খানিক আগেই এবড়ো-থেবড়ো লাল ধুলোর রাস্তা ছেড়ে মসৃণ কালো পীচ ঢালা পথে উঠেছি, প্রচণ্ড রৌদ্রে সহযাত্রীরা সবাই অস্থির হয়ে উঠলেও ভাল রাস্তার কারণে বাহনের গতি খানিকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাই খুশী, এমন সময় বলা নেই- কওয়া নেই বেমাক্কা ধা করে এক সজোর ব্রেক চেপে দাড়িয়ে পড়ল আমাদের চার চাকার গাড়ী! ঘটনা কি ? তিতিবিরক্ত হয়ে সামনে পিছনে মাথা ঘোরাতেই একই উৎসুক্য আর বিরক্তিভরা চাহনি চোখে পড়ল, একেবারে ট্রাফিক জ্যাম হয়ে গেছে সরু রাস্তাটায় । কারণ জানা গেল ক্ষনিক পরেই- এক পাল বুনো হাতি! এক পাল সত্যিকারের বুনো আফ্রিকান হাতি এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের রাস্তায়, সাথে আবার গোটা তিনেক বাচ্চা হাতি! তারা তাদের ক্ষুদে শুঁড় নাচাতে নাচাতে আপন কাজে ব্যস্ত, বড়রাও ব্যস্ত গদাইলস্করি চালে আশেপাশের গাছের ডাল ভেঙ্গে মুখে পুরতে, মাঝে মাঝে ধান ঝাড়া কুলার চেয়েও বৃহদাকৃতির কানগুলো মন্থর গতিতে নাচিয়ে পোকা তাড়াচ্ছে, কখনো বা শুঁড় দিয়ে শাসন করছে ছোট্টদের। মনুষ্যপ্রজাতির দিকেই যত অবজ্ঞা তাদের, ভ্রুক্ষেপের সময়-ই নেয়। অবশেষে মতি পাল্টাল ঐরাবতের দল, কয়েক মিটার চওড়া রাস্তাটি পার হতে পাক্কা চল্লিশ মিনিট সময় নিয়ে সেধোল বিশাল ঘাসবনের মধ্যে।
আমাদের যাত্রা আবার শুরু, দুপাশে দিগন্ত পর্যন্ত বিস্তৃত সোনালী ঘাসের বন , ঘাসের আধিপত্য শেষ হলে সেখানে পাথরের রাজত্ব শুরু, বিশাল গিরিগুলো দম্ভ ভরে জানান দিচ্ছে তাদের সুউচ্চ অস্তিত্ব, মাঝে মাঝে বাবলার কাঁটাঝোপ। আমরা চলেছি দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম বিখ্যাত ন্যাশনাল পার্ক পিলান্সবার্গের ভিতর দিয়ে। চলুন পাঠক, ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যায় আশৈশব শুনে আসা আফ্রিকার বুনো প্রান্তরে।
পিলান্সবার্গ ন্যাশনাল পার্ককে বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র সংরক্ষিত উদ্যান যা কোন বড় নগরীর অতি কাছে অবস্থিত। স্বর্ণশহর খ্যাত আলোকিত মহানগরী জোহান্সবার্গ থেকে সড়ক পথে মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের পথ। আবার প্রমোদনগরী বলে খ্যাত সানসিটির অবস্থান এর ঠিক পাশেই। তাই এই জাতীয় উদ্যানটি পর্যটকদের কাছে অতি আকর্ষণীয় আফ্রিকার বিখ্যাত বিগ ফাইভের আশায় অর্থাৎ এককালে শিকারিদের কাছে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাঁচটি পশু বুনো পরিবেশে দেখার জন্য। সিংহ, বুনো মহিষ, গণ্ডার, চিতাবাঘ ও হাতি, এই হল আফ্রিকার বিগ ফাইভ। এই সমস্ততো এন্তার রয়েছেই, সেই সাথে যোগ হয়েছে জিরাফ, জেব্রা, বন্যবরাহ, নানা জাতের হরিণ, বানরের এক বিশাল সংগ্রহ এই ৫৫,০০০ হেক্টরের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে। আর আমার মত পাখি পর্যবেক্ষকদের মূল আকর্ষণ এখানে বছর জুড়ে দেখতে পাওয়া ৩৬০ প্রজাতির পাখি, যার অল্প কিছু পরিযায়ী, বাকিরা সারা বছর স্থায়ী ভাবেই বসবাসরত।
আফ্রিকার বিখ্যাত সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই রওনা দেয়া হল জোবার্গ থেকে (স্থানীয়দের কাছে জোহান্সবার্গের সংক্ষেপিত রূপ), পথে নানা ফ্যাঁকড়ায় পড়ে মূল ফটক দিয়ে ভিতরে যেতে যেতেই সূর্য মাথার উপরে, বন্য প্রাণী পর্যবেক্ষণের জন্য তা খুব একটা ভাল সময় নয়, আগেই জেনেছিলাম বুনো পশুপাখি আপন পরিবেশে অবলোকনের সবচেয়ে ভাল সময় সূর্যোদয়ের পর পর আর সূর্যাস্তের ঠিক আগে আগে যখন জলপানের তাগিদে কোন জলাধারের চারিপাশে অপেক্ষাকৃত খোলামেলা এলাকায় পশুর পাল অপেক্ষা করে। এত কড়া রোদে সাধারণত তৃণভোজী ও মাংসভোজী দুই ধরনের প্রাণীরাই একটু গাছের ছায়ায় বা ঝোপের আড়ালে বিশ্রামের সন্ধানে থাকে। লাল মাটির রাস্তা, ধুলো উড়িয়ে আমাদের রাঙ্গিয়ে দিচ্ছে প্রতিক্ষণে, রাস্তার দুই পাশ থেকেই শুরু হয়েছে সোনালী ঘাসের দঙ্গল, একপাল সিংহ অনায়াসেই লুকিয়ে থাকতে পারে পথের পাশেই, ঘুণাক্ষরেও টের পাবার কোন উপায় নেই। বেশ খানিকক্ষণ মন্থর গতিতে চলার পর দূরের উচু পাহাড় আসে নজরসীমায় আর তখনই মোলাকাত ঘটে তাদের সাথে যাদের জন্য স্বেচ্ছায় সূর্যের ক্রোধে দগ্ধ হওয়া। ঘাসের বন যেখানে হালকা হতে হতে প্রায় মিলিয়ে গেছে, সেই পাহাড়ের পাদদেশে মনে হল কোন মহান শিল্পীর আপন হাতে মনের সবটুকু মাধুরী মিশিয়ে আকা একপাল সত্যিকারের জেব্রা!
বাচ্চাবেলার ইংরেজি ওয়ার্ড বুকের শেয অক্ষর জেড-এ যে জেব্রা আঁকা থাকে তার সাথে মিরপুর চিড়িয়াখানার জেব্রার এমন কোন পার্থক্য চোখে পড়ে নি, কিন্তু এই বুনো পরিবেশে টগবগে জন্তুগুলোকে সহজাত ভঙ্গিমায় চলতে দেখে তাদের অপরিমেয় প্রাণপ্রাচুর্যের খানিকটা অনুভব করা যায়, আর প্রথমেই মাথায় প্রশ্ন আসে জেব্রার কোনটা আসল রঙ আর কোনটা ডোরা, সাদা না কালো? বিজ্ঞানীরা পাথর খুড়ে জীবাশ্ম বাহির করে প্রমাণ করেছেন জেব্রা আসলে আদিকালে কালোই ছিল, পরবর্তীতে এই উম্মুক্ত প্রান্তরে বসবাসের কারণে তাপপরিবহন ও শিকারি শ্বাপদদের চোখে ধোঁকা দেওয়াসহ নানা কারণে এই সাদা ডোরার উদ্ভব।
জেব্রার পালের সাথেই রয়েছে বিশাল আকারের ওয়াইল্ডবিস্টগুলো, প্রায় ঘোড়ার সমান উচু এক জাতের হরিণ। গাড়ী থামিয়ে একটু কাছে যাবার চেষ্টা করা মাত্রই দলের মদ্দা সর্দার প্রবলভাবে মাথা ঝাকিয়ে এমন এক ঘড়ঘড়ে বজ্রনিনাদ করল, বুঝে গেলাম আর কাছে যাওয়া নিরাপদ নয়। যতই ঘাস খাওয়া গোবেচারা মনে হোক, এমন এক পাল ওয়াইল্ডবিস্ট তেড়ে এলে আমাদের পলকা গাড়ী বাদামের খোসার মত কুড়মুড়িয়ে গুড়িয়ে যাবে পথের লাল ধুলোয়।
পথের ধারেই চুপচাপ বহমান এক নালায় দেখা হল বিশালাকৃতির আফ্রিকান মাছরাঙার সাথে, রংধনুর সাত রং পালকে মেখে সে নিরীহ বোকারামের মত বসে ছিল বটে কিন্তু মুহূর্তের মাঝে দেখি হঠাৎ ঝরা পাতার মত ঢলে পড়ে সে চলে গেল জলের গভীরে, যখন ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে আগের ডালেই এসে বসল, তার ঠোটে ধরা রসালো একখানা মাছ!
চারিপাশের বুনো আদিম পরিবেশে বিমুগ্ধ আমরা, এই তো আমার আফ্রিকা, যে আফ্রিকা মানসপটে একে দিয়েছিলেন হেনরি রাইডার হাগার্ড, এডগার রাইজ বারোজ, জন হান্টার, বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়। শ্বাপদসংকুল অরণ্য, মোহময়ী রূপে আবিষ্ট করে রাখে প্রবেশকারীকে, বাওবাব গাছের মাথায় প্রতিসন্ধ্যেয় ঘটে অপূর্ব সূর্যাস্ত। পরতে পরতে রহস্য, অজানালে জানার আহ্বান। এক প্রান্তে দেখা মিলল একদল ভেলভেট বানরের সাথে সাথে, তারা দর্শনার্থীদের কাছে থেকে নানা বাঁদরামির মাধ্যমে খাবার সংগ্রহের আশায় উম্মুখ, কিন্তু এ ব্যপারে আছে কড়া বিধিনিষেধ। বানরের দলের সাথে ছিল দুটো হলদে ঠোট ধনেশ পাখি, বিশাল পাখিগুলোর গোটা শরীরের পালক সাদাকালোর বাহারি রঙে রাঙ্গানো। যাত্রাপথে পরে দৃশ্যপটে হাজির হয়েছিল পৃথিবীর অন্যতম অদ্ভুতদর্শন পাখি ভূমি ধনেশ বা গ্রাউন্ড হর্নবিল, বিশালদেহী এক পাখি যার মুখমণ্ডলের চারপাশের অল্পকিছু টকটকে লাল চামড়া ব্যতীত গোটা শরীরই কুচকুচে কালো মোলায়েম পালকে ঢাকা, কেমন ভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে পথ চলছে মূলত স্থলচারী বিহঙ্গরাজ্যের এই বিস্ময়।
নজরে আসে লাজুক মায়াকাড়া স্প্রিংবক হরিণেরা, মানব উপস্থিতি টের পেয়েই বিশাল একেকটা লাফ দিয়ে চম্পট দিল তারা আপাত নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। এভাবে সারাদিনে প্রায় ১২ প্রজাতির হরিণ জাতীয় প্রাণীর সাথে দেখা হল আড়ালে-আবডালে, আর ছুটন্ত গণ্ডারের আবছা আকৃতিতে দূরবীন ফোকাস করার আগেই তা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে হতে থাকে আবছাতর। অভিজ্ঞ চালক গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে নেয় ক্রুদ্ধ গণ্ডারের যাত্রাপথের বিপরীত পানে।
এর মধ্যে দিনের মধ্যভাগে ঘটে গেল দিনের সবচেয়ে স্মরণীয় দুটি ঘটনা,প্রথমেই দেখা মিলল বনের রাজার, যদিও নোবেল বিজয়ী জীব বিশেষজ্ঞ ও প্রিয় লেখক কনরাড লোরেঞ্জ তার এক বইতে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন মানুষ অনেক প্রাণী সম্পর্কে ভাল ভেবে না জেনেই বিশেষ বিশেষ উপাধি দিয়ে দিয়েছে, সিংহ কোন ভাবেই বনের রাজা নয়, কারণ সে বনে বাস করে না! সারাটা জীবনই সিংহরা অতিবাহিত করে সাভান্না জাতীয় তৃণভূমিতে আর মরুভূমিতে। অপেক্ষাকৃত দুই তরুণ সিংহ সদ্যশিকার করা প্রাণীর মাংস উদরপূর্তি করছে হুমহাম করে, পালের গোদারাও নিশ্চয়ই রয়েছে আশে-পাশেই, তাদের বিরক্ত করার উৎসাহ বা সাহস কোনটাই না দেখিয়ে সোজা চললাম ন্যাশনাল পার্কের মাঝের বিশাল হ্রদটাতে, ১৩০ কোটি বছর আগে জন্ম নেওয়া এই মৃত আগ্নেয়পর্বতময় এলাকাটিতে বেশ কিছু হ্রদ আছে।
নিরাপত্তা জনিত কারণে গাড়ী থেকে নামা কড়াকড়ি ভাবে নিষেধ, দূরবীন দিয়ে তাকাতেই চোখে পড়ল দিনের সেরা উপহার- শিকাররত আফ্রিকান মেছো ঈগল, আমার সবচেয়ে প্রিয় আফ্রিকান শিকারী পাখি। প্রাতঃনমস্য ডেভিড অ্যাটেনবরোর তথ্যচিত্রে কত দেখেছি এই ভয়াল শিকারীর নিখুঁত শিকারের দৃশ্য, আজ চোখের সামনে তার কার্যকলাপ দেখে মনে হল মাছের রাজ্যে ত্রাস ছড়াতে একমাত্র অসপ্রে বা কালিগাল মেছোচিল ছাড়া এর আর কোন যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এর অপূর্ব মরিচা রঙের পালকে রোদ প্রতিফলিত হয়ে বারংবার জীবনানন্দের সোনালী চিলের কথা মনে করিয়ে দেয়। সূর্যের প্রতাপ ক্রমশই বাড়ছে, সেদিনের মত ক্ষান্তি দিয়ে ফেরার পথে। লালধুলোর এবড়ো-থেবড়ো রাস্তা ছেড়ে কেবল কালো পীচের আস্তর দেওয়া মসৃণ রাস্তায় উঠেছি এমন সময়ই সামনে একপাল বুনো হাতি, যে কথা বলেছি শুরুতেই!! জয়তু আফ্রিকা, ধন্য আমাদের ভ্রমণ !
মন্তব্য
দারুণ ভালো লাগলো। ভাষার প্রাঞ্জলতা আর অসাধারণ বর্ণনায় আপনার সাথে যেনো চলেই গিয়েছিলাম আফ্রিকার জঙ্গলে...
facebook
ভাই, আপনি আক্রোপোলিস নিয়ে আগের পোস্টটায় নাম দেন নি, ফেসবুক থেকে জানতে পারলাম যে ওটা আপনার লেখা। ওইটা এবং এইটা, দুটোই এখন প্রথম পাতায় আছে, যা সচলের নিয়মবিরুদ্ধ। এগুলো একটু খেয়াল রাখবেন প্লিজ।
আর ওই লেখাটায় পাঠকদের মন্তব্যের কোনো জবাব দেন নি, এটা কিন্তু পাঠক হিসাবে অন্তত আমার কাছে খুবই দুঃখজনক। লেখকের সঙ্গে আড্ডা-আলোচনা-ইন্টারঅ্যাকশন না থাকলে ব্লগ আর ছাপা পত্রিকা পড়ার মধ্যে তফাত কোথায়?
ভ্রমনকাহিনী ভালো লেগেছে। আরও কিছু ছবি থাকলে আরও উপভোগ্য হতো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে। ভ্রমনকাহিনীর সার্থকতা তো সেই খানেই যেখানে পাঠক অল্পক্ষণের জন্য হলেও ভ্রমণ করেন কোন স্থান যা লেখার মাধ্যমে তার কাছে হয়ে ওঠে মাঠের দূরের দেশ, মূর্ত কোন স্থান। কৌস্তুভ ভাই, আমি ব্লগে একেবারের প্রথমবারের মত কিনা তাই বুঝে উঠতে বেশ খানিকটা সময় লাগছে, দুঃখিত। আশা করি এর পর থেকে আমাদের নিয়মিত আলোচনা হবে।----- অণু
সচলায়তনের নীতিমালা অনুসারে যেকোন সময় প্রথম পাতায় একই লেখকের একাধিক পোস্ট দৃশ্যমান হওয়া নীতিমালা বিরোধী হওয়ায় আপনার পোস্টটি নিজেরব্লগে প্রকাশ করা হলো।
সচলায়তনে পোস্ট করার সময় নীতিমালা মেনে চলার অনুরোধ থাকলো।
ধন্যবাদ।
আফ্রিকার সাভানায় কিম্বা অরণ্যে যারা যান নি, তাঁদের এ রোমাঞ্চের ছিটে ফোটাও ভাষা দিয়ে বোঝানো যাবে না! মাসাই মারার সাভানাতে কিম্বা ইতুরির পোতোপোতোর গহন অরণ্যে গিয়ে খুব আফসোস হচ্ছিল সপরিবারে যেতে না পারার জন্যে। আফ্রিকার আদিম শুদ্ধতা তুলনাহীন। খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখা। চলুক!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই, কি আশ্চর্য, আগামী মাসেই আমাদের এক অভিযানে তাঞ্জানিয়া-কেনিয়া যাবার কথা ছিল এবং অবশ্যই মাসাই মারা ভ্রমণের, কিন্তু পরে সফরসুচি পরিবর্তন করতে হয়েছে নানা কারণে। নিশ্চয়ই চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার, শুনতে পারলে ভাল লাগত। আবার যাওয়া নিশ্চিত হলে পরামর্শ চাইব।--- অণু
ছবি কিছু আপলোড করলাম,
facebook
পড়লাম। হাতিগুলোকে দেখতে থাই মিথের সেই প্রখ্যাত 'সাদা হাতি'র মত মনে হলো। আর হ্যাঁ, সিংহ রাজা হয় কিভাবে? এরা কিন্তু আকার এবং শক্তি- উভয় দিকেই সাইবেরীয় এবং বাঙ্গাল বাঘের চেয়ে পিছিয়ে।
কেশরের জন্য হবে হয় তো !!! একটা আলাদা ভাব আছে চেহারায়---
facebook
পড়ছি ।
একটা "বাওবাব" গাছের ছবি থাকলে ভাল হত- ব্যাটা উল্টা হয়ে মাটির নিচে কী করে ।
কড়িকাঠুরে
পরের বার !
facebook
নতুন মন্তব্য করুন