শৈশবে অঙ্কন বিষয়ে আমাকে প্রথম যেদিন গ্রামের ছবি আঁকতে দেয়া হল, আমি হাজির হলাম আমার বড় বোনের কাছে। আপু তখন ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিচ্ছেন, ব্যাবহারিক খাতায় বেশ কিছু কারিশমা দেখিয়ে আমাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন! আপু প্রথমে যেটা আঁকালেন সেটা একটা কুঁড়ে ঘর, তার উপরে কলা গাছের পাতা এসে পড়েছে, পাশে একটা খড়ের গাদা! এরপরে সেটা নকল করার জন্য আমি উঠেপড়ে লাগলাম! অঙ্কের খাতায় ,বইয়ের পাতায় যেখানেই সুযোগ পেতাম এইটাই আঁকতাম। কুঁড়ে ঘর আঁকানো আমার মোটামুটি মুদ্রাদোষ হয়ে গেলো। কুঁড়ে ঘরের প্রতি একটা আলাদা ভালবাসাও জন্মালও, তাই বাবুই আর চড়ই এর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের কবিতাটা আমার অনেকদিন মনে দাগ কেটে রাখল! স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম পাহাড়ে একটা কুঁড়ে ঘর বানিয়ে থাকবো!
এরপর ঢাকায় এসে অনার্স শেষ করে চাকুরী শুরু করলাম। সেই সাথে হোস্টেল জীবন শেষ করে উত্তরায় একটা ফ্লাট ভাড়া নেয়া হলও। একদিন ধানমন্ডিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবার সময় আমার উত্তরায় থাকার কারণ এবং আমার ফ্লাটের বহুবিধ সুবিধা তূলে ধরলাম। ওইদিন বাসায় ফেরার সময় হঠাৎ মনে হলো আমি আমার নিজের অজান্তেই চড়ুই পাখি বনে গেছি! আমার কুঁড়েঘর এখন ওই বইয়ের পাতাতেই রয়ে গেছে! চাকুরীর কারণে আমার ঢাকা ছাড়া সম্ভব নয় আর বেতন যা পাই তাতে ঢাকা শহরে একটা কোন ঘর বানাতে হলে আমাকে বাবুই নয় ঘুঘু হয়ে যেতে হবে! তবে ঢাকা ছেড়ে বাহিরে কথাও গেলে আমার ক্যামেরাতে সেই কুঁড়ে ঘরের স্বপ্ন এখনো আঁকি!
পাহাড়ে গায়ে স্বপ্নের সেই বাড়ি নিয়ে আমার এবারের লেখা -
মাঝে মাঝে সত্যি যেতে ইচ্ছে হয়। ভাবি একটি নৌকা দাড়িয়ে আছে আমার অপেক্ষায় -
৯।
আর সেদিন যাত্রা হবে মেঘ সিমানায় -
১০।
সবার একটি ঘরের স্বপ্ন পুরন হোক এই কামনায় –
- মোঃ মোর্শেদ আনোয়ার (পুলক)
মন্তব্য
দুইটা ছবিতে রং একটু বেশি জ্বলজ্বল করছে... বাকীগুলা সুন্দর...
এইরকম একটা ঘরের স্বপ্ন সবাই দেখে... কিন্তু এখানে তৃতীয়দিন বাস করার পর পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করার চান্স আছে
আমরা খুব বেশি নাগরিক জীবন আর কৃত্রিম এনার্জি আর শপিং মল আর এটা সেটা অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা...মন্তব্য পরে অনেক মজা পেলাম! এই আশঙ্কা আমার মনেও আছে তাই জাবার সাহশ এখন হয়নাই ... অনেক অনেক ধন্যবাদ ... রঙের ব্যপারে আমার ধারনা আসলেই অনেক খারাপ ......পোস্ট প্রসেসিং এর পর এই অভিযোগটা আমি বরাবরি খেয়ে আসতেসি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
৪ - ৮ খুব ভালো লেগেছে। ৫ বিশেষ করে। কয়েকটাতে রঙ একটু বেশি পড়ে গেছে
লেখাও ভালো লাগল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ! পোস্ট প্রসেসিং এ আমি অনেক কাঁচা ...কালার নিয়ে গুব্লেট পাকায় ফেলি ...এরপর ব্যপারটা মাথায় রাখব নিশ্চয়ই!
৯ খুব সুন্দর হয়েছে.....................ক্যারি অন....................
অসংখ্য ধন্যবাদ!! মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো!
এইরাম কুড়েঘর মগজে থাকাই ভালো
খুবি সত্যি কথা !! বান্দরবনে ঘরের পাশে একটা সাপ দেখে ওই রাতের জন্য সব স্বপ্ন ভুলে গেসিলাম!
ছবি দেখে মনে হল পরিত্যক্ত কুঁড়েঘর। মানুষ কই? বাড়িতে মানুষ না থাকাটা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্যাটালগে মানায়, ল্যন্ডস্কেপে তা বরং ছবিকে আরো সমৃদ্ধ করে।
সচলে স্বাগতম। আরো ছবি ও লেখা আসুক আপনার হাত থেকে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সহমত!! বান্দরবনে যখনি মানুষের ছবি তুলতে গেসি, আমার চেহারার জন্য কিনা জানিনা পাহাড়িয়ারা অস্বস্তি বোধ করতে দেখতাম...তখন মনে হত আমার দাড়া এই জিনিস হবে না দাদা!! ......মন্তব্য পরে অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ!
লেকা আর পিচকার ভালু পেলুম তাই ভুটিয়েও দিলুম। আরও খিচুন, লিকুন আর পোষ্টান। হেহেহেহেহেহে
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মন্তব্য অনেক ভালু পেলুম তাই একগাদা ধন্যবাদ নিকেও দিলুম!! ভালো থাকুন
মনের অনুভূতির সুন্দর প্রকাশ। ২ এবং ৮নং ছবি দুইটা দারুণ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!! দেরিতে জবাব দেবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!
আমার তো ঠিক উল্টোটা!! অনেক ধন্যবাদ!! দেরিতে জবাব দেবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!
পাহাড়ের চেয়ে সাগর বেশি টানে।
৫ আর ৬ ছবিদুটো খুব ভাল লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক অনেক ধন্যবাদ!! দেরিতে জবাব দেবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!
কী সুন্দর!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন