দ্বিতীয় চিঠিখানি পাই যখন আমি ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বই পড়া কর্মসূচীতে বই পড়তাম তখন। ওখানে আসা যাওয়ার সুবাদে পরিচয় হয় অন্য কলেজের পোলাপানদের সাথে। সপ্তাহান্তে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার এর সাথে জ্ঞানগর্ভ আড্ডা মারতাম। বাড়তি পাওনা হিসেবে ছিলো কেন্দ্রের পোলাপানের সাথে আবজাব গল্প করা আর সিঙ্গারা, চা ইত্যাদি খাওয়া। ওখানেই পরিচয় হয়েছিলো রাজীব নামে নটরডেমের একটা ছেলের সাথে। ও কারো সাথে খুব একটা মিশতো না, দেখতাম আমার সাথেই শুধু গল্প করতো। আমারতো সবার সাথেই কম বেশি খাতির ছিলো। সবসময়ই বন্ধু পরিবেষ্টিত থাকতাম। তো যেদিন ওর প্রতি খুব একটা মনোযোগ দিতে পারতামনা, ওকে দেখতাম মন খারাপ করতো। ফার্স্ট ইয়ারের বই পড়ার পর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে একটা মূল্যায়ন পরীক্ষা হয় সবাই জানে বোধহয় এতদিনে। তো পরীক্ষাটা হয়েছিলো ঢাকা কলেজের কাছাকাছি টিচার্স ইন্সটিটিউটে। আমার কলেজ ছিলো ফার্মগেটে। ফার্মগেট, বাংলা মটর, এগুলা পর্যন্ত ছিলো আমার দৌড়। ঢাকা কলেজের ওইদিকটা চিনতাম না তেমন একটা। রাজীবের কাছে লোকেশন জানতে চাইলাম। তো সে বললো আমাকে এসে নিয়ে যাবে সে, ওইদিন তার নাকি কলেজে কি কাজ আছে। ওর কলেজ ছিলো আমার বাসার কাছেই। খুশি হয়েই ওকে বাসার ঠিকানা দিয়ে দিলাম। পরদিন এক্কেবারে ভোরবেলায় ও বাসায় এসে হাজির । তখন ও আমরা ঘুম থেকে উঠিনি ঠিকমত। ও বললো আমাকে নিয়ে একবারে কলেজের ওখানে যাবে, কলেজের কাজ সেরে তারপর পরীক্ষা দিতে যাবে। আমি গেলাম তৈরি হয়ে নিতে, আর ওর জন্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা করতে। এই ফাঁকে বসার ঘরের এলোমেলো বিছানা গোছাতে গেলো আপু। রাজীব আপুকে গোছাতে সাহায্য করছিলো। খাবার নিয়ে এসে আমিতো এই অবস্থা দেখে একটু তাজ্জব হয়ে গেলাম। আপু রাজীবের মেলা প্রশংসা করলো মিটিমিটি হাসতে হাসতে। যদি ও এত হাসার মত কি হয়েছে বুঝতে পারলামনা। এরপর ওর সাথে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসলাম। আসার সময় বাসায় দিয়ে যেতো চাইলো, আমি মাথা নেড়ে বললাম যেতে পারবো। একবার সন্দেহ হয়েছিলো ওর কি আসলেই কলেজে কোনও কাজ ছিলো নাকি আমার জন্যই বেচারা সেই মিরপুর থেকে এত সকালে আসছে। আমাকে রিকশায় বসিয়ে রেখে কলেজের ভিতর থেকে ঘুরে চলে এসেছিলো মিনিট পাঁচেক পরেই। তো সেই রাজীবই আমাকে চিঠি লিখলো পরীক্ষার পর, যখন কিছুদিন আর কেন্দ্রে যাওয়া হয়নি। চিঠির পুরো পাতা জুড়ে ছিলো আমার জন্য লিখা কবিতা । সেই বয়সে এমন কিছু পেয়ে যেটা শুধু আমার জন্য লিখা, আমিতো এক্কেবারে গদগদ। আপুদের সবাইকে ডেকে ডেকে দেখালাম। বড় আপু ওর লিখা কবিতা বিশ্লেষণ করতে বসে গেলো। এরপর ও ওর বেশ কয়েকটা চিঠি পেয়েছিলাম। চিঠি জুড়ে ছিলো ইনিয়ে বিনিয়ে লিখা ভালোবাসার কথা। ওই বয়সে আমি কেমন যেনো রোবট-উইমেন টাইপ ছিলাম, প্রেম ভালোবাসা ঠিক বুঝতে পারতামনা। কোন চিঠিরই তাই কোন উত্তর দেয়া হয়নি। তারপর কোন কিছু না বলেই হঠাৎ করে কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো ছেলেটা। পরে কেন্দ্রে ও ওকে আর কখন ও দেখিনি।
শেষ চিঠিটা পেলাম হাতে হাতে। যেবার বাইরে চলে আসি। ততদিনে আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি যে প্রেম কারে বলে এবং ইহার কি কি উপকারিতা আর অপকারিতা আছে। এক্কেবারে যারে বলে শরবত বানিয়ে গুলে খেয়েছিলাম। এয়ারপোর্টে এসেছিলো সে। বিদায় নেবার সময় হাতের মাঝে চিঠিটা গুজে দিয়েছিলো সবার অলক্ষ্যে। একসময়ের খুব ভালো বন্ধু, অসম্ভব জেনে ও ভয়ঙ্কর-ভাবে যার প্রেমে পড়েছিলাম। ওকে ভোলার জন্যই তড়িঘড়ি করে পাশ করার আগেই বাইরে এপ্লাই করেছিলাম। পাশ করার এক মাসের মাথায় যার জন্য দেশ ছাড়লাম, তার সেই অনুনয়ভরা চিঠিতে লিখা ছিল, নতুন করে জীবন শুরু করো, আমি পারলামনা ধর্মকে, সমাজকে উপেক্ষা করতে। বছর কয়েক আগে আজকের এই দিনে এয়ারপোর্টে বসে অঝোরে কেঁদেছিলাম, আর ঝাপসা হয়ে যাওয়া চোখে চিঠিটা বারবার পড়েছিলাম। আর ও হাজারো কৈফিয়তে ভরা তার সেই চিঠি এরপর ও পড়া হয়েছে বহুবার। ধূসর হয়ে যাওয়া চিঠির লাইনগুলো আজো সমান বেদনাদায়ক। প্রত্যাখ্যাত হবার যন্ত্রণা নিয়ে না পাওয়ার কষ্টে নীল হতে হতে ও কেমন করে যেনো দিব্যি বেঁচে গেলাম। একবার ভেবেছিলাম দেবদাস-টাস হয়ে যাব কিনা। কিন্তু এই যাত্রায় আর মহিলা দেবদাস হয়ে ছাইপাঁশ গেলা হয়ে উঠেনি আমার, তবে ইউটিউবে বসে বসে এইসব ছাইপাঁশ শোনা হয় প্রায়ি।
বন্দনা
দুইজন বন্দনার কনফিউশন দূর করার জন্য আমার বন্দনা নিকের লিখাগুলো এইবেলা একসাথে দিয়ে দিলাম।
তেনারা, চিঙ্কু উপাখ্যান,
শুধুই আমার মায়ের জন্য, টোনা-টুনির সংসার, একজন মুনিয়া, এলোমেলো সময়ের কথা, ভীষণ লাগে, আমার বান্দরবেলা, একটি দুর্ঘটনা অতঃপর, তৃষ্ণার্ত, মিথিলার শাড়ি, কষ্টগুলো
মন্তব্য
আহারে!
কি ব্যাপার আপনি এত মন খারাপ করেন কেন, আমিতো পোষ্টটা ফান হিসেবে লিখতে চাইলাম, শেষের দিকে দুঃখ দুঃখ হয়ে গেলো। আহারে আপনার মন খারাপ করায়ে দিলাম।
প্রেম-ভালোবাসা এগুলো ভালোভাবে বুঝতে বুঝতে অনেক সময়ই উৎকৃষ্ট সময়টা চলে যায়। এই বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোচিং থাকা উচিত- লাইফ কোচিং আশাকরি জনপ্রিয় হবে। নিজের জন্য কোনটা ভালো এটা অনেক সময় মানুষ আবেগ বর্জিত হয়ে ভাবতে পারে না - অন্য কেউকে দিয়ে নির্মোহ বিচার করাতে পারলে অনেক সময় ভালো হয়।
আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে। আশা রাখছি পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুন করে সব শুরু করবেন।
অটঃ এতোগুলো লেখা দেওয়ার পরে আপনার হাচল হয়ে যাওয়া উচিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আপনি তো মডু, মডুমিটিং-এ এই কথাগুলো তোলেন না কেন?
সামনের মিটিং তুলব - দুই একটা অর্কমণ্য মডুকে ফায়ার করার সময় এসেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চার আমার চাকরীটি খাপেন না চার। এই দুর্দিনে বৌ বাচ্চা নিয়ে না কেতে পেয়ে মারা যাবো চার। ...
আমি দেখছি মুর্শেদ ভাই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তাসনীম চার এই মডুরে ধরেন। আমার চাইরা দ্যান।
চাকরি খাইয়া টেস্টও পাইনা সেই রকম। এইবার ওয়ার্নিং দিয়ে ছেড়ে দিব নাহয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুম, টেস্ট আজকাল মুর্শেদভাইয়েরই একচেটিয়া...
তাসনীম ভাই, এই মডুটিকে ধরেন বরং...
বিষাদজড়ানো স্মৃতিকথা ভালো লাগল।
ধন্যবাদ কৌস্তুভদা, আজকাল দেখি মানুষের বিষাদ ও ভালো লাগে
তাসনীম ভাইয়া আপনার লাইফ কোচিং এর ব্যাপারটা ইন্টেরেস্টিং মনে হচ্ছে, আপনার কথার মাঝে কেমন যেনো পেরেণ্টস পেরেন্টস ভাব আছে। তবে কিনা যাচাই বাছাই তো মাবাবারা নির্মোহভাবেই করেন আমাদের ভালোর জন্য ই করেন বলে তারা মনে করেন। এবং ওনারা ও যে ভুল করতে পারেন সেটা ওনাদের কখন ও মনে হয়না। আমি একরকম বেশ ভালোই আছি, আর সবকিছুই এখন অতীত।আপনার শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অটঃ আপনার কথা শুনে মডুরা আমাকে তো হাচল করে দিলো, আপনাকে আর ও একটা স্পেশাল ধন্যবাদ
বেশি দিন মাস্টারি করলে যেমন সবাইকে ছাত্র মনে হয় তেমনি বেশিদিন বাচ্চা পাললে সবাইকে পোলাপাইন মনে হয়
আপনি ধীরে সুস্থে মডারেশনকে এবার অনুরোধ করে দেখুন আপনার আগের লেখাগুলো নিজের ব্লগে নেওয়া যায় কিনা। তাহলে আপনার লেখা খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই আমি এখন আর পোলাপান নাই আর বুড়াপান বলতে পারেন ।
আপনার পুরোনো সব লেখার লিঙ্ক একটা মেইলে পাঠিয়ে দিন। আপনার একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে। তবে একটু সময় লাগতে পারে। মডুরা অনেক ব্যস্ত থাকেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
গতকালই মেইল করে দিয়েছি । মডুরা ওনাদের সময় মত করে দিলেই আমি খুশি, তাড়াহুড়ার কিছু নেই।
হা হা
মজা লাগল পড়ে।
চিঠি... (থাক বাদ দেই )
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কোন ব্যাচের ছাত্রী আপনি?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একজন হইলো সিনিয়র লুল আরেকজন হইলো জুনিয়র লুল। জর্মন্দেশ ছাইড়া ভাগা দিমুরে ভাই তোগো দুইজনের লাইগ্যা। বাকি যেইটা সেমিলুল আছে, সেইটাও বুকের বামদিকে খাম্চাইয়া ধইরা আজকাল এর ওর দেয়ালে বেলেল্লাপনা করে বেড়ায়! আমার মতো মুমিন, ঈমান্দার বান্দার পক্ষে তোগো লগে আর এই ইহূদি নাছারার দ্যাশে থাকা ছইলতো ন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইদানিং সচলের বেশ সমস্যা হইছে কমেন্ট লাফানো! কৌস্তুভের মন্তব্যের জবাব দিছিলেন আর দেখেন লাফ দিয়ে এখানে চলে আসছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কি ব্যাপার আমার দুঃখে আপনার মজা লাগে অনার্যদা ।
আমার এস এস সি ১৯৯৯, মেলা আগের কথা।
নাহ, আপনি আমার চেয়ে আগে যেতে পারেন নি... আমি এখনো এক বছর এগিয়ে আছি...
যাক আমার মত বুড়া আর একজন হাচল পাওয়া গেল
আর, হাচলত্বের অভিনন্দন
আপনি বাঁধনহারা'র?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই রে এখন তো ব্যাচের নাম মনে করতে পারছিনা । তবে ১৯৯৯ তে এস এস সি করে অই বছরের ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্টরা যেই ব্যাচের হবার কথা আমি ঐ ব্যাচেরি। আপনি কোন ব্যাচের জানতে পারি কি।
৯৯'র ব্যাচ বাঁধনহারা। আমি তারারমেলা'র। আপনাদের ব্যাচের নিয়মিত সবাইকেই আমি চিনি বলে মনে হয়। আপনাকে মনে করতে পারছি না!
আপনাদের ব্যাচের সঙ্গে অনেক আড্ডা হতো। (দেশে) এখনো হয়। অনেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন অবশ্য।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চিনে ফেললে তো আরো বিপদ, মনে যা আসে কলমে লিখতে পারবোনা। তবে আমি ঐ ব্যাচের যে দশজন এক হাজার মুল্যমানের বই পেয়েছিলো তাদের মাঝে একজন, মৃদুল ভাই তখন উপস্হাপনা করতো, সেরা দশজনের জন্য ছড়া লিখতো, আমার ভাগে ও উনার লিখা একটা ছড়া পরেছিলো। আর কিছু বলবোনা অনার্যদা ।
বেশ।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
শেষের ঘটনাটা পড়ে ধর্ম আর সমাজের দোহাই কী করে জীবনকে ধ্বংস করে নিজেও খুব ভালোভাবেই জানি। ধ্বংস হয়ে যাননি সেজন্য ধন্যবাদ
ধর্ম আর সমাজ অনেক জীবনকেই অপ্রয়োজনীয় কষ্টের মধ্যে ঠেলে পাঠায় - তাতে অধিকাংশ ধার্মিক আর সমাজের বড় একটা অংশের কিছু আসে যায়ও না, মানুষের জীবনের চেয়ে তথাকথিত পবিত্র(!) বাণী আর মৃত পূর্বপুরুষের মূল্যবোধের দাম তাদের কাছে অনেক বেশি!
সহমত পছন্দনীয়দা।
কদিন থেকে গানকবিতা খেয়েপরে বাঁচছি, আজ এই পোস্ট দেখে তাই বন্দনার জন্যে একটা গান রইল।
আশা করছি মনখারাপের গোড়ায় সেটা বেশ খানিক জল ঢালবে
http://www.youtube.com/watch?v=UwhsIsmRL58&feature=related
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেক ধন্যবাদ আশাদি, গানটা আমার প্রিয় গানগুলোর মাঝে একটা।
পড়তে মজা লাগছিলো। শেষে এসে সত্যি খুব খারাপ লাগলো। ভালো থাকুন। বেশি বেশি লিখুন।
ধন্যবাদ বইখাতা। আপনি ও ভালো থাকুন।
অনেক ভালো লাগলো...নিজের জীবনের পরিণতি না পাওয়া কিছু কথা মনে পড়ে গেলো...অনেক গুছিয়ে লিখেছেন...স্বীয় আবেগকে গুছিয়ে লেখার কাজটা আমার কাছে অনেক কঠিন বলেই মনে হয়...আপু , আপনি বি.সা.কে. এর কোন ব্যাচের জানতে পারি? আমিও কলেজ কর্মসূচিতে ছিলাম; বিসাকে পুরষ্কার পাইছিলাম..:-)ে অনেক কঠিন বলেই মনে হয়...আপু , আপনি বি.স.কে. এর কোন ব্যচের জনতে পরি? আমিও কলেজ কর্মসূচিতে ছিলম; বিসকে পুরষ্কর পইছিলম..
ধন্যবাদ বাংলামায়েরছেলে। গুছিয়ে লিখতে পেরেছি কিনা জানিনা, তবে চেষ্টা করেছি এই যা। আমার এস এস সি ১৯৯৯ তে, বহুত আগের কথা। আপনি কোন ব্যাচের?
বন্দনার সাথে এই বন্দনার দেখি অনেক মিল?!! এই বন্দনাও জোবনের প্রথম চিঠিটি পেয়েছিল ক্লাস ফোরেই
আর স্বভাব তো দেখি পুরোই জমজ কাহিনী হয়ে গেল। ছোটবেলা থেকে টমবয় স্টাইলের জন্য এখোনো আমার স্কুলের বন্ধুরা আমাকে মেয়ে বলেই গন্য করেনা
লেখার শেষাংশে এসে কিঞ্চিৎ মন খারাপ হলেও শুধু মাত্র নামটার উপরে আস্থা আছে বলেই বুঝে নিয়েছি,
না দেখা সখিটি আমার অনেক সাহসি আর দৃঢ় চিত্তের অধিকারী। দেবদাস টাইপ যে সে হতেই পারেনা এ বেশ বুঝতে পারছি অনেক শুভেচ্ছা আগামী দিনের জন্য।
তাই নাকি, খুব ভালো লাগলো আপনার সাথে আমার এত মিল খুজে পেয়ে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার মিতা, আপনার সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছে হচ্ছে জানেন।
অনুগ্রহ করে ইমেইল চেক করুন।
হেহে... আজকাল মুর্শেদ ভাইয়ের এরকম কমেন্ট মানেই গোপন সুখবর!
অভিনন্দন, বন্দনা! তাসনীম ভাই মডুমিটিংয়ে কথা ঠিকই তুলেছিলেন দেখছি।
হুম...চাকরির ভয় আছে না...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ কৌস্তুভদা।
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই। সকাল বেলা এসেই মন্তব্য দেখে মেইল চেইক করলাম, কি বলবো বুঝতে পারছিনা অনেক ভালো লাগছে।
শালার জীবনটাই গেলো পান্তা ভাতের মতো! প্রেমপত্রই পাওয়া হইলো না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূগোদা প্রেমপত্র পেলেই বা কি বলেন। ক্লিক না করলে কোন লাভ নাই গো দাদা। নাই মামা চেয়ে কানা মামা ভালো জানি তবে এই কানা মামাটা মানে কষ্টই সার কইলাম। তার চেয়ে বাবামা যা কইবে তাই সই মনে কইরা বিয়ের পিড়িতে বইসা যান দেখবেন সবকিছু কেমন ইজি লাগে ।
সচলে ঢোকার পর থেকে ধূগোদার এই হাহুতাশ শুনতে শুনতে চুল পেকে গেল...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুরুতে মজা লাগলেও শেষে এসে মন খারাপ হয়ে গেল। যাই হোক, সচলত্বে অভিনন্দন।
(পেম-ভালুবাসার গল্প-টল্প সকাল থেকে পড়ে নিজের পেম-ভালুবাসার কাহিনী লিক্তে মঞ্চাইতেছে )
অনেক ধন্যবাদ রিসালাত।
আপনার কাহিনী ও লিখে ফেলেন, জাতি জানতে চায় ।
ভালো লাগলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল।
হাচল হওয়ার জন্য অভিনন্দন। আর হ্যা, স্ক্রু রিলিজিয়ন [কেউ ক্যাচাল করতে আইলে আমি নাই]
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হাইসেন না রে ভাই, এই কমেন্ট করার আগে রীতিমত উইল করে আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিলি-বন্টন করে রাখছি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
উইলে আমার নাম আছে কি? তাহলে নির্ভয়ে হাসতে পারি...
হ আছে। আমার উপরের স্ক্রু-ওয়ালা কমেন্ট, এই ব্লগ এর দায় আপনার কান্ধে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
যাচ্চলে!
এইবার আমি হাসি?
ধন্যবাদ সজল।
সজল ভাই ও কি বিসাকে এর নাকি? এখানে তো অনেককেই পাওয়া যাচ্ছে তাহলে...
হ, তবে আমি মফস্বলে ছিলাম স্কুল পর্যন্ত, সুতরাং ঢাকা কেন্দ্রে কখনো যাওয়া হয়নি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আহা রে! খারাপ লাগলো।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আহা রে ! মন খারাপ করেন কেন। আমিতো ২-১=+১ এ আছি এখন ও, কাউরে একটা ছেঁকা দিতে পারলে ব্যলেন্স হয়ে যাবে
একটা চৈনিককে ধরে ছ্যাঁকা দিয়ে দেন, নিউট্রাল ০ তেও পৌঁছানো যাবে দেশ ও দশের কিছু উপকারও হবে...
আমার আবার চৈনিক পছন্দ না, বঙ্গদেশীয় রাজকুমারদেরকেই ভালো পাই ।
এই সব ক্ষেত্রে আহেম বলার নিয়ম, আর কেউ বললো না দেখে আমারই দ্বায়িত্ব নিতে হইলো। আহেম!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আহেম!
আহারে, ভালোমানুষ পেয়ে কলে ফেলা ঠিক হচ্ছেনা কিন্তু। আর বঙ্গদেশে বুঝি ওই একটাই সবেধন নীলমণি রাজকুমার ছিল এবং আছে ? ইতিহাস পড়ে দেখুনগে, কত্ত কত্ত রাজকুমারের ছড়াছড়ি।
[ সে যাহোক, আমাদের রাজকুমার ভাইডি, একটু দেখেশুনে সাপধানে থেকো বাপু ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তাইতো আশাদি আপনি সাক্ষী ,আমি কিন্তু রাজকুমারদের কথা বলছি, একজন রাজকুমারের কথা বলিনাই, সবাই এত আহেম আহেম কেন বলতেছে।
ঠিক আছে, "আহা রে"টা তাহলে বঙ্গদেশীয় রাজকুমারের জন্যই বরাদ্দ থাকুক।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সরে পড়ি এইবার! (আহেম নয়, বিষম খেয়ে কাশির শব্দ)
ভাল লাগলো আবার খারাপ ও
প্রথম টা লেখনীর জন্য আর পরের টা ভেবে
মিশ্র অনুভূতি মন্দ না।
ধর্ম আমার আমি নিজে বেছে নেইনি, পদবীতে ছিল না যে হাত!!!
জীবনটাকে উল্টে দেয়ার জন্যে ধর্মই যথেষ্ট।
সময় অনেক কিছু ঠিক করে দেয়, কিন্তু সবকিছু না।
অভিনন্দন!!
ধন্যবাদ অর্ক।
অভিনন্দন
ধন্যবাদ
একটি চিঠিতেই যে কত সর্বনাশ জমা হয়ে যায় !!!
ভালো থাকবেন বন্দনা।
---------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আপ্নি ও ভালো থাকুন। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন