পথ থেকে পথে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৬/২০১১ - ১০:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত আরও গভীর হয়। আধারের রং আরো মিশমিশে কালো হয়। কে যেন কানের কাছে ফিসফিস করে বলে উঠে, "উঠো, এবার তোমাকে যেতে হবে”।
বাইরে তাকিয়ে আধার দেখে চমকে উঠে বলি, “এ কি করে সম্ভব”? সে এবার মুচকি হেসে বলল, “এই তো পথ চলার আনন্দ।”

লক্ষ্য পৌছানোর আশায় কত দুর্গম পথে হেটে গেছি, চোরাবালিতে আটকে ডোবতে ডোবতে বেঁচে ফিরে এসেছি, পাথরের উপর হাটতে গিয়ে পা কেটে কত রক্ত ঝরিয়েছি, তবূ ছুটে গেছি গন্তব্যে পৌছাব বলে। এক সময় পথ শেষ হয়, লক্ষ্যে পৌছাই। আর সে আনন্দে যখনই উৎসব শুরু করি তখনি চারপাশটা ভাল করে দেখে বুঝি আমি আবারো রাস্তা ভুল করেছি। তখন সব ফেলে আবারো ছুটে চলি।
জ্যোৎস্না রাতে সমুদ্রে ডুব দিয়েছিলাম মরব বলে।স্রোত এসে টেনে নিয়ে গেল অজানা কোন দেশে। নোনা জলে হাবুডুবু খেতে খেতে কত বার হাত বাড়িয়েছি কিছু আকড়ে ধরার জন্যে কিন্তু প্রতিবার বরফ শীতল জল ছাড়া আর কিছুই হাতে এসে ঠেকে নি।

ফির ঝাঁপ দিলাম আগুনে। কে জানত আমার ভিতরে জমে থাকা ছোট ছোট ক্ষোভগুলো আগুন হয়ে উল্টো এই আগুনকে গ্রাস করবে? আমার আগুনের তাপ এর চেয়ে বেশি তা তো আমি নিজেই জানতাম না।

যখন টের পেলাম তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। আজ আমি সেই অগ্নিগিরি যে শুধু জ্বলতে জানে, অন্যকে জ্বলতে জানে। ধ্বংসেই যার সৃষ্টি,গ্রাসেই যার আনন্দ।
আমার বহ্নিতাপে আমার প্রিয় মুখছবিগুলো সব পুড়ে যাচ্ছে, আমার কিছু না করতে না পারার আক্রোশ আমার ভিতরের আগুনটাকে আরো একটু যেন বাড়িয়ে দেয়। দমকা হাওয়া এসে ছাইগুলো উড়িয়ে নিবার আগ পর্যন্ত আমি ঠাই দাঁড়িয়ে থাকি কেউ এসে আগুনটা নিভাবে বলে কিন্তু............... কেউ আসে না।


মন্তব্য

আশালতা এর ছবি

যা দিনকাল পড়েছে... দারা-পুত্র-পরিবার, তুমি কার, কে তোমার ? মনে নেই বুঝি ?
এখন হল self-help এর যুগ ।

বানানে একটু সতর্ক হতে হবে । লেখা চালিয়ে যান, ভালো হচ্ছে ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নাম/নিকবিহীন লেখা প্রকাশিত না হওয়ার কথা জানতাম। নিয়মটি কি পরিবর্তন করা হয়েছে?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।