জগা খিচুড়ি - ০২

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: সোম, ০১/০৮/২০১১ - ৩:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার জন্ম হয়েছিলো বেশ সেন্স অফ হিউমার নিয়ে। মা-বাবা কেউই তেমন রসিক না। খালারা গম্ভীর, মামারা রাগী। জন্মের কিছুকালের মধ্যেই আমি তাই নিশ্চিন্ত হয়ে গেলাম আমাকে আসলেই কুড়িয়ে পেয়েছে। বন্ধু মহলে জনপ্রিয় ছিলাম, কিন্তু নারীরা জীবনে ধারেও ঘেঁষত না। প্রথমে ভাবলাম আমার "ওয়ান প্যাক অ্যাবস" এবং দুধে আলকাতরা গায়ের রঙ এর কারন। তারপর ব্যাপক পড়াশোনা করে বুঝলাম আমার সেন্স অফ হিউমার ই আমার মূল শত্রু। এভাবে রসিকতা করতে থাকলে সারাজীবন পড়াশোনা নিয়েই থাকতে হবে কখনো আর খাড়া ... সে যাই হোক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিকে এসে সেন্স অফ হিউমার এর মায়রে বাপ বলে খানিকটা ছ্যাবলা হয়ে গেলাম। ওমা, দেখি দিব্যি হালে পানি পাচ্ছি। ব্যাপারটা কঠিন কিছু না, রসিকতার মান একটু নিচে নামিয়ে সবার জন্য সহজবোধ্য করলেই হয়। এক বিজ্ঞ বন্ধুও একই বুদ্ধি দিলো। বলে, অতো উঁচু মানের রসিকতা করলে মেয়েরা তোকে ভাঁড়, ছ্যাবলা, মতলববাজ, এমনকি আঁতেল এর মতো নিকৃষ্ট গালি দিতে পারে। তারচেয়ে বরং ছ্যাবলামি করলে তোকে দুষ্টু, শয়তান, অসভ্য এইসব মিষ্টি গালি দিবে। প্রেসক্রিপশন মতো কাজ করে দেখি ভার্সিটির দু একটা মেয়ে দিব্যি কথা বলছে। একদিন এসে একজন অসভ্য না শয়তান বলে গালিও দিয়ে গেল!

অবসর সময়ে মধ্যযুগের হিন্দি বা বাংলা সিনেমা দেখি। বেশিরভাগেই একই ঘটনা। নায়ক চরম ফচকে টাইপ এর যুবক। বড়লোক নায়িকাকে দেখে তা না না না করে কোমর দুলিয়ে নাচে। নায়িকা ইভ টিজিং এ চরম বিরক্ত কিন্তু বিরক্ত হয়েও ছোড় না, যানে দে, ছুঁয়োনা মুঝে বলে নাচে। একটু পরে নায়কের সাথে বদন জ্বাল রাহা হে, মার যাউ, যাইত্তা ধইরা মাইরা লা বলে কোমর দুলায়। দেখতে চরম অশ্লীল এবং নিচু রুচির মনে হলেও এটাই ক্লাসিক্যাল এবং প্রামাণ্য পদ্ধতি। আমাদের চোখের সামনে আমাদের বুয়েটের দু বন্ধু হটাৎ ছ্যাবলা হয়ে গেল।রাস্তায় দাড়িয়ে লিফলেট বিলি করার মতো করে কাগজে টেলিফোনে নাম্বার লিখে চলন্ত রিকশায় মেয়েদের ছুড়ে দেয়। সাফল্যের হার খুবি কম। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। সারাদিনে ১০০ নাম্বার বিলি করতে তেমন কষ্ট হয়না। বিনিময়ে মধ্যরাতে দুয়েকটা ফোন কল আসে। কল লিস্টে কাজের বুয়া, পোশাক শ্রমিক থেকে শুরু করে বড়লোকের বখে যাওয়া তনয়া সবাই আছে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এরা দুজন রাস্তার হকার থেকে ঢাকা শহরের লুচ্চেনিওর হয়ে গেল। আমরা এ সময় আফসোস শুরু করলাম, ঠিক সময়ে শুরু করলে আজকে হয়ত আমরাও পারতাম। এখন তারা গ্রামীণ ফোনের বড় কর্তা। কাগজে লিখে আর ফোন নাম্বার বিলি করতে হয়না। চকচকে ভিজিটিং কার্ড বিলি করে। দুই লুচ্চেনিওর কে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একদিন আমিও ঠাশ করে প্রেমে পরে গেলাম হটাৎ করেই একদিন দেখি বেড়াছেড়া অবস্থা। সঙ্গীত ভালো লাগে, রসিকতা অসহ্য লাগে, রবীন্দ্রনাথ কে দেবতা মনে হয়, শিবরাম কে ফাজিল মনে হয়। বেশী কিছু বোঝার আগেই ছেঁকাও খেয়ে গেলাম।তারপর সবার মতো আমারও মনে হোল আত্মহত্যা করি। পরে ভাবলাম দু দু বার করে অন্তত চেষ্টা করা উচিৎ, একবারেই হাল ছাড়া ঠিক না। দ্বিতীয়জনের সাথে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করলাম এবং ... Bingo ! কাহিনীর মরাল হচ্ছে, প্রথমবারে দাগা খেলে দমে যাবেন না, দু দু বার করে চেষ্টা করুন, সাফল্য নিশ্চিত। তবে আপনি যদি পুরুষ হন তবেই, নারী হলে একবারই চেষ্টা করুন, বিফল হলে আত্মহত্যা করুন।

শীর্ষেন্দুর লেখা পছন্দ করি তার মজার মজার সব চরিত্র সৃষ্টির কারনে। মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি তে এরকম একজন মাস্টারমশাই ছিলেন। তিনি উবু না হয়ে বসে পড়াতে পারতেন না। এমনিতে তিনি দুঁদে মাস্টার, কিন্তু চেয়ার-টেবিলে বসলে সব ওলট পালট করে ফেলেন। আমার সেই দুই লুচ্চেনিওর বন্ধুর একজন ছিল সেরকম দুঁদে ফোনালাপি। কিন্তু তার সমস্যা ছিল সে লুঙ্গী না পরে আরাম করে গল্প করতে পারতো না। লুঙ্গী পরলেই ইন ফুল ফরম। মেয়েরা টপাস টপাস করে তার প্রেমে পড়ে যেত তার আলাপ শুনে। জিন্স পরেছে, পাজামা পরেছে, এমনকি হাফপ্যান্ট পড়েও চেষ্টা করেছে কিন্তু লুঙ্গীর ফরম আর কিছুতেই পাওয়া যায়নি। তার টানা ১৪ ঘণ্টা জনৈক রমণীর সাথে ফোনালাপের রেকর্ড আছে। চার্জ শেষ হয়ে যাওয়াতে মাঝখানে দুইবার ফোন বদল আর অজ্ঞাত কারনে তিন বার লুঙ্গী বদল করতে হয়েছে, কিন্তু কথা থামেনি। আমি পরদিন জিজ্ঞেস করলাম এতক্ষণ কি কথা বললি? গম্ভীর মুখে বলে, মেয়েটাকে বোঝালাম রাত-বিরাতে এভাবে ফোন করা ঠিক না। সেটা বোঝাতেই ১৪ ঘণ্টা? লর্ড অব দা রিংস এর ট্রি -বেয়ারড রাও তো এরচেয়ে দ্রুত কথা বলে।

সে যাই হোক, জগাখিচুড়ি লিখতে বসলেই সব খিচুড়ি পাকিয়ে ফেলি। গত পর্বে কোথায় শেষ করেছিলাম সেটাও ভুলে গেছি। মনে হয় আমার মদন বন্ধু ওশিলভ নাইলে আমার বদ বন্ধু রনির কথা বলছিলাম।

আমেরিকা এসে প্রথম সমুদ্র ভ্রমনে গিয়েছি ওশিলভ এর সাথে। কোনভাবেই যাবেনা, বলে আমেরিকার সমুদ্র সৈকত খুবই নাপাক জায়গা। আমি অনেক বুঝালাম এইখানের সৈকত দুইরকম, একটা নেংটুঁ অন্যটা বেশ পর্দানিশিল। আর তাছাড়া আমাদের সাথে যেইসব স্টুডেন্টরা যাচ্ছে তাদের বেশীরভাগই চৈনিক নয়তো জাপানী। এরা আমাদের মতোই রক্ষণশীল এশিয়ান জাতি, বেশ পর্দা টরদা করে। ব্যাটা আমার কথা বিশ্বাস করলো। আমরা গেলাম ফ্লোরিডার এক সমুদ্র সৈকতে। নামা মাত্র চৈনিক বালিকারা হৈ হৈ করে প্রায় দিগম্বর হয়ে গেল। আমি অবাক হয়ে ভাবলাম, এরা দেখতে এতো ছোটোখাটো কিন্তু। ওশিলভ অধিক শোকে পাথর হয়ে গেল। উত্তেজিত হয়ে তুর্কী ভাষায় কি জানি বললো। যার বাংলা হয়তো, "এ মা, তুমি ন্যাংটা পুটু" টাইপ কিছু হবে। তারপর মাথা দুলায় আর বলে, দিস ইজ গুনাহ। আমাকে টেনে হিঁচড়ে উল্টা দিকে নিয়ে গেল। ছোটবেলা দোকানে গিয়ে কোন খেলনা পছন্দ হলে আমি সেখনে ল্যাটা মেরে বসে পড়তাম। সেখান থেকে পিতা-মাতা আমাকে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে চোখের জলে ভাসিয়ে নিয়ে আসতেন। এখানেও প্রায় এমনই হোল। প্রথম সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ শেষ হোল সমুদ্র না দেখেই।

মিলিটারি স্কুলে থাকতে একবার রনি দু হাতে দু দুটো ব্রকলি তুলে নিয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল এর সামনে ফিক করে হাসি দিয়ে বলেছিল ব্রা কলি । ঘটনার শানে-নুযূল হল, গুরুপত্নীর নাম কলি। গুরুপত্নীর স্বামী যিনি কিনা আমাদের গুরু এবং যার স্ত্রীর নাম কলি তিনি আমাদের স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল এবং বেশ রাশভারী মানুষ। কলি, যে কিনা গুরুপত্নীর স্বামীর স্ত্রী তাকে নিয়ে মশকরা করা অনেকটা বাঘের লেঞ্জা দিয়ে কান চুলকানোর মতই ভয়ংকর ব্যাপার। কিন্তু আমাদের রনির সাহসের অভাব ছিলোনা, সে প্রতিদিন উঠতে বসতে দিব্যি বাঘের লেঞ্জা দিয়ে কান, বগল চুলকে পরিশেষে একটু নিতম্বও চুলকে নিত।

জীবনের প্রথম চাকরি পেয়ে রনিকে ফোন দিলাম, দোস্ত জব পাইছি। বলে, কি জব হ্যান্ড না ব্লো ? ওর আর দোষ কি, জব বলতে সারাজীবন এই দুইটাকেই বুঝে এসেছে। জীবনের প্রথম লেখা ছাপা হবার পর দেখালাম ওকে, পড়ে বেশ খুশি হোল। বলে, তোর লেখার হাত চমৎকার, পয়সা থাকলে তোর হাত সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দিতাম। পয়সা যখন নেই তখন আয় বরং হাত দিয়ে সোনা ... লা হাওলা। বিমর্ষ হয়ে ভাবি, পরহস্তে পরার আগে সে তো জীবনের বেশীরভাগ সময় নিজ হস্তেই বাঁধা ছিল, সে বড় সুখের সময় ছিল। এজন্যই কবি বলেছেন, গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।

সেই ঘুরে ফিরে আবার বাংলা ভাষা নিয়ে সাবধানতার কথাতেই চলে আসলাম। বড়ই জটিল ভাষা, বুঝে শুনে না বললে ভালো কথাও খারাপ হয়ে যায়। জীবনের প্রথম গল্প লিখে বিশাল হিট। কোন এক ভালোবাসার গল্প প্রতিযোগিতা ছিল, পুরষ্কার আট ভরি স্বর্ণের গহনা। আমি তখন সদ্য হাফ-সোল খেয়েছি, ল্যাদা মার্কা প্রেমের গল্প ছাগলের লেদার মতোই পুটুস পাটুস করে বের হয়। তেমনি এক ল্যদ-ল্যাদা প্রেমের গল্প পড়ে দেশ বরেণ্য আরেক ল্যাদা সাহিত্যিক মুগ্ধ হলেন। আমি সোনার গয়না পেলাম। এরপর থেকে খুশীতে মা আটখানা। যে আসে তাকেই ধরে শোনায়, আমার ছেলে গল্প লিখে সোনা পেয়েছে। কোন এক বেকুব মহিলা উশখুশ করে বলেই ফেলে, সে কি গো, গল্প লিখে পেতে হোল? আমার ছেলে তো গল্প না লিখেই পেয়েছে!

আজকের খিচুড়ি এইখানেই শেষ করি। বলে রাখা ভালো, জগাখিচুড়ির প্রতিটা চরিত্র এবং ঘটনাই বাস্তবিক, কল্পনার সাথে এর কোন মিল নাই। তবে জিনিসটা খিচুড়ি কিনা তাই স্থান, কাল আর পাত্র সবাইকে এক পাত্রে ফেলে বেশ করে ঘুঁটা দেয়া হয়েসে আরকি। ওতে করে উদোর পিণ্ডী বুদোর ঘাড়ে যদি চেপে বসে আমার আর কি করার আছে?

জগা খিচুড়ি - ০১

......... উদাস


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ব্যক্তিগত বন্ধুমহলের আড্ডার মতো লাগলো। খুব হেসেছি।

তবে কয়েক জায়গায় সংকোচও লেগেছে। এই লেখাটা পাবলিক ফোরামে প্রকাশের ব্যপারে দ্বিমত থাকতে পারে অনেকের। আমি হলে, লেখার শুরুতে একটা লাইন লিখে স্পর্শকাতর পাঠককে সতর্ক করতাম। তবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়। ১৮+ ট্যাগ দিয়েছেন। চলুক।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

Udash এর ছবি

সহমত। একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে সতর্ক করা উচিৎ ছিল কোমল মনের পাঠক পাঠিকাদের। অতিথি বলে আমার তো এডিট করার সুযোগ নেই। এর পরের পর্ব থেকে শুরুতে একটা অতিরিক্ত লাইন অ্যাড করে দিবো।

... উদাস।

Udash এর ছবি

ধন্যবাদ সাফি এবং মন-মাঝি।

...... উদাস।

সাফি এর ছবি

খুব মজা পেলাম পড়ে। ঝেড়ে লিখতে থাকুন।

মন_মাঝি এর ছবি

চলুক

ত্রিমাত্রিক_কবি এর ছবি

অশ্লীশ ... দেঁতো হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খুব মজা পেলাম। দু দু বার করে লিখতে থাকুন। হাসি

Udash এর ছবি

ধন্যবাদ কবি এবং মুর্শেদ ভাই ... দেঁতো হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

চালিয়ে যান ভাই হাসি

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে...

চলুক

শ্রীকৃষ্ণ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দিহান এর ছবি

মজার...

অর্ক রায় চৌধুরী এর ছবি

একটু রেখেঢেকে ভাই।
দারুণ লেগেছে। চোখ টিপি

কয়লা বাবা এর ছবি

কস্কি মমিন! উরীঈঈঈ!!! ভালা লাগে তো...!

স্বপ্নাদিষ্ট (অতিথি) এর ছবি

ছোটবেলা দোকানে গিয়ে কোন খেলনা পছন্দ হলে আমি সেখনে ল্যাটা মেরে বসে পড়তাম। সেখান থেকে পিতা-মাতা আমাকে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে চোখের জলে ভাসিয়ে নিয়ে আসতেন। এখানেও প্রায় এমনই হোল। প্রথম সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ শেষ হোল সমুদ্র না দেখেই।

গুল্লি

দোস্ত জব পাইছি। বলে, কি জব...

হাসতেই আছি..ব্যাপক বিনোদন হো হো হো

--স্বপ্নাদিষ্ট
=============================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

স্বপ্নহারা এর ছবি

ভাই আপ্নে মারাত্মক! গুরু গুরু

আপ্নের প্রথম খিচুড়িটাও জব্বর আছিল! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তিন নাম্বারটা চুলাতে বসিয়ে দেন...

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

Russel.. এর ছবি

ভাই, আপ্নের লিখা পরে আপ্নাকে কয়েক ভরি সোনা দিতে ইচ্ছে করছে...চালিয়ে যান।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার লেখা পেলে পড়ে ফেলবো এরপর থেকে। হাসি

বন্দনা এর ছবি

জটিল লিখছেন হো হো হো

প্রখর রোদ্দুর এর ছবি

হা হা হা - মহিলা চরম কথা অনায়াসে বলে ফেলেছেন হা হা হা

দ্রোহী এর ছবি

আপনে মিয়া পুরা "রসিক লাল"! হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো

উদোর পিণ্ডি মোতালেবের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে দু দু বার করে ক্রমাগত লিখতে থাকুন।

রিসালাত বারী এর ছবি

আপ্নে জটিল!! আপনার সেন্স অব হিউমারের ফ্যান হয়ে গেলাম দেঁতো হাসি

The Reader এর ছবি

মারাত্তক ভাই মারাত্তক।।। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

Udash এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহী, প্রখর রোদ্দুর, বন্দনা, সুহান, রাসেল, সপ্নহারা, স্বপ্নাদিষ্ট, কয়লা বাবা , অর্ক , দিহান, ইস্কান্দর বরকন্দাজ এবং কৌস্তুভ (সবার নাম নিতে নিতে মুখ ব্যথা হয়ে গেলো, মনে হচ্ছে কোন এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ্যাওয়ার্ড নিতে এসে থ্যাংক ইউ এর লম্বা লিস্ট বলতেছি ... দেঁতো হাসি)। এই পর্বটা মনে হয় কিঞ্চিৎ (!!!) অশ্লীল হয়ে গেছে। এর পর থেকে ভালো হয়ে যাব, দোয়া রাইখেন সবাই ... খাইছে

......... উদাস

কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ছেলেরা ছেঁকা খাওয়া ভালো, এক্সপেরিয়েন্সড হয় - আমার কথা না, একজন গুণধর বান্ধবীর কথা, যে কিনা এখনো একটা প্রকাশ্য প্রেম করতে পারলো না! দেঁতো হাসি
আর মেয়েদের বেলায় দু দু বার নয়, আমিও বলতে নিছিলাম।
পরের খিচুরি রান্না হইলে আওয়াজ দিয়েন। চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

Udash এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- রিসালাত বারী, The Reader এবং যাযাবর ব্যাকপ্যাকার।

......... উদাস।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

গেলো উইকএন্ডে বাল্যবন্ধু-পত্নী খাজুরা আলাপের সময় একটা খারাপ খবর আরেকটা 'ভালো' খবর দিলো ঘটা করে। খারাপটাই আগে বলি, সোনার ভরি ৫০ হাজার টাকা হইছে। তার 'ভালো' খবরটা আর বলতে ইচ্ছা করতেছে না। কারণ ঐটা আলটিমেটলি খারাপ খবরই আমার জন্য!

তো যা বলছিলাম, এই দুর্দিনের বাজারে এতো সোনা হাতে নিয়ে বসে আছেন আপনে? আর এদিকে সোনায় হাত দিতেই আমাদের হার্ডের ব্যামো বেধে যায়!

Udash এর ছবি

ধুগো, আপনে দেখি খালি কথা অর্ধেক বইলা বালি অর্ধেক চেপে যান। ঘটনা কি? কে আপনেরে খালি চাপায়?

...... উদাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি
বন্দনা কবীর এর ছবি

হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে। বিশেষ করে খেলনা চেয়ে ল্যাটা মেরে বসে যাবারটা পড়ে।
চলুক জগা খিচুড়ি খাইছে

Udash এর ছবি

ধন্যবাদ বন্দনা ।

......... উদাস

সজল এর ছবি

দারুণ

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

জয়ন্তী এর ছবি

জোশ হইসে............। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মৃত্যুময়-ঈষৎ এর ছবি

শেষের দিকে এসে খিচুড়ি রান্না ভালো হয়েছে.........তৃতীয়টাও চড়ায় দেন......................

vindesher boiragi এর ছবি

ভাই, অনেক্খন ধরে শুধুই হাসলাম। আল্লাহ্পাক আপনার হায়াত দারাজ করুক। আর আর ও সুন্দর সুন্দর লেখা আপনার কাছে থেকে পাই।

পাঠক Down Under এর ছবি

তপু নাকি রে? লেখার স্টাইল চেনা চেনা লাগে!
---সজীব।

কল্যাণF এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মেঘা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

প্রিয়ম এর ছবি

অসাধারণ !!
রম্য রচনা সবাই লিখতে পারেনা, তালগোল পাকিয়ে ফেলে নানান জায়গায়। কিন্তু, এই সিরিজ পুরাই উড়াধুড়া।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

হাততালি

মজার মানুষ এর ছবি

বাংলা এমন আস্তেসে কেন???? মন্তব্য করার ইচ্ছা ছিল.........

Rashed এর ছবি

মরার হাসি হাস্লাম রে ভাই । জব্বর আলি মারকা লেখা উফ্ফ্ফ্ফ্ফ্ফ্ফ্ফ

অতিথি লেখক এর ছবি

(গুড়)
হাত তো সোনা দিয়ে বাধায় দেয়া দরকার !

এরিক

ভাগশেষ শুণ্য এর ছবি

টেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা জটিল লাগল দেঁতো হাসি

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

আপনার এই রনি দেখি আমেরিকান পাই এর স্টিফলার হইয়া গেসে গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।