বেল পাকলে কাকের কী? সক্কাল বেলাতেই শুনিয়া আসা কথাটা রইসের মাথায় ঘুরিয়া চলিছে সারাদিনমান। কাকের চিন্তায় তাহার ক্ষুদ্র হৃদয়ের মূল যেন বিদীর্ণ হইয়া গেল। বেল পাকলে কাকের কী? বেল পাকলে কাকের কী? বেল পাকলে কাকের কী? বলিতে বলিতে তাহার মুখমন্ডল গৌরবর্ণ হইয়া উঠিল। জগৎকে উষ্ণ, ঘুর্ণিমস্তিষ্ক, রক্তনয়ন মাতালের কুজ্বটিকাময় ঘূর্ণমান ব্রহ্ম বলিয়া বোধ হইল।
এ কথার অর্থ কী? কাক কি বেল খায়? মাহবুবের মাথা একবার বেল করিবার প্রাক্কাল সে মাহবুবের মায়ের মুখে বলিতে শুনিয়াছে, ‘গড়ের মাঠে যাইসনারে মাহুইব্বা, দোরা কাউয়ায় ঠোক্কর দিবনে’। উকুনের প্রাদুর্ভাবে রইসের মাথাও প্রায়শ বেল করা হইয়া থাকে। মাদ্রাসার ছোট হুজুর কোন সুযুগে তাহার নগ্নগাত্র দেখিতে পাইলেই ‘গিদর’, ‘খাটাস’ ইত্যাদি বলিয়া গাল দেন। কারন তাহার চেহারা-স্বাস্থ্য অন্যদের মতো নাদুস-নুদুস নয়। তামাটে গায়ের রঙ, হাড় জিরজিরে লিকলিকে দেহ, ফাক-ফাক দাঁতে হাসিলে মাড়ী দেখা যায়, কোটরে ঢুকিয়া থাকা চক্ষুর দৃষ্টি সর্পদৃষ্টি বলিয়া বান্দর পোলাপাইনের সৃষ্ট জনশ্রুতি রহিয়াছে, ‘তদোপুযুক্ত দৃষ্টে কাহার আহ্লাদ হয়’? রইস অবশ্য এসব থোরাই কেয়ার করে। তাহার রেজাল্ট ভালো, এই আট বছর বয়সেই ‘আত্তাহ্যিয়াতু’ সুরা গড়গড় করিয়া বলিয়া যাইতে পারে। বড় হুজুর তাহাকে বিশেষ পেয়ার করেন বলিয়া মাঝে-মাঝেই প্রকাশ পায়। সমস্যা খালি ঐ মাথাটা।
চুল কিঞ্চিত বড় হইলেই তোষা পাটের মত জোরবার হইয়া পরে। বাসা বাধে অজস্র উকুন। যথারীতি মাদ্রাসার হোস্টেলে তাহার সাথে কেহ এক বিছানায় ঘুমাইতে অস্বীকৃতি জানায়। ইহাতে অবশ্য একটা সুবিধাই হয়, হাত-পা ছড়াইয়া রইস বিছানায় একা ঘুমাইতে পারে। ঝামেলাটা হইয়া থাকে সকালে, নামাজে ছোট হুজুরের পেছনে দাড়াইলেও তিনি কী করিয়া যেন রইসের সকল কর্ম অবলোকন করিয়া ফেলেন। টুপির ভিতরে হাত ঢুকাইয়া মাথা চুলকইতেন দেখিলেই ক্ষেপিয়া যান। নামাজ শেষ হইলে শুরু করেন বকা, ‘গিদর কোনডাইলের, খাটাসের মত মাথা লইয়া তর অজু হইছে! এইরাম নালায়েকরে লইয়া নামাজ হয়?’ রইস চোখ পিটপিট করে, কথা বলে না। বড় হুজুর মোহাম্মদ মাযহারের কাছে বিচার যায়, বিচারালয়ে মাযহার হুজুর রইসকে ভালো ছাত্র বলিয়া স্বীকৃতি দেন, তোষা পাট নিয়া তাহাকে চিন্তিত দেখা যায় না। হাজার হউক বালক বড় বড় সুরা মুখস্ত বলিয়া যাইতে পারে, তিনি এ বয়সে পারিতেন না।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না, বজ্জাত ছোট হুজুর প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ছুটিতে বাড়িতে যাইবার সময় রইসের পিতাকে তোষা পাট সাফ করাইবার সুপারিশ করেন। এরপর থেকে প্রতি ছুটিতে বাড়ি আসিলেই মাথা ন্যাড়া করিয়া দেয়া হয়। কিন্তু কই, সেই ন্যাড়া মাথা লইয়া রইস গড়ের মাঠে, পরের উঠানে, খড়ের গাদায় তো কম যায় নাই! কোন দোরা কাউয়া তো তাহাকে জ্বালাতন করে নাই কভু!
যাহা হউক, কাউয়া মহাশয় বেল পাকলে আহ্লাদিত হন কিনা বা বেল খান কিনা সেইটাই আজিকের জ্ঞাতব্য। অনুসন্ধানে প্রথমে সে গমন করিল ফারুকদের বাড়ির উঠোনে, সেথায় খেলা চলিছে সাত-চারা। কুলো, মাহবুব, আরিফ, মেহেদী, সুব্রত, সুমন, ইমরুল, এহসানসহ আরো কয়েকজন টেনিস বল লইয়া চারার ঢিবি ভাঙ্গিতে উদ্যত হইতেছে। ন্যাড়া মাথার রইসকে দেখিয়া তাহাদের বিশেষ ভাবান্তর লক্ষ্য করা যায় না। এরা জানে অকালকুষ্মান্ড রইস নতুন কোন বস্তা-পঁচা ফন্দী লইয়া আসিয়াছে। কোন পাখির বাসা ভাঙ্গিবে, নাহয় সোনা-বিলের ঝকঝকে পানিতে খাড়াইয়া মুতিবে, অথবা কারো ঘরের মুরগী চুরি করিবে। রইস প্রায় যাচিয়াই গেল আরিফের সামনে,
- ‘এই আরিফ, আজকে কাউয়ার বাসা ভাঙ্গতে যাবি?’
- ‘না’।
- ‘তাইলে চল বাউয়া ব্যাঙ্গের ডিম আনতে যাই’?
জবাব দিল মেহেদী,
- ‘না’।
- ধুরু কাউঠ্যার দল, যাহ্, গোয়ামারা খা।
কুলো কহিল,
- তোর মতো মাদ্রাসায় পইড়া তো বড় হুজুরের গোয়ামারা খাই নাই।
তখন রইসের মূর্তি অতিশয় ভয়ংকর হইয়া উঠিল, রোষে তাহার সর্বাঙ্গ আলোড়িত হইয়া গেল। কিয়ৎক্ষণ স্তব্ধভাবে তাকাইয়া থাকিল। স্ফীতজটা সিংহের ন্যায় সে প্রস্থান করিল। কুলোটা সবসময় তাহাকে উল্টা-পাল্টা কথা বলিয়া থাকে, বড় হুজুর তাহাকে আগেই কহিয়াছিলেন, ‘মালাউনের সাথে কখনও সখ্য করিবে না’। সে আর কখনও কুলোর সাথে কথা কহিবে না।
সোনা-বিল পার হইয়া রইস চলিল কাজলী বুড়ীর বাড়ি। এই বাড়িতে আগেরবার মুরগী চুরি করিতে আসিয়া একটি বেল গাছ দেখিয়াছিল বলিয়া মালুম হয়। কাছাকাছি আসিতে সেই গাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করিয়া সে হয় আনন্দিত। বেল পাকার সহিত কাউয়ার সম্পর্ক আজ তাহাকে উদ্ধার করিতেই হইবে। কিন্তু বেল গাছ যে কণ্টকাকীর্ণ! সেথায় চরিতেও বিশেষ বেগ পাইতে হইবে বলিয়া অনুমিত হইতেছে। তাহইলে উপায়? পাশেই রহিয়াছে একটি পেয়ারা গাছ, সেইখান থেকেই বেল গাছে বিচরণকারী কাউয়ার উপর দৃষ্টি নিবন্ধিত করা যাইবে। রইস পেয়ারা গাছে চরিয়া বসিল। কিন্তু মিনিট যায়, ঘন্টা গত হয়, কাক যে বেল গাছে বসে না। রইস হেথা-হোথা চায়, তারের খাম্বায় কাউয়া আছে, আছে বুড়ীর চালে, চালতা গাছেও আছে কতক, শুকোতে দেওয়া জালে। কাউয়াকে কী প্রক্রিয়ায় বেল গাছে স্থানান্তরিত করা যায়? বেল গাছে বেল আছে বটে, কিন্তু পাকা কিনা এ গাছে থেকে পরিস্কার হওয়া যাইতেছে না। ইষৎ এক দাঁড়-কাক আসিয়া পেয়ারা গাছটির মগডালে বসে। একে বেল গাছে পাঠানো যায় কী উপায়ে ভাবিতে থাকে সে। ঢিল ছুড়িলে কোথায় পালায় কে জানে? রইস মতলব করিল পেয়ারা গাছটিকে হাল্কা করিয়া নড়াইলেই দাঁড়-কাক কিঞ্চিত বিরক্ত হইয়া স্থান ত্যাগ করিবে, বোধহয় পাশের গাছেই যাইবে।
সে সামান্ন নাড়া দেয় গাছে। কা কা করে ইতি-উতি তাকানো ছাড়া কাকের পরিবর্তন কিছু পায় না। তারপরে আরও একটু, পরে আরও একটু জোরে গাছটিকে নাঁচাইবার চেষ্টা করে। দোল খাইয়া রইসের চিত্তে নৃত্যানন্দ হয়, এতে ঝরিয়া পরা পাতা বাদ্যযন্ত্রের ন্যায় অঙ্কুরিত করে ছন্দ। মনের মধ্যে মধ্যাহ্নের কিরণ জ্বলিয়া উঠে, চারিদিকের জগৎ পরিলক্ষিত হয় জ্যোতির্ময় বাষ্পের ন্যায়। বিশ্বচরাচর যেন একতন্ত্র হইয়া মুহুর্তের মধ্যে তাহার ক্ষুদ্র হৃদয়টিকে পুষ্পাণ্বীত করিয়া দেয়। কাকের দিকে তাকাইয়া সে দোল খাইতেই থাকে খাইতেই থাকে। ঝুলনের তালে তালে অন্তরে বাজিয়া উঠে মহান সংগীত। সেই সংগীতের মূর্ছনায় প্রস্ফুটিত কুসুম ফাটিয়া ছড়াইয়া পরে দিগ্বিদিক,
“দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়া রে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরা পাতা, পাতাঝরা রে।।”
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
গল্পে ব্যাবহৃত কবিতাটির নাম – ‘দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে'
কবির নাম – ব্রাত্য রাইসু
কাব্যগ্রন্থের নাম – “আকাশে কালিদাসের লগে মেগ দেখতাছি”
- দিগন্ত বাহার
মন্তব্য
অনেকদিন পর সাধু ভাষায় লেখা পড়লাম।
ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
সাধু ভাষার দুটো লেখার বিজ্ঞাপন করে গেলুম।
http://www.sachalayatan.com/kaustubh/34926
http://www.sachalayatan.com/kaustubh/37860
হে হে...গুহ্যতত্ত্ব/নিদ্রাতত্ত্ব দুটোই আগে পড়া, এবং দুটোই অসাধারণ লেখা হইছিল। নিদ্রাতে আমার মন্তব্যও আছে।
ভালই লাগল। 'দোরা কাউয়া'তে দোরা মানে কী?লাফাংএইসমস্ত রাবিশ লিখেও "কবি" হওয়া সম্ভব মনে হয় আমাদের দেশেই।
দশক শ্রেষ্ঠ কবিতার মর্যাদায় অধিষ্টিত করেছেন কেউ-কেউ, বড়ই বেদনা।
লেখাটি গুরুচন্ডালী দোষে দুষ্ট। আরও একটু সচেতন হইতে হবে।
এইরকম ছোট গল্পের শেষে কিছু একটা শিক্ষনীয় থাকা উচিৎ, যা এই লেখায় নাই।
তবে সর্বোপরি লেখাটা ভাল হইছে।
===============
আমি জানি না।
সাধুতে গুরুচন্ডালীর ফাঁদ অতিক্রমে আপনার 'সচেতন হইতে হবে' সাজেশন মনে রাখার চেষ্টা করিব পরবর্তিতে। লেখার শেষাংশের কবিতায় অনেক শিক্ষনীয় ব্যাপার-স্যাপার আছে কিন্তু, খিয়াল করিয়া পড়েন।
কবিতাটি বেশ কয়েকবার পড়লাম, কিছুই বুঝলাম না। মনে হয় আমার প্রসেসর এই কবিতাটি ইন্টারপ্রেট করতে পারছে না।
সেরা কবিতা অনেক অনেক বেশি পঠন, চিন্তন, অণুবীক্ষনে তত্ত্বান্বেশণের দাবি রাখে।
কবিতা কোনটুকু রে ভাই?
শুরুর কাহিনী না মাঝখানের সংলাপ না কি শেষ দিকের লিরিকটা?
হা হা হা...সেরা কবিতার উছলায় আমার লেখাকেও কবিতা ঠাহর করার জইন্যে ধন্যবাদ লীলেন ভাই।
'রে রে' সূচক শব্দবন্ধযুক্ত সুরাশ্রয়ী দোলাকে কবিতা ভাবিতে হইবে।
আরে, আপনি জানেন না মশাই, উহাকেই বলে অনুপ্রাসের দোলা......
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। জানলুম। এবং দোরা কাউয়া কবির কাছ থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় আছে বুঝলুম।
ভালই লাগল। 'দোরা কাউয়া'তে দোরা মানে কী?
ধন্যবাদ।
বাঙ্গালে 'দোরা কাউয়া' মানে হইল 'দাঁড় কাক'।
দাঁড় কাককে বাংলাদেশের কোথাও কোথাও "দোরা কাউয়া" বলে। আলাদা করে দোরা শব্দটার কোনো মানে আছে বলে মনে হয় না। কাক > কাউয়া।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"আকাশে কালিদাসের লগে মেগ দেখতাছি" একটি গুপ্তকেশ কাব্যগ্রন্থ।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দিগন্তঃ লেখাটা পড়ে ভাল লাগল । কবিতাটা আগেও পড়েছি কিন্তু তোমার বা দেবুর গুপ্ত suggestion টা অপ্রকাশিত রয়ে গেছে আমার কাছে। আবার পড়ব কিন্তু তখন কিছুটা ঝিমুনি নিয়ে। লেখায় গ্রাম বাঙ্গালার ছাপটা ভাল লাগল।
নাম না দিলেও বুঝতে পারছি, এটা রাসেল
পড় বেশি বেশি মন দিয়ে। ধন্যবাদ।
এমনিতে আমি কবিতা বুঝিনা - এটাও বুঝিনি। কিন্তু 'ছন্দবদ্ধ' শব্দের এমন 'সুললিত অনুরণন' আগে কোনদিন দেখেছি বলে মনে পড়ে না। কবির নাম আগে শুনেছি কিনা মনে করতে পারছি না, তবে আপনার এই পোস্ট দেখে নেট ঘেঁটে ওনার আরো দু'একখানা 'কবিতা' পড়লাম - মাথায় এমন ধন্ধ ধরে গেছে যে সেটা খুলতে কতদিন লাগবে জানি না - আদৌ খুলবে কিনা তা-ও বা কে জানে। সাহিত্যের এমন এক রত্নভান্ডার কিনা আমার অজানাই ছিলো এতদিন - এই লজ্জা রাখি কোথায়!!!
বলেন কী মশাই?! এ কবির নাম শোনেননি! আপনি তো বঞ্চিত মানুষ হে!!
এ যে শূণ্য দশকের শ্রেষ্ঠ কবি! রত্নভান্ডার খুলে পড়েফেলুন দিকি।
সুজন্দা'র এই পোস্টখানা দেখুন/পড়ুন। অশেষ জ্ঞানের গুহার দরোজা আপনার সামনে খুলে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গুপ্তকেশ কাব্যগ্রন্থ! হাহাহাহাহাহা ..... এই সাতসকালে পেটা ফাটিয়ে হাসতে পারছি, দিনটা খুব ভালো যাবে আজকে .... হাহাহাহাহা .... এই কবি আমাদের গৌরব, তার নামের চাইতে যশ বেশী, আপনারা যারা তার নাম শোনেননি, তাদের জন্য বলছি, তিনি ছবি আকেঁন এবং সেই ছবি দেখলেও তিনি কি বলতে চাইছেন পষ্ট হয়না। আহা! এদের সুমতি হউক!!
প্রতিভাধর পাগলদের চামুন্ডা বাহিনী তৈরী হয়ে গেলে পাগলামীকেই প্রধান উপজীব্য ধারনা করা হয়, তখন আর সুস্থ হবার পথটি থাকে না কভু! অন্তত আমাদের জাতীয় বাস্তবতা তাই বলে।
ধন্যবাদ তানিম এহসান।
নতুন মন্তব্য করুন