বাংলা ভাষার কিছু শব্দ নিয়ে আমার অ্যালার্জি আছে। মেয়েছেলে শব্দটা শুনলেই রাগে গা জ্বালা করে। তেমনি গর্ভবতী শব্দটাও শ্রুতিকটু লাগে আমার। কিন্তু ‘অন্তঃস্বত্তা’ শব্দটা অসাধারণ। এমন স্বয়ংসম্পুর্ণ, অর্থবহ শব্দ কোনো ভাষাতেই খুব বেশি নেই। শব্দটা আটপৌরে ব্যবহারের জন্য একটু ভারী এটা এক মুশকিল।
আমি নিজে যখন প্রথম অন্তঃস্বত্তা হই ‘বিহবল’ হয়ে পড়েছিলাম। বিয়ের বয়স তখন দুই বছর, সংসারের বয়স তিন মাস। এর আগে পড়াশুনা আর চাকরির জন্য বর -বউ দুজন দুই শহরে থাকতাম। বেতন যা পেতাম তার সবটা চলে যেতো বাসমালিক দের পকেটে। অবশেষে ট্রান্সফার পেয়ে চলে এলাম বরের কাছে। নিজেদের ঘর রচিত হলো। বাসায় তখন আমাদের দুটা মোটে ফার্নিচার-একটা খাট আর একটা ডাইনিং টেবিল। রান্নাঘরে চারটা হাড়িপাতিল। প্রতিদিন এটা সেটা কিনছি তবু ঘরটা গড়ের মাঠের মতো ফাঁকা। রান্নাবান্নার ঠিকঠিকানা নেই তাই বাইরে খাচ্ছিলাম প্রচুর। ফলাফল ভয়াবহ এসিডিটি।
সারাদিন মুখটা তিতা হয়ে থাকতো। কিচ্ছু খেতে পারছিলাম না। গেলাম ডাক্তারের কাছে। ভদ্রলোক বলে কি –‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান’। পাগল নাকি? আরে বাবা খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম হচ্ছে তাই এসিডিটির সমস্যা। আমরা তো আগামী পাঁচ বছর ও বাচ্চা নিবোনা, কীসব যে বলে...তবু বলেছে যখন, টেস্ট করালাম। এবং রেজাল্ট এলো পজিটিভ!
আমার বয়স তখন মাত্র চব্বিশ। মাত্র, কারণ আমার বন্ধুদের কেউ তখন বিয়ে করেনি। আমার চাকরি সবেমাত্র পার্মানেন্ট হয়েছে। আমরা তখনো ঘর সাজাইনি। প্যারেন্টস হবার কোনো রকম প্রস্তুতি আমাদের নেই। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো...
মাথায় আকাশ ভাংলে বা পায়ের নীচের মাটি সরে গেলে গন্তব্য থাকে একটাই-মা। মাকে জানালাম। সে এমন উচ্ছ্বসিত হলো যে আমার প্রাথমিক ধাক্কাটা সুন্দর কেটে গেলো। মা বললো ‘এটাই তো মা হবার উপযুক্ত বয়স। তোমার চল্লিশ বছর বয়সে তোমার বাচ্চার বয়স হবে পনেরো। মেয়ে হলে মনে হবে দুই বোন, এক ই রকম জামা পরতে পারবে। ছেলে হলে ওর ফ্রেন্ডরা ইয়াং আর অ্যাট্রাক্টিভ মা হিসেবে তোমাকে কতো অ্যাডমায়ার করবে...’। মা রা পারেও বটে!! আমার শাশুড়িও ভীষণ আনন্দিত হয়ে তাঁর ছেলেকে বাবা হবার জন্য মানসিক শক্তি দিয়ে দিলেন।
আমি তখন নতুন শহরে সম্পূর্ণ একা। মা-বাবা,ভাই-বোন,বন্ধুবান্ধব অথবা শ্বশুর বাড়ির কেউ নেই এখানে। বরের বড় বোন ছিলেন একমাত্র স্বজন, আমি প্রেগন্যান্ট হবার পরপর ই উনি একটা ফেলোশীপ নিয়ে জাপান চলে গেলেন। তখন আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম-আমাদের দেশের মেয়েদের পরিবারের বাইরে প্রেগন্যান্সি,চাইল্ড বার্থ এইসব বিষয়ে জানার কোনো সুযোগ নেই। ছেলেদের তো নেই ই।আমার নিজের পরিবারে আমার তিন বছরের ছোট ভাই এর পর আর কোনো শিশু দেখিনি আমি। কলেজ থেকেই হোস্টেলে থাকতাম তাই কোনো অন্তঃস্বত্তা মেয়েকেও কাছে থেকে দেখার সুযোগ পাইনি। বয়স্ক মহিলাদের কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করলে এমন সব উত্তর দিতো যে আমার ইন্টার পর্যন্ত সায়েন্স পড়া ব্রেন সেগুলো মেনে নিতে পারতো না। ডাক্তার কে কিছু জিজ্ঞেস করলে এমন বিরক্ত হতো যে মনে হতো বলতে চাইছে ‘তোমার কাজ বাচ্চা পয়দা করা, এতো কিছু জেনে কি তুমি নিজে ডাক্তার হবে?’ সুতরাং আমি শুরু করলাম পড়ালেখা! Google তো আছেই...
অন্তঃস্বত্তা যেমন খুব সুন্দর বাংলা শব্দ তেমনি ‘আ ম্যাজিকাল জার্নি’ একটা দারুণ ফ্রেজ। নয়মাস ধরে নিজের ভেতর একটা স্বত্তা কে লালন করাকে ‘ম্যাজিকাল জার্নি’ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারিনা আমি। আমি আমার এই অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখবো-আমার মতো যারা বিহবল হয়ে পড়েছেন সেই মেয়েদের জন্য, প্রেগন্যান্সি বিষয়ে সবার জানা উচিত এটা বিশ্বাস করেন যেসব ছেলেরা তাদের জন্য, সেই অসাধারণ অনুভূতি আর অভিজ্ঞতা যেনো ভুলে না যাই তাই নিজের জন্য।
সম্মানিত সচল পাঠকগণ, আপনারা কি রেডি??
দিহান
মন্তব্য
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আপনার লেখার জন্য। এ বিষয়ে বাংলা ভাষায় তেমন একটা লেখালেখি হয়নি। খুব ভালো একটা সিরিজ হবে।
একমত।
shonjibony shudha
শুরুটা অসাধারন লাগলো আপু। আপনার অভিজ্ঞতার গল্প শোনার জন্য কৌতুহলে মরে যাচ্ছি।
দারুন লাগছিল,একেবারেই ক্লাসিকাল মুভি।ধীর,ঠান্ডা একটা শুরু,কাহিনীর শাখা প্রশাখাও উঁকি দিয়ে উঠল যেন একটু...তারপরেই বুঝলাম এটা আসলে ট্রেলার।
চোখ রাখছি...
দারুণ! আপনি বিষয় বদলে একটা দুর্দান্ত সিরিজ শুরু করতে চলেছেন। পড়বার অপেক্ষায় রইলাম।
অসাধারণ হবে। আপনি নির্দ্বিধায় লিখতে থাকুন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অপেক্ষায় থাকলাম।
দারুণ!! তাসনীম ভাইয়ের 'শিশুপালন' সিরিজের একটা পর্বের মন্তব্যে বলেছিলাম যে বাংলাদেশের মেয়েরা সামাজিক পারিবারিক নানান অদ্ভুত কারণে মা'হবার মতন এমন দুর্দান্ত একটা ব্যক্তিগত বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে চান না, করলেও তা শুধু বয়স্ক মহিলা মহলেই। নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন না, মন খুলে কষ্ট, ভালো লাগা, মন্দ লাগা কিছুই জানান না, সামাজিকতার ঘেরাটোপে আজব এক মুখচোরা স্বভাব আমাদের। অথচ বিদেশী বন্ধুদেরকে দেখি তারা কতটা উচ্ছ্বসিত, কত আগ্রহ নিয়ে ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দেয়, প্রোগ্রেস জানায়, সবাইকে উইশ করতে বলে, ইত্যাদি।
ইদানীং তাও নিজের ভাইদেরকে, দেশের বাবাদেরকে দেখি উছ্বসিত হতে, কিন্তু মেয়েদের ভার্শনটা কখনোই জানা হয় না। আর সচলায়তনে লেখিকা এত কম... প্লিজ এই সিরিজ কন্টিনিউ করেন, আমি নিশ্চিত পাঠক পাবেন বেশ। আর শুরু করার জন্যেই এই অ্যাত্ত ধন্যবাদ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রেডি
দারুণ একটা সিরিজ হবে আশা করছি... চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
Apnar magical journey er golpo sunar protikkhay taklam........
রেডি এবং লেখায়
আগ্রহ নিয়ে বসলাম, লিখে ফেলুন। শুধু একটা লেখাই হবে না, কত টিপস, পরামর্শ, মেসেজ পাওয়া যাবে তাই ভাবছি।
সবচেয়ে আগে আপনার স্পিরিটকে স্যালুট।

আপনার লেখা বেশ সহজ আর গতিশীল বলে পড়তে ভালো লাগে।
আগ্রহ নিয়ে পড়ার অপেক্ষায়, আ ম্যাজিক্যাল জার্নি...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অপেক্ষায় রইলাম, আপু
আমি শিমুল আপার সাথে একমত, আপনার সিপরিট এর প্রতি আগের শ্রদ্ধাটা আরো পাকাপোক্ত হলো।
কিছু মনে করবেননা, শুভাকাঙ্খী হিসেবে একটা অনুরোধ করবো, আমাদের জন্য লিখবেন না, নিজের জন্য লিখুন, আপনি নিজে সন্তুষ্ট হলে আমরাও হবো। আমাদের সন্তুষ্ট করার জন্য আপনার যোগ্যতা অসাধারন!
টোনা-টুনি এবং তাদের দুজন দেবশিশুর জন্য শুভেচ্ছা
লিখে চলুন আপু...'আ ম্যাজিক্যাল জার্নি' পথ পরিক্রমায় আপনার সাথে থাকার প্রত্যয় জানাচ্ছি.........
ভাল সিরিজ হবে, অপেক্ষায় রইলাম
অনেকেই তাসনীম ভাইয়ের শিশুপালন সিরিজের কথা বলেছেন, আশা করছি আপনার এ ম্যাজিকাল জার্নি তেমন একটা মাইলস্টোন হয়ে থাকবে! শুভকামনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
দারুণ
লিখতে থাকুন
আই হাই
দিহান আপাতো লেখার বিষয়বস্তুতে অস্বাভাবিক টার্ন আনলেন.....মজা পেলাম.....আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবো আপনার লেখার জন্য...... 
ভুল না করলে, এটি আপনার তৃতীয় লেখা। বলে যাই, তিনটি লেখাই পড়েছি। আপনার বলে যাবার সাবলীলতা মুগ্ধ করেছে। বিষয়বস্তু যাই হোক, আপনি খুব মজা করে বলতে পারেন দেখেই পঠন গতিময় হয়।
নিয়মিত লিখুন। এই বিষয়, বা অন্য যে কোন বিষয়ে আপনার লেখা পড়বার অপেক্ষায় থাকবো।
উঁহু, চার - ছেলেমানুষ তিনটে আর এইটা।
খুবই ভালো আর অন্যরকম একটা সিরিজ হবে।

সেটাই
চলুক লেখালেখি খেলা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল দিহান। পছন্দের কবির একটা কবিতা দিলাম আপনার জন্যে-
চশমা-আঁটা পণ্ডিতে কয় শিশুর দেহ দেখে-
"হাড়ের পরে মাংস দিয়ে, চামড়া দিয়ে ঢেকে,
শিরার মাঝে রক্ত দিয়ে, ফুসফুসেতে বায়ু,
বাঁধল দেহ সুঠাম করে পেশী এবং স্নায়ু ।"
কবি বলেন, "শিশুর মুখে হেরি তরুণ রবি,
উৎসারিত আনন্দে তার জাগে জগৎ ছবি ।
হাসিতে তার চাঁদের আলো, পাখির কলকল,
অশ্রুকণা ফুলের দলে শিশির ঢলঢল ।"
মা বলেন, "এই দুরুদুরু মোর বুকেরই বাণী,
তারি গভীর ছন্দে গড়া শিশুর দেহখানি ।
শিশুর প্রাণে চঞ্চলতা আমার অশ্রুহাসি,
আমার মাঝে লুকিয়েছিল এই আনন্দরাশি ।
গোপনে কোন্ স্বপ্নে ছিল অজানা কোন আশা,
শিশুর দেহে মূর্তি নিল আমার ভালবাসা ।"
আপনার দারুন লেখার জন্য অপেক্ষা করছি।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দারুণ বিষয় সিলেক্ট করেছেন। গ্যালারীতে বসলাম।
নিটোল
আপনার লেখনি চমৎকার। লিখতে থাকুন।
পাঠক পতিক্রিয়াতেই তো বুঝতে পারছেন পাঠক প্রস্তুত আছে কিনা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেকদিন পর এই অলস আমি একটা লেখা পড়ে শোয়া থেকে উঠে কমেন্ট করতে বসছি। শুরুটা অনেএএএক সুন্দর করেছেন। অপেক্ষায় আছি পরের পর্বের।
দুই পায়ে রেডি।
পাঠকের আগ্রহ জাগাতে পেরেছেন
। সিরিজ চলুক।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অনেক ধন্যবাদ, সবাইকে। 'ইয়া আলী' বলে শুরু করে দেই,দেখা যাক কি দাঁড়ায় শেষতক...
দুই পা দুই হাত স্ব স্ব অবস্থানে রেখে রেডি হয়েআছি..........
লিখতে থাকুন
ম্যাজিকাল জার্নি তো শুরু হয়েই গেছে। সুতরাং নতুন প্রাণটি পৃথিবীর আলো না দেখা পর্যন্ত এই সিরিজ চলতেই হবে। সে চলে আসলে তখন "শিশু পালন" দিহান ভার্সান শুরু হবে।
আপনি নির্দ্বিধায় আপনার আবেগ-অনুভূতি, ভালো লাগা-মন্দ লাগা, সমস্যা-প্রতিকার নিয়ে লিখতে থাকুন। আমরা যারা আরো আগেই বাবা/মা হয়েছি তারাও যথাযথ অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করতে পারবো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ন্যশনাল জিওগ্রাফিতে একটা ভিডিও দেখেছিলাম, অসাধারণ লেগেছে।
আশাকরি আপনার লেখাটাও অসাধারণ হবে।
আশায় থাকলাম।
অনেক আগে Oriana Fallaci এর একটা বই পরেছিলাম এই বিষয়ে, আশা করছি এটা আরও ভাল হবে।
এমন টপিক choose করার জন্য।।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি.........................
আপনার স্পিরিট খুবই ভালো লাগলো। আপনি ফিডব্যাক গ্রহণ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। এবারের বিষয়বস্তু সত্যি অভিনব। ভালো থাকুন।
আমি প্রস্তুত। লেখার প্রত্যাশায় থাকলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই আপনার লিখা তো পাই না বহুদিন
রাহিল ভাই, লেখা দিব শিগগিরি। খুব ভালো লাগলো তাগিদ পেয়ে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার না গল্প শোনাবার কথা ছিল মেলাই ? আমিও কিন্তু অপেক্ষা করছি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
রেডি ই ই ই ই ই
আমি একটা 'ভড়কে যাওয়া' টাইপের মানুষ- বকাঝকা খেলেও ভড়কে যাই, উৎসাহ পেলেও ভড়কে যাই। সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।
গ্ল্যাডলি রেডি টু জয়েন ইওর জার্ণি। সত্যিই অনেক কিছু জানবার সুযোগ হবে আপু। শুভকামনা আপনার জন্য।
অপেক্ষায় আছি কিন্তু আমরা আপু, শীঘ্রই লিখে ফেলুন.......... আর এতথ্যগুলো কী রাখবেন? এসময় কী করা উচিৎ- আর কী না, প্রচলিত কোন ধারণাগুলো ভ্রান্ত? কোন বয়স/সময়টা বৈজ্ঞানিক-সামাজিক-পারিবারিক-শারীরিক তথা সবদিক বিবেচনায় অন্তঃস্বত্তা হবার জন্য উপযুক্ত? আমারতো মনে হয় আরো পরে হলে ভালো হয়!
সব মন্তব্যের উত্তর দিতে পারলে খুব ভালো লাগতো।কিন্তু আমি একটু বেশি ব্যস্ত থাকি... আর আমার বড়কন্যা ল্যাপটপের বারোটা বাজিয়েছে তাই গত দুদিন নেট এ ঢুকা হয়নি। সবাইকে ধন্যবাদ। আমি অবশ্যই সচলের জন্য আরো বেশি সময় বের করে নেবো...
ভালো লেগেছে দিহান!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
খুব সাবলীল ও সুন্দর ভাবে শুরু হচ্ছে...
পরের গুলোও এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলা যাবে সন্দেহ নাই!
আমি জানি না কেন ছোটবেলা থেকেই ছোট বাবু খুব ভালো লাগে। আমি ওদের সাথে খুব করে মিশে যেতে পারি। আগে দেখতে ভালো লাগতো আদর করতে ভালো লাগতো আর এখন মনে হয় আমার নিজের একটা বাবু নেই কেন? কবে হবে? কবে আদর করবো? কবে আমি একটা ছোট মানুষের মা হবো? এখন বাবু নিয়ে ভাবনাগুলো বদলে গেছে। আমি জানতে চাই মা হতে কেমন লাগে। কেমন সেই ম্যাজিকাল জার্নি। অনেকগুলো পর্ব তুমি লিখেই ফেলেছো তাই আমাকে আর সবার মত অনেক অপেক্ষা করতে হবে না। যাই পরের পর্ব পড়ে আসি।
চমৎকার লাগছে পড়তে।
-মেঘা
নুশানের লেখায় ষষ্ঠ পাণ্ডবের মন্তব্যের সূত্র ধরে অদ্ভুত সুন্দর এই সিরিজটা পেয়ে গেলাম।
---মোখলেস হোসেন
নতুন মন্তব্য করুন