তেনারা

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২০/০৭/২০১১ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলা থেকেই আমি আবার তেনাদের ব্যাপারে একটু ডোরপোক কিসিমের। প্রায় রাতেই হাবিজাবি স্বপ্ন দেখে চিৎকার করে জেগে উঠা ছিলো তখনকারদিনের নিত্যনৈমিওিক ঘটনা।। আর যেটা মজার ব্যাপার ছিলো তা হোল, রাতের বেলা নাকি আমি একা একা নাটক ফাটক করতাম। আপুরা ডাকাডাকি করলে নাটক বন্ধ করে আবার নাকি ঘুমিয়ে পড়তাম। কিন্তু বেশিরভাগ সময় নাকি আপুরা ফ্রিতে সেই রাতের শো দেখতো আর হাসাহাসি করতো। সকালে উঠে যদি ও আমার কিছুই মনে থাকতোনা। আপুরা বলে তখন যদি এখনকার মত মোবাইল ক্যামেরা থাকত, আমার কীর্তিকলাপের কিছু নমুনা অবশ্যই তারা ধারণ করে রাখতো। আমি নাকি বিচিত্র কোন এক ভাষায় কথা ও বলতাম তখন। এই নিয়ে বাসায় সবসময়ই ব্যাপক পচানি খাইছি। তো একবার ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ের জন্য সবাই মিলে ফুফুদের বাড়িতে যাওয়া হোল। রাতের বেলায় আমরা ছোটরা সব ঘুমিয়ে পড়ছি, বড়রা সব দেদারছে গল্প করে যাচ্ছে। তো, অই সময় নাকি আমি ঘুম থেকে উঠে সুন্দর মত দরজার কাছে চলে গেলাম। আব্বা আমাকে পিছন থেকে নাকি বেশ কবার ডাক দিল, কিন্তু কোন পাত্তা না দিয়ে দরজা খুলে আমি উঠানে চলে আসি। এরপর সবার চোখের সামনে দিয়ে আমি হেটে হেটে সুপারি বাগানের কাছে চলে গেলাম। সবাই আমার পিছনে পিছনে আসছিলো। সেখান থেকে যেই আমি বাগানের ভিতর ঢুকবো, আব্বা তখন খপ করে আমারে ধরে ফেললেন, বাড়িতে নিয়ে এসে আসলেন। আমি আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। যথারীতি ঘুম থেকে উঠে কিছু মনে করতে পারলামনা গতরাতে কি হয়েছিলো। তখন ও জানতাম না যে আমি আসলে স্লিপ-ওয়াকার ছিলাম। সবাই বারবার জিজ্ঞেস করলে ও আমি কিছু মনে নাই ছাড়া আর কিছু সদুত্তর করতে পারলামনা। গ্রামের ফুফু ফুফাদের মনে হোল যে তেনারা আমার সাথে আছেন। এই তেনাদের দূর করতেই সেদিন কোন দূর গ্রাম থেকে এর আগে ও অনেকবার তেনাদেরকে তাড়িয়েছেন এমন একজন বিখ্যাত হুজুর কে নিয়ে আসা হোল। উনি এসে আমার দুহাত দেখলেন, আমারে অনেকক্ষণ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেন। তারপর জানতে চাইলেন, আমি বাসা থেকে কোথায় কোথায় যাই। বললাম, ‘স্কুলে যাওয়া হয় শুধু’। আর ও জিজ্ঞেস করলেন স্কুলে যাওয়া আসার পথে কোন চৌরাস্তা পড়ে কিনা। আমি অনেকক্ষণ ভেবে বললাম, ‘হুম পড়েতো’। উনি বিজ্ঞের মত কে যেন একটা আবিষ্কার করে ফেলছেন এই ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কখনও স্কুল থেকে ফুল আনি কিনা। আমি বললাম, ‘রোজই তো আনি’। উনি তখন আমার বাবাকে ডেকে বললেন যে তেনারা আমাকে ধরেছে। তার হিসেবে আমার দুহাতের কড়ে আঙ্গুল এর মাপ নাকি সমান নাই। আর তেনারা আমারে ধরেছেন স্কুল থেকে আসার পথে যে চৌরাস্তা পরে ওইখানটাই, আর ধরার কারণ হোল সঙ্গে ফুল বহন করা। উনি এইজন্য আমাকে একখান তাবিজ দিতে চান,উহার জন্য কিছু খরচপাতি করা লাগবে। সব মিলিয়ে উহার হাদিয়া কত হবে তাহা শ্রদ্ধেয় আব্বাজানকে তিনি জানায়ে দিলেন। আব্বাজান বললেন, টাকা কোন বিষয় না, তাবিজ দিয়ে আমার মাইয়াটারে দোয়া কইরা যান হুজুর। তো সেই তাবিজ নিয়ে আইসা আমি স্কুলের তাবৎ পোলাপানরে ডাইকা আমার সঙ্গে থাকা ভুতের গল্প কইতে লাগলাম। আর ও ভয় দেখালাম এই বলে যে, দেখ আমার লগে কিন্তু শয়তান জিন আছে, বেশি তেড়িবেড়ি করবি তো তোগো খবর আছে। এইভাবে ভুত কাহিনী বেইচা কয়দিন চললাম ও। পোলাপান ও ব্যাপক সমীহ করে চললো আমারে।

আমি ছিলাম পুরাই ভ্যাম্পায়ারের উল্টা প্রজাতি, দিনের বেলা আমি ব্যাপক সাহসী, কেবল রাত নামলেই আমার কলিজা ছোট হয়ে যায়, ডর লাগে। যেমন রাতের বেলা লোডশেডিং হলে ভয়ে আমি আর একা একা নড়তে ও চাইতামনা। এইজন্য আম্মুরে কতবার বলছি, আমার পাতে মুরগীর কলিজা দিবানা, কিন্তু উনি আমার কথা শুনেনা। ঠিকই খাবার সময় আমার পাতে কলিজা পড়ে, আমি ও দোনামনা করে খেয়ে ফেলি। একবার আমাদের বাসায় কাকা কাকী দাদি সবাই আসছেন। বিশাল রমরমা গল্পের আসর বসছে সবাই মিলে। বাবা চাচারা তাদের ছোটবেলার ভুতের কাহিনী বলছে আর আমরা ছোটরা আক্ষরিক অর্থেই বসে বসে সেই ভয়ানক গল্প গিলছি আর একটু পর পর শিউরে উঠছি। এমন সময় হুট করে বেরসিকের মত লোডশেডিং হোল। আম্মা আমাকে পাঠালেন রান্নাঘর থেকে মোম জ্বালিয়ে নিয়ে আসতে। আমি যেতে চাইছিলামনা যদি ও। একে-তো ভুতের গল্প শুনছি এতক্ষণ ধরে, তারপর অন্ধকার আমার বরাবরই ভয় লাগে। লাগোয়া রান্নাঘর হওয়াতে তাও সাহস করে গেলাম মোম নিয়ে। মাত্র রান্নাঘরে ঢুকছি, দেখি সাদা কাপড় পড়া কে যেন দাড়ায়ে আমার দিকে হাত বাড়ায়ে দিছে। মনে হইছিলো বাতাসের মত ঝাপটা এসে আমার গায়ে লাগলো, সাথে কিছু শব্দ ও ভেসে আসছে। আমিতো এক চিৎকার দিয়ে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে সোজা আম্মার কোলে গিয়ে মূর্ছা গেলাম। আর কিছুতেই চোখ মেলিনা, সবাই ভয় পেয়ে গেলো আমার অবস্থা দেখে। আমারে তখন লবণপোড়া খাওয়ালো, একটুপর স্বাভাবিক হলাম। আমার চাচী আইসা পাশে বইসা কয়, ‘আমি তোরে বললাম, মোমটা আমারে দে, আমি জ্বালায়ে দেই, আর তুই অমন চিৎকার করে ঘরের দিকে দৌড় দিলি কেন’। এমন ভয় পাইছি যে আমি উনার দিকে ভুলে ও মুখ তুলে তাকালামনা। আমার আম্মা বললো ‘তুমি ওরম মাথার সামনে দুইহাত লম্বা ঘোমটা টানলে, কেডা না ভয় পাইবো, আর পইরা আছো সাদা একখান থানকাপড়’। উনি কয় ‘আমি মাত্র নামাজ পইড়া উঠলাম ভাবি’। আম্মা কয়, ‘তুমি হুদা ও লম্বা একটা ঘোমটা টানো গো রুবির মা, আজকে আমার মাইয়া যেরম ভয় পাইছে তোমারে দেইখা, খালি আল্লাহ সারায়ে আনছে দেইখা’।আমার মা তার বিশাল দোয়াদুরুদের ভান্ডার থেকে দোয়াকালাম পইরা সেবারকার মত আমার ভয় ভাঙ্গায়ে দিলো।তারপর আমারে ও কিছু দোয়া শিখায়ে দিলো ভয় পেলে যাতে পড়তে পারি।

এখনতো বড় হয়ে গেছি, আর আগের মত ভয় ও পাইনা বলেই বিশ্বাস করতে শুরু করে দিছিলাম। তো কয়দিন আগে দেশে গেলাম। যেদিন গেলাম সেদিন রাতে বসে সবার সাথে আড্ডা মারছি। ছোট ভাই বলা শুরু করলো ও নাকি কবে ঘুমাচ্ছিলো, ওর নাকি মনে হয়ছে ওর পিছনে কেউ শুয়ে আছে। এটা শুনে বড়পু বলে তার ও নাকি একদিন মনে হয়ছে তার পাশে কে যেন শুয়ে আছে। কিন্তু দুজনেই বিছানায় একা শোয়। আমি তাই ওদের নিয়ে ভীষণ একচোট হাসাহাসি করে নিলাম ছোটবেলার প্রতিশোধ হিসেবে, আর ও বললাম যে আমার ভুত এখন তো্মাদেরকে ধরছে। তখন ও জানতাম না এই বুড়া বয়সে ভুতে ধরার কাহিনী আমার কপালে ও আছে। পরদিন আপু, ভাই অফিসে গেছে, বাসায় আমি, আব্বা আর আম্মা। আমি আপুর রুমে শুয়ে ছিলাম দুপুরে, আম্মা আব্বা বসার ঘরে গল্প করছে। হাল্কা মনে হয় চোখ লেগে আসছে আমার, কিন্তু বসার ঘরে আম্মা আব্বার আলাপচারিতা ও কানে আসছে। হঠাত মনে হোল কে যেন আমার পিঠে টোকা দিচ্ছে। আমি ভাবলাম মেজো আপুর পিচ্চি সৌম্য হয়তো আসছে, দুষ্টামি করছে। দুইবার টোকা দেয়ার পর আমি পাশ ফিরে শুইলাম, দেখি কেউ নাই! আমি যে ঘুমিয়ে পড়ছি, তাও না, কিন্তু কি কাহিনী হোল কিছুই বুঝবার পারলামনা। দিনে দুপুরে এমন তব্দা খাইলাম যে ঠিক বিশ্বাস হইলোনা। যাইচা পড়ে হাসির পাত্র কে আর হইতে চাই বলেন, কাউরে কিছু না বইলা বেমালুম তাই চাইপা গেলাম। কিন্তু সেদিন রাতেই আরও একবার তেনা্দের কবলে পড়লাম। বড়পু বিছানায় বসে ওর লেপিতে ব্রাউজিং করছে। আমি ওর সাথে গল্প করতে করতে পাশেই শুয়ে আছি। আলো নিভানো। এবার ও হাল্কা মত ঘুম আসছে। আপু ফোনে কথা বলছে সেটা ও আমি বুঝতে পারছি। এরই মাঝে আমার মনে হোল আমারে কে যেনো চেপে ধরছে, আমি কোন কথা বলতে পারছিনা, কেউ একজন যেন বিশ্রী করে হাসতে হাসতে আমার মাঝে এসে ঢুকে গেলো, স্পষ্ট কেমন একটা ধাক্কা মত লাগলো নিজের কাছে। আমি আস্তে আস্তে আপুকে ডাকলাম, আপু ফোন ছেড়ে এসে আমাকে ধরে বলে কি হয়ছে, আমি বললাম, something is not right apu. আপু তাড়াতাড়ি সুরা পড়ে আমাকে ফু দিয়ে দিলো, বিছানার চারিদিকে ফু দিয়ে দিলো। পরদিন সকালে সবাই মিলে আবার একচোট নিলো আমার উপর। আমার হিরো-গিরি ছুটায়ে দিলো। এবার আমি দুপুরের ঘটনা ও বলে দিলাম। এইসব শুনে আম্মার মনে হোল, নতুন বাসায় উঠার পর মিলাদ দেয়া হয়নাই। এইবেলা একটা মিলাদ দিয়ে দিলে এইসব বালামুসিবত দূর হয়ে যাবে। বুড়া বয়সে আইসা আমার সেই ছোট্ট বেলার তাবিজটারে খুব মিস করতেছিলাম। শুধুমাত্র ভুতের হাত থেইকা বাচনের লাইগা সেই বাচ্চা বয়সে বহুত কষ্ট কইরা আয়তুল কুরসি মুখস্থ করছিলাম। সেই কুরসি পইড়া যে নিজেরে কতবার প্রবোধ দিছি। কিন্তু বুড়া বয়সে আইসা এমনে ধরা খামু এইডা ভাবিনাই। যাই হোক আমি হইলাম যারে বলে দুর্বল মনের মানুষ, বিশেষ সুবিধার না, উলটপালট জিনিসপত্র দেখি, আমার কথা শুইনা আপনারা আবার কিছু্মিছু দেখা শুরু কইরেন না যেনো।
বন্দনা


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে।

একটু সমালোচনা করি, লেখাটা দুই রকমের ভাষারীতি মিশিয়ে লিখেছেন বোধহয়। কিছুটা শুদ্ধ কিছুটা চলতি কথ্য! আমি ব্যাকরণ বুঝিনা। কেবল পড়তে গিয়ে বাধা পেয়েছি তাই বললাম। বিশেষত লেখার শেষ প্যারার শেষাংশে!
লেখাটি সম্ভবত লেখার পরে আর পড়ে দেখেন নি! কিছু শব্দ/বানান ভুল হয়েছে যা এমনিতে হওয়ার কথা নয়।
এতো বড় প্যারা না দিয়ে ছোটো ছোটো প্যারা করে দিলে পড়তে আরাম হয়। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মিলু এর ছবি

পুরোপুরি একমত।

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ অনার্যদা। হুম, কিছুটা মিশ্র ভাষায় লিখা হয়ে গেছে, কারন বাস্তবে ও আমি এমন মিশ্র ভাষায় কথা বলি এইজন্য। আর আমার আম্মাতো মাঝে মাঝেই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন, তাই উনার কথাগুলো ওভাবেই লিখতে চাইছিলাম, পরিবর্তন না করেই। বানানের ব্যপারে সাবধান হবার চেষ্টা করবো, স্পেল চেকার ব্যবহার করার পর ও যে কেনো এমন হোল, বুঝতে পারছিনা। আর আপনার সুন্দর এই সমালোচনার জন্য আপনাকে আবার ও ধন্যবাদ।

অপরজন এর ছবি

সচলেও কি ফারুকীয় ভাষার আমদানী করলেন?

ফাহিম হাসান এর ছবি

কারো লেখায় ভাষাগত সমস্যা থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে যৌক্তিক আলোচনা করুন। উপরে অনার্য সঙ্গীতের মন্তব্য দেখুন। আপনার মন্তব্যটা উস্কানিমূলক মনে হল। ফারুকীয় ভাষাই বা কী জিনিস? আর উত্তর হ্যাঁ বা না যাই হোক তাতে করে আদৌ আপনার কিছু আসে-যায়?

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

ফাহিম হাসান এর ছবি

ইন্টারেস্টিং ঘটনাটা।

বন্দনা- এর ছবি

হাসি ধন্যবাদ ভাইয়া।

বন্দনা- এর ছবি

ফারুকীয় ভাষা বলতে আপনি কী বুঝিয়েছেন আমি জানিনা, তবে সাধারনত আমি এভাবেই কথা বলে থাকি, তাই লিখায় ও চলে এসেছে। তবে চেষ্টা থাকবে ভবিষ্যতে এই জিনিসটি এভয়েড করার। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

কৌস্তুভ এর ছবি

মজা পেলাম। আপনি যে অভিমানে লেখা ছেড়ে দেন্নাই তাতে খুশি হলাম।

বাকি কথা রতন্দা কইছেন। তবে উনি আজকে লেখিকাদের পোস্ট দেখলেই ছুট্টে এসে প্রথম কমেন্ট করতেছেন কেন বুঝতারিনা। আশালতাদির পোস্টে আমি প্রথম কমেন্ট করে ফেলেছি বলে কী গোঁসা! খাইছে

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

তা তো বটেই! গ্রুপ ওয়ালের স্কিনশট পোস্ট করব নাকি! চিন্তিত চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আয়নামতি1 এর ছবি

অনার্য সঙ্গীত, ভাইয়া জলদি এখানে শটটা দেন শয়তানী হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

নাহ থাক! পরে আবার আমার দোষ হবে আমি নাকি মানুষের সংসার ভাঙ্গি। তাও আবার সংসার হবার আগেই!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কৌস্তুভ এর ছবি

সমাজ সংসার মিছে সব, মিছে এ সচলের কলরব…

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তুভদা হাসি । আপনারা অভয় দেন বলেই আবার ছাইপাশ লিখার সাহস পেলাম।

আয়নামতি1 এর ছবি

মজার ঘটনা! এখনো আছে নাকি আপনার ঘুমের মধ্যে হাঁটাহাঁটির অভ্যাসটা? শুভেচ্ছা থাকলো। হাসি

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ আয়নামতিদি। না এখন আর ঘুমের মধ্যে হাঁটাহাঁটির অভ্যাসটা নাই। থাকলে আর রক্ষে ছিলোনা, বিদেশ বিভুইয়ে কে আমারে দেখে রাখতো বলেন!!
আপনি ও ভালো থাকুন হাসি

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

স্লিপ ওয়াকিং এর কথা গল্পতে পড়ে ম্যাকবেথ নাটকে'র লেডি ম্যাকবেথের স্লিপ ওয়াকিং এর কথা মনে পড়ল:
Life's but a walking shadow..
এম আব্দুল্লাহ

বন্দনা- এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ ভাই।

guest_writer এর ছবি

স্লিপওয়াকিং নিয়া ব্যাপক গবেষণা আছে দেখছি। বেশ ভালো রিসার্চও হইছে এর মধ্যে। স্লিপওয়াকিং সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে চাইলে এই লিংকটা দেখতে পারেন: http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmedhealth/PMH0001811/

=========
আমি জানি না

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ guest_writer । পড়ে দেখলাম, বেশ কিছু সিম্পটমই আমার সাথে যায়।

guest_writer এর ছবি

বলেন কি? এখনো সিম্পটম আছে? এখনো ঘুমের মধ্যে হাটা-হাটি চলে নাকি?

ডাক্তার, ডাক্তার__________

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই ভূতগুলা কিন্তু গিফট- বিক্রি এবং রপ্তানিও করা যায়
কাউকে সাইজ করতে হলে খালি আমারে বলবেন- সোজা ওর ঘাড়ে রপ্তানি করে দেবো
(এলসি খোলা লাগবে না। লোকাল কারেন্সিতেই চলবে)

অমি  এর ছবি

কিছুদিন আগে আমি ও আপনার মতন ভয়ের পভিজ্ঞতা নিয়ে লিখার চেষ্টা করেছিলাম। লিখেও ছিলাম একটা, খুব একটা ভাল হয় নাই অবশ্য। আপনার লেখা টা পড়ে মজা লাগলো। আর এরকম লেখা চাই...
(আমার টা পড়ে দেখতে পারেন)
পড়ুন

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ অমি, আপনার লিখাটা পড়লাম। আমার কাছে কিন্তু ভালো লেগেছে।

তানিম এহসান এর ছবি

মজারু গল্প, বেশ মজারু! বন্দনা আপা, লেখার বন্দনা রইলো! শুভেচ্ছা,

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম ভাই লইজ্জা লাগে

বন্দনা- এর ছবি

লীলেনদা, আপনি কি ভুত বেচাকেনা ও করেন নাকি অ্যাঁ ! আমার সুপারভাইজাররে সাইজ করার জন্য আমি একটা কিনতে চাই, কত পরবে আওয়াজ দেন দাদা।

guest_writer এর ছবি

বন্দনা-পা, লেখাটা ভালো লেগেছে।
লীলেন-দা ভুত বেচাকেনা/আমদানী-রফতানী সিন্ডিকেটের অনিবার্য ও স্বঘোষিত সভাপতি!!!
আত্তসুদ্ধি

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ আত্তসুদ্ধি। কিন্তু কি শোনাইলেন এটা অ্যাঁ

আশালতা এর ছবি

লেখা ভালো হয়েছে। ভাষারীতি আর ফরম্যাটিংটা একটু সামলে নিলে আসলেও দারুন হবে। [ নিজের লেখা যেমনই হোক পাঠক হিসেবে আমি আবার বেজায় সিরিকাস চাল্লু ]

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ আশালতাদি হাসি । চেষ্টা করবো ভাষারীতি আর ফরম্যাটিংএর ব্যাপারে কেয়ারফুল হতে।

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

হাসি

বন্দনা- এর ছবি

ইস্কান্দর খালি হাসেন কে,ন কি ব্যাপা্‌ যান আমি ও হাসলাম হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বেশ আরাম করে পড়া গেল!

হ্যাঁ, ভাষারীতি একরকম হওয়াই ভালো। আবহমান কাল থেকে ভাষারীতি পরিবর্তিত হয়ে আসছে, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তবুও এটা তো সত্য যে, কথ্য ও লিখিত ভাষার ভেতর চিরকালই একটা মেজাজী পার্থক্য রয়ে যাবে।

বোন, তোমার গল্প বলায় একধরণের প্রাণবন্তভাব আছে। আমি মনে করি, প্রথমে যেমন ইচ্ছে তেমনি একটানে লিখে ফেলার পর রিভাইজ করার সময় বাক্যবিন্যাস কিম্বা ভাষার প্রয়োগিক দিকগুলোর প্রতি নজর দিলে অনায়াসে চমৎকারিত্ব আনা সম্ভব হবে।

শুভকামনা! হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ রোমেল ভাই, আপনার পরামর্শগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবো। আপনি কবি মানুষ, আপনার কবিতা যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি আপনার কথা বলার ভঙ্গি মানে শব্দ বাছাই করে বাক্য তৈরী করার ক্ষমতা ও অসাধারন।যাই বলেন না কেন তাই শুনতে ভালো লাগে

guest_writer এর ছবি

বন্দনা,
আপনার লেখা মন্দ না।

পড়াচোর।

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ পড়াচোর।

অতিথি লেখক এর ছবি

বন্দনা,
আপনার লেখা মন্দ না।

ভালো থাকবেন।

--------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ জানবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।