আমার বন্ধু সনেট কিছুদিন আগে 'শেলটেক ক্যাম্পাস হিরো' নামের এক রিয়েলিটি শো তে অংশ নিয়েছিলো। শো এর উদ্যোক্তা চ্যানেল আই। বলতেই হবে, চ্যানেল আই'র হাতেগোনা কিছু ভালো উদ্যোগের মধ্যে এটি একটি। তো, বন্ধুত্বের খাতিরেই হোক আর জমাট সন্ধ্যায় রিমোট নিয়ে গুঁতোগুঁতি করতে করতেই হোক, এই প্রোগ্রামের বেশ কয়েকটি পর্ব দেখবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। শুরুর দিকের কোন এক পর্বে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার দারুণ একটি কথা বলেছিলেন। নিজের ভাষায় বলছি। দুধ পুষ্টিকর খাদ্য। যে জন্যে মানুষ শখ করে দুধ খায় না। গোয়ালাকে সেই দুধ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিলি করে আসতে হয়। এদিকে, মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেই এর প্রতি মানবজাতির আকর্ষণ এতো প্রবল। যার জন্যে শুঁড়িখানায় জায়গা পাওয়া যায় না।
এতোগুলো কথা বলার পেছনে সামান্য ইতিহাস আছে। সাম্প্রতিককালে তেল-গ্যাসের বিলিবণ্টণ নিয়ে আমরা টোকাইরা যে আন্দোলন শুরু করেছি, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে আমাদের বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী সমাজের নীরবতা। আমাদের এখানে বিশিষ্ট মডেল-অভিনেত্রী *ভা'র ভিডিও বের হলে তা ফেসবুকে শেয়ার দেয়া লাগে না কিংবা ইউটিউবেও আপলোড করা লাগে না। দৈব শক্তির সাহায্যে তা পৌঁছে যায় আমাদের অলিতে-গলিতে, ক্ষুদ্র গ্হকোণে, ভরাট মজলিসে। অথচ একটা লোক দেশের সম্পদের ন্যায্য অংশ নিজেদের কর্ত্ত্বে রাখার জন্য দিনের পর দিন খেটে মরছে, বিদেশী কোম্পানির সাথে চুক্তির খুঁটিনাটি জলের মত সহজ করে বলছেন---তার ভিডিও লাখোবার শেয়ার দেবার পরও সুধী সমাজের কাছে পাত্তা পায় না। দে হ্যাভ আদার ভিডিওজ টু ওয়াচ।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিশ্বাস আমরা অনেক আগেই হারিয়েছি। বরাবরের মতই এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়েও এক দল ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যস্ত, আরেকদল ক্ষমতায় যাবার জন্য নিরন্তর কান্নাকাটি হল্লাহাটি করে বেড়াচ্ছে। যে জন্যে রাজনীতি বোঝে না, অর্থনীতির মারপ্যাঁচ বোঝে না, এমন সব টোকাইকেই আজ দেশের সম্পদ রক্ষায় মাঠে নামতে হচ্ছে। সুধীজনে বলেন, তোমরা আন্দোলন কর। কিন্তু হরতাল দিয়ো না। আমরা বলি, হরতালের বিকল্প দ্যান, আমরা সেই পথেই হাঁটোবো। এক সুধী বললেন, যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারি এই চুক্তির সাথে জড়িত আছে, আপনারা তাদের অফিস থিক্যা বাইর হইতে দিয়েন না। আমরা আবারো ধন্দে পড়ে যাই। এইটা তো সিভিল রাইটের লঙ্ঘন।
আগেও বলেছি, আবারো বলছি, আমাদের দাবি সামান্যই। আপনারা চুক্তিটি প্রকাশ করুন। আমরা সত্যের মুখোমুখি হতে চাই। কেউ কেউ বলছেন, এর আগে তো কোন জ্বালানী চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় নি। এর জবাবে আমরা বলবো, "লাইফ ম্যায় বহোত কুছ ফার্স্ট টাইম হোতা হ্যায়, বস।" গতকালকের তুলনায় জনগণ আজ অধিক সচেতন। তাদের একটা কিছু বুঝ দিলেই তারা চুপচাপ ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে পূর্ণদ্যোমে চোথাবাজি শুরু করবে---এমনটা মনে করবেন না। দশ বছর আগে হলে সমাজতান্ত্রিক কিছু ছাত্রনেতা ছাড়া কেউ টার্ম ফাইনালের পড়া বাদ দিয়ে পিএসসি বুঝতে উঠে পড়ে লাগতো না। আজ যখন এ্যালবাম আকারে পিএসসি'র নোংরা দিকগুলো আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে, আমরা চাইলেও চোখ বন্ধ করে রাখতে পারি না। এর প্রণয়নকারীদের প্রতি ঘ্ণায় আমরা জ্বলে উঠি, এর বাস্তবায়নের প্রতিবাদে হয়ে উঠি সংহত।
ইসলামের প্রতি যদি কারো এলার্জী না থাকে, তবে কিছু কথা বলি। ইসলামে দুর্বল ঈমানের চমৎকার পরিচয় দেয়া হয়েছে। আমার সামনে একটী অন্যায় হচ্ছে, কিন্তু আমি একে নিজের শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে প্রতিহত করতে পারছি না কিংবা অন্যায়কারীকে অন্যায়ে নিষেধও করছিনা---তখন আমি মনেপ্রাণে অন্যায়কারীকে ঘ্ণা করবো। আমার ঈমান যথেষ্ট দুর্বল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিংবা জ্বালানী মন্ত্রীকে সাহস করে বলবো, "কি চুক্তি করছেন, দেখান"---এতোটা পৌঁছ আমার নেই। যাদের আছে, যাদের লেখনী স্বয়ং রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে, উপস্থিত মুহূর্তে তাদের কাউকে বিষয়টা নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
এবং একটি সুখবর
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এ আন্দোলনের সাথে একাত্নতা ঘোষণা করেছে। তারা নিজেদের ভিন্ন ভিন্ন পারিবারিক পরিচয় মুছে ফেলে এক 'টোকাই' পরিচয়ে নিজেদের চিহ্নিত করেছে। এবং আগামী ৩ তারিখের হরতালের সমর্থনে ক্লাস বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের জন্য সুখবর। আন্দোলনের ঢেউ তরুণ সমাজকে ধীরে ধীরে হলেও স্পর্শ করছে। এখন শুধু একটাই প্রার্থনা, দেরি না হয়ে যায় আবার। আমি অপদার্থ হলেও মোটামুটী ভয়হীন মানুষ। এখন শুধু একটাই ভয়, আজকে যদি সবাই মিলে একটা অন্যায় হতে দেই, আমাই আমার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুখ দেখাবো কীভাবে?
লিঙ্কঃ
১। গ্যাস রপ্তানীর পাঠ
২। আনু মুহম্মদের ইন্টারভিউ
৩। টোকাই কথন---প্রারম্ভিকা
---আশফাক আহমেদ
মন্তব্য
কিন্তু এই হরতালের ব্যাপারে এখনও, শুধু আমার নয়, অনেকেরই মিশ্র অনুভূতি রয়েছে। পুরোপুরি সমর্থন করতে পারছি না। দ্বিতীয় লিংকে তো কিছু নেই দেখতে পাচ্ছি।
হরতাল ব্যাপারটা আমি খুব একটা মেনে নিতে পারিনা। খোমাখাতায় একটু খচখচানি নিয়েও তাই সমর্থন জানিয়েছি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মিছিল, মিটিং করব, সব উচিতাছে কিন্তু হরতালের সক্রিয় সমর্থন দেওয়া যায় কি না? যদি হরতালে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা(ভাংচুর/হত্যাকাণ্ড) ঘটে তবে তার দায়ভার কিছু অংশে বাপ্রবি/শাপ্রবি এর উপর এসে পড়বে কি না?
হরতাল কী পরিমাণ দেশের অর্থনীতি তথা সকল কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষতিকর তা বোধ করি উল্লেখের প্রয়োজন নাই। হরতাল কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, তা ১২ ঘণ্টাই হোক আর ৬ ঘণ্টাই হোক, হরতাল শুনলেই লোকজন ঘর থেকে বের হবে না, দেশ স্থবির থাকবে- তা বিএনপি/আওয়ামী লীগ/আমিনী/জাতীয় কমিটি যেই দিক, জাতীয় কমিটি থেকে অসহিংসতার নিশ্চয়তা দিলেও সাধারণ মানুষ বের হবে না! তবু আর কিছুতেই যখন প্রতিবাদ করে সরকারের টনক নড়ানো যাচ্ছে না তখন হরতাল দিল- আপাতভাবে মেনে নিলাম। কিন্তু বাপ্রবি/শাপ্রবির ছাত্রছাত্রীরা সবকিছুর কার্যকরী সমর্থন দিতে পারে কিন্তু হরতালের সক্রিয় সমর্থন না দিলেই কি নয়? উদ্দেশ্য কি নিজের গ্যাস নিজের কাছে রাখা নয়? হরতালটাই বড় ইস্যু হয়ে যাচ্ছে কি না? 'হরতাল সমর্থন করছি' শুধু এ অংশটুকু ছাত্ররা তাদের প্রচার/প্রচারণা থেকে বাদ দিলে আরো দেশাত্মক-যৌক্তিক-ভব্য হয় কি না?
ব্যক্তগতভাবে আমি হরতাল সমর্থন ব্যতিরেকে অন্যকিছুতে আছি, থাকবো! সরকারের যথাশীঘ্র বোধোদয় হোক, আমাদের উদ্দেশ্য পূরণ হোক- এই শুভ কামনা রইল!! এগিয়ে যাও- আছি।
আন্দোলনটা কি তেল-গ্যাস বাঁচানোর আন্দোলন? নাকি, আমাদের শিক্ষিত দুলালদের "টোকাই" হওয়ার আন্দোলন? বিগত কয়েকদিনের "টোকাই-মুখী" প্রচারণার রেশ ধরে বলতে বাধ্য হচ্ছি আন্দোলনের হুজুগ এখন "টোকাই" হতে চাওয়াতেই বেশী ঘুর-পাক খাচ্ছে। বিশেষ করে, অনেকে "টোকাই" হতে পেরে যে ভাবে ৩২ বের করে ভেটকি মারে ইদানীং, তাতে মনে হয় "টোকাই" হতেই তাদের এত অপেক্ষা, এত প্রচারণা!
@আবাল জনতাঃ টোকাই হওয়াটা এখানে মুখ্য নয়। আপনি পিএসসি'র নীতিমাল পড়ুন। পড়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন, এর ভিত্তিতে গড়ে ওঠা চুক্তিটি দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে না খারাপ হবে, তারপর নিজেই সিদ্ধান্ত নিন---কী করবেন। আমরা কাউকে টোকাই হবার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি না---যারা টোকাই'র দলে নাম লিখিয়েছে তারা স্বপ্রণোদিত হয়েই লিখিয়েছে
আন্দোলন করব, প্রচারণা চালাবো, তবে "টোকাই" হবার বাগড়াম্বরতা করবার ইচ্ছে নেই। আর হরতালই বা কেনো? হরতালে ক্ষতি শুধুমাত্র দিন-এনে-দিন খাওয়া মানুষগুলোর। আমরা শিক্ষিত-মধ্যবিত্তরা হরতালে ইলিশ আর ভূনাখিচুড়ীর মেনু তৈরী করে দিন উদযাপন করি! আর দুপুরে খাওয়ার পর ভাত-ঘুম এবং সম্ভব হলে, হলিউডি বা বলিউডী একটা মুভি। কি লাভ এসব প্রতারনা করে।
চলেননা ভাই, আমরণ অনশন শুরু করি, সংসদভবন এলাকায়; ঐ যে আন্না হাজারের মতন। তেল-গ্যাস বাঁচানোর জন্য একটি মঞ্চ তৈরী করি মুক্তাঙ্গনে। প্রতিবাদীদের পদচারণায় যেটি মুখর থাকবে সবসময়, যেখান থেকে চুক্তির ধোঁয়াটে অংশগুলো নিয়ে প্রচার-প্রতিবাদ চলবে অনবরত। হরতাল না করেও দাবি আদায়ের কার্যকরী প্রতিবাদের কোন রাস্তা যদি এতগুলো শিক্ষিত মাথা বের করে না আনতে পারে, তবে তা সত্যিই দুঃখজনক।
যাহোক, আন্দোলনের স্পিরিটে সমর্থন, তবে টোকাই হবার বিলাসীতা বা হুজুগ এবং হরতাল জাতীয় যে কোন কিছুতেই আমার অনীহা।
মন্ত্রী মহোদয় যে জাতীয় কমিটিকে টোকাইদের সংগঠণ বললেন সেই বিষয়ে আপনি কী বলেন?
অজ্ঞাতবাস
জিপসীদের কারাভান দেখেছেন? জিপসীদের কারাভানে অন্য অনেক প্রাণীর সাথে কুকুরও থাকে। অন্য প্রাণীরা চুপ থাকলেও কুকুরগুলো কারণে-অকারণে ঘেউ ঘেউ করে সবসময়, তাই বলে কিন্তু জিপসীদের গাড়ি কখনও থেমে যায়না। (এনালজিকে বিবেচনায় ধরুন, অবশ্যই আমি কাউকে কুকুর বলছিনা)। মন্ত্রী আমাদের আইজুদ্দিন, সামচু নাকি টোকাই বা কিছু একটা বললো, সেই "কিছু একটা বলাকেই" আন্দোলনের অন্যতম স্পিরিট বানিয়ে ফেলাকে আমি ঠিক পছন্দ করছিনা।
অতীতের বিভিন্ন যৌক্তিক আন্দোলনেও সরকার পক্ষের দেওয়া নানান উপাধি, অপবাদ এসেছে তবে সেসব শব্দ ও উপাধি নিয়ে এতটা মাতম দেখিনি। কিন্তু টোকাই শব্দের সাথে কি এমন আছে সেটাই এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছিনা!
যা হোক, আশেপাশে অনেককেই দেখছি যে তারা টোকাই হতে পেরেই চরম খুশী, দেখে মনে হচ্ছে সম্ভবত টোকাই হবার জন্যই তারা এতদিন অপেক্ষা করেছে! আর আমার মন্তব্য এধরণের অবজারভেশান দ্বারাই প্ররোচিত।
টোকাই হইয়া খুশী হইলে আপনার সমস্যা কী?
অজ্ঞাতবাস
টোকাইদের সাথে আছি। দেশটাকে দ্বিতীয় নাইজেরিয়া বানাতে দেব না।৩ তারিখ হরতাল,কিন্তু আজকে থেকেই শুরু হোক সাইবার আন্দোলন।
ইউটিউবে আনু মোহাম্মদের তিন নম্বর ভিডিওর ৬-৩৫ মিনিট থেকে পি এস সি তে গ্যাসের বদলে পেট্রলিয়াম শব্দব্যাবহারে অসুবিধা দেখেছেন। তারপর পেট্রবাংলা নিয়ে কিছু ভবিষ্যতবানী করেছেন। পথ আন্দোলনের ভিত্তি যদি এই বক্তব্যগুলোকে অবলম্বন করে হয়, তাহলে বলতে হবে অন্তত বুয়েট থেকে কিছু প্রকৌশলীকে আপনার দলে টানুন। আন্তাজ অনুমান ও আবেগের বশবর্তী থেকে আন্দোলনের বয়েস ১০ বছর পার করা গেলেও, তার ওজন কিন্ত বাড়বেনা।
পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের কাজকর্মের সাথে বহুদিন ধরে যুক্ত ছিলেন এমন একজন শিক্ষক বুয়েটের অধ্যাপক ডঃ নুরুল ইসলাম স্যার এই আন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত এই নিয়ে উনার সাথে আমরা ছাত্ররাও কথা বলেছি। এছাড়াও প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির আহবায়ক এছাড়াও আছেন কল্লোল মোস্তফার মত অনেক প্রকৌশলী, আন্দোলনে নেমে দেখছি বুয়েটের অনেক শিক্ষকই জানেন চুক্তিটা কতটা খারাপ কিন্তু তারা সামনে এসে মুখ ফুটে কিছু বলতে রাজী নন, শিক্ষকদের গেল এই অবস্থা আর ছাত্ররা তো এতদিন মনে করত যে তেল গ্যাস নিয়ে তাদের ব্রেইন ওয়াশ করা হয় এতে তাদের মূল্যবান সময়ের অপচয় হয়, কাজেই অনেক প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই আনু মুহাম্মদদের এই আন্দোলন চালাতে হয়, তার উপর পত্রিকার পাতায়ও কোন খবর আসে না । কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া বিশাল লংমার্চ এর খবর কয়জন জানে বলতে পারেন , প্রকৌশলীদের তো টেনে টেনে দলে ভেড়ানো যাবে না, এইটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয় যে দুধের লোভে মাছিরা সব এসে পরবে, মানুষ নিজ থেকে না জাগলে কিছুই হবে না।মানুষের সচেতন হওয়া আনু মুহাম্মদের জন্য যতটা না জরুরী তার চেয়ে জরুরী এই দেশের জন্য দেশের ভবিষ্যতের জন্য। আর সেই ক্ষেত্রে এই ইস্যুটিকে ধরে আমরা যারা বিষয় গুলো বুঝতে পারছি তাদের সামনে এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি ।
নতুন মন্তব্য করুন