নোবেল অশান্তি – অশান্তির নোবেল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২০/০৬/২০১১ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিটলার, মুসোলিনি, স্টালিন – এ্যারা তিনজনেই নাকি নোবেল শান্তি পুরস্কারের লাইগা মনোনয়ন পাইসিলো! এখানে দেখুন

হেদিন কলকাতার এক সিনিয়ার সাংবাদিক কাইতাসিলো সে নাকি মাদার তেরেসা আর মিশনারিস অফ চ্যারিটিস-রে ব্যক্তিগতভাবে পসন্দ করে না। আমি তো হুইনা অবাক – এ্যাদ্দিন তো জানতাম নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ার, অং সান সু চি – এ্যাগো নোবেল সব তর্কাতর্কির উপরে। সেই সাংবাদিক কয় মিশনারিজ অফ চ্যারিটিস-এর নাকি ঝামেলা আসে।

এখানে দেখুন

এ্যাক্কেরে সেইরকম বিতর্কিত নোবেল শান্তির সংখ্যা কম না। হেনরি কিসিঞ্জার, দালাই লামা, জিমি কার্টার, শিমন পেরেজ, সর্বশেষ বারাক ওবামা আর লুই জিয়াবাও – এ্যাগো সবতের নোবেল লইয়াই ব্যাপক তর্কাতর্কি।

কে কহন কি কারনে যে হুট কইরা নোবেল পাইয়া যাইবো তার কোন ঠিক-ঠিকানা নাই। আলফ্রেড নোবেল তার বিখ্যাত উইলে লেখসিলো –
““এমন কাওকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হোক যে কিনা বিশ্বের জাতিগুলোর মধ্যে “ভ্রাতৃত্ববোধ” বাড়াতে, কোন দেশের “বর্তমান” সেনাবাহিনী রদ করতে বা সৈন্য সংখ্যা কমাতে এবং শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে আলোচনা এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন” [আলফ্রেড নোবেলের পুরো উইলটি পড়ুন এখানে]।

এ্যাহন কথা হইতাসে যে এইরহম অনেক কয়ডা নোবেল শান্তি পুরস্কার আসে যেইহানে পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি এর মইদ্যে কোন একটা করে নাই, বা একটাও করেনাই বা কোন একটার এ্যাক্কেরে বিরুদ্ধে কিসু করসে বা সব কয়টারই বিরুদ্ধে কাম করসে।

এইরহমও অনেকগুলা কেইস আসে যেইহানে আলফ্রেড নোবেল যা যা উইলে লেখসিলো ঠিক তাই তাই করসে এ্যামন ব্যক্তিরে বাদ দিয়া অন্য এ্যামন একজনরে দিয়া দিসে নোবেল শান্তি যে কিনা নোবেলের উইলে যা লেখা আসে তার বিরুদ্ধে কিসু করসে। বিচিত্র কেইসও আসে যেইহানে নোবেল দেওয়া হইসে থাপ্পর হিসাবে। এ্যামনও কেউ কেউ আসেন যারা ক্যান নোবেল পান নাই তা-ই বিরাট রহস্য। অনেকে আসেন নোবেল পাওয়ার পর এ্যামন কিসু এট্টা করসেন যা শুধু তার মুখেই না, যারা তারে নোবেল দিসে তাগো এ্যামনকি পুরা দুনিয়ার মুখে চুনকালি মাখানোর লাইগা যথেষ্ঠ। মোদ্দা কথা হইলো – শান্তি আনলেই যে সবাই নোবেল পাইসে তা না। আবার ব্যপক অশান্তি ঘটাইসে তাও নোবেল পাইসে – এইরহম কেইসও কম না – আর মাঝামাঝি তো আসেই।

১. মহাত্মা গান্ধী
ভারতের জাতির পিতা মোট পাঁচবার মনোনয়ন পাইসিলেন – ১৯৩৭, ১৯৩৮, ১৯৩৯, ১৯৪৭, ১৯৪৮। তয় শ্যাষম্যাষ একবারও দেওয়া হয় নাই তারে। প্রশ্ন হইলো – ক্যান? অনেকে অনেক গালভারী তত্ত্ব-টত্ত্ব দিসে। বলসে যে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির নজর ছোট। বলসে তাগো আসলে বুঝার ক্ষমতাই নাই গান্ধীজীর মহত্ব কোনখানে। তয় এই নব্য-উপনিবেশবাদের (neo-colonialism) যুগে সত্যিকারের কারনটা বুঝা কি খুব কঠিন? আসলে তহনকার কমিটি গ্রেট ব্রিটেনের লগে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় নাই। একবার বললো যে গান্ধীজী যে একজন সৎ আর পূণ্যবান ব্যক্তি এ্যাতে কোন সন্দেহ নাই তবে তার অহিংস আন্দোলনগুলার মধ্যে বেশ কয়েকটা শ্যাষ পর্যন্ত আর অহিংস থাকে নাই। আরেকবার কইলো যে তারে নোবেল প্রাইজ দ্যাওয়া যাইতেসে না কারন তিনি অতিরিক্ত ভারতীয় জাতীয়তাবাদী এবং সেই কারনে তার অহিংস পন্থা পুরা দুনিয়ার কল্যাণের জইন্য না। আকেবার কইলো যে গান্ধীজীর ধরন-ধারন নাকি ধর্মগুরুর মতোন। ৪৭-এ ভারত পাকিস্তান দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় যে রক্তপাত হইসে সেইটা গান্ধীজী ক্যান ঠ্যাকাইতে পারেন নাই তার জইন্য তারে দ্যাওয়া হয় নাই। তয় অনেকে কয় যে নোবেল কমিটি নাকি গান্ধীজীরে ১৯৪৮ সালে তার মৃত্যুর পর তারে নোবেল দ্যাওয়ার কথা ভাবসিলো কিন্তু শ্যাষম্যাষ দ্যায় নাই। তবে সেই বসর অবশ্য তারা কাওরেই শান্তিতে নোবেল দেয় নাই। বলসিলো কোন যোগ্য প্রার্থী নাকি নাই !!

২. হেনরি কিসিঞ্জার
অনেকে কয় (হয়তো মজা কইরাই) যে আমেরিকার সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীরে নোবেল শান্তি দ্যাওয়ার পর থাইকা নাকি এই পুরস্কারের গুরুত্ব কইমা গ্যাসে। কইবো না-ই বা ক্যান? ১৯৭৩-এ নোবেল পাওয়ার পর আর কিসিঞ্জার সাহেব ত্যামন এট্টা কিসু করেন নাই। কিন্তু তার আগে যা যা করসেন তাতে তো নোবেল কমিটির চিন্তা ভাবনার ধারে কাসেও যাওয়ার কথা না তার। পুরস্কার পাইসিলেন ভিয়েতনাম যুদ্ধে সফল শান্তি চুক্তি কইরা। কিন্তু তার আগে যে যুদ্ধটা তিনিই শুরু কইরা দিসিলেন। হাজার হাজার লোক মারা গ্যালো। নোবেল কমিটি কইসিলো যুদ্ধ শুরু সময় আমেরিকার বিদ্যাশ নীতিতে যে ভুল-ভালগুলা সিলো পরে সেই নীতি ঠিকঠাক করাতেই ভিয়েতনামে শান্তি আনা গেসে, এই জন্যই কিসিঞ্জারের নোবেল। আরো আসে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে: ১৯৬৯-এ উত্তর ভিয়েতনাম সেনাবহিনী-রে ক্যাম্বোডিয়া থাইকা সরানোর লাইগা ১৪ মাস ধইরা বোমা হামলা করাইসিলেন কিসিঞ্জার। তাদের ভয় সিলো যে ভিয়েতনামের বামপন্থী ব্যাপার-স্যাপার ক্যাম্বোডিয়ায়ও ঢুইকা যাইতে পারে। ৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লাতিন আমেরিকার কয়েকটা দেশে (আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে) যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কিসু মানুষরে অপহরণ ও খুন করসিলো কিসিঞ্জারের নির্দেশে। সেই সময়ই কিসিঞ্জার এ্যাকবার চিলিতে এ্যাকটা আর্মি ক্যু ঘটাইতে চাইসিলো। ২০০১-এ কিসিঞ্জারের বিরুদ্ধে একটা মামলাও হইসে: অভিযোগে - সেই সময় তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তহনকার চিলির সেনা প্রধান রেনে স্নাইডার-রে মাইরা ফেলা হইসিলো [আরো পড়ুন এখানে]। এক আমেরিকান রম্য লেখক বলসিলো যে আর কোন রাজনৈতিক রম্য বা প্রহসন লেখার দরকার নাই কারন কিসিঞ্জার নোবেল পাইয়া গ্যাসে – এর চেয়ে বড় প্রহসন আর কিসু হইতে পারে না।

৩. দালাই লামা
১৯৮৯-এ নোবেল কমিটি বলসিলো ১৪তম দালাই লামা তার জনগনের মুক্তির আন্দোলনে সবসময় অহিংসার পথে থাকসে এবং তার নেতৃত্বে নির্বাসিত বা প্রবাসী তিব্বত সরকার কহনোই কোন সশস্ত্র বাহিনী নিয়া যুদ্ধ করে নাই। এই নিয়া কথা হইসে কম না। লামা নিজেও প্রকাশ্যে তিব্বতের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাগো ব্যপারে কথা বলসে। বিপক্ষে বলতে শোনা যায়নাই কহনোই। এই গেরিলারা চীনের পিপলস্ লিবারেশন আর্মি’র সাথে যুদ্ধ করসে বিভিন্ন সময়ে [এখানে পড়ুন]। আরো গভীর জলের কাহিনী আসে। চীনের লগে আমেরিকার স্নায়ূ, পরমাণূ আর অর্থনৈতিক যুদ্ধের ইতিহাস অনেক পুরান। ১৯৬০-এর দশক প্রায় পুরাটাই আমেরিকার সিআইএ তিব্বতের প্রশাসনরে প্রতি বসর ১৭ লক্ষ মার্কিন ডলার কইরা দিসে। পাশাপাশি, তিব্বতের গেরিলাগো লাইগা কোলোরাডোতে ট্রেনিং-এরও ব্যবস্থা কইরা দিসে। শুধুই চীনরে সায়েস্তা করার লাইগা। এইসব কিন্তু গাঁজাখুরি কথা না। ১৯৯৮-এর অক্টোবরে তিব্বতের সরকার নিজেই এইটা স্বীকার করসে [এখানে পড়ুন]। এহন যদি কই যে নোবেল কমিটি গান্ধীজীরে নোবেল দিতে না পারার ক্ষতিপূরন করসে দালাই লামারে নোবেল দিয়া, তাইলে কি বিশ্বাস হইবো? লামা যে সবসময় নিজেরে গান্ধীজীর অহিংস মতের অনুসারী হিসাবে পরিচয় দ্যায় এইটা অবশ্য ঠিক।

৫. ইয়াসির আরাফাত, ইসহাক রবিন, শিমন পেরেস
এ্যারা তিনজন একলগে নোবেল পাইসিলো ১৯৯৪ সালে। পশ্চিমারা যাই কউক, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ কি এবং ক্যান, এইটা আমরা বাংলাদেশীরা খুব ভালো বুঝি। যদিও অনেকেই কয় যে আরাফাত নাকি সন্ত্রাসী। সেই হিসাবে তো আজকাল নামের আগে মোহাম্মদ আর শেষে খান থাকলে সবাইরেই অরা সন্ত্রাসী কয়। এতে আর নতুন কি আসে? তবে তার পন্থা যে অহিংস সিলো না এইটা ঠিক। আবার সে যে শান্তির জন্য চেষ্টা করসে এইটাও অস্বীকার করা যইবো না। শান্তি চুক্তি এ্যাকটা করসিলো - অসলো চুক্তি [এখানে পড়ুন] – এইজন্যই তো নোবেল। তা বেশিদিন টেকে নাই যদিও। তার সাথেই পাইসিলো ইসরাইলের সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী ইসহাক রবিন আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেস। ওই অসলো চুক্তির জন্যই। এদের দুইজনের আবার অতীত ভবিষ্যত আসে। রবিন যহন আর্মিতে সিলেন, ১৯৪৮-এ, তহন তার নির্দেশেই ইসরাইলে দখল করা অংশ থাইকা মুসলমানদের ভাগায় দেয়া হইসিলো। পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যহন হইলেন তহন শক্ত হাতে দমন করলেন প্রথম ইন্তিফাদা। অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরাইলের বসতি স্থাপনের কাজও অনেকদিন তদারকি করসেন রবিন। এর বিরুদ্ধে চুক্তি হওয়ার পরও। শিমন পেরেস-ও কম না। ইসলাইলের পরমাণূ অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে ইনার বড় ভূমিকা আসে। কানা গণহত্যার [ পড়ুন] পিসনেও আসেন ইনি। ১০৬ জন লেবানীজ মারা গেসিলো সেইবার।

৬. বারাক ওবামা
ওবামা নোবেল পাওয়ার পর কইসিলো সে নিজেও নাকি আশ্চার্য হইয়া গ্যাসে। ওবামাই বোধহয় পরথম নোবেল শান্তি বিজয়ী যারে এ্যাডভান্সড বাসা ভাড়ার মতো এডভান্সড নোবেল শান্তি পুরষ্কার দিয়া দ্যাওয়া হইসে। প্রি-পেইড-ও বলা যায়। শুভ কাজে দেরী কিসের। এইটুক বল্লেই যথেষ্ঠ যে সে নোবেল পাওয়ার ১০ দিনের মাথায় আফগানিস্তানে ১০ হাজার নতুন সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিসিলো। এ্যাকজন এ্যাকটা মজার কথা বলসিলো। কেউ এ্যাকজন খালি মুখ দিয়া উচ্চারণ করসে যে সে কবিতা লেখবো। তাতেই তারে একুশে পদক দিয়া দ্যাওয়া হয় যদি তাইলে ক্যামন হইবো? ওবামার কেইসও অনেকটা ওইরকমই। তফাতটা হইলো। সেই হবু কবির একুশে পদক পাওয়ার কোন চান্সই নাই। ওবামা কিন্তু নোবেল ঠিকই পাইসে। আমেরিকার পেরসিডেন্ট বইলা কথা। লাদেন রে নিকেশ কইরা তো নোবেল জাস্টিফাই করা হইসেই। আইমান আল জাওয়াহিরি আল কায়েদার নতুন আমীর হওয়ার সাথে সাথেই মার্কিন মুলুক থাইকা ঘোষণা আসলো যে এই “মহাত্মা”-রও এ্যাকই দশা করা হইবো। ওবামার প্রোগ্রেস ভালোই কইতে হইবো।

সেলুকাস! ডিনামাইটের আবিষ্কর্তার নামে শান্তি পুরস্কার দিলে অশান্তি তো হইবোই!

বলা হয় যে নোবেল সাহেব কি আর জানতেন যে তার আবিষ্কার পরে কি কাজে ব্যবহার হইবো? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া মুশকিল। তিনি জানতেন না বা বুঝতে পারেন নাই, এমনটা ভাবাও একটু কঠিন। খুব এ্যাকটা বড় সন্দেহবাদীও হওয়া লাগে না।

ইমেইল:

কাঙ্খিত নিক: ভুলজন্ম


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

ঠিক কথা। হিচেন্সের 'দা মিশনারি পোজিশন' বইটা পড়ে দেখতে পারেন। এটাসেটা অনেক মেটেরিয়াল জমিয়ে আধখানা লেখা একটা পড়ে আছে আমার।

নোবেল শান্তি পুরষ্কার পুরোই ঘাপলা। আপনার কেস তুলে এনে আলোচনা করাটা ভালো লাগল।

ভুলজন্ম এর ছবি

ধইন্নবাদ . . . আমারো পড়ার ইসসা আসে ও বইটা

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

প্রথম লাইন পইড়াইতো মায়রেবাপ পুরাই ব্যক্কল-ুদা বইনা গেলাম। নুবেল পেরাইজের মইধ্যে এই শান্তির পেরাইজডা লইয়া হেই বউত আগের থেইকাই কাবজাব আসে। গান্ধীজির মাওতের পর তো কইছিল মনয়, "কোন জীবিত যোগ্য প্রার্থী নাই।"
তয় এমুন ভালা একখান বস্তু লইয়া যখন ল্যাখলেন, তখন এই ভাষায় না ল্যাখলেও পারতেন।

ভুলজন্ম এর ছবি

ভাষাডা না হয় এক্সপেরিমেন্ট মনে কইরা লইয়েন . . . পড়ার লাইগা ধইন্নবাদ

guest_writer প্রকৌশলী আতিক এর ছবি

এই হিসেবে তো আমাগো খালেদা, হাসিনা, এরশাদ, নিজামি সবারই শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত। মাঝখানে ইউনুস মিয়া কেমতে পাইল?

ভুলজন্ম এর ছবি

চলুক . . . hohut na insafi hai
পড়ার জইন্ন ধইন্নবাদ হাসি

দ্রোহী এর ছবি
  • অতি চমৎকার একটা লেখা।
  • কবি রইচুদ্দিনের বাংলা বলেন আর রাবীন্দ্রিক বাংলা বলেন, বেজায়গায় ব্যবহার করলে দুটোই মার খেয়ে যায়। অতি চমৎকার এই লেখাটার সিরিয়াস টোন এবং ক্ষুরধার দৃষ্টিভঙ্গি সামান্য হলেও মার খেয়ে গেছে ভাষাগত কারণে।
  • মহাত্মা গান্ধীর সদগুণের সংখ্যা খুব কম ছিল। প্রথমত: তিনি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দাঁত মাজতেন না। ছাগুর দুধ খাওয়ার
    কারণে তার মুখে ভয়াবহ দুর্গন্ধ হত। দ্বিতীয়ত: তার মেয়েমানুষের দোষ ছিল। মাত্র দুটো সদগুণ নিয়ে কি আর নোবেল শান্তি পদক পাওয়া সম্ভব? বাকিদের সদগুণের কথা তো আপনি নিজেই লিখলেন। ওদের সাথে মিলিয়ে দেখেন। নিজেই বুঝবেন মহাত্মা গান্ধী কেন নোবেল পাননি! দেঁতো হাসি
ভুলজন্ম এর ছবি

এ্যাক্কেরে হক কথা বলসেন . . . ভাষাটা না হয় এক্সপেরিমেন্ট মনে কইরা মাফ কইরা দিয়েন হাসি

অতিথি লেখক(শান্তিপ্রিয়) এর ছবি

অনেক কিছু জানতে পারলাম, যা আগে জানতাম না। ভাষাটা এমন না হলে বোধ হয় বেশি ভাললাগত। তবে বক্তব্য বোঝা গেলে যেভাবেই লেখেন ব্যাপার না মনে হয়।

ভুলজন্ম এর ছবি

ভাষা নিয়ে এক্সপেরিমেন্টটা সাকসেসফুল হয়নি বলেই মনে হচ্ছে . . . তবে কিনা আপনার শেষ লাইনটা পরের লেখাটাও একই ভাষায় লিখতে উৎসাহ যোগাচ্ছে চোখ টিপি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাষার কারণে পড়তে পারলাম না।
আপনি বলছেন ভাষা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট... কিন্তু এটা কিরকম এক্সপেরিমেন্ট? আমরা চাইলেই বাংলা ভাষা নিয়ে যা খুশি তাই এক্সপেরিমেন্ট করতে পারি? নাকি করা উচিত?
যে যার খুশিমতো লিখবে?
১ দিলাম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ভুলজন্ম এর ছবি

আপনার কথার সাথে একমত না . . . অশ্লীল কোন শব্দ আমি ব্যবহার করি নাই . . . শুধু যেই ভাষা মুখে বলি সেই ভাষায় লেখসি . . . আমার মুখের ভাষা আমার কাসে অশ্লীল না . . . আপনার কাসে অশ্লীল লাগলে আমার কিসু করার নাই . . . পড়তেই যহন পারেন নাই তাইলে আবার নম্বর দিতেসেন ক্যান???? . . . আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শিক্ষকরা খাতা না পইড়া নম্বর দ্যায়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।