জগা কিভাবে খিচুড়ি রান্না করেছিলো জানিনা কিন্তু আমি কিভাবে করেছিলাম সেটা অবশ্যই জানি। সেটা খেয়ে ওশিলভ্ হারামজাদার পেট নেমে গিয়েছিলো সেটাও জানি। কিন্তু সেটা যত না আমার খিচুড়ির গুনে তার চেয়ে অনেক বেশী ওর পেটের দোষে। তুর্কীই হোক আর তাজাক্ই হোক (ব্যটা এই দুটোর খিচুড়ি), এদের পেটে গরম মশলা পড়লেই পেট নেমে যায়।
সবে মাত্র এসেছি তখন আমেরিকার সুইট হোম আলা দা ..কিং বামার ছোট একটা শহরে ওশি দা মদন লভ্ এর রুমমেট হয়ে। প্রথম সপ্তাহ ব্যটার সেদ্ধ আলু আর হোম মেইড ইটা পাউরুটির (সব পাউরুটিতে নাকি মনো এন্ড ডাই গ্লিসারাইড্ থাকে আর ওই বস্তুতে নাকি শুয়োরের তেল থাকে। আমি যতই বলি গুগল কইছে সয়াবিন তেল, সয়ার বীচি নাইলে সূর্যমুখীর বীচি ততই ব্যটা মুখ গোমড়া করে বলে না না শুয়োরের ইয়ে) অত্যাচার সহ্য করে সপ্তাহান্তে তে চ্যাটের .. আবদুল্লা করে (এখন আবার কইয়েন না সেটা কি জিনিস জানেন না। যাই হোক্, সংক্ষেপে চ্যাট করার সাথে চ্যাটের .. আবদুল্লা করার পার্থক্য হলো, দ্বিতীয়টিতে .. না থাক, এখানে বাচ্চা-কাচ্চা পোলাপান আছে, না বলি) এক মেয়ে পটিয়ে খিচুড়ির রেসিপি নিলাম। সহজ রেসিপি, চাল ডাল মিলায়ে সব মশলা দুই চামচ। চাল-ডালের পরিমাণ অথবা চামচের সাইজ ব্যাপার না। আমি সেটাকে আরো সরলীকরণ করে চাল-ডাল-মশলা সব কিছু সমপরিমাণ করে রান্না করলাম। সেটা খেয়ে ওশিলভ্ খালি বাথরুমে যায় আর আসে, আসে আর যায়, আর আমাকে বলে, রহমান, হোয়াট হ্যাভ ইউ ডান্?
আমি আর এমন কি করলাম। শরীফ ভাই তো মসজিদের ইমামকেই প্রায় মেরে ফেলেছিল। শরীফ ভাই ধর্মপ্রাণ মানুষ। ফিলিস্তিনি হুজুর কে বাসায় দাওয়াত করলেন যত্ন করে খাওয়াবেন বলে। ঠেসে খেয়ে দেয়ে হুজুর খালি দোয়া কুনুত পড়তে পড়তে বাথরুমে যাওয়া আসা করেন। শরীফ ভাই পাংশু মুখে বিড়বিড় করে, হুজুর মেরে ফেললে এ জীবনে আর বেহেশত্ পাওয়া যাবেনা এই বলে। সেদিন বুঝলাম হুজুর দেশীই হোক আর বিদেশী ভোজনের ব্যাপারে একটু দুব্বল।
সে যাই হোক, চ্যাটের মেয়ের রেসিপির খিচুড়ি খেতে খুব একটা খারাপ হয়নি। আমি ওই খিচুড়িই টানা নয় দিন, পয়তাল্লিশ বেলা খেয়েছি। তবে চ্যাটের মেয়ের রেসিপি আর কতই ভালো হবে বলেন? যেই মেয়েটি আকাশনীলা বা আকাশলীনা নাম নিয়ে IRC তে কী-বোর্ড চালবে সেতো আর রান্নাঘরে খুন্তি চালাবে না। একথা শুনে আবার আমার উপরে ক্ষেপে উইঠেন না, ব্যতিক্রম আছে, আমার স্ত্রীও কিন্তু চ্যাটের মেয়ে, দিব্যি এখন খুন্তি চালাচ্ছে (যদিও হাড়িতে না, আমাতে)।
তবে আমাদের ছোটবেলা সে এক সময় ছিলো। এখনকার ছেলেপিলেদের তো আর আমাদের মতো আর বালি খুড়ে সোনা বের করতে হয়না। মুখ-বুকের কল্যাণে আগে সবকিছু দেখে শুনে তারপর কথাবার্তা, ফাঁকির সুযোগ কম। আগে হয়তো মেঘবালিকা নাম নিয়ে গোঁফওয়ালা চল্লিশোর্ধ দশাসই যুবতী দিনের পর দিন কথা চালিয়ে যেতো পাখিবালক নামের খুজলি ওয়ালা মুশকো জোয়ানের সাথে । আবেগ-ঘন মুহূর্তে যুবকের কাছে প্রশ্ন আসতো, হোয়াট আর ইউ ওয়ারিং, উদোম গায়ের লুঙ্গী পরা যুবক ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস করে এখানে ওখানে চুলকায়ে বলতো, জিনস এন্ড টি। দিন বদলেছে, মানুষ বদলেছে, বাংলালিংক বা প্রথম আলোর কারণে না, জুকারবার্গের কারণে।
সে যাই হোক্, কোন কথাত্তে কোন কথায় চলে এলুম, এমনিতেই কি আর লেখার নাম জগাখিচুড়ি। কথা হচ্ছিলো খিচুড়ি নাইলে ওশিলভ্ কে নিয়ে। ফাজিল ব্যটার জ্বালায় আমার জীবন অস্থির। নিজেও হালাল ছাড়া কিছু খাবেনা, আমাকেও খেতে দিবেনা। Wal-Mart থেকে যাই কিনি তাতেই সে মনো এন্ড ডাই গ্লিসারাইড্ খুঁজে পায়। হপ্তা-খানেক সহ্য করে মনো এন্ড ডাই গ্লিসারাইড্ এর পিতা-মাতা-পিতামহ-মাতামহ কে যাযাদি এবং শফিক রেহমান এর মতো লাল-গোলাপ ভালোবাসা জ্ঞাপন করে MacDonald’s এ খাওয়া শুরু করলাম। কদিন পরে দেখি বেড়ে উঠছি। ওভালটিন না কিসের এডের “ মা, বড় তো হচ্ছি কিন্তু বেড়ে উঠবো কবে?” বলা ওই ইঁচড়ে পাকা ছেলেটির মুখে বিগ্ ম্যাক ঠুসে দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, দ্যাখ ব্যাটা বেড়ে ওঠা কাকে বলে। পুরো আমেরিকা এই জিনিস খেয়ে তড়তড় করে বেড়ে উঠছে।
তবে মাস্খানেক এর মধ্যে খিচুড়ি রান্না বেশ শিখে গেলাম, যদিও ওশিলভ্কে খাওয়াতে পারলাম না আর। তবে ব্যাটা জাতে মাতাল তালে ঠিক, ইলিশ মাছ ঠিকই খেলো। পাঁচ দুগুণে দশ ঘণ্টা গাড়ী চালিয়ে, সুদূর আটলান্টা থেকে নিয়ে আসা দুর্লভ ইলিশ মাছ। ভাগ বাটোয়ারার পর আমাদের কপালে জুটল ছয় টুকরা, ভাগীদার পাঁচ জন। রানা ভাইয়ের বাসায় আয়োজন হলো, স্বর্গীয় মেনু, খিচুড়ি, ইলিশ ভাজা আর সরিষার তেল। ষষ্ঠ টুকরাটি কিভাবে ভাগ হবে এই নিয়ে যখন দরকষাকষি চলছে সেসময় ওশিলভ্ এর আগমন। রানা ভাই মৃদু গলায় ওশিলভ্ কে বললেন চেখে দেখতে। ব্যাটা প্রথমে বলে, আই ডোন্ট লাইক ফিশ। তারপরে গন্ধ শুকে “ইট স্মেলস্ উইয়ার্ড” বলে খুটায়ে খুটায়ে খাওয়া শুরু করলো। প্রথম টুকরায় “নট ব্যাড” থেকে ষষ্ঠ টুকরায় গিয়ে “দিস্ ইজ রিয়েলি গুড” হলো। আমরা সবাই ততক্ষণে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। সৌগত্দা একটু ধাতস্থ হয়ে বললেন, হারামজাদা ইলিশ মাছ যে গুড এইটা বুঝতে তোর ছয় টুকরা মাছ খাইতে হইলো। রানা ভাই পুরা সময় কোনায় বসে ধুর শালা, ধুর শালা করে যাচ্ছিলেন। ওশিলভ্ জিজ্ঞেস করলো ধুর শালা মানে কি, রানা ভাই বললেন “হালাল মাছ”।
ব্যাটাকে বাংলা শিখানোর চেষ্টা করে হাল ছেড়েছি। ভালোই হয়েছে, মেজাজ খারাপ হলে মনের সুখে বাংলা গালি দেয়া যায়। তবে বাংলা কিন্তু বড়ই খটমটে ভাষা, সাবধানে ব্যবহার করতে হয়, একটু উনিশবিশ হলেই সর্বনাশ। অত্র এলাকায় সবচেয়ে ভাল চা বানায় রানা ভাই। সেই চা খেয়ে একদিন জুনিয়র ছেলে বলে, রানা ভাইয়ের চা-টা খেতে দারুণ। সেটা না হয় সহ্য করা গেলো। কিন্তু যেইদিন ছোকরা বিনয়ে বিগলিত হয়ে রানা ভাইয়ের স্ত্রীকে বলে ভাবী চাটা দেন, সেইদিন রানা ভাই গর্জে উঠলেন। এরপর থেকে অত্র এলাকায় কেউ চাটা খায়ও না দেয়ও না। বলতে হলে সবাই হয় চা-খানা বলে অথবা চা বলে ৫ সেকেন্ড pause দিয়ে টা বলে। এখানের বেশীরভাগ ভারতীয় দোকানেই পাল্লা দিয়ে কুৎসিত চা বানায়। কোনও বাসায় যখন আমাদের কেউ চাটা দিতে রাজী হয়না আমরা বাধ্য হয়ে সেইসব দোকান যাই। একবার এরকম অর্ডার দিয়ে বসে আছি, চা এর কোনও খবর নাই। জাফর কে বললাম, যা ব্যাটা খবর নিয়ে আয়। সামনে লোক নেই, যে মহিলা কাজ করছিলো সে আবার হিন্দি ছাড়া কিছু বুঝে না। জাফর চোস্ত হিন্দিতে বলল, “ম্যায় ক্যায়সে চা পাউঙ্গা”। সব্বাই হৈ হৈ করে উঠলো, কারে চাপাবি, কেন চাপাবি, তোর ব্যাপার, মহিলার সাথে ইভ টিজিং করস কেন? রানাভাই জ্ঞানী লোক, ভালো সাহিত্যও জানেন, সমস্যা শুধু রবি ঠাকুর আর রস গুপ্ত দুজনকেই বাংলা ভাষার পথিকৃৎ ভাবেন। ফতোয়া দিলেন, চা কে হিন্দিতে ঠা বলে, তুই বরং মহিলাকে বল, ম্যায় ক্যায়সে ঠা...।
তবে যাই বলেন গুপ্ত সাহেব একদিকে যেমন বাংলা ভাষা কে সমৃদ্ধ করেছেন অন্যদিকে কিছু সম্পর্কের বারটা বাজিয়েছেন। মাসিমা, মেসোমসাই, বউদি/ভাবি এদের নিয়ে যাচ্ছেতাই গল্প ফেঁদেছেন। জীবনে প্রথম পড়া চন্দ্র (শরত) আর গুপ্তের গল্পের প্রধান চরিত্র ভাবী। চরিত্র এক হলেও গল্পের বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। যথাযথ কারনেই কচি মনে দ্বিতীয় গল্পের প্রভাব বেশী পড়েছে। পারিপার্শ্বিকতাও একটা বড় ব্যাপার ছিল। প্রথম গল্প পড়েছি ক্লাসরুমে, সেই ভাবীর ভাবসম্প্রসারণ করতে হয়েছে, চরিত্র বিশ্লেষণ করতে হয়েছে । অন্যদিকে দ্বিতীয় ভাবীর গল্প পড়ে মনের ভাব-সঙ্কোচন করতে হয়েছে, তার কোন চরিত্রই ছিলনা। প্রথমটি পড়ার সময় মাস্টারমশাই টহল দিচ্ছিলেন, দ্বিতীয়টির সময় রনি টহল দিচ্ছিল। ঘটনা খুলে বলি। পড়ি মিলিটারি স্কুলে। পান থেকে চুন খসলে পিটিয়ে হাঁটু থেকে বুদ্ধি খসিয়ে দেয়। এখানে "ধর্মের চেয়ে টুপি বেশী, শস্যের চেয়ে আগাছা বেশী" এর মতো করে "জ্ঞানের চেয়ে আইন বেশী, ব্রেনের চেয়ে হাঁটু বেশী"। গোবরেই পদ্ম জন্মায়, জালেমের ঘরেই আলেম জন্মায়। এমন কঠোর আইন-কানুনের মধ্যেই আমাদের রনি জন্মাল, আমাদেরকেও পুনর্জন্ম দিল। নানা বদগুণের পাশাপাশি ওর ছিল দুর্ধর্ষ ব্যবসা-বুদ্ধি। এক ছুটি শেষে সে অনেক ঝামেলা করে নিয়ে আসলো, গুপ্তের নভেল। আমরা শুধু বয়সেই "বালেগ" হয়েছি, জ্ঞান অর্জন কিছুই হয়নি, এই বলে সে দায়িত্ব নিলো নামমাত্র মূল্যে আমাদের সুশিক্ষিত করে তোলার। ত্রিশ মিনিটের জন্যে তার চটি ভাড়া ৫ টাকা, সাথে টহল ফ্রি। লোভনীয় অফার নিঃসন্দেহে, বিশেষ করে টহলের দায়িত্ব নেয়া। ধরা পড়লে জীবন-যৌবন, মান-ইজ্জত, ছাল-চামড়া সবই শেষ। তখন আমাদের মিলিটারি স্কুলে নতুন কায়দার পানিশমেন্ট শুরু হয়েছে, যাকে আমরা সংক্ষেপে বলতাম "বিউগল" দেয়া। অপরাধীকে পুরদস্তর চকচকে মিলিটারি পোশাক পরিয়ে প্যাঁপ প্যাঁপ করে বিউগল বাজিয়ে, মার্চ করিয়ে প্রিন্সিপাল, হাউজ মাস্টার সহ সকল কর্ণধারদের সামনে হাজির করা হত। তারপর বিউগল বাদক মিলিটারি ব্যক্তি মার্চ করে সামনে এসে ঠকাস করে স্যালুট ঠুকে আর্ত-চিৎকার করত, "অপরাধী হাজির" বলে। তারপর তার কাছ থেকে অপরাধীকে নিয়ে আরেক মিলিটারি ব্যক্তি যাকে কিনা "Adjutant" বলা হত একই কায়দায় মার্চ করে "অপরাধী হাজির" বলে অপরাধীকে প্রিন্সিপালের কাছে পেশ করত। তারপর হেঁড়ে গলায় চিৎকার করে তার অপরাধ বর্ণনা করত। সেই বর্ণনাও পুরো ফর্মাল কায়দায়। এইরকম চটি কেসে ধরা খেলে বলা হবে, ময়মনসিংহের অমুক উপজেলার তমুক গ্রামের সৈয়দ কামুক, পিতা জনাব চামুক, মাতা জনাবা তামুক এত তারিখ, এত ঘটিকায় "ভাবীর দেয়া সুখ" নামক গল্প পাঠকালে অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় অমুক শিক্ষকের হাতে ধরা পরিয়াছেন ... ইত্যাদি, ইত্যাদি। তারপরে তার অপরাধ নিয়ে আলোচনা হবে ঘণ্টা খানেক এবং শাস্তি নির্ধারণ হবে। পুরো ব্যাপারটি যত হাস্যকর এবং ছেলেমানুষি মনে হচ্ছে ততোটা নয় কারণ এই বিচার সভায় অপরাধীর পিতা-মাতাকেও নিয়ে আসা হয়েছে। সে যাই হোক, সকল ভয় তুচ্ছ করে বালেগ হবার আশায় জ্ঞানার্জন শুরু করলাম। টহলে থাকা রনি একটু পর পর জানিয়ে যাচ্ছে, আল ইজ ওয়েল। প্রবল শিহরনে প্রথম গল্প শেষে দ্বিতীয় গল্পে যাওয়া মাত্রই সময় শেষ। চিলের মতো ছোঁ মেরে বই নিয়ে চলে গেলো রনি। কিন্তু ততক্ষণে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে, জ্ঞান বৃক্ষের ফল খাওয়া হয়ে গেছে। জ্ঞানার্জনে ক্ষতি যেটা হল, এই জীবনে কাউকে আর ভাবী ডাকতে পারিনা। আমার স্ত্রীকে কেউ ভাবী ডাকতে আসলে তার দিকে তেড়েফুঁড়ে যাই।
আবারও গোল পাকিয়ে কোন কথায় চলে এলাম। কথা হচ্ছিলো খিচুড়ি নাইলে ওশিলভ্ নাইলে বাংলাভাষা নিয়ে। বাংলাভাষা নিয়ে কখনো হুড়াহুড়ি করতে নেই, একটু আস্তে ধীরে গ্যাপ দিয়ে বলতে হয়, নাইলে সর্বনাশ হতে পারে। স্কুলে নতুন স্যার এসেছেন। গাব ছেলেপিলে ঠিক মতো পড়া বুঝেনা কিছুতেই। প্রথমবার বলেন, দ্বিতীয়বার বলেন, তারপরেই অসহায়ভাবে বলেন, দু দু বার করে বললাম তাও বুঝলে না?
বদ ছেলেপিলে এইবার উৎসাহ পায়, চেঁচিয়ে বলে, বলেন বলেন দু দু বার করে বলেন। সুখের দিন আর থাকেনা, কদিন পরেই বদমেজাজি স্যার আসেন তার জায়গায় বদলি হয়ে। তার দশাসই চেহারা আর ভুঁড়ি দেখে ছাত্ররা আর
দুদু বার করে বলতে বলে না, একবারেই বুঝে যায় সবাই। এই গল্প শোনার পরে আমাদের এলাকাতেও কেউ আর দু দু বার করে কিছু বলে না, বলতে হলে দুই দুই বার করে বলেন অথবা দু (৫ সেকেন্ড নীরবতা) দু বার করে বলে। আবারও খিচুড়ি পাকিয়ে গেল, যা বলতে চাচ্ছিলাম তার তো কিছুই বলা হলনা। আজ বরং থাক। এক সাথে বেশী খিচুড়ি হলে পরে আবার ওশিলভ্ এর মতো পেট নেমে যাবে।
----------------------------------- উদাস
মন্তব্য
মজারু
জগৎই খিচুড়ি, চারিদিকে সবই তো খিচুড়ি আর খিচুনি।
লেখা জোশ জব্বর চমৎকার আর আরো যা যা হয় সব হয়েছে।
বাংলায় থেকে ইংরেজী বললেও অনেক সময় ঘোর গন্ডগোল লাগে, একবার sure কথাটাকে সাহেবী কায়দায় বলতে গিয়ে বডিগার্ড মাসীমার হাতে পড়ে গেছিলো একজন, বুঝিয়ে বাঝিয়ে কোনোক্রমে রক্ষা পায়। তারপর থেকে সে সর্বদা শিওওওর বলে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ তুলিরেখা এবং কবি। ঠিক বলেছেন, জগত খিচুরিময়।
আপনার লেখাটি সৈয়দীয় তরিকায় হয়েছে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি। সিলেটী সৈয়দ।
কোন সৈয়দ এর কথা বল্লেন গো? সৈয়দ মুজতবা আলী হইলে কোন কথা নাই, সৈয়দ হক হইলে ২ টা কথা আছে।
...... উদাস
মজার খিচুরি হইসে আর রান্না হউক
আপনার বিষয়-খিচুড়িতে বেশ আমোদ পেলাম। কিছু কিছু লাইন চমৎকার, যেমন
ব্যাপক!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বড্ড অশ্লীষ গো, তবে খ্যাক খ্যাক করে মেলা দিন বাদে হাসলাম।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
কথা বার্তাতে সতর্ক হতে হবে দেখছি ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
চমৎকার স্বাদ খিচুড়িতে।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ভাই হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে এই দুইটা লাইন পইরা।
রসিক আছেন, চলুক লেখা
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লিখা ব্যাপক হয়সে। চলুক।
ভালো হয়েছে।
আপনার রস আছে মশাই!
তা, আলা-াকিং-বামা জেলার কোন উপজেলায় আছেন গো?
উপজেলা দিয়া কী করেন, ইউনিয়নের কথা জিগান। তারপর ওয়ার্ড।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দ্রোহী দা,
আপনাদের রসময় লেখা পড়ে পড়েই না কিছু রস জমেছে। আপনার সেই নায়াগ্রা না কোন ভ্রমনের, আপনার স্ত্রী সব ছোট ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় আর আপনি সব বড় ব্যাপার এ, এই রস এর মর্ম এখন জীবন দিয়ে বুঝতেছি ... ।
দু দু বছর (দুদু= দু+দু=চার) হোল আলা দা _কিং বামা ছেড়ে Tex দা Big Ass এ চলে এসেছি। ছিলাম Mobile উপজেলাতে।
হাহাহা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
উফ... হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে। যাহোক হাসলাম খুব
প্রতিটা লাইন প্যারাই স্বাদু হয়েছে। দাঁত বার করে রাখতে রাখতে চোয়াল ব্যাথা করছে
আজকের শিক্ষা= বাংলা সাবপধানে বলতে হবে ।
সাম্প্রতিক সময়ে সচলে নতুন তানিম ইহসান, ইস্কান্দর, দিহান এর লিখা ভাল লাগছিল - এ ধারায় আপনিও যুক্ত হলেন মনে হয়.....
তবে হিমু ভাই এর লিখা খুব মিস করি...... উনি কেন লিখছেন না কেউ জানেন ?
আমিও হিমু ভাইরে খুব মিস্করি
লেখা জমান্তিস! বিয়ার পর আপনের সামনে বউ নিয়া যাওন যাইবোনা মিয়া
তানিম ভাই, লেচ্চিন্ত মনে বউ নিয়ে বেড়াতে আইসেন, আমি ভাবী না ডেকে আপা, দিদি বা অন্য কিছু ডাকব নে।
...... উদাস
অন্যকিছু কি ডাকবেন? আগে শুইনা লই তারপর লেচ্চিন্ত বিবেচনা
হা হা হা...... চরম মজা পেলাম। লেখা চলুক।
নিটোল
আলা ...কিং বামা'তে যারা থাকে তারাই ভৌগলিক কারণে চরম রসের অধিকারী হন। অতীত ইতিহাস সাক্ষী। আপনার স্ত্রী'র চালানো খুন্তি থেকে বাঁচার একটা সদোপদেশ দিবো ভাবছিলাম, কিন্তু তাতে জনগণ ভ্রুঁ সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের উপরের কোণা বানিয়ে জামার আস্তিন গুটায়ে হাতে বংশদণ্ড নিয়ে আমাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিতে পারে বলে ক্ষান্ত দিলাম।
কিন্তু আপনে কইলাম খান্ত দিয়েন না। লেখতে থাকেন। লেইখ্যা ফাডায়ালান।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তা যা বলেছেন। দ্রোহীর রসের ভাণ্ড ফুটা হয়ে আমার ভাগেও দু দু ফোঁটা জুটেছিল বৈকি।
লেচ্চিন্তে সদোপদেশ দিয়ে ফেলেন, এতো ভয় পেয়ে লাভ নাই। স্ত্রীর ঠ্যাঙানি সবাই খায়, সাহসী পুরুষ সেই যে সেটা বড় গলা করে বলতে পারে।
...... উদাস
আবারও ধন্যবাদ সবাইকে
...... উদাস
ম্রাত্মক লিখছেন...
ব্যাপক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দু দু বার করেই বলি, অসাধারণ লিখেছেন, অসাধারণ লিখেছেন। হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে।
ছিঃ মাহবুব ভাই, আপনাকে এতো সম্মান করি, সবার সামনে দু দু বার করে বলবেন না ...
একবারই বলেন ...
...... উদাস
হাহাহাহাহা! বেচারা ওশিলভ এর জন্য সহানুভূতি থাকলো।
আর অরিজিনাল জগাখিচুড়ি, মানে পুরির জগন্নাথ এর মন্দিরের খিচুড়ি খেয়েছিলাম উড়িষ্যা বেড়াতে গিয়ে। আক্ষরিক অর্থেই জগাখিচুড়ি! হেন কিছু নেই যা দেয়া হয়না সেটার মধ্যে। বিদঘুটে খেতে! নামকরন যেই করুক আসলেই মোক্ষম করেছে!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
তা যা বলেছেন। সুযোগ পেলে অরিজিনাল জগাখিচুড়ি চেখে দেখার ইচ্ছে আছে অবশ্যই ......
সবাইকে।
...... উদাস
আরি ! জটিলস্য জটীল !!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বিস্তর মজা পাইলাম!
চমৎ
কার লিখেছেন
।
সে বটে লিখেছেন মশাই!!! জগা খিচুড়ি - ০২ কবে পাচ্ছি?
ঠক, আশালতা এবং মৃত্যুময়।
জগা খিচুড়ি ০২ রান্না হয়ে এসেছে প্রায় ...
...... উদাস
facebook
পড়তে একটু দেরি হয়ে গেল ... কিন্তু খুব ভাল্লাগ্ল ...... !!!!
হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেছে। আজকে আপনার সব পোষ্ট পড়বো ঠিক করে সচলে আসলাম। প্রথম লেখা পড়েই মনে হচ্ছে আমার সিদ্ধান্ত ঠিক আছে।
বিয়াপুক বিনুদুন!
আমিও দেরী করে পড়লাম।
আপ্নে এতো দিন পর কোন চিপা থেকে আমার প্রথম লেখা খুঁজে বের করে আনলেন?
বহুদিন সচলে সেইভাবে আশা হচ্ছে না। আজকে কোনো একটা কারনে অফিসে আমি আর পিয়ন বাবাজি ছাড়া কেউ নেই। সব কাজ কাম পাশের টেবিলে গচ্ছিত রেখে ঢুক্লাম সচলে। হটাত মনে হলো দেখিত উদাসদা কী প্রথম থেকেই চ্রম ছিল নাকি আস্তে আস্তে হইছে। ভাগ্যিস মনে হইছিল।
আরে নাহ, আগে গরম ছিলাম, পরে চরম
আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা দরকার
কেন? কি কইচ্চি ?
ভাই কুন সময় যে আপ্নার লেখা পরতে বইসিলাম আর এখন উঠ্লাম। এদিকে রাত প্রায় শেষ হয়ে এল। তবে ভালই লেখা হইসে।
এই লেখা দু দু বার করে না অনেকবার পড়া যায় - দুইদিন থেকে কাজের চাপ - মাথা হাল্কাইসে উদাস দা
(আগের কমেন্ট খুঁজে পাইনা )
হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল।।।।।। আপনি নমস্য।।।।।।
খিচুড়িতে অনেক স্বাদ রান্না ভাল হইসে॥
নতুন মন্তব্য করুন