জেনেভা নিয়ে প্রথম পর্বটা [এখানে]
গত পর্বে আপনাদের সেলেভ মাউন্টেনে নিয়ে যাব বলেছিলাম প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি আপনাদের ইউথ হস্টেলে অনেকদিন ফ্রোজেন করে রাখার জন্য, আসলে কিছুই করার ছিলনা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাডার বসানোর কাজে পাহাড়ে উঠা নামা করতে গিয়ে ছোট বেলার তৈলাক্ত বাঁশে উঠা নামা করা বান্দরটার মত অবস্থা হয়ে গিয়ে ছিল,
যাক তাহলে, চলেন যাই সেলেভ মাউন্টেনে । তার আগে গতকাল যে ইয়ুথ হস্টেলে থেকেছেন ওখানে পরের দিনের সকালের নাস্তাটা ফাউ[মাগনা], মাগনা পেলে আলকাতরাও নাকি খাওয়া যায়, তাই আলকাতরা মনে করে পাউরুটির সাথে সাজানো জেলির বোতল থেকে জেলি নিয়ে ঘষতে থাকেন মন মত। এবার চলেন রেল ষ্টেশন কিংবা রিভ(শপিং স্ট্রিট) থেকে ৮ নাম্বার বাস ধরে শেষ স্টেশনে চলে যাই। নামার পর আপনাকে অল্প একটু হেঁটে সুইস-ফ্রান্স বর্ডার পার হতে হবে, ফ্রান্স সীমান্তে পা রাখা মাত্রই আপনি কেবলকার দেখতে পাবেন। কেবল কারে চড়ে পাহাড়ে উঠতে আপনাকে ১৩ ফ্রাঙ্ক দিয়ে টিকিত কাটতে হবে।
উঠা হয়ে গেলে চলেন ঝটপট কটা ছবি তুলে নেই, সুপার ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স থাকলে আপনি পুরো জেনেভা শহরটাকে ফ্রেমে করে নিয়ে যেতে পারবেন। এবার পিছনে ফিরে দেখেন ইউরোপের সব চেয়ে বড় পর্বত[ মন ব্ল] দেখা যায়। ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স না থাকলে একটু কঠিন হয়ে যাবে পুরো পর্বতটা ফ্রেমে আনা, আমার বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে এনেদিতে পারি তবে শর্ত আছেঃ ঢাকা গেলে শাহবাগের মোড়ে আলগা পাত্তি আর দুধ চিনি বাড়াইয়া একটা চা খাওয়াইতে হবে। বেশ খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটির পর চলেন একটা ফ্রেঞ্চ ডিশ ট্রাই করা যাক।
খাওয়া দাওয়া শেষ, আর থেকে কি লাভ, চলেন এবার নতুন কোন ট্যুরিস্ট স্পটে যাই, আজ একটু নৌকা চড়া যাক তারপর বোটানিকেল গার্ডেনের বিরল সব ক্যাকটাস দেখবো, গাছপালা ভালো না লাগলে চলেন স্কাইলাইন এরিয়াটা ঘুরে আসি।
প্রথম দিন লেকের যে পাঁড় দিয়ে হেটেছিলেন চলেন আজ অন্য পাঁড় দিয়ে হাটা যাক। হরেক রকমের গোলাপ দেখতে পাবেন, সন্ধ্যার পর গলাপের সাথে গোলাপিদেরও দেকতে পাবেন। গোলাপিরা “ভু যেত সল সে সোয়া ?” বললে আপনি ‘নো মেরছি’ বলে হাসি মুখে হেঁটে চলে যান, একটু হাঁটলেই দুটো পার্ক দেখতে পাবেন। পার্ক গুলো পার হবার পর বেশ নিরব, এখানে টুরিস্টদের তেমন একটা ভীর নেই, পার্কের পাশে যে আইছক্রিমের দোকানটা আছে ওখান থেকে একটা আইছক্রিম কিনে চলেন লাইট পোস্টটার কাছে কিছুক্ষণ বসে জিরিয়ে নেই।
তবে এখানে কিঞ্ছিত নজরের হেফাজত করতে হবে। আমি হাজী বংশের পুলা তাই কালো সানগ্লাস পরে বসে থাকি
কাল আমরা একটা জায়গা খুঁজে বের করব যেখানে সাঁতার কাটতে টাকা লাগেনা, আজ থাক, আজ আপুরা সাঁতার কাটুক । জেনেভা শহরের চাঁদ মামি খুব মায়াবি উপভোগ করতে থাকুন রাত ১১টা পর্যন্ত, কারন ১১টার পর লাইট পোস্টের গেইট বন্ধ করে দিবে। ১১টার পর চলেন হোটেলে ফিরে যাই। কাল আমরা জেনেভা লেকে সাঁতার কাটব [ তবে শরম-টরম থাকলে হোটেলে রেখে আসতে হবে ]
মন্তব্য
আপনি করেছেন কী! ওই ছবি দিয়েছেন, এখনই লোকেদের (নাম আর নিলাম না) লুল বয়ে বয়ে ওই লেকের জলকেও ছাপিয়ে যাবে!
একখানা দামি ক্যামেরা যে বাগিয়েছেন, তা ছবি দেখলেই বোঝা যায়
পাঁড় > পাড়, গলাপের > গোলাপের, দেকতে > দেখতে, নিরব > নীরব, ভীর > ভিড় ইত্যাদি খুচরো বানানগুলো একটু খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ কৌস্তুভদা বানান ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য, এই লেখাটা লিখতে কাল সেলেভ মাউন্টেনে উঠেছিলাম[ বিশেষ করে ছবি গুলো তোলার জন্য] পরে সন্ধায় লাইট পোস্টের নিচে বসে লিখে ওখান থেকেই পোস্ট করে দিয়েছি। তাই নজরের হেফাজত করতে গিয়ে বানানের হেফাজত ঠিক মত হয়নি, আগামী পর্ব লিখে আপনাকে মেইল করে দিব, অনুগ্রহ করে যদি একটু চেক করে দেন। আর শুনেন ৬ আগস্ট একটা হিন্দি ছিনেমার শুটিং হবে লেকের পাড়ে, পোটলা পাটলী নিয়ে চলে আসেন।
খাল ভালোমতোই কাটছেন। ফলাফল সইতে না পারলে আমি জানিনা। আসব নিশ্চিত। এবং অবশ্যই সামারে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আয়া পরেন, আমি ডরাইনা, তয় উইকএন্ডে আসলে সময় দিতে পারব, আসার সময় ধুগোঁদা রে লইয়া আইয়েন, ধুগোঁ ডাকু আমার প্রথম পর্বের বানান ঠিক কইরা দিছে। লোকটা বিরাট ভালো। একটা মেইল কইরেন আসার আগে। আর মনে না থাকলে ওই যে লাইট পোস্টটা দেখতাছেন ওইডার নিছে আমারে পাইবেন সন্ধ্যা মিলানোর সময়।
মাহমুদ
মনে হচ্ছিলো আপনার সাথে সাথেই হাটছি, ঘুরছি, আপনার বলার ষ্টাইলটা খুব ভালো লাগলো। আার ছবি, সর্বশেষ ছবিটা মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলো অনেকক্ষন, চাঁদ আর জলের মিতালি বড় ভালো পাই।
ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা,
আপনাকেও অনেক অনেক
মাহমুদ
খাবারের ছবিটা দিয়েতো মেরেছেন ভাই। লেখার স্টাইল মজার আগের মতই। দারুণ লাগলো।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
এটা তো রেস্টুরেন্টের খাবার। নেন আপনার জন্য আমার রান্না করা একটা ডিশ
মাহমুদ
ভাই, আপনার ক্যামেরার জুম লেন্স নাই? না থাকলে আমারে বইলেন, দেখতাম কি করা যায়। আমি চাইনা শেষের আগের ছবিটা আপনি এতো দুর থেকে খিঁচেন।
লেখা ভালো লেগেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আসাদুজ্জামান তাজ ভাই
লেখা ভালো লাগার জন্য
আপনি বরাবরই দুষ্ট লোক
আপনার প্রায় প্রতিটা লেখা , অন্যদের লেখায় মন্তব্য সবই আমি মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করি, ভাবছি জেনেভা লেকে সাঁতার কাটা নিয়ে একটা হট পোস্ট দিব , কিন্তু সচলে না দিয়ে অন্য ব্লগে দেয়াই উত্তম হবে, তবে আপনাকে মেইল করে দিব কখনো লিখলে
ভালো থাকবেন বস
মাহমুদ
আপ্ নি জেনেভা থেকে সেলেভ কিভাবে গেলেন বল্ বেন দয়া করে? আমি জেতে চাস্সিলাম কিন্তু আমাকে এক্জন জানাল জেনেভা সিমান্ত থেকে সেলেভ ৬ কিমি। Taxi বা hiking চারা উপায় নেই।
আমি বলব আপনাকে ভুল ইনফরমেশন দেয়া হয়েছে, কারন আমি এই লেখাটার অর্ধেকটা সেলেভে বসে লিখেছি, লেখাতে তো উল্লেখ করেছি তারপরও আবার রিপিট করছি, আপনাকে ট্রেন ষ্টেশন থেকে ৮ নাম্বার বাসে উঠতে হবে আর নামতে হবে শেষ ষ্টেশনে, ষ্টেশনের নাম Veyrier-Douane তারপর আপনাকে কেব্ল কারে উঠতে হবে। তবে হাইকিং করেও উঠা যায়, শুনেছি দুই ঘণ্টার মত লাগে আমি ট্রাই করিনি তবে ট্রাই করব ভাবছি নেক্সট যখন যাব বন্ধুরা মিলে.
excelent last picture
নতুন মন্তব্য করুন