কেমন আছি আমরা?
কেমন চলছে আমাদের সবকিছু?
কেমন আছে আমাদের দেশ?
উত্তর একটিই: ভালো নেই।
স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও নিজ ভূমিতে পরাধীন আমরা। স্বাধীনতার পর থেকে আত্তয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি-সামরিক সরকার দ্বারা আমরা নির্যাতিত। প্রতিদিন এত এত খারাপ সংবাদ শুনতে শুনতে ক্লান্ত আমি-আমরা।
এমএলএমের নামে পনজি স্কীম চলল বাংলাদেশে দেড় বছর, শেয়ার বাজারে ধস, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, সীমান্তে বিএসএফের প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা, ইভটিজিং, শিশু-নারী র্নিযাতন, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, বিডিআর বিদ্রোহ, আড়িয়াল বিলের ঘটনা, টিপাইমুখ বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির নামে চরম অরাজকতা, চরাঞ্চলে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যা, যত্রতত্র মানুষের আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া, চরম দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসন, ফতোয়ার নামে মানুষ নির্যাতন, মন্ত্রীদের ছেলে-ভুলানো কথা-নিম্নরুচির খিস্তি.......সব মিলিয়ে ভালো নেই আমরা বাংলাদেশীরা।
দেশ পরিচালনা করছে নাকি, অন্য কিছু করছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার?
ক।
ইউনিপেটুইউ-ভিসারেভ-টিভিআই-স্পিক এশিয়া নামধারী এমএলএম কোম্পানীগুলো দীর্ঘ দেড়টি বছর বাংলাদেশে পনজি স্কীম খেললো অথচ বাংলাদেশ সরকার এদের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নিতে পারলো না। কোন ব্যাংক বা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান না হয়েও এই কোম্পানীগুলো দীর্ঘ দেড় বছর ধরে ১০০% হারে মুনাফা দেবার প্রতিশ্রুতিতে আমানত সংগ্রহ করেছে কিন্তু লাইম লাইটে আসার পরও সরকার এদের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পথে বসেছে হাজার হাজার অসহায় সরল বিশ্বাসী বিনিয়োগকারী।
অনেকে বলেছেন-
১। সরকার কি করবে? সরকারের এত দিকে নজর দেয়ার সময় আছে নাকি?
২। বাংলাদেশ ব্যাংক তো দৈনিক পত্রিকায় সাবধান বার্তা দিয়েছে।
৩। সব দোষ বাঙালীর; বড় লোভী।
আচ্ছা বলুন তো, জনগণকে সেইভ করতে না পারলে সরকারেরই আর প্রয়োজন কি?
বাংলাদেশ ব্যাংক সাবধান বার্তা দৈনিক পত্রিকায় দিয়েছে ঠিকই কিন্তু ওই এমএলএমগুলোর বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়নি কেন? বাংলাদেশ ব্যাংক আর সরকারের সেই সময়ের অবস্থা দেখে মনে পড়লো চট্টগ্রামের পুরনো একটি কৌতুক-এলাকায় ডাকাত ঢুকে প্রকাশ্যে হাঁটাচলা করছে আর পুলিশ মাইকিং করছে-“বদ্দারা, অঁনেরগো সাবদান থাখন ফঁরিবো, এলাখাত ডাহাইত ফইজ্জে”।
একটি কোম্পানী দেড় বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়েছে-দু’বার আদালত থেকে ব্যবসায় করার ছাড়পত্র পেয়েছে, এরপরও কি বাঙালীকে লোভী বলা যায়? কে-না চায় একটু ভালো থাকতে....।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত সাবধান বার্তা।
সময়মত কোন ব্যবস্থা না নিয়ে-প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নিয়ে জনগণকে পরামর্শ বার্তা দিচ্ছে সরকার.....!!!
খ।
শেয়ার বাজারে ধস পথে বসিয়েছে হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে। সরকারের এ বিষয়ে ভূমিকা ছিলো চরম দায়িত্বহীনতার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এক অনুষ্ঠানে শেয়ার বাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ফটকা ব্যবসায়ী বলে অভিহিত করেছেন। মুখভরা বুলি আর ছেলে ভোলানো কথা ছাড়া আর কিছুই পায়নি শেয়ার বাজারের হাজার হাজার অসহায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী তো বললেনই নতুন বিনিয়োগকারীরা সবাই ফটকাবাজ। সরকার ব্যর্থ হলো শেয়ার বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা দিতে, পথে নামলেন বিনিয়োগকারীরা; আর সেই সাথে সরকারের গেস্টাপো স্টাইলের বাহিনী (পুলিশ) হায়েনার মত হামলে পড়লো তাঁদের উপর। সরকার কর্তৃক নিপীড়িত ও লুন্ঠিত হলো সাধারণ বিনিয়োগকারী....!!!
আন্দোলনকারী অসহায় বিনিয়োগকারীদের মারছে পুলিশ....
গ।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জর্জরিত মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তরা। বাজারের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রির ছেলে ভুলানো বুলি-“...দ্রব্যমূল্যের দাম শীঘ্রই কমবে...আর্ন্তজাতিক বাজারে দ্রব্যমূ্ল্যের দাম বৃদ্ধি....”।
আর্ন্তজাতিক বাজারে যখন মুদ্রাস্ফীতি ৫.৬%, বাংলাদেশে তখন ৯.৮৭%।
বর্তমানে চিনির সরকার নির্ধারিত পাইকারি মূল্য ৬৩ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬৫ টাকা কিন্তু কোথাও ৭২-৭৫ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।
আচ্ছা, সরকারের কাজ কি শুধু নীতি-নির্ধারণ আর সিদ্ধান্ত দেয়া? বাস্তবায়ন তাহলে কার কাজ?? বাস্তবায়ন ছাড়া শুধুমাত্র নীতি-নির্ধারণ করা কি কোন সুস্থ রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচায়ক???
ঘ।
সীমান্তে বিএসএফের প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার কি তা বন্ধে র্কাযকরী কোন ব্যবস্থা নিয়েছে? দু-একটি পতাকা বৈঠক বা, রাষ্ট্রীয় নিন্দা প্রস্তাব সমস্যার কার্যকরী সমাধান হতে পারে না। ২০১০ সালের শেষ দিকে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রসচিব প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বাংলাদেশ সীমান্তে ‘জিরো ডেথ’ বজায় রাখার কিন্তু তার প্রতিশ্রুতির পরও ২০১০ সালে ৭৪ জন বাংলাদেশী বিএসএফের হাতে নিহত হয়। ২০১১ সালের প্রথম ১৫ দিনে বিএসএফ অন্তত ছয়জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে।
ঝুলছে ফেলানী....
ফেলানীর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তার বাবা।
আমরা আর ফেলানীদের দেখতে চায় না।
ঙ।
মোট ২৬০ বর্গমাইলের (১,৬৬,৬০০ একর) আড়িয়াল বিল অঞ্চল বাংলাদেশের অন্যতম উর্বর এলাকা।
আড়িয়াল বিল এলাকার ২৫,০০০ একর নিয়ে সরকার হঠাৎ পরিকল্পনা করলো বঙ্গবন্ধুর নামে বিমানবন্দর ও উপশহর করার; যা ছিলো সম্পূর্ণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত। প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে সর্ম্পূণ আড়িয়াল বিল এলাকার মানুষ। সেসময় মুন্সীগঞ্জের এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ বলেন “খালেদার নির্দেশে জনগন আড়িয়াল বিলে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে”। এ কথার সাথে সুর মেলান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কেন জানি আমাদের দেশের সকল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল দেশের সবকিছুতে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র দেখতে পায় আর মূল প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যায়। অনেক কাঠখড় পোড়ার পর জনগণের কাছে নতি স্বীকার করলো সরকার। জনগণ সফল হলো; এটি অবশ্যই দেশের জন্য সুসংবাদ। কিন্তু সরকার মশাই কি প্রয়োজনটা ছিলো আড়িয়াল বিলের মতে জায়গায় বিমানবন্দর ও উপশহর করার? আমাদের যে সময় প্রয়োজন স্থিতিশীল রাষ্ট্র, সে সময় আমাদের সরকার মশাই রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করে তোলেন.......।
আড়িয়াল বিল আন্দোলন.....
চ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের আরেকটি ব্যর্থতার চিহ্ন হয়ে থাকবে।
২০১০ সালের প্রথম চার মাসে তিন জন ছাত্র খুন হন-১১ ফেব্রুয়ারি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মহিউদ্দিন ষোলশহর রেলস্টেশনে, ২৯ মার্চ মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র হারুন-অর-রশিদ কায়সার চৌধুরীহাট এলাকায় ও এপ্রিলে হিসাববিজ্ঞানের আসাদ ভার্সিটি রেলগেট এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হন। আজ র্পযন্ত এসব খুনের কোন কূল-কিনারা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
কি আজব দেশ!!! খুনিরা খুন করে শান্তিতে থাকে... এই দেশে খুন হবে না, তো কোন দেশে হবে...!!!
সহপাঠীর সাথে হাস্যজ্জ্বল মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র হারুন-অর-রশিদ কায়সার।
নৃশংসভাবে খুন হওয়া হারুন-অর-রশিদ কায়সার।
ছবি দুটির মধ্যে কত পার্থক্য তাই না...?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধনের কালে বলেন “আমি মনে করি, ডিগ্রী পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করে দেয়া উচিত। আমরা ডিগ্রী র্পযন্ত সকলের জন্য শিক্ষা অবৈতনিক করে দেব”।
অথচ কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই ২০১০ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেতন-ফি দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে। চবি এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা এক বেলা ডাল-ভর্তা দিয়ে সাদা ভাত খান আর সারাদিন মুড়ি খেয়ে থাকেন।
আন্দোলনমুখর হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা... প্রশাসন হয়ে উঠে ভয়ংকর... লেলিয়ে দেয় কুকুর শ্রেণীয় পুলিশকে... আবাসিক হল (মেয়েদের হলও)-ভার্সিটি আঙিনা হয়ে উঠে শিক্ষার্থী নির্যাতনের আঁখড়া।
বেতন-ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাকি কায়দায় নিপীড়ণ করছে পুলিশ....
ছ।
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী গ্রামের দিনমজুর রুস্তম আলী ও রাবেয়া খাতুনের সন্তান আবু বকর ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ ও পুলিশের সংঘর্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। টানা দুদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ৩ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মেধাবী ছাত্র আবু বকর।
আবু বকর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারে প্রথমস্থান লাভকারী ছাত্র। হত্যার ঘটনায় এক বছরেও দায়েরকৃত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীর সবাই জামিনে মুক্ত হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেও তা করেনি। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহিষ্কার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
কি অদ্ভুত দেশ তাই না!!! সোনার ছেলেরা কবরে যায় আর কুকুররা যায় গদিতে.....
জ।
২০১০ সালের অক্টোবরে নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লা নূর বাবু নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে খুন হন।
পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ভিডিও...
বরিশাল পলিটেকনিক কলেজে সবার সামনে দা দিয়ে কোপানো হয় ছাত্রকে-
পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশচন্দ্র সেনের প্রশাসনকে সরাসরি দলীয়করনের প্রচেষ্টার কথা স্বীকার-
নোয়াখালীর হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে প্রায় ৯-১০ মাস আগে প্রকাশ্যে নাসির বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করে ৪৫ জন মানুষকে।
সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ-সুপার ঘটনাকে অস্বীকার করেন-
আজ প্রায় ৯-১০ মাস পরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যার সেই ভিডিও ইটিভিতে প্রকাশের পর সুর বদল করেন সেই পুলিশ-সুপার।
পিটিয়ে মানুষ হত্যার ভিডিও...
ভিকারুন্নিসা স্কুলের কতিপয় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ আসলেও অধ্যক্ষা হোসনে আরা বেগম বিষয়টি আমলে নেননি। পরিমল জয়ধর কর্তৃক এক ছাত্রী দুই দফা ধর্ষিত হয়ে লিখিত অভিযোগ জানালে অধ্যক্ষা মহোদয়া অভিযুক্ত ছাত্রীকে তিরস্কার করেন, ঘটনাটিকে পারস্পরিক সম্মতিতে মিলনের কথা বলেন।
অবাক করা ব্যাপার তাই না...!!! আদিম মানুষদের আমরা অসভ্য বলি... ওরা হয়তো আমাদের এসব কাজ দেখে নিজেরাই লজ্জা পাবে।
পিশাচ পরিমল জয়ধর
.................................................
দেশ ভালো চলছে না...
দেশের মানুষ ভালো নেই...
স্বাধীনতার পর কখনোই ভালো থাকেনি আমার মাতৃভূমি।
‘৭২ থেকে ২০১১ কি পেলাম আমরা? এক সরকার থেকে আরেক সরকারের নির্যাতন।
আওয়ামী লীগ সরকার-বিএনপি সরকার-সামরিক সরকার-জাতীয় পার্টি-ডানপন্থী দল-বামপন্থী সবই তো একই... শুধু মুদ্রার এপিট আর ওপিট... নিপীড়ণকারী।
আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু নেই তার প্রয়োগ।
লীগ-বিএনপির নোংরা রাজনীতি চলছেই... এদের অন্ধ সমর্থকরাও বোকা মানুষের মত সামিল হচ্ছে অর্থহীন এই নোংরামীতে। বিএনপি সরকার তার ২০০১-২০০৫ শাসনামলে ব্যস্ত ছিল লীগের পশ্চাদদেশ ঘুঁটতে ঠিক তেমনি লীগ সরকার এখন ব্যস্ত বিএনপির পশ্চাদদেশ ঘুঁটতে। কারোরই তাড়না নেই দেশকে এগিয়ে নেবার.....
২০০১ সালের সরকার আর ২০১১ সালের সরকারের মধ্যে কোন মৌলিক তফাৎ আছে কি? দুটোই তো হিরক রাজার কায়দায় দেশ শাসন করেছে।
....ক্রমেই আমাদের বাংলাদেশ কি সাধারণ মানুষের বসবাস অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে না....?
তথ্য সহায়িকা:
০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮, ০৯,
১০: We are Economists, Department of Economics, University of Chittagong.
মন্তব্য
অনুগ্রহ করে ইমেইল চেক করুন।
ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হারুন অর রশীদের ছবিটা সরাসরি না দিলেই ভাল হয়।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের অবস্থা দেখি বেশ হতাশাজনক। খারাপ লাগে এসব খবর পড়লে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বাস্তবতা আসলে এখানে অনেক কঠিন...যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হচ্ছে...
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বউত বালা অইয়ে বদ্দা.....অনের লেখা ফরিয়ারে ডর ডর লাগের.....দেশত বালা কিসু নাই ফাল্লার........
থেংকু বদ্দা।
দেশে ভালো অনেক কিছুই আছে কিন্তু প্রশাসনিক অবকাঠামো দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আর এর ফলাফল নিশ্চয় কোনমতেই শুভ নয়।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হাচলপ্রাপ্তির অভিনন্দন, পাহাড়ের রাজা......... ...........আপনার বেশির ভাগ পোস্ট অসাধারণ তথা তথ্যপূর্ণ। নিয়মিত লিখবেন...............
ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ডুপ্লি ঘেচাং[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এরকম লেখায় (এবং বিশেষত যখন এরকম ছবি সংযুক্ত আছে) বয়স কোটা ঠিক করে দিন। এবং দয়া করে লেখার শুরুতে একটি সতর্কবার্তা দিন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
সর্তকবার্তা বা, বয়স কোটা দিয়ে দিলাম।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এই পোস্টে কয়েকবার ঘুরঘুর করলাম। কী বলা যায় ভাবতে ভাবতে। কিচ্ছু বলার নেই, আসলেই কিচ্ছু বলার নেই।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
নিজেকে-নিজেদেরকে খুব অসহায় মনে হয়...চোখের সামনে এত কিছু হয় কিন্তু কোন কার্যকরী কিছু করতে পারি না....আমরা ব্যর্থ...।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হারুন অর রশীদের ছবিটা খুব ডিস্টার্বিং।
এরকম ছবি সরাসরি লেখায় না দিয়ে লিঙ্ক হিসেবে দিলে ভালো হয়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
দেশ থেকে বহুদুরে থাকি। এই সব খবর শুনি, পড়ি। তারপর আবার পাশ ফিরে শুই। ভিতরে কি যেন একটা মরে গেছে। কোন কিছুতেই যেন আর কোন আলোড়ন হয়না। কেন আস্তে আস্তে দেশটা এই রকম হয়ে যাচ্ছে? ভাল মানুষ নিশ্চয়ই আছে দেশে। তারা সবাই বোধহয় চুপ করে থাকে। আর আমার মত বেইমানেরা দেশ থেকে পালিয়ে আর এক দেশে বসে ভাবে, বাবা-ভাগ্যিস চলে এসেছিলাম আগেভাগে। দেশে থাকলে কি দুর্ভোগই না পোয়াতে হতো। অসহায় আজ বাংলাদেশ, অসহায় আজ দেশের মানুষ। কিছু একটা করা দরকার, সাংঘাতিক কিছু একটা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ছবিগুলো দেখে মনটা বিষাদে ভরে গেলো, এগুলোর কি আসলেই আমাদের দেশে কোন বিচার হবেনা।
আপনাকে হাচল হবার অভিনন্দন।
খুব আলোচিত না হলে বাংলাদেশে কোন অন্যায়ের প্রতিরোধ বা, বিচার হয় না। এমনটাই চলে আসছে এখন....।
ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হাচলত্বে অভিনন্দন। আপনার বিশ্লেষণ-পোস্ট ভালো লাগে, কিন্তু বিষয়ের জন্য কেবলই বিষণ্ণ করে দেয়।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক ডিটেইল, অনেক ডিটেইল। চলমান সময়ের অনেকটাই তুলে এনেছেন। এরকম আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক তথ্যবহুল লেখা,ভাল লেগেছে।কিন্তু মনটা খারাপ হয়ে গেল।
ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ফাটকা ব্যাবসা -এর সঠিক সংজ্ঞা টি দেখে নিন প্লিজ...... আতিউর 'ফটকা' না, 'ফাটকা' বলেছিলেন।
তবে " মাথায় মাল মুহিত" সাহেব এর কথার কোন ইষ্টিশন নাই তো, তাই বলা যায় না...............
ফাটকা বলে কোন শব্দ বাংলা একাডেমীর অভিধানে খুঁজে পেলাম না।
আর আতিউর সাহেব ফটকা ব্যবসায়ী বলেছিলেন বলেই তো পত্রিকায় দেখলাম। কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধুও ব্যাপারটা নিশ্চিত করলেন।
ভালো থাকবেন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন