এলোমেলো কিংবা মনোরম শব্দগুচ্ছে প্রকাশিত এমন এক মাধ্যম, যার ভেতরে লুকিয়ে থাকে অনেক অনুভূতির অনুরণন, অনেক আনন্দের কোলাহল কিংবা হতাশার চাপা দীর্ঘশ্বাস। কখনো এটি বয়ে আনে কারো শেষ বিদায়ের কান্নাভেজা খবর । ছোট্ট শব্দের এই মাধ্যমটির নাম চিঠি! যদিও আজকাল হাতে লেখা চিঠির চল প্রায়ই উঠে যেতে বসেছে তারপরও নিভুনিভু করেও প্রদীপের ক্ষয়িষ্ণু সলতেটির মত জিঁইয়ে আছে চিঠি নামের আবেগময় এ মাধ্যমটি।
সুকান্তের বিখ্যাত কবিতায় চিঠি উঠে এসেছে এভাবে, " কত চিঠি লেখে লোকে, কত সুখে, প্রেমে আবেগে স্মৃতিতে কত দুঃখ ও শোকে।" কালিদাস তার প্রিয় মানুষটির বিরহ ব্যথা বইতে না পেরে মৌসমী মেঘকে দূত হিসেবে প্রিয়ার কাছে পাঠিয়েছিলেন মনের আকুতি জানিয়ে। মেঘদূত কাব্যে এর বিশদ বর্ণনা আছে। কালিদাসের যুগ পেরিয়ে আধুনিক মানুষও একই আকুতি নিয়ে বলে ওঠে, " ভালো আছি, ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।"
দেখা যাচ্ছে, যুগের পরিবর্তন হলেও চিঠির প্রতি মানুষের আগ্রহ কিংবা আর্কষণ থেকে গেছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি, বর্তমানে হাতে লেখা চিঠি বিলুপ্তির পথে! এখন আর অভিমানে কেউ তেমন করে বলে না "মাথার কসম পত্র দিও!" কিংবা প্রতিশ্রুতি রক্ষায় নিবেদিত জনও বলে না " বলেছিলে তাই চিঠি লেখে যাই, কথা আর সুরে, মন বলে তুমি রয়েছো যে কাছে আঁখি বলে কতদূরে।"
হাতে লেখা চিঠির জায়গা এখন দখল করে নিচ্ছে ইমেইল বা অন্তর্জালিক বার্তা, মোবাইল ফোন কিংবা এসএমএস। এক সময় যে আবেগ কিংবা প্রযোজনের তাগিদ মানুষকে গুটিগুটি অক্ষরে চিঠি লেখতে অনুপ্রাণিত করতো, আজ প্রযুক্তির চরম উন্নতি মানুষকে নাগরিক জীবনের স্বাচ্ছন্দ দেবার পাশাপাশি চিঠি লেখবার সেই আবেগটি কেড়ে নিয়েছে। যে কারণে ব্যস্ত মানুষ আর কাগজ কলমের খোঁজ না করে অন্তর্জালেই চুকিয়ে ফেলছে তার সমস্ত লেনদেন।
কিন্তু হাতেলেখা একটা চিঠি যেভাবে লেখকের আবেগ অনুভূতির সাথে সাথে তাকেও পাঠকের অনুভবের দরোজায় এনে দাঁড় করাতো, সেভাবে ইমেল, ফোন, মোবাইল কিংবা এসএমএস কি পারে অনুভূতির ঘরে টোকা দিতে? পারে না বলেই খেদের আভাস শোনা যায় আমেরিকান নারীবাদী লেখিকা লিজ কার্পেন্টারের উক্তিতে, " চিঠি লেখা বন্ধ করে কী যে মূল্যবান অভিজ্ঞতা হারাতে বসেছি। ফোনের কথা কি আরেকবার পড়া সম্ভব?"
এক সমযের খুব প্রচলিত 'টেলিগ্রাম' নামের অতি প্রয়োজনীয় মাধ্যমটি এখন শুধুই ইতিহাসের পাতায় আশ্রয় নেয়া একটি অধ্যায়ের নাম। টেলিগ্রাম! এই শব্দে বুকটা ধ্বক্ করে উঠেনি এমন মানুষ, বিশেষত মধ্যবয়সী এবং প্রবীণদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে যোগাযোগ প্রকৌশল সিলেবাস থেকে এই টেলিগ্রাম চিরতরে বিদায় নিয়েছে ২৭শে জানুয়ারি ২০০৬ সালে।
টেলিগ্রামের পথে একদিন হয়ত ডাক যোগে আসা চিঠি মাধ্যমটিও হাঁটা ধরবে। যাদুঘরের কাঁচের সেল্ফে থরে থরে সাজিয়ে রাখা চিঠি সামগ্রী বলে যাবে এক সময়কার মানুষের ভীষণ আবেগের এই মাধ্যমটির কথা। ইতিমধ্যেই ডাক বিভাগে হাতে লেখা ব্যক্তিগত পর্যায়ের চিঠির সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে কমে গেছে। এটি যে শুধুই বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই ঘটেছে তা নয়। বিশ্ব জুড়েই ডাকঘরের বুকে বসছে সময়ের নিষ্ঠুর থাবা। এখনকার প্রজন্মের অনেকেই পোষ্টকার্ড কী জানে না, কেননা এটির তেমন আর প্রচলন নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের স্লোগান, "চিঠি লিখুন কারণ ইহা স্হায়ী" এই বাক্যবন্ধ এখন আর তেমন করে বিচলিত করেনা ব্যস্ত নাগরিক মানুষদের।
আসুন চিঠি নিয়ে খানিক তত্ত্ব কপচাই। উইকির মতে, চিঠি হলো কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি লেখিত বার্তা প্রেরণের মাধ্যম। চিঠির আধুনিক রূপ ইমেইল। এর প্রতিশব্দ: পত্র, লিপি। লিখিত বর্ণমালার উদ্ভবের আগে মানুষ চিত্র বা ছবির মাধ্যমেই মনের ভাব আদান প্রদান করে থাকতো। আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাজার বছর আগে মানুষ প্রথম লেখন পদ্ধতির উদ্ভাবন করে যখন চিত্রকর্মের মাধ্যমে মনের ভাব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতো। এই পদ্ধতি পেক্টোগ্রাম(Pictograms) নামে পরিচিত ছিলো। এক একটি পেক্টোগ্রাম এক একটি বস্তু বা আইডিয়াকে ধারণ করতো। যেমন, একগুচ্ছ তারকা কে রাত্রি বোঝানো হতো। বল্লম হাতে কিছু মানুষের ছবি সংগ্রামরত জীবনের ইতিহাস বলে দিতো। পেক্টোগ্রাম বা চিত্রকর্ম পদ্ধতির সর্বপ্রথম প্রচলন ঘটে মেসোপটেমিয়ার সুমেরিয়ান অঞ্চলে।
পরবর্তীতে আনুমানিক পাঁচ হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন মিশরীয়রা 'হায়ারোগ্লিফিক্স'(hieroglyphs) নামে এক ধরনের লেখন পদ্ধতির উদ্ভাবন করে। এই পদ্ধতি খানিকটা পেক্টোগ্রামের মতই তবে শব্দ বা কথা প্রকাশের জন্য এতে কিছু বিশেষ ধরণের প্রতীক ব্যবহার করা হতো। যেমন, ঠোঁটের ছবিটি দিয়ে 'মুখ' এবং 'জ' শব্দটি বোঝানো হতো এবং কিছু হায়ারোগ্লিফিক্সকে একসাথে জুড়ে দিয়ে এক একটি শব্দ গঠন করা হতো। কিন্তু এই পদ্ধতিটি খুব ধীর গতি সম্পন্ন হওয়ায় পরবর্তীতে মিশরীয়রা হায়ারাটিক্ স্ক্রীপ্ট (hieratic script) নামে দ্রুতগতির একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। ধারণা করা হয়, এসব অঙ্কিত চিত্র অনেক সময়ই প্রেরকের কাছে সঠিক তথ্যটি প্রকাশের পরিবর্তে ভিন্ন অর্থ করে অনভিপ্রেত পরিস্হিতির সৃষ্টি করতো। তবে সেসব বিছিন্ন মজার ঘটনা গল্প হিসেবে পরিবেশিত হয়। এর সত্যতা সম্পর্কে সেভাবে জানা যায় না এবং সেটি এই আলোচনার বিষয়ও নয়। তবে এটি ধরে নেয়া খুব একটা অসঙ্গত হবেনা যে প্রাথমিক ভাবে সৃষ্ট এইসব জটিলতাও হয়ত সেসময়কার মানুষের মনে আরো দ্রুত গতি সম্পন্ন এবং মনোভাব প্রকাশে অধিক কার্যকর কোন পদ্ধতি উদ্ভাবনের দিকে পা বাড়াতে প্রেরণা যুগিয়েছিলো।
বর্ণমালা উদ্ভাবনের পর পৃথিবীতে ঠিক কবে কখন প্রথম চিঠি লেখা হয়েছিলো বা কে কাকে প্রথম চিঠিটি লিখেছিলেন সে বিষয়ে সঠিক হদিস না মিললেও পৃথিবীর প্রথম প্রেম পত্রটি কে কাকে লেখেছিলেন(প্রেম দীর্ঘজীবি হোক) সেটি জানা সম্ভব হয়েছে! খ্রিষ্টপূর্ব ২২০০ অব্দে ব্যাবিলনিয়াতে প্রেমিক 'গিমিল' একখন্ড ইটের উপর ভালোবাসার কথা খোদাই করে প্রেমিকা 'কাসবুয়ার' কাছে পাঠিয়েছিলেন। এটিই বর্তমান সময় পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো প্রেমপত্র। আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এপর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো চিঠিটি হচ্ছে, ৩৩০০ বছর আগে পাথরে খোদাইকৃত একটি চিঠি যা মিসর রাজসভা থেকে ইসরায়েল রাজসভায় পাঠানো হয়েছিলো।
এবার উপমহাদেশ। দেখে নেয়া যাক চিঠি নামের মাধ্যমটি কিভাবে এখানে তার প্রাণের আবেগ ছড়িয়ে দিয়েছিলো প্রাণ থেকে প্রাণে। উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস বলে যে, বহু আগে এখানে একস্হান থেকে অন্যস্হানে সংবাদ আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে পাঠানো হতো নির্বাচিত দূত বা কাসিদ(আরবি শব্দ 'কাসিদের' অর্থ হলো দূত বা বার্তাবাহক)। কিংবা ত্বরিত খবর পাঠানোর কাজে ব্যবহার করা হতো প্রশিক্ষিত পায়রা। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত ডাক ব্যবস্হা আজ থেকে ৮০০ বছর আগে উপমহাদেশে প্রচলিত ডাক ব্যবস্হার একটি আধুনিক রূপ। ১২০৬ থেকে ১২১৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দিল্লির প্রথম সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক শাসনামলে ডাক ব্যবস্হার অনেক উন্নতি ঘটে। এক্ষেত্রে তিনি আরবদের আদলে ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক বা চিঠি, বার্তা বিলি বন্টনের ব্যবস্হা গ্রহন করেছিলেন। এরপরে সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি, মোহাম্মদ বিন তুঘলক তাঁদের শাসনামলে ডাক ব্যবস্হার উ্ন্নতিতে ভূমিকা রাখেন। পর্যটক ইবনে বতুতার বিবরনী থেকে জানা যায় সেসময় দু'ভাবে ডাক বিলিবন্টননের ব্যবস্হা ছিলো। একটি হলো ঘোড়ার মাধ্যমে চিঠিপত্র বিলি বন্টন অন্যটি হলো পায়ে হেঁটে বহনকারী সাধারণ ডাক। তার মানে বোঝা যাচ্ছে, বার্তার গুরুত্ব বা পথের দূরত্ব -নিরাপত্তা ইত্যাদি ভেদে দূত বা প্রেরক র্নিদিষ্ট ছিলো। ডাক ব্যবস্হার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যিনি অবদান রাখেন তিনি শের শাহ(শাসনকাল: ১৫৩৮-১৫৪৫)।
সেই মধ্যযুগীয় ডাক ব্যবস্থা আধুনিক হতে হতে আজকের আধুনিক পোষ্টঅফিস ব্যবস্থা। মাত্র কবছর আগেও সাইকেলে চড়ে খাকি পোষাকে কাধেঁর ঝোলানো ব্যাগে চিঠির তোড়া নিয়ে ঘরের দুয়ারে এসে পরিচিত ডাক পিয়ন যখন ‘চিট্টি আছে’ বলে হাঁক দিতো, বুকের ভেতর কী অদ্ভুত সুখানুভূতির আলোড়ন হতো। চিঠিপ্রাপ্তির সেই সুখ আজ ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে প্রায়।
তবে চিঠি লেখার ঝক্কিও কম না। কাগজ, কলম, টেবিল, সময়, খাম, স্ট্যাম্প, পোষ্টাফিস ইত্যাদি পেরিয়ে চিঠি প্রাপকের কাছে পৌঁছে। এসব ঝামেলা এড়িয়ে হাতে লেখা চিঠির একটা আংশিক বিকল্প হতে পারতো ইমেইল। কিন্তু সবাই দরকারী কাজেই ইমেইল ব্যবহার করে। বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা আবেগ দিয়ে কেউ ইমেইল লেখে না। হাতে লেখা চিঠির মতো বুকের ভেতর কাঁপন তুলতে পারে কোন যান্ত্রিক ইমেইল? প্রয়োজনকে ছাড়িয়ে আবেগে উদ্বেলিত হতে পারেনি বলে শত ঝক্কি সত্ত্বেও ইমেইল হেরে যায় চিঠির কাছে। যেমন হেরে যায় লক্ষ লক্ষ ডিজিটাল পুস্তক কাগজে লেখা বইয়ের কাছে।
জয়তু চিঠি, হস্তলিখিত সুঅক্ষর মন্ডিত মিষ্টি বাক্যের চিঠি।
শতবর্ষ পূর্বে প্রমথ চৌধুরীর ভাগ্নি কবি প্রিয়ম্বদা দেবী(১৮৭১-১৯৩৪) প্রবল আকুতি নিয়ে লিখেছিলেন 'চিঠি কই'
আজি এ বাদল দিনে হেন আশা নাই,
আসিবে পথিক কেহ কোন যে অতিথি,
তবু দুরু দুরু বুক ফিরে ফিরে চাই,
যদি আসে চিঠিখানি পরবাসী প্রীতি!
গুঁড়ি গুঁড়ি ঝরে জল, বাতাস শিহরে,
ঘুরিতে ছাড়ে না তবু আঁধার কাননে।
পাখির নাহিক সারা, হরিণী কাতরে
উদার মাঠের লাগি ডাকে ক্ষুণ্ণ মনে।
খাকি বেশ হরকারা, ভিজে ভিজে আসে,
সহসা পড়ে না চোখে, আশা-দুখে-মেশা
কালো লালে বাঁধা তার পাগড়ি বিকাশে
দুরাশা আধারে রাঙা বাসনার নেশা!
চিঠি আসে, চিঠি আসে! ওঠে আর পড়ে
হিয়ার শোণিত, দৃষ্টি কেন ছুটি নেয় ?
নিশ্বাস পড়ে না, হায় কোন ক্লান্তি ভরে
নিতে গিয়ে ব্যগ্র হাত সব ফেলে দেয় ?
কোথা তার হাতের আখর ? ভারে ভারে
মাসিকে দৈনিকে এল দুনিয়ার কথা!
আকাশে আলোর আশা গেল একেবারে,
ভাঙিয়া নামিল মেঘ, মুক্ত আকুলতা!
এই আবেদনটা একুশ শতকে এসে কি একেবারেই মরে গেছে? মাঝে মাঝে ঘুঘু ডাকা কোন উদাস দুপুরে কিংবা ছলকে্ ওঠা একটা সকাল বেলায় কি ইচ্ছে করে না কাঁচা হাতে আঁকাবাঁকা লাইনে লেখা আকুতিভরা একটা পত্র পাঠ করতে?
-আয়নামতি
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
১. উইকি
২. The history of the written letters.
৩. মাসিক টেকনোলজি(অক্টোবর সংখ্যা-২০০৩)
৪. প্রিয়ম্বদা দেবী
মন্তব্য
এখন বিদেশ থেকে চিঠি এলে পিয়ন পয়সা চায়। আমার বেশ কিছু উপহার মেরে দিয়েছে।
কী কিপ্টেরে বাবা! দুটো পয়সা না হয় দিলেনই পিয়নকে। রোদে ঘুরে ঘুরে কত কষ্ট করে তাদের চিঠি বিলি করতে হয় না? উপহার খোঁয়ানোর জন্য সমবেদনা
আমি অবশ্য পোস্টকার্ড পাঠাই - আমার কিছু পিচ্চি কাজিন আছে, গোটাকয় বড় বোন আছে এবং মাকে পাঠাই তো বটেই...
ভালো আলোচনা। তবে আবেগ নিয়ে লোকে ইমেল করে বইকি, দিব্যি করে। লেখার এই অংশটা ইস্কুলবেলায় যে নোটবইয়ের প্রবন্ধ মুখস্থ করতাম, 'বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ' সেইটার মত হয়ে গেল।
কিন্তু চিঠির যে ফিজিকাল উপস্থিতি, সেটা তো ইমেলে মেলে না। আর হাতের লেখা যে শিল্প, সেটাও প্রায় উঠে যেতে বসেছে।
pictogram এর উচ্চারণ পিক্টোগ্রাম।
আমার জন্মের পর বাবা মায়ের বাপের বাড়িতে একখানা টেলিগ্রাম করেছিলেন। সেটার ভাষা নাকি এতই সংক্ষিপ্ত কিন্তু উপযুক্ত ছিল, যে সবাই সেটা মনে রেখে দিয়েছে।
ইমেলটা প্রিন্ট করে নিয়ে কাজ চালানো যেতে পারে।
আমার এক ক্লাসমেট সেই ২০০০ সালে আমাকে বলেছিলো এইভাবে চলতে থাকলে একদিন মানুষ বলবে, "আমার কম্পিউটারটার হাতের লেখা খুব সুন্দর"
বুদ্ধিটা কিন্তু দারুণ
নোটবুকের মুখস্হ বিদ্যা ঝেড়ে দিয়েছি এখানে আমিও স্বীকার করি ইমেলে যথেষ্ট আবেগ ঢেলেই লেখা সম্ভব! কিন্তু সবাই তো আর পছন্দীয়ের মত মাথা ভর্তি বুদ্ধি নিয়ে প্রিন্টের ঝক্কিতে যান না। তাদের কাছে ধরে দেখার, শুঁকে গন্ধ নেবার একটা আবেগ হয়ত কাজ করে( আমার দাদু কে দেখিছি ছেলেপেলের চিঠি পেলে সেটা বুকে ধরে রাখতে, শুঁকে দেখতে) সঠিক উচ্চারণটার জন্য ধন্যবাদ। ওটা ঠিক করবার ক্ষমতা আপাতত ঈশ্বর আমাকে দেননি। পোষ্টটা কষ্ট করে পড়বার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দ্যাখেন, আমরা তো 'অ' বাদ দেওয়ার আন্দোলন করতেছি, 'ন' বাদ দেওয়ার তো করি নাই, 'পছন্দীয়' কন ক্যানো?
হি হি... ধরা খাইসে ! বাই দা ওয়ে, পছন্দনীয়র গায়ে লাগেনা, আপনার লাগে দেখি; ক্যান ??
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আবার জিগায়! চুপ! এইটা আবার পাঁচকান না হয়! 'পছন্দনীয়' এসে আবার হৈচৈ শুরু করতে পারেন। মুখ বন্ধ রাখবার জন্য নেন এইটা দিলাম আশালতাদি (গুড়)
কচ্কচ্ কচ্কচ্... আমাকে ঘুষ দিয়ে...কচ্কচ্...মুখ বন্ধ রাখার... কচ্কচ্...এই অপচেষ্টার প্রতি তেব্র ধেক্কার...কচ্কচ্ কচ্কচ্...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দিব্বি কচকচিয়ে খাওয়া হচ্ছে সাথে আবার ধিক্কার! রক্ষে করো মা তারা
আরে বাহ, এখানে তো দিব্যি টেবিলের তলার কাজকারবার চলছে, পছন্দনীয় ভাই খবর না দিলে কিছুই জানতে পারতাম না! অ্যাই খবর্দার (ইয়ে... কই দেখি, আমরা বখরা?)
ভালো যন্ত্রণায় পড়া গেলো দেখছি (গুড়) এইটা নিয়ে চুপচাপ সটকে পড়ো বাপু!
আয়নামতিাদি ঘুষ দেওয়া হচ্ছে এখানে!!!!
হাতের লেখায় আবেগ বোঝা যায়, ই-মেইল যতই প্রিন্ট করিনা কেন সে আবেগ থাকেনা।
না না ঘুষ কোথায় দেখলেন! ও তো ভালোবেসে দিয়েছি ব্যস্ত মানুষেরা মনে হয় আজকাল আর আবেগ নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায় না মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নাম না জানা অতিথি
হুটোপাটিতে 'ন' গিলে খেয়ে ফেলেছিলাম! 'অ' নিয়ে আন্দোলন অমর হোক
জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, অ-হটাও!! অ-হটাও!!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
খুব ঠিক, অ-হটাও অ- হটাও!
এইটা মিস হইল কিভাবে? যাই হোক, কথা সত্যি বলেছেন। চিঠির আমেজটুকু হারিয়ে যাচ্ছে। আমি মাঝেমাঝে হাতে চিঠি লিখে দাদুকে স্ক্যান করে ইমেইল করি। পরে আম্মু/আব্বু প্রিন্ট নিয়ে দেয়। আপনার প্রথম প্যারায় অল্প কথায় এত কিছু প্রকাশ করেছেন - অসাধারণ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হাতে লেখা চিঠিটা কেন ডাকযোগে পাঠিয়ে দেন না দাদুকে? স্ক্যান করা ই-মেইলের বদলে ওটা পেলে দাদু বেশি খুশি হবেন কিন্তু। যদিও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ওটা........এম্মা কী বলছেন আমি কিন্তু একদমই লেখতে জানিনা আপনাদের মত। বলতে পারেন দেখে শিখছি কেবল! আপনার ভালো লেগেছে শুনে আহ্লাদিত হচ্ছি ধন্যবাদ @ ফাহিম ফটুরে
করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও
আঙ্গুলের মিহিন সেলাই
ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও,
এটুকু সামান্য দাবি, চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো
অক্ষরের পাড়-বোনা একখানি চিঠি।
চুলের মতন কোনো চিহ্ন দিও বিস্ময় বোঝাতে যদি চাও …
বর্ণণা আলস্য লাগে তোমার চোখের মতো চিহ্ন কিছু দিও!
আজো তো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি,
আসবেন অচেনা রাজার লোক
তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌঁছে দেবে ….
এমন ব্যস্ততা যদি শুদ্ধ করে একটি শব্দই শুধু লিখো, তোমার কুশল! …
করুণা করে হলেও চিঠি দিও, ভুলে গিয়ে ভুল করে একখানি চিঠি
দিও খামে
কিছুই লেখার নেই তবু লিখো একটি পাখির শিস
একটি ফুলের ছোট নাম,
টুকিটাকি হয়তো হারিয়ে গেছে কিছু, হয়তো পাওনি খুঁজে
সেইসব চুপচাপ কোন দুপুরবেলার গল্প
খুব মেঘ করে এলে কখনো কখনো বড় একা লাগে, তাই লিখো
করুণা করে হলেও চিঠি দিও, মিথ্যা করে হলেও বোলো, ভালবাসি !
- মহাদেব সাহা, চিঠি দিও
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ কবিতাটির জন্য ।
এই কবিতাটাই আমি লিখতে যাচ্ছিলাম...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
'তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর নির্জনতা ভেঙে দিয়ে,
ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?
একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা কেমন যেন বিষাদ হবি?'
#তুই কি আমার দুঃখ হবি: আনিসুল হক
একসময় বড় প্রিয় ছিল চিঠি, চিঠির চাইতেও প্রিয় ছিল খামের গায়ে সাঁটা 'লালনীল দীপাবলী'র মতো ডাকটিকেট।
সারাদিন একসঙ্গে কাটানোর পরও স্কুলের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটির সঙ্গে ছুটির সময় রোজ বিনিময় হতো টুকরো চিরকুট..
এখন মাঝেমাঝে লাইন দুয়েকের ই-চিঠিও চোখকে বড্ড ক্লান্ত করে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ কবিতাটির জন্য পাণ্ডবদা।
আমার এই প্রিয় কবিতাটি কি আপনাকেও নাড়ায়, এমন কি শেষ চরণটি পড়েও?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অফটপিক - পিঁপড়েদের উপর আরো কয়েকটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দেখলাম। ওখানে কথা হচ্ছিল তাই ওখানেই রিপ্লাইতে লিখলাম। দেখে নিয়েন।
অসংখ্য ধন্যবাদ কৌস্তভ! আপনার পোষ্টে গিয়ে পড়ে নেবো। এটা আপনার জন্য (গুড়)
কতদিন কোন চিঠি পাই না! পাব সে আশাও করি না!
ই-মেইল আর এস এম এস মাধ্যম হিসেবে খারাপ না, তবে হাতের লেখা আর কাগুজে স্পর্শটুকু কে দেবে এ আবেগহীন দপ্তরী চিঠি চালাচালির যুগে?!
লেখা ভাল লাগল
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
গতবছরই শেষ হাতেলেখা চিঠি পেয়েছিলাম! আর পাওয়া হবেনা আমারও আশা ছাড়বেন না মর্ম কোনো এক সুন্দর দিনে হয়ত পেয়েও যেতে পারেন হাতেলেখা একটা অবাক চিঠি! ছাইপাশ লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।
আমার জীবনের একটা অংশ একেবারেই চিঠি নির্ভর ছিলো। অসম্ভব সুন্দর... চিঠির মজা শুধু আবেগে না... অপেক্ষাতে... দুরু দুরু বুকে বাড়ি ফেরা... হয়তো আজকে চিঠি আসবে... এ এক অসাধারণ অনুভূতি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই জিনিসটা আমরা অন্তত খুব ভালো বুঝি-- হাচলত্বের অপেক্ষায় আছি যারা.........
হা হা হা হা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তা আর বলতে! তবে সচল থেকে নাকি আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেই চিঠি কোথায় গেছে খোদাই মালুম খুব জলদি আপনার হাচল প্রাপ্তি ঘটুক সে কামনা করছি@মৌনকুহর
মুখে আপনার ফুলচন্দন পড়ুক। কিন্তু আপনি কি মডু-মামাদের জানিয়েছেন ব্যাপারটা?? জানিয়ে না থাকলে এখনই contact@sachalayatan-এ মেইল করে জানান।
তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই আমার 'কার চিঠির অপেক্ষায় দুরু দুরু বুকে বাড়ি ফেরা হতো' জাতি জানতে চায়@নজরুল ভাইয়া।
চিঠি। ছোট শব্দ। কিন্তু কতো বিশাল আনন্দের ব্যাপার। কারো কারো কী অসাধারণ আবেগ অনুভুতি জড়ানো আছে চিঠির সাথে (নজু ভাইয়ের মতো ভাগ্যবান)। বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া চিঠিই বোধহয় সবচেয়ে আনন্দের। আমার এক বন্ধু চিঠি লিখতো ছোট বেলায়। আমরা স্কুল জীবন পর্যন্ত চিঠি বিনিময় করেছি দুই দোস্তে। পরে দোস্ত হারিয়ে গেল স্কুল শেষ হবার আগেই। চিঠিপর্ব শেষ হয়ে গেল চিঠির আবেগের জন্ম হবার আগেই।
চিঠির আবেগের জন্ম হবার পর একজন কথা দিয়েছিল চিঠি লিখবে। চিঠি আসবে আসবে করে পদ্মা মেঘনা যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেলেও চিঠি আর আসে না। পরে একদিন জানা গেল সে ভেবেছিল চিঠি লিখবে আকাশের ঠিকানায় আমার পরমাত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে। কিন্তু আমার দুনিয়ার ভিসা শেষ না হওয়াতে তার মধ্যে যথেষ্ট আবেগের সৃষ্টি হচ্ছে না বলে সে চিঠি লিখতে পারছে না।
চিঠির ইতিহাস বিষয়ে অনেক অজানা তথ্য জানা গেল আপনার পোষ্ট থেকে। (গুড়)
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
@ মৌনকুহর
.........কৃতজ্ঞতা ছাইপাশ এই পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বার জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ
@নীড় সন্ধানী
অনেক ভালোলাগা একটা লেখা লিখেছেন আয়নামতি। কতোকাল যে চিঠি লেখা হয়না, তা আর মনে পড়েনা। যখন দু'বছর গ্রামে ছিলাম, আম্মার চিঠির জন্যে পথ চেয়ে বসে থাকতাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
@রাতঃস্মরণীয়, পোষ্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ আনন্দ বোধ করছি আলস্য ভেঙে, লিখে ফেলুন আপনার প্রিয় কাউ'কে একটা মনোরম চিঠি সুন্দর কবিতা জন্য ধন্যবাদ(কার লেখা কবিতা এটা?)।
পত্র লিখার বা পত্র পাওয়ার মধ্যে যে অপেক্ষা, আকুতি আর তাড়না কাজ করে তার তুলনা কোথায়? কিছুদিন আগে একজন বন্ধুর সাথে এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল, আমি বললাম চলুন আমরা পত্র লিখি, আমি লিখলাম কিšন্তু সেই পত্রের জবাব আজ অবধি পাইনি। আমার পত্র লিখতে ইচ্ছে করে, পেতে ইচ্ছে করে আর পত্র উজাড় করে বলতে ইচ্ছে করে যা কিছু বলতে চাই। এই আকুতির মধ্যে আপনার লিখাটি একটু সাহস দিলো যে পত্র প্রেম এখনও জ্বলন্ত। ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা, তানিম এহসান
হাতেলেখা চিঠির প্রতি আপনার আগ্রহের কথা জেনে ভালো লাগলো হঠাৎ করে প্রিয় কারো খামে ভরা চিঠি পাবার আনন্দের সাথে আসলেই কোন তুলনা চলেনা! আপনাকেও শুভেচ্ছা@ তানিম এহসান
চমৎকার বিষয় চয়ন করেছেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বিষয় হয়ত চমৎকার, কিন্তু এই বিষয় নিয়ে আপনার মত কেউ লেখলে সেটা অনেক বেশিই চমৎকার হতো!
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ@ রোমেল ভাইয়া।
আজকে, মানে গতকাল দুপুরেই কথা হচ্ছিল, আমার এক প্রবীণ প্রফেসর আক্ষেপ করছিলেন যে এখন যান্ত্রিক জীবনে তাঁর ছেলের ই-মেইলটাও অতি সংক্ষিপ্ত হয়ে আসছে দিনে দিনে... আমি বললাম স্কাইপে কথা বলতে, নাতিকে দেখতে পাবেন, ইত্যাদি... স্যার মন খারাপ করে বললেন, সবই বুঝি, কিন্তু লেখার ঐ হরফগুলো ছুঁয়ে দেখা, ছেলের হাতের স্পর্শ, অনেক কথা, অধরাই থেকে যায়...
আমার বেশ চিঠি লিখবার অভ্যাস ছিল এক কালে। পরে ই-মেইলও, দীর্ঘ। মাঝে অভ্যাসটা একদম চলে গিয়েছিল। আইএম দিয়ে টুকটুক করে কাজের ফাঁকেই আলাপ সেরে নেয়া যায় দেখে। খেয়াল করলাম, গেল বছর থেকে হঠাৎ আবার বেশ মোটামুটি দৈর্ঘ্যের মেইল লিখছি বন্ধুবান্ধবদেরকে মাঝে মাঝে...! আসলে বলবার মানুষজন থাকলে, বলবার মতন টুকিটাকি কত কথাই হয়তো থাকে...
লেখাটা ইনফরমেটিভ। ইন্টারেস্টিং টপিক। মাঝপথে আমার ঘোড়ার ডাক চালু করার জোকটা মনে পড়লো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ক'দিন দেখিনি কেন যাযাদি আপনাকে? ব্যস্ত বুঝি? খুব খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে শুনে খুশি হলাম আপনিও ই-মেইল করতে আনন্দ পান। আমিও সময় পেলে ইয়া বড় বড় ই- মেইল করে বন্ধুদের খুব জ্বালাই ঘোড়ার ডাকের জোকটা মজারু আসলেই অনেক ধন্যবাদ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
নতুন মন্তব্য করুন