শুধুই আমার মায়ের জন্য

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৭/২০১১ - ১০:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল কেমন যেনো বড্ড তৃঞ্চা লাগে। গ্লাসের পর গ্লাস পানি খেয়ে ও মনে হয় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। এমনিতে সারাদিন ল্যবের এসির নিচে থাকার সুবাদে পানি খাওয়ার তৃঞ্চা অনেকটাই কম বোধ করি। কিন্তু এই কয়দিন কেন যে এমন হচ্ছে, আমার স্বল্প জ্ঞানে সেটা বুঝে উঠতে পারছিনা। ঘনঘন এই তৃঞ্চা আমার মাঝে আতংকের সৃষ্টি করছে। কারণ ডায়াবেটিকস ধরা পড়ার আগে আম্মা ও এই একি কথা বলতেন। আমরা কেউ তখন ও জানতামনা যে ওটা ডায়াবেটিকস এর একটা লক্ষণ। আর যখন জানলাম, আমার মার ২৮ মাত্রার ডায়াবেটিকস ধরা পড়লো।

গতবছর ২ সপ্তাহের ছুটিতে দেশে ঘুরতে গেলাম। সামনে ছিলো রোজার ঈদ, সবার সাথে একসাথে সেটা পালন করবো এইজন্যই যাওয়া। সবার জন্য ঈদ এর কেনাকাটা করলাম। দেখতে দেখতে ঈদ এসে আবার চলে ও গেলো। আমার যাওয়ার সময় ও ঘনিয়ে আসছিলো। এদিকে মামারা চাঁদপুরে গিয়ে ঘুরে আসার জন্য চাপাচাপি করতে লাগলো। মায়ের ও খুব ইচ্ছে আমাকে নিয়ে ঘুরে আসা। আবার তাই আপুকে নিয়ে বের হলাম মামা, খালাদের জন্য কেনাকাটা করতে। অবশেষে, আমরা তিন বোনে, বোনের জামাই, আম্মা আর ছোট ভাই মিলে চাঁদপুরের উদ্দেশে রউনা দিলাম বিকেলের দিকে। বাসে যেতে ৪ ঘন্টার মত লাগে। তো আমরা রাতের দিকে মামার বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। নানুর সাথে, বড় মামা মামী, মামাতো ভাইবোনদের সাথে কতদিন পর দেখা। খেয়ে দিয়ে সবাই মিলে আড্ডা মারলাম অনেকক্ষণ ঘুমানোর আগে পর্যন্ত। এতদিন পর দেখা, সবারই কিছু না কিছু বলার আছে দেখা গেলো। আড্ডা দিতে দিতে রাত ৩ টার মত বেজে গেলো। সকালে ছোটো মামা মামি, ছোট খালা, মেজ খালারা আসবেন, তখন আরো আড্ডা মারা যাবে, এই বলে সবাইকে ঘুমাতে পাঠালেন বড় মামা।

ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই দেখি টেবিলে নাস্তা দেয়া হয়েছে। দুই রকমের পিঠা, মিষ্টি, দই, হাতে বেলা পাতলা রুটি, চিকন করে কাটা আলু-ভাজি, ডিম পোজ করা। সব কিছু কম বেশি চেখে নাস্তা শেষ করলাম। সবশেষে এলো চা। খাওয়া দাওয়া শেষ হোল কি হোলনা, অমনি দেখি খালারা এসে হাজির। এতদিন পর দেখা, এক এক জনের হাজার জিজ্ঞাসা, সবার এক একটা করে কথার উত্তর দিয়ে যেতে লাগলাম। উনারা দেখলাম আমার জন্য কি কি পিঠা বানিয়ে নিয়ে আসছেন সাথে করে। আর আমার মাতো তার বোনদের দেখে সেকি খুশী। এতদিন পর বোনদের একসাথে পেয়ে উনারা কেমন খুশি আমার চেয়ে আর কে বেশী বুঝবে। পুরো-দমে আবার আড্ডা চলতে লাগলো। এই ফাঁকে আমার মা কখন যে উঠে গেলেন কেউ খেয়াল করিনাই। যখন খেয়াল করলাম ততক্ষণে মামাতো বোনের চিৎকারে সবাই জোড়ো হয়ে গেছে। আমার মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। মামাতো বোনের মুখ থেকে শোনা গেলো যে ও রান্নাঘরে ছিলো, রান্নাঘর লাগোয়া খালে আম্মাকে সে গোসলে যাওয়ার সময় দেখেছে ।তার একটু পরই নাকি ঝুপ করে কিছু পড়ার শব্দ শুনছে। ও মাইজ্জা ফুফু বলে বেশ কইবার ডেকে উত্তর না পেয়ে ঘাটে গিয়ে দেখে কেউ নাই। ও তাড়াতাড়ি ঘাটে গিয়ে পানিতে নেমে আম্মাকে কোনোরকম উপরে উঠাইছে। উনাকে বিছানায় এনে শোয়ানো হোল, ভাইয়ারা গেলো ডাক্তার ডাকতে । ডাক্তার এসে দেখে বললো প্রেশার অতিরিক্ত বেশি, এই জন্য মাথা ঘুরায়ে পরছে, চিন্তার কিছু নাই, উনি মেডিসিন দিয়ে গেলো প্রেশার কমানোর। ডাক্তার চলে গেলে আমরা সবাই আম্মার আশে পাশেই বসে রইলাম, মেজ-খালা উনারে জিজ্ঞাসা করলো, কিগো আফা আপনের কি হয়েছিলো।মা গোসলে গেছেন, এইটুকু উনার মনে আছে, তারপর আর কিছুই উনার মনে নাই। তবে উনি যে ভয়ঙ্কর শকড, উনার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো। উনি বারবার বলতে লাগলেন, আজকে বোধহয় মইরাই যাইতামরে মা। আমি মায়ের হাত ধরে পাশেই বসেছিলাম। সত্যিই যদি আজকে মায়ের কিছু হোত, আমার মেরুদণ্ড বেয়ে কেমন যেন হিম শীতল করা একটা অনুভূতি নিচের দিকে নেমে গেলো। আমি আর ও শক্ত করে মায়ের হাত চেপে বসে রইলাম। ইতোমধ্যে ছোটমামা এলেন। উনি এসে মাকে অভয় দেয়ার চেষ্টা করলেন, আপনার কিছু হয়নাই আপা। মামি এসে মাকে তেঁতুলের শরবত করে দিলেন, এতে নাকি প্রেশার কমে যাবে। একটুক্ষণের জন্য উঠে বাইরে গেলাম। দেখলাম, খালারা বলাবলি করছে, আম্মা ভয় পাইছে তার কারণ নাকি নানা। ততদিনে নানার মৃত্যুর কাহিনী আমাদের সবারই জানা। মায়ের আজকে মরে যাবার প্রলাপের একটা সন্তোসজনক ব্যাখ্যা পাওয়া গেলো। আমরা যখন অনেক ছোটো, নানা তখন মারা যায়। উনার স্মৃতি বলতে আমার শুধু মনে পড়ে, নানাবাড়ির উঠানে, খাটিয়ায় শোয়ানো খুব ফর্সা একজন মানুষ যার মুখ কাপড় দিয়ে বাধা, আর সেখান থেকে তাজা রক্ত বের হচ্ছে। উনি শহরে বড়মামার ওখানে এসেছিলেন বেড়াতে। সকালে নাকি গোসলে নেমেছিলেন ওই একই খালের পানিতে। তখন ছিলো ভরা বর্ষাকাল। খালে তখন পানি টইটুম্বর করছে। নানা গ্রামের মানুষ, সাতার জানেন তারতো ওতো ভয়ডর নাই। কিন্তু সেই যে নামলেন এরপর আর উঠলেন না। ডুবুরী নামানো হোল, কোথাও উনাকে খুঁজে পাওয়া গেলনা। তার ও পরদিন উনার লাশ নদীতে ভেসে উঠে। আমার মায়ের ভয় যে অমূলক না তা আমাকে মানতেই হলো। উনার জায়গায় থাকলে আমি উনার চেয়ে বেশিই ভয় পেতাম। দেখতে দেখতে দিনটা কেটে গেলো। কালকে আমরা ঢাকায় চলে যাবো। আম্মার প্রেশার কমে আসছে, কিন্তু ওনার পায়ে ব্যথা, হাটতে পারছেন না ঠিকমত। আমরা ওনাকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে গেলাম, উনি এই ৪ ঘণ্টার জার্নি করতে পারবেন কিনা।

পরদিন দুপুরে খেয়েদেয়ে বাসস্টান্ডে চলে আসলাম। একটা মাইক্রো বা ছোট প্রাইভেট কার ভাড়া করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যাইনি। এমনকি বাসের টিকেট ও নাই। মেলা ঝামেলা করে টিকেট কাটা হোল। রউনা হলাম ঢাকার দিকে। বাসে মেজো আপু তার পিচ্চি আর আম্মা একসাথে বসলো, বড়আপু আর আমি একসাথে।আমার দুলাভাই আর ছোট ভাই আলাদা বসলো। শুরু হোল বিরক্তিকর লম্বা ভ্রমণ। রাস্তায় জায়গায় জায়গায় জ্যাম, বাস আটকে থাকে, আমরা বাসে গরমে বসে সিদ্ধ হতে থাকি। আপুর পিচ্চি ঘ্যনঘ্যন করে কাঁদতে থাকে গরমে। এদিকে আম্মার অবস্থা ও ভালোনা। বেশিক্ষণ একভাবে বসে থাকতে পারছেন না, পা ধরে যায়। একটু পর আম্মা জায়গা পরিবর্তন করে আমার পাশে এসে বসলেন। আপুর পিচ্চি খুবি কান্না কাটি করছে, তারে ধরে রাখা যাচ্ছেনা। বড় আপু গিয়ে বসলো ওই সিটে। এই গরমে ও মা আমার গায়ে ঢলে পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছেন। মাকে এমন অসহায়ভাবে ঘুমাতে কখন ও দেখিনি। অসম্ভব মায়া লাগছিলো। আমি তাঁকে জড়িয়ে ধরলাম উনি যাতে একটু ঘুমাতে পারেন। আমার শুকনা পটকা দেহে মা তার শরীরের সব ওজন ছেড়ে দিয়ে বাচ্চার মত ঘুমাচ্ছেন। ছোটবেলায় এমন জার্নিগুলোতে মায়ের কোল ঘেঁসে কত এভাবে ঘুমিয়েছি। এখন বুঝি সময় বদলে গেছে, মা আমার গা ঘেঁসে ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু পায়ের ব্যথায় একটু পরই আবার জেগে উঠেন। আমি তার পা টিপে দিতে দিতে বলি তুমি ঘুমাও মা। একদিকে আম্মার শরীর ভালোনা, তার উপর বোনের পিচ্চিটার এজমার সমস্যা, ঠিকমত শ্বাস নিতে পারছেনা তাই ক্রমাগত কান্নাকাটি করছে। অন্য দিকে বাস ও আগায়না, খালি জ্যমে পড়ছে একটু পরপর। সব মিলিয়ে মনে হছিলো এত জঘন্য আর ভয়ঙ্কর জার্নি বোধহয় আর কখনোই শেষ হবেনা ।মনে মনে প্রার্থনা করছিলাম যাতে তাড়াতাড়ি বাসায় পৌছাতে পারি। অবশেষে ৪ ঘণ্টার জার্নি ৭ঘন্টা পার করে সায়দাবাদ পৌঁছলাম। বাস থেকে নেমে ও শান্তি নাই, একটা রিকশা, স্কুটার কিচ্ছু পাওয়া গেলনা। পাওয়া গেলনা মানে নবাবজাদারা কেউ ওদিকে যাবেননা। এদিকে আম্মা হাটতে পারছেনা। আমার নিজের মেজাজ এবার সপ্তমে চড়ে গেলো, টাকা দেবো যাবিনা কেন তোরা। শেষমেশ হাতে পায়ে ধরে একটা রিকশাওয়ালাকে রাজী করানো গেলো, মাকে আর আমাকে সেটায় তুলে দেয়া হোল। বাসার সামনে নেমে মাকে যে কিভাবে তিন তলা পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছি আমি নিজে ও বলতে পারবোনা। উনি খালি কান্নাকাটি করা বাকি রাখছেন। আমার সাধ্য থাকলে উনারে কোলে করে নিয়ে যেতাম। ভালো একজন মানুষকে নিয়ে গেলাম, নিয়ে আসলাম অসুস্থ একজন মানুষ। রাতে আর ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গেলামনা। পরিচিত একজন ডাক্তারের কাছে ফোন করে কিছু পেইন-কিলার এর নাম নিয়ে নিলাম মায়ের অবস্থা খুলে বলে। ওইগুলা রাতে ওনাকে খাওয়ানো হোল। উনার প্রেশার আবার মেপে দেখলাম ঠিক আছে কিনা। তার পায়ে কিছু এক্সারসাইজ করে দিলাম।। উনি ঘুমাতে গেলেন। মনে হচ্ছিলো ভয়ঙ্কর একটা দিন পার করলাম। মা ঘুমালে পরে একটু শান্তি পেলাম।

পরদিন ঘুম থেকে উঠেই মায়ের ঘরে চলে গেলাম। উনি এখন ভালোই বোধ করছেন বললেন। উনাকে বললাম কি কি রান্না করা লাগবে বলে দাও, আমি আজকে সব করবো, তোমাকে কিচ্ছু করা লাগবেনা, তুমি আজকে রেস্ট করবা। মা সব বলে দিলেন কোথায় কি আছে। আজকে রাতে আমাকে চলে যেতে হবে, নিজের ও গোছগাছ করা লাগবে, একটু কেনাকাটা ও করা দরকার ছিলো। আমি যেহেতু রাতেই চলে যাবো, মা বললেন মেজ-আপুদের আজকে খেতে বলতে হবে। কি কি রান্না করা লাগবে আমাকে বলে দিলেন। রান্নাবান্না শেষ করে দুপুরের দিকে বের হয়ে গেলাম কেনাকাটা করার জন্য। বাসায় ফিরলাম বিকেলের দিকে। এসে দেখি মায়ের হাতে কিসের যেনো রিপোর্ট। দেখতে চাইলেই বললেন চাঁদপুর যাওয়ার আগে উনাকে স্কিনের ডাক্তার যেই টেস্টগুলো করতে দিয়েছিলো, বাবা সেগুলোর রিপোর্ট নিয়ে এসেছেন। আমি হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম। যদি ও আমি ডাক্তার না, এক জায়গায় এসে আমার চোখ আটকে গেলো। উনার গ্লুকোজ ২৮। কি ভয়ঙ্কর অবস্থা! আমরাতো জানিই না যে উনার ডায়াবেটিকস আছে। গতবছর ওভারল টেস্ট করানো হোল, টেস্টে সব নরমাল আসছে। এই ডায়াবেটিকস নিয়ে উনি কিভাবে এত নরমাল আছেন, অবাক হয়ে গেলাম। এবার আসার সময় মিষ্টির আর জিলাপির মিক্সটার নিয়ে আসছিলাম। সেগুলা উনারে খাওয়ালাম বানায়ে। নিজের উপর মহা রাগ লাগছিলো। কি করছি আমি, এই মানুষটাকে তো আমি মেরেই ফেলছিলাম। মায়ের জন্য কষ্টে বুক ফেটে যাছিলো। উনার এতগুলো সমস্যা, তার সাথে এখন আবার ডায়াবেটিকস যোগ হোল। মানুষটা মিষ্টি খেতে এত ভালোবাসতো, এখন তো সব মানা। আপুকে ফোন করে বললাম কি হয়েছে। সেইদিন কোন ডাক্তারের শিডিউল পাওয়া গেলোনা। ঠিক হোল, কালকে আপু ভাইয়া মিলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। একদিনে মায়ের চেহারা ভেঙ্গে গেছে, উনাকে দেখে মনে হচ্ছিলো লাফ দিয়ে উনার বয়স অনেকটাই বেড়ে গেছে।এই মাকে আমি দেখেনি আগে। রাতের ফ্লাইটে চলে যেতে হবে। উনাকে এই অবস্থায় ফেলে যাচ্ছি ভাবতেই কষ্ট হচ্ছিলো খুব।

রাতে খিচুরি রান্না করলাম। আপা দুলাভাই আসলেন। সবাই একসাথে বসে খেয়ে নিলাম। নিজের লাগেজ গুছিয়ে ফেলেছি। মাকে বললাম, তুমি শুয়ে পড়, যাবার আগে তোমাকে উঠাবো। উনি লক্ষ্মী মেয়ের মত চলে গেলেন। প্রত্যেকবার উনি এইসময় আমার খাবার দাবার প্যকেট করতে বসেন। খুব কান্না পাচ্ছিলো। কিন্তু এবার আমি কাঁদবোনা। মা তাহলে আর ও ভেঙ্গে পড়বেন। আপা দুলাভাই ও চলে গেলো একসময় ওদের পিচ্চিকে নিয়ে। বাবাকে বুঝিয়ে দিলাম মায়ের মেডিসিনগুলো, কোনটা কখন খাবেন, কাগজে লিখে ও দিলাম। তারপর গিয়ে শুয়ে পড়লাম। ঘুম আর আসছিলোনা। একদম যেতে ইচ্ছে করছেনা এবার। হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে কখন যে সময় হয়ে গেলো ফ্লাইট ধরার। উঠে তৈরি হয়ে নিলাম। সবাইকে জাগিয়ে বিদায় নিয়ে নিলাম। সবশেষে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিলাম, উনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন, আমি শুধু বললাম, ঠিক মত নিজের যত্ন করবা। উনি অস্ফুটে বললেন হু। আমার ভাই গেলো এয়ারপোর্টে দিয়ে আসতে। অন্যবার মা নিচ পর্যন্ত নেমে আসতেন, এবার উপর থেকেই বিদায় দিলেন। গাড়ী চলা শুরু করলো, আর আটকাতে পারলামনা নিজেকে, চোখ ভিজে গেলো। কোথা থেকে এত কান্না চলে এলো ছোট্ট দুটি চোখে, বলতে পারবোনা। বুকের ভিতরটা ভেঙ্গে যাচ্ছিলো। হাজারটা অজানা আশঙ্কা বুকের মাঝে নিয়ে তবু আমাকে চলে আসতে হয়।
বন্দনা


মন্তব্য

মৌনকুহর. এর ছবি

আল্লাহ্‌ আপনার মা কে সুস্থ-সবল দেহে আরও অনেকদিন বাঁচিয়ে রাখুন.........

জগতের সব মায়ের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা.........

বন্দনা- এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মৌনকুহর,আপনার কথাই যেন সত্যি হয়। আপনাদের শুভকামনা যেনো সবসময় সব মাদের ভালো রাখে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার মা নিশ্চই ভালো থাকবেন। অন্তত আপনার জন্যে হলেও ভালো থাকবেন। উনার সুস্থতা কামনা করছি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

বন্দনা- এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

অপছন্দনীয় এর ছবি

অসুখটার নাম যতদূর জানি ডায়াবেটিস, আর যার হয় তাকে বলে ডায়াবেটিক।

লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। আমার মা'র ডায়াবেটিস গত সাতাশ বছর ধরে। নিজেই ইনসুলিন নেয়। এ পর্যন্ত হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্য মোট চারবার তাকে হসপিটালাইজ করতে হয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে ভালোই আছে। এখন আমি থাকি ক্যানাডায়, আর ঢাকায় মা পুরোপুরি একা থাকে, পুরো বাসায় আর কেউ নেই।

অবশ্য সে অত্যন্ত সচেতন বলে খাওয়া আর এক্সারসাইজ নিয়ন্ত্রণ করে সব সময়েই শুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, কিন্তু তারপরেও, দুশ্চিন্তামুক্ত তো হতে পারি না।

আপনার মা'র প্রতি শুভকামনা থাকলো।

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ পছন্দনীয় ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য। আসলে আমার মায়ের যদি ও মাত্র গতবছরই ডায়াবেটিস ধরা পড়লো,কিন্তু উনার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায় হঠাত করে উনার প্রেশার এর জন্য। সবসময় এত হাই প্রেশার নিয়ে উনি কিভাবে যে বেচে আছেন জানিনা। ইদানিং প্রায়ই প্রেশার হাই হয়ে বমি করতে থাকেন। সাথে তো ডায়াবেটিস আছেই। উনার কেন জানি ডায়াবেটিস ও ঠিক মত নিয়ন্ত্রণে থাকেনা, যদি ও সবসময় ই মেডিকেশেনের উপরি থাকেন। উনার জন্য তাই খুব ভয় হয় আমার।আপনার মা সুস্থ আছেন শুনে ভালো লাগলো।আপনাদের শুভ কামনায় আমার মা আবার সুস্থ উঠবেন এটাই প্রত্যাশা।

guest_writer এর ছবি

মায়ের পাশে থাকার চেষ্টা করুন। জীবনটা আর কয়দিনের?

আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইল।

========
আমি জানি না

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ guest_writer। পাশে থাকতে কে না চায় বলেন, চেষ্টা করলে ও সবসময় পারা যায়না, তবে রোজই ফোন করি। আপনার দোয়া যেন মাকে সুস্থ করে দেয় এই কামনা করছি।

guest_writer এর ছবি

বাস্তবিক অর্থে হয়ত পারবেন না, মনের দিক থেকে তো পারবেন? সেটাও বা কম কিসে!

আমিও আমার মায়ের থেকে ১২ হাজার মাইল দূরে। রোজ কথা বলতে পারি না। তবে প্রতিদিনই খুব মিস করি।

============
~: আমি জানি না :~

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

মন খারাপ উনি সুস্থ হয়ে উঠুন।

বন্দনা- এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ কবি-মৃত্যুময়।

বইখাতা এর ছবি

আপনার মায়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

বন্দনা- এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বইখাতা। আপনাদের শুভকামনাগুলো যেন সত্যি হয় এই প্রত্যাশা করছি।

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি।

বন্দনা- এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ইস্কান্দর ভাই ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।