মেঘ জমেছে মেঘ জমেছে
----------------------প্রখর রোদ্দুর
মেঘ জমেছে মেঘ জমেছে
ইশান কোনের বায়
ঘন্টা ছুটির বাজবে কখন
ক্ষনযে বয়ে যায়
হাটতে পথে দু চার কদম
কুড়িয়ে ফুলের সাজি
খই মুড়ি আর গুড় মাখিয়ে
চড়ুই ভাতি আজই
ছুটতে পথে নদীর ঘাটে
বাদাম তোলা নায়
কাদায় ডোবা পিছল পায়ে
গুনটানা যে দায়
হুড় মুড়ানো বৃষ্টি ভিজে
হড়কে পায়ের মুড়ো
ককিয়ে গাঁ মাথায় তুলে
গঙ্গা দিদির খুড়ো
থমকে দাঁড়াই হাতটা বাড়াই
ইশান কোনের দেশে
থাকলে ডানা ফড়িং যেমন
রোজই যেতাম ভেসে
মন্তব্য
প্রখর রোদ্দুর আপনার ছড়াটি পড়লাম। তবে ছড়া ততটা প্রখরতা পায়নি আপনার নিকের মত
প্রথমেই আসি আঙ্গিক প্রসঙ্গে। খুবই সাদামাটা আর বহুল ব্যবহৃত একটি ধাঁচে আপনি লিখেছেন ছড়াটি। আজকাল এই ফরম্যাট ভেঙ্গে নতুনত্ব খোঁজার চেষ্টা করা হয়- সেটা দরকারীও। বানান নিয়ে বুনোহাঁসের মতো শুচিবাই আমার না থাকলেও বলব বানানের ব্যাপারে যত্নশীল হতে। আরেকটা ব্যাপার খুব জরুরী। তা হলো প্রচুর পড়ার অভ্যাস। তাহলে ছন্দজ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি বাক্য ব্যবহারে যৌক্তিক হওয়া যাবে।
স্তবকটি ত্রিশ দশকের কথা মনে করিয়ে দেয়। আর বাক্যগঠনে অর্থ পুরো প্রকাশিত হতে পারেনি। যেমন দু চার কদম হাঁটার সাথে ফুল কুড়ানোর সম্পর্ক কী? ফুলের সাজি কেউ কুড়ায়? খই ,মুড়ি দুটি বিশেষ্য শব্দের পরে আর দিয়ে একটি ক্রিয়াপদ আসতে পারে না। কার সাথে গুড় মাখানো হলো? আজি শব্দ আজকাল ব্যবহৃত হয় না তেমন।
শুধু এই স্তবকই নয় পরের স্তবকগুলোতেও বাক্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং দৃশ্যকল্প লাফিয়ে এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে চলে গেছে। আশা করি এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে লিখবেন।
আপনার কাছ থেকে আরো সুন্দর ছড়া প্রত্যাশা করছি।
সব সময় কবিতায় আমরাও এরকম চমৎকার বিশ্লেষণ চাই নাদিম ভাই!!!!
ধন্যবাদ জহিরুল ইসলাম নাদিম ।
আমার সাদামাটা এবং আপনার ব্যাখ্যাতে উপলব্ধি হলো অনেক সমস্যাও আছে ভিতরে লাফানো ঝাঁপানোর, তার পরেও আপনার মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে।
আসলে কি জানেন কেবলে লেখার জন্যই কিছু লিখেছি তার মানে এ নয় যে আমার ছন্দ,মাত্রা এসবের খুব জ্ঞ্যান আছে। কিছুই নেই........ দু চার কদম হাঁটলেই ফুল পড়ে থাকা পথ আর সেই ফুল কুড়িয়ে সাজিতে রাখা হয়েছে এমনটি ছড়ার ক্ষুদ্র প্রকাশে যেটুকু শব্দ আনতে পেরেছি তাই এই অধম জ্ঞ্যান হীন লিখতে চেয়েছিলাম।
সচলায়তনে যে লেখার ধার নিয়ে চিন্তা করে নাম নির্ধারন করার ব্যাপারটা আমি জানতাম না আসলে। যে চোখে দেখেনা তাকে নয়ন নাম নিলে যদি কেউ এসে বলে ব্যাটা তুই চোখে দেখিশনা তোর নাম নয়ন কেন হবে????? তার বলার কিছু থাকবে না আসলে..... আমারো নেই
রোমেল চৌধুরী নামের একজন সচলের ব্লগার আমার লেখায় নিয়মিত কমেন্ট করেন আমি তার কমেন্ট থেকে অনেক কিছু শিখার প্রেরণা পাই কিন্তু আপনার মতো এমন করে বললে হয়তো লিখতে নাপারার লজ্জাতেই আমি এতদিনে পালিয়ে যেতাম
অফিসের বারান্দা থেকে শেষ বিকেলে মেঘ করতে দেখে দুই তিন লাইন লিখেছি সেই সময় যদি এতসব ভাবতাম হয়তো আর কিছুই বেরুত না।
ভাই আর না লিখার চেষ্টা করবো...... আশা করি চেষ্টায় কামিয়াব হবো
দোয়া রাখবেন।
লিখতে শিখলে সেদিন নাহয় আবার লিখতে ফিরে আসবো -
রোদ্দুরদা, এভাবে নিলে কী হয়? আমার কতলেখাতে এরকম সুন্দর দিকনির্দেশনা পাই, কই আমি তো লেখালেখি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করি না রে ভাই, আরো উৎসাহিত হই ভালো লেখার জন্য!!! অবশ্যই লিখবেন আরো অনেক বার..........
ভাই, এতো ইমোশনাল হয়ে গেলে কেমনে হয়!? লিখবেন না কেনো? অবশ্যই লিখবেন! লেখা কি শিখে আসা যায়? আমার ধারণা লিখতে লিখতেই লেখক হয়ে উঠে। সবসময় লিখুন। ভালো হোক লেখা। শুভকামনা।
নতুন মন্তব্য করুন