সূত্রধর!
ওহে নিরালা মানুষ, ঘরের আঁচলে খুদকুটো জমেছে যা,
তার সব নৈবদ্য জ্ঞানে পূজা করলেই দেখবে পূজারী মন
বেহালায় সংগত; সেইসাথে আলাপ জুড়ে দিতে একটা
মিঠেকাড়া মন্দিরা দূরাগত বাঁশীটাকে টেনে নেবে যখন -
তখন তুমি চাইলে একটা হারমোনিকা খঞ্জনির বোলে
যে গাইবেনা তার দিব্যি তোমাকে কে দিয়েছে কবে?
বাজো! গ্রহন লাগা ঘনঘোর নিশ্চিত জলের দেখা পাবে,
তারপর সাধিত গলায় জটাধর বিবাগী তুমি গেয়ে উঠলে -
আবারও মনে হবে - বাজালেই বেজে উঠো তুমি;
তুমি ছাড়া আর কেউ তোমাকে বাজাতে পারেনা;
তুমি ছাড়া তোমার উচাটন জল, প্রাকৃতিক ভূমি
বাজাবে - কোথায় সে সূত্রধর? বাজোনা!
রঙে হোক শিল্পীর জয়!!
আকোঁনা! বে-নী-আ-স-হ-কলা দেয়া আছে পৃথিবীর সংহত পাত্রে!
তুমি- তোমার বিলাসী খেয়ালী হাত আর তুলি ধরে
একটা গগনবিদারী আর হুহু টানে ক্যানভাসে, সুশোভিত ছত্রে
টান দিলেই ফুটে উঠবে তোমার নিজস¡ এক গ্রনথিত রঙ; প্রাণভরে
আঁকোনা; অবিনাশী জলাধার তুমি, আঁকোনা তোমার নিজেকে!
প্রাকৃতিক নিয়মেই - সব রঙ ফিকে হয়, সব ভুল বড় করে যায়,
সব দায় মিটে যায় সহজ নিয়মে; তারপর আবারও সরল সত্যটাকে
খুব করে মেনে নিয়ে হতে হয় ধ্যানী - ঋষি - ধ্যান সহায়!
জড়ের সাধ্য থাকেনা সৃষ্টি করে, হতে পারে নিপূণ চিত্রকর -
বেপথু মানুষ জানেনা কতদূর গেলে পরে একখানি ছবি আঁকা হয়;
পথে দেখো সতেজ দুলেছে জারুলের ঘ্রান, দারুন জারুল প্রহর,
তুমি তবে আকর্ষিত পতঙ্গপ্রাণ - রঙে হোক শিল্পীর জয়!!
- তানিম এহসান, বরিশাল, ২৩.০৭.২০১১
মন্তব্য
রঙে হোক শিল্পীর জয়' বেশি ভালো লেগেছে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
'কবিতা ছবি তাল দোল রঙ লয় সুর'
খাইসে!
ক্যাটেগরিতেই ৪ তারা।
এই লাইনটা পছন্দ হল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার ভেংচিটাও কি অসাধারন লাগলো! কেমন আছেন আজকাল? কবিতা নিয়ে ঘর করা একজন মানুষের কাছে একটা লাইন পছন্দ হলে তাতে বহুকিছু যায় আসে! ভালো থাকুন ইচ্ছেমতন
আপনার জন্য একটা গান http://youtu.be/eGF9Gq93nz0
অসাধারণ লাগলো তানিম ভাই, বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারলাম না। শুধু একটা বিবেচ্য হতে পারে তাহল দুটো পোস্টে আলাদা করে দিলে মনে হয় লেখক পাঠক দুজনের জন্যই ভালো হত!!!!
তোমাকে দেখলেই শুধু তোমার পরীক্ষার কথা মনে পড়ে।
পরীক্ষা কেমন হচ্ছে ভাইয়া? অনেক বড় হও! শুভেচ্ছা,
ঠিকাছে।
রোজ খুচুং খুচুং করে একখানা কবিতা দেওয়ার চেয়ে একসাথে দুতিনটে দিলেই পড়তে আরাম। দৈনিকবি-দের ডরাই।
বেপথু মানে তো কম্পমান, আপনি মনে হয় বিপথগামী বোঝাতে চেয়েছিলেন?
কয়েকটা বানান ঘেঁটে গেছে - নৈবেদ্য, গ্রহণ, নিজস্ব, গ্রন্থিত, ঘ্রাণ, দারুণ
পারেনা, আঁকোনা... এগুলো পারে না, আঁকো না এরকম হবে।
হ্যা, বেশ কয়েকটা বানান ভুল হয়েছে আর কয়েকটা বানান ঠিকমত লিখতেই পারিনা এখানে।
আকোঁ বলার চাইতে পরম আবেশে খুব করে চেয়ে ”আকোঁনা” বলতে পারাতে কিন্তু একটা অবিনাশী দাবী থাকে, আব্দার থাকে - এগুলো সচেতন ভাবেই লেখা।
বেপথু? যেভাবে ইচ্ছে নিয়ে নিন ভাই
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
এবার তানিম এহসান-এর কাছ থেকে একটু ভিন্ন ধাঁচের লেখা পেলাম। আগের তুলনায় বেশ গভীর, পরিশীলিত উচ্চারণ। কবিতাগুলোতে চৌরাস্তার উত্তেজক শ্লোগান নেই, আছে কেবল ব্যক্তিগত টানাপোড়ন-যন্ত্রণা-ভালো লাগার কথা। কবি এখানে কারো রক্ত চাইছেন না, বরং গাইছেন সৃষ্টিশীলতার জয়গান।
এই কাব্যধারা অব্যাহত থাকুক। অনেক শুভ কামনা।
সুমন তুরহান! মন্তব্য করেছেন তাহলে শুভাকাঙ্খী চিনতে তাহলে ভুল করিনি খুব ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা,
দারুন লাগলো। সুন্দর।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা আপা, আপনার মন্তব্য পথের পাথেয় হোক!
নতুন মন্তব্য করুন