বিগত কয়েকদিন ধরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল প্রসঙ্গ সারা দেশ জুড়ে আলোচিত হচ্ছে। ঊত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা এবং তারপর স্কুলের অধ্যক্ষা, পরিচালনা কমিটি
এবং ছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া কেন্দ্র করে। খবরে প্রকাশ পেয়েছে স্কুল টির বসুন্ধরা শাখায় সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, বিশেষত পুরুষ শিক্ষকদের আচরণ নিয়ে ছাত্রীরা অভিযোগ করেছিল। সেই অভিযোগের
তৎক্ষণাৎ বিচার হয়নি। এরপর পরিমল জয়ধর কর্তৃক এক ছাত্রী দুই দফা ধর্ষিত হয়ে লিখিত অভিযোগ জানায়। অধ্যক্ষা মহোদয় অভিযুক্ত ছাত্রীকে তিরস্কার করেন। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রী, অভিভাবক ও প্রাক্তন ছাত্রীরাও প্রতিবাদে
শামিল হয়। সঙ্কটের মুহূর্তে অধ্যক্ষা হোসনে আরা বেগম স্কুলে আসেন নি, সংবাদ মাধ্যম কে বিবৃতি দেননি। পরিমল গ্রেফতারের পরও তাকে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে দেখা যায়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৪ বছর কর্মরত শিক্ষিকা আম্বিয়া খাতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা হওয়ার পর এবং মেয়েরা তাকে কেক কেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানোর পর হোসনে আরা বেগম নতুন নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং স্কুলে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আম্বিয়া খাতুনকে অপসারিত করে মঞ্জু আরা বেগম কে অধ্যক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং মিডিয়াকে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রকাশে নিষেধ করা হয়েছে। ঘটনাপ্রবাহ থেকে কিছু প্রশ্ন ও সুপারিশ উপস্থিত হয়, সেগুলো একে একে আলোচনা করছিঃ
১। ধর্ষণ এবং এর প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের তথাকথিত রক্ষণশীল সমাজে ধর্ষণ একটি অতি ভয়াবহ ঘটনা। এটি একধরনের নির্যাতন যা পুরুষেরা জৈবিক লোভ এবং পুরুষত্ব বোধের বিকৃতি থেকে সাধন করে এবং আশা করে নির্যাতিতা সামাজিক লজ্জার ভয়ে চুপ করে থাকবে এবং অপরাধটিকে প্রশ্রয় দেবে। আলোচ্য দুইটি ধর্ষণ ঘটনার প্রথমটিতে এই চিরাচরিত সামাজিক পরিস্থিতি মেয়েটিকে প্রতিবাদী হতে দেয়নি কিন্তু দ্বিতীয় বারে সে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বিচার দাবী করেছে। দেশের আইন অনুযায়ী যে শাস্তি একজন ধর্ষকের প্রাপ্য তা যদি নিশ্চিতভাবে পরিমল পেত তা হলে পরিমল তাৎক্ষণিক ভাবে চাকরীচ্যুত হত, গ্রেফতার হত এবং বিচারের পর দীর্ঘকালীন কারাভোগ করত। সমস্যা তখনই শুরু হল যখন অধ্যক্ষা মহোদয়া অভিযোগ পেয়ে ছাত্রীটিকে তিরস্কার করেছেন, পারস্পরিক সম্মতিতে মিলনের কথা বলেছেন এবং ২৭ জুনে অভিযোগ পেয়ে ৮ জুলাই পরিমলকে বরখাস্ত করেছেন। পত্রিকায় যে বিবরণ পাওয়া গেছে তা অনুযায়ী পরিমল নির্যাতনের ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞ তা বোঝা যায়। কেমন করে নির্যাতিতাকে ব্ল্যাক মেইল করতে হবে সে বন্দোবস্ত করেই সে অপরাধটি করেছে। এরকম একজন অপরাধী নিজের প্রতিষ্ঠানে রয়েছে এবং শতশত ছাত্রী তার নাগালে রয়েছে, এ সম্ভাবনা হোসনে আরা বেগম কে আতঙ্কিত করেনি। তিনি মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলে ব্যাপারটির গুরুত্ব খর্ব করতে চেয়েছেন। এই অবস্থায় তিনি অবশই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার ও ঢাকা বোর্ড প্রথমে কিছুই না জানার ভান করে থেকেছে। পরিমল এক সময়ে ছাত্রলীগের কর্মী ছিল এবং তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়, এই তথ্য হয়ত সরকারকে বিব্রত করেছে, কিন্তু না জানার অভিনয়টি সরকারের অবস্থানকে দৃঢ় করেনি বরং ১৯৯৮ এর জসিমুদ্দিন মানিক এর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। রাজনীতিবিদগণ যদি মানসিক এবং নৈতিক ভাবে পরিনত হতেন তবে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের সমালোচনা করার চাইতে নিজের দলের যুবকদের চরিত্র গঠনের দিকে বেশি মনোযোগ দিতেন। এই প্রয়োজনীয় কাজটি রাজনীতিবিদরা করবেন না, তা আমি নিশ্চিত।
২।আম্বিয়া খাতুন এর নিয়োগ ও অপসারণ
সাবেক অধ্যক্ষা মহোদয়া হোসনে আরা বেগমের নির্লিপ্ততা ও কাল ক্ষেপণ যখন সবাইকে আশ্চর্য করেছে, তখন আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে স্কুলে দীর্ঘকালীন কর্মরত কোন শিক্ষক অধ্যক্ষা হলে এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হতনা। অধ্যক্ষা হয়ার যোগ্য তালিকায় সুফিয়া খাতুন, লক্ষ্মী রানী সাহা, জেবুন্ননিসা, শায়লা বেগম, রোকসানা শামিম, আম্বিয়া খাতুন প্রমুখের নাম বিবেচিত হতে পারে কারন তাদের নিষ্ঠা, কঠোরতা ও বলিষ্ঠ বাক্তিত্তের কথা সর্বজনবিদিত। আন্দোলনরত ছাত্রীরা মনে করেছিল উপরোক্ত কেউ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলে ধর্ষণ মামলায় স্কুল টির অংশগ্রহণ এবং ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত হবে। ঊত্তাল পরিস্থিতিতে আম্বিয়া খাতুন দায়িত্ব লাভ করাতে ছাত্রীরা বিজয়ের আশা দেখতে পায় এবং কেক কেটে ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। জাতি যখন মিরেরসরাই শোকে কাতর তখন কেক কাটার ঘটনায় আম্বিয়া খাতুন সমালোচিত হন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণ করে ঢাকা বোর্ড ও গভরনিং বডি মঞ্জু আরা বেগম কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ঘোষণা করে। ভিকাররুনিসা প্রাঙ্গনে কেক কাটা কোন বিছিন্ন ঘটনা নয়, মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার, বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি উপলক্ষে ছাত্রী প্রতিনিধিদের নেতৃতে মেয়েরা আগেও বহুবার বেইলি রোড সংলগ্ন দোকান থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে কেক কিনে উদযাপন করেছে। শোকের মুহূর্তে কেক কেটে তারা অবশ্যই সমালোচনার কাজ করেছে। কিন্তু আম্বিয়া খাতুনের তাৎক্ষণিক অপসারণ এবং তাকে মৌলবাদী অপবাদ দেওয়াতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে ঃ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে ২৪ ঘণ্টায় ব্যাবস্থা নিতে পারতেন, কিন্তু নেননি। আম্বিয়া খাতুনের মত অনমনীয় ব্যাক্তি দায়িত্ব লাভ করাতেই বরং তাদের টনক নড়েছে, তার আগে নয়।
৩। সংবাদ মাধধম এর ভূমিকা
সংবাদ মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল প্রসঙ্গে মন্তব্য ধর্মী খবর প্রকাশের নিষেধাজ্ঞা এবং ব্লগার দের খুঁজে বের করার চেষ্টা সংক্রান্ত একটি খবর ইন্টারনেটে পাওয়া গেছে। বিডিআর বিদ্রোহ, শেয়ার কেলেঙ্কারি, তেল-গাস চুক্তি ইস্যু তেও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কথা শোনা যায়নি। বাংলাদেশে সঙ্ঘটিত অন্য কোন ধর্ষণ মামলা তেও এরকম প্রতিক্রিয়া দেখিনি। তাহলে এবার এই রাখঢাক কেন? কর্তৃপক্ষ কি ধর্ষণ বিষয়ে আলোচনায় লজ্জা পাচ্ছএ, নাকি সামাজিক শৃঙ্খলা অবনতির ভয়ে চুপ থাকছে, নাকি কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে যাওয়ার ভয় করছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ, ভর্তি বাণিজ্য, আর্থিক দুর্নীতি ইত্যাদি অভিযোগ নতুন নয়। গভরনিং বডির সদস্য গণ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন এ গুজব শোনা গেছে। মাননীয়া হোসনে আরা বেগম ও অভিযোগ করেছেন ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করেছেন বলেই তাকে বিপদে ফেলা হয়েছে, কিন্তু ভর্তি বাণিজ্য থেকে কে বা কারা লাভবান হচ্ছিল তা তিনি বলেন নি। সেই লাভবানদের নাম প্রকাশ পেলেই আমরা বুঝতাম কেনই ভিকারুননিসা নূন স্কুল গভরনিং বডির মেম্বার হওয়ার জন্য রাজনীতিবিদদের এত আগ্রহ, কেন মেয়েদের স্কুল এ নৈতিকতা বিচার না করে, শিক্ষাগত যোগ্যতায় শ্রেষ্ঠ দের না নিয়োগ দিয়ে পরিমলের মত রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয়দের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
৪। একটি সুপারিশ
সব সমস্যার মূল যে নষ্ট রাজনীতি তা বুঝতে কারো বাকি নেই, শুধু স্বীকার করতেই গ্লানি। কোন পরিস্থিতিতে তৃতীয় শ্রেণীর শিশুরা রাস্তায় বেরিয়ে আসে তা বোঝার জন্য দার্শনিক হতে হয়না। নষ্ট রাজনীতি আমাদের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলো ধ্বংস করেছে, কল-কারখানা ধ্বংস করেছে, সামাজিক নিরাপত্তা ধ্বংস করেছে, দেশের সম্পদ বিকিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, সেবা খাত সব কিছুকে শেষ করে দিয়েছে। দেশ টিকে আছে শুধু শ্রমজীবী, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামে; যাদের ভোটে রাজনীতিবিদগণ ক্ষমতায় আসেন, যাদের কর, রাজস্ব, ঘুষ এবং শোষণে রাষ্ট্র যন্ত্র এবং সুবিধাবাদী সমাজ চলে। ক্ষমতা ভোগী মানুষ এতই অমানবিক হয়েছে যে শিশুরা লেখা পড়া, খেলা, হাসি আনন্দ ছেড়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে। এর আগেও স্কুলের জমি দখল, ইভ টিজিং, নকল দমন ইত্যাদি ইস্যু তে শিশু শিক্ষার্থী দের পথে নামতে দেখা গেছে। আমরা মানুষ না হলে আমাদের শিশুরাও মানুষ হতে পারবেনা, রক্ত মাংসের অস্ত্রে পরিনত হয়ে ভয়ংকর ভবিষ্যৎ বরণ করবে। আমরা যে শিশুদের দুধে ভাতে রাখার জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিই, আসুন সেই শিশুদের জন্যই এই মুহূর্ত থেকে ক্ষমতাবান দানবদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে সক্রিয় হই। এটা সহজ হবেনা, কেউ ঘর হারাবেন, কেউ প্রাণ হারাবেন, কেউ সম্মান হারাবেন। কিন্তু আমাদের শিশুরা অন্তত বেঁচে যাবে।
মন্তব্য
৩ নং পয়েন্টে ব্লগারদের খুঁজে বের করার যে চেষ্টার খবর বেরিয়েছে বলে লিখলেন,রেঁফারেন্সটা দিতে পারবেন কি? মনে হচ্ছে গা ঢাকা দিতে হবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাংলাদেশকে ভালবাসলেই 'বাল'-কে ভালবাসতে হবে, অথবা 'বাল'-কে সমার্থন করলেই গোপালগঞ্জের সব লোকের সব কাজ সমর্থন করতে হবে - এমন কি কোন কথা আছে?
বাংলাদেশ অনেক ব্যাপারেই আমেরিকা থেকে এগিয়ে আছে। 'ডিজিটাল বাংলাদেশের' ঘোষনা দিয়েছে বাংলাদেশ। আজও আমেরিকার সাহস হয়নি 'আঙ্গুলীয় আমেরিকা' ঘোষনা দেবার।
দূর্নীতি এখানেও আছে, কিন্তু ধরা পড়লে রেহাই নেই কারো। তবে এখানেও আমেরিকা অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের থেকে।
এখানে স্কুল, কলেজ তো দূরের কথা, এমনকি কাজের ক্ষেত্রেও সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে যাতে কেউ 'সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট'-এর অভিযোগ তুলতে না পারে। এমনকি বহু দিনের বিবাহিত স্ত্রীও যদি কখনো স্বামীর সাথে দৈহিক মিলন করার সময় বলে যে তার ইচ্ছা করছে না আর স্বামী যদি তাতে সায় না দেয় - তবে স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে 'ধর্ষনের' অভিযোগ আনতে পারে। ধর্ষন এখানে একটি গুরুতর অপরাধ।
সাহস করে এই লেখাটা প্রকাশ করার জন্যে লেখককে অনেক ধন্যবাদ। যে দেশে প্রফেসর ইউনুসের মত মানুষকে হেয় করতে বাধে না - আশা করি আপনার মত আরো কিছু মানুষ সাহস করে সেখানে মাথা তুলে সত্য বলতে পিছপা হবেন না।
সাইফ শহীদ
এই 'বাল' জিনিসটা কী?
BAL বাল মানে বিএনপি আওয়ামী লীগ ও ধরতে পারেন, আবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও ধরতে পারেন
নির্ঝরা শ্রাবণ
ঘটনাগুলো একটা ক্রম তুলে ধরছেন-- ভালো হয়েছে। তবে অধ্যক্ষ ধর্ষণকে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলেছেন বলে অন্যত্র এবং এখানেও পড়লাম- তার কোন সূত্র রেখে দিলে ভালো হবে। আর একই ভাবে ব্লগারদের খোঁজা হচ্ছে--এরকম খবরের সূত্রও যোগ করা প্রয়োজন। সরকার এক/দুইজন ক্রিমিনালকে বাঁচাতে গিয়ে কিভাবে ডুবে যায় এর আরেকটা প্রমাণ আ.লীগ রেখে যাচ্ছে।
বেজায় চিন্তায় আছি। এই নরাধম রাতঃস্মরণীয়ই প্রথম সচলে মন্তব্য করেছিলো এই বলে যে, "তাহলে তো উনার মিউচুয়াল সেক্সে ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে।" এরপর অনেক সহব্লগারই একই মন্তব্য করেছেন।
যাই জীবন বীমার চলতি প্রিমিয়ামসহ দু'একটা কিস্তি এ্যাডভান্স জমা দিয়ে আসি। কখন না জানি কল্লা নেমে যায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনিতো দেখি চিন্তায় পরেও করনীয় কাজগুলো নিয়ে বেশ ভালোই থট দিয়েছেন, জীবন বীমার দুই কিসতিও ভাবা হয়ে গেছে। বারে বাহ, এই না হলে দূরদর্শী!
আপনার আরো পানাহ পেতে হবে, মনে নাই বেশ কি সুন্দর একখানি ছড়াও জাতির জন্যে উপহার দিয়েছিলেন, যার শেষ লাইনে বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ ইঙ্গিতও প্রদান করা হয়েছিলো। আপনার কি মনে হয় এইসব রাক্ষস-খুক্ষস-ভুত-পেতনি-দেও-দানোর মাথামোটা? ওরাকি ইঙ্গিত বুিঝতে অক্ষম?
হে রাতসরনীয় রাতের কান্ডারী, দুটি নয়, তিনটি নয়, বেবাক কিসতি দিয়া দিন, আরো দূরে দেখুন। এই বুঝি ভোর হয় হয়, এই বুঝি উকিল আসিয়া কামড় দেয় কুকিলের গায়!! :-D
সমস্যাটার শুরু কিন্তু আজকে-কালকে না, শুরু সেই জাবির মানিকের সময় থেকে।
"মানিক সেন্চুরি করে পার পেয়ে গেছে, আমাদের একটা দুইটাতে আর কি হবে"
এই ভাবনাটাই সবাইকে অন্ধ করে দিচ্ছে। সেই সময় মানিককে পার না করে যদি প্রাপ্য শাস্তি দেয়া হত, আজকের পরিমল ঘটনা ঘটানোর আগে একবার হলেও মানিকে পরিনাম মনে করে ভয়ে শিউরে উঠত।
সময় এখনো আছে, এখনো পরিমলদের প্রাপ্য কঠোর শাস্তি দিলে তা উদাহরণ হয়ে থাকবে।
শিশুরা বাচুক পূর্ববর্তী প্রজন্মের দায়বদ্ধতার হাত ধরে! আপনার নাম পেলামনা কিন্তু!
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান মন্তব্বের জন্য। ব্লগারদের খোঁজার বিষয়টি আমরা স্কুল এর আন্দোলনরত ছাত্রীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আর অধ্যক্ষা এর ব্যাপারটি ও স্কুল এর মাধ্যমে জানা। উনি baily road branch এর ছাত্রীদের আন্দোলন থেকে সরানোর জন্য এই কথা বলেছিলেন। এইগুলা কোণটাই পত্রিকাই আসেনি বা ছাপতে দেয়া হইনি। তাই আমরা ব্লগ এর সাহায্য নিয়েছি সত্য সকলের সামনে তুলে ধরতে।
BAL = Bangladesh Awami League
good job
এই ছোট্ট ছোট্ট মেয়েগুলোর জন্য গর্ব হয় খুব, কিভাবে ওরা আজকে একটা অন্যায়কে রুখবার জন্য রাস্তায় নেমে আসছে। আজকে যদি ওরা হেরে যায়, ভবিষ্যতে কোন মেয়ে হয়তো আর সাহসই করবেনা এই ধরনের অন্যায় এর প্রতিবাদ করতে, আর ওরা যদি জিতে যায়, ওরা এমন একটা উদাহরন সৃষ্টি করবে যে এই ধরনের অন্যায় করার আগে মানুষ সেকন্ড থট দেবে। আমরা মেয়েরা এসব অন্যায়কে লজ্জিত হবার ভয়ে আর কখনো হয়তো লুকিয়ে রাখবোনা। এই বিজয়টা ওদের তাই খুব দরকার।ওদেরকে জয়ী দেখার অপেক্ষায় আছি।
ইউরোপ এও এমন অনেক হয় কিন্তু low সবার জন্য সমান। বাংলাদেশ এর একটাই দুর্বলতা... অপরাধীরা কখনই শাস্তি পায়না যদি তারা কোন দলের হয়। এখানে স্বয়ং PM কে নিয়েও সমালোচনা করতে মিডিয়া পিছপা হয়না হোক তো দলের অন্য কেও। সরকার যদি সাথে সাথেই পদক্ষেপ নিতো অনেক দৃষ্টান্ত মুলক credit পেতো কিন্তু এখানে উল্টা ওরাই অপরাধী কে প্রস্রয় দিয়েছে। ধিক বাঙালি জাতির ওইসব ক্ষমতা লোভী নরপশু গুলোর জন্য।
ভালোভাবে যে লেখক ব্যাপারটা বুঝেছেন এটা দেখে আমি সত্যি মুদ্ধ। আমি মনে করতাম সামাজিক যে ব্যাপারগুলো এই ঘটনার কারণ আর যেসব সামাজিক অনাচার দেখা যায় না কিন্তু চলছে- এইসব কেউ বুঝতেছেন না। এখন বুঝলাম না, এই লেখক ঠিকই বুঝেছেন। ধন্যবাদ লেখককে।
ব্লগের লেখকদেরকে খুঁজতে থাকলে বাকি আমরা যারা ফেসবুকেও এসব তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছি, তাদেরকেও খুঁজুক। আমাদের সংখ্যা কম নয়। কতজনকে জিম্মি করতে পারে তা আমরা দেখে নেবো। মিডিয়াও অনেক কিছু গোপন করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু ব্লগ ও ফেসবুকে প্রচারের কারণে তাদের টনক নরেছে। তারা নিজেদের জনপ্রিয়তা বাঁচানোর জন্য খবর ছাপতে বাধ্য হয়েছে। প্রথম আলো গতকাল প্রথম বারের মত কিছুটা বিস্তারিত খবর ছেপেছে, তাও সম্পূর্ণ নয়। ব্লগ ও ফেসবুকে আমাদের প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। আমরা হলুদ রংকে পরোয়া করি না।
এটা কেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ যেখানে পরিমলের মত অপরাধীর শাস্তির জন্য স্কুলের ছাত্রীদের আন্দোলন করা লাগে? পরিমলের যদি শাস্তি না হয়, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার বেশ ধর্ষণবান্ধব।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পোস্টের সবচেয়ে বড়ো দুর্বলতা সবকিছুকে রাজনীতির ওপরে চাপানো। রাজনৈতিক পরিচয়সহ এবং ছাড়া দুই ধরনের 'আমরা'ই একই টাইপের আকাম করি, রাজনৈতিক ব্যাকিং থাকলে আকাম করে পার পাওয়া সহজ হয়, যেটা পীরের ব্যাকিং এও হয়, আবার টাকা থাকলেও হয়।
আম্বিয়া খাতুনের অধ্যক্ষা হওয়া কতোটা বিধিসম্মত, তা চিন্তার বিষয়।
ছাত্রী দুইদফা ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি ডাবল চেক করে দেখবেন। প্রথমদফা যৌন নিপীড়নের পর্যায়ে পড়ে।
ধর্ষণ শুধু বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজেই না, পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য দেশেই অনেক বড়ো অপরাধ। বিশেষ করে তথাকথিত ফ্রি-সেক্সের দেশগুলোতে ধর্ষণ কোনোভাবেই ফ্রি না, আমাদের দেশের চেয়েও কঠোর অপরাধ।
যৌন নির্যাতন শুধু পুরুষরা করে না, নারীরাও করে।
ইউনুস ডাক্তারকে এই আলোচনায় টানার প্রেক্ষিত বুঝতে পারি নাই। নিজের দলের ছেলেদের চরিত্র ঠিক করার আগতক ইউনুসের যৌক্তিক সমালোচনা করলে সমস্যা কোথায় ক্লিয়ার না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। সনাতন মিডিয়া না গুরুত্ব দিলে বিকল্প মিডিয়াই পাথেয়। ভিকারুন্নিসার ছাত্রিদের সাথে সংহতি জানাচ্ছি।
লেখাটার বিষয়ে আমার কিছু পর্যবেক্ষন ও পরামর্শ আছে। নিচের অংশটা পড়ে মনে হতে পারে কেন আমি যে বিষয়ে লেখা সেবিষয়ে আলোচনা না বাড়িয়ে সেটার খুঁত ধরতে লেগে গেলাম। এর কারণটা আগেভাগেই বলি এখানে। যেকোন ফাইটে প্রতিপক্ষ চেষ্টা করবে যেকোন দুর্বলতা ধরে আপনাকে ধরাশায়ী করতে। এখন যেমন ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে বিরাট গল্প ফাদা হচ্ছে সেটা হতো না যদি একটু নিয়মমাফিক আগের অধ্যক্ষকে ধরা হতো। এরকম আরো কিছু পয়েন্ট বিস্তারিতভাবে আমি এক এক করে বলছি -
এই মন্তব্যটা একটু ঢালাও হলো। এই লাইনটা পড়ে মনে হচ্ছে সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষকের আচরণ ঠিক নেই। আচরণ নিয়ে অভিযোগ একটা অস্পষ্ট মন্তব্য। তারা সবাইকে কী আপনি নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন? যদি তাই করে থাকেন তাহলে সেটা স্পষ্ট করুন। নাহলে শোরগোল শুরু হবে যে সবাইকে নিয়েই মেয়েরে গন্ডগোল পাকাচ্ছে। আমি যদ্দুর জানি পরিমল ঝাকের কৈ নয়। পরিমলের অপরাধ অন্যদের থেকে গুরুতর।
২.
লেখার সবচেয়ে দুর্বল লাইন এটা। বলাই এটা নিয়ে ফোকাস করেছেন। একটা বিষয়ে সমালোচনা করা বা না করার সাথে অন্য বিষয়ের সমালোচনা করা বা না করার সম্পর্ক নেই। নিজ গুনেই প্রতিটা ইস্যু (সমা)লোচনার দাবি রাখে। ইউনুস ধোয়া তুলসি পাতা কিনা সেটা বিষয়ে অনেকেই সেকেন্ড থট দেবে। আর্গুমেন্টটা এরকম হতে পারে যে ইউনুসকে সমালোচনা করা হয়েছে ভালো কিন্তু অন্যদের বেলায় চুপ কেন, সেখানে সরব হউন - এরকম। একটা বাদ দিয়ে আরেকটা করতে হবে এটা ভুল পদ্ধতি।
৩.
আমি গত ৩০ বছর ধরে অল্প কিছু সময় ছাড়া কোন না কোনভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। নিজের অভিজ্ঞতায় জানি সিনিয়রিটি সচলাবস্থা নিশ্চিত করে না। যৌননিপীড়ন ভিকারুন্নিসা দিয়ে শুরু হয়নি। এগুলো অনেক আগে থেকে একটা চলমান ঘটনা। সব প্রতিষ্ঠানেই এরকম সিনিয়ন লোলচর্ম বয়বৃদ্ধরা চরে বেড়াচ্ছেন। কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি।
৪.
এখানে দু'টো পয়েন্ট। প্রথমত আম্বিয়া খাতুনের দায়িত্ব লাভ। এটা একটা কাঁচা কাজ হয়েছে। তার জানা উচিত ছিলো এই পদ তিনি রাখতে পারবেন না। নিয়ম অনুযায়ী তিনি এটা করতে পারেন না। এখন যে ভিকারুন্নিসায় ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে পাতার পর পাতা লেখা হচ্ছে পত্রিকায় সেটা আদতে এরকম একটা প্রচারণা চালাচ্ছে যে এইসমস্ত ঘটনাই আসলে একটা ষড়যন্ত্র ও টাকা পয়সা নিয়ে গ্যাঞ্জামের ফল এটা। আম্বিয়া খাতুনের পদপ্রাপ্তি এই আলোচনায় হাওয়া যুগিয়েছে। এছাড়া আর কিচ্ছু হয়নি। এটা যে কতবড় একটা রাজনৈতিক ভুল সেটা আশা করি উনি একসময় বুঝতে পারবেন। দ্বিতীয় ইস্যুটা কেক কাঁটা নিয়ে। ভিকারুন্নিসায় অন্য সময় কেক কাটা ও এই সময়ে কেক কাঁটার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে এটাও আম্বিয়া খাতুনের বোঝা উচিত ছিলো। এই ইস্যুটা শিক্ষা মন্ত্রনালয় ভালোভাবে নেয়নি শোক পালন একটা ডিরেক্টিভ হিসেবে ছিলো বলে। এই ইস্যুতে যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও ওএসডি করা হয়েছে বিষয়টা মনে রাখা উচিত।
তো এই বড় দুটো ভুল দেখার পর আম্বিয়া খাতুনের প্রজ্ঞার প্রতি আমি ব্যক্তিগতভাবে আস্থা পোষণ করতে পারছি না। বিপক্ষ দল অনেক শক্তিশালী এটা উনার বোঝা উচিত ছিলো।
আম্বিয়া খাতুন অনমনীয় হতে পারেন কিন্তু তার দুরদৃষ্টির অভাব রয়েছে আমি বলবো। কারণটা উপরের পয়েন্টে বলেছি। ভিকারুন্নিসার শিক্ষকেরা একটা সমন্বিত কার্যক্রমের দিকে যেতে পারতেন। কিন্তু সেদিকে তারা এগিয়েছেন সেটা বলা যাবে না। অবস্থাদৃষ্টে এই আন্দোলন অন্য স্কুলগুলোকে স্পর্শ করেনি। যৌন নিপীড়ন নিয়ে যে প্লাটফর্মটা কাজ করে তাদের আয়োজন করা শহীদ মিনারের সভায় কি স্কুলের আম্বিয়া খাতুনেরা গিয়েছিলেন? নাকি সেটাকেও "রাজনীতি" বলে তারা এড়িয়ে গিয়েছেন? যৌন নিপীড়ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (যেগুলোকে আপনি ধ্বংস হয়ে গেছে এরকমটা বলছেন) আগেকার আন্দোলনগুলোতে কাছাকাছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও কার্যক্রম চালানো গেছে। জাবির আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ঢাবিতেও এসেছে। স্কুল পর্যায়ে এরকম একটা সমন্বিত পদক্ষেপের দরকার ছিলো। কিন্তু এই মুহুর্তে আন্দোলনের ব্যাপ্তি সেরকম নয়। এই যৌননিপীড়ন আসলে ভিকারুন্নিসায় পরিমল বা তার রক্ষাকর্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন এটা ভাবলে ভুল হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, রাস্তা, ঘর সবজায়গাতেই এই নিপীড়ন চলে আসছে এবং এর বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি একটা প্লাটফর্মে কাজ করতে হবে। এরকম দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে আসলে একই রকম পরিমল সময়ে সময়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা দেবে।
৬.
লেখার জন্য আবারো সাধুবাদ। আরো লিখুন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিব ভাই, এটা আম্বিয়া আপার রাজনৈতিক ভুল বলছেন কেন? তিনি কোনরকম রাজনৈতিক কিছুর সাথে জড়িত নন। এবং তিনি সহজ-সরল অসম্ভব নীতিবান শিক্ষিকা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। উনি হয়তো এত কিছু চিন্তা করেননি...ছাত্রীদের উৎসাহে-অনুরোধে তিনি রাজি হয়েছিলেন। এই দুঃসময়ে ছাত্রীরা তার কাছে নিরাপদ বোধ করবে সেই চিন্তা থেকে তিনি রাজি হয়েছিলেন... তার চাকুরির আর তিন মাস আছে, তবু তিনি তিনমাসের বেশি থাকতে রাজি হননি। কেকের ব্যাপারটাও তিনি জড়িত নন...
এখানে দেখুন
বাকিকথাগুলোতে সহমত। এটা একটা বিশাল প্লাটফর্ম হতে পারতো, কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ও সরকারি হুমকি, সবাইকে সরাসরি সরকারের বিপক্ষে দাঁড়া করিয়ে দিয়েছে...যেটা খুবই দুঃখজনক!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ম্যানিজিং কমিটি কীভাবে রান করে এটা আমিও জানি। আমি ধারণা করছি দীর্ঘকাল একটা ইনস্টিটিউশনে কাজ করার ফলে আম্বিয়া খাতুনও বিষয়টা জানতেন। ভিকারুন্নিসার ছাত্রিরা এই জটিলতাগুলো জানে না অনুমান করা যায়। আম্বিয়া খাতুন তাদের গাইড হিসেবেই ছিলেন এবং সেই কাজটির দায়িত্ব ঠিকঠাকমতো পালন করতে উনি ব্যর্থ হয়েছেন আমি বলবো। আম্বিয়া খাতুনের এই পদক্ষেপটা এই কারণে রাজনৈতিক ভুল যে উনার কাজ বিরুদ্ধ পক্ষকে পানি ঘোলা করার সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিব ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাছি আপনার মূল্যবান মন্তবের জন্য। আম্বিয়া খাতুন এর ব্যাপারটা সপ্নহারা যা বলেছেন সেইটাই সত্যি। শুধুমাত্র মেয়েদের চাপে আর নিরাপত্তার খাতিরে উনি দায়িত্ব নিতে বাধ্য হন। তাও আবার অস্থায়ী ভাবে, তিন মাশের জন্য। situation ঠাণ্ডা করতে। আর পরিমল ছাড়াও বাকি নিয়োগপ্রাপ্ত sir দের আচরণ ভয়ঙ্কর অশালীন যা ভাষাই প্রকাশ করতে আমাদেরি লজ্জা লাগে। আর এইটাই মেয়েদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। আপনার বাকি point গুলো খুব যুক্তিযুক্ত। আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলো মাথাই রাখবো। আবার আপনাকে ধন্যবাদ।
১।"তবে অধ্যক্ষ ধর্ষণকে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলেছেন বলে অন্যত্র এবং এখানেও পড়লাম- তার কোন সূত্র রেখে দিলে ভালো হবে।"
-স্কুল এ শিক্ষক দের সামনে উনি এই কথা এবং আরও অনেক এরকম কথা বলার পর সকল শিক্ষকরাই এর প্রতিবাদ করে। উনারা সবাই সাক্ষি আছেন।
২।"আম্বিয়া খাতুনের অধ্যক্ষা হওয়া কতোটা বিধিসম্মত, তা চিন্তার বিষয়।"
-বিধিসম্মত নয় সেটা টের পাবার পর শিক্ষকরাও এই কথাটা বলে এসেছেন।গভনীং বডি যে লাইন টি বলেছিল তা হল ৫ জন হলেই কোরাম পূরন হবে; কিন্তু পরের লাইন এ লেখা ছিল স্কুল শাখা থাকলে ৬ জন লাগবে সেটি জানায়নি। তাদের এই ফাকি পরে জানা যায়; শিক্ষকদের তো রাজনৈতিক চাল জানার কথা না/ আর ঐদিনের পরিস্থিতে আম্বিয়া আপার এ ছাড়া উপায় ছিলনা নাহলে মেয়েদের শান্ত করা যেতনা।
যেহেতু উনি সবচেয়ে জেষ্ঠ্য এবং সবচেয়ে যোগ্য পরেরবার উনাকে বিধিসম্মত ভাবে দিলেই তো হত।
http://www.facebook.com/notes/noor-a-nazia/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7/10150240743376220
৩।"খবরে প্রকাশ পেয়েছে স্কুল টির বসুন্ধরা শাখায় সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, বিশেষত পুরুষ শিক্ষকদের আচরণ নিয়ে ছাত্রীরা অভিযোগ করেছিল।"
- পরিমল ছাড়াও বরমন এর নাম এ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষক রাও আপত্তি জানিয়ে এসেছে। ঘটনার পর উনাকে ৩ দিনের ছুটি নিতে বলা হয়। কিন্তু আরও অনেক পুরুষ শিক্ষক রা নিজেরা লজ্জিত এবং তারা আমাদের সাথেই আছেন।
জানা উচিত। তারা চালবাজি নিয়মিতই দেখে আসছেন। তাদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
এই বিষয়গুলো আরো পরিস্কারভাবে প্রকাশিত হওয়া উচিত। এসব প্রকাশ না পেলে বরমন-লটকনেরা পার পেয়ে যাবে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ধন্যবাদ, লেখাটার জন্য।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন