তারপর ব্যাকপ্যাক পিঠে চড়িয়ে ভালোবাসার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে মরু থেকে মরুতে। তারও অনেক পড়ে, যখন সন্ধ্যের কোল ঘেঁসে নেমে আসে অনেক আঁধার, সেই আঁধারের চোখের কোণ দিয়ে গড়িয়ে পড়া দু'ফোটা জলের মতো মরূদ্যানের সন্ধান মেলে হয়ত। সেখানে পৌঁছুতে পৌঁছুতে আকাশের কালো শাড়ীতে রূপোলি শলমা এঁকে দিয়ে জোনাকির মতো এক ঝাঁক নক্ষত্রকে নিভতে জ্বলতে দেখা যায়। তখন তার ইচ্ছে করে সেইসব তারাদের সাথে মিতালি করতে। সে তারা হয়ে যায়, ভালোবাসা খুঁজে পায়?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
তানিম,
সত্যি বলতে কি আপনার "সনাতন, ফিরে এসো মৃত্তিকার বোধ" আমায় চমকে দিয়েছিল। প্রত্যাশার পিলসুজে যখন অনেক আকাঙ্ক্ষা এসে জমা হয় তখন প্রদীপের মাঝে অনেক তারার রোশনাই দেখার আকাশ কুসুম সাধ হয়। আপনি অনেক অনেক অভিনব কল্পনার ঘুড়ি উড়িয়ে আমাদের আকাশে লাল-নীল-দীপাবলি জ্বালাতে থাকুন। অনুজ্জ্বল তারার আলো হাতে নিয়ে ঘোরা আপনার কাজ নয়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
১১ | লিখেছেন তানিম এহসান (যাচাই করা হয়নি) (তারিখ: শুক্র, ২৪/০৬/২০১১ - ১০:৫৬অপরাহ্ন)
যাযাবরেরা কোনদিন কি কোন পিছুটান মানে, তাদের পিছুটান শুধু ‘যাযাবর’ হিসেবে একটা যাপিত জীবনে যেখানে সে “নোঙর ফেলি ঘাটে ঘাটে, বন্দরে বন্দরে” আর খুঁজে ফেরে তার কোন এক অকাল বোধনে ফেলে আসা “সারেং বাড়ীর ঘাট”. যাযাবর মন আর তার মনমানসিক বোঝে কয়জন? যে বোঝে তারও যাযাবর মন থাকা চাই। যাযাবর মন ঘরে বসেই যেতে পারে ক্রীট দ্বীপ পেরিয়ে জার্ভোস পেনিনসুলার দিকে, যাযাবর মন ইতালি হয়ে পেইন্টিংস এর জগৎ চেনার চেষ্টা করে প্যারিসে, চেনার চেষ্টা করে একজন জন লেননকে, পিংক ফ্লয়েড এর লাইভ কনসার্ট দেখতে দেখতে নিজেকে সে নিয়ে যায় সেই কনসার্টে।
যাযাবর তার “দৃষ্টিপাত” দিকে দিকে দেয়, নিজেকে ছাড়িয়ে যায় বহুদূর। আহা, নিজেকে বোহেমিয়ান ভাবি, বোহেমিয়ান এর মতই ঘুরে বেড়াই (চাকুরীটাই ছুটোছুটির) কিন্তু মন ভরেনা। গত পূর্ণিমায় বৃষ্টি হচ্ছিলো, বৃষ্টিতে সমুদ্র তায় আবার জোৎস্নার আলোয় আলোয় মাখা - কতদিন দেখিনা চর্মচক্ষে, কতদিন সোমেশ্বরীর তীর ধরে হাটিনা, যাইনা হাওড়ের জলে গাঙের শুশুকের মতন জল বেয়ে বেয়ে। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।
আমরা দমবন্ধ হয়ে আসা একটা সময়ের প্রজন্ম, নিজেকে প্রকাশ করতে না পারতে পারতে বেঁেচ থেকেই মরে যাই। এই সচলায়তনে আপনাদের কথোপকথোন, নিজের প্রকাশ আমার বন্ধ হয়ে আসা দরজা জানলা খুলে দিচ্ছে। জমে থাকা ধুলাবালি বৃষ্টির জন্যে থাক!!
মন্তব্য
ভালোবেসে তারা হয় নাকি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাল লেগেছে
--------------------------------------------------
কুকুর, বেড়াল ও বেওয়ারিশ লাশ , জলজ্যান্ত জল,
আদ্রতা ও সান্দ্রতা
ভালোই...
তবে...
ভালো না বাসলে কী হয়... ?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো না বাসলে মনে হয় যাযাবর হয়ে যায়।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
তারপর ব্যাকপ্যাক পিঠে চড়িয়ে ভালোবাসার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে মরু থেকে মরুতে। তারও অনেক পড়ে, যখন সন্ধ্যের কোল ঘেঁসে নেমে আসে অনেক আঁধার, সেই আঁধারের চোখের কোণ দিয়ে গড়িয়ে পড়া দু'ফোটা জলের মতো মরূদ্যানের সন্ধান মেলে হয়ত। সেখানে পৌঁছুতে পৌঁছুতে আকাশের কালো শাড়ীতে রূপোলি শলমা এঁকে দিয়ে জোনাকির মতো এক ঝাঁক নক্ষত্রকে নিভতে জ্বলতে দেখা যায়। তখন তার ইচ্ছে করে সেইসব তারাদের সাথে মিতালি করতে। সে তারা হয়ে যায়, ভালোবাসা খুঁজে পায়?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
তব্দা খাইলাম...!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অথবা উল্টোটা ... যাযাবরেরা হয়তো সবকিছু বেশি বেশি ভালোবেসে ফেলে, তাই শ্বাসরোধ হবার আগেই পিঠে ব্যাকপ্যাক ফেলে বেরিয়ে পড়ে...
লন, একটা গান শুনেন -
অট: আপ্নের কোবতে দেখি না ইদানীং বেশি...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তারারা কি তারকা হয়? তাইলে এই ভালোবাসা বাতিলেস্ক।
জিইইনা, তারকা হয়না। তুমি হঠাৎ কোথা থেকে!!!!
তানিম,
সত্যি বলতে কি আপনার "সনাতন, ফিরে এসো মৃত্তিকার বোধ" আমায় চমকে দিয়েছিল। প্রত্যাশার পিলসুজে যখন অনেক আকাঙ্ক্ষা এসে জমা হয় তখন প্রদীপের মাঝে অনেক তারার রোশনাই দেখার আকাশ কুসুম সাধ হয়। আপনি অনেক অনেক অভিনব কল্পনার ঘুড়ি উড়িয়ে আমাদের আকাশে লাল-নীল-দীপাবলি জ্বালাতে থাকুন। অনুজ্জ্বল তারার আলো হাতে নিয়ে ঘোরা আপনার কাজ নয়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
যাযাবরেরা কোনদিন কি কোন পিছুটান মানে, তাদের পিছুটান শুধু ‘যাযাবর’ হিসেবে একটা যাপিত জীবনে যেখানে সে “নোঙর ফেলি ঘাটে ঘাটে, বন্দরে বন্দরে” আর খুঁজে ফেরে তার কোন এক অকাল বোধনে ফেলে আসা “সারেং বাড়ীর ঘাট”. যাযাবর মন আর তার মনমানসিক বোঝে কয়জন? যে বোঝে তারও যাযাবর মন থাকা চাই। যাযাবর মন ঘরে বসেই যেতে পারে ক্রীট দ্বীপ পেরিয়ে জার্ভোস পেনিনসুলার দিকে, যাযাবর মন ইতালি হয়ে পেইন্টিংস এর জগৎ চেনার চেষ্টা করে প্যারিসে, চেনার চেষ্টা করে একজন জন লেননকে, পিংক ফ্লয়েড এর লাইভ কনসার্ট দেখতে দেখতে নিজেকে সে নিয়ে যায় সেই কনসার্টে।
যাযাবর তার “দৃষ্টিপাত” দিকে দিকে দেয়, নিজেকে ছাড়িয়ে যায় বহুদূর। আহা, নিজেকে বোহেমিয়ান ভাবি, বোহেমিয়ান এর মতই ঘুরে বেড়াই (চাকুরীটাই ছুটোছুটির) কিন্তু মন ভরেনা। গত পূর্ণিমায় বৃষ্টি হচ্ছিলো, বৃষ্টিতে সমুদ্র তায় আবার জোৎস্নার আলোয় আলোয় মাখা - কতদিন দেখিনা চর্মচক্ষে, কতদিন সোমেশ্বরীর তীর ধরে হাটিনা, যাইনা হাওড়ের জলে গাঙের শুশুকের মতন জল বেয়ে বেয়ে। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।
আমরা দমবন্ধ হয়ে আসা একটা সময়ের প্রজন্ম, নিজেকে প্রকাশ করতে না পারতে পারতে বেঁেচ থেকেই মরে যাই। এই সচলায়তনে আপনাদের কথোপকথোন, নিজের প্রকাশ আমার বন্ধ হয়ে আসা দরজা জানলা খুলে দিচ্ছে। জমে থাকা ধুলাবালি বৃষ্টির জন্যে থাক!!
সোমেশ্বরী... পিংক ফ্লয়েড... ভাইরে মনটা উদাস করে দিলেন...
চমৎকার মন্তব্যটায় কোবতের থেকেও বেশি
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার তো!!
আরে বাহ!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভালো
ধন্যবাদ!
নতুন মন্তব্য করুন