জীবনে কখন্ও বড় স্বপ্ন দেখিনি যে ভবিষ্যতে এটা হব সেটা হব।সময় আর ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে আমাকে ধাবিত করছিল ওদিকেই আমি ছুটছিলাম।স্কুল-কলেজের দুরন্ত সময় পেরিয়ে যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সম্মুখীন হলাম বুঝতে পারলামি এই অসম্ভব প্রতিযোগীতার জন্য আমি প্রস্তুত না।যাই হোক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি,নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে পাত্তা দেই বা না দেই মধ্যবিত্ত মানসিকতা জিইয়ে রাখতে হবে।দেশব্যাপী পরীক্ষা দিয়ে বেড়ালাম,কিন্তু লাভ হোল কেবল দেশভ্রমণ।শেষপর্যন্ত কিভাবে কিভাবে যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলাম।বিভাগ উইমেন এণ্ড জেন্ডার স্টাডিজ’।বিভাগের নাম নিয়ে অনেক হেনস্তার সম্মুখীন হয়েছি।প্রায়ই ভাবতাম পড়ুম না এই ছাতার ডিপার্টমেন্টে।এখানেও কেমনে কেমনে জানি খাপ খাইয়ে নিলাম।আমি চট্টগ্রামের ছেলে।সেখানেই হেসে খেলে জীবনের ঊনিশটা বছর পার করেছি।ঢাকায় এসে পড়েছি প্রায় চার বছর।এখন অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ি।তাও কেমন যেন বেখাপ্পা লাগে নিজেকে।মানাতে পারিনা নিজেকে।
ব্লগে এইটাই আমার প্রথম লেখা।মাথায় অনেক ভাবনা চিন্তা ঘুরপাক খায়।বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সেই চিন্তা ভাবনা গুলো ডালপালা আরও বিস্তার করেছে।যেভাবেই হোক যে বিষয়ে পড়ছি এখনকার সমাজ বাস্তবতায় তার গুরুত্ব্ও অনেকখানি।এই বিষয়ের দর্শন,মতবাদ আমাকে আবার ভাবতে শিখিয়েছে নতুন করে।সেই ভাবনাটাই সবার সাথে শেয়ার করার জন্যই ব্লগ লেখা।এমনিতে আমি খুবই অলস।ব্লগে লেখালিখির মত ধৈর্য্য আমার ছিলইনা।কিন্তু ঘটনাক্রমে হঠাৎ মনে হল দৈব ঘটনার ও একটা উদ্দেশ্য থাকে যা আমরা কোনভাবেই এড়াতে পারিনা।কিছু দায়িত্ব আমাদের পালন করতেই হয়।দায়িত্বের খাতিরেই হোক বা নিজ ইচ্ছায়,যাই হোক আমার ইচ্ছা আমার ভাবনা গুলো ছড়িয়ে যাক।এই প্রথম একটা লেখা দিলাম ব্লগে।লেখাটা পোস্ট হবে নাকি জানিনা।অপরিপক্ব লেখা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
অরুপ নাহিয়ান
মন্তব্য
সচলে স্বাগতম অরুপ! আপনি যে বিভাগে পড়েন এই বিভাগটা অপেক্ষাকৃত নতুন। অনেকে এটার নামও জানেন না। তাই আপনার বিভাগ, এই বিষয়ে পড়াশোনা, এর সমস্যা আর সম্ভাবনার কথা কিন্তু আপনি লিখতে পারেন। অনেক জরুরী বিষয় নিয়ে আপনি আর আপনার সহপাঠীরা পড়ছেন, কাজ করছেন। এগুলো আমাদেরকেও কিছু কিছু জানান। দেখবেন তাতে আমাদের পাশাপাশি আপনারও উপকার হবে। লিখতে থাকুন, আর মন্তব্য করতে থাকুন অন্যের লেখায়। সচল থাকুন, সচল রাখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ব্লগের সুবিধা হচ্ছে এই, সবাই নিজের মতো করে যাচ্ছেতাই লেখিয়ে। পরীক্ষা পাশ ঠেলে এখানে লেখক হতে হয় না। তাই লিখতে থাকুন। নিজের বিষয়েই লিখুন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সু-স্বাগতম......
জেন্ডার স্টাডিজ এ শুধু মেয়েরাই পড়বে কেন ? ছেলেদের তো আরও বেশি পড়া উচিত আমার মনে হয়। আপনি পড়ছেন শুনে ভালো লাগলো। নিজের চিন্তাগুলো গুছিয়ে লিখে ফেলুন, আমরা তো আছিই পড়ার জন্য।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
স্বাগতম। আরো লিখুন।
সচলে স্বাগতম।
লিখুন নিয়মিত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সকলকে ধন্যবাদ লেখাটা পড়ে দেখার জন্য সর্বোপরি উৎসাহ দেয়ার জন্য।সত্যি কথা বলতে ভাগ্যের ফেরেই এই বিষয়ে পড়া শুরু করেছিলাম।কিন্ত পড়তে পড়তে উপলব্ধি করলামি এই বিষয়টা যতটা না পুথিগত তার থেকে অনেকখানি বাস্তবিক।প্রথমে ভেবেছিলাম এই বিষয়টা কেবল কিছু নারী মৌলবাদী তৈরী করবে।পরে মনে হল না বিষয়টা আরো অনেক বিস্তৃত।আমাদের মতো দেশে যেখানে নারীদের গৃহপালিত পশুর মত মনে করা হয় সেখানে কিছুটা চরমপন্থা অবলম্বন করা আবশ্যক।আমার চেষ্টা থাকবে বিষয়গুলোর সচ্ছ ধারণা তুলে ধরা।সবাইকে আবারো ধন্যবাদ।
অরুপ নাহিয়ান
লিখতে থাকুন। আপনার ডিপার্টমেন্ট এবং পড়ার বিষয়গুলো নিয়েও লিখতে পারেন কিন্তু।
আপনি যে বিষয়ে পড়ছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার অভিজ্ঞতা, ইচ্ছা, ভাবনা ভাগ করে নিন সবার সাথে, আমরা আগ্রহ নিয়ে পড়ব।
লিখতে থাকুন... স্বাগতম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অরূপ, আপনাকে স্বাগতম। আপনার আধুনিকমনস্ক পাঠ্য বিষয়টি ইন্টারেস্টিং, মাঝেসাঝে লিখবেন ওই নিয়ে।
স্বাগতম অরূপ, চালিয়ে যান। কোনও কিছুই জন্ম থেকে পাকে না। সময়ের সাথে সাথে পরিপক্কতা আসতে থাকে।
আপনি লিখবেন, পাঠক পড়বেন। আলোচনা সমালোচনাগুলো ফলো করবেন এবং পরবর্তী লেখাগুলোতে তা বিবেচনা করবেন। দেখবেন, রাসায়নিক দ্রব্যাদির প্রয়োগ ছাড়াই অল্প সময়ে পেকে গেছেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন