ক্লাস টেনে পড়ার সময় অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের একটা ছেলের প্রেমে পড়েছিলাম। তো সেই ছেলে আমাকে ডাকতো ‘পিচ্চি’ আর সারাক্ষণ কোনো এক কেয়া ভাবি এবং তার ডিপার্টমেন্টের নিশাত ম্যাডাম এর গল্প করতো। রাগে দুঃখে আমি ভাবতাম একদিন আমিও কেয়া ভাবি বা নিশাত ম্যাডামের মতো বড় হবো। বড় হলাম, তিরিশ পার করলাম, সেই ছেলে পেরিয়েছে পঁয়ত্রিশ। কিন্তু এখন ক্লাস টেনের মেয়েদের দেখলে তার চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে যায়। গদ্গদ ভঙ্গিতে বলে ‘এই বয়সের মেয়েদের একটা স্নিগ্ধ সৌন্দর্য আছে বুঝলে...’।
কঠিণ মর্মপীড়ায় কলেজ জীবন পার করে ভার্সিটি ভর্তি হবার পর ওই ছেলের সাথে আমার প্রেম হলো অবশেষে। কিন্তু শান্তি এলোনা মনে। আমি ছিলাম ভীষন রোগা। আমার প্রেমিক সবসময় আমাকে ‘তালপাতার সেপাই’ আর ‘খ্যাংড়া কাঠি’ বলতো, কষ্টে মরে যেতে ইচ্ছা করতো। এখন আমি বেশ নাদুস নুদুস হয়েছি, প্রেমিক হয়েছে বর। তাতে কি? আমার বর হাড্ডিসার মেয়েদের দেখলে বলে ‘হাতিল এর বিজ্ঞাপনের ওই কথাটা আসলেই সত্যি, স্লিম ইজ স্মার্ট’।
আমি খুব আবেগপ্রবন ছিলাম। কথায় কথায় চোখ ভরে যেতো পানিতে। সেই ছেলের কাছে বিষয়টা ছিলো মহা বিরক্তিকর। আমার কান্নাকে তার মনে হতো প্যানপ্যানানি, আমাকে বলতো ছিঁচকাঁদুনে। বয়স বেড়েছে আর এখন আমি হয়েছি যুক্তিশীল, আবেগের বন্যায় বাঁধ দিতে শিখেছি। অবশ্য কোনো লাভ হয়নি তাতে...আমার স্বামী ক্রন্দনরতা কিশোরী দেখলে বলে ‘এই মেয়ে গুলো কথায় কথায় কেঁদে বুক ভাসায়, দেখতে বেশ লাগে’।
দিহান
[/justify]
মন্তব্য
হা হা হা...
আপনার জন্য
লেখায়
লেখাটা মজা করে লিখলে আপনার বরের স্প্রাইট খাওয়া উচিত...ইউনিভার্সিটি অভ ফ্রেশোলজি......।
ওহ, কি চমৎকার একটা লেখা পড়লাম ভাই দিহান! আমারতো আপনার বর মানুষটিকে দারুন পছন্দ হয়ে গেলো, রসকস এখনো দিব্যি ধরে রেখেছেন, এবং আমি নিশ্চিত আপনারা “টোনাটুনি” এখনো “চাল আনো-ডাল আনো”
আপনাদের সংসারে প্রশান্তি থাকুক আর থাক সমৃদ্ধি! অনেক শুভেচ্ছা,
পোষ্ট পড়ে খুব খুব মজা পেলাম আপু আরো লেখুন।
বেশ ভালো লাগল।
শামীমা রিমা
মজার লেখা। তবে সত্যি কথা বলতে কি সবাই এরকম। এই যেমন ধরুন, মেয়েরা ঠিক যে কারনে প্রেমিকদের পছন্দ করে ( উৎচ্ছল, রাফ এন্ড টাফ, সাংস্কৃতিক কর্ম যেমন গানবাজনা নাটক এইসব করা, ঘুরে বেড়ানো, চটপট আড্ডা জমিয়ে দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি ) ঠিক সেই জিনিসগুলোই তাদের বিয়ের পরে অসহ্য লাগে। আমার চার বছরের ছেলে প্রতি পলে পলে অপেক্ষা করে কবে বাবার মত বড় হব আর আমি চাই, 'ইস যদি আমার যেই ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়া যেত'।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমার ও তাই মনে হয়..যদি সেই ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়া যেত !!
এইটার কার্যকারণ আমি জানি কিন্তু বৌম্যাডাম সচল পড়েন বলে বলতে সাহস করলাম না
কারণ অন্যের গোমর ফাঁস করতে গিয়ে নিজে ধরা খেতে চাই না
হা হা হা
জীবনের রীতিটাই এমন গো ...
সময়ে সব কিছুই উলটো মনে হয়।
আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
তাহলে সারমর্ম কী শিখলাম, যে দুজনের কেবল কোনো একজনের বদলানো উচিত?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
shonjibony shudha
হাসতে হাসতে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পরের পাতের লাড্ডু সবসময় বড় মনে হয়, সুখে ঘর করেন
বিয়ের পর ছেলেরা কি এভাবেই ভোল পাল্টাই নাকি । জানা থাকলো কাজে দেবে পরে।
পুরুষ মনের রহস্যময়তা নিয়ে নারীদের লেখা অত্যন্ত কম। কেবল পুরুষরাই লিখে গেল নারীর রহস্যময়তা নিয়ে।
আপনাকে চমৎকার লেখাটার জন্য
কারণ বোঝাই যাচ্ছে আপনি স্বামীর এই অতৃপ্তি নিয়ে কতোটা সুখী।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খ্যাক খ্যাক ... লেখাটা ভাল হয়েছে।
--------------
পাপী
--------------
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
লিখুন নিয়মিত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ!!
আরো লেখা চাই।
ছেলেদের মনের অনেকগুলা দরজা...কখন কোনটা খোলা রাখে বোঝা অসম্ভব।
সবচেয়ে ভালো লাগলো দেখে যে ক্লাস টেনের সেই মেয়েটা এত্ত কিছুর পরও সেই দুষ্টুমি-খুনসুটি করা ছেলেটাকেই বর করে পেয়েছে... সেটা কিন্তু সহজ কম্ম নয়... !!!
সত্যিকারের ভালবাসার জয় হোক... !!!
আপনাদের দু'জনের জন্যে অসংখ্য শুভকামনা...
ইশ... মেয়েরা কেন যে ছেলেদের নিয়ে এমন লেখাগুলি লেখেনা ?
মনটা খারাপ হয়ে গেল। :'(
বলার ভাষা খোঁজে পাচ্ছিনা...
বহুদিন পর একটা লেখা পড়ে মজা পেলাম ।
অনেক ভাল লাগল লেখাটা। আরো লিখবেন।
মেয়েরা পরশ্রীকাতর, ছেলেরা পরস্ত্রীকাতর
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে আমি একটু চিন্তিত আছি-কদিন পরেই সচল এর ছেলে পাঠকেরা আমাকে সহ্য করতে পারবেন না এই ভেবে...
অসাধারণ... এত সাধারণ কথা,তবু প্রকাশ অসাধারণ।
লিখুন নিয়মিত!!
অসাধারণ... এত সাধারণ কথা,তবু প্রকাশ অসাধারণ।
লিখুন নিয়মিত!!
দিহান আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা কঠিন সত্য কথা তুলে ধরার জন্য......!!!
তাহলে কি আমাদের মেয়েদের কে এরকম মনে চাপা কষ্ট নিয়ে সংসার ধর্ম পালন করে যেতে হবে????????????
হা হা হা।
অনেক মজা পেলাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনার কষ্টটা বুঝতে পারছি। তবে সবাইকে এক কাতারে ফেলা বোধ হয় ঠিক হবে না। আর আমার মনে হয় কষ্টগুলো মনে চেপে না রেখে আপনার স্বামীর সাথে এসব নিয়ে কথা বলুন। এতে নিজেও হালকা হবেন, আর হয়তোবা আপনার স্বামীও তাঁর ভুল বুঝতে পারবেন। আর সব কিছুতেই তাঁর দোষ না খুঁজে তাঁর ভাল দিকগুলো নিয়ে ভাবুন। এতে দুজনেই ভাল থাকবেন, আপনাদের জন্য অনেক শুভ কামনা।
চমৎকার লাগলো। নিয়মিত লিখুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা পড়ে মজা পেয়েছি তবে সেই সাথে অনেক পুরোনো কথা মনে পরে গেলো।
মন একটু খারাপ হলো কি না ঠিক বুঝতে পারছি না ।
-মেঘা
নতুন মন্তব্য করুন