প্রাইমারী স্কুলে পড়ি তখন, প্রতিনিয়তই নতুন কিছু জানার, নতুন কিছু দেখার স্বপ্নাবিস্ট সোনালী উতল মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন এক সময়, জীবনে সবচেয়ে মধুর অংশ আর কি হতে পারে বাল্যকালের চেয়ে! স্কুল থেকে ফেরার পথে মা একদিন জানালেন আগামীকাল বইমেলায় নিয়ে যাবেন আমাদের। বইমেলা! কচি মনে প্রশ্নের ঢেউ উঠেছিল, বইয়ের আবার মেলা হয় নাকি? এতদিন তো রথের মেলা, বৈশাখী মেলা এগুলোতেই গেলাম। যা হোক, পরের দিন নতুন কিছুর আহবানে গেলাম রাজশাহী বিভাগীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত বইমেলায়। আহ, এ কি অপূর্ব জগৎ! এক অদেখা ভুবন! দক্ষিনারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ঠাকুরমার ঝুলি, রাক্ষস-খোক্কসের গল্প, রাজকুমারী আর সোনার পাখির রঙচঙে মলাট রূপকথার বইগুলোতে। ভবেশ রায়ের শত মনিষীর জীবনী, আলী ইমামের অপারেশন কাকনপুর, টারজানের অ্যাডভেঞ্চার সমগ্র সবাই হাজির সেই স্বর্গলোকে। সেই থেকে শুরু হওয়া বইমেলার নেশা ঢুকে গেল অস্থি-মজ্জায়, প্রতিটি রক্ত বিন্দুতে। ফি বছর বাড়তে থাকল মেলা থেকে কেনা বইয়ের পরিমাণ। স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম ঢাকার একুশে বইমেলার, কোলকাতার বইমেলার। এমনভাবেই একদিন জানতে পারলাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলা জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলার কথা, পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতায়, জেমসের গানে- ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলায় মনে পড়েছে তোমায়, নতুন বইয়ের গন্ধে! পড়া-লেখার কারণে ইউরোপ আসার পর থেকেই সেই তীর্থে যাবার চেষ্টা চলতে লাগল, ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল অবশেষে ২০০৮-এর অক্টোবরে। নিজেকে বিমূঢ়, বিমুগ্ধ, বিমূর্ত অবস্থায় আবিষ্কার করলাম বইপ্রেমীদের এই মহাতীর্থ মাঝে।
ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলা। ফি বছর অক্টোবরে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের কেন্দ্রস্থলে নির্মিত বিশালাকার হলঘরগুলোতে আয়োজন করা এই মেলার। নতুন বইয়ের সম্ভার নিয়ে সারা বিশ্বের আনাচে-কানাচে থেকে ছুটে আসে প্রকাশকের দল, সাথে বইপ্রেমীরা। এক সাথে এত ভাষার, এত জাতির, এত হরেক ধরনের বই যে আর কোথাও পাবার যো নেই ! উল্লেখ্য, পৃথিবীর প্রথম ছাপানো বইয়ের আবিস্কারক গুটেনবার্গ এই শহরেই থাকতেন, তারই প্রথম ছাপানো বই গুটেনবার্গের বাইবেল বিশ্বের সবচেয়ে দামী বই। সেই হিসেবে এই বইমেলার ঐতিহ্য প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো!
২০০৮ সালের ১৮ অক্টোবর কাকভোরে হেলসিংকি থেকে রওনা দিয়ে সকাল নয়টাতেই ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমান বন্দরে অবতরণ ঘটল আমাদের, সঙ্গী বইপ্রেমী কবি ওয়াসিম সাঈদ দিপু। প্রথমেই সেন্টারের কাছে আমাদের হোটেল পেনশন ব্রুন্স বাহির করতে হল বেঢপ ব্যাগ পেঁটরা গুলো রাখার জন্য। চমৎকার শান্ত পরিবেশে বিশাল সব মহীরুহ বেষ্টিত ছায়া ঘেরা, পাখি ডাকা নিরিবিলি ছিমছাম হোটেল, বাহির থেকে মনে হয় কোন প্রকৃতিপ্রেমীর সযত্নে আবাস। তিব্বতি রিসেপসনিস্টের কাছ থেকে চাবি বুঝে নিতেই যতটুকু দেরি, তার পরপরই রওনা হয়ে গেলাম বইমেলার আয়োজন স্থল মেসসে ফ্রাঙ্কফুর্টে, হোটেল থেকে হাঁটা পথে মিনিট পাচেকের পথ।
প্রবেশ দ্বারে কয়েক হাজার মানুষ দাড়িয়ে আছে মেলায় প্রবেশের টিকেট কেনার আশায়, বিপুল ধৈর্যের পরীক্ষায় পাশ করে অবশেষে ভিতরে ঢুকতে সক্ষম হলাম। হাতে গোটা এলাকার ম্যাপ। অবিশ্বাস্য শোনালেও বইমেলার এলাকার আয়তন ২৫টি ফুটবল মাঠের সমান।
এবারের মেলায় এসেছে ১০১টি দেশের সাড়ে সাত হাজার প্রকাশক , সেই সাথে থিম কান্ট্রি তুরস্ক। প্রতি বছরই একটি দেশকে থিম কান্ট্রির মর্যাদা দেওয়া হয় এবং সেই বিশেষ দেশটির সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে থাকে ব্যপক আয়োজন। এবারের মেলাতি আবার ছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পাঁচ দিন ব্যাপী এই মেলা শুরু হয় ১৫ অক্টোবর। কিন্তু প্রথম তিন দিন মেলা ছিল বইয়ের প্রকাশক আর ব্যবসায়ীদের জন্য সংরক্ষিত, কেবল শেষের দুই দিন সর্বসাধারনের জন্য উম্মুক্ত। তাই তিন দিন পরে আসলেও আদতে মিস হয়নি কিছুই।
বিশাল এলাকায় বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন গ্যালারী ও প্যাভিলিয়নে নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছ, মাথা ভর্তি নানা পরিকল্পনা থাকলেও বিলবোর্ডে অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকায় ৬ নম্বর গ্যালারীতে বাংলাদেশের নাম চোখে পড়তেই সব প্ল্যান মাঠে মারা গেল!
ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটলাম সেদিক পানেই, প্রথমেই উপর থেকে চোখে পড়ল সেই গ্যালারীতে অংশ নেওয়া হাজারো স্টল। সবচেয়ে বড় এলাকা জুড়ে রাজত্ব করছে চীন, একের পর এক চোখে পড়ল সুদৃশ্য জাপানী, কোরিয়ান, ডাচ দোকান। কিন্তু আমরা তখন দেশের দোকান খোজায় ব্যস্ত। এক প্রান্তে চোখে পড়ল অনেক উপমহাদেশীয় লোকের জটলা, সেই ভীড়ের দিকে এগোতেই এক ভদ্রলোক আমার লাল-সবুজ টি-শার্ট দেখে বলে উঠলেন, আরে বাংলাদেশী নাকি! আসুন, আসুন, কাছেই আমাদের স্টল। এভাবেই পরিচয় শ্রাবণ প্রকাশনীর কর্ণধার রবিন আহসানের সাথে। কতৄপক্ষের আমন্ত্রণে ২০০৭ সালের মেলায় অংশ নিয়েছিল তার প্রকাশনী,আর এবার এসেছে নিজ খরচায়। এত জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র দোকানটিকে খুবই মলিন দেখাচ্ছে , এতটা করুণ দশা আমরা আশা করি নি। যদিও এটিই ছিল সবেধন নীলমণি। রবিন করুণ হাসি দিয়ে জানালেন, সরকারের কোন রকম সহযোগিতা না পাবার কথা, যদিও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পর্যন্ত সরকারী সাহায্য দিয়ে বেশ কিছু প্রকাশককে এখানে পাঠিয়েছে।
প্রতিটি দেশ তাদের রুচিমত সাজিয়েছে নিজস্ব এলাকা।
ইরান, তুরস্ক, রাশিয়া, চীন যেমন সাজিয়েছে বিশাল এলাকা, আবার ক্ষুদ্র আঙ্গিকে নিজেদের প্রকাশনা ও সংস্কৃতিকে নান্দনিক ভাবে তুলে ধরেছে আর্মেনিয়া, বুলগেরিয়া, মলদোভা, সার্বিয়া এমনকি সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ কসোভো।
সবচেয়ে অবাক করল কুর্দিস্তানের ( যে দেশটির স্বপ্ন বুকে লালন করে স্বাধীনতাকামী কুর্দিরা ) ব্যানারে জাঁকজমকপূর্ণ নানা রঙের স্টলগুলো, ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল পোশাক পরে আচ্ছে কুর্দি নারীরা।
অন্যন্য কারুকার্যময় ইরানি কবিতার বইগুলোর কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ করতেই হয়, ফারসি ভাষার সেরা কবি হাফিজ, রুমি, সাদী, ফেরদৌসীর নানা বই এমন ভাবে বাঁধাই করা আর ছাপানো যে ভাষা না জানলেও কেবল ঘরে রাখার জন্যই নিতে ইচ্ছে করে। ইরানিএলাকার সামনে কবি হাফিজের কবরের অনুকরণে নির্মিত একটি মিনার শোভা পাচ্ছে। স্টলের ভেতরে উৎসুক দর্শকদের মাঝে তারা বিতরণ করছে ইরানের মিষ্টান্ন ও পানীয়। আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কি অপূর্ব প্রয়াস !
ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলার সবচেয়ে হতাশাজনক ও অবাক করা ব্যপার হচ্ছে, এটা বই বিক্রির মেলা নয়, কেবল নতুন প্রকাশিত বইয়ের প্রদর্শনী, তা নিয়ে বই ব্যবসায়ীদের মাঝে বিকিকিনি আর পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যম। তাই নজরকাড়া বই দেখলেই কিনতে চাওয়ার পর বিফল মনোরথে ফিরতে হচ্ছিল বারবার। তবে আশার বাণী পাওয়া গেল, শেষের দিন, মেলা ভাঙ্গার আগে আগে অনেক প্রকাশনীই কিছু কিছু বই বিক্রি করে থাকে, প্রচলিত বাজারদরের চেয়ে বেশ সস্তায়।
প্রায় সব গ্যালারীর সামনেই চলছে নানা লেখকদের সাক্ষাৎকার, সেই সাথে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার।
জানা গেল নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস,ওরহান পামুক, সেলিব্রেটি লেখক পল কোয়েলহো সহ অনেকেই ইতিমধ্যেই ঘুরে গেছেন বইমেলার টানে। খানিক পরেই ভাষা হয়ে দাঁড়াল মূল সমস্যা। স্বাগতিক জার্মানি আর থিম কান্ট্রি তুরস্কের দখলে সিংহভাগ এলাকা, সেখানে কেবল তাদের ভাষারই জয়জয়কার। তাই ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলো যেখানে অবস্থান নিয়েছে সেই ৮ নম্বর গ্যালারীই আমাদের আপাত গন্তব্য।
মূল প্রবেশদ্বার থেকে পদব্রজে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে সন্ধান পাওয়া এই গ্যালারীতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড- এই ইংরেজিভাষী রাষ্ট্রগুলোর সাথে অংশ নিয়েছে হিব্রু ভাষী রাষ্ট্র ইসরায়েল!
আহ, কি অপূর্ব বইয়ের সম্ভার! অমূল্য সম্পদগুলো থরে থরে সাজানো। বিশ্বের হেন কোন বিষয় নেয় , যায় উপরে প্রকাশিত বই সেখানে নেয়!
একে একে ঘুরে দেখলাম বিশ্বখ্যাত প্রকাশনাগুলো- পেঙ্গুইন, ডি কে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, মাকগ্রো হিল, লোনলি প্ল্যানেট। মেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল অস্ট্রেলীয় প্রকাশকের ছাপানো দানবাকৃতির এক বই যার ওজন ছিল ২০ কিলোগ্রাম আর দাম বাংলাদেশী টাকায় তিন লক্ষ টাকা!
এর মাঝে আলাদা ভাবে নজর কাড়ল শিল্প, ইতিহাস, ভূগোল, প্রাণিজগৎ নিয়ে দুর্দান্ত সব ঝকঝকে মনকাড়া বই প্রকাশ করা হোয়াইট স্টার প্রকাশনার ভুবন,
বিশেষ করে যখন সেখানকার ইতালিয়ান বিক্রেতারা আশ্বাস দিলেন পরের দিন তারা বাজার মুল্যেই অর্ধেকেই সব বই ছেড়ে দেবেন! কাজেই সেদিনের মত ঘরে ফেরার পালা।
পরদিন ঠেসে খাঁটি জার্মান নাস্তা খেয়ে কাঁটায় কাঁটায় খোলার সময় হাজির হলাম মেলার মূল ফটকে, প্রথমেই সেই ইতালিয়ান দোকান। দুই বন্ধু মিলে একগুচ্ছ বই বাছাই করে নিজেদের সম্পদের অন্তর্গত করলাম, পরে বিমান বন্দরে ওজন করে দেখিছি- ৫০ কিলোগ্রামের উপর বই ছিল সেখানে!
বিশাল গ্যালারী জুড়ে চলছে অ্যান্টিক বইয়ের প্রদর্শনী, আরও আছে প্রাচীন ছাপচিত্র আর স্কেচের বিশাল সম্ভার। বেশ কিছু অ্যান্টিক বই চোখে পড়ল যাদের দাম কোটি টাকার উপরে !
আরেক হলঘরে ক্যালেন্ডারের অপূর্ব সংগ্রহ, দেয়ালে ঝোলাবার ক্যালেন্ডার যে কত বিচিত্র রকমের ও আকারের হতে পারে তা এখানে না আসলে জানা হত না।
সে দিন আবার হাজার হাজার তরুণ-তরুণী বই ও কমিকের নানা চরিত্র অনুযায়ী মেকআপ ও পোশাক পড়ে মজা করতে বাহির হয়েছে, হঠাৎ দেখে মনে হবে যেন যেমন খুশী তেমন সাজ প্রতিযোগিতা চলছে বিশাল আঙ্গিকে। ড্রাকুলা, ফ্রাঙ্কেনস্টাইন, পিনোকিও, পাইরেট, এলিয়েন কে নেই সেখান !
এর ফাঁকে ঘুরে আসলাম পেরু, চিলি, বলিভিয়া, ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকোসহ ল্যাতিন দেশগুলোর স্টল, সবার মাঝেই সুচারু ভাবে নিজের সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলবার চেষ্টা।
অনেক স্টলের দেয়ালে ঝুলছে তাদের লোকগীতিতে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র। এক জায়গায় কাঠের তৈরি বইয়ের প্রদর্শনী চলছে, পাশেই চিত্র- বিচিত্র মুখোশের ! কোনটা ফেলে কোনটা দেখি?
পরে ভারী বইগুলোর ভারে নুয়ে পরে যখন মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বাহির হচ্ছি, চারিদিকে তখন ভাঙ্গনের শুরু। মানব সাগরের মহা মিলন তীর্থে যেন ভাটার টান। বইমেলায় এই পাঁচ দিনে এসেছিল তিন লক্ষাধিক বইপ্রেমী।
আহ, স্বপ্ন সার্থক হল অবশেষে, নিজেকে মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ! সেই সাথে মনের গহনে উঁকি দিচ্ছিল এক অনাগত উজ্জল সম্ভাবনা, কোন না কোন বছর নিশ্চয়ই থিম কান্ট্রি হবে বাংলাদেশ, আমরাও বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে প্রদর্শন করব নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য। সরকার ও প্রকাশকমহলসহ অন্যান্যরা ভেবে দেখবেন কি দেশের জন্য কি গৌরবই না বয়ে আনবে সেই দিনটি।---- তারেক অণু
( এর পরে ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলার অমোঘ আকর্ষণে আবার গিয়েছিলাম গত বার ২০১০ সালে, প্রচুর বই কেনার আশায় একেবারে গাড়ী নিয়ে, কিন্তু সেই গল্প অন্যদিনের জন্য তোলা থাক। - অণু)
মন্তব্য
বই দেখলে এতো লোভ লাগে।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
হক কথা ! দশ কথার এক কথা!--- অণু
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
না না এ হতে পারে না... বলো, বলো এ মিথ্যে!
মস্করা করেন নাকি মশাই, গন্ধমাদন পর্বতের চেয়ে ভারী বইগুলো টানতে টানতে হাড়মাস কেলিয়ে গেল আর আপনি বলছেন সবই মায়া !!---- অণু
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এরকম ঝকমকে বইয়ের ছবি দেখলেই আমার ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমারও! বন আপেতিত !!
এত সুন্দর সুন্দর ছবি দেখলে উদাস লাগে। যাইতে ইচ্ছা করে
--স্বপ্নাদিষ্ট
=============================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
সত্য কথা ! বইয়ের ছবি দেখলেই মনে হয় এগুলো নিজেদের হলে কেমন হয় !--- অণু
আরে থুরিঙ্গেনেই তো থাকি! এবার যেতে হবে দেখি!
দারুণ লেখা। আপনাকে নানাভাবে হিংসা করতেছি দীর্ঘদিন থেকেই।
তারেক অণু ভাইকে একখানা একাউন্ট বরাদ্দ করবার জন্য মডুদের কাছে আবেদন জানাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তাই নাকি ! ওখানে যাওয়া হয়েছে আগে , বন্ধুদের সুবাদে। এর পরের বার আগিয়ে জানিয়ে আসব। ধন্যবাদ একখানা একাউন্ট বরাদ্দর সুপারিশ করাই, । আসলেই দরকার মনে হচ্ছে।--- অণু
সুখ পাঠ্য লেখা। আমি গিয়েছিলাম ১৯৯৫ তে। বিশাল ব্যাপার পৃথিবীর বৃহৎ বইমেলা বলে কথা। একদিক দিয়ে ঢুকে এদিক ওদিক না ঘুড়ে সোজাতম করিডোর দিয়ে বের হতে হাঁটতে হয় ২৬ কি,মি। এই মেলায় প্রথম প্রকাশিত সব গুলো বই পড়তে সময় লাগবে এ'কশ বছর। সর্ত হচ্ছে দৈনিক একটা করে বই পড়া।
তখনও বাংলাদেশের স্টলটা দেখে খুব খারাপ লেগেছে। বাংলাদেশী স্টলে যে কটা বই ছিল তার থেকে বেশী বই আমাদের ঘরেই আছে। প্রায় সব শহরেই নামী-দামী বইয়ের দোকানগুলো মেলায় যাবার টুরের আয়েজন করে। তাদের সাথে গেলে হোটেল-মেলার টিকেট-স্টলের নক্সা আগেই পাওয়া যায়। খরচটাও অনেক কম।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
দূর ! তাইলে অন্যান্য মেলার বই পড়ুম কখন !! ফ্রান্কফুটে যামুই না !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হা হা , হে হে, বেড়ে বলেছেন রণদা ! তবে না পড়লেও ঐ পরিবেশ অনুভবের জন্যই কিন্ত আসা যায়। শুভেচ্ছা- অণু
হা হা , প্রায় সব খানেই,কিন্তু তানিম ভাই, শিবলি এই গানটি লিখেছেন ইউরোপ আসার অনেক অনেক আগে। সেটাই ভাল হয়েছে অবশ্য, ঘুরে যাবার পর এতো এলোপাতাড়ি জায়গার নাম বলত না!! ঐ গান অনুকরণে ঘুরতে গেলে আদপেই খবর আছে।। চমৎকার গান--- অণু
হুমম, ২০১০ -এ বাংলাদেশের স্টল গুলোর কথা আর নাই বলি, বেশ কয়েকটা প্রকাশনী ছিল, কোন বই নাই- তো নাই ই, কোন মানুষও ছিল না , মনে হল আদম পাচার চলছে ! ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা বলার জন্য।- অণু
হুমম, ২০১০ -এ বাংলাদেশের স্টল গুলোর কথা আর নাই বলি, বেশ কয়েকটা প্রকাশনী ছিল, কোন বই নাই- তো নাই ই, কোন মানুষও ছিল না , মনে হল আদম পাচার চলছে ! ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা বলার জন্য।- অণু
”...... বইমেলায় নতুন বইয়ের গন্ধে/ মনে পড়েছে তোমায় ওই সিসটিন চ্যাপেলে/ মিকেল এনজেলোর মহান সৃষ্টি পিয়েতার সামনে দাড়িয়ে তোমাকে/ মনে পড়েছে খুব/ এথেন্সের কফিশপে - প্রিয় আকাশী, জমজমাট কবিতা পাঠের আসরে .....”
জেমসের ‘প্রিয় আকাশী” গানটি আমার নিদারুন পছন্দ, গান ধরে আর কোথায় গিয়েছিলেন বলুনতো!
হা হা , প্রায় সব খানেই,কিন্তু তানিম ভাই, শিবলি এই গানটি লিখেছেন ইউরোপ আসার অনেক অনেক আগে। সেটাই ভাল হয়েছে অবশ্য, ঘুরে যাবার পর এতো এলোপাতাড়ি জায়গার নাম বলত না!! ঐ গান অনুকরণে ঘুরতে গেলে আদপেই খবর আছে।। চমৎকার গান--- অণু
ব্যাপক হিংসা
তবে এত বড় আয়োজন মাত্র ৫ দিনের জন্য কেন?!!? একুশে বইমেলায় অন্তত ৭-৮ দিন যেতে না পারলেই আমার পেট কামড়ায়।
একই প্রশ্ন, তার উপর দর্শকদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২ দিন ! --অণু
বইসহ আপনার ছবিটা খুব ভালো লাগলো তবে হিংসা জাগানিয়া টাইপ।
এত বই বহন করতে হলে আর হিংসা না করে করুনা করতেন !! অণু
ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখার পূর্বশর্ত হচ্ছে ভালো ছবির সংযোগ। এই ছবি বহুল পোস্টটা তাই দারুণ লাগলো।
... ফ্রাঙ্কফুর্ট মেলার কথা ঢের পড়েছি। যেদিন জেনেছিলাম এটা প্রচলিত অর্থে যতটা বইমেলা, তার চাইতে অনেক বেশি প্রকাশকদের চুক্তি করবার মিলনমেলা- সেদিন থেকে যাবার ইচ্ছে অনেকটাই কমে গিয়েছিলো। তবে ছবি দেখে মনে হচ্ছে, কেবল বইপ্রেমী হিসেবেই এই মেলায় দেখতে যেতে হবে !!
... এই মেলা থেকে খুচরা বই কেনা যায় না বলে শুনেছিলাম, সেটা তাহলে ভুল ?? আর এই বইমেলায় কি কিছু ছাড়টাড় থাকে খুচরো বই কেনার জন্যে ??
ঐ যে বললাম, কিছু ভাল বই পাবেনই, সেই রকম দোকান খুজে পেতে হবে। আসলে মেলার সব বই দাতব্য কাজে দান করার কথা, এর মাঝে দুএক জন বিক্রি করে দেয়।
আমি কিন্তু লেখায় বেশী ছবি দেবার পক্ষপাতি নয়, কারণ অচেনা সে ভুবনের ছবি তো আমি লেখনীর মাধ্যমের ফুটিয়ে তুলতে চাচ্ছি, তারপরও এখানে মনে হচ্ছে ছবি দিলে উপভোগটা আরো বেশী হয়। ধন্যবাদ- অণু
ঠিকাছে।
আপনাকে আবারও 'মাইনাস'...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঠিক আছে, মাইনাসে মাইনাসে প্লাস ! অণু
দারুণ একটা মানস ভ্রমণ হলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্বাগতম। শুভেচ্ছা - অণু
পাগল হইয়া গেলাম!
facebook
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নতুন মন্তব্য করুন