সংবিধান সংশোধনে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলায় অনেকেই অসন্তুষ্ট। যারা দেশে প্রকৃত অর্থেই ধর্মনিরপেক্ষতা চেয়েছিলো তারাও অসন্তুষ্ট। একদিকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ বহাল রেখে আরেকদিকে আবার ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচানো প্রকৃত অর্থে প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। দেশের উচ্চ আদালত এরকম প্রলাপীয় সংস্কার যদি সমর্থন করতে পারে, তাহলে সেই আদালত পরবর্তীতে যে আরো প্রলাপকে সমর্থন দেবে না, তার নিশ্চয়তা কী? আওয়ামী সরকারের মাথায় ওই ঘিলুটা নেই যে, নদীর দু' পাড় কে খুশি করতে গিয়ে নদীর মাঝখানে দাড়ালে কেউই খুশি হবে না, বরঞ্চ নিজেকেই ডুবতে হয়। সে যাই হোক, এখন আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের প্রসঙ্গে আসি।
ফেইসবুকে একটি কুয়েশচান দেখেছিলাম, "রাষ্ট্র ধর্ম কি ইসলাম রাখা উচিত? আপনার কি মতামত?"
৪৫৯৯ জন হ্যাঁ উত্তর, ২৬২২ জন না উত্তর দিয়েছে। (এ পর্যন্ত)
ফেইসবুক যারা ইউজ করে, ধরে নেয়াই যায় তারা সবাই শিক্ষিত ও প্রগতিশীল। দেখা যাচ্ছে এই বেশির ভাগ শিক্ষিত ও প্রগতিশীল মানুষই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সপক্ষে। তাহলে, দেশের অশিক্ষিত ও গোড়া জনতাকে আর কতটুকু দোষ দেয়া যাবে!
যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চায়, তাদের যুক্তি শুনলে মনে হয় এরা এখনো বাচ্চাদের মতোই রয়ে গেছে। "যে দেশের ৮০%+ জনতাই মুসলিম, সে দেশের রাষ্ট্রধর্ম কেন ইসলাম থাকবে না?" আরেকটা যুক্তি তারা দেখায়, রাষ্ট্রভাষা ত্থাকতে পারলে রাষ্ট্রধর্ম থাকলে অসুবিধা কোথায়?
একটা কথা বলি, "লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন"- মানে, যার যার ধর্ম তার তার। ভাল কথা, কিন্তু, এখন আমরা কী দেখি? একটু চোখ কান খোলা রাখলেই দেখা যাবে বিষয়টা। আমাদের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়েছে, শুরুতে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" রাখা হয়েছে। ব্যাপারটা কী দাড়াল তাহলে? এ দেশের ৮৯% মানুষ মুসলমান। বাকীদের কাছে ব্যাপারটা তাহলে কেমন লাগল? এটা কি অন্যের ধর্মে বা বিশ্বাসে আঘাত না? তার উপর এই ৮৯% মুসলমানের মধ্যে সবার কি মতামত নেয়া হয়েছে? জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কী চায়? একটা গোষ্ঠীর চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবং সেই গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আমাদের বৃহৎ শিক্ষিত ও প্রগতিশীল সমাজ।
যারা রাষ্ট্রধর্মের সাথে রাষ্ট্রধর্মের তুলনা করে, তারা ভাষা ও ধর্মের মৌলিক পার্থক্য কতটুকু জানে, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। একটা রাষ্ট্রে সবাই সবার সাথে যোগাযোগ করা ও রাখার জন্য একটি কমন ভাষার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যক। ভাষা কোন ব্যাক্তিগত বিষয় নয়, পুরোটাই সামগ্রিক বিষয়। অন্যদিকে, ধর্ম একান্তই একজন মানুষের ব্যাক্তিগত বিষয়। একটা রাষ্ট্রে সবাই সবার সাথে একসাথে চলতে ফিরতে কোনও কমন ধর্মের আদৌ প্রয়োজন নেই। বরং তা কেবল সমস্যাই বাড়ায়। একজন হিন্দু সংসদ সদস্যের সংসদে তার বক্তব্য শুরু করার আগে "বিস্মিল্লাহ রাহমানির রহিম" বলতে যেমন অস্বস্তি লাগবে, তেমনি একজন মুসলিম সংসদ সদস্যেরও শুরুতে "ওঁ" বলতে অস্বস্তি লাগতো, যদি বাংলাদেশে হিন্দু মুসলিমের অনুপাতটা উলটা হতো এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা সনাতন হিন্দু হতো।
যেসব শিক্ষিত প্রগতিশীলেরা "ইসলাম গেল গেল" বলে চিল্লাচ্ছেন, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, আপনারা যখন বিজ্ঞান বইতে পড়েছিলেন এমাইনো এসিড থেকে সমগ্র জীবজগতের সৃষ্টি, বিগ ব্যাঙ থেকে মহা জগতের সৃষ্টি, তখন কোথায় ছিলো আপনাদের ইসলামী মূল্যবোধ? ধর্মে তো লিখা আছে আল্লাহ ৬ দিনে মহাজগতের সৃষ্টি, মানব জাতির সৃষ্ট আদম ও হাওয়া থেকে। দেশের নামকরা ইউনিভার্সিটি গুলোতেও বিবর্তন ও মানুষের সৃষ্টির রহস্য পড়ানো হচ্ছে। মানুষ এসেছে শিম্পাঞ্জী থেকে, ৯৫% এরও বেশি ডিএনএ এর মিলে যাওয়া এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। বিজ্ঞান ও সমাজ বিদ্যার এই ধর্মবিরোধী প্রচারণা আপনারা তাহলে কেন মেনে নিচ্ছেন?
যারা ইসলাম গেল গেল বলে চিল্লাচ্ছেন, আপনারা কতটুকু ইসলাম মেনে চলছেন? রাষ্ট্রভাষা ইসলাম রক্ষা করার জন্য আপনাদের চেতনায় জিহাদ, পয়লা বৈশাখে যখন বন্ধু/বান্ধবীর সাথে কনসার্টে গান শুনেন গিয়া আর বাঙালী চেতনায় লাফালাফি করেন, তখন কোথায় থাকে আপনাদের ইসলামী মূল্যবোধ? তখন তো পুরোদস্তুর চেতনায় বাঙালী মূল্যবোধ উপচে পড়ে, রাষ্ট্রধর্মের ইস্যু আসলেই আপনারা চেতনায় পুরোপুরি ইসলামের সৈনিক হয়ে যান। ঠিক আছে, শুধু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষা করেই ইসলাম রক্ষা করবেন, সেটা আবার কেমন কথা! তার আগে নিজেরা পুরোপুরি ইসলামী রুল ফলো করেন, আল্লাহর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করেন। তারপর দেখা যাবে, মুখের বড় বড় কথা কাজে কতটুকু প্রতিফলন হয়! ঠিক আছে, আপনারা যখন ইসলাম রক্ষার জন্য এতোটাই সচেষ্ট, তাহলে নিজেরা আগে শরিয়ত অনুযায়ী চলাফেরা করুন, দেশে শরিয়া আইন চালু করুন, আদালত ব্যবস্থা বাতিল করে শরিয়া আদালত চালু করুন, গণতন্ত্র বাতিল করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র কায়েম করে আল্লাহর আইন চালু করুন, খেলাধুলা গান বাজনা নিষিদ্ধ করুন। নিজেরা ফটো উঠবেন না ও কারো ফটো দেখবেন না। পর্দাপ্রথা পুরদমে চালু করুন। ইসলামী টিভি বাদে বাকি সবগুলা চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হোক, নারী শিক্ষা বন্ধ করে দেয়া হোক। আরো অনেক কিছু।
না, জানি এসবের কোনোটাই আপনারা করবেন না।
কিভাবে করবেন, তাহলে যে "শিলা কি জওবানী" বলে লাফাতে পারবেন না, হার্ডকোর পর্ণ দেখে নিম্নাঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারবেন না, বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেদের রূপ প্রদর্শন করতে পারবেন না, "মজাদার জোক্স, বাচ্চারা দূরে থাকো" তে পুটকীমারা টাইপ অশ্লীল কমেন্ট করতে পারবেন না, টাইটানিক এর মতো মুভি দেখতে পারবেন না, আরো কতকিছু যে করতে পারবেন না!
না, তা আপনারা করবেন না। আপনারা ইসলামের সুবিধাবাদী সৈনিক, নিজেদের প্রতিকূলে যায় এমন কোন কিছু করবেন না। আত্মঘাতী জঙ্গীদের সম্পর্কে আপনারা বলেন, ওরা ভুল পথে রয়েছে। ইসলামী রুল কেউ ফলো করতে চাইলেই আপনারা তাকে আবার মৌলবাদি ছাগু উপাধিও দিয়ে ফেলেন।
এই আপনারাই আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় টগবগে, দেশের জন্য কিছু করতে পারার আকাংখ্যায় উন্মুখ, দেশ ও দশের ভালো চান।
আবার, রাষ্ট্রধর্মের ইস্যু আসলেই আপনারা ইসলাম রক্ষার সৈনিক হয়ে যান! নিজেদের সুবিধার্থে আপনারা চেতনায় আধুনিক, ধর্মীয় ইস্যুতে আপনারা চেতনায় মধ্যযুগীয়। আপনারাই দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু। ধিক আপনাদের! ধিক!
- অ্যালবেট্রস
মন্তব্য
লেখার আসল টোনটা ধরতে ব্যর্থ হলাম, দুঃখিত।
লেখাতে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছি, এর চেয়ে সহজে আর কিভাবে ব্যাখ্যা করবো!
-অ্যালবেট্রস
এই কয়েকটা ব্যাপারে কনফিউজড হয়ে গেছি...
১। ইসলামী চেতনার সাথে পয়লা বৈশাখের সমস্যাটা কোথায়? হুজুরেরা দাবী করে বটে এসব বেশরীয়তি, কিন্তু এটা তো কোন হুজুরের লেখা নয় বোঝাই যাচ্ছে।
২। টাইটানিক এর মত মুভি দেখা মানে কী? এটাকে নেতিবাচক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বুঝতে পারছি, কিন্তু "টাইটানিকের মত মুভি"র সাথে নেতিবাচকের সম্পর্ক বুঝতে পারছি না।
১। পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রায় পশুপাখির বিশাল সব মুর্তি নিয়ে শোভা যাত্রা বের হয়, যা ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরি। ইসলামে নারীকে বেপর্দা হতে নিষেধ করা হয়েছে। বললে তো অনেক কিছুই বলা যায়।
২। টাইটানিক মুভিটা আমি উদাহরন হিসেবে বলেছি। অন্য যেকোন মুভির নামই বলতে পারতাম। বেদের মেয়ে জোছনাও বলতে পারতাম, তাতে লেখাটি একটা কৌতুকে পরিণত হতো। সে যাই হোক, ইসলামে যেখানে মানুষের ছবি দেখাই হারাম, সেখানে চলমান ছবি তো হারামের চেয়েও হারাম হবার কথা!
-অ্যালবেট্রস
ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। কিছুটা বুঝেছি মনে হয়। প্রথমে মনে হচ্ছিলো আপনি-ই "রাষ্ট্রধর্ম বাদ দাও কিন্তু ইসলাম বাঁচাও" ধরনের কেউ নাকি।
ভুলটা আমারই
এই লেখাটা কি পূর্ব প্রকাশিত? গুগল করে একটা লিংক দেখা যায় যেখানে লেখাটা আর নেই।
আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি সামুতে লেখাটি লিখেছিলাম। ড্রাফট এ সেইভ করা আছে। সেটা আমি ছাড়া আর কেউ দেখার কথাও নয়, তাই ঐ পেইজ খুলবে না। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে আর পোস্ট করিনি। আজই এখানে প্রথম লিখলাম।
লেখাটি আমি আরেক জায়গায় ড্রাফট করেছি, সেটাই আপনি গুগোলে দেখেছেন।
-অ্যালবেট্রস
একটা তথ্যগত ভুলঃ মানুষ শিম্পাঞ্জি থেকে আসেনি, বরং মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির কমন পূর্বপুরুষ ছিলো। আরো সঠিক ভাবে বলতে গেলে, খুব বেশিদিন(বিবর্তনের সময়ের স্কেলে) আগে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির দুই ধারায় বিবর্তন শুরু হয়নি। লেখার স্পিরিট ভালো লাগলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এই বিষয়টা অনেকে ধরতে পারে না।
আসলে এটা আমাদের একটা কমন ভুল। মানুষ এবং শিম্পাঞ্জীর পুর্বপুরুষ এক।
-অ্যালবেট্রস
লেখাটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হওয়া জরুরী । আপাতত: একটা বিষয় বলতে চাইছি । ১৯৭২ এর সংবিধান এর প্রনেতারাই এটা মেনে চলতে পারেন নি। সংবিধানের ব্যাখ্যা বিশ্লেষন তো রীতিমত কৌতুককর !! এর উপর ১৪/১৫ বার কাঁটাছেড়া হয়েছে । বর্তমান শতকে এর উপযোগীতা আর আছে বলে মনে হয় না । এছাড়াও এ সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার পাশাপাশি যেমন রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মত সাংঘর্ষিক বিধান রয়েছে তেমনি আবার পুঁজিবাদ আর গণতন্ত্রের পাশাপাশি সমাজতন্ত্র এর মত পরস্পরবিরোধী মতাদের্শরও সন্নিবেশ ঘটেছে ! আমাদের নতুন কিন্তু সহজে বোধগম্য একটা সংবিধান তৈরী করতেই হবে॥
বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। বাঙালী জাতীয়তাবাদ বহাল রাখলে সংখ্যালঘু উপজাতিদের অস্তিত্ব কে অস্বীকার করা হয়।
-অ্যালবেট্রস
এই বিষয়টা একটু টু-দ্য-পয়েন্ট ব্যাখ্যা করেন। ৭২ এর সংবিধানে সমস্যা কি কি?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
লেখকের গনতন্ত্রে আস্হা দেখে ভাল লাগছে । এই লেখার শেষের অর্ধাংশে লেখক যাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সবশেষে ধিক্কার জানালেন, দেশে তেমন ধরনের + রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখতে চান এমন ধারনার লোকজন সংখ্যায়ও অনেক বেশী । এমনকি লেখকের করা ফেসবুক মতামত জরিপে শিক্ষিতদের মতামতও সেই রকম দ্বৈত সত্তারই প্রতিফলন । আমরা কি এখন গনতান্ত্রিকভাবে জয়ী, কিন্তু বাস্তবে অন্ত:সারশুন্য এমন কতগুলো হাস্যকর বিষয় দিয়ে তৈরী সংবিধান মেনে নেব ? কিংবা এর বিপরীতে আমরা কি সর্বস্তরের জনগনের জন্য গ্রহণযোগ্য, সহজে অনুসরনযোগ্য কোন বিকল্প জনগননীতি ইতিমধ্যে তৈরী করে বিচার,বিশ্লেষন,গ্রহণ বা বর্জনের অধিকারসহ জনগনের নিকট উপস্হাপন করতে পেরেছি ? না কি আমরা একেকজন নিজেদের সাংবিধানিক ফতোয়াবাজ (এখানে প্রচলিত অর্থে ) কামাল হোসেন মনে করি ? যে দুনিয়ার সবরকম মত, পথ আর আদর্শ থেকে একআধলা করে কেটে এনে একটা রিমিক্স সংবিধান হুটহাট নামিয়ে ফেলব । অথবা একটা সময়োপযোগী সংবিধান বা জনগননীতির প্রয়োজন কতখানি তথা জনগনের নিকট এর আদৌ চাহিদা আছে কী ? এবং সেই নীতি মেনে চলার উপযোগীতা কি আমাদের নিজেদের কাছেই যথেষ্ট স্বচ্ছ ?? না কি এগুলো বৃথাই বাক্যব্যায় ??? লেখকের নিকট সবিনয়ে জানতে চাইছি : ইসলামি টিভি কি শরিয়তে গ্রহণযোগ্য ? নারীদের শিক্ষা গ্রহণে ইসলাম কি নিষেধ করে না উৎসাহ দেয় ?? এ ধরনের লেখার সাথে এ সম্পর্কিত লাইনদুটো ঠিকভাবে যাচ্ছে না । ভুল বললাম না তো ????
ইসুলামী বৈজ্ঞানিক জাকির নায়েক (যিনি ইদানিং কোরআনে বিজ্ঞান আবিষ্কার করে বেড়াচ্ছেন, বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার নাকি কোরআনে লিখা আছে) যেভাবে পশ্চিমা পোষাক পরিহিত অবস্থায় টিভিতে বসেন, সেভাবে বসলে তো ইসলামী টিভিও শরিয়ত বিরোধী হবার কথা। ইসলামী টিভি শরিয়তে গ্রহনযোগ্য কিনা সেটাও যথেষ্ট বিতর্কের অবকাস রাখে, যেখানে ইসলামে মানুষের ছবি তোলা ও দেখা হারাম। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে টিভি ছিলো না বিধায় কোরআনে চলমান চিত্র ধারণ করা ও প্রদর্শন করা সম্পর্কে কোন বিধি আরোপ করা হয়নি। এ ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবীদদের কাছে ব্যাখ্যা আশা করছি।
নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামে পরিষ্কার ভাবে কোন কিছু বলা হয়নি। যদিও নারীদের শিক্ষালাভের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি, কিন্তু সেটাও যথেষ্ট বিতর্কিত একটা বিষয়, অনেকটা হাত-পা বেঁধে কাউকে নদীতে সাঁতার কাটতে বলার মতো। ইসলামে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে, নারীরা ঘরের বাইরে একা বেরোতে পারবে না, হয় সাথে স্বামী থাকতে হবে নয় এমন কোন পুরুষকে সাথে নিতে হবে যার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হয়। মজার বিষয় হচ্ছে সেই নারীদেরই অনেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ইসলাম চায় এবং বাংলাদেশকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। ইসলাম সম্পর্কে তারা আসলেই কতোটুকু জানে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। যদি না জেনে থাকে, তাহলে জানার পরও তারা ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চাইতো কিনা সেটাও একটা কথা। অনেকেরই ধারণা শুধুমাত্র পর্দা প্রথা মেনে চললেই এবং ৫ ওয়াক্ত নামায পড়লেই ইসলামের রুল পালন করা হয়ে যায়। এবং বেশির ভাগ মানুষের এ ব্যাপারে একটাই কমন জবাব, "ইসলামের সবগুলো রুল সর্বকালের জন্য সঠিক, আমরা পালন করি না, সেটা আমাদের দোষ।" যাই হোক আর যে যাই বলুক, বাংলাদেশ ধর্মীয় ব্যাপারে সহনশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত, এবং অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রের তুলনায় যথেষ্টই উন্নত ও আধুনিক, যা কেবল সম্ভব হয়েছে এক ধর্মের প্রতি আরেক ধর্মের সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গী ও বাঙালী চেতনা বোধের কারণে। দেশের শিক্ষিত সমাজ এটা ভালোভাবেই বোঝে। তারপরও রাষ্ট্রধর্মের ইস্যু এলে সবার চিন্তাবোধ মধ্যযুগীয় ও যুক্তিহীন হয়ে যায় কেন সেটাই আমার প্রশ্ন, এই পোস্ট লিখার পিছনে এটাই প্রধান কারণ। অন্তত যারা মডিফায়েড, তাদের মুখে এমন উদ্ভট দাবী একেবারেই বেমানান।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-অ্যালবেট্রস
অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত, এখানে রাষ্ট্রভাষা এর জায়গায় রাষ্ট্রধর্ম হবে।
-অ্যালবেট্রস
লেখাটা ভালো লাগছিল, বেশ কয়েক বার ধাক্কা খেলাম অবশ্য! ইসলামে নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ নয়।
শিলা কি যাওয়ানি, হাডর্ কোর পর্নোগ্রাফি, টাইটানিক ( যে অথের্ মনে হল) বা ***** কমেন্ট-কোনোটাই কোন ধমের্ সিদ্ধো নয় বলেই জানি।
ইসলামে মানুষের ফটো দেখাই হারাম (বল্লেন) , তাহলে ইসলামি টিভি চ্যানেল-ই আর ব্রডকাস্ট করা কেনো?
ধাক্কা খাবার কারণ হয়ত, প্রথমে পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের সংবিধান সংক্রান্তে যে সঙ হল সেটার বিপরীতে একজন শিক্ষিত মুসলিমের প্রতিক্রিয়া, পরে মনে হল না, হ্য়ত গতানুগতিক "অনা-বি" এইথিয়িস্ট এর ইনঅফেন্সিভ প্রতিক্রিয়া!
প্রকৃত নাস্তিকদের আমার ভাল লাগে কারণ তারা না কোনো ধর্মের গুনোগান করে, না কোনোটার বিদ্রুপ করে, (নিজের অবিশ্বাস নিয়েই খুশি থাকে)। আপনি কোনটা করলেন বুঝলাম না। মিক্সট আপ বিলিফ ব্যাপারটা দূষনীয়।
তবে, (উপরিউক্ত ব্যাপারগুলো বাদ দিলে) সারমর্মের সাথে সহমত। জগাখিচুড়ি অন্ধ "মোছলমান" হতে চাইনা, আমার উহাদের প্রতি এলার্জি আছে।
শাফি।
তাহলে বুঝুন এবার, শরীয়ত অনুযায়ী চললে সেখানে ইসলামী টিভিরও স্থান নেই।
নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করার কথা বলেছি, এটা কিন্তু বলিনি যে ইসলামে নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ। আমি বিষয়টা সংক্ষেপে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, নইলে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা করেই লিখতাম। ইসলামে যেভাবে নারীদের বহির্গমনের উপর বিধি-নিষেধ দেয়া আছে, আপনি কী মনে করেন ঐ বিধি-নিষেধ মেনে চলে নারীদের শিক্ষালাভ করা সম্ভব? আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ইসলামী রুল সমুহের প্রচার ও ব্যাখ্যা নয়, নইলে এইসব বিষয় আরো পরিষ্কার ভাবে লিখতাম।
এথিইস্টদের কথা যে বললেন, আপনার সাথে আমারও সহমত। এথিইস্টরা অন্তত "তালগাছ টা আমার" বলে কোন যুক্তিতে আসে না।
-অ্যালবেট্রস
অর্থাৎ তারাই প্রকৃত নাস্তিক, যারা ধর্মের অসংগতিগুলো জানলেও কিছু বলে না। বাবুরাম সাপুরের সেই সাপের মতঃ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
জহির আহমাদ ভাই, আপনের একটা কথার সাথে একমত হওয়া খুব দুরহ ব্যাপার, '৭২ এর সংবিধানের স্ট্যান্ডার্ড নিয়া আপনি যে পরস্ন তুলছেন তা সম্পূর্ণ অবান্তর, কারণ '৭২ সংবিধান দুনিয়ার বোদ্ধা সংবিধান বিশেষজ্ঞ দ্বারা স্বীকৃত ছিল। '৭২ সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের সকল চেতনাকে সার্থকভাবে লালন করেছিল। যে অল্প সময়ের মধ্যে '৭২ সংবিধান প্রনীত হয়ছিল, তা সত্যিই বিস্ময়কর। আর আপনি ডঃ কামাল হোসেন কে নিয়া যেভাবে কথা বলছেন, তা ঠিক নয়। হতে পারে তিনি আজ বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতিতে নাই, কিন্তু তিনি একজন গুনী মানুষ, তার অনেক ব্যক্তিগত দুর্বলতা থাকতে পারে কিন্তু সে উপহাসের পাত্র নয়। তিনি ইন্টারন্যাশনাল law তে এখনও একজন দক্ষ আইনজীবী, কিছুদিন আগেও তিনি বাংলাদেশের হয়ে অনেক টাকার একটা ইন্টারন্যাশনাল law suite জিতে আসছেন। তিনি ১৯৫৭ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর করেন, ১৯৬৪ সালে International Law এর উপর ডক্টরেট করেন। সুতরাং এইটা কোনও ইউনিভার্সিটির দান করা ডক্টরেট না, যে তার নামের আগে ডঃ বলতে আপনার কষ্ট হবে। যেহেতু আপনি সচলে লিখছেন এবং সংবিধান নিয়া দীর্ঘ আলোচনার কথা বলছেন তো ধরে নিতে পারি আপনি একজন সত্যিকারে শিক্ষিত মানুষ, তো আপনের নিশ্চয় আইডিয়া আছে যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর আর ডক্টরেট করতে কি পরিমান গ্রে-ম্যাটার আর পরিশ্রম এর দরকার হয়!! আমি শুধু একটি কথা বলতে চাইছি যে, যিনি গুনী ব্যাক্তি তাঁকে তার যোগ্য সন্মান দিন, তার পর তার কাজের সমালোচনা করুন। তা না হলে, আকাশের দিকে থুথু দিলে নিজের গায়ে পরে।
ভাইরে, আপনাকে ধন্যবাদ আলোচনা এগিয়ে নেবার জন্য ।।।।। আমার লেখাপড়া ত্যাগ করা বন্ধুরা মাঝেমাঝেই দেখি: হালায় শিক্ষিত; কথাটা গালি দিতে ব্যবহার করে ! সত্যিকারে শিক্ষিত বলে কী নতুন গালি প্রচলন হল ! শুধু ডিগ্রী দেখে তো কাউ কে সম্মান করার মত শিক্ষিত হতে পারি নাই, আর এটাও মনে রাখি যে, প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী হতে সত্যিকারের শিক্ষা সম্পুর্ন আলাদা । আর মো: কামাল হোসেন সাহেবের ( আপনার কথামত কিন্তু আমার পছন্দমত একটা উপধি বসালাম ) চাইতেও বেশী পরিশ্রম করছেন এরকম বহু লোক প্রতিদিন আমার আশেপাশে অনেক দেখি, তাদের ভক্তিও করি । গ্রে-ম্যাটার দিয়ে সাধারন লোকজন আর যাই করুক, সবকিছু গ্রে-কালারে পরিনত করেন না । মইন উর তত্ত্বাবধায়ক জমানার মেয়াদ নিয়ে কামাল হোসেন একটা আজব গ্রে-কালারের তত্ত্ব দিয়েছিলেন কী ? ভাল যা করেছেন কামাল সাহেব, তার জন্য তিনি ধন্যবাদ পাবেন অবশ্যই এবং অবশ্যই, তবে ভাই তাকে আকাশ বানিয়ে নেব না, আবার খারাপ কিছুর সমালোচনা করতেও ছেড়ে কথা বলতে পারব না । তাড়াহুড়োর জগাখিচুড়ি যে ১৯৭২ সংবিধান, সেটা ৪র্থ সংশোধনীতে এসে মৃত্যুবরন করেছিল । পরের সংশোধনীগুলো হল মৃত ব্যক্তির বিয়ে, চ্যাঙ্গ কাটানোর মত ঘটনা ! বোদ্ধারা প্রশংসা করলেই কোনো কিছু গ্রহনযোগ্য হয়ে যায় না । বলাইদা, ১৯৭২ এর মৃত সঙ বিধান নিয়ে সঙ সদ সদস্য, সঙ বাদিক, সঙ স্বীকৃতির লোকজন আলোচনা করুক (জেনারালাইজ করে নয়)। ততক্ষনে আমরা কী অন্তত: ২০৭২ সাল পর্যন্ত সচল থাকবে এরকম কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থাপনা বা জনগণনীতি বা শাসনতন্ত্র এখানে, সচলায়তনে আলোচনায় নিয়ে আসতে পারি ? যেন ২০৭২ এর প্রজন্ম বলতে পারে যে ২০১১ এর পুর্ব মহিলা/পুরুষরা সবাই ভুতের মত পেছনের দিকে হাটতেন না,, এই সচলায়তনের কিছু লোক মানুষের মত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পেরেছিলেন । ধন্যবাদ ।
আমার কাছে ৭২ এর সংবিধান স্বাধীনতা যুদ্ধের অভিজ্ঞতাকে ধারন করা প্রায় পারফেক্ট একটা কাজ মনে হয়েছে। সুতরাং, সেটার সমালোচনা শুনলে কেন সেটায় সমস্যা, তা স্পষ্টভাবে জানার ইচ্ছা থাকেই।
৭২ এর সংবিধানকে হত্যা করা কেন হয়েছে, সেই বিষয়টা জরুরি, সেটা নিজে থেকে মৃত হয়ে যায় নি; অর্থাৎ স্বাধীনতা যুদ্ধ ও তার শিক্ষা এখনও প্রয়োজনীয়। সেই প্রয়োজনটা আছে বলেই ৭২ থেকে সরানো স্বাধীনতাযুদ্ধকে ধারন করা জিনিসগুলো আবার আনা যায় কিনা, সেই আলোচনা দরকার। ওটাকে মৃত বলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া সমাধান না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা, ১৪ নং মন্তব্যের জবাব দিয়েছিলাম , কোথায় গেল ?
জবাব এই : বঙ্গবন্ধু আর তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লিগ ১৯৭২ এর সংবিধান প্রনয়ন করেছিলেন । কামাল হোসেন সাহেবও ছিলেন । টু-দ্যাট-পয়েন্ট, বাকশালসহ ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে তারাই এটা হত্যা করেছেন ।
২৪ নং মন্তব্যের জবাবে : সমস্যা এই
“পুঁজিবাদ আর গণতন্ত্রের পাশাপাশি সমাজতন্ত্র এর মত পরস্পরবিরোধী মতাদের্শরও সন্নিবেশ”,
ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন সম্পর্কিত জটিলতার সুযোগে কামাল হোসেনদের যখন যেমন তখন তেমন ব্যাখ্যা প্রদান, গনতান্ত্রিক ভাবে দেখাতে গেলে সংখ্যাগরিষ্ট জনগনের নিকট দুর্বোধ্য ও অগ্রহনযোগ্যতা ইত্যাদি । অবশ্যই এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অভিজ্ঞতাকে ধারন করেছে, কিন্তু একইসাথে আবার যুদ্ধপরবর্তী সময়ে জনগনের মননের আর রাষ্ট্রের সময়ের দাবী মেটাতে শোচনীয়ভাবেই ব্যর্থ হয়েছিল ।
দু:খিত, ২৪ নং এর জায়গায় ২৫ নং হবে ।
ভাই, এখানে তো সংবিধানের কথা হচ্ছে, সংবিধান দেশের, সংবিধান দলের না। ১৯৭২ এর সংবিধান যারাই প্রণয়ন করুক, তার কোন কোন ধারায় সমস্যা, সেটা স্পষ্ট করে শুনতে চাই। যেমন, 'পুঁজিবাদ' শব্দটা ওই সংবিধানের কোন ধারায় আছে? সেই ধারায় পুঁজিবাদ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তার সমস্যাটা কোথায়?
৭২ এর সংবিধানের কোন কোন ধারা, কি কারণে জনগণের মননের আর রাষ্ট্রের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিলো?
[আমি এতো প্যাচাচ্ছি; কারণ, টু-দ্য-পয়েন্টে জিনিসগুলো আমার জানা দরকার। সংবিধানের অনেক কিছুই পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার পরিবর্তিত করেছে। পরিবর্তন কোনো সমস্যা না; কিন্তু কি পরিবর্তন করা হলো, কেন, সেই পরিবর্তন স্বাধীনতা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার সাথে সাংঘর্ষিক কিনা, এটা জানা জরুরি।]
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
“আমি এতো প্যাচাচ্ছি; কারণ, টু-দ্য-পয়েন্টে জিনিসগুলো আমার জানা দরকার।”--তবে একটু কষ্ট করে নিজেই ১৯৭২ সংবিধানের জয়েন্টে জয়েন্ট, টু-দ্য-পয়েন্টে খোঁজ খবর নিতে অনুরোধ রইল ( ৭২ এর সংবিধানের কোন কোন ধারা, কি কারণে ব্যর্থ )। তারও আগে মুল লেখার ফেসবুক জরিপটুকুর তাৎপর্য একটু ভাল করে খেয়াল করলে জনগনের মননের পালস্ আর রাষ্ট্রের সময়ের দাবী আন্দাজে সুবিধা হবে ।
এখন যদি ৭২ এ পাওয়া ( বাহাত্তরে পাওয়া=ভিমরতি ধরা, নয় কী ? ) সংবিধান অনুসরন করে রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ে গনতান্ত্রিক মতামত নেন তবে দেখা যাবে “ইসলাম এবং একমাত্র ইসলামই হবে নিখিল বংগের একমাত্র রাষ্ট্রধর্ম”---এরকম বক্তারা অথবা সমর্থকরাই সংখ্যাগরিষ্ট । গনতন্ত্র মানলে রাষ্ট্রধর্ম ও যে মেনে নিতে হয় । এটা আবার ১৯৭২ এর সংবিধানে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আছে তার বিপরীত । প্রশ্ন হল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কী এতই বৈপরীত্যের ছিল ?
পুজিবাদ সরাসরি সংবিধানের কোন ধারা কী? মনে হয়না । তবে প্রায়শ:ই সে থাকে গনতন্ত্রের গর্ভে । সবশেষে এসে সবাইকে জ্বালিয়ে খায় সে । আমি ভাই ২০৭২ ভাবতে চাই, আপনি না হয় ১৯৭২ নিয়া ভাবলেন ।।।।
আবারও হাওয়ার উপরে তাওয়া ভাজলেন।
৭২ এর সংবিধানকে দোষারোপ করলেন; কিন্তু কোনো ধারা স্পষ্ট করে দেখালেন না, তার কোথায় দোষ।
বাংলাদেশের জনগণের ওপর দোষ চাপানোর আগে আরেকটু ভাবার দরকার আছে। ফেসবুকের জরিপের বিপরীতে বাংলাদেশের জনগণের ভোটের জরিপ দেখেন, ধর্মের কান্ডারি রাজনৈতিক দল কতো % ভোট পায়। ফেসবুকিং করা পাবলিক এখনো বাংলাদেশের জনগণের রেপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পল না। আর আপনি জনগণকে পুরা মুক্তিয়ুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দাঁড় করাইয়া দিলেন। এই পোস্টে আপনার প্রত্যেকটা মন্তব্যে এরকম ঝাপসার ওপরে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য আছে। প্রোপাগান্ডার জন্য অবশ্য এই স্টাইল প্রশংসার দাবীদার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
“হাওয়ার উপরে তাওয়া”--ভেজে নেবার পূর্বে, “জনগণকে পুরা মুক্তিয়ুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দাঁড়”---করিয়ে দেওয়ার আগে, “ঝাপসার ওপরে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য”-- না দিয়ে, “বাংলাদেশের জনগণের ওপর দোষ চাপানোর আগে” ই -- আরেকটু ভেবে দেখলাম।।।
সংবিধান এ গনতন্ত্রও আছে সমাজতন্ত্রও আছে কিন্তু বাস্তবে রাজত্ব করে পুঁজিবাদ । পুঁজিবাদ এর সংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে আবার পারফেক্ট সংবিধানের বোধকরি লেংগুট থাকে না । একইরকমভাবে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা আছে, অসাম্প্রদায়িক চেতনা আছে কিন্তু বাস্তবতা হল জনগন ধর্মভীরু । ধর্মান্ধ না হলেও তারা আশা করে যে ইসলামি ব্যাংকে টাকা জমিয়ে, ইসলামি টিভির অনুষ্ঠান দেখে, মালয়েশিয়া থেকে আমদানীকৃত ইসলামি মদ পান করে, বাবুইল্লার হালাল সাবান দিয়ে নিয়মিত গা ডলাডলি করলে বোধহয় আখেরাতে কিছুটা রেহাই মিলবে । এরই ধারাবাহিকতায় সংখ্যাগরিষ্ট জনগন মতামত দেবার সূযোগ পেলে দেখা যাবে রাষ্ট্রের গায়ে ধর্মের লেবাস চড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়ে দয়াময়ের কাছ থেকে কিছু বাড়তি পুন্য হাতিয়ে নিতে চাইবে, নয় কী ??
আমি অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয়ে যাবে কী ? --- আর প্রোপাগান্ডা চালিয়ে সাময়িকভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করা গেলেও আখেরে কী ফায়দা হবে ?
জনগণ ভোট দিয়ে তো শাসকদল নির্বাচন করে থাকে, সংবিধান কী রকম হবে এ বিষয়ে তো ভোট হয় না । ফেসবুক জরিপ বাদ দিলাম--যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কী না--এ বিষয়ে গনভোট আয়োজন করা হয়, আপনি আমি আমরা সবাই কী তার ফলাফল মেনে নিতে তৈরী ?
১৯৭২ সংবিধানে গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র এ দুই পরস্পরবিরোধী ধারা রয়েছে । আর কতবার বললে এটুকু আপনার কাছে স্পষ্ট হবে ? এগুলো আবার কোনটা কোন অর্থে ব্যবহার হবে সেটাও বলে দেয়া আছে । আর সংবিধানটা যেনো ধর্মগ্রন্হ । এটার তরজমা ও তাফসীর বয়ান করার জন্য দেশে ইতিমধ্যে একশ্রেণীর সংবিধান বিশেষজ্ঞও রয়েছেন, যতোসব সঙ- বিধানিক ফাতরাবাজ !
যাই হোক মৃত আত্মার (সঙ বিধানের) খারাপ দিক খোজ করতে ভাল লাগে না ।
লেখক কে বলছি : বিবর্তনবাদ পড়ার দরকার পাশ দেবার জন্য, তাই লোকজন পড়ে, পড়লেই কী সব মেনে নেওয়া যায় ? ধর্মগ্রন্হও পড়ি তর্জমা সহকারে, সব নির্দেশনা অনুসরন করতে পারলে তো মহব্বতের
টানে খোদায় টান দিয়া আবার মানুষজন নিজের কাছে তু্লে নিত, আজরাইল পাঠায়া জান কবচের অপেক্ষা করত বলে মনে হয় না । ১৭ নং মন্তব্যের শেষাংশ “রাষ্ট্রধর্মের ইস্যু এলে সবার চিন্তাবোধ মধ্যযুগীয় ও যুক্তিহীন হয়ে যায় কেন সেটাই আমার প্রশ্ন”-- মজা লাগল । ধর্ম বিষয়টা পুরোটাই বিশ্বাস । সেটা রাষ্ট্রধর্মের জায়গাতেই কী আর বাড়ির পাশে রহিমন করিমনের সালিশেই বা কী ? ধান্দার পাশাপাশি যদি কিছুটা পুন্য ফাও আসে, আদিরসের মজা লুটতে গিয়ে যে পাপবোধ হয় তা থেকে রেহাই মিলতে যদি এরশাদ সাহেবের মত সংবিধানের চ্যাঙ্গ কাটিয়ে দেয়া যায় তো খারাপ কী ? নিজেকে তো ২য় বার হাজামের কাছে যেতে হইতেছে না । ইয়া খোদা তোমার অশেষ দয়া ।
যদি আমাদের বই গুলোতে মহানবীর বিরুদ্ধে কিছু লিখা থাকতো, লোকজন কী তখন পাশ করার জন্য সব মেনে নিত? বিবর্তন সম্পর্কে যা লিখা, পোলাপাইন তা কিছুটা হলেও বিশ্বাস করে বলেই সব মেনে নিচ্ছে। আর, পড়াশোনা কী শুধু পাশ করার জন্য? ভার্সিটির গবেষকরা তো ঐ সব নিয়েই গবেষণা করে যাচ্ছে, দেশের বাইরে গিয়ে হলেও। সব কী পাশ করার জন্যই শুধু? আর আমাদের ধর্ম শিক্ষার বই গুলোও সম্পূর্ণ নয়, কারণ সেগুলোয় এক তরফা ভাবে ধর্মের গুণগান করা হয়েছে। ইসলাম শিক্ষায় খালি মহানবীর ১৪টা বিবাহ ও গণিমতের মাল এবং হিন্দু ধর্ম শিক্ষায় মনুসংহিতার কয়েকটা শ্লোক খালি উঠিয়ে দেয়া হোক না কেন, দেখবেন মোল্লারা ও পণ্ডিতরা সেগুলোকে সরাবার জন্য কেমন উঠেপড়ে লাগে!
আর বিশ্বাসের কথা বললেন, আমার ধারণা আমাদের দেশের এইসব শিক্ষিত আম পাবলিক ধর্মীয় ব্যপার গুলোকে সেই ভাবে বিশ্বাস করে না। আমার যে বন্ধুটা বারে গিয়ে মদ খেয়ে নাচানাচি করে, আবার সেই বন্ধুই রাষ্ট্রধর্মের ইস্যু আসলে পুরোপুরি ধর্মভিরু হয়ে যায়, তাকে কী বলে বিশেষায়িত করা যাবে?
আমার কথা হলো, নিজেরা তোরা মডিফায়েড ওয়েতে চলছিস, খুব ভালো কথা। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যু আসলে তোরা অন্যদের সুরসুরি দিবি ক্যান! ঠিকমত ধর্ম মেনে চলছিস না, তোদের উচিত নিজেদের ইয়েতে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বসে থাকা, তা না। খালি ফিঙ্গারিং অন্যদের ইয়েতে।
প্রায় সবই বোধহয় পাশ করারই জন্য । কেউ দুনিয়ার তাবৎ বড় ডিগ্রী পাশ দিতে চায়, আবার কেউ আখেরাতের পরীক্ষায় পাশ দিতে প্রানপাত করে । তবে দুইটা পাশই অসাধারন । আবার দুইখানেই ঘোড়ামি (গোড়ামি সহ ঘাউরামি) আছে । আরো আছেন জাকির নায়েক বা কামাল হোসেন সাবের মত মডেল ।(ভাল উদাহরন আমাদের আশেপাশে বহু আছে,মাটির মানুষেরা, আমরা তাদের গনণার মধ্যে রাখি না । ফলে আমাদের জন্য আকাশ হতেই কী এসব মডেল নামে?)
“আমার যে বন্ধুটা বারে গিয়ে মদ খেয়ে নাচানাচি করে, আবার সেই বন্ধুই রাষ্ট্রধর্মের ইস্যু আসলে পুরোপুরি ধর্মভিরু হয়ে যায়, তাকে কী বলে বিশেষায়িত করা যাবে?”-- এইটাই হল সাধারন, এরে বিশেষায়িত বা মহিমান্বিত করার কী দরকার আছে ? তারপরেও নাম দিতে চাইলে “সুবিধাবাদ” নামে ২০৭২ এর সংবিধানের প্রথম এবং প্রধান নীতি হিসেবে রেখে দিতে পারেন । এইখানে কিন্তু ঘোড়ামি পাইবেন না ।
বরং পুরাটাই রসেবশে,সহজসরলে,তরলেগরলে,মিলিয়ামিশিয়া থাকার বিষয় । কারন এইখানে পাশ করার জন্য পরীক্ষা দেওয়ার জরুরত নাই, কোনরকম একখানা পাস জোগাড় করা গেলেই হল । তা বারে গিয়ে মদ খেয়ে নাচানাচি করার পাস হলেও বাদ দেই কী করে ? আবার নিজে যেহেতু ধর্ম মেনে চলতে পারি না তো রাষ্ট্রের ওপর সে দায় চাপিয়ে দিয়ে আর অন্যদের সুরসুরি দিয়ে স্বর্গের পাস কোনোরকমে কোনাকাঞ্চি থেকে চিপাচাপা মেরে জোগাড় করা গেলেই বা মন্দ কী ??
সেইদিন আসবে যখন তেনারা ক্যাক করে চেপে ধরে শুধাবেন : রে পামর, ইসলামি টিভির সুন্দরি প্রশ্নকারিনীদিগের প্রতি কুনজর দিয়াছিলি কেন ?
উত্তর: আমাদিগের আর কী দোষ মশাই, আমার রাষ্ট্র ছিল বাংলাদেশ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বানাইছি, মনে মণে সমর্থনও তো করছি, বিশ্বাস না হলে অন্তর্যামীরে জিগাও গিয়া, তবু রাষ্ট্রে টিভি চ্যানেল চালু ছিল ক্যা ? বেপর্দা নারী দেখানো হত ক্যা ? তা দেশী মডেলদের বহু সফটখোর নাটক দেখেটেখে বিরক্ত ছিলাম, তাই একটু রুচীবদল করেছি। তার সাথে আবার ক্যাবলা বাবা ভাওতাবাদী জাকির নায়েকের বয়ানও তো হজম করেছিলাম । শেষমেষ দেখা গেল হজমশক্তির উছিলায় রেহাই দিয়া দিল
ইয়ে তা ঠিক নয় সজল ভাই, মানে বলতে চাইছিলাম যে নাস্তিক গণ (অধিকাংশ, তবে সবাই ন্য়) এখনো আট-ঘাট বেধে আদা-জল খেয়ে ধর্ম বিজনেসে নামে নাই। যতদূর জানি, ধর্মের অসংগতি নিয়ে বেশি গফ-সফ করতে গেলে লজিক ও ফেইথ নিয়ে অন্যদের সাথে কন্ফ্লিক্ট হবেই, আর বেশী-বেশী কন্ফ্লিক্ট মানে নাস্তিকতা নামক নতুন ধর্মের আবির্ভাব-যেটা "যে লাউ সেই কদু" তে গিয়ে পতিত হবে। তবে নাস্তিক্দের মধে্য এক্সট্রিমিস্ট/মিলিট্যন্ট নাই-তা না, আছে তবে গুনতিতে অতি নগন্য।
আমি মুসলিম, এবং অন্য ধর্মাবলম্বিদের সম্মান করি, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি আমার বড় অপছন্দ। ধন্যবাদ।
শাফি।
আমি ব্লগে নতুন। বন্ধুদের কাছ থেকে শুনলাম এখানে নাকি মুক্তবুদ্ধির চর্চা হয়। শুনে উৎসাহিত বোধ করলাম। ব্লগে এসে প্রথমেই
আপনার লিখা পড়লাম। কিন্তু পড়া শেষে উৎসাহটা উবে গেছে বৈকি। আমি লিখি না।পড়তেই ভাল লাগে। কিন্তু লিখাটা পড়ে মনে হল কিছু না লিখলে অন্যায়টা মেনে নেওয়া হবে।
গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে সবাই নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে।কিন্তু মতামত দেওয়ার নামে মিত্থাচার করাটা কোন বিচারেই শোভন না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ইচ্ছা মেনে নিতেই হবে।সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি ভুল করে তাহলে সেই ভুলটা ঠিক করানর দায়িত্ত্ব শিক্ষিত সমাজের।কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের এই ইচ্ছাটা ভুল প্রমানের জন্য মিত্থাচার করলে সেই শিক্ষিত মানুষটির ভুল শোধ্রানোর উদ্দেশ্যটাই প্রশ্নের সম্মুখিন হয়।
লিখাটা পড়ে মনে হয়েছে লেখকের ধর্ম ফোবিয়া আরও পরিষ্কার করে বললে ইসলাম ফোবিয়া আছে। লিখাটাতে ইসলাম সম্পর্কে দেওয়া প্রতিটা উধাহরণ ভুল।তাই একজন মুসলিম হিসেবে এটা আমার দায়িত্ত্ব ভুল গুলো শুধরে দেওয়া।
লেখক প্রথমেই বললেন অ্যামাইনো এসিড থেকে প্রাণির সৃষ্টি এবং বিগ ব্যাং থেকে মহাবিশ্বর সৃষ্টি পরার সময় প্রগোতিশীলদের ইসলামী মূল্যবোধ চলে যাবার কথা, যায় নাই কারন কোরানে এই উভয় বিষয়েই বলা আছে,
সুরা ২৪ আয়াত ৪৫ এ।
And Allah has created every animal from water; of them there are some that creep on their bellies; some that walk on two legs; and some that walk on four. Allah creates what He wills: for verily Allah has power over all things. এখানে পানির কথা বলা আছে যা আরো বেশি শুদ্ধ।
বিগ ব্যাং এর কথা আছে সুরা ২১ আয়াত ৩০।
Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder? We made from water every living thing. Will they not then believe?
আর মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ সম্পর্কে সুরা ৫১ আয়াত ৪৭
And We have built the heavens with Our own hands; and, verily, it is We who are steadily expanding it. (51:47)
লেখক এরপর বললেন ৬ দিনে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হবার কথা।কথাটা বাইবেল এ ২৪ ঘন্টায় এক দিনের হিসাবে ৬ দিনের কথা বলা আছে। কোরানে সুরা ৭ আয়াত ৫৪
The Qur'an states that "Allah created the heavens and the earth, and all that is between them, in six days" (7:54).
এখানে আরবি যে শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে তা হল ইয়াওম। এর মানে সময়কাল।কোরানের অন্য যায়গাতে যেমন সুরা ৩২ আয়াত ৫ অনুযাই এই শব্দ দ্বারা বোঝাচ্ছে হাজার বৎসর।
“...... ‘সময়কালের’(ইয়াওম) মধ্যে যাহার হিসাব তোমাদের গণনায় হাজার বছর।“
আবার ৭০ নং সুরার ৫ নং আয়াত অনুযায়ী ৫০ হাজার বছর।
লেখক এরপর বললেন ইসলামে খেলাধুলা, ছবি তোলা, ছবি দখা, এমনকি ইসলামি টিভি চ্যানেল ও নাকি ইসলামে নিষিদ্ধ!! ইসলামে যার ন্যূণতম ধারণা আছে সে এই কথা বলতে পারে না। ইসলামিক দেশ সৌদি আরবের জাতীয় ফুটবল দল আছে,তাদের সরকারি টিভি চ্যানেল আছে!লেখক মনে হয় আফগানিস্তানকে ইসলামের আদর্শ দেশ হিসেবে মনে করেছেন। অথচ তাদের কাজকর্ম ইসলামিক শরীয়া থেকে বহু দূরে। ইসলামে একটা জিনিস তখনি হারাম হয় যখন তার বিরুদ্ধে হাদিস বা কোরানে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকে। গানে অশ্লিল বা ইসলাম বিরোধি কিছু না থাকলে তা হারাম না। এরপর লেখক নারী শিক্ষা সম্পর্রকে ইসলামে ধারনা ব্যক্ত করতে গিয়ে যা বললেন তা ইতিহাস জানা ইসলামের সবচেয়ে বড় সমালোচকও এটা বলবে না। নারী পুরুষ উভয়েরই শিক্ষা অর্জন করা ফরজ।
একটি বিখ্যাত হাদিস এ আছে
The Prophet (blessings and peace be upon him) said, `seeking knowledge is obligatory for every Muslim. [Transmitted by Ibn Majah, part 1, (224), on the authority of Anas, corrected by Al-Seyoti in ancient times, and by Al-Albany in modern times.]
পৃথিবীর সর্বপ্রথম ডিগ্রী প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় al-Qarawiyyīn University (৮৫৯ খ্রি, মরক্ক) যিনি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি হলেন Fatima al-Fihri (Guinness Book of World Records,)
লেখক বিবর্তনবাদ নিয়ে লিখেছেন।কোরান বিবর্তন কে অস্বীকার করে না।কিন্তু বিবর্তনের কারণ হিসাবে যে natural selection এর কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে বহু বিজ্ঞানী(অমুসলিম সহ) সন্ধেহ প্রকাশ করেছেন। এটি প্রতিষ্ঠিত কোন বিষয় নয়।
শেষে লেখক যে সকল নারী রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চায় তাদের ইসলামি জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু উনি ইসলামকে যেভাবে তুলে ধরেছেন তাতে তার নিজের ইসলামি জ্ঞান কতটুকু আছে তা প্রশ্নের সম্মুখিন। আমার মনে হয় না আপনি কোনদিন কোরান পরেছেন অথবা বুঝতে চেষ্টা করেছেন। তাই আপনার কাছে অনুরোধ, ভালভাবে না জেনে শুধু রাগের বশে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।
.......................................................................................................
Religion is very easy and whoever overburdens himself in his religion will not be able to continue in that way. So you should not be extremists, but try to be near to perfection and receive the good tidings that you will be rewarded." [Bukhari, Volume 1, Book 2, Number 38]
এইরকম একটা অত্যদ্ভুত অপবৈজ্ঞানিক হাস্যকর স্টেটমেন্ট-ওয়ালা কমেন্ট মডুরা কেন ছাড়লেন তা আমার (আমাদের) বুদ্ধির অগম্য। এরকম প্রোপাগাণ্ডা-ভিত্তিক কমেন্ট সচলে দেখে অবাক হচ্ছি।
আমিও বুঝছি না, আমার কাছে অনেকটা নায়েকের যুক্তি(!)র মত লাগলো।
sh21, লেখকের দেয়া কোন তথ্য ভুল বা মিথ্যা মনে হলে সেটার প্রতিবাদ সবাই-ই করতে পারেন। কিন্তু আপনি যে বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলো হাজির করলেন সেগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো, বিজ্ঞানমনস্ক মন্তব্য পড়ার মজাই আলাদা। কিন্তু কিছু জিনিস বুঝিনি -
১। পানি থেকে প্রাণের সৃষ্টি আর অ্যামাইনো এসিড থেকে প্রাণের সৃষ্টি এই দুইটা কথা সমার্থক হয় কি করে বুঝলাম না।
২ক। যদি “শুদ্ধ” কথাটা “সঠিক” অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাহলে “অ্যামাইনো এসিড থেকে প্রাণের সৃষ্টি” আর “পানি থেকে প্রাণের সৃষ্টি” এই দুই বাক্যের মধ্যে কোন নিরিখে শুদ্ধতার যাচাই করা হচ্ছে একটু বলবেন?
অথবা,
২খ। যদি “শুদ্ধ” কথাটা “পরিশুদ্ধ” হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, অর্থাৎ, প্রাণসৃষ্টির উপাদান হিসেবে পানি অ্যামাইনো এসিডের চেয়ে শুদ্ধতর এটা বলা হয়ে থাকে তাহলে এই শুদ্ধতা হিসেব করা হচ্ছে কী দিয়ে? যদি মলিক্যুলার স্ট্রাকচারের সরলতা শুদ্ধির পরিমাপ হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ শুদ্ধতর “হাইড্রোজেন দিয়ে প্রাণ সৃষ্টি” না বলে পানির কথা বলতে গেলেন কেন?
৩। পৃথিবী একটা Tangible জিনিস, মহাবিশ্বও তাই। কিন্তু স্বর্গ Intangible। বিগ ব্যাং থিওরী কি Tangible ঈntangible মিলিয়ে এই একই জিনিস বলে? আপনার কথামত যদি আমি এটাকে বিগ ব্যাং থিওরীর সমার্থক মেনে নেই, তাহলে পৃথিবী আর স্বর্গ দুইই তো স্রেফ খানিকটা আলাদা স্পেসের ব্যাপার ছাড়া আর কিছু হবে বলে মনে হয়না বরং স্বর্গটা একটা গ্রহ জাতীয় কিছুও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মৃত্যু হয়ে দাঁড়াবে আত্মার টেলিপোর্টেশন – ব্যাপারটা কি তাই?
৪। ইংরেজীর কিছুমাত্র যদি বুঝে থাকি তাহলে তো এখানে মনে হচ্ছে মহাবিশ্ব নয়, স্বর্গের এক্সপানশনের কথা বলা হচ্ছে!
৫। ইসলামী আদর্শ সৌদী আরবে বাবা/বড় ভাই/স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ে লেখাপড়া করতে পারে না, ভোট দিতে পারে না, ইলেকশন ক্যান্ডিডেটও হতে পারে না। কী চমৎকার ধর্মীয় সম্মান তাঁদেরকে দেয়া হচ্ছে তাই না?
৬। আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আপনি “সবই কোরানে আছে” ধারণার সমর্থক (ভুল হলে শুধরে দিন দয়া করে আর সেক্ষেত্রে এই ছয় নম্বর পয়েন্ট অপ্রাসঙ্গিক)। যদি তা-ই হয়, তাহলে দয়া করে যেসব রিসার্চ প্রবলেম সলভ হয়ে গেছে সেগুলো আবার নতুন করে কোরানে আবিষ্কার না করে, দুই একটা আনসলভড প্রবলেম কোরানের আলোকে সলভ করে দিন না? সচলে প্রচুর গ্র্যাড স্টুডেন্ট আছেন, তাঁদের মধ্যে আমার মত অ্যাপ্লিকেশন লেভেলের ছাত্র যেমন পাওয়া যাবে, পিওর সায়েন্সেরও পাওয়া যাবে। চাইলে কয়েক ডজন রিসার্চ প্রবলেম জোগাড় করা কোন ব্যাপারই না। এই বেচারা গ্র্যাড স্টুডেন্টগুলোর অনেক পরিশ্রম বেঁচে যায় তাহলে।
৭। আপনার এই মন্তব্য অনুসারে কোন সোর্স বায়াসড হলে তার কোন তথ্যই গ্রহণযোগ্য নয় ( আমি যদিও দ্বিমত পোষণ করি। বায়াসড সোর্স একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোবে সত্যি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তার প্রতিটি কথাই মিথ্যে হতে হবে)। আপনার কথামতই যদি ধরি, তাহলে কোরানে যখন বলা আছে –
যেগুলোর অর্থ দাঁড়ায় পৃথিবী স্রেফ চ্যাপ্টা, তখন এই রকম ভুল বৈজ্ঞানিক তথ্য যেখানে আছে, আপনার মতে সেখানকার বাকি বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো গ্রহণ করা যায় কী করে?
(অবশ্য ইসলামের / কোরানের সব সঠিক যাঁরা দাবী করেন তাঁরা হয়তো বলে বসতে পারেন কিছু কার্পেটের রঙ কমলা হয় -> কমলা একটি ফলের নামও -> ওই ফলটি গোলাকার -> অতএব, প্রমাণিত এই আয়াতগুলো বলে পৃথিবী গোলাকার!)
৮। আপনার প্রতিও একটা অনুরোধ। পোস্ট লেখকের ইসলাম জ্ঞান নিয়ে আমি তেমন কিছু জানি না, তবে শুদ্ধতার মন্তব্য দেখে আপনার বিজ্ঞান জ্ঞান কিছুটা বুঝতে পারছি বলে মনে হয়। আপনি যখন খোদ সৃষ্টিকর্তার লেখা বই পড়েই বুঝে ফেলেছেন, তখন মানুষের লেখা দু ‘একটা বিজ্ঞানের বই পড়ে বোঝা এমন কিছু কষ্টসাধ্য হবে না। সেগুলো পড়েই নাহয় মন্তব্য করুন।
৯। মুক্তবুদ্ধির চর্চা মানে আপনার কাছে কি আমার কাছে সেটা ঠিক পরিষ্কার নয়। কয়দিন আগে একজনের ফেসবুক প্রোফাইল দেখেছিলাম, তার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গীর ঘরে লেখা ছিলো Very liberal but Islam is the Truth। মুক্তবুদ্ধির সংজ্ঞা যদি এরকম লিবারেলের সংজ্ঞার মত হয় তাহলে বোঝার চেষ্টা করে লাভ নেই, বুঝতে পারবো না। পোস্ট লেখক যদি ভুল কিছু বলে থাকেন অবশ্যই তার সমালোচনা কাম্য, তবে আপনি যেসব সঠিক(!) তথ্য দিয়ে তার ভুল প্রমাণ করছেন তাতে আসল ব্যাপার বোঝা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
৯। সবশেষে, ছোটবেলার একটা সুখস্মৃতি মনে পড়ে গেলো। সুকুমার রায়ের ঝালাপালা নাটকে পড়েছিলাম,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার বৈজ্ঞানিক উদাহরণ দিয়ে এই স্মৃতিটা মনে পড়িয়ে দেয়ার জন্য
ইংরেজী রেফারেন্সগুলো বোঝা যাচ্ছে না, বারবার মন্তব্য এডিট না করে এখানে আবার দিলাম -
"He Who has, made for you the earth like a carpet spread out; has enabled you to go about therein by roads (and channels); and has sent down water from the sky." With it have We produced diverse pairs of plants each separate from the others. (20:53 Yusuf Ali’s Translation)
Who hath appointed the earth as a bed and hath threaded roads for you therein and hath sent down water from the sky and thereby We have brought forth divers kinds of vegetation, (20:53 Pichthal’s Translation)
Who made the earth for you an expanse and made for you therein paths and sent down water from the cloud; then thereby We have brought forth many species of various herbs. (20: 53 Shakir’s Translation)
এবং
(Yea, the same that) has made for you the earth (like a carpet) spread out, and has made for you roads (and channels) therein, in order that ye may find guidance (on the way); (43:10 Yusuf Ali’s Translation)
Who made the earth a resting-place for you, and placed roads for you therein, that haply ye may find your way; (43: 10) Pickthal’s Translation)
He Who made the earth a resting-place for you, and made in it ways for you that you may go aright; (43:10 Shakir’s Translation)
এবং
Have We not made the earth as a wide expanse, (78:6 Yusuf Ali’s Translation)
Have We not made the earth an expanse, (78:6 Pickthal’s Translation)
Have We not made the earth an even expanse? (78:6 Shakir’s Translation)
sh21, মজার ব্যপার হল ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা আসে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের পরে। ধর্মগ্রন্থে বিগব্যাং বা সৃষ্টির রহসে্যর যে উল্লেখ আছে তা বিজ্ঞানের আগে কেন ধর্ম্গ্রন্থ থেকে আবিষ্কার হলোনা?
এইরকম প্রশ্ন করা অপরাধ!
সব ব্যাদে আছে
পছন্দনীয় অনেক পরিশ্রমে আপনার অপযুক্তিগুলো ব্যবচ্ছেদ করেছেন। আরো বিস্তারিত পড়ার জন্য অভিজিৎদার 'বিজ্ঞানময় কিতাব' লেখাটার লিঙ্কটা দিয়ে গেলাম, পড়ে দেখবেন, তবে আপনার কানে জল যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে...
চরম যুক্তি। অ্যামাইনো এসিড আর পানি কি এক জিনিস? মজার ব্যাপার হইলো পাশাপাশি দুইটা অ্যামাইনো এসিড আসলে একটা থেকে H, আরেকটা থেকে OH দুইটা মিলে পানি হিসেবে বেরিয়ে যায়, এই ভাবে চেইন তৈরী হয়ে প্রোটিন তৈরী হয়। প্রোটিন প্রাণীদেহের বিল্ডিং ব্লক। তাইলে দেখা যাচ্ছে বরং পানিকে অ্যামাইনো এসিড থেকে বের করে দিয়েই প্রাণের সুবিধা। এইবার নিশ্চয় পানির কিছু নতুন অর্থ বের করে এনে দেখাবেন যে বইয়েই ঠিক কথা লিখা আছে।
ন্যাচারাল সিলেকশন ছাড়া বিবর্তন ব্যাখ্যার আর কি প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব আছে, সেটা জানিয়ে অন্ধজনে আলো দিন। যেসব বিজ্ঞানী ন্যাচারাল সিলেকশন মানেন না, তাদের একটা তালিকা দিন (জাকির নায়েকের মত না কিন্তু, গুগল সার্চ করে যেন তাদের পাওয়া যায়)।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাই আপনার মত আমিও ব্লগে লেখার চাইতে পড়তে বেশী পছন্দ করি । আসলে ব্লগে বেশীরভাগ লেখক-লেখিকারা নিজ নিজ বিষয়ে এত বেশী দক্ষ , আর তাদের লেখার হাতও এত চমৎকার যে অনেক কাঠখোট্টা বিষয়ে পড়তেও অনেক মজা লাগে । কিন্তু এইরকম জরুরী বিষয়গুলো অনেককে দেখি ভাসা ভাসা, দায়সারা আলোচনায় তুলে দিতে ! তখন আমাদের ভবিষ্যত নিয়া খুব হতাশা জাগে ।
“সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি ভুল করে তাহলে সেই ভুলটা ঠিক করানোর দায়িত্ব শিক্ষিত সমাজের । কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের এই ইচ্ছাটা ভুল প্রমানের জন্য মিথ্যাচার করলে সেই শিক্ষিত মানুষটির ভুল শোধরানোর উদ্দেশ্যটাই প্রশ্নের সম্মুখিন হয় ।”---আপনার সাথে একমত । তবে এসব ক্ষেত্রে মিথ্যাচারের চাইতে অজ্ঞতার ভাগই বোধহয় বেশী ।
প্রস্তাবিত নারীনীতি নিয়েও এরকম কিছু লেখা পড়েছিলাম ।
আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে বিজ্ঞান নিয়ে বকধার্মিকদের বক্তব্য আর ধর্ম নিয়ে কুশিক্ষতিদের বয়ান গুনের ও মানের দিক থেকে প্রায় একইরকম হয় ! দুইটাই গোঁড়ামিতে ভরা !!
যাই হোক, আপনি বিজ্ঞান কে ধর্ম দিয়ে প্রমানের জন্য যে উদাহরনগুলো দিলেন, সেগুলো অপ্রয়োজনীয় । ধর্ম কে বিজ্ঞান দ্বারা প্রমান করা যেমন ফালতু তেমনি বিজ্ঞানকে ধর্ম দ্বারা সমর্থিত করানোর চেষ্টাও হাস্যকর ।
শ্রীকৃষ্ণ ভাই -- "আর আপনি ডঃ কামাল হোসেন কে নিয়া যেভাবে কথা বলছেন, তা ঠিক নয়। হতে পারে তিনি আজ বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতিতে নাই, কিন্তু তিনি একজন গুনী মানুষ, তার অনেক ব্যক্তিগত দুর্বলতা থাকতে পারে কিন্তু সে উপহাসের পাত্র নয়।..........................................." ঠিক এই লেখা পড়ার সময় খোমাখাতায় একটা ছবি দেখছিলাম, যেখানে কামাল হোসেন সাব সহ বাংলা মায়ের আরো কিছু শ্রদ্ধেয় খা মাল সন্তানেরা জুতা পায়ে দিয়ে শহীদ মিনারের বেদীতে বসে আছেন । তাদের একটু সামনেই জ্বলজ্বল করছে সাইনবোর্ড, জুতা পায়ে বেদীতে উঠার নিষেধাজ্ঞা শোভা পাচ্ছে সাইনবোর্ডখানায় । তারপরেও আপনি যেমন তাদের সম্মান করার অধিকার রাখেন, তেমনি আমারও অধিকার আছে এদের যতটুকু সম্মান দরকার তা কড়ায়-গন্ডায় বুঝিয়ে দেয়ার । সচলায়তনে ছবি শেয়ার করার উপায় কী ?
এখন কথা হইল যায়া আমাদের সংবিধানটাও এরকম কতগুলা নির্দেশনার সমষ্টি, নির্দেশনাগুলোর রচয়িতা হিসেবে কামাল হোসেন সাব কৃতিত্ব চাইলেও নিজেই এসব নির্দেশনাকে স্বার্থের স্বার্থে কাঁচকলা দেখিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেন না ।
আসলে ধর্ম বলেন আর বিজ্ঞান, রাষ্ট্র বলেন আর সংবিধান, সমাজ-সংসার-ব্যক্তিজীবনের সব আদেশ-নির্দেশ-নির্দেশনার মূল শিক্ষাটা কী জানেন ? আপনি আচরি ধর্ম/বিজ্ঞান/উদারতা/সব সৎ গুন, তারপর পরেরে শেখাও !!
ধর্মকে বিজ্ঞান দ্বারা কখনই পুরপুরি ভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না। আল্লাহ আছে এইটা গণিতের মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে যেমন প্রমান করা যায় না, তেমনি উনি নাই এইটাও গণিত দ্বারা প্রমাণ করা যাবে না। আমি তার চেষ্টাও করি না। কিন্তু স্রষ্টা তার সৃষ্টির মাঝেই তার অস্তিত্ব প্রকাশ করেন। যার অন্তর্দৃষ্টি আছে সে সেটা উপলব্ধি করতে পারে। কোরানে বর্ণিত তেমনি কয়েকটা নিদর্শনের কথা বল্লাম।এইটা যারা ভাবে ধর্ম মানেই অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা তাদের জন্য। কোরান বিজ্ঞানের কোন বই না।এখানে ঘটনার প্রয়োজনে নানা বৈজ্ঞানিক নিদর্শনের কথা বলা হয়েছে। আসলে মানব জীবনের সকল বিষয়ই এখানে আছে, এখন যে যেই বিষয় থেকে উপদেশ গ্রহণ করে।।
সেই অপযুক্তিগুলো উপরে খণ্ডন করা হয়ে গিয়েছে (তবে আপনি তা মানবেন না তা জানি)...
অন্তর্দৃষ্টি থাকা ভালো, কিন্তু ওই জিনিসের উপরে বেশি নির্ভর করলে কিছু সমস্যা হতে পারে।
আমি এতক্ষণ কিছু বলি নি, আমি অপেক্ষা করছিলাম sh21 এর জবাবটা কি হয় দেখবো বলে। কিন্তু ভাই, আপনি তো পরবর্তী কমেন্টে উল্লেখিত যুক্তিগুলো না দেখার ভান করলেন। বাকিগুলোর কথা নাই বা বললাম, আপনি এমাইনো এসিডের সাথে পানিকে মিলিয়ে কী বুঝাতে চাইলেন ব্যপারটা পরিষ্কার হলো না। আরেকটা কথা বলি, আপনি যে কোরানের কথা বললেন, সেই কোরানে সবকিছুর ব্যাখ্যা সঠিক নয়। বেহেশ্ত থেকে এক গ্লাস পানি আনলেও, সেই পানি তে যদি একফোটাও কেরোসিন থাকে, তবে সেই পানি কে বিশুদ্ধ বলা যায় না। আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন।
- অ্যালবেট্রস
আমরা যতই যুক্তির পিঠে যুক্তি দাঁড় করাই ততই যেন মুল বিষয় থেকে দুরে সরে যাই । তো এজন্যেই বোধহয় সব ধর্মেই যুক্তির চাইতে বিশ্বাসের ওপর বেশী জোর দেয়া হয়েছে !
সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম রাখলে রাষ্ট্রের উপর সে ধর্ম পাল্য-পালনের দায় এসে পড়ে.... সংখ্যাগরিষ্ট জনগন তো ধর্মভীরু । এখন রাষ্ট্রধর্ম ব্যাপারটা যে ইসলামের সাধারন ধারনার সাথে সাংঘর্ষিক, এটা জনগনকে বোঝাতে সময় লাগবে । ইসলাম তো ভাই আবারো বলছি, রাষ্ট্রের সীমিত, প্রায়শ: ভঙুর ভৌগলিক গন্ডির মধ্যে আটকে রাখার বিষয় না । একটা অঞ্চলে শরীয়াহ চর্চ্চা বাস্তবসম্মত, কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম পুরাই আজব ধারনা ! যদ্দিন এসব স্পষ্ট না হবে তদ্দিন জনগন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখে রাষ্ট্রকে ইসলামের মহিমায় মহিমান্বিত করে ব্যক্তিগত জীবনে নিজের মত চলবে ! সংখ্যাগরিষ্ট জনগনের মতামত সম্মান করাই “ঘনতন্ত্র”---বুঝতে হবে !
এখন সে জন্য জনগন আনপড়াহ -অজ্ঞ, আর আমরা কী হনু রে মনে করে তাদের ধ্যান-ধারনা, আস্থা-বিশ্বাসের জায়গাগুলো ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে গেলে, আমরা যেমন তাদের বিশ্বাসকে অবজ্ঞা করছি, তারাও আর আমাদের জ্ঞান-শিক্ষা-বিজ্ঞান-সঠিক উপায়ে ধর্মচর্চ্চা ...এ জরুরী বিষয়গুলো অবহেলাই করবে । ফলশ্রুতিতে আমাদের জনগনের এবং উত্তর প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা-মন ও মগজ জুড়ে রাজত্ব করতে থাকবেন ঝাঁকির নায়ক, ক্যবলা বাবা ফায়দাবাদীগন অথবা বানর-সন্তান টাইপ বিজ্ঞানীগন !! ভাওতাবাজীর চর্চ্চা চলতেই থাকবে আমাদের সমস্ত মননশীলতার জায়গাগুলোতে !!! কাজেই সাধুগন, সময় থাকতে হন সাবধান ! নয়তো ভবিষ্যত প্রজন্ম মানুষ হয়ে উঠার চাইতে বানর হয়ে উঠতে বেশী আগ্রহী হলে, অথবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দ্বারা ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আফসোস ছাড়া কিছুই করার থাকবে না !!
এর মানে কী বলতে চাইছেন?
কোনও ভাবানুবাদ নয়, আক্ষরিকভাবে যা আছে তাই বলছি ! কারও বিজ্ঞান-বিশ্বাসে আঘাত লাগলে দুঃখিত !!! বিজ্ঞানও আজকাল বিশ্বাসের ব্যাপারস্যাপার হয়ে গেছে মনে হয়, আফসোস !!!
আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়, যেসব বিজ্ঞানীরা বানরের বাচ্চার মত। তা তারা কাঁরা, একটু নাম শুনি?
লাফাংনতুন মন্তব্য করুন