'ওয়াকিং ডিসট্যান্স' কথাটার মাজেজা দেশের বাইরে যারা গিয়েছেন তাঁরা সম্ভবত হাড়ে হাড়েই বোঝেন । একবার কলকাতায় গিয়ে হাতে কলমে শিখেছিলাম আমিও । যে হোটেলে গেলাম প্রথমে, সেটায় খাবার বন্দোবস্ত ছিলনা । বলল, চিন্তা কি দিদি, এই তো সামনেই খাবার দোকান, ওয়াকিং ডিসট্যান্স । ওদের 'ওয়াকিং ডিসট্যান্স' এর সংজ্ঞাটি তখনও জানা ছিলনা বলে পট করে হোটেল নিয়ে নিলাম । এদিকে ক্ষিধের মুখে বের হয়ে দেখি ত্রিসীমানায় কোন খাবার দোকান নেই । ঘণ্টা খানেক হেঁটে তবে মিলল বটে, কিন্তু খেয়ে দেয়ে বেরনোর সময় আবার ওই পথ বেয়ে হেঁটেই ফিরতে হবে মনে করে পেটের ভাত আবার চাল হয়ে যাবার যোগার হল ।
দেশে আলসেমির প্রশ্রয় প্রদানের নানা রকম বিধান আছে । বাইরে বেরোলে রিকশা ডেকে শরীরের ভার ছেড়ে দিয়ে দিব্যি পৌঁছে যাওয়া যায় । তাই কিছুদিন আগেও রিকশায় ঘুরে বেড়ান আমার অন্যতম ভালো লাগা কাজ ছিল। কিন্তু সুখ চিরকাল রয়না এবং সব সুখেরই একটি সমান এবং বিপরীত অ-সুখ থাকে ।
হটাৎ আমার রিকশা বিষয়ক কপাল পুড়ল কেন বুঝছি না, আন্দাজ করছি আমার বদ মামাতো ভাইটার বদদোয়া এর কারণ হলেও হতে পারে। আমার এই ভাইটি আবার কচি মেয়েদের মনে ছুরি চালাবার মত 'টল- ডার্ক- হ্যান্ডসাম' যুবক । কিন্তু ওই 'ছেলে ভালো, তয় মাটির দোষ' এর মত ক্রনিক ঠাণ্ডার রুগি বলে বছরের ৩৬০ দিনই ফোঁত ফোঁত সর্দিতে বিকট স্বরের ঘং ঘঙ্গে কাশি দিতে থাকে । কথা বলাই ঝকমারি । সেদিন এই সুদর্শনের সাথে ফিরছিলাম রিকশা করে । সেও পৌণঃপুনিক ভাবে ফোঁত ফোঁত- ফ্যাত ফ্যাত- ঘং ঘং করে যাচ্ছে । একটু পরেই রিকশাওলা পেছন ফিরে হটাত বিকট গলায় ধমকে উঠে বলল, 'ধুর ভাই, চুপ করেন তো ! মাথা নষ্ট হয়া গেল !' ভাইটি অপ্রস্তুত হয়ে বলল, 'আচ্ছা আচ্ছা, আর করবনা, আপনি চালান' ।
কিন্তু সর্দি-কাশি কি সেকথা শোনে ? একটু পরেই আবার শুরু হয়ে গেল । কিছুদূর যাবার পর রিকশাওলা ঘ্যাঁচ করে রিকশা থামিয়ে তেড়ে এসে বলল, 'নামেন মিয়া, আপনারে নিমুনা !!' সেদিন মানে মানে অন্য রিকশা নিয়ে বাসায় ফিরতে হল । বাসায় ফিরেই দাঁত কেলিয়ে 'গঠনা' ফাঁস করে দিতেই বদদোয়া জুটল কপালে । তখন পাত্তা না দিলেও সেটা যে ফলে যাবে ভাবিনি ।
বারোটায় যাবার কথা ছিল ছায়ানটে । বাসা থেকে কাছেই, ১৫/২০ টাকা নেয় রিকশা ভাড়া । আজ কি যে হল, ঠা ঠা রোদ্দুরে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে মাথা ফুটে যাবার যোগার কিন্তু একটাও রিকশা টিকশা মিলছে না । ভাবলাম, হেঁটে সামনে যাই যদি কিছু মেলে । এগোতে এগোতেই গোটা দশেক রিকশা পার হল, কিন্তু কেউই আমার হাঁকা হাঁকির উত্তরে কিছুই না বলে মরা মাছের মত চোখ করে পেরিয়ে গেল । যেন আমার অস্তিত্বই নেই । বেশ একটু সন্দেহ হতে লাগল । গত রাতে বুয়ার হাতের কচু দিয়ে পুঁই পাতার লাবড়া বলে একটা অভূতপূর্ব পদার্থ এক চামচ খেয়েই তার অলৌকিকতা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হয়েছিলাম । তাতেই অদৃশ্য হবার গুণপ্রাপ্ত হলাম কিনা বুঝছি না । তবে একটু পরেই সন্দেহ ভঞ্জন হল । সাম্নেই ইয়া মুশকো এক রিকশাওলা দাঁড়িয়ে, মোলায়েম গলায় জিজ্ঞেস করলাম, 'শঙ্কর যাবেন ?'
তিনি উত্তর না দিয়ে দেহ ভেদী দৃষ্টিতে প্রথমে মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখলেন; তারপর দৃষ্টিটা নীচ থেকে উঠতে উঠতে উপরের দিকে উঠে এক জায়গায় আটকে গেল । সেখানেই দৃষ্টি আটকে রেখে শুধু থুতনিটা একটু তুলে সংক্ষেপে বললেন, 'পঞ্চাশ টেকা ।'
রাগে গনগন করতে করতে এগোতেই রাস্তার ওপারে দেখি খালি রিকশা নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে আছে । হাত নাড়তে উলটা হাতছানি দিয়ে ওদিকে যেতে বলল । রাস্তা পার হয়ে ওপারে যেতেই বলল, 'যামুনা ।' রেগে উঠে বললাম, 'যাবেন না তো এই রোদে রাস্তা পার করালেন কেন ?' উদাস মুখে বলল, 'এমনেই বলছি ।'
মুশকিল হল, খুব রেগে গেলে আমি কথা খুঁজে পাইনা । এখনও কি করা যায় ভেবে পেলাম না । এসময় হটাৎ আরেকজনের 'আপা কই যাইবেন ?' কানে ফ্রিজের পানি ঢালল । ওঠার আগে জিজ্ঞেস করলাম, 'কত নিবেন ?' বলল, 'পচিস টেকা ।' তথাস্ত বরাদ্দ করে উঠে পড়লাম । কিন্তু পৌঁছে নামার সময় টাকা দিতেই চোখেমুখে একরাশ বিরক্তি ফুটিয়ে উঁচু গলায় ধমকে বলল, 'এইটা কি দিলেন ? আরও পনের টেকা দেন !' আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'কেন ? আপনি না বললেন পঁচিশ টাকা ভাড়া ?'
তিনচাকার নবাব বললেন, 'আমি চল্লিশ টেকা বলছি, আপনি শুনতে ভুল করছেন; আপ্নে কানের ডাক্তার দেখান, আর এহন আমার চল্লিশ টেকা দিয়া ফুটেন জলদি ।'
আমি কেন যেন খুব বেশি অবাক হলাম না, টাকাটা দিয়ে নেমে এগোতেই শুনলাম পিপ পিপ করে ঘড়িতে বারোটা বাজল ।
আশালতা
মন্তব্য
এক বন্ধু রিক্সায় চড়েছে, একা। একসময় দেখলো তার রিক্সাকে ওভারটেক করে অন্য একটা রিক্সা এগিয়ে গেলো, সেটায় তিনজন তরুণী।
বন্ধুটার একটু তাড়া ছিলো, রিক্সাওয়ালাকে বললো, মিয়া কি রিক্সা চালান? একলা আমারেই টানতে পারেন না আর ঐ দেখেন ঐ রিক্সাওয়ালা তিনজনরে নিয়া আপনেরে ওভারটেক করলো!
রিক্সাওয়ালা ফিরে তাকিয়ে বললো- ঐরহম তিনডা জোয়ান জোয়ান মাইয়া থাকলে আমার গাড়িও ঘোড়ার লাহান ছুটতো...
ঢাকায় রিক্সাভাড়াটা এখন খুব বেড়েছে। একসময় 'গরীব মানুষ দুটো টাকা বেশি নাহয় নিলোই' পর্যায়ে এখন আর নেই। অত্যাচারের পর্যায়ে চলে গেছে
আমি এখন কাছাকাছি দূরত্বে এমনকি লম্বা দূরত্বেও সময় সুযোগ থাকলে হেঁটেই যাতায়াত করি। এই তো সেদিন বনানীতে মিটিং ছিলো, মিটিং শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে গুলশান ২ গেলাম, সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে তেজগাঁ... সেখানে কাজ সেরে আবার হাঁটতে হাঁটতেই কলাবাগান ফিরলাম
গতরাতেও লালমাটিয়া থেকে হেঁটে ফিরলাম কলাবাগানে...
ভালোই লাগে... শরীরটা তো ঠিক রাখতে হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাঁটা রোগ আমার নিজেরও আছে, যথেষ্ট বিপজ্জনক পরিমানেই আছে । ছোট খাট দুরত্বে হেঁটে যেতেই ভালো লাগে আর মাথা আউলা হলে তো দিন দুনিয়া ভুলে ঘণ্টা ভর হাঁটতে থাকি । তবে সাধারনভাবে বলা যায় ঢাকার রাস্তায় হাঁটাটা মেয়েদের জন্য খুব সুবিধেজনক ব্যপার না ।
আমার লেখায় আপনার প্রথম মন্তব্য পেয়ে কেমন একটু গর্ব গর্ব লাগে আজকাল...
ধন্যবাদ অনেক অনেক ।
ক্যান?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যিনি সম্পাদনা করে বই বের করে ফেলতে পারেন, তাঁর লেখা সম্পর্কিত জ্ঞ্যান আছে এটাই মনে হয়। কাজেই এরকম কেউ আমার নবিস লেখাগুলোর তারিফ করলে গর্ব বোধ করাই বোধ হয় স্বাভাবিক ।
দয়া করে ওই লাইনটার অন্য অর্থ করতে যাবেন না । আমার তাহলে লেখালেখি বাদ দিয়ে সচল ছেড়ে পালানো ছাড়া উপায় থাকবে না ।
অন্য কোনো অর্থ করি নাই, শুধু জানতেই চাওয়া
আর তখন খেয়াল করি নাই যে আপনার আগের লেখাটারও প্রথম মন্তব্যকারক আমি...
আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগে। আনন্দ হয়। নেন আরেকটু তারিফ করে দিলাম
আর সম্পাদনা করে বই বের করা নিয়ে ভুল বুঝলে তো বিপদ। এই যে দেখুন কিছুদিন আগে ভ্রমণীয় ইবুক হলো... তিন সম্পাদকের মধ্যে আমিও একজন। কিন্তু আমি আসলে কিছুই করি নাই, শুধু পোস্ট দেওয়া ছাড়া
আমার কাজ হলো কারো হাতে পায়ে ধরে, কারো কানে ধরে কাজ আদায় করে নেওয়া। এইটা আমি খুব ভালো পারি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হে হে হে, এনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও আপনে প্রথম হবেন, এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
ইরি মুতাব্বির, চিলুমচিটা লৈয়া আয়, লুল তো সব পইড়া গেলো গা! কোলন খিকজ্
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাহ্ দিলো বাম হাত ঢুকায়া... এদের জন্য শান্তিতে একটু লুলবাজীও করা যায় না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঈমানে কই, বাম হাত ঢুকাই নাই। ডাইনবাম দুই হাতই ঢুকাইছি...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাতাহাতি হয়ে যাবে কিন্তু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আম্রা, ছুডুরা, কিছু দেখি নাই কিন্তু!!!!!!
সবগুলা দুষ্টু। ধরে ধরে সবকয়টারে তওবা পড়ায়ে তিন চাকা চালানো ছাড়ানো দরকার!মন্তব্য সাইড লাইনের বাইরে চলে গেছে। ফলে গোল কিক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কৌস্তুভকে ভাবনায় ফেল্ল কিসে ? নাম বলেন খালি, দিয়ে দিব সবাই মিলে ।
খুব মজা পেলাম পড়ে। লেখার ভঙ্গিটা বৈঠকী এবং রসময়। আপনি এরকম লেখাগুলি মনে হয় 'রম্যরচনা' হিসেবে ট্যাগ করতে পারেন।
তারপরও ৫০ টেকা চায় ? হায়রে নবাবজাদা !!
এইজন্য আমি রাস্তায় রিক্সার খোঁজে দাঁড়ালে সবসময় 'দৃষ্টি আটকানোর জায়গা' থেকে শত হস্তে দূরে দাঁড়াই। কারন লক্ষ্য করেছি আশেপাশে সেরকম কোন 'জায়গা' থাকলে আমার কপালে আর কিছুতেই রিক্সা জোটে না। আমাকে যে নবাবজাদা রিক্সাওয়ালা নাক সিঁটকিয়ে নির্দ্বিধায় বলে দেয় আমার কাঙ্খিত গন্তব্যে সে যাবেনা - সে-ই দেখি পরমুহূর্তে অমন 'দৃষ্টি আটকানোর' একটা মালিককে পেয়ে একবাক্যে হাসতে হাসতে, গড়াতে গড়াতে, বিগলিতচিত্তে কম ভাড়ায় নিয়ে যাচ্ছে ঠিক ঐ জাগাতেই, যেখানে সে একটু আগে যাবেনা বলে আমাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল !!!
এমন যে কতদিন হয়েছে... আর আমি ঘন্টার পর ঘন্টা প্রখর রোদে পুড়তে পুড়তে আর ঘামতে ঘামতে ঐসব 'দৃষ্টি আটকানোর জায়গা'-ওয়ালাদের কত যে অভিসম্পাত দিয়েছি ! যাক, আপনার লেখা পড়ে এতদিনে মনে একটু শান্তি পেলাম। এমন রিক্সাওয়ালাই তো চাই। জয়বাবা বাপের ব্যাটা নবাবজাদা।
এই অংশটুকু পড়ে অনেক আগে শোনা একটা কৌতুকের কথা মনে পড়ে গেল।
****************************************
রম্যরচনার ট্যাগ অনেক বেশি এক্সপেকটেশন তৈরি করে, আমার লেখা ঠিক ওই মাপের এখনও হয়ে ওঠেনি মনে হয় । লেখা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ কিন্তু শাপ শাপান্ত করে যার চৌদ্দ গুষ্ঠিরে নরকে পাঠিয়েছিলাম, তাকে আপনি জয় জয় বলছেন ! সেজন্যে তেরস্কার !
রিকশা জিনিশটা খুব মিস করি।দেশে যখন ছিলাম বৃষ্টির দিনে রিকশার হুড ফেলে কতদিন ঘুরে বেড়িয়েছি। এখন ও দেশে গেলে তিন বোনে মিলে বিকেলে রিকশা করে ঘুরে বেড়াই ঘন্টার হিসেবে।আপনার লিখা অনেক ভালো লাগলো, কিছুটা নস্টালজিক হয়ে গেলাম লিখাটা পড়ে।
ধন্যবাদ বন্দনা ।
আপনি দেশের বাইরে কতদিন আছেন জানিনা, কিন্তু জ্যাম আর খানা খন্দ পীড়িত ঢাকায় রিকশায় ঘোরার সেই স্বর্ণযুগ এখন আর নেই তেমন । ঢাকায় বাস করেও আমি নিজেই সেই সময়গুলো মিস করি ।
...
তিন চাকার সবাই নবাব, যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক...
তবে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন ওনাদের বড়ই বেশি। ওনারা মেয়েদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বড়ই উৎসাহী থাকেন, আপনার ক্ষেত্রে এমন ঘটলো কেন বুঝলাম না।
জানার অপারেও অজানা থাকে তো । আর কপালের ফের বলেও একটা কথা আছে । লেখা কেমন হচ্ছে বললেন না তো ?
একই কথা বারবার বলতে ভালো লাগেনা তো, তাই লেখা পড়ে ভালো লাগলে কিছু বলছি না। যদি পড়ে ভালো না লাগে কখনো তখন বলবো...
(তবে এর পরে যদি কখনো আপনার লেখা সবার আগে পড়ি, মন্তব্যটা দেরী করে করবো, নজরুল ভাই মন্তব্য করার পরে )
ব্লগে লেখালেখি এবং তার বিপরীতে প্রতিক্রিয়া পাওয়াটা আমার জন্য একদমই নতুন অভিজ্ঞতা, সেজন্যেই বোধ হয় আমার উচ্ছাসটাও বেশি । নিরেট মাথায় ঠাট্টা তেমন বুঝিনা তবে পচানি খেয়ে মনে হচ্ছে ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকলেই ভালো ছিল।
পচানি কোথায় পেলেন রে ভাই?
নাহ্... আজকাল লোকজনের সঙ্গে দুষ্টামি ফাইজলামিও করা যায় না... ধুগো ব্যাটা কই... ওরে মাইর দিতে হইবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনাকে আবার পচালো কে?
আর ইয়ে, আমি যতক্ষণ আছি ততক্ষণ নিরেট মাথার প্রতিযোগিতায় আপনার প্রথম হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই, লাইনের পেছনে দাঁড়াতে পারেন...
ওও, পঁচাননি তবে ?! বেশ বেশ ! আমার যেন মনে হল ... যাইহোক নিরেট মাথার এক্সজাম্পল ভালোই দিলাম তাহলে।
আমি তো লেখা সবার আগেই পড়েছি। এই নজরুল ভাইয়াকে একটু সাইড দিলাম আরকি!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সাবলীল লেখা।
নজু ভাই এবং ধূগোদাকে চিরচেনা ফর্মে দেখে ভাল্লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সমপরিমানে ফেরত দিলাম
আপনার লেখার ধরনটা চমৎকার। মনে হচ্ছে সামনে বসে গল্প বলছেন। আমার নিজের রিকশায় চড়তে খুব ভালো লাগে (সবসময় না অবশ্য)। মাঝে মাঝেই আপনার মতন এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম হাসান ।
অ: ট: আপনার ছবিগুলো দেখলেই আমার মন খারাপ হয় । দোষ ছবির না, ক্যামেরার । আমার একটা ক্যানন আছে, যেটায় শিবের ছবি তুল্লেই বাঁদরের বলে ভ্রম হয় । এই বুড়ো বয়েসে 'ফটোগ্রাফি শিখব' বলে লোক হাসানোর সাহসও করে উঠতে পারিনা । তাই বাক্সবন্দি করে রেখেছি । মাঝে মাঝে বের করে দেখি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি ।
ক্যানন DSLR?
DSLR কি জিনিষ জানিনা, আমার যেটা আছে গায়ে দেখছি লেখা আছে Power Shot SX100 IS, 8 mega pixels ব্যস, জ্ঞ্যান শেষ ।
সবগুলা দুষ্টু। ধরে ধরে সবকয়টারে তওবা পড়ায়ে তিন চাকা চালানো ছাড়ানো দরকার!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তা নাহয় ছাড়ানো গেল ধুসর গোধূলি কিন্তু এদিকে যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল, সেটা দেখতে ভালো লাগছে না যে
আপনার নামাবলী লেখাটাও মজার ছিল, এটাও। নিয়মিত লেখবেন আশা করি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ সচল জাহিদ । লেখালেখি যেহেতু মর্জি নির্ভর বিষয়, কাজেই ভবিষ্যতের কথা বলতে পারছিনা । কদিন হল আমি টুকটাক নিয়মিতই লিখছি । কিন্তু সচলে অতিথি লেখকদের লেখাগুলো একসাথে একটা পেজে রাখার সিস্টেম নেই বলে লেখাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে ।
নিজের কাছে লিংক সেভ করে রাখুন।
ধন্যবাদ সজল, কিন্তু লিঙ্ক সেভ করে রাখলে কি লাভ হবে বুঝলাম না ।
হাচলত্ব প্রাপ্তির পরে লিঙ্কগুলোর লিস্টি এক বোতল খাঁটি সরিষার তেল সহ মডুদাদাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবেন, তার ফলে আপনার হাচল প্রোফাইলে এই লেখাগুলো যোগ করে দেয়া হবে। সাথে নিজের প্রোফাইলের লিঙ্ক দিতে ভুলবেন না।
তবে মডুদাদারা যদি ওই মুহূর্তে অন্য কারো কাছ থেকে তৈল আদায়ের চেষ্টায় থাকেন তাহলে কিছুদিন দেরী হতে পারে, ঘাবড়ে যাবেন না দয়া করে।
ধন্যবাদ অপছন্দনীয় । ( আপনার নামটাই তো দেখছি চূড়ান্ত অসার্থক নাম। আরেকটা নামাবলী লিখলে এটা উল্লেখ করতে হবে দেখছি) ।
ক্যমেরার ঠিকুজী কেন দরকার হল জানতে পেলাম না তো এখনও
... ওটা শুধু নাম নয়, আজীবন সম্মাননা বিশেষ।
ক্যামেরার ঠিকুজী এমনিই জিজ্ঞেস করছিলাম ।
লেখাগুলো অন্তত আপনার কাছে হারিয়ে যাবে না। লিংক ধরে লেখাগুলোতে ঘুরে আসতে পারবেন। এবং যখন সচল হবেন, নিজের অ্যাকাউন্টে লেখাগুলোকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
আর আপনার লেখা ভালো লেগেছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
চমৎকার সাহায্যটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সজল ।
আপনার লেখা আগেও পড়েছি। কিন্তু কমেন্ট দেয় হয় নি।
আসলেই খুব সাবলীল লেখা । পড়তে আরাম লাগে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অনিন্দিতা । লেখায় কমেন্ট পাওয়াটা নতুনদের জন্য মনে হয় বেশি জরুরী, তাতে লেখা সম্পর্কে ধারনা তৈরি হয়, সেটা ঘষা মাজার জ্ঞ্যানটা মেলে, সাথে উৎসাহ তো আসেই । আর আপনার মত করে ভাল বললে তো দাঁত আর ভেতরে থাকতে চায়না
বাহ, মনকে ফুরফুরে করে দেয়ার মত লেখা। অভিনন্দন!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
একবার ধন্যবাদ জানালেও সেটা কেন যেন হারিয়ে গেল । তাই আবার ধন্যবাদ রোমেল ।
সেই কলেজকাল থেকেই রিকশার প্রতি বিরাগ। রিকশার দুরত্ব সব সময় পায়ের উপর দিয়ে চালিয়ে দিতাম। নেহাত হাতে সময়ের টানাটানি থাকলে তিন চাকার যানে পদধুলি। কলেজ, ইউনি পার হয়ে এখন করপরেট কাম্লাগিরি, কিন্তু অভ্যাস যাবে কই?
রিকশায় ন্যুনতম পঁচিশ-ত্রিশ টাকা ভাড়া-সেটা হচ্ছে আমার পদযুগলকে রেহাই দেয়ার মত মিনিমাম দুরত্ব। তবে আজকাল যে হারে ভাড়া বাড়ছে, স্ট্যান্ডার্ডটা মনে হচ্ছে পঞ্ছাশে উত্তোলিত করতে হবে জলদি জলদি।
যা বলেছেন শামীম । একদম ঠিক কথা ।
বারোটায় যাবার কথা ছিল ছায়ানটে
মাঝে মাঝেই গ্রিন রোড থেকে বাসায় ফিরতে হয়, বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল যতই হেঁটে বাসার কাছাকাছি আসতে থাকি তত ভাঁড়া বাড়তে থাকে বা সমান থাকে, নবাবদের কিছুতেই মনগলে না!! ভাঁড়া শুরু থেকেই ১.৫ গুণ (৩০/৩৫) চেতে থাকে, এসব ক্ষেত্রে কটমট করে তাকাই (বিফলত্ব), অথবা নির্বিকার ভঙ্গিতে বলি '৫০ টাকায় চলেন যাই', তখন একটা দেখার মত দৃশ্য হয়, ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায় থাকে, আমি তৃপ্তির হাসিতে আবার হাঁটা শুরু করি। ০.৭৫ ভাগ হাঁটার পর রিকশা পাই, হাঁটাও হল, অল্পকিছু টাকাও বাঁচল। তবে পারত পক্ষে ঐ ঝামেলায় যেতে চাই না, বাস ব্যবহার করার সর্বোত চেষ্টা করি, আর চতুষ্শকট খালি পেলে তো পোয়াবারো, তবে তা আসলে কখনই পাওয়া যায় না, ছোট ভাইবোনদের স্কুল-কলেজ করতে করতেই তার স্লট শেষ!!! সব জায়গার বাস আবার ধানমণ্ডি থেকে পাওয়াও যায় না, সরকারের এদিকটি দেখা উচিৎ, পাব্লিক ট্রান্সপোর্টের সহজলভ্যতা ও সর্বগম্যতা নিশ্চিত করা উচিৎ।
তবে আমার কাছে মনে হয় আমাদের দেশে কায়িকশ্রমের পারিশ্রমিক তুলনামূলক অনেক কম। আর এই মানসিকতার কারণে অন্য পণ্য/সেবা কিনতে/নিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে কমই বাধে, কিন্তু এই নবাবদের ২০ টাকার ভাঁড়া ২৫/৩০ টাকা দিতে কিছুতেই মনকে মানাতে পারি না। আমি এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে চাই কিন্তু পারি না। ওদেরকে কিছু অতিরিক্ত টাকা দিতে গেলেই যত কার্পণ্য ভর করে!
আপনি সুন্দর লেখেন। এটাও যথারীতি ভালো লাগল।
ধন্যবাদ কবি । রিকশাওলা দের সাথে এরকম সূক্ষ্ম রস করাটা কিন্তু বিপজ্জনক, পেছনে গালি খাবার সমূহ সম্ভাবনা । আর ভাড়ার ব্যপারটা একশভাগ ঠিক । এই জন্যে হাঁটাহাঁটির ঝামেলায় না যেয়ে এক জায়গায় গ্যাঁট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাই ভাল ।
সরকারের বোধ হয় অনেক তাবড় তাবড় কাজকম্ম থাকে, আম পাব্লিকের কথা ভাবার সময় নাই ।
অমূলক বলেন নি!!! ভয় আছে!!!!
আপনার লেখায় মন্তব্য করার যোগ্যতা এখনও হয়েছে বোধ করি না......
তবু বলছি......
প্রথম উত্তম জাঝা ! কী মজা !
লেখা মজার হয়েছে। রিকশা নিয়ে কিছু চরম মেজাজ খারাপ করা অভিজ্ঞতা অবশ্য আমারও আছে।
লিখে ফেলুন ঝটপট, আমরাও পড়ে আমোদ পাই ।
(গুড়)
২৪ ঘন্টাও যায়নি আপনার কাছাকাছি অভিজ্ঞতার স্বাদ নিলাম। গতকাল হরতালে অফিস শেষে বেরিয়ে রিকশা খুঁজতে খুঁজে কমপক্ষে ত্রিশটা রিকশা আমাকে 'না' বলার পর হেঁটেই বাড়ী ফিরলাম। বুঝলাম না সবগুলো রিকশাওয়ালা আমাকে বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিল কেন। অথচ সারি বেধে লোকজন বাড়ি ফিরছে রিকশায়। কেবল আমাকেই নিচ্ছে না নির্দয় রিকশাওয়ালারা। হাঁটতে হাঁটতে পায়ের আঙুলের গিটে গিটে ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল, এখনো আছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে এখন প্রাণ তথা পা বাঁচাতে দেশে সাইকেল বিপ্লব শুরু করতে হবে অবিলম্বে ।
নীড় সন্ধানীকে
লেখাটা ভাল হয়েছে এটা বলা এখন মার্জনীয় অপরাধ, তবু এই অপরাধ টুকু করবার দুঃসাহস করতে ইচ্ছা হচ্ছে।
তবে এই লেখা কোন রিকশা ওয়ালা পড়েছে কিনা জানতে ইচ্ছা করছে, পড়লে কমেন্ট পাওয়া গেলে ভালো লাগতো। কারন লেখাটা রম্য হলেও বড্ড একপেশে, আমরা যারা রিকশা যাত্রী তাদের নিয়ে লেখা, তাদের সমস্যা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা। আমি নিশ্চিত অন্যান্য পেশাজীবী দের নিয়ে লিখলে এখানে হুলুস্থুল পরে যেত। যেহেতু রিকশা ওয়ালারা এই লেখা পড়েন না, তাই বড্ড একপেশে লেখা, এবং সেই সাথে তাল মিলিয়ে মন্তব্য।
রিকশা ভাড়া অস্বাভাবিক বেড়েছে, কিন্তু তাতে রিকশা চালকের কত টুকু আয় বেড়েছে, তার জীবনের কোন উন্নতি হয়েছে কিনা সে খবর আমরা কে রাখি? যত দোষ সেই রিকশা ওয়ালার দোষ, কেন বেশি চাইবে? না চাইলে যে তার বেচে থাকা দায়, সে কথা আমরা কয়জন বুঝি? বুঝতে চেষ্টা করি? সাহায্য না হোক সহমর্মিতা দিতে দোষ কই? দেই কয়জন? জানি বলবেন অশিক্ষিত, মূর্খ এরা, কিন্তু আমরা তো শিক্ষিত, শেখাতে দোষ কোথায়?
রিকশা ওয়ালা আমাদের ভদ্র সমাজে গালমন্দের বুলি। যেন এরা মানুষ নয়, যাদের কোনমতে বেচে থাকা, রগরগে সিনেমা দেখা এবং আপনাকে আপনার খুশিমত ভাড়ায় আপনি যেখানে যেতে চান সেখানে পৌঁছে দেয়া। আমরা মুরগি ঠ্যাং ৩০০ টাকায় চিবাতে রাজি, কিন্তু ৫ টাকা বেশি ভাড়া দিতে রাজি নই, আর যদি দেই তবে ৫০০ টাকার গালমন্দ সহ ডেই
@ আশালতা, আপনি লেখক, আপনার স্বাধীনতা আছে লেখার, একটা রম্য রসের লেখা লিখবার। সে জন্য আপনাকে অবশ্যই অভিনন্দন জানাই। যারা কমেন্ট করেছেন, তাদের জন্য বলছি এই কথাগুলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ Raging Wolverine .
যদিও আপনার কথাগুলো আমাকে উদ্যেশ্য করে বলা নয়, তবু ঐ 'একপেশে লেখা' কথাটার জন্যে গায়ে পড়ে একটু কথা না বলে পারছিনা । এটা কোন পেশা জীবীদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আলোচনামূলক সিরিয়াস পোস্ট নয়, নিতান্তই নাগরিক যন্ত্রণাক্লিষ্ট যাপিত জীবন রস । লেখার ট্যাগেই কিন্তু বলা আছে সেটা । এরকম লেখায় রিকশাওলাদের জীবনের ওঠাপড়া খুঁজতে যাওয়াটা বাতুলতা ।
দ্বিতীয়ত, খেয়াল করলে দেখবেন, যে কটা ঘটনা এখানে দেয়া আছে, তার একটাতেও আমি ক্রেতা হিসেবে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি বা কম ভাড়া দেবার চেষ্টা করিনি বরং প্রচলিত ভাড়াতেই যেতে আগ্রহি ছিলাম । শেষে যে রিকশায় উঠেছিলাম তাতে বাড়তি ভাড়া কবুল করেই উঠেছিলাম এবং শেষতক কথা পাল্টে সে-ই তার খুশিমত ভাড়া আদায় করেছে ।
যে রিকশাওলা টি ৫০ টাকা চেয়েছিল তার ওপর আমার রেগে যাবার কারণ কিন্তু টাকার অঙ্ক নয়, বরং বিনে পয়সায় নিয়ে যেতে রাজি থাকলেও আমি যেতাম না নিশ্চিত । কেন, সেটা আশা করি বিশদ বোঝাবার কিছু নেই ।
রিকশাওলা বা সমাজের নিচুতলার মানুষদের জীবন সংগ্রাম একেবারে না বোঝার মত অর্বাচীন নই বলেই ওরকম ব্যবহার করার পরেও আমি খুব বেশি ক্রুদ্ধ বা অবাক না হয়ে বিনা বাক্য ব্যায়েই টাকাটা দিয়ে নেমে গিয়েছিলাম ।
গত শীতে একজনকে দুশ টাকা দিয়ে সোয়েটার কিনে দিতে গিয়েছিলাম, সে নেড়ে চেড়ে ডিজাইন পছন্দ হয়নি বলে ফেরত দিয়েছিল । তার পছন্দ প্রকাশ করার অধিকার আছে একথা না মেনে উপায় নেই কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধতাও কি কেউ দেখতে আসবে ? সহমর্মীতার কথা বললেন বলেই এই ছোট ঘটনাটা উল্লেখ করলাম, আমার দানশীলতা প্রচারের জন্যে নয় ।
পোষ্ট পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেলো ভাবছি সব ছেড়েছুড়ে একটা রিক্সা নিয়ে পথে নেমে পড়বো কিনা
হা হা হা ! বেশ হয় কিন্তু !! দুর্মূল্যের বাজারে এমন মিষ্টভাষী লোকের বড় আক্রা
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নতুন মন্তব্য করুন