কিছু ওয়েব-সাইট আর ফেইসবুকের কল্যাণে লাখো মানুষের কাছে একটা তথ্য পৌঁছে গেছে যে সেল ফোন ব্যবহার করে গোপন ক্যামেরা সনাক্ত করা সম্ভব। ঐখানে যেভাবে সনাক্তকরণের কথা বলা হয়েছে সেটা টেলিকম এ পড়াশোনা করা একজন হিসেবে আমাকে বেশ ভাবালো। সেই থেকে আমি, আমার বন্ধু পার্থ আর আবরার মিলে এই লেখাটা দাঁড় করালাম। আশাকরি অনেকের কাজে লাগবে।
ঐ লেখাগুলোতে দেখানো হচ্ছে যে আরএফ ফ্রিকোয়েন্সি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তারবিহীন ক্যামেরা্র কারণে সেলফোন থেকে ফোন করা যায় না।
ব্যবহৃত তারবিহীন গোপন ক্যামেরাগুলোর অধিকাংশতেই ক্ষেত্রেই ২.৪-২.৫ গিগা হার্জের আর এফ সিগনাল ব্যবহার করা হয় যা সাধারণ সেলফোনের মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব হবার কথা না।
বাংলাদেশে (এবং বিশ্বের অধিকাংশ দেশে) প্রচলিত সেলফোনগুলো GSM-900 এবং GSM-1800 ব্যবহৃত হয়। GSM-900 এর ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডঃ সেলফোন থেকে বেইজ-স্টেশনে পাঠাতে ৮৯০-৯১৫ মেগা হার্জ আর বেইজ-স্টেশন থেকে সেলফোনে ডাটা গ্রহণ করার সময় ৯৩৫-৯১৫ মেগা হার্জ। অন্যদিকে GSM-1800 এর ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডঃ সেলফোন থেকে বেইজ-স্টেশনে পাঠাতে ১৭১০-১৭৮৫ মেগা হার্জ আর বেইজ-স্টেশন থেকে সেলফোনে ডাটা গ্রহণ করার সময় ১৮০৫-১৮৮০ মেগা হার্জ।
ফলে গোপন ক্যামেরার ফ্রিকোন্সির জন্য সেলফোনের ফ্রিকোয়েন্সি ব্লক হয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, খুব একটা ইন্টারফেয়ারেন্সেরও সুযোগ নেই। তাই ঐভাবে সেলফোন দিয়ে আরএফ ফ্রিকোয়েন্সি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গোপন ক্যামেরা সনাক্ত করা সম্ভব না।
এভাবে যেখানে সেখানে গোপন ক্যামেরাগুলো কেন বসানো হয়?? কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষার্থে এভাবে নজরদারি করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে খারাপ উদ্দেশ্যে। তাই এগুলো বসানো হয়ে থাকে মেয়েদের বাথরুমে, ট্রায়াল রুমে, হোটেল, এমনকি কখনো কখনো লোকজনের বাসাতেও। মূল উদ্দেশ্য মেয়েদের শরীর আর নারী-পুরুষের অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো ধারণকরা, সেগুলো নিয়ে কাউকে হেয় করা, ব্যবসা করা।
গুগলে ‘victim by hidden camera’ লিখে খোঁজ করলে তৎক্ষণাৎ পাওয়া যাবে ৩৬ লাখ ওয়েব-সাইট লিঙ্ক, ৩৬৪ টি ভিডিও এর লিঙ্ক। আর ‘hidden camera in girls toilet’ লিখে খোঁজ করলে পাওয়া যাবে ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ওয়েব-সাইট লিঙ্ক, ২৫৪ টি ভিডিও এর লিঙ্ক। এর থেকেই গোপন ক্যামেরার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
অনেক ধরণের ক্যামেরা আছে যা এসব কাজে ব্যবহৃত হয়। আগেকার দিনের ক্যামেরাগুলোর আকার বড় ছিল বলে অনেক সহজেই তা ধরা যেত। কিন্তু আজকাল ইলেকট্রনিক্স এর বিপ্লবে এদের আকার এত ছোট হয়ে গেছে যে সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব না। তার উপর এখনকার এই ক্যামেরাগুলো সাধারণত তারবিহীন হয়ে থাকে এবং আকার এত বেশি ছোট হয় যে অনেকসময় খালি চোখে এদের অস্তিত্ত্ব নির্ণয় করা অসম্ভব।
এবার একটু জেনে নিই যে কীভাবে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন আর এর থেকে প্রতিকারে উপায়ই বা কী –
১) অনেক সময় বিশেষ কারো প্রতি নজর রাখতে কারো বাসাতেই গোপন ক্যামেরা বসাতে পারে। সাংবাদিকেরা সেলিব্রেটিদের বাসায় এই কাজ করতে পারে, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কাউকে হেয় করতেও এই কাজ করতে পারে। আবার অনেক সময় সন্দিহান স্বামী/স্ত্রী বাসাতে বসে তার স্ত্রী/স্বামী কী করছে তা জানার জন্যো করে থাকতে পারে।
এ কাজের জন্য ক্যামেরা বাসার যেকোন জায়গাতেই বসানো হতে পারে। তাই সোফার কোণা, ঘড়ি, টেলিভিশন, ফ্যান এর মতন জায়গাও সন্দেহের বাইরে না। এসব জায়গাতে চোখে পরার মতন কালো দাগ দেখলেই তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
বাসার সব কিছু ঠিক জায়গাতে আছে কিনা কিংবা নতুন কিছু দেখা যাচ্ছে কিনা তাও দেখে নেওয়া উচিত। অনেকে অভিনন্দন জানাতে ফুলের বুকির মাঝেও ছোট্ট একটা ক্যামেরা লুকিয়ে রাখতে পারে। তাই সাবধান!!
ঘরের বাতি নিভেয়ে এলইডি থেকে নির্গত হয় এমন ক্ষুদ্র লাল সবুজ আলো খুঁজে দেখা উচিত। বেশিরভাগ ক্যামেরার মাইক্রফোনের পাওয়ার অন করার পরপরই পাওয়ার অন ইনডিকেটর বাতি জ্বলে ওঠে। অনেকে ক্যামেরা স্থাপন করার সময় এই ফিচার বন্ধ করতে ভুলে যায়। এতে সহজে অন্ধকার জায়গায় ক্যামেরা সনাক্ত করা যায়। সাথে রুমে থাকা আয়না এবং জানালার কাঁচ গুলো ফ্ল্যাশ লাইট দিয়ে চেক করে নেয়া উচিত। সম্ভব হলে কিছু দিয়ে স্বচ্ছ কাঁচ ঢেকে দেয়া উচিত।
অনেক ক্যামেরা আছে মোশন সেন্সিটিভ। যখন ক্যামেরা ভিডিও ধারণ করে তখন এর থেকে হালকা শব্দ নির্গত হয়। তাই সতর্কতার সাথে খেয়াল করে দেখা দরকার যে কোন শব্দ পাওয়া যাচ্ছে কীনা।
২) গেষ্ট হাউস বা আবাসিক হোটেলে ওঠার আগে যদি সম্ভব হয় সাথে একটি আরএফ সিগনাল ডিটেক্টর (RF signal detector) বা ক্যামেরা ডিটেক্টর সাথে কিনে রাখতে পারেন। এটি আকারে ছোট বহন করতে সুবিধা এবং খুব বেশি দামিও না। আরএফ সিগনাল ডিটেক্টর দিয়ে সম্পূর্ণ সার্চ করা যায় এবং কোন ধরনের বিশেষ সিগনাল সনাক্ত হলেই ডিটেক্টর সিগনাল দিয়ে সতর্ক করে দিবে।
কিছু কিছু হোটেলে ডুয়েল মিরর বসানো থাকে। ডুয়েল মিররের উল্টো পাশ থেকে আয়নার এপাশের সব কিছুই পরিষ্কার দেখায় যায় সাধারণ কাঁচের মতো। কিন্তু এপাশ থেকে দেখলে এটাকে একটা সাধারণ আয়না ছাড়া কিছুই মনে হবে না। অনেক গেস্ট হাউসে এই ডুয়েল মিররের উল্টোপাশে ক্যামেরা বসিয়ে কাপলদের ক্লিপ রেকর্ড করা হয়। তাই হোটলে বা গেষ্ট হাউসে থাকা আয়নাগুলো সঠিকভাবে চেক করে নেয়া উচিত।
আয়নার উপর একটা আঙ্গুল রাখুন। আপনার আঙ্গুল আর আয়নায় আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের মাঝখানে যদি কোনো ফাঁক না থাকে (মানে দুটো আঙ্গুলের মাথা যদি একেবারে একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে) তাহলে বুঝবেন এটা ডুয়েল মিরর। আর যদি মূল আঙ্গুল এবং আয়নার আঙ্গুলের মাঝে একটু ফাঁক থাকে (মূলত আয়নার থিকনেসের সমান) তাহলে বুঝবেন এটা একটা সাধারণ আয়না।
৩) মহিলারা যারা জিমে যান তাদেরকে জিমের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় এবং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহারের আগে সঠিকভাবে চেক করে নেয়া উচিত। আশেপাশে পরে থাকা জিম ব্যাগগুলো চেক করে নিলে ভাল হয়। কারন আজকাল জিম ব্যাগ নামক হিডেন ক্যামেরা বাজারে এসেছে। এতে অতি ক্ষুদ্র ক্যামেরা লাগানো থাকে।
তাছাড়া মেয়েরা যখন কাপড় কিনতে গিয়ে ট্রায়াল রুমে কাপড় বদলে দেখেন কিংবা বাইরের কোথাও অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়লেটে যান তখন সে জায়গাটি খুব ভালো করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন। চারদিকে চোখে লাগার মতন কিছু দেখা যায় কিনা, কোন ছোট কালো কিছু দেখা যায় কিনা। সাথে কাপড় বদলের পূর্বে ট্রায়াল রুমের আয়নাটিও পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন।
৪) বর্তমান টিনেজারদের মাঝে সাইবার ক্যাফেতে বসে মেইক-আউট করার প্রবণতাও দেখা যায়। অনেক সাইবার ক্যাফের লোকেরা সেখানে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে রাখেন এবং অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো ধারণ করে ওয়েব-সাইটে ছেড়ে দেয় কিংবা ব্যাক্মেইলিং এর কি হিসেবে ব্যবহার করে। তাই টিনেজারদের এই ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকা উচিত।
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি এতটা এতটা এগিয়ে যাচ্ছে যে ক্যামেরাগুলো দিনকে দিন সনাক্ত করা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। তাই সকলেরই উচিত সাবধানে থাকা। পার্ক কিংবা রেস্টুরেন্টে নিজেদের সংযত রাখা এবং নিজের পোষাক ঠিক আছে কিনা সেইদিকে খেয়াল রাখা। অপরিচিত কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া উচিত না। ফেইসবুকে নিজের ছবি গুলো সঠিকভাবে প্রাইভেসি দিয়ে সংরক্ষণ করা উচিত।
গোপন ক্যমেরার মাধ্যমে কারো উপর নজর রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। পশ্চিমা দেশগুলো এসব ব্যাপারে অনেক সচেতন হলেও আমাদের মতন দেশে আইন থাকলেও সে আইনের কোন প্রকার প্রয়োগ নেই। তাই নিজের সম্মান বাঁচাতে নিজেকেই যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
----------------------------------------------------------------
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
মন্তব্য
খুব প্রয়োজনিয় লেখা। এই লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
একটা ব্যপার বলি, প্রেমিক প্রেমিকা থেকে সাবধান। মানুষ স্বাভাবিকভাবে প্রেমিক/প্রেমিকাকে সবচাইতে বিশ্বস্থ প্রাণি ভাবে! কিন্তু ভালুবাসা ব্যপারটা আসলে সেরকম ভালু না! প্রেমিক/প্রেমিকারাই বড়ো রকমের হারামি হয়ে দাঁড়ায় এবং সর্বনাশটা করে! তাই যতোই প্রেম থাক আর যতো গভীরই সম্পর্ক হোক, নো ক্যামেরা/নো ছবি!
আরো পর্ব ছাড়ুন। আরএফএল সিগনাল ডিটেক্টর কিভাবে ব্যবহার করে? কোথায় পাওয়া যায় কিনতে? আরো কিভাবে কিভাবে গোপন ক্যামেরা পরীক্ষা করা যায়? আরো বিস্তারিত জানান।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হুম, এই ব্যাপারে কেউই বিশ্বাসী না। তাই যতটা সম্ভব সাবধানী হওয়া উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে না জড়ানো।
আরএফ ডিটেকটর এখানে পাওয়া যায় না বললেই চলে। আগামীতে আরেকটা পোস্ট দিবো এই ব্যাপারে। সেখানে এই ডিটেক্টর এবং এর ব্যবহার নিয়ে বিশদ লিখবো।
ধন্যবাদ।
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
----------------------------------------------------------------
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
বিবাহ জনিত আর বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের সঙ্গে লুকানো ক্যামেরার সম্পর্ক কী!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভালোবাসা থাকবে, সম্পর্কে জড়াবে, বিবাহ জনিত/বহির্ভূত'র কথা আসছে কেন বুঝলাম না?! শুধু সচেতনতা দরকার, আর দরকার বিশ্বস্ততা!!!
দরকারী পোস্ট।
অলস সময়
ধন্যবাদ।
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
----------------------------------------------------------------
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
এই ধরণের হিডেন ভিডিও ক্লিপিং যারা করে তাদের নিম্নশ্রেণির মানসিকতা আর নৈতিকতার চরম অবক্ষয় সত্যই ন্যাক্কারজনক!!! সচেতনতা ছাড়া আসলেই উপায় নাই।
আর টিনেজারদের বলছি- তোদের যত্রতত্র মেইক-আউট ফেইক-আউট করার কী দরকার রে বাবা!!! পড়াশোনা কর্, পুরোপুরি শেষ হলে পরে ম্যাচিউরিটি আসলে যা খুশি কর্(তবে কথা হল যথার্থ শিক্ষিত হলে আর পরিণতবোদ্ধা হলে অপ্রয়োজনীয়/যা খুশি তা আর করতে ইচ্ছা করবে না!! সমাজ-পরিবার-নৈতিকতা সবকিছুর উপর একটা দায়িত্ববোধ চলে আসবে!) সো একটু রয়ে সয়ে!!!
নো অফেন্স। কিন্তু আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারার অর্থ বুঝলাম না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাইয়া, আসলে টিনেজারদের উদ্দেশ্যে বললাম- যত্রতত্র মেইক-আউট না করে ফেলতে! সাথে নিজো কিছু চিন্তাভাবনাও বলেছি। আমার কাছে মনে হয় গ্রাজুয়েট না করা পর্যন্ত কোন প্রেম-প্রীতি-অনুরাগ-মেইক আউট ফেইক আউট এগুলো থেকে টিনেজারদের দূরে থাকা উচিৎ, আর যে মূল কাজ লেখাপড়া তাতে নিবেদিত হলে ভালো হয়। পাস টাস করে তারপর না হয় রয়ে সয়ে করল........
আলোচনায় না যাই। কেবল বলে রাখি, আপনার মন্তব্যের সঙ্গে একমত নই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একমত না হওয়াই স্বাভাবিক ভাইয়া, এটা অবাস্তব চিন্তা!!! তবে আমি প্রেম-প্রীতি-অনুরাগ বিরোধী এইটা ভাইবেন না আবার, খালি বয়সটা একটু পরিণত হইলে মনে হয় ভালো হয়- আমার কাছে........
টিনএজরা মেইক আউট করলে দোষ, আর চল্লিশ এর লোকেরা করলে কোন সমস্যা নাই???
অলস সময়
চল্লিশ কেন ভাই, ২৫ হলেই তো হয়........২৫ বলছি কারণ অপ্রয়োজনীয় ইন্টারকোর্স কিছু কমে যাবে.........তখন আরো একটু পরিণত/দায়িত্ববোধ তৈরি হবে, কিছু কমে যাবে...........আর মেইক-আউটে দোষ/সমস্যা নাই ভাই- যাকে ভালোবাসায় সে সৎ, প্রতারণা করার সুযোগ নেই, দৃঢ় সংকল্প দীর্ঘকাল সহাবস্থানের, তাদের মধ্যে ইন্টারকোর্স হতেই পারে, আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন সমস্যা/দোষ দেখি না।আমার শুধু মনে হয় বিষয়গুলো পড়াশোনাটা শেষ হবার পর হলে ভালো হয়!
অ.ট. আপনার মনে হওয়ায় ঝামেলাছে ...
অজ্ঞাতবাস
হ বস, ঝামেলাটা হল অবাস্তবতার ঝামেলা....................
তয় প্রেম করে কচি বয়সে ছ্যাকা/অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে, তা সহ্য করতে না পেরে পড়াশোনার সমূহ ক্ষতি হইতে পারে, হয়ও বহুত দেখছি, তাই আর কী মাঝে মাঝে এমনে চিন্তা করি!!
হ, ঠিকই আছে।
নিষিদ্ধ যে কোন কিছুর প্রতি সবার আকর্ষন বরাবরই একটু বেশি থাকে, টিন এজারদের তো আরও এক কাঠি বেশি থাকে। অনেক/কিছু ক্ষেত্রে আকর্ষনটা আসক্তিতে পরিণত হয়ে যায়, আর বিপত্তিটা বাধে তখনই। তাই "প্রেম-প্রীতি-অনুরাগ-মেইক আউট ফেইক আউট" ব্যাপারগুলোকে এত "অন্যায়/সংস্কৃতি-সমাজ বিরোধী" চোখে না দেখে সহজ চোখে দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ মনে করি।
বাংলাদেশে পাস-টাস দিতে দিতে ২৫/২৬ বছর তো লেগেই যায়, এই বয়সে "প্রেম-প্রীতি-অনুরাগ-মেইক আউট ফেইক আউট" করার চেয়ে বিয়ে করে ফেলাই কি ভাল না?
ভাই বহুল উল্লিখিত ব্যাপারগুলোকে আমি "অন্যায়/সংস্কৃতি-সমাজ বিরোধী" দেখি এটা কোথায় বলছি? আমি শুধু বলছি, কিছু পরে হলে ভালো হয়। আর মেয়েরা বন্ধু হিসেবেই সবচেয়ে ভালো, বন্ধুত্ব থাকলো, এতশীঘ্র প্রেম-ট্রেম করার কি দরকার বলেন!
না ভাই ২৫ এই বিয়ে করে ফেলতে হবে কেন? অনুরাগ ছাড়া বিয়ে আমি সমর্থন করি না। আগে ভালো লাগা, তারপর প্রীতি-অনুরাগ, সহাবস্থান, তারপর যদি সিদ্ধান্তে আসতে পারে দীর্ঘকাল পাশাপাশি থাকতে পারবে তখনি বিয়ে; এত তাড়াহুড়ো কেন!
প্রেমট্রেম নিয়ে আপনার ব্যপক সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
হিডেন ক্যামেরা ইস্যুতে কাউকে গালি দিতে হলে মোটামুটি একতরফাই সেই ক্যামেরা যে বসাচ্ছে তাকে দিতে হবে।
আর প্রেম করা উচিত না অনুচিত সেইটা একটা ছাগুপ্রশ্ন।
অজ্ঞাতবাস
প্রেম ট্রেম নিয়ে সমস্যা নাই, যা বলছিলাম তা হল একটু আগে-পরে নিয়ে। তয় আমার চিন্তায় কিছু যায় আসে না। প্রেম নিরবে আসবে, থাকবে, যাবে..........
পুরোপুরি সহমত আছি। ব্যক্তিগত বিষয়ে নগ্নহস্তক্ষেপ করার অধিকার কোন অবস্থাতেই কারো নাই, তা যার/যাদের/যে বয়সের ব্যক্তিগত বিষয়ই হোক। সেটা প্রথমেও আমি বলছি "এই ধরণের হিডেন ভিডিও ক্লিপিং যারা করে তাদের নিম্নশ্রেণির মানসিকতা আর নৈতিকতার চরম অবক্ষয় সত্যই ন্যাক্কারজনক!!! সচেতনতা ছাড়া আসলেই উপায় নাই।" এইক্ষেত্রে আবার কেউ ভুল বুইঝেন্না!
'আগে-পরে' নিয়া যা বলছি তা অফটপিক, এই পোস্টের উদ্দেশ্যের সাথে কোন সম্পর্ক নাই। "হিডেন ক্যামেরা ইস্যুতে কাউকে গালি দিতে হলে মোটামুটি একতরফাই সেই ক্যামেরা যে বসাচ্ছে তাকে দিতে হবে।" মোটামুটি না পুরোপুরিই যে বসাচ্ছে তারই অপরাধ, আমি তাই মনে করি।
এইটাই সত্য বস। হুদা অস্থানে বকবকাইতেছিলাম। দু:খিত।
ভাই আমিও কিন্তু আমার মন্তব্যের কোথাও বলিনি যে আপনি বলেছেন, একটু খিয়াল কইরা দেখেন। আমি বলেছি:
বিশাল তর্ক, এই প্রসংগে অন্য একদিন কথা বলা যাবে।
আমি আমার মন্তব্যের কোথাও বলিনাই যে ২৫ বছর বয়সেই বিয়ে করে ফেলতে হবে। যেটা বলেছি তার অর্থ এই রকম:
"২৫/২৬ বছর বয়সে পাস করে বের হলেন, তারপর চলনসই একটা চাকরীর ব্যবস্থা করে ২৭/২৮ বছর বয়সে বিয়ে করে ফেলেন"। আর ২৭/২৮ বয়সটা বিয়ে করার জন্য একদম পারফেক্ট।
আগে প্রেম তারপর বিয়ে...........
যারা এইসব করে, তাদের মন অবশ্যই নোংড়া এবং কলুষিত!!
তাই সকলেরই উচিত এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া।
ধন্যবাদ।
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
----------------------------------------------------------------
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। কিন্তু উপস্থাপনটা ভালো লাগে নাই আমার। কেনো যেনো মনে হচ্ছে এই পোস্টে বলা কথা/উপায়/প্রতিকার গুলো মানুষের মাঝে সাবধানতার চেয়ে বরং 'ফোবিয়া'-ই জাগিয়ে তুলবে বেশি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই লেখার উদ্দেশ্য ফোবিয়া তৈরি না, সচেতনতা তৈরি।
আশা করি, সবাই ভুল বুঝবেন না।
ধন্যবাদ।
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
----------------------------------------------------------------
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
কোন কার্যকর উপায়তো বলেন নাই, পুরো পোস্টের একটাই পথ সচেতনতা/ক্যামেরা খোঁজাখুঁজি!!! অথচ যেই শিরোনাম দিছেন তাতে তো মনে হয় মহাপন্থা বাতলে দিবেন। আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন শুধু; নিরাময় দেন নাই। এই শিরোনামে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে! পরিবর্তন করে এটা দেন "কতভাবে গোপন ক্যামেরায় ব্যক্তিগত চিত্রধারণ হতে পারে আর তার একমাত্র সমাধান সতর্কতাই জানা আছে!"
যা যা উপায় বলেছি সেটাই সম্বল!! এভাবে চেষ্টা করা ছাড়া একটাই উপায় আর সে হল ডিটেক্টর ব্যবহার করা। আগামী পোস্টে সেটা নিয়ে বিষদ আলোচনা করবো।
ধন্যবাদ।
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
----------------------------------------------------------------
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
এই মন্তব্যের মানে কী!
মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে লেখাটায় আপনার আঁতে ঘা লেঘেছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট..ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
----------------------------------------------------------------
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
প্রয়োজনীয় লেখা। শেয়ার করা জরুরী। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
----------------------------------------------------------------
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
অত কষ্টের দরকার কী
স্পাইডারম্যান কিংবা নিনজাদের মতো একটা মুখোশ সাথে রাখলেই হয়। সারা মুখ ঢাকা থাকবে খালি দুইটা ছিদ্র দিয়ে দেখা যাবে সব
তারপর যা ইচ্ছা তা করেন। যার যা ইচ্ছা তা ক্যামেরা করুক
মুখ দেখা না গেলে আর বাকি শরীর কোনটা কার কে বলতে পারবে
ভাল বলেছেন লীলেন ভাইয়া।
দরকারি পোস্ট। ধন্যবাদ।
সতর্ক হলাম। কিন্তু ওয়েমক্যাম শব্দ করবে কেন? শব্দ ছাড়াই দিব্যি ঘন্টার পর ঘন্টা ভিডিও হতে পারে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এটা নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে দেখেছি যে কেউ কেউ মোশন ট্র্যাকিং ক্যামেরাও ব্যবহার করে। এটা তারা বোকামি করেই করে। কারণ এটা খুব সহজেই চোখে পরে যায় কিংবা শব্দ শোনা যায়। তাই এটা নিয়ে এত বেশি চিন্তার কিছু নেই।
আমি মনে করি এটা জাস্ট একটা ফেসবুক স্প্যাম।
কয়েকদিন আগে খুব জ্বালাতন করতো। বাঙালি আবার হুজুগে মাতাল, কাজেই এটা শেয়ার করে কিছু এক্সট্রা সোওয়াব ইনকামের চেষ্টায় ছিল আরকি।
ভালো লিখেছেন! উপকারী লেখা!
আপনাকে ধন্যবাদ!!
অযথা ভয় বাড়ানো ছাড়া কিছুই না।
আপনাদের এই হল এক সমস্যা!!
কোন কথাকেই গুরুয়ত্ব দিতে চান না।
এখন পারসোনা কেলেংকারীর পরে আপনাদের টনক ঠিকই নড়ছে!!
ধন্যবাদ লেখার জন্য। সময়োপযোগী..........
স্বাগতম!!
এক্টা জিনিষ খেয়াল করলাম! অনেকেই আসল জিনিষ ফেলে মেইক আউটের দিকে চলে গেছে!! হায়রে বাংগালী.. দাঁত থাকতে দাঁতের মর্জাদা বুঝেনা!!
যাউকগা! লেখকরে
@রকি ভাই,
স্বাগতম!!
ধন্যবাদ দেবাশিস, পারসোনার ঘটনাটা রীতিমত আতঙ্কইত লাগছে।
যারা আপনার পোস্টে যারা বিরুদ্ধ মন্তব্য করেছে তাদের এই ধরনের ক্ষেত্রে ভিক্টিম হবার কোন সম্ভবনা নেই দেখে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
স্বাগতম!!
হুম উনাদের আক্রান্ত হবার কারণ নেই!!
উনারা বলেছিলেন যে এটা শুধুই ভীতি ছড়ানোর জন্য লেখা,
কিন্তু আজ উনার নিশ্চুপ!!
ডুয়েল মিরর যাচাই করার উপায় জেনে উপকৃত হলাম। লেখককে ধন্যবাদ।
স্বাগতম!!
নতুন মন্তব্য করুন