আমার কিছু গল্প ছিল।
বুকের পাঁজর খাঁমচে ধরে আটকে থাকা শ্বাসের মত গল্পগুলো
বলার ছিল।
সময় হবে?
এক চিমটি সুর্য মাখা একটা দু'টো বিকেল হবে?
গল্পগুলো বলব তোকে।
যেসব গল্প হয়নি বলা তুমুল শোকে,
অথৈ হাসির ধুম প্রলাপে,
যন্ত্রবদ্ধ নগর-চাপে,
যেসব গল্প বুকের মাঝে ফেনিয়ে ওঠে
বলতে গিয়ে আটকে থাকে গলায়,ঠোঁটে,
মুখ ও চোখে,
গল্পগুলো বলব তোকে।
এক পাহাড়ের পাথর চাপা কান্নাজমা গল্প ছিল,
এক দুপুরের রৌদ্রে পোড়া শুষ্ক পাতার গল্প ছিল,
এক পৃথিবীর রূপকথাদের রঙ মাখানো গল্প ছিল,
এক নিশীথের অন্ধকারের চাঁদর মোড়া গল্প ছিল,
এক শ্রাবণের মেঘ চোঁয়ানো,এক গোধুলির ঠান্ডা আলো,
এক বোশেখের কালবোশেখির গল্প ছিল...
বলব তোকে,সময় হবে?
হলদে রোদের আদর মাখা একটুখানি বিকেল হবে?
প্রীতম
মন্তব্য
অসাধারণ!! হাজারো কবিতা নামের অখাদ্য পড়তে পড়তে যখন মুখটা তিতা হয়ে যায় তখন এইরকম চমৎকার কিছু কবিতা আবার মনটা ভালো করে দেয়। আপনার আরো কবিতা পড়তে চাই।
মাহবুব ভাই, সবাই এই রকম লিখতে পারবে অথবা সবার কবিতা ভালো হবে এটা তো অল্পসম্ভব!!! অখাদ্য বলায় খুব কষ্ট পেলাম (কারণ আমি নিজেও অখাদ্য লিখি !!!) তাই আমরা যারা অখাদ্য লিখি আর প্রত্যাশা নিয়ে বসে থাকি যে সচলায়তন আমাদের হজম করবে, এবং প্রায়শই করেও ফেলে, তারা কিন্তু বিষণ্ন হয়ে পড়লাম, হুমম!!!
মূলতঃ অপ্রকাশিত কবিতাগুলোর কথা বলছিলাম।
রক্ষা!!
আপনার মন ভাল হয়েছে জেনে আমার মনও ভাল হয়ে গেল ।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কবিতা কখন সুখাদ্য কিম্বা অখাদ্য হয়ে উঠে তা জানতে মন চায়!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কবিতা মাধ্যমটার উদ্ভব হয়েছে ক্যানো? ছন্দ, অলংকরণ বা বিশেষণ, বক্তব্যের অভিনব উপস্থাপন ইত্যাদি ব্যবহার করে একটা আইডিয়া বা বক্তব্যকে প্রকাশ করার জন্য। পরবর্তীতে ছন্দকে পাশ কাটিয়ে বাকি কলাকৌশল ব্যবহার করে একটা নতুন মাত্রা আনা হয় কবিতায়। কিন্তু বিশেষণের অপরিমিত ব্যবহার, সাদামাটা উপস্থাপন কিংবা একই বক্তব্যের চর্বিত চর্বনের কারনে কবিতা আর কবিতা হয়ে ওঠে না।
সমস্যা হচ্ছে বেশীরভাগ কবিই (সচলায়তনের এবং মুষ্টিমেয় অন্য কিছু কবি বাদে) এটা বুঝতে পারেন না। গদ্যকে একাধিক লাইনে লিখে, কিংবা বহু ব্যবহৃত উপমার বারোটা বাজিয়ে, অতি বিশেষণের ভারে জর্জরিত করে প্রচুর কবিতা লেখা হচ্ছে ইদানিং। এগুলোকেই অখাদ্য বলেছি। মডারেশনে বাতিল পড়া অধিকাংশ কবিতা এরকম। তবে সচলায়তনে যাদের কবিতা প্রকাশিত হয় সেগুলোর সাধারণতঃ ভালো মানেরই হয়।
আর এটা শুধুমাত্র আমার দৃষ্টিভঙ্গী। একে ব্যাক্তিগতভাবে না নিতে অনুরোধ করি।
শয়ে শয়ে নিম্নমানের, বানান ভুলে কন্টকিত কবিতা ঘাঁটা যে কি কষ্টের জিনিস, সে কেবল ভুক্তভোগীই জানে।
ব্যক্তিগতভাবে নেবার প্রশ্ন আসছে কেন? আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কিম্বা মতামত গুরুত্বের সাথে ধারণ করতে চাই বলেই তো এই প্রশ্ন। আর আপনার মতের সাথে আমার মত অনেকটাই তো মিলে গেল দেখছি। তাই ব্যক্তিগত নয়, সমষ্টিগত মত বিনিময়ের (মিথস্ক্রিয়া) জন্যই ছিলো আমার জিজ্ঞাসাটি। ফিরিস্তি দেই,
এক। জীবনানন্দ কবিতা সম্পর্কে যে অল্পকটি কথা বলেছিলেন (অবশ্য তাঁর মতো বড় কবিরা যা বলার তা কাব্যেই বলেন, কাব্যের বাইরে এসে বেহুদা প্যাচাল পারে আমার মতো অকবিরা) তার একটি হলো, 'উপমাতেই কবিত্ব'। তবে কেমন হতে হবে উপমা? হ্যাঁ, অভিনব, অভুতভাবিত ও যুতসই, উদাহরণঃ কাজল কালো চোখ নয় 'পাখির নীড়ের মতো চোখ'। উপমা যদি বিস্ময় এবং আনন্দ না জাগায় এবং উপমেয়র নিঃসংশয় প্রাণচেতনাকে যদি জাগ্রত না করে তবে সে উপমার কোন মূল্য নেই।
দুই। কল্পনাই কবির প্রধান শক্তি। না, আকাশ-কুসুম কল্পনা নয়, যে কল্পনার মধ্যে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার স্বতন্ত্র সারবত্তা আছে, যে কল্পনা সৌন্দর্যরূপে (নরকেরও সৌন্দর্য আছে) প্রতিভাত হয়ে হৃদয়কে ছুঁয়ে দেবে নতুন করে।
তিন। একজন কবির নিজস্বতা তাঁর বড় সম্পদ। গলা শুনে যেমন মানুষ চেনা যায়, তেমনি একজন কবির জন্য তাঁর নিজস্বতা অর্জন বড় কাম্য। আমার অতি প্রিয় একজন কবির কথাই বলি। শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে'-এর ভেতর জীবনানন্দের ছায়াসম্পাত দেখি। 'রৌদ্র করোটিতে' স্পষ্ট হয়ে উঠে সুধীনের কণ্ঠ। এজন্যই হায়াৎ মামুদ তাঁর এক প্রবন্ধে বলেছিলেন, "তাহলে কী দরকার একজন শামসুর রাহমানের? ক্ষুদে সুধীন্দ্রনাথ বা ক্ষুদে জীবনানন্দ আমাদের কি প্রয়োজন, যতক্ষণ তাঁরা উভয়েই আছেন? রবীন্দ্রনাথের পর কেউ বিহারীলাল পড়ে না। অথচ আলোচ্যমান কবির কবিতা আমরা ক্লান্তিহীনভাবে উপভোগ করি। কেন?" উত্তর পাই আবুল হোসেনের জবানীতে, "শামসুর রাহমানকে এই নিজস্বতা অর্জন করতে দেখি তাঁর ষষ্ঠ বই 'বন্দী শিবির থেকে'-তে"। নিজস্বতা চিনতে গিয়ে শুধু আঙ্গিক বা কলাকৌশল নয়, ছন্দ ও মিলই নয়, উপমা, উৎপ্রেক্ষা ও শব্দ ব্যবহারের দিকেও তাকাতে হবে। শামসুর রাহমান আমার অতি প্রিয় তাঁর যে নিজস্বতার কারণে সেটি আমি আবিষ্কার করি তাঁর উপমা ও রুপকল্পের সৌন্দর্য ও অভিনবত্বের কারণে।
চার। ছন্দ প্রসঙ্গে হালের একজন বড় কবি বলেছেন, "যে কবি ছন্দ জানেনা সে কিছুই জানে না"। শামসুর রাহমান কবিতার ছন্দকে এতই গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন যে নবীন কবিদের রচনার দৈন্যদশা দেখে একটি সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, "সনেটে প্রত্যাবর্তন আমার একধরণের প্রতিবাদ"।[জনকন্ঠ সাময়িকী, ২৩ অক্টোবর ১৯৯৬]। আমার বিবেচনা হলো কবিতার ছন্দ হলো হরিহর আত্মা, কবিতার শরীরে ছন্দ ছিলো, থাকবে। পাল্টে যাবে শুধু এর প্রয়োগ কৌশল। হয়তো ছন্দ কবিতার শরীরের এত গভীরে ঢুকে যাবে যে তাঁকে খুঁজে পেতে হলে সত্যিকার অর্থেই সমঝদার হতে হবে। ছন্দকে পাশ কাটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার সম্ভব হতে পারে, কালোত্তীর্ণ কবিতা রচনা সম্ভব নয়।
পাঁচ। বাকী থাকে প্রতীক ও দর্শন। কবিত্বের বিদগ্ধতা বিম্বিত হয় এই দুয়ে। মনে রাখা ভালো, কবি কিন্তু দার্শনিক নন, কারণ কল্পনা যে তাঁর বাহন।
সচলে যারা লিখছেন, বিশেষ করে কবিতাকেই সচলত্বের প্রধান চালিকা হিশেবে মনে প্রাণে বরণ করেছেন, তাঁদের জন্যে এইসব আলোচনা করার বোধকরি প্রয়োজন আছে। অচলায়তনের ধোঁয়াশা আঁধার থেকে বেরিয়ে আসি, মুক্ত করি ভয়। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আরেকবার অতিমুগ্ধ হলাম পাণ্ডিত্যে!!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খুব সুন্দর।
আশা করি,
নিয়মিত লিখবেন।
ভাল থাকুন।।
ধন্যবাদ,ভাল থাকুন আপনিও।
এক কথায় চমৎকার
অনেক ভাল। আরো পড়তে চাই।
খুব ভালো লাগল, খুব!!! অনেক শুভ কামনা রইল ভাই!!!
ধইন্য হইলাম,তাই ধইন্যা দিলাম
চমৎকার। পাঁচ তারা দিলাম।
চমৎকার!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ
সুন্দর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দর। একটা অনেকদিন আগে পড়া কবিতার ছায়া পাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তার কিছুই মনে পড়ছে না...
সম্ভবত হেলাল হাফিজের কষ্টের ফেরিওয়ালার কথা বলছেন।লেখার পরে ই গন্ধটা আমিও পেয়েছিলাম।
পড়া আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তা হবে কেন? হেলাল হাফিজের 'কষ্টের ফেরিওয়ালা' কবিতাটির সাথে ভাবে, ভাষায় কিম্বা ছন্দে তেমন মিল খুঁজে পাচ্ছি না তো! রিভাইজ করি,
কষ্ট নেবে কষ্ট
হরেক রকম কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট !
লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট
পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট,
আলোর মাঝে কালোর কষ্ট
‘মালটি-কালার’ কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট ।
ঘরের কষ্ট পরেরর কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট
দাড়ির কষ্ট
চোখের বুকের নখের কষ্ট,
একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট ।
প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট নদী এবং নারীর কষ্ট
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট,
ভুল রমণী ভালোবাসার
ভুল নেতাদের জনসভার
হাইড্রোজনে দুইটি জোকার নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট ।
দিনের কষ্ট রাতের কষ্ট
পথের এবং পায়ের কষ্ট
অসাধারণ করুণ চারু কষ্ট ফেরীঅলার কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট ।
আর কে দেবে আমি ছাড়া
আসল শোভন কষ্ট,
কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন
আমার মত ক’জনের আর
সব হয়েছে নষ্ট,
আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট ।
দেখুন দেখি নিচের কবিতাগুলির সাথে ভাবে না হলেও অন্ততঃ ছন্দে মিল খুঁজে পাওয়া যায় কি না?
তোমার বুকের (৪) নিশিথ কুসুম (৪) আমার মুখে (৪) ছড়িয়ে দিতে(৪)?
জুতোর ফিতে (৪) প্রজাপতির (৪) মতন তুমি (৪) উড়িয়ে নিতে(৪)?
বেলজিয়ামের (৪) আয়নাখানি (৪) কেন তুমি (৪) ঘোর না রেখে (৪)
অমন কারু (৪) কাজের সাথে (৪) তোমার দুটি (৪) চোখের মধ্যে (৪)
রেখে দিতে(৪)?
(আবুল হাসান, 'আমি অনেক কষ্টে আছি')
কিম্বা,
কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।
কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না
রাত কাটে তো ভোর দেখি না
কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না কেউ জানেনা।
নষ্ট রাখীর কষ্ট নিয়ে অতোটা পথ একলা এলাম
পেছন থেকে কেউ বলেনি করুণ পথিক
দুপুর রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও,
কেই বলেনি ভালো থেকো সুখেই থেকো
যুগল চোখে জলের ভাষায় আসার সময় কেউ বলেনি
মাথার কসম আবার এসো
জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক,
চৈত্রাগুনে জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি
বললো না কেউ তরুন তাপস এই নে চারু শীতল কলস।
লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম।
ক্যাঙ্গারু তার শাবক নিয়ে যেমন করে বিপদ পেরোয়
আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর শুভ্রতাকে বুকে নিয়েই দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।
কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি।
(হেলাল হাফিজ)
কিম্বা,
এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷
এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা
খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷
ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷
কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷
আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়?
এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে
(হেলাল হাফিজ)
সবকটিই স্বরবৃত্তে। আর আন্ডারলাইন করা নিচের তিনটি জায়গায় ছন্দের কি আশ্চর্য মিল,
এই কবিতায়,
বুকের পাঁজর খামচে ধরে আটকে থাকা শ্বাসের মতো গল্পগুলো বলার ছিলো সময় হবে?
হেলাল হাফিজের কবিতায়,
আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর শুভ্রতাকে বুকে নিয়েই দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।
এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে,
পত্র দিয়ো ৷
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এরকম সাহিত্যচর্চাকারী সুসাহিত্য-কাব্য-সমঝদার মানুষের সাক্ষাৎ কম পেয়েছি!!!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
মন্তব্য লাইক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মন্তব্যে আসলেই 'লাইক'! আমার একটাও পড়া ছিল না। হেলাল হাফিজের 'কষ্টের ফেরিওয়ালা' আর আবুল হাসানের 'আমি অনেক কষ্টে আছি' দারুণ লাগলো!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার কবিতার ক্লাসের ছাত্র হতে চাই আমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কবিতার টোল তো তাহলেই খুলতেই হয়!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ভালো লেগেছে। আপনারআরো কবিতা দেখতে চাই। আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহন করুন কবি।
সুন্দর!
চমৎকার। খুব ভালো লেগেছে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
দুর্দান্ত!!
আপনার আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম--
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ভাই,
ভীষণ ভালো লাগলো কবিতাটি।
কী চমৎকার এর দ্বিধা থরথর আকুতিটুকু!
হলদে রোদের আদর মাখা একটুখানি বিকেল হবে?
কী মনোমুগ্ধকর এর শব্দচয়ন ও বাক্যবিন্যাস!
যেসব গল্প বুকের ভেতর ফেনিয়ে ওঠে
বলতে গেলে আটকে থাকে গলায়, ঠোঁটে
মুখ ও চোখে,
গল্পগুলো বলবো তোকে।
কী শ্রুতিনন্দন এর স্বরবৃত্তের দুলকিচাল!
আমার কিছু (৪) গল্প ছিল (৪)
বুকের পাঁজর (৪) খামচে ধরে (৪) আটকে থাকা (৪) শ্বাসের মতো (৪) গল্পগুলো (৪)
বলার ছিলো (৪)।
আর পুরো কবিতা জুড়ে অন্ত্যমিলের কী কুশলী কারুকাজ!
অসাধারণ! অসাধারণ!!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমি কবিতা ভালো বুঝিনা, কিন্তু তারপরও বলব অসাধারণ।
রোমেল ভাইয়ের সাথে সহমত।।
অনায়াস বৈভবে লিখা এবং মনে হচ্ছে সামনে না বলা গল্পগুলো কবিতার ছত্রে ছত্রে আসবে। এই অনায়াস দ্যোতনা অটুট থাকুক। শুভেচ্ছা, তানিম এহসান
চমৎকার!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অসাধারন লাগলো।মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আমার পড়তে খুব ভালো লাগলো। এর আগে আরেকজন অতিথির একটা কবিতা অসম্ভব ভালো লেগেছিল, প্রিয়তে নিয়েছিলাম, আর আপনার এইটা।
সত্যি সুন্দর।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো লেগেছে।
আরো লিখুন।
নিয়মিত।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বাহ! সুন্দর তো
নতুন মন্তব্য করুন