ইউএস ৩৩) পাঠানো হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা হচ্ছেন মার্কিন সাবেক কংগ্রেসম্যান মার্টি রুশো। তিনি কেসেডি এন্ড এসোসিয়েটস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানিটি ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর থেকে গত ৫ এপ্রিল ২০১১ সাল পর্যন্ত এই ৬ মাস মীর কাশেম আলীর উদ্দেশ্য সফল করতে যুক্তরাষ্টন্স ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে লবিং করবে। প্রয়োজনে ৬ মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ আরো ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বাড়ানো যাবে বলে চুক্তিপত্রে উলেস্নখ করা হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির বাইরেও মামলা খরচসহ অন্যান্য খরচের ব্যয় বহন করতে আরো অর্থ দেয়া হবে উপদেশক এই প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল ২০১১ সালের ১৭ অক্টোবরের আগে এদেশে আসতে পারবে না।
এই খবর থেকে অনেক শিক্ষনীয় ব্যাপার আছে। সেগুলো কি কি? যেমন ধরুন -
১। যুদ্ধাপরাধী বিচার টা আপনার আর আমার কাছে ডাল-ভাত হলেও অনেকের কাছে নয়, যেমন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।
২। আমি আর আপনি যখন সুখে নিদ্রা যাচ্ছি, তখন অপর পক্ষটি আহার-নিদ্রা পরিত্যাগ করে বিশেষজ্ঞ আইনজ্ঞ নিয়োগ করছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে লবিয়িং করছে, দেশের গণমাধ্যম গুলোতে সুচারুরূপে বিচার প্রক্রিয়াটির ব্যাপারে অবিশ্বাসের বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে।
৩। একদল খুনী, নিজেদের বাঁচাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এখন আমাদের কী করণীয়?
জানুন। অন্যদের জানান।
আমরা যদি না জাগি, সকাল কখনো আসবে না।
--- সদাজাগ্রত
[ক্যাসিডি ক্যাসিডি এন্ড এসোসিয়েটসের সঙ্গে জামাত নেতা মীর কাসেম আলীর চুক্তির কপি:
]
মন্তব্য
Reference chai. how come u got the scanned copy? Rajakar er bachha gula r ki ki kortase ke jane...
২০১০ হবে না সালটা!
প্রথম যে জিনিসটা মাথায় বাড়ি খেলো, এতো টাকা মীর কাশেম আলী কনসালটেন্সি ফার্মকে দিলো কেমনে? বিদেশী সেই ব্যাংকই বা টাকা পাঠালো কেমনে বাংলাদেশ ব্যাংক এর অনুমতি ছাড়া! বাংলাদেশ ব্যাংক আশাকরি শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
দ্বিতীয় ব্যাপারটা হলো, এই কুখ্যাত রাজাকার মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার না করে তাকে বাইরে রেখে এই সকল লবিং করতে সুযোগ দেয়ার কারণ কী?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ সদাজাগ্রত। নজরুলের ফেসবুক থেকে খবরটা জানলাম। শেয়ারও দিলাম। এতোকাল শুনেছিলাম নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক সন্দেহজনক বৈদেশিক অর্থ আদানপ্রদানের সাথে জড়িত, কিন্তু এখন তার সাথে সিটি ব্যাংকও যুক্ত হলো। যাইহোক ............. দেশের সামনে যখন বিষয়টা ফাঁস হয়ে গেলো, এখন দেখতে হবে লবিয়িষ্ট প্রতিষ্ঠান কিভাবে, কোন কৌশলে এগোয়।
আমার তো মনে হয় আমরা জেগে ঘুমাচ্ছি। আর জেগে ঘুমানো লোককে তো কেউই ডেকে জাগাতে পারেনা। গায়ে পানি ঢেলে দিতে হয় বা গায়ে মুতে দিতে হয়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চুক্তি হয়েছে বুঝলাম। টাকা পাঠানো হয়েছে, সেটাও বুঝলাম। জামাত চুলোয় যাক, এটাও চাই।
কিন্তু এই পুরাতন চুক্তি (গত এপ্রিলে এটা রদ হয়েছে) যে যুদ্ধপরাধ মামলা ঠেকানোর এন্তেজামে করা হয়েছে, সেটা কিন্তু ঘাঘু উকিলেরা চুক্তিপত্রে সরাসরি দেখায়নি। একটি সংযুক্তি (এডেন্ডাম) এর উল্লেখ দেখছি, যেখানে হয়তো এই এন্তেজামের বিষদ বিবরণ আছে। সেই সংযুক্তিটি প্রকাশ করুন।
যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে তো! ক্ষমতা ছাড়ার আগে আগে আওয়ামীলীগ ঠিকই দুয়েকটা রাজাকারকে ঝুলিয়ে দেবে।
সহজ হিসাবে, সেই প্রতীকী ঝোলানো দেখেই ভুদাই বাঙালি আবারো ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচিত করবে। হয়তো এই আশাতেই তারা বসে আছে।
এই জানুয়ারী মাস থেকে পাচ দশ ডলারের এল সি খুলতেই লোকের নাভীশ্বাস উঠে যায়। দেশে নাকি ডলার সঙ্কট, অগ্রগণ্য সেক্টর ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক অনুমতি দেয়না। একে ডলারের অভাব, তাতে সেই টাকা পাঠানেওয়ালা যুদ্ধপরাধী/জামাতের লোক, যার কিনা সাহারা খাতুনের নজর এড়িয়ে ঢিলা-কুলুখ করারও উপায় থাকার কথা নয়। এমত অবস্থাতেও জামাত ২৫ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাঠিয়ে দিল। বাহ!
আবার সেই একই আওয়ামী সরকারের (হাসিনা বা তার চাইতে বড় কেউ) অনুমতি ব্যাতিরেকে চুক্তিপত্র/টাকা আদানপ্রদানের এই আকারের বিবরণ বাজারে আসতে পারেনা। ইদানিং তো আবার অনভিপ্রেত বমির গিলে ফেলার মত প্রকাশিত খবরো গিলে ফেলার প্রচলন চালু হয়েছে।
তাই মনে প্রশ্ন জাগে, এই নথি এই মুহূর্তে বাজারের এল কেন? এই সময়টির বিশেষত্ব কি?
দুর্দান্ত ভাই একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলেছেন।
খবরের কাগজে পড়েছি টাকাটা সিটি ব্যাংক নর্থ আমেরিকার মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করা হয়েছে। তার মানে কি মতিঝিলে অবস্থিত সিটি ব্যাংকের শাখা থেকে ট্রান্সফার করা হয়েছে? নাকি বিদেশি কোন অ্যাকাউন্ট থেকে? টাকাটা যদি দেশ থেকে পাঠানো হয় তাহলে এত বড় অঙ্কের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া পাঠানো সম্ভব কি?
আমার মনে হয় টাকাটা বিদেশের কোনও এ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এতো বড়ো একটা রিস্ক নেবেনা। তবে একদিন এক ব্যাংকের একজন বড়কর্তা বন্ধু একটা নির্দিষ্ট ব্যাংকের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন যে প্রতি মাসে (লক্ষ্য করেন, বছরে নয়) ফরেন রেমিটেন্স মনিটরিংএর ফাউন্ডিংগুলোর তিন চতুর্থাংশ যে ব্যাংকটার নামে আসে, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন রেমিটেন্স নীতিমালা প্রতিনিয়ত যে ব্যাংকটা অবলীলায় বেপরোয়াভাবে ভেঙে চলেছে, আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও সরকার কোনও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়নি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দ্রোহীদা একেবারে সঠিক কথাটা এবং মনের কথাটা বলেছেন!!! এরা নি:সন্দেহে এটা করবে!!! আরেকবার ক্ষমতায় আসার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এরা রাজনীতি করবে- অসমাপ্ত রাখবে।।
'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার' একটা মূলা ... সকাল বিকাল ঝুলা ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
একটা সহজ বিষয়ে সবাই মনে হয় একটু বিভ্রান্ত।
টাকাটা Citi Bank, N.A. এর একটা অ্যাকাউন্ট নাম্বারে পাঠাতে বলা হয়েছে, যা সুইফট কোড দেয়া আছে। টার মানে এই না এই টাকা বাংলাদেশের সিটি ব্যাংক থেকেই পাঠাতে হবে। আপনি হংকং, দুবাই, যেকোন জায়গার যেকোন ব্যাংক থেকেই ওখানে টাকা পাঠাতে পারবেন।
মন্তব্য করেছিলাম, জামাত ২৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করে দিয়ে থাকলে আম্লকি তার দায়িত্ব এড়ায় কিভাবে? প্রতিমন্তব্য এসেছে, টাকাটা বিদেশ থেকেও পাঠানো হতে পারে। মেনে নেই, সেটা হতে পারে। কিন্তু সেটা ঠিক হলে বিষয়টা আরো গোলমেলে হয় যায়। বাংলাদেশি জামাতির বিদেশে ২৫ মিলিয়ন ডলারের ওপর কর্তৃত্ব থেকে থাকলে সেটা আম্লকির নিজের প্রয়োজনেই সেটা খতিয়ে দেখতে হবে, নাহলে শীঘ্রই সেই টাকায় আরো দশ দুগুনে বিশ ট্রাক এম১৬ চট্টগ্রামে এনে নামাতে পারে।
দশ দুগুনে বিশ ট্রাক এম১৬ আনার চেয়ে প্রতিদিন এক দুই ভ্যান RDX আনাটা মনে হয় আরো ভয়ন্কর।
নতুন মন্তব্য করুন