আজকে ঢাকায় বেশ থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। বাসা থেকে নামবার খানিক আগেই ইলেক্ট্রিসিটি চ’লে গেলো। অনেকক্ষণ থেকে অপেক্ষা করছিলাম। লিফট আর চালু হয় না। পরে দশতালার সিঁড়ী ভেঙে নিচে নামতে হ’ল। নিচে বন্ধু’দের কেউ কেউ অপেক্ষা করছিলো। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে নিজেকে কেন জানি খুব দুখী দুখী লাগছিলো। বিজলী বাতিবিহীণ সিঁড়িঘরের আবছা আলো, আকাশের কালো মেঘের ছায়া আর আমার মনের অস্থিরতাই বোধকরি এই দুখী ভাবের জন্য দায়ী।
নিচে নেমে দাঁড়াতেই ঝুম ক’রে বৃষ্টি নামলো। দৌড়ে গেলাম শিল্পকলা’র বেইজমেন্টে। আরো একগাদা মানুষ এসে দাঁড়িয়েছে ওখানটায়। আমি একটা পিলারে হেলান দিয়ে বৃষ্টি দেখছিলাম। শিল্পকলার মূল ফটকের বাইরে দুদকের সামনে একটা ফুচকার দোকান বসে। হলুদ রঙের ঠেলাগাড়ি। বৃষ্টি ঠেকাতে দোকানি পুরো গাড়িটাকে প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে। এই ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে ঠেলাগাড়িটাকেও কেমন জানি দুখী দুখী লাগছিলো।
সকালে ঘুম ভাঙবার পর থেকেই কেমন জানি অস্থির লাগছে। গলার নিচ থেকে বুকের ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা।
আমার অনুভূতি কি বেশি তীব্র? নাকি সবার মনের ভেতরেই এই ধাঁচে আবেগ খেলা করে?
আমি অস্থিরতাটাকে ঢেকে রাখতে পারছিনা। কিছু একটা করে নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে চাইছি। কিন্তু পারছিনা। ভেতরে একটা অস্থিরতার ভয়ংকর অনুভূতি, একাকীত্বের একটা বিষ-সদৃশ তরল গলার নিচ দিয়ে নেমে খানিক পরপরই সমস্ত শরীরে মিশে যাচ্ছে। গা কাঁটা দিয়ে উঠছে।
আজকের এই ছুটির দিনটা বেশ কাজে লাগানো যেত পড়ার টেবিলে। কিন্তু কিছুতেই মন দিতে পারছিলামনা। বন্ধুদের খবর দিয়ে এনেছি অনেকটা আমিই, যাতে একটু ভালো সময় কাটে। ওদের সাথে বসে মনে হল, আমি অস্থির আচরণ করছি-এই হেসে গড়িয়ে পড়ছি, এই স্তব্ধ হয়ে বসে আছি। না এলেও পারতাম।
ঢাকার ফাঁকা পিচঢালা রাস্তা বৃষ্টিতে ভেজা। ফুটপাত ডুবে আছে বালি, ময়লা আর বৃষ্টির পানিতে। ডিভাইডারের যেই গাছটা একটু আগে বৃষ্টিতে ভিজেছে, খুব জুবুথুবু হয়ে যেন দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার মাঝখানে। রাস্তাটাও এত দুখী কেন?
ভালোবাসার আবিষ্কারে সবকিছু নাকি রঙিন হয়। আমার পৃথিবী খালি ধূসর হয়ে যাচ্ছে! কেন? তুমি হাজার হাজার মাইল দূরে ব’লে?
তোমার –আমার খুব পছন্দের বৃষ্টিমুখর দিনটাকেও ভীষণ অসহ্য লাগে। টেক্সট আর ইমেইলের এই জাল ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে এমেরিকান এম্বেসি ভেঙে চুরমার করে দেই। ভিসা’র ঝামেলা-টা কি না হলেই হ’তো না?
রাগ লাগে বাংলা অভিধানের উপরেও। কেন ‘মিস করছি’- এই শব্দটার খুব ভালো কোন প্রতিশব্দ তৈরি হয়নি। প্রাণ পুড়ছে লিখবো তাহলে? তা-ই লিখা উচিত। প্রাণ ই পুড়ছে- আগুন ছাড়াই পুড়ে খাঁক হবার এই অনুভূতিটা কি যে অসহনীয়। চোখের মনি কেমন লাল হয়ে জ্বলজ্বল করছে। সাদেক বলেছে, আপু আপনি কি কাঁদছেন? আমি বলেছি, না তো!
গত ক’দিনে তোমাকে কেমন অসহ্য করে ফেলেছি মিস করছি আর কেন তাড়াতাড়ি আসোনা- এই ব’লে ব’লে। আজকের অসহনীয় এই অস্থিরতাটা তাই ঢেকে মুড়িয়ে লুকিয়ে রাখতে ইচ্ছে হচ্ছে। তোমার যে বন্ধুরা তোমার কাছে আছে, চাইলে হয়তো তোমার নিঃশ্বাসের শব্দও শুনতে পায়- ওদের জন্য ইর্ষায় আমার মুখের ওপর ছাই রঙা একটা পরত পড়ে। কেউ হয়তো দেখে –কিন্তু বোঝে না। বলি, ওটা সুইমিং করতে গিয়ে ক্লোরিন পানিতে ট্যানিং হয়েছে। একবার মনে হয় ওরা তোমার এত কাছে থাকতে পারছে, কেন আমি নাই! আবার নিজেকে ছোটলোকের মত আর গাধী মনে হয়। জানি তুমি কাছে থাকলে হেসে কাছে টেনে নিয়ে বলতে আমি এত বোকা কেন।
আমি কি পাগল এখনো, তাই না? কবে যে আরো একটু ইমোশনালি ম্যাচুরড হবো!
মন্তব্য
কার ত'রে নিশি জাগো রাঈ...
লেখিকার নাম কই?
লেখিকা একটা অমোচনীয় কলম নিয়ে বসে আছে, আম্রিকান ছেলেটাকে নাম লিখে দিবে
এখানে নাম লিখবার চেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে একটু শান্ত হবার ইচ্ছাটাই বেশি ছিলো, নামের চেয়েও সেটা জরুরী।
অনামা পোস্ট ও মন্তব্য সচলে প্রকাশিত হবে না
আপনার কাছে হয়তো বা নামের চাইতে আপনার অনুভূতি জরুরি। কিন্তু পাঠকের কাছে নামটাও জরুরি। তারা আপনার অনুভূতিতে অন্তত আপনার মতো অতোটা আগ্রহী নন। বরং তারা লেখার গঠনে-গড়নে আগ্রহী। লেখার সঙ্গে একটা নাম মিলিয়ে লেখক সম্পর্কে একটা ধারনা করতে আগ্রহী। একই নাম/নিকের পরের লেখাটা পড়তে অথবা না পড়তে আগ্রহী!
যতো বড় মন্তব্য করেছেন আপনার নাম নিশ্চয়ই অতো বড় নয়! আর নাম লিখতে ভুলে যাওয়াও বিশেষ কোনো অপরাধ নয়! লিখে দিলেই চুকে যেত। তাতে পাঠকের সঙ্গে সম্পর্কের প্রথম সিঁড়িটা খানিকটা পিচ্ছিল হয়েও উঠতো না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নাম লেখা মানে যে সার্টিফিকেটের নাম লিখতে হবে তাও কিন্তু নয়। ব্লগ অথবা সচলের মতো লেখক ফোরামে নাম অথবা নিক একটা জানালার মতো... ওপাশের মানুষটির এক ধরনের আইডেন্টিটি। শামসুদ্দীন নাওয়াবের লেখা শামসুদ্দীন নাওয়াবেরই... আর কাজীদারটা কাজীদার। পত্রিকার মতো এখানে মিথস্ক্রিয়া একমুখী নয়, দ্বিমুখী। লেখকের একটা নিক থাকলে, তার একাধিক লেখা থেকে বক্তব্য বুঝতে যেমন সুবিধা হয়, তেমনি পাঠকদের পক্ষেও তার লেখা ট্র্যাক রাখা খুবই সম্ভব হয়।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
লেখিকা কি কোন নিক হিসেবে গন্য হতে পারে না?
আপনাদের কথাগুলো পড়ে কেমন যেন বকা খাওয়ার মত লাগছে।:) নিজের নাম প্রকাশে আমার সীমাবদ্ধতা আছে।আমি আমার ব্যাক্তি পরিচয় প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নই। সেটাকে ইগো বলতে পারেন, যদিও অনিচ্ছা আর অযাচিত ঝামেলা থেকে দূরে থাকা বললেই খুশি হবো।
পাঠকের সাথে সম্পর্ক তৈরির প্রথম ধাপটা পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে কিনা এটা ভাবিনি। আমি কোন নিক নিতে চাই নি, যেই নামে পরিচিতি দাবী করতে পারবো। আর আমি নিয়মিত লেখকও না।তাই কোন পাঠকশ্রেনী তৈরি হল কি হল না এই ভাবনাটূকু নিয়ে লেখা পোস্ট করিনি আসলে। এখানে যা লিখেছি, এটাকে কোন মানে স্বীকৃতি জানাতে অনুরোধ করবো না পাঠকের কাছে। লেখাটা 'লেখা' হয়ে উঠেছে কিনা সেটা নিয়েও আমি দ্বিধাগ্রস্ত । এটা একেবারেই ব্যাক্তি অনুভূতির প্রকাশ। একবিন্দু বাড়িয়ে বা বানিয়ে লিখিনি। হয়তো বলতে পারেন তাহলে কেন একটা পাব্লিক ফোরামে এটা পোস্ট করলাম, যাকে কথাগুলো লিখেছি, তার মেইলবক্সে পোস্ট করে দিলেই এই কন্ট্রোভার্সি-টুকু তৈরি হবার সুযোগ থাকতোনা। তা কেন দেইনি, সেটা লেখারই শেষাংশে উল্লেখ করেছি।
বাহবা পাবার লোভ আমার নাই, যদিও কেউ প্রশংসা করলে খুশিটুকু মনের ভেতরে লাফ দেয় খুব জোরেশোরেই।
কোন নীতিমালা ভঙ্গ করতে আসলে চাইনা।সচলে সন্দেশের ঐ নীতি আমি দেখেছি আগেও। যদিও পোস্ট করার আগে মাথায় ছিলো হয়তো এই লেখাটিতে একটা ম্যাস এফেক্টেড হবে না তাই নাম প্রকাশ বাঞ্চনীয় নয়, আর মডারেশন যদি লেখাটা ছাড়ে তো যাবে। না গেলে নাই।
কারো ব্যাক্তি-স্বার্থ সংক্রমিত হয় কিংবা সমাজস্বার্থ-সংক্রান্ত কোন মতামত প্রদান করতে হলে অবশ্যই একটা নাম নিয়ে নিতাম/নিজের নাম লিখতাম [কিংবা মতামত দিতে এগিয়েই আসতাম না :-P]
সচলের প্ল্যাটফর্ম আমার পছন্দ (তেল দিচ্ছিনা)। অন্য কোন ব্লগ সাইটে মনের ভাব প্রকাশের এত সুন্দর কোন তরিকা দেয়া নাই, রেজিস্টার্ড নিক নিতে হয়।সচলের এই ব্যাপারটা আমি খুব ভালো লাগে।
আপনাদের কনসার্ন এপ্রিশিয়েট করছি। যেহেতু নিজের নাম দেবো না, আর নিক নিতেও ইচ্ছুক নই, একটা পথ খোলা। আর লিখবো না।
আপনাদেরকে ধন্যবাদ।
আচ্ছা। রাস্তায় পাশের দেয়ালে লিখে রাখা অচেনা কারো প্রেমপত্র পড়তে চাই না।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বেশ। শুভবিদায়।
এভাবে শুভ বিদায়, খুদাপেজ দেয়াটা কিন্তু ভালো লাগলো না।
প্রিয় 'লেখিকা', লেখিকা নিক হতে পারে কিন্তু। আমারো এইটা মনে হয়েছিল আপনার মন্তব্য পড়ে, কারণ আপনি 'অতিথি' নিকে না লিখে ঐটা টাইপ করেছেন দেখছি। তবে নিক হিসেবে এইটা রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিনা তা জানি না।
নিচে একটা মন্তব্য করেছিলাম, রোমেল ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবের খাঁজে ঢুকে আছে, হয়তো দেখেন নাই, কারণ জবাব দেখলাম না, অবশ্য জবাব দেবার ইচ্ছাও লেখকেরই।
ব্লগে লেখার একটা মজা হলো তাৎক্ষণিক পাঠক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। কাজেই কারো কিছু ভালো লাগলেও জানা যায়, কোন কিছু ভালো না লাগলেও জানা যায়। এত সহজেই পাঠক প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হওয়ার দরকার নাই কিন্তু।
আসল পরিচয় অনেকেই দিতে চান না। আমিও তো একটা নিক নিয়ে লিখি। কিন্তু নিকটা ব্লগের জন্যে আমার পরিচয়। এইটাই সবাই বলতে চাইছেন।
ভালো থাকুন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যাযাবর আপনার মন্তব্য পড়েছি। হতাশ হচ্ছিনা, নিজের সীমারেখাটা আরেকবার মনে করে নিচ্ছি।
অনার্য ঠিক-ই বলেছেন, ব্যাক্তিগত প্রেমপত্র রাস্তার দেয়ালে লিখে দেয়া ভুল হয়েছে। এত অস্থির হয়ে ছিলাম যে নিজের আবেগের উপরে নিয়ন্ত্রণ ছিলো না। প্রার্থনা করছি যেন ভবিষ্যতে আমার অস্থিরতা 'নিয়ম-নীতি'র আবশ্যকতা, বাধ্যকতা মেনে চলে।
কৌস্তভ-কেও ধন্যবাদ, উনি লেখিকা নিকে সন্তুষ্ট না হওয়াতেই এই কন্ট্রোভার্সিটা এরাইজ করেছে। কি করবো বলেন, যতই এড়াতে চাই, আনওয়ান্টেড কন্ট্রোভার্সি পিছু ছাড়ে না।
আমেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মূল লেখায় তো 'লেখিকা' কেন কোনো নিকই ছিল না, 'সন্তুষ্ট' হওয়ার প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে?
মূল লেখায় নিক/নাম না থাকার ব্যাপারটা আমারো ভালো লাগে নাই। সেই প্রেক্ষিতেই প্রথম মন্তব্য ছিল, রোমেল ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবের ফাঁকে যেই মন্তব্য ঢুকে আছে, সেখানে শেষ প্যারা দ্রষ্টব্য।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্য লাফাং___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার কমেন্ট কি রেস্ট্রিক্টেড করে দিয়েছেন? ইচ্ছে করেই? দেখতে পাচ্ছি না-তাই জানালাম।
হ্যাঁ, ওই কমেন্টটা কেবল যাযাবরদির জন্যই ছিল...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যিনি থাকতে চাইছেন না তাকে বিদায় জানানোটা ভদ্রতা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনামা লেখিকা, আপনার লেখা ভালো লেগেছে। কিন্তু নাম নিয়ে এতো জেদাজেদির বিষয়টা ঠিক বুঝলাম না। আপনার নিজের নাম না দিতে চাইলে সাপ-ব্যাং যাকিছু একটা দিলেই কিন্তু চলে এখানে। সেটা আপনার চাইতেও আমাদের, যারা আপনার লেখা পড়ছি তাদের জন্য দরকার। অনেকেরই দেখবেন এমন নিক নিয়ে লেখেন বা কমেন্ট করেন, যা বাস্তবে নাম হিসেবে গন্য করিনা আমরা, কিন্তু এখানে দিব্যি সেটা ধরেই সম্বোধন করি।
আসলে, ব্লগে লেখাটা দ্বিমুখী প্রতিক্রিয়া দেয়। আপনার লেখার বিপরীতে পাঠকেরা মতামত দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। সেটা না করা গেলে আমাদের জন্য ব্যাপারটা অনেকটা বাতাসে যুদ্ধ করার মত হয়ে যায়। কার সাথে ইন্টার্যাক্ট করছি এটা অবশ্যই জানতে ইচ্ছে করে। সম্ভবত পাঠক হিসেবে সেটা আমাদের অধিকার-ও। আপনি সেটাকে মূল্য না দিতে চাইলে পাঠকরা সেটাকে আপনার অহমিকা এবং পাঠকদের প্রতি অবহেলা হিসেবে নেতিবাচক ভাবেই নেবে, সেটাই স্বাভাবিক।
এই কথাগুলোকে বকা হিসেবে নেবার কিছু নেই। এগুলো খুব সাধারন যুক্তি, আপনি সম্ভবত অনেক বেশি আবেগি বলেই মানতে চাইছেন না। মন খারাপ করে লেখা বন্ধ করবেন কেন বলুন ? আপনার লেখা ভালো, যা মনে আসে লিখে ফেলুন, চাঁদ-ফুল-লতা-পাতা যা হয় একটা নামে পোস্ট করে দিন, এতো ঝামেলার কিছু নেই। আমরা কিন্তু আপনাকে গ্রহন করবার জন্য দুহাত বাড়িয়েই আছি।
ভালবাসা পায়ে ঠেলতে নেই, জানেন তো ?
ভালো থাকুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
পুরো মন্তব্যে সুপার লাইক!!!! পূর্ণ সহমত।
এবার আশা করি অজ্ঞাত অভিমানী লেখকটির রাগ টাগ যদি কিছু কমে..................
এখানে আর কোন মন্তব্য করবো না ব'লে ভেবে রেখেছিলাম। আর এটাই শেষ বলে আশা করবো।
আশালতা কে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য। নাম নিয়ে আরগুমেন্ট এ না গেলেই হয়তো ভালো করতাম। আর্গু করে নিজেকে অযথা স্টাবোর্ন প্রুফ করা হয়ে গেলো। অবশ্য ছুড়ে ফেলা তীর নিয়ে আর না ভাবলেও চলবে। আমার যুক্তি, যুক্তির পেছনে লুকানো কোন সত্যের জন্যই হয়তো আমার জন্য প্রযোজ্য।সেই যুক্তি না জানা মানুষগুলিও অবশ্যই তাদের অবস্থানে সঠিক। কারো কোন ভুল নাই।
কখনো নিক/নাম দিয়ে লিখতে ইচ্ছে হলে লিখবো। লেখালেখি আমি আসলে পারি না।সো আর হাজির সম্ভানাও ক্ষীণ।
যাযাবর, কৌস্তভ, অনার্য, আশালতা, মৃত্যু আর অন্য সবাই যারা এই লেখাটার জন্য কিছু সময় হলেও ব্যয় করেছে, তাদেরকে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ।বিদায়।
দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেলো। কদিন বিরতির পর সচলে লগালাম। পেম-ভালুবাসা ভালু না। তাও কী আর করা!
নিন, একটা গান শুনুন-- আমার সকল নিয়ে বসে আছি...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গানটার সুর সত্যি খুব সুন্দর।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
'মিস করছি' -এর যোগ্য শব্দ আমাদের অভিধানে নেই হয়তো, অথচ দেখুন কত গভীর ব্যাঞ্জনাময় আমাদের এই মাতৃভাষা। কত প্রিয়তম আমাদের একান্ত আপন শব্দরাজি। কত নিগূঢ় অর্থশালী আমাদের সুবচন। নিচের কবিতাটি পড়ুন, দেখুন কত পৃথক দ্যোতনা 'অপেক্ষা' ও 'প্রতীক্ষা' এ দু'টি শব্দের মাঝে।
এমন অনেক দিন গেছে
আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থেকেছি,
হেমন্তে পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো ব’লে
নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি বনভূমিতে-
কোনো বন্ধুর জন্যে
কিংবা অন্য অনেকের জন্যে
হয়তো বা ভবিষ্যতেও অপেক্ষা করবো…
এমন অনেক দিনই তো গেছে
কারো অপেক্ষায় বাড়ি ব’সে আছি-
হয়তো কেউ বলেছিলো, “অপেক্ষা ক’রো
একসঙ্গে বেরুবো।”
এক শনিবার রাতে খুব ক্যাজুয়ালি
কোনো বন্ধু ঘোরের মধ্যে গোঙানির মতো
উচ্চারণ করেছিলো, “বাড়ি থেকো
ভোরবেলা তোমাকে তুলে নেবো।”
হয়তো বা ওর মনের মধ্যে ছিলো
চুনিয়া অথবা শ্রীপুর ফরেস্ট বাংলো;
-আমি অপেক্ষায় থেকেছি।
যুদ্ধের অনেক আগে
একবার আমার প্রিয়বন্ধু অলোক মিত্র
ঠাট্টা ক’রে বলেছিলো,
“জীবনে তো কিছুই দেখলি না
ন্যুব্জপীঠ পানশালা ছাড়া। চল, তোকে
দিনাজপুরে নিয়ে যাবো
কান্তজীর মন্দির ও রামসাগর দেখবি,
বিরাট গোলাকার চাঁদ মস্ত খোলা আকাশ দেখবি,
পলা ও আধিয়ারদের জীবন দেখবি,
গল্প-টল্প লেখার ব্যাপারে কিছু উপাদান
পেয়ে যেতেও পারিস,
তৈরী থাকিস- আমি আসবো”
-আমি অপেক্ষায় থেকেছি;
আমি বন্ধু, পরিচিত-জন, এমনকি- শত্রুর জন্যেও
অপেক্ষায় থেকেছি,
বন্ধুর মধুর হাসি আর শত্রুর ছুরির জন্যে
অপেক্ষায় থেকেছি-
কিন্তু তোমার জন্য আমি অপেক্ষায় থাকবো না,
-প্রতীক্ষা করবো।
‘প্রতীক্ষা’ শব্দটি আমি শুধু তোমারই জন্যে খুব যত্নে
বুকের তোরঙ্গে তুলে রাখলাম,
অভিধানে শব্দ-দু’টির তেমন কোনো
আলাদা মানে নেই-
কিন্তু আমরা দু’জন জানি
ঐ দুই শব্দের মধ্যে পার্থক্য অনেক,
‘অপেক্ষা’ একটি দরকারি শব্দ—
আটপৌরে, দ্যোতনাহীন, ব্যঞ্জনাবিহীন,
অনেকের প্রয়োজন মেটায়।
‘প্রতীক্ষা’ই আমাদের ব্যবহার্য সঠিক শব্দ,
ঊনমান অপর শব্দটি আমাদের ব্যবহারের অযোগ্য,
আমরা কি একে অপরের জন্যে প্রতীক্ষা করবো না ?
আমি তোমার জন্যে পথপ্রান্তে অশ্বত্থের মতো
দাঁড়িয়ে থাকবো-
ঐ বৃক্ষ অনন্তকাল ধ’রে যোগ্য পথিকের
জন্যে প্রতীক্ষমান,
আমাকে তুমি প্রতীক্ষা করতে বোলো
আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবো অনড় বিশ্বাসে,
দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে
আমার পায়ে শিকড় গজাবে…
আমার প্রতীক্ষা তবু ফুরোবে না…
(প্রতীক্ষা, রফিক আজাদ)
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমার যে এখনো কত কবিতা পড়াই বাকি...
ধন্যবাদ... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই কবিতাটি উল্লেখের জন্যে...
শুধু কবিতা পড়ার লোভে আরেকবার জন্মাতে ইচ্ছে করে।
যাযাবরাপু--
এটা (আমার মতে) রফিক আজাদের সেরা কবিতা। শিমুল মুস্তফার কন্ঠে অসাধারণ লাগে শুনতে। সময় করে তোমাকে লিঙ্ক পাঠাবো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুধু কবিতা পড়ার লোভে আরেকবার জন্মাতে ইচ্ছে করে! কি অসাধারন বাজলো কানে।
আপনি কেমন আছেন? বহুদিন আপনার লেখা পাইনা। আপনার পরাজিত পদাবলী পরে অনেক কটা ক্ষন চুপচাপ বসে থেকে মন্তব্য করতে করতে আপনার একজন পাঠক আপনাকে একটি ভাবনা উপহার দিয়েছিলো! আপনি পেয়েছেন কি?
আবৃত্তি শুনতে অত ভালু পাই না...
তবে ঠিকাছে, ধন্যবাদ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
গত বেশ কিছুদিন ধরে আমার ব্রাউজারের একটা ট্যাবে সচলায়তনের নীড়পাতা খোলা থাকে... আমি প্রায় কিছুই পড়ি না... ব্যস্ততার কারণে... ইচ্ছার অভাবের কারণে... মাঝে মাঝে ঢুকি, ঝড়ের বেগে পড়ে চলে যাই... মন্তব্য করতে লগ ইন করতে ইচ্ছা করে না... মাঝে মাঝে খানিক পরপর নীড়ে একবার চোখ বুলিয়ে যাই, নতুন কিছু এলো নাকি দেখতে... এই লেখাটাও দেখেছিলাম, ঢুকছিলাম না... ফেসবুকে একটা লিংক ধরে আসলাম... আর বাধ্য হলাম একটা মন্তব্য করে বলে যেতে, যে আপনি সফল হলেন একটা পোস্ট পুরোটা খুব মন দিয়ে পড়াতে, আমার নিজের অস্থিরতার মাঝে...
কোট করতে হলে পুরোটাই করতে হয়... তাই করলাম না...
সম্ভব হলে নিয়মিত লিখবেন, মনে হয় আমার ভালো লাগবে পড়তে...
আর অনুভূতির বহিঃপ্রকাশে শান্ত হতে সচলায়তনেই লিখছেন যখন, তখন সচলায়তনের নিয়মের প্রতি আর এর লেখক পাঠকদের প্রতি সম্মান থেকেই এরপরে নামটা লিখে দিতে অনুরোধ রইলো, পাঠকদেরো তো ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছা করে...
ভালো থাকুন...
@রোমেল, এই কবিতাটা আমার বেশ পছন্দ , অনেক দিন পরে আবার পড়া হল। মাঝে মাঝে যে কয়েক্টা লাইন মনে মনে বিড়বিড় করি তার মধ্যে ‘প্রতীক্ষা’ শব্দটি আমি শুধু তোমারই জন্যে খুব যত্নে
বুকের তোরঙ্গে তুলে রাখলাম একটা।
@ যাযাবর, কি বলবো! ভালো থাকবেন!
ডুপ্লি ঘ্যাচাং------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আবেগ নিয়ে গর্ব থাকুক অনায়াস সাধ্যে! বহুদূরের মানুষটার জন্য এই উচাটন টান খুব মুগ্ধ করলো। আম্রিকান এম্বেসি ভেঙে পড়ে যাক, পুড়ে খাক হয়ে যাক।
আমার পছন্দের একটা গান দিলাম আপনাকে, ভালো থাকবেন!!
http://youtu.be/Xfa2t7k5VL0
ভালো লাগলো লিখাটা, প্রতিক্ষায় যেমন কষ্ট আছে, প্রতিক্ষার পরে পাওয়ার মাঝে ভীষন রকমের একটা আনন্দ আছে...আপনার প্রতিক্ষার পালা শেষ হয়ে আসবে আশা করছি... সামনেই পাওয়ার আনন্দ ।
চমৎকার সাবলীল লেখা
চাইবার তীব্রতা বাঁধা পেলে মন খারাপটা স্বাভাবিক। আপনার জন্য শুভকামনা।
@তানিম এহসান, আজব দোয়া করছেন দেখি দোয়াটা ফলে গেলে আপুটা তার প্রিয়জনের কাছে আসতে পারবেন নাকি! আজব কথা বলে রে
আমি আসলেই মানুষ, আমার ভাষায় “আজিব”! করবোইতো, পুড়ে খাক হয়ে যাক আম্রিকান এম্বেসি, এইসব এম্বেসি, কাটাতার, ব্যারিকেড, দেয়াল, পর্দা আমার ভালো লাগেনা। আমি দেখি উন্মুক্ত আকাশে, জলে,মানুষ মানুষের সাথে প্রাণ ভরে প্রেম করবে, ভালোবাসবে, নিরাকার কোন এক আবেগের মাতাল প্রকাশে সবাই গান গাইবে, নাচবে, কবিতা, গল্প, ছড়া, উপন্যাসের জন্ম দেবে অগণিত মন। পৃথিবীতে অদ্ভূত একটা সময়ে জন্ম নিয়ে নিজের ভেতরের জলটুকু ধরে রাখার চেষ্টা করতে করতেই আধেক জীবন চলে গেলো খুব পলাতক, আবিরাম বিষাদে!
আপা, আমি আসলেই “আজিব” টাইপ এর মানুষ, আপনার মানুষ চেনার ক্ষমতা মুগ্ধ করলো।
একটা গান শুনুন আমার সাথে! http://youtu.be/aIFY9h8DImg
লেখা ভালু পাইলাম।
নাম না দেওয়া ভালু পাইলাম না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভালো পাওয়া না পাওয়ায় কাটাকাটি। এন্ডস আপ উইথ নিউট্রাল ফিলিং
নতুন মন্তব্য করুন