সকালের সূর্য নাকি জানান দেয় গোটা দিনটি কেমন যাবে। কিন্তু প্রবাদের দফারফা হতে দেখেছি বহুবার। ঝলমলে দিনের মুখ নিমিষেই হাড়িপনা কালো হতে দেখেছি। তারপর ছিঁচকাঁদুনী মেয়েটার মত দুপুরভর কেঁদেকেটে ঘনহয়ে আসা বিকেলে ফিক করে হেসে উঠতে দেখেছি। এতকিছু দেখাদেখির অভিজ্ঞতা থাকলেও আমার ছেলেবেলায় যে কাজিনের হাতে সবচেয়ে বেশি নাকাল হতে হয়েছিলো তার যে কোনই পরিবর্তন হবে না এটা আমি এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম।
আমার সেই কাজিন রীতিমত হালাকু খান একটা! বয়সে আমার চে' বছর ছয়েক বড় হবার সুবাদে আর শক্তিতে এঁটে উঠতে পারতাম না বলে ছেলেবেলায় তার অনেক অত্যাচার মুখ বুঁজে সইতে হয়েছে। এমন বদের হাড্ডি ছিলো ভাইয়াটা, কষে চিমটি কাটতো, কিন্তু কাঁদলে চলবে না। মুখ হাসি হাসি রাখতে হবে। খুব বেশি যন্ত্রণা হলে চোখ দিয়ে নিঃশব্দে জল গড়ানোর অনুমতি ছিলো এই শর্তে, সেটা বেশ সিনেম্যাটিক ভাবে ডেলিভারী দিতে হবে। আজব কথা! যন্ত্রণা কাতর মানুষ আর্ট মেনে চলবে নাকি! ভাইয়ার কথা, আলবাত চলবে! শিল্পের জন্মই কষ্টের ঝামা খেয়ে!
এহেন পাজীর পাঝাড়া কাজিনটা যখনই আসতো জানে পানি থাকতো না আমাদের। তার নিত্য নতুন বাঁদরামীর পুরোটাই আমাদের মত নিরীহদের উপর প্রয়োগ করে মজা পেতো। ভাইয়ার সবচে' প্রিয় খেলা ছিলো 'আক্রমণ করো' বলে ঝাপিয়ে পড়ে বেধরক পিটানো। একবার কোন একটা মারদাঙ্গা মুভি দেখে এসে তার কসরৎ দেখাতে গিয়ে নিজের হাত ভেঙে বসেছিলো!
একদিন খাওয়ার টেবিলে গল্প আর খাওয়া চলছে। ভাইয়ার ধারেকাছে আমরা কেউ বসতে চাইতাম না। নানা ছুঁতো করে সে পাতের খাবার গায়েব করে দিতে উস্তাদ ছিলো। আর কেউ আমার পাতে ঝুটো হাত দেবে ব্যাপারটা কেমন জানি ঘিনঘিন লাগে বলে আমি বেশ দূরত্বেই খেতে বসতাম। ভাইয়ার এটা জানা ছিলো বলে আরো বেশি করে জ্বালাতন করতো। তো সেবার খাবার নিয়ে তেমন জ্বালাতন করেনি। গল্প বলাতেই মশগুল। খুব জমিয়ে গল্প বলার ক্ষমতা ছিলো ভাইয়ার। সামান্য ব্যাপার কে বলার গুনে চমকপ্রদ করতে জানতো। আমরা ছোটোরা মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতাম তার গল্প।
সবার আগে খাওয়া হয়ে যাওয়াতে ভাইয়া হাত ধুয়ে আসছি, বলে উঠে যায় এবং কিছু পরে এসে আবার বাকী গল্প বলায় মন দেয়। খাওয়া- গল্প শেষ করে যে যার মত উঠে গেলো। বাঁধা এলো আমার বেলায়। চেয়ার ছেড়ে যতই উঠতে চাই কিছুতেই পারিনা। সামনে পেছনে অন্যেরা তখন হাসিতে গলে গলে পড়ছে। তখন হাত ধোবার ছুঁতোয় উঠে একান্ড করেছে। আমার লম্বা বেনী দুটো আচ্ছামত চেয়ারের সাথে গিঁট মেরে দিয়েছে! অন্যরা ব্যাপারটা চাক্ষুস করলেও, চরম খেসারতের ভয়ে কেউ আমাকে ব্যাপারটা জানাতে সাহস করেনি। এমন পাজীর পাজী কাজিনটা যে জীবনেও সুবোধ, ভালো ছেলেটি হবেনা এবং প্রবাদটা আমার দেখা একজনের বেলায় খুব সত্যি হবে সেটা ধরেই নিয়েছিলাম।
কিন্তু গত বছর সেই ভাইয়াকে দেখে পুরো টাশকি! অনেকগুলো বছর পর যাকে দেখলাম, সে রীতিমত ভাব গম্ভীর একজন মানুষ। রচেষ্টারে থাকে এখন। ওখানেই পি এইচডি করছে। জানতে চাইলাম এত সুবোধ বালক হলে কীভাবে, গোপন রহস্যটা কী ভাইয়া? খুব ভারিক্কী ভাবে উত্তর করেছে, 'রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে।' হাতে সময় থাকলে তারা দেখিয়ে দেবো বালিকে! আল্লাহর অশেষ কৃপায় সেবার ভাইয়া দাদাগিরি করেনি। অবশ্য বড় হয়ে যাওয়াটাও একটা কারণ। বড় হয়ে গেলে ছেলেবেলার সেই লাগামছাড়া আনন্দেরা কেমন দূরবর্তী তারাদের মত হয়ে যায়! দূর থেকেই কেবল যাদের দেখা যায়, ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না! সামনের সপ্তাহে নিউইর্য়ক যাচ্ছি। রচেষ্টারে একটা ঢু দেবার ইচ্ছা আছে সময়ের আনুকুল্য পেলে।
আমাকে টিনটিন ভক্ত বানিয়েছিল এই ভাইয়া। আমাদের বাড়ির খুব কাছেই ছিলো খালার বাড়ি। খালাতো ভাই বোনেদের বই দেখলে মাথা ঘুরে যায় এমন অবস্হা। বই আমাদের বাড়িতেও ছিলো প্রচুর। কিন্তু খালার বাড়ির তুলনায় তা খুবই নগন্য। আমার খালার ছিলো দস্যু বনহুর পড়ার বাতিক। তাছাড়া সেবাপ্রকাশনীর যাবতীয় বইসহ সাহিত্যের হেন বই নেই যা খালাতো ভাই-বোনেদের সংগ্রহে ছিলো না। অতসব বইয়ের ভীড়ে টিনটিনও জ্বলজ্বল করতো। টিনটিনসহ তিনগোয়েন্দা আর কিছু ওয়ের্স্টান অনুবাদ পড়ি খালার লাইব্রেরী থেকে। ভাইয়ার ভাষ্য ছিলো, আমি কুট্টুস টাইপের একটা মেয়ে, দস্যু ফস্যু জাতীয় বই আমার হাতে মানাবে না। আমার জন্য টিনটিন।
কুট্টুস(স্নোয়ি) যে টিনটিনের ফক্স টেরিয়ারের নাম সে কী তখন আমি জানি! জানলে তাকে শায়েস্তা করবার জন্য হলেও দস্যু বনহুর পড়তাম। কিন্তু যখন জেনে গেছি কুট্টুস কে! তখন আমি রীতিমত কুট্টুস আর তার মালিকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি ( এটা স্টকহোম সিন্ড্রোমের মামাতো ভাই)। আমরা থাকতাম পাঁচতলা এ্যাপার্টমেন্ট বাড়ির দোতলায়। মুখোমুখি ফ্লাটে ভাড়া থাকতো মিশুরা। টিনটিন ছোঁচা ছিলো এক নম্বরের! আমি পড়বার আগেই একরকম জোর করে নিয়ে যেত টিনটিন। মহা বিরক্ত হলেও মুখের উপর কিছুই বলতে পারতাম না বলে দিব্বি বইটা বগলদাবা করে বাড়ি চলে যেত। আর আমি ফিঁচফিঁচ করে কাঁদতাম। আর প্রতিবারই বুদ্ধি আঁটতাম পরের বার কিছুতেই বইটা মিশুকে আমার আগে পড়তে দেয়া যাবে না।
সেদিন টিনটিনের 'কানভাঙা মূর্তি'' নিয়ে বাড়ি আসছি। দেখি মিশু ওদের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে। মিশুদের ব্যালকনি ছিলো খালার বাড়ির রাস্তার দিকে। আমাদেরটা ছিলো উল্টো দিকে। ওকে দেখেই কোথা থেকে জানি মাথায় দুষ্টুবুদ্ধি উড়ে এলো। চট করে ব্যালকনির নীচে গিয়ে লুকালাম। উপর থেকে মিশু বলেই চলেছে, এই বুড়ি তোমার হাতে কী দেখি দেখি! আমি কীভাবে পা টিপে ওর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ি যাবো সে চিন্তায় অস্হির। আর ওদিকে মাথার উপর থেকে মিশু বকেই চলেছে। আমার কি যে হলো, বললাম ওখান যদি বইটা নিতে পারো তবেই আজকে টিনটিন পাবে, নইলে আমি আগে পড়বো। মিশুর মেলা বুদ্ধি, সে বললো বারে! তুমি লুকিয়ে থাকলে নেবো কী করে? সামনে এসো বইটা দেখাও। আমি সামনে দু'পা বাড়িয়েছি কি বাড়াইনি, হুড়মুড় করে ভারী কিছু একটা পড়লো সামনে।
সামনে এসে পড়া জিনিসটা দেখে আমার পা মাটির সাথে আঁটকে গেলো। মিশু মাটিতে পড়ে কোঁকাচ্ছে, কিন্তু ভাইয়ার শেখানো শিল্পকলা ওর পুরো মুখ জুড়ে। হাসিমুখেই সে আমাকে বলছে, বুড়ি হাতটা মনে হয় ভেঙেছে আমার! একথা শুনে আমি ভ্যাঁ! তারপরের ঘটনা আমার ঠিকঠিক মনে নেই।একটা প্রচন্ড শকের মত খেয়েছিলাম আসলে। দুই বাড়ির বড়রা কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না এই ঘটনায় আমার হাত আছে। আমি মিচকে শয়তান হওয়ায় প্রকাশ্যে দুষ্টুমী করা মিশুর ঘাড়েই দুর্ঘটনার পুরো দায়টা পড়ে। আন্টি- আঙ্কেল আর ব্যান্ডেজ বাঁধা স্বয়ং মিশু আমাকে দেখতে আসে সে রাতে!
ওই ঘটনার পর আমি টিনটিন পড়া ছেড়ে দেই। কেনো জানি একটা অপরাধবোধ কাজ করতো ভেতরে। ভাইয়া কতভাবেই বুঝিয়েছে, ওটা নিছকই একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু আমাকে একটা কথা বল, ওটা তো টিনটিনের 'আশ্চর্য উল্কা' ছিলো না। তারপরও ছেলেটা ওরকম উল্কাপাত ঘটিয়ে কান না ভেঙে হাত ভাঙতে গেলো কোন বুদ্ধিতে! আর তোর প্রতি কী প্রেম দেখেছিস? মুখ ফুটে বলেনি পর্যন্ত, তুই ঝাপ দিয়ে ভালোবাসা প্রমাণ করতে বলেছিস!....বলে সে কী হাসি। ভাইয়ার এমন উদ্ভট কথার কোনো উত্তর হয়না, তাই চুপ থেকেছি। কিন্তু মনে মনে আমিও মিশুর আচরণে অবাকই হয়েছিলাম। এমন পাজী ছেলেটা ঘুণাক্ষরে কাউকেই জানতে দিলোনা সেদিন পরোক্ষভাবে আমিই ওকে ব্যালকনি ডিঙ্গাতে উৎসাহ দিয়েছিলাম। ওই ঘটনার এক বছরের মাথায় মিশুরা সপরিবারে কানাডা চলে যায়। আমার আর জানা হয়না মিশু কেনো ওরকম করেছিলো। কোনোদিন জানা হবে না, ছেলেবেলার এই স্মৃতিটা মিশুর মনে আছে কিনা? নাকি বেনো জলে ভেসে গেছে আরো অনেক মামুলি ঘটনার সাথে! কতকিছুই অজানা থেকে যায় আমাদের। কত অজানা সবুজ দ্বীপে আমাদের পা রাখা হয়না কখনোই!
-আয়নামতি
মন্তব্য
লেখা ভালো লাগলো। ভাইয়ার উদ্ভট কথায় আপনি যথেষ্ট খুশি হয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে!
অফটপিক: আপনার আর আশালতার লেখা পরপর পড়লাম। এবং আপনারা একই পরিবারের সদস্য বলে সন্দেহ হলো!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব সত্যি কথা, ভাইয়া আমার হিরো ছিলেন তাই পিটুনী খেলেও তাকে খুব ভালো পেতাম
আমি আর আশালতা একই পরিবারের সদস্য। বাংলা স্বরবর্ণের দ্বিতীয় বর্ণ 'আ'তে আছি দুজনই! লেখা পড়বার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ@ অনার্য সঙ্গীত।
উহুঁ, আমি ওই বিশেষ বালক সম্পর্কে ভাইয়ার যে উদ্ভট কথা সেই বিষয়ে বলছিলাম
বর্ণ বিষয়ে ঠিকই বলেছেন, স্বরবর্ণ দিয়ে যাদের নাম শুরু হয় তারা বেশ আপনজন! অন্যদিকে ব্যাঞ্জনবর্ণ (বিশেষত 'ক') দিয়ে যাদের নাম শুরু তারা খুব সুবিধার নাও হতে পারে! সাবধান থাকবেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এত হাসির কী আছে! কৌস্ত্তভ দুষ্টের শিরোমণি লঙ্কার রাজা(কচুর রাজা ) সুযোগ পেলেই খায় রামপাখি ভাজা! একথা জানে সচলের পাঁচজনা
ঝুমার মত ঝুনা নারিকেল হইনি আসলে তখনও! খুব ছোত ছিলাম না ঝুমাটা কে জানবার কৌতুহল হলে এইখানে যেতে পারেন: http://youtu.be/MPI1YZXpSDY
আর বর্ণ বিষয়ে যা বললেন খুব ঠিক, খুব ঠিক। আপনাকে দিয়েই তো স্বরবর্ণ শুরু, গুরু! (কাজ নেই বাবা আপনাকে রাগিয়ে শেষে না আবার বায়োউইপন ফুঁকে দেন আমায় )
ভালো লাগলো আপু............নিয়মিত লিখবেন..................
এই মন্তব্যতো আয়নাদিকে করা ছিল, মন্তব্য লাফ দিয়েছে!!!!!!!
মন্দ বলেননি, লেখা পড়ে আমারও কেন যেন মনে হল আয়নামতিই আমার সেই কুম্ভমেলায় হারিয়ে যাওয়া ছোট বোনটি নয়ত ?!!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতাদি, এসো তবে বাংলা সিনেমার মত দু'বোনে স্লো মোশনে দিদিইইইইইইইই বলে দৌড়ে এসে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেকেটে বেশ একটা সেন্টুমেন্টু সীন করে ফেলি
একটা কোড সং ঠিক করে নিন (যে গান শুনে হারানো বোনকে খুঁজে পাবেন)
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভালো বলেছেন তো সজল! কোড সং ঠিক করা আমার কম্ম না। আশালতাদির উপরই ওটা দিলাম
না রে বাপু, গান-ফান ইজ নট মাই কাপ অফ টি, শুধু শুনেই যাই, তোমরাই বরং কাউকে ধরে আন, আমি শুধু লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন শুনলেই শুরু হয়ে যাব নাহয়...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নাঃ, আমাকে টিনটিন নিয়ে এত হ্যাপা পোয়াতে হয় নি!
লেখা ভালৈছে।
নিউইয়র্ক এলে বস্টন ঘুরে যাবেন নাকি? এট্টুখানিই তো দূর। শিকাগো যখন গেছিলাম তখন তো পাত্তাই দেন নাই!
এইখানেও! ও হরি, এ কিন্তু সইবে না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধর্মে সইবেনা বলছেন? ঠিকাছে, নাস্তিকতায় সয়ে যাবে...
হাঁ ডারউইন! বিচার কইরো!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আচ্ছা, এখানে কি লুল ফেলা নিয়ে ঝগড়া হচ্ছে?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ছি ছি, কী যে কন! দেখছেন ডারুইন-ফারউইন এসব গুরুগম্ভীর ব্যাপার নিয়ে চর্চা হচ্ছে...
মন্তব্য করবো বলেই তো এসেছিলুম গো বায়না থুড়ি আয়নামতি দিদি.. হালচাল দেখে মুখ টিপে হেসে সরে যাচ্ছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তিথীটা মন্তব্যই করলো না!
হ্যাপা মানে হ্যাপা! তাই যখন সবাই টিনটিন নিয়ে গালগপ্প করে আমি জ্বুলজ্বুল করে তাকিয়ে শুনি
হুম, ডাব্লুপি আই হয়ে একটা চক্কর দেবার কথা। দেখা যাক বাকীটা। ইশশশ এখন এসব বলে হবেটা কী! আপনি কখন শিকাগো এলেন আমি জানিই না! পোষ্ট পড়ে জেনেছি সেকথা। ততক্ষণে আপনি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে গেছেন। এখন মিছেমিছি অপবাদ দেয়া হচ্ছে। না বাবা বেশি রাগ দেখালে চলবে না। বষ্টন গেলে আইসক্রীম কিনে দিবেন না তবে ঠিক না? আপনি কী ভালু রে ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ কৌস্ত্তভ।
শুধু আইসক্রিমের বায়না করলেই হবে? নজরটাকে উঁচু করা দরকার... তালিকা এইখানে - http://www.sachalayatan.com/kaustubh/39294
আরে আজব! আমি কিছুমিছু খেতে চাইলাম, আমাকে দেয়া হলো ব্রহ্মশাপের হুমকি, আর আয়নামতি খেতে চাইলো স্রেফ আইসক্রীম, তাকে কিনা পোস্ট সুদ্ধ এত্তগুলো খাবার খাওয়ানোর নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে!!!
এই ডিসক্রিমিনেশনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানালাম । (নাহয় আমার চেহারাখানা খারাপ, গায়ের রঙ কাঠের চুলায় ব্যবহৃত পাতিলের তলার মত, তাই বলে এভাবে?...)
সেখানে তো আমায় দিয়ে রান্না করানোর ষড়যন্ত্র করছিল আপনি আদি দুষ্ট লোকেরা! আর ওগুলো তো রেস্তোরাঁর খাদ্যাবলী...
সেখানেই বললে পারতেন "রান্না তো করতে পারবো না, তবে কিনে খাওয়াতে পারি"
ইশশ ছবি দেখিয়ে পেট ভরানো চলবে না! আমার কেবল আইসক্রীমই চাই
"কত অজানা সবুজ দ্বীপে আমাদের পা রাখা হয়না কখনোই!"
ধন্যবাদ ইস্কান্দর বরকন্দাজ। আপনার জন্য (গুড়)
চেয়ারে বেণী পেঁচিয়ে দিলে দৃশ্যটা কেমন হয় কল্পনা করার চেষ্টা করছি
কল্পনায় কেমন দেখলেন, সেটা ছবি এঁকে পোস্ট দিবেন
কেউ চকবার খাওয়ালে আমি এঁকে দিতে পারি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুধু চকবার কেন রে! চাইলে যতরকমের আইসক্রীম আছে দেবো। আঁকো দেখি খুকী
ঠিক হ্যায়।
কাউকে 'মঠেল' পেলে কাজটা একটু ভাল হতো.. এই আর কী।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যন্ত্রণা দেখি! মঠেল পাই কোথা কল্পনায় দেখে নাও হে...
কেন, আয়না ব্যবহার কর...
'তবে রে পাজি কৌ...
দিলাম চরম অভিশাপ, যেন না জোটে তোর বউ!' (পোয়েটিক তুইতুকারি)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিন্তু ইয়ে, আমি তো বলছিলাম, দরকার হলে আয়না ব্যবহার করতে, আর নয়ত আয়না(মতি)কে ব্যবহার করতে...
কেন, আয়না ব্যবহার কর...
(একই কথা বললাম খুকি, কিন্তু একই অভিশাপ আমাকে দিয়ে লাভ নেই - কোনই ফল হবে না... এইবার? )
আর ইয়ে, শকুনের শাপে বামুন মরে না... গোমাতা তো মরেনই না...
তিথী, দাও দাও এদের কষে অভিশাপ দাও! দরকার হলে বুকস্টল থেকে অভিশাপনামা কিনে এনে বানান করে করে দাও। কী পাজীরে বাবা! কথা মাটিতে পড়তে পারেনা, সাথে সাথে আরেক কথার গাছ গজিয়ে দেয়
আমি শকুন!!!!!
ওয়াকআউট করলাম।
'ওয়াকা ওয়াকা' বলে চেঁচালেও আর কলাটলা খাওয়াবো না বাপু।
আর পছন্দনীয় ভাইডির সঙ্গেও রাগ করশি।
বায়নাদি, বুকস্টলে এই গেলাম বলে....
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আক্রমন করো বলে ঝাপিয়ে পরাটা আমার ও প্রিয় খেলা ছিলো, কতবার আমি একাই আমার দুই ভাইকে এইখেলায় হারায়ছি । লিখা ভালো লাগছে আয়নামতিদি।
তাই নাকি বন্দনা! শুনে মজা পেলাম। তবে তো আপনি আমার মত কেবল পিটুনী খাননি দিতেও পেরেছেন! সাবাস! অনেক ধন্যবাদ বন্দনা। আপনার জন্য (গুড়)
শুধু শেষ লাইনটার জন্যেই পাঁচ তারা ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হিহিহি....তবে তো শুধু শেষ লাইনটা লেখেই পোস্ট সেরে ফেলা যেত দিদি মজা করলাম। তোমার তারা মাথায় তুলে নিলাম। অনেকককক ধন্যবাদ। তোমার জন্য (গুড়)
আয়নামতির আয়নার মত ঝকঝকে লেখা! পাঁচতারা
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
খুব ভালোলাগার ভাইয়াটার মুখে এরকম প্রশংসাবাক্য শুনে আমার তো আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করছে! আপনার তারাগুলো খুব যত্নে রাখলাম ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাইয়া। আপনার জন্য (গুড়)
খুব ভালো লাগলো!
অনেক ধন্যবাদ তানিম এহসান মন খারাপ নাকি আপনার? নইলে কিপটের মত এক বাক্যে মন্তব্য করলেন যে!
আপনার জন্য (গুড়)
সবাইকে দেখি গণহারে “গুড়” দেয়া হচ্ছে ..... বলি - পৃথিবীতে দেয়ার মত আর ভালো কিছুই কি অবশিষ্ট নেই?
মিশু নামক একটি শিশুর শৈশবে কোন এক অজানা কারনে পাখী হয়ে উড়ার যে প্রয়াস সম্পর্কে জানা গেলো তা একটি জাতীয় রহস্যের জন্ম দিয়েছে বিলক্ষন! আহা, বড়ই নি”গুড়” রহস্য ভরা এ পৃথিবী
পুনশ্চঃ আমার মন সবসময়ই খারাপ থাকে ভাই, একারনেই সারাক্ষন হাসি! ধন্যবাদ, আপনার অনুভূতি প্রখর!!
বিলক্ষণ আছে! কিন্তু সচলে ধনেপাতা, পপকর্ণ আর গুড় ছাড়া তো আর কিছু নেই রে ভাইয়া আপনাদের এমন তুখোর কথার তোড়ে আমি এমন খেই হারিয়ে ফেলি কৌস্ত্তভের মত ওদিক-সেদিক থেকে যে এখানে চালান দেবো সেটাও হয়না(আর আমি জানিও না তিনি এতসব পান কোথায়!) তাই সামনে যা পাই দেই...কী করবো 'মায়ের দেয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই। দীনদুঃখিনী মা যে তোদের এর বেশি আর সাধ্য নাই' গানটা ভেবে সাধ্যটুকু বিবেচনা করলে গুড় কিন্তু চরম মিষ্টি লাগবে দেখবেন!
বালক টিনটিনের মহা মহা ভক্ত ছিলো, তাই পাখির মত বাড়িয়ে ডানা, দিয়েছিলো ওমন হানা!
আপনারা সবাই এমন চমৎকার কথার পিঠে কথা কইতে জানেন আমি সেটা একদমই পারিনা (মাথায় চড়ই পাখির মগজ থাকলে কতটুকু সম্ভব বলেন! মন খারাপের মনসবদারী খুঁচে গিয়ে আনন্দধারা বয়ে যাক সবার ভূবনে। শুভকামনা (গুড়)
হুমমম! ধনেপাতা বেজায় পছন্দ, বিশেষ করে ভর্তায় তুলনারহিত। আর আমার এ অভ্যেসের কথা জেনে প্রাণপ্রিয় মা জননী সেটার ব্যবহারও করেন বটে।
আমিতো দিব্যি দেখি - “সকল কথা কইতে পারেন”
মামি নিয়ে লড়তে পারেন
আসতে পারেন তাড়া করে উয়ীদ লাঠি হাতে
পপকর্নও খাইতে পারেন জ্বোনাক-জ্বলা রাতে
মগজখানা চড়াই বলে যত করেন বাহানা
আমাদের “এন্টেনা’ তাহাতেও নামেনা
ঠকাঠক মারা হয় ইট আর পাটকেল
মাথা তাক ছোড়া হয় কদবেল, নারকেল
ওকে তবে বাই-বাই দেখা হবে আবারো
আয়নায় মতি সাথে হীরে থাক হাজারো!
চমৎকার তানিম আপনি তো ভাই স্বভাব কবি! মুগ্ধ হলাম আপনার কাব্য প্রতিভায় সত্যি! ধুর ধুর, আমার কথাও কথা, ইভা রহমানও একজন শিল্পী! জোছনা নিয়ে কবিতা দেবার পর একটা গদ্য লেখা দিবেন ভাইয়া। এমন শব্দের খেলা আপনার পড়তে দারুণ হবে। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার শুভকামনার জন্য। অনেককককক ভালো থাকুন আপনিও
বালক কী চেয়েছিলো কে জানে । লেখা ভালো লেগেছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মনে হয় হাত ভেঙে সব ভুলে গেছে ......ধন্যবাদ সজল। আপনার জন্য (গুড়)
পিচ্চিপাচ্চিদের জন্য মজার লেখা।:)
তবে আমাদের সেই পুরোনো এনালগ যুগে কমিক টিনটিন ইত্যাদির রাজত্ব ছিল না বলে টিনটিন সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারছি না।
কিন্তু মিশুটার জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেছে। কী চরম বোকামীই করতে গিয়েছিল সে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কেমন কথা হলো! শুধু ছেলেরটাই দেখলেন মেয়েটা যে জীবনেও আর টিনটিন পড়লো না সে বেলায় কিচ্ছুটি হয় না, না? অনেক ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী ভাইয়া। আপনার জন্য (গুড়)
অসম্ভব সুন্দর!!
কিন্তু দিদি, এত কম লেখেন কেন??
নতুন মন্তব্য করুন