বিহ্বল হয়ে আছে মনথর আষাঢ়ের দিন
--------------- প্রখর রোদ্দুর
মধ্য দুপুরের কিছু পরে-
সিঁধেল চোরের মতো যেদিন একটু আঁচ,
মাড়োয়ারি কোকিলের কুউউউ বাশির ফুউউক,
লোলুপ বেড়ালের মতো মোম শিখা টুকুর উত্তাপে,
প্রথম পরশ দিয়েই,
অনবরত ছড়িয়ে গেছো স্পর্শের শিকড় বাকড়-
সেদিন বুঝি....
দিনাতিপাত সূর্য গ্রহনের হরিপদ উপোষ,
অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমার হিসেব কষে যাওয়া খড়ি রঙ্গে,
নিকষ আঁধারেও ছায়া ফেলে উড়ে ছিলো গাঙ্গচিল
চিহ্ন খুঁজে খুঁজে ঠিক নক্ষত্রলোকে তোমার ডাকাতে চোখ
অবিরাম বন্দনায় রত কাঙ্গালপনা হাতিয়েছিলো।
বজ্রাঘাতে পুড়তে থাকা মেঘের আঁচল
ওষ্ঠপুটে হাসি আর গালে টোলের জেল্লা জলুস
এই প্রথম আলাদা করে বুঝতে পারে
না ধুপ, ধুনচি, ত্রিশূল
না ডমরু,
গলায় রুদ্রাক্ষ কিন্তু
মাথায় বটঝুরির জট ছাড়াও, ঠিক চিনে নেয়া যায়
ক্ষুধা হীন তৃষ্ণা
খেদ হীন সাহস
সংগ্রাম হীন অনশন
অট্টহাসি, আর্তনাদ, কিংবা গান।
প্রাকৃতিক বুনো গন্ধের মেঘমালা সাজানো নক্ষত্রের থালায়-
অনুভব করা আচম্বিতে ছ'রকম ঋতুর উজ্জল আরশি,
যখন বুকে অবিরাম পুড়বার জন্য
ভালোবাসা,
দ্বীপ জ্বেলে যায় ।
মন্তব্য
বাপরে, কী সান্দ্র উচ্চারণ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আর কিছু বলবেন না?
কেমন লাগলো -
ভোট নজরে আসেনি?
'দিনাতিপাদ সূর্যগ্রহণের হরিপদ উপোস'----অন্যরকম!
বাঁশির, মোম শিখাটুকুর, সূর্যগ্রহণের, উড়েছিলো, গাঙচিল, কাঙালপনা, ক্ষুধাহীন, খেদহীন, সংগ্রামহীন, উজ্জ্বল ---এমন করে লিখলে ভালো শোনাবে।
শেষ স্তবকে উপমা ও উপমিতের মধ্যে একটা দূরান্বয়ী মেলবন্ধনের প্রচেষ্টা নজরে এল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল চৌধুরী - ধন্যবাদ।
ভালো শোনানোর চেষ্টা থাকবে আগামীতে..........
”যখন বুকে অবিরাম পুড়বার জন্য
ভালোবাসা,
দীপ জ্বেলে যায়”।
কয়েকবার পড়লাম, লিখতে থাকুন ভাই।
তানিম এহসান শুকরিয়া !!
". . . মেঘমালা সাজানো নক্ষত্রের থালায়"
"দিনাতিপাদ সূর্যগ্রহণের হরিপদ উপোস"
ভালো লাগলো। আরো পড়ুন এবং লিখুন।
সুমন_তুরহান কৃতজ্ঞতা
সুমন_তুরহান আপনার ভালোলাগা আমাকে উৎসাহিত ও সম্মানিত করলো।
কৃতজ্ঞতা
মনথর? শিরোনামেই টাইপো দেখতে ভাল্লাগেনা... তারপর আবার উপোষ-টুপোষ...
'মাড়োয়ারি কোকিল'?
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ-
মনথর >>> শব্দটি টাইপো নয়। এমনকি রবীন্দ্রনাথ অনেক খানেই মনথর শব্দটি এই বানানেই ব্যবহার করেছেন।
যদিও আমি হাসির কারণ বুঝতে পারলাম না।
আবারো ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
রবিবাবুর ব্যবহৃত প্রাচীন বানান তো অনেকই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। শব্দটি এখন (অভিধান/অ্যাকাডেমি) স্বীকৃত কি?
একজন মাড়োয়ারির যে স্টিরিওটিপিকাল ইমেজ, তার মধ্যে একটা কোকিলকে বসাবার কথা চিন্তা করতে গিয়ে হাসি পেল। (আপনি কী অর্থে ব্যবহার করেছেন তা বুঝি নি)
অভিধান/অ্যাকাডেমি - স্বীকৃতির মাঝেও কি এখন কিছু মত পার্থক্য নেই? হুমমম রবিবাবুর পরিত্যক্তপ্রায় শব্দ নিয়ে অবশ্য ভাবিনি।
উপমাগুলো বেশির ভাগ অপজিশন থেকেই নেয়া, ইমাজিন করে যদি হাসি পায় তবে হাস্যকর-ই
অসাধারণ!!!!
মৃত্যুময় ঈষৎ সাথেই থাকুন।
কৃতজ্ঞতা
মৃত্যুময় ঈষৎ - আপনার ভালোলাগা আমাকেও ভালোলাগা দিলো।
কৃতজ্ঞতা
নতুন মন্তব্য করুন