একবার এমিরাটসের ফ্লাইটে একা যাচ্ছি। আমি আলাপী, আড্ডাবাজ মানুষ। নতুন কাউকে পেলে আলাপ জমানোর জন্য জিহবা সুড়সুড় করে। কিন্তু আমার পাশের সীটে বসেছেন খুব ই গম্ভীর এক মহিলা। কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন এইসব জিজ্ঞেস করে যুত করতে না পেরে মুভি দেখতে লেগে গেলাম। মাঝখানে একবার খেয়াল করলাম উনি টয়লেট থেকে ঘুরে এলেন। এর পাঁচ মিনিট পর উনি খুব উত্তেজিত ভাবে আমেকে ধাক্কা দিয়ে বললেন ‘ঐ যে নীল টি-শার্ট পরা লোক, সে খুব লাকি’।
আমি একটু অবাক...চেনেন উনাকে?
-নাহ চিনিনা।
-তাহলে যে বললেন সে লাকি?
-‘সে আমার পরে টয়লেটে গিয়েছে। আমি সব মুছে তকতকে করে গুছিয়ে রেখে এসেছি’!
প্লেনের ফ্লাইটে না হোক, নিজের ঘরে এই অভিজ্ঞতা সব মেয়ের হয়। সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা টয়লেট বরবাদ করতে ছেলেদের জুড়ি নেই। আমি একবার আধাঘন্টা ধরে টয়লেট পরিষ্কার করলাম। ঝকঝকে বেসিন, খটখটে ফ্লোর, গোছানো কেবিনেট দেখে কী ভালো যে লাগলো...! আমার বর পাঁচ মিনিটের জন্য সেই চকচকে টয়লেট ব্যবহার করার পর আমি ঢুকে হতভম্ব হয়ে গেলাম। আমি ‘এ কি’ বলে চিৎকার করে উঠায় সে রেগে গেলো। ‘আরে টয়লেট কি মেজে ঘষে লক করে রাখার জিনিস? শেভ করবো না, আজব কথাতো?’
বাবারে আমিও তো জানি টয়লেট ইউজ করার জিনিস। কিন্তু আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারিনা, শেভ করার পর কেবিনেটের যাবতীয় টয়লেট্রিজ লন্ডভন্ড হয়ে যায় কীভাবে? সমস্ত ফ্লোর পানিতে ভেসে যায় কীকরে? বেসিন আর আয়নাতে বুদবুদ লেগে পিচ্ছিল হয়ে থাকে কেনো?
সবচে অবাক কান্ড সিলিং এর নাগাল না পওয়া দূরবর্তী,দুর্গম জায়গায় শেভিং ফোম পৌছায় কী করে??
দিহান
মন্তব্য
আপনার এই সিরিজের জেনারেলাইজেশনগুলো পছন্দ হচ্ছে না, দুঃখিত। এর আগে ঠাট্টাচ্ছলে বলার চেষ্টা করেছিলাম, সেই মন্তব্যের কোন উত্তরই দেয়া হয়নি দেখে এখন সোজাসুজি বলা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না।
এই ধরনের জেনারেলাইজড স্টেটমেন্টগুলো যদি গ্রহণ করতে হয়, তাহলে ওই একই টোনে যখন বলা হয় "মেয়েদের মাথায় বুদ্ধি কম" বা "মেয়েরা পৃথিবীতে খালি শাড়ি আর গয়না ছাড়া আর কিছু চেনে না " সেগুলোও তো গ্রহণ করতে হয়। দুঃখিত, যে কারণে পুরুষতান্ত্রিক প্রাণীগুলোকে দু'চোখে দেখতে পারি না, সেই একই কারণে আপনার লেখার এই ধরনের লাইনগুলো পছন্দ করতে পারলাম না।
তবে এই বিশেষ মন্তব্যগুলো ছাড়া আপনার লেখার হাত কিন্তু খারাপ নয়, অনুরোধ রইলো বিভিন্ন টপিক নিয়ে লেখার।
চিরন্তন অভিযোগমালা........................
পছন্দনীয়দা'র সাথে অনেকটাই সহমত।
সন্দেহ নেই, লঘু চালের খানিকটা হাস্যরসই আপনার এই সিরিজের সারবস্তু। কিন্তু একটা সিরিজের সব ক'টা পর্বে যদি ধারাবাহিকভাবে এমন ঢালাও সরলীকরণ চলে, তবে ব্যাপারটা যেন একটু কেমন কেমন ঠেকে।
ভিন্ন কোন প্ল্যাটফর্মে আপনার চমৎকার সৃষ্টি দেখবার প্রতীক্ষায় রইলাম।
মডারেশনে থাকতেই এই লেখাটা পড়েছিলাম। তখনই যে কথাটা মাথায় এসেছিল পোস্ট খুলে দেখি দুজন তা বলেই দিয়েছেন।
আপনার লেখা পড়তে মজা লাগে দিহান। বিশেষত একজন মেয়ে ছেলেদের নাকে খুব করে ঝামা ঘষে দিচ্ছে দেখলে বিমলানন্দ হয়। কিন্তু তার সাথে আরেকটু কথাও যে না বললে নয় ভাই। লেখায় এভাবে ঢালাও ভাবে 'ছেলেরা' বলাটা ছেলেদের প্রতি অবিচার হয়ে যায় কিন্তু। আমি অনেক 'ছেলে' এবং 'স্বামী' কে চিনি যাঁরা এরকম দোষে দুষ্ট নন। অথচ এমন অনেক মেয়েকে জানি যাদের নোংরামি আর স্বভাবের উৎকট দিক বললে অন্যেরা আঁতকে উঠবে। যেমন একজনকে জানতাম হলে থাকতে যার বিছানাটা ছিল জানলা লাগোয়া। দুপুরবেলায় সে জানলায় হেলান দিয়ে বিড়বিড় করে পড়া করত আর পিচিক পিচিক করে কাশওলা থুতু জানলা দিয়ে ছুঁড়ে দিত। সেই থুতু তার মাথার পাশেই জানলার নেটে লম্বা লম্বা হয়ে ঝুলে থাকত। আমার দেখে গা গুলিয়ে বমি এলেও তার কোনই হেলদোল হতনা। এইরকম অনেক অনেক অনেক নোংরামো দেখেছি। এই মেয়েগুলোই কিন্তু কিছুদিন পরে বিয়ে করে সংসারী হয়েছে, মা হয়েছে। এদের কাছ থেকে এদের বাচ্চারা পরিচ্ছন্নতার কি শিক্ষাটা পাবে বলে আমরা আশা করতে পারি বলুন তো ? তাই বলছি শুধু এক দুজনকে দেখেই ঢালাও ভাবে এভাবে বলাটা বোধ হয় ঠিক হচ্ছেনা। সচলে কোন ছেলে যদি মেয়েদের নিয়ে এমন পোস্ট দিতে শুরু করেন মেয়ে হিসেবে সেটা সহ্য করাও কিন্তু যথেষ্ট কঠিন হবে। তাইনা ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ছেলেমেয়েতে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে ছেলেরা মেয়েদের নিয়ে আর মেয়েরা ছেলেদের নিয়ে ৫টা করে ভালো কথা লিখুন দিকিনি...
আপত্তিকর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কট্টরপন্থি লেখা.....মনে হচ্ছে কোন কালো নারীবাদীর(Black feminist) লেখা পড়তেসি.........
নতুন এসেছেন, হঠাত্ এতজনের কড়া কথায় আশা করি মুষড়ে পড়ছেন না।
যে দোষগুলো ওরা দেখিয়ে দিচ্ছেন ওগুলো একটু খেয়াল করুন, পরের লেখাগুলোতে এগুলো নিয়ে সাবধান থাকুন।
ছেলে নিয়ে জেনারেলাইজেশনটুকু বাদ দিলে গল্পগুলোতে রস যে আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
আপনার আরো লেখার প্রত্যাশা রইল, শুভেচ্ছা
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আপনার বর খুব সহনশীল। উনার জন্য সমবেদনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
কড়া সমালোচনায় দমে যাবেন্না যেন। জেনারাইজেশন"টুকু বাদ দিয়ে লেখা মজাদার হচ্ছে। এবারো বেশ হেসেছি লেখা পড়ে। আমোদটুলু মনে ধরে রেখেই লিখে যান। আপনার আর আপনার বরের আহ্লাদের টরেটক্কা (খুনসুটি) গুলো উপভোগই করছি
শুভেচ্ছা
আপনি নিশ্চয়ই সব ছেলে বদ, সবাইকে ধরে ফাঁসি দেয়া উচিত" এরকম মানসিকতা নিয়ে লেখেন নি! তবে কিনা, পাবলিক ফোরামে লিখতে গেলে একটু সতর্ক থাকতেই হয় যে লাইনটা নিয়ে আপত্তি উঠেছে সেখানে "ছেলেদের" শব্দটা বদলে " আমার বরের" অথবা "অনেক ছেলের/কিছু কিছু ছেলের" লিখলেই ল্যাঠা চুকে গেল! পরের লেখাগুলোতে ঠিক করে নেবেন।
আপনার লেখার ভঙ্গিটা মজার। আরো লেখা চাই। আর লেখাটা একটু বড় হলেই ভালোমতো তেষ্টা মেটে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সামাহালকে গাইজ! জেনারেলাইজেশনটা অভিযোগ মনে হয়নি আমার, বরং ফানি মনে হয়েছে। এভাবেই নেয়া উচিৎ লেখাটাকে। টেইক ইট ইজি।
হ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই রকম "ফান"এর কিছু বিপদ থাকে
"ছেলে"মানুষের বেলায় নাহয় মেনে নিলাম "ফান"
কিন্তু এই ফান দেখে যদি অন্য কেউ "মেয়ে"মানুষদের নিয়ে "ফান" করতে শুরু করেন?
একই ভাবে কোনো ফান করতে শুরু করেন নির্দিষ্ট কোনো "জাতি" বা "ধর্ম" নিয়ে?
এসব ব্যাপার খুব স্পর্শকাতর...
ইতোপূর্বে সচলায়তনে ধর্ম বিষয়ে এরকম ঘটনা আছে, যা বহুদূর গড়াইছিলো
তাই সতর্ক থাকাটাই উচিত মনে করি
আর এটা সিরিজের ৩ নম্বর পোস্ট...
ফান কতদূর পর্যন্ত সহ্যেবল এইটাও বিবেচনার দাবী
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আসলে এইবারের লেখাটা ততটা জমেনি - মজা অনেকটাই কম বলে আমার মনে হয়েছে। খোঁচাগুলো হাস্যরসের মোড়কে থাকলে লোকের গায়ে তেমন লাগে না, ব্যঙ্গ হিসাবে উপভোগই করা যায়। এবার মজাটা কম হয়ে যাওয়ায় তাই লোকেদের আপত্তিকর বলে মনে হচ্ছে। পরেরবার দারুণ মজার করে লিখুন দেখি!
প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে হলে নিয়মিত শেভ করতে হবে যে আপু!
তবে লিখা চালিয়ে যান......
আমাদের বাসার ৩টা বাথরুম প্রতি সপ্তাহে আমি পরিস্কার করি | মেয়েরা অনেক বেশি পরিস্কার থাতে পচন্দ করে তবে বাতিক্রম আছে | লেখা ভাল হয়েছে কিন্তু "জেনারেলাইজেশনগুলো পছন্দ হচ্ছে না"
লেখায় জেনারালাইজেশান আছে তবে মূল সুরটা কৌতুকের বলে আমার কাছে অতটা আপত্তিকর মনে হয় নি। তবে এই কথাটাও সত্যি একই ধরনের সরলীকরণ মেয়েদের বেলায় করা হলে আপত্তি উঠতই। আর লেখাগুলো একটু টাইপড হয়ে যাচ্ছে।
আশা করছি আপনার কাছ থেকে ভিন্ন স্বাদের আরো মজার মজার লেখা পাব। শুভেচ্ছা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আসল কথাই বলতে ভুলে গিয়েছি - আমি নিজেও একটু অগোছালো। দেশে থাকতে আমার ঘর আর মুরগির খোঁয়াড়ের মধ্যে ফারাকটা নিতান্তই অল্প ছিল। ড্রয়ার ভর্তি হাবিজাবি (ফেলতে মায়া লাগে)। বেশিরভাগ সময় আম্মুই ঘর গুছিয়ে দিত। কারণ আমি যতই গুছাই না কেন সেটা সরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাশ হত না। আমার পড়ার টেবিলে এত জঞ্জাল জমে থাকত যে আব্বু শেষ পর্যন্ত কাঠ মিস্ত্রি ডেকে টেবিলের বদলে বি-শা-ল এক তক্তার নিচে চারটা পা লাগিয়ে সেটাকেই টেবিল বানায় দিল। আমিও মনের সুখে টেবিলে রাজত্ব করতাম (অন্য কারো হাত দেওয়া কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ)। যে বইটা যেভাবে খুলে রাখতাম সেটা সেভাবেই থাকত দিনের পর দিন। বেশি জমে গেলে সেগুলোকে ঠেলে আরেক পাশে সরিয়ে চলত বাদ বাকি কাজ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সর্বনাশ, আমি মন্তব্যগুলো দেখে আসলেই ভড়কে যাচ্ছি। যারা মজা হিসাবে নিতে পারেন্ নি তাদেরকে sorry বলছি। আমি যদি mean ই করতাম ছেলেরা এতো খারাপ তাহলে ব্লগে লিখতাম না, নিজের জীবনে ছেলেদের থেকে শতহাত দূরে তাকতাম। কিন্তু সচল পাঠক ভাইরা, আমি আট বছর ধরে একটা 'ছেলে' মানুষের সাথে বসবাস করছি আর দুইটা ফুটফুটে মেয়ে আছে আমাদের ঘর আলো করে। আমি ভীষণ বিব্রতবোধ করছি...
ভড়কে যাবেন না দয়া করে।
স্রেফ গণহারে সবাইকে নির্দেশ করে এরকম স্টেটমেন্টগুলো বাদ দিন, দিব্যি উপভোগ্য লেখা হবে। আপনার লেখার ধরন খারাপ নয়
ভড়কে যাবেননা, লিখতে থাকেন।
আবারো বলি
...........................
Every Picture Tells a Story
দিহান, এইবার আমি নিজেই বিব্রত বোধ করছি। আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে সরি বলানোটা আসলে অন্তত আমার নিজের উদ্দেশ্য ছিলনা। পরপর সিরিজে এই জিনিষটা আসছিল দেখে খটকা লেগেছিল একটু, এইজন্যেই বলা। আপনাকে একটু মনে করিয়ে দেয়ার জন্যে বলতে পারেন। আপনার লেখা নিশ্চয় ভালো, নইলে সবাই পড়ে টরে চিন্তা ভাবনা করত না সেটা নিয়ে, কষ্ট করে মতামতও দিতে আসত না। এই ভালো লাগাটাই কিন্তু আপনাকে আরও দায়িত্বের সামনে ফেলে দেয়। সবাই আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশা করতে থাকে।
পাঠকের মতামতকে নেতিবাচক ভাবে নেবেন না আশা করি। আরও লিখুন প্রাণ ভরে। পড়বার জন্যে আমরা আছিই।
আগামীতে আপনার আরও দারুন সুন্দর লেখার আশায় রইলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনি যে স্রেফ ফান করতেই লিখছেন, ছেলেবিদ্বেষ থেকে না... তা স্পষ্টই বুঝা গেছে... তাই বিব্রত হওয়ার কিছু নাই...
এই বিষয়গুলো একটু স্পর্শকাতর তো... কখন কার আঁতে লেগে যায় কে জানে? তখন খুব বেশি তিক্ততার পর্যায়ে চলে যেতে পারে...
তাই এগুলো নিয়ে মজা করার সময় একটু সামহালকে...
আপনার লেখা ভালো... "ছেলে"রা অবশ্যই মজাদার, কিন্তু পৃথিবীতে আরো তো অনেক কিছু আছে মজাদার... সেসব নিয়ে লিখুন...
আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মুস্তাফিজ, আমার বর আসলেই সহনশ্লাম।কিন্তু ভাই,আপনার মন্তব্যটা আমার জন্য অপমানজনক এটা বোঝার সামর্থ্য আপনার নেই দেখে হতাশ লাগছে। আমি উপেক্ষা করতে চেয়েছিলাম, পরপর দুবার একই মন্তব্য করলেন তাই লিখেই ফেললাম।
খুব বেশি খারাপ লাগে যখন একপেশে কিছু পড়ি। এখানে লেখক যদি কিছু লিখেই থাকেন তবে তার লেখার উল্টো বলার লেখকেরাও আছে তাই ভালো লাগলো। আমি যা বুঝি অন্যে ঠিক তাই বুঝবে বা তেমন করেই প্রকাশ করবে তাতো নয় আবার অন্যে যা বুঝবে তাও যে আমি হুবুহু বুঝবো তাও তো নয়.....কাজেই যিনি লিখেছেন আর যারা পড়েছেন ও কিছু কিছু বলেছেন দুই ঘরনা মিলে আমি কিন্তু বেশ ২+২=৪ এর মজাটাই পেলাম।
লেখা চলতে থাকুক লেখকের উপলব্ধি থেকে আর পাঠক সেই লেখা পড়ুক ও তার স্বচ্ছন্দের উপলব্ধি প্রকাশ করুক। সিরিজ গুলো এগিয়ে চলুক যার যার নিজ গতিতে এই হলেইতো প্রকৃত "সচলতা" বজায় থাকবে
ভালোলাগলো সকল কিছুর সমন্নয়।
আপনার লেখাগুলো পুরাই আমার মায়ের এক্সপেরিয়েন্সএর মত !! আপনার জায়গায় আমার মা'কে আর আপনার বরের জায়গায় আমাকে বসিয়ে দিলেই হয়
আমার ঘরে দুইপায়ে চলার একটা পথ আছে শুধু , বাকীসব বইখাতাজামাকাপড়পেপারসুতালেইস। আর টয়লেট বেসিন শুকনা থাকলে আমার ভাল লাগে কিন্তু ক্যাম্নে শুকনা রাখে আমি বুঝিনা আমি মুখ ধুতে গেলে বেসিন তো বেসিন ঘরের অর্ধেকটা ভেসে যায় ! আপনার লেখাগুলা পড়ে বুঝতেসি আম্মু কতটা বিরক্ত হয় আমার উপর ! ( আমি কিন্তু মেয়ে )
দিহান লিখে যান।।।।।।
হাহাহা ভালো লিখেছেন আপু।
এই রে! গেছি! আমি মেয়ে হয়েও তো ভীষণ অগোছালো। তাই আমার দরকার এমন স্বামী, যে কিনা আপনার মত কেয়ারিং।
একটা ফানি পোস্টে এত জ্ঞ্যান-দান না করলেও বোধহয় চলত, অন্য মন্তব্যের পাশে একটু সতর্কবার্তা হিসেবে আসতে পারত। যদিও এটা ফানি পোস্ট, তবে প্রথম পর্বে লেখিকার কথার সাথে আমি একমত। ফেমিনিন ভিউ থেকে বিশ্লেষণ আমরা অনেক অনেক কম পেয়েছি। ব্যাতিক্রম অবশ্যই আছে, কিন্তু ইন-জেনারেল ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় একটু অগোছাল হয়েই থাকে। উদাহরণ আমি নিজে, আমার রুম গোছাতে এসে মা প্রতিদিন কবি কিশোর সুকান্ত পাঠ করেন, 'এ ঘরকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি'।
আরেকটা কথা, সুনীলের 'বরুণা কথা রাখেনি' লাইনটাকেও ইচ্ছা করলে এরকম সরলীকরনের অভিযোগে যন্ত্রণা দেয়া যাবে।
@দিহান - আপনার মাঝে একটা বিল্ট-ইন রসবোধ আছে...একে আরো কাজে লাগানোর দাবি জানাচ্ছি, শুভকামনা।
সচলদের আরেকটু সহনশীল মন্তব্য করতে এবং লেখিকাকে আরেকটু যত্ন নিয়ে লিখতে অনুরোধ জানিয়ে এই পোস্টে মন্তব্যের অপশন বন্ধ করা হলো।