বৈদেশিক সাহায্যের রাজনৈতিক অর্থনীতিঃ প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৯/০৬/২০১১ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বৈদেশিক সাহায্য নামক ব্যাপারটির সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। উন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রদত্ত আর্থিক ও দ্রব্য সহায়তাই হলো মুলত বৈদেশিক সাহায্য। সাধারণত ঐসব দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য এইসব সাহায্য প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলো উন্নয়ন ঘটায় কিনা তা নিয়ে তর্কের অবকাশ রয়েছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণের ইতিহাস শুরু হয় স্বাধীনতার কিছুকাল পর হতে। কিন্তু সাহায্যের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে আমাদের একটু পিছনে যেতে হবে। সাহায্য মুলত তিনটি চ্যানেলের মাধ্যমে আসে।এগুলো হলোঃ
১। খাদ্য সাহায্য
২। পণ্য সাহায্য
৩। প্রকল্প সাহায্য

প্রথমেই আসি খাদ্য সাহায্যের ইতিহাসে। ৩০র দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘটে যাওয়া মহামন্দা সম্পর্কে আমারা কম বেশি সবাই জানি। মন্দা থেকে উত্তরণের জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট কৃষিতে দাম সহায়তা কর্মসুচি প্রদানের ঘোষণা দেন।এটি কৃষি পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য কার্যকর উপায় হলেও এই কর্মসূচির ফলে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দুর্দমনীয় আগ্রহ সৃষ্টি করেছিল। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যের বিপুল উদ্বৃত্ত দেখা দেয়। এই বিপুল পরিমাণ খাদ্য ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউএস সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। ফলে পরপর পাঁচ বছর(১৯৫৪-৫৮) খাদ্য আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়। পরবর্তীতে খাদ্য সাহায্য দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। তবে শর্ত ছিল এই খাদ্যের কোন দাম ধরা হবে না শুধু যে দেশ এই খাদ্য নিতে চায় তারা নিজ পরিবহন খরচে সেটা নিয়ে যাবে। পরে শুধু দামই ধরা হলো না এত সব শর্তের নিগড়ে খাদ্যসাহায্য বন্দী হয়ে গেল যে সাহায্য কথাটাই ব্যাঙ্গাত্মক দ্যোতনা সৃষ্টি করল।

পাকিস্তান তার জন্মলগ্ন থেকে মার্কিন মুলকের তাঁবেদার রাষ্ট্র হিসেবে প্রভাবিত ও পরিচালিত হয়ে আসছিল। তাই তাদের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রনয়নের জন্য হার্ভাড গ্রুপ অব ইকোনোমিস্ট কে পাঠানো হয়েছিল বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদানের জন্য। মুলত তাদের সু(!)পরামর্শে পাকিস্তান আমদানী বিকল্পায়ন শিল্পায়ন কৌশল গ্রহণ করে।১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তান খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ ছিল। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও শিল্পায়নের ফলে কৃষিকে অবহেলা ইত্যাদি কারণে কৃষি স্থবির হয়ে পড়ে। মুলত খাদ্য সাহায্য টিকিয়ে রাখার জন্য তারা দেশে দেশে আমদানী বিকল্প শিল্পায়নের প্রেসক্রিপশন দিয়ে বেড়ায়। যখন ঐসব দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয় তখন তারা সাহায্য নিয়ে রাজনীতি শুরু করে এবং public law 480বা PL480 নামে যে শর্তের বহর যুক্ত করে তা রীতিমত সার্বভৌমত্ব লংঘনকারী বলা চলে। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ খাদ্য সাহায্যের আরো মর্মান্তিক রাজনীতির শিকার হয়, যা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। ১৯৭৪ সালে ধানের ফলন ভালো হলেও বন্যার কারনে বাংলাদেশের মানুষ ঐ ফলনের সুফল ভোগ করতে পারেনি। ফলে দেশে খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দেয়। বিপুল পরিমান খাদ্য বিশ্বের বাজার হতে আমদানীর জন্য যে রিজার্ভ প্রয়োজন তা তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির ছিল না। ফলে বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার ইউএস সরকারের কাছে খাদ্য সাহায্য প্রদানের আবেদন জানায়। ইউএস সরকার সাহায্য প্রদানে সম্মত হয় এবং চুক্তি স্বাক্ষরের আগমূহুর্তে বাংলাদেশ কে সাহায্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়েই বলে যে ইউএস সরকারের বিধান অনুযায়ী কিউবার সাথে বাণিজ্যিক বা অর্থনৈতিক লেনদেন আছে এমন কোন দেশকে সাহায্য প্রদান আইনের পরিপন্থী।ঐসময় বাংলাদেশ কিউবাতে পাট রপ্তানি করতো। ঠিক একই সময়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফও যুদ্ধপুর্ববর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক গৃহীত ঋণ-সাহায্যের দায় গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে। বাংলাদেশ সরকার দায় গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে সংস্থা দুটি সাহায্য ছাড় করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর ফলে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ভয়াবহ দূর্ভিক্ষের স্বীকার হয়। পরবর্তীতে সাহায্য পাওয়া গেলেও তা দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় তেমন কোন কাজে আসেনি। কাকতাল হলেও এটি সত্য যে ইউএস সরকার সাহয্য ছাড় করার পর পর ঐসংস্থ দুটোও কোন শর্তারোপ ছাড়াই বাংলাদেশকে সাহায্য প্রদানে সম্মত হয়। বাংলাদেশ এখনো খাদ্য সাহায্যের গ্রাহক। এখন প্রাপ্ত সাহায্যের বেশিরভাগ যায় VGD- VGF, শিক্ষা ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে। যেখানে পেতে রাখা হয়েছে লুটপাটের জাল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী- আমলা থেকে স্থানীয় সরকারের কর্তাব্যাক্তি, দলীয় নেতা কর্মী সবাই এই সাহায্য লূটপাটের ভাগীদার। সাহায্যের বাকি অংশ যায় বাহিনী রেশনে যেগুলো কালোবাজারী হয়ে আবার বাজারেই আসে। অর্থাৎ উন্নয়ন প্রকল্পের গম কিংবা বাহিনী রেশনের গম নাম যাই হোক এটি হলো কালোবাজারীকে আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।

এভাবেই বাংলাদেশ সাহায্যের রাজনীতিতে জড়িয়ে পরে। এখন অবশ্য খাদ্য আর পণ্য সাহয্য প্রাগৈতিহাসিক ব্যাপার হলেও প্রকল্প সাহায্য তার সর্বগ্রাসী থাবা দিয়ে হামলে পড়ছে আমাদের উপর। এই ইতিহাস নিয়ে অন্যদিন লেখার প্রয়াস চালাবো।

দীপাবলি।

রেফারেন্সঃ
১। প্রান্তীয় পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ও অনুন্নয়নঃ প্রসঙ্গ বাংলাদেশ------- মইনুল ইসলাম।
২।Democracy in Crisis-------Masihur Rahman.


মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

লেখার শুরুটা তো ভালই ছিল, কিন্তু শেষে এসে হঠাৎ করেই যেন দীপাবলির দ্বীপ নিভে গেল?

=========
আমি জানি না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

যেহেতু লেখাটি আরো চলবে, তাই সামগ্রিক মন্তব্য করছিনা। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষকে বিশ্লেষণ করতে চাইলে পিএল-৪৮০ আর বন্যার কথা বলেই শেষ করলে চলবে না। দুর্ভিক্ষের কারণ অনুসন্ধানে খাদ্যে সাধারণ মানুষের আয়াসলভ্যতা (accessibility), খাদ্য ক্রয়ের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা (purchase power), খাদ্য মজুতের পরিমাণ ও সেই মজুতের বিতরণ (distribution) কীভাবে হয়েছিলো, সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাস (eating habit) - এ'গুলোর কথাও বলতে হবে। দুর্ভিক্ষ একটি বহুমাত্রিক ব্যাপার, এর কারণও তাই বহুমাত্রিক ও জটিল। একে যান্ত্রিক সরলীকরণ করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা পল্টনের বক্তৃতাতে করা হয়। এখানে সেটা কাম্য নয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

guest_writer এর ছবি

পাণ্ডবদা,

১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষকে বিশ্লেষণ করতে চাইলে পিএল-৪৮০ আর বন্যার কথা বলেই শেষ করলে চলবে না। দুর্ভিক্ষের কারণ অনুসন্ধানে খাদ্যে সাধারণ মানুষের আয়াসলভ্যতা (accessibility), খাদ্য ক্রয়ের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা (purchase power), খাদ্য মজুতের পরিমাণ ও সেই মজুতের বিতরণ (distribution) কীভাবে হয়েছিলো, সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাস (eating habit) - এ'গুলোর কথাও বলতে হবে।

মানছি। কিন্তু আমার মনে হয় এই লেখার মূল বক্তব্য দুর্ভিক্ষ নয়, বরং তথাকথিত বৈদেশিক সাহায্য। দুর্ভিক্ষের বিষয়টা এখানে উঠে এসেছে একটা উদাহরণ হিসাবে। কিন্তু এটা তো সত্য যে ঠিক সময়ে খাদ্য সাহায্য পেলে যুদ্ধ বিধ্বস্থ একটা সদ্য স্বাধীন দেশের পক্ষে দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করা সহজ হত।

নির্ঝরা শ্রাবণ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রায় সব আলোচনাতেই ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের জন্য পিএল-৪৮০ আর বন্যাকে গয়রহ ভাবে দায়ী করা হয়। সেই আমলে বাংলাদেশের বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা ছিলো বটে, তবে তা এতোটা ছিলো না যা এতো বড় একটা disaster তৈরি করতে পারে। খাদ্য মজুতের অপব্যবহার, খাদ্য বিতরণে চূড়ান্ত দুর্নীতির মাছকে বৈদেশিক সাহায্য আর বন্যার শাক দিয়ে ঢাকার চেষ্টাতেই আমার আপত্তি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

M Abdullah এর ছবি

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার চেয়ে আধুনিকতর ধারণা হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা । খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত জরূরী হলে ও রাজনীতিবিদরা স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথাই শুধু বলেন। অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদিত হলেই যে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হবে তা কিন্তু নয়।
১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষ নিয়ে নোবেল লরিয়েট অমর্ত্য সেনের গবেষণা রয়েছে । ভাতের অভাব- দূর্ভিক্ষ এই ধারণাকে পাল্টে দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে ভাতের অভাবে আসলে দূর্ভিক্ষ ঘটে না। বিলি-বন্টন তথা সুশাসনের অভাবই দূর্ভিক্ষের জন্ম দেয়। এ বিষয়টি লেখায় সেভাবে আসেনি । সচলরা বা অন্য পাঠকেরা কেউ কি এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন?

এম আব্দুল্লাহ

guest_writer এর ছবি

ধন্যবাদ এম আব্দুল্লাহ।

আমার লেখার বিষয় বস্তু খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য উৎপাদন নয়। আমি দুর্ভিক্ষকে দেখাতে চেয়েছি বহু আলোচিত ও আকাংখিত খাদ্য সাহায্যে প্রদান রাজনীতির ফলাফল হিসেবে। ১৯৭৪ দুর্ভিক্ষের কারণ ছিল বন্যায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং ফলশ্রুতিতে খাদ্যের দাম আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়া। আয়-সম্পদ ও উৎপাদিত
খাদ্যের সুষম বণ্টন ঐ সময়ে নব্য স্বাধীন হওয়া এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পক্ষে অর্জন করা প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার।

দুর্ভিক্ষ,দুর্ভিক্ষের কারণ এবং এর মাত্রা সম্পুর্ণ ভিন্ন একটি ব্যাপার। অমর্ত্য সেনের অমর লেখনীর কলাণ্যে আমরা কমবেশি সবাই এখন জানি দুর্ভিক্ষ খাদ্যের অভাবে হয়না হয় খাদ্যের উপর মানুষের অধিকারহীনতার অভাবে।

আমি বলতে চেয়েছি খাদ্য সাহায্য রাজনীতি ঐভাবে না গড়ালে হয়তো সেই সময়ে বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষ এড়াতে পারতো। বৈদেশিক সাহায্যের পিছনে সম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর যে নোংরা রাজনীতি তাই আমার লেখার মূল প্রতিপাদ্য। চেষ্টা করব ভবিষ্যতে এটা নিয়ে আর সুশৃংখল ও কাঠামোবদ্ধ বর্ণনা প্রদান করতে।

দীপাবলি

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

ধন্যবাদ, দীপাবলি । আপনার উত্তর এবং ভবিষ্যতের সুশৃংখল ও কাঠামোবদ্ধ বর্ণনা প্রদানের প্রত্যয় উভয়ের জন্যই ধন্যবাদ। তবে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে না পারলে এই খাদ্য সাহায্য রাজনীতি থেকে আমরা বেরোতে পারবো না।
৭৪ সালতো অনেক আগের কথা । সেদিনকালে ভারত আমাদের চাল সংকটের সময় চাল রফতানির কথা দিয়ে কথা রাখেনি । আমেরিকা যেমন আইনের দোহাই দিয়েছিল, ভারতও তাদের হাইকোর্টে করা এক রীটের দোহাই দেয়। সুতরাং, আমাদের নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিজেদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে ।
বৈদেশিক সাহায্য যে একেবারে কাজের না তা বলা কিন্তু বাড়াবাড়িই হবে । রাজনীতিবিদ এবং আমলারা বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণের ব্যাপারে দেশের স্বার্থ কে প্রাধান্য দিলে হয়তো বৈদেশিক সাহায‌্য নিয়ে এত বিতর্ক হয়তো হতোনা ! কি বলেন ?

এম আব্দুল্লাহ

guest_writer এর ছবি

আপনি ঠিকই বলেছেন এম আব্দুল্লাহ। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে না পারলে আমরা খাদ্য সাহায্য রাজনীতি থেকে বের হতে পারব না। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী কৃষি ও ভূমি সংস্কার কর্মসূচি।যেটা আমরা স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও কোন এক অদৃশ্য সুতোর টানে করতে পারিনি। সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায়ও এটি নেই। কৃষিতে দাম সহায়তা কর্মসূচিকে প্রায় প্রতিটি সরকারের আমলেই হয় দুর্বল নয়তো অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে।

ভিয়েতনাম, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, চীন, মালয়েশিয়া সহ আরো অনেক গুলো দেশ সফল ভূমি ও কৃষি সংস্কারের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করেছে। East Bengal State Acquisition and Tenancy Act প্রণীত হওয়ার পর ১৯৫০ সালে একবার এটা প্রয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও আইনটি আলোর মুখ দেখেনি।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরও বহুবার এটি নুতন ভাবে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

বৈদেশিক সাহায্যের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ হলো------- সাহায্যের পুরো ব্যাপারটাই এখন প্রাগৈতিহাসিক। এখন সাহায্যের নামে যা আসে তা হলো শর্তযুক্ত ঋণ। কোন প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য সাহায্য প্রদান করা হলে সেখানে এমন সব শর্ত যুক্ত থাকে যা রীতিমত অপমানজনক ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরুপ।
ভবিষতে এধরনের কিছু প্রকল্পের উদাহরণ দিব।

দীপাবলি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।