বাংলাদেশে খুব ছোটবেলাতেই আমাদের সাধারণ জ্ঞানের বই দেওয়া হত, অবধারিত ভাবেই সেই পাৎলা বইয়ের শেষের দিকে থাকত হাতে আঁকা ছবি দিয়ে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ের( প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ, বর্তমান যুগ) মানুষের তৈরি সাতটি চোখ ধাঁধানো আশ্চর্যময় স্থাপত্যের বা আবিস্কারের কথা। যে গুলো মানুষের বিস্ময় উদ্রেক করে নির্মাণ হবার সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত, শত শত এমনকি হাজার হাজার বছর ধরে। সেই তালকায় স্থান পেয়েছে পাঁচ হাজার বছর আগের মিশরের পিরামিড থেকে হাল আমলের আবিষ্কার কম্পিউটার পর্যন্ত।
মধ্যযুগের সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে আছে মানুষের তৈরি সবচেয়ে নয়নাভিরাম স্থাপত্য বলে খ্যাত আগ্রার তাজমহল, চীনের প্রাচীর, রোমের কলোসিয়ামসহ ইতালির পিসা শহরের হেলানো টাওয়ার! হেলানো টাওয়ার, এ কি অদ্ভুত নাম !! টাওয়ারের ছবিটাতেও দেখতাম সুদৃশ্য এক টাওয়ার যেন শূন্যে একপাশে বেশ খানিকটা হেলে আছে! আর এই হেলে থাকার জন্যই সে সপ্তাশ্চর্যের একটি হবার কালজয়ী গৌরব অর্জন করেছে। চলুন পাঠক, ঘুরে আসি বিশ্বের বিস্ময় পিসার হেলানো টাওয়ার থেকে।
আর্টের শহর খ্যাত ফ্লোরেন্সে ট্রেনে চেপে বসেছি পিসা যাবার আশায়, পথ সঙ্গী ইতালির বোলগনা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মণি ভাই, এব ঠিকঠাক চললে ঘণ্টা খানেকের মাঝেই গন্তব্যে পৌছে যাব, এর মধ্যেই একই ষ্টেশনে ট্রেন আর প্ল্যাটফর্ম বদল করতে হয়েছে চার চার বার! কারণ, প্রচলিত এক কৌতুক আছে- স্বর্গ কি ? যেখানে রাঁধুনি ফরাসী, পুলিস ইতালিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার জার্মান আর সবকিছুর তত্ত্বাবধানে আছে ইংরেজরা! আর নরক-- যেখানে রাঁধুনি ইংরেজ, পুলিস জার্মান, ইঞ্জিনিয়ার ফরাসী আর সবকিছুর তত্ত্বাবধানে আছে ইতালিয়ানরা!! কাজেই সাধু সাবধান! বুঝে নিন এক প্ল্যাটফর্ম থেকে আরেক প্ল্যাটফর্মে এতবার দৌড়াদৌড়ি করে গলদঘর্ম হয়ে মেজাজটা কি রকম খিচড়ে আছে। শুধু বাংলাদেশ রেলওয়ের দোষ, ইতালিয়ান লোকাল ট্রেন সার্ভিসও কম যায় না- এমন সব শাপ-শাপান্ত করছি আপন মনে, এই সময় এক ইতালিয়ান ব্যাটা আবার খামোকা উপযাজক হয়ে বলতে এল- এমনটাতো সচরাচর হয় না, নিশ্চয়ই বড় কোন সমস্যা হয়েছিল, দুঃচিন্তা করো না ! ব্যাটা কি নিছক ফাজিল না অতীব বন্ধু বৎসল? যা হোক, ট্রেন ফ্লোরেন্স ছাড়ল অবশেষে, ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই আমাদের যাত্রাপথে হাজির পিসা!
পিসা অনেক প্রাচীন শহর, মহাকালের ঠিক কোন পর্যায়ে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল তার সঠিক সুলুক সন্ধান বাহির করতে না পারলেও খোদ রোমান ঐতিহাসিকদের নথি পত্রে পিসার উল্লেখ আছে প্রাচীন নগরী হিসেবে! ইতিহাসের ছোঁয়া এর পরতে পরতে।
ষ্টেশনের বাহিরে পা দিতেই মনটা রোমাঞ্চে ভরে উঠল। উঠবে না! পিসার আরেক পরিচিতি যে বিশ্ব-বিদ্যালয়ের শহর হিসেবে, যেখানকার সবচেয়ে বিখ্যাত ছাত্র ছিলেন এই শহরেই জন্ম নেওয়া জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলেই! কিংবদন্তী বলে তার বহুল পরিচিত গিনি ও পালকের পরীক্ষার একটি অংশ দুটি ভিন্ন ভিন্ন ভরের কামানের গোলার সাহায্যে তিনি হাতে কলমে করে দেখিয়েছিলেন পিসার টাওয়ার থেকেই( এটা প্রমানের জন্য যে বায়ুশূন্য পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন ভরের পড়ন্ত বস্তুর গতিবেগ সমান)। তবে বাস্তবে এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না যে গ্যালিলিও আসলেই পরীক্ষাটি এখানে করেছিলেন।
আধুনিক পদার্থবিদ্যার জনক গ্যালিলিওর সময় থেকে যে পিসা খুব বেশি পরিবর্তিত হয়েছে তা নয়, গুটি গুটি পায়ে সমস্ত শহর পরিভ্রমণ করে হাজির হলাম শহরের আরেক মাথায়, এক গলির মোড়ে বাঁক ঘুরতেই চোখে পড়ল দিগন্তে থাকা অতি পরিচিত এক কাঠামো- পিসার হেলানো টাওয়ার !
অতি সুদৃশ্য এই স্থাপত্য দেখতে অবিকল ছোটবেলার সাধারণ জ্ঞানের বইতে দেখা ছবির মত, আশ্চর্য ধরনের বাঁকা হয়ে আছে! মনে হল আরব্যোপন্যাসের কোন মহাশক্তিধর দৈত্য যেন ঠেলে মাটিতে ফেলার চেষ্টা করছে এই সুপরিচিত অবয়বকে।
সারাবিশ্বের প্রতিটি দেশের লোক এসে মনে হল ঠাই নিয়েছে এই বিস্ময়ের সামনে, এশিয়ানরাই তাদের মাঝে দলের ভারী। যদিও প্রথম দেখায় মনে হল সবাই টাওয়ার অবলোকনের চেয়ে তার সামনে হাস্যকর এই তাই-চি ভঙ্গিতে ছবি তুলতে ব্যস্ত, যাতে ছবিতে মনে হয় তারাই আঙ্গুল দিয়ে টাওয়ারটিকে হেলায় ফেলে দিচ্ছে !
শুধুমাত্র ক্লিক ক্লিক করে ছবি তলায় মশগুল পর্যটকদের ভিড়ে না ভীড়ে সোজা এসে দাঁড়ালাম সেই মিনারের যত কাছে সম্ভব। কি নয়নাভিরাম, কি সুক্ষ কারুকার্য! সারি সারি কলাম, একের পর এক খিলান উঠে গেছে, চক্রাকারে। প্রায় ১৮৪ ফুট উঁচু পিসার এই টাওয়ারটি হেলানো অবস্থায় অবস্থান না করলেও নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত নয়নাভিরাম স্থাপত্য বলে স্বীকৃতি পেত, কিন্তু হয়ত বা বিশ্বের বিস্ময় বলে পরিচিতি পেত না।
হেলানো টাওয়ার কেন হেলানো?
পিসার টাওয়ার স্থাপনের কাজ প্রথম শুরু হয় ১১৭৩ সালে, একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত ক্যাথেড্রালের ঘণ্টা স্থাপনের জন্য গোলাকার স্তম্ভের মত স্থাপত্য হিসেবে। নির্মাণ কাজ চলে নানা নাটকীয় ঘটনা ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে সুদীর্ঘ ১৭৭ বছর ! কিন্তু টাওয়ারের রহস্যময় হেলে পড়া শুরু হয় ১১৭৮ সালে, মাত্র তৃতীয় তলার কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরপরই। ধারনা করা হয় এর ভিত্তিতে মাটি ছিল নরম ও ঝুরঝুরে, অর্থাৎ স্থাপত্যের জায়গা নির্বাচনই ছিল ভুল। কিন্তু সে সময়কার স্থপতিরা অপরিসীম মেধার পরিচয় দিয়ে ক্রমান্বয়ে গড়ে তুলতে থাকেন একের পর এক তলা, এই ক্রমশ বাঁকা হতে থাকা ভিত্তির উপরই।
বর্তমানে পিসার হেলানো টাওয়ার তার ভরকেন্দ্র থেকে প্রায় ১৩ ফিট অন্যদিকে হেলে আছে! অর্থাৎ টাওয়ারটি স্বাভাবিক ভাবে অবস্থান করলে ১৪৫০০ মেট্রিক টনের মানুষের তৈরি দুর্ঘটনার শিকার এই বিস্ময়টি ১৩ ফিট সরে খাঁড়া ভাবে অবস্থান করত।
হেলানো টাওয়ারের ভবিষ্যৎ- শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ চেষ্টা করে গেছে পিসার টাওয়ারের পড়ে যাওয়া রোধ করতে, সবই পণ্ডশ্রম। সমস্ত প্রচেষ্টাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়মিত ভাবে প্রতি বছরই এক মিলিমিটার হেলতে থাকে তা, যার অর্থ ভবিষ্যতে বিস্ময়টি একদিন ভূপাতিত হতে বাধ্য! এই হেলতে থাকা ঠেকাতে চলতে থাকে নানা চেষ্টা, অবশেষে ১৯৯৮ সালে এসে এক ফলপ্রসূ উপায়ের সন্ধান পাওয়া যায়। বিশেষ ধরনের কাঠামো তৈরি করে নানা পদ্ধতিতে এই বিশাল স্থাপত্যকে প্রায় ধরে-বেধে প্রকৌশলীরা এর নিচ থেকে আস্তে আস্তে আলগা মাটি সরিয়ে নেন, সেই জায়গা নিরেট করে পূরণ করার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ ওজনদার বস্তু হেলে পড়ার উল্টো দিকে চাপিয়ে দেন। ফলশ্রুতিতে এতো আর হেলছেই না বরং কিছুটা খাঁড়া অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়, এক সময়ে ৫ মিটারের অধিক হেলে থাকা টাওয়ারটি এখন প্রায় ৪ মিটার হেলে আছে!
সারাবিশ্ব থেকে ফি বছর কোটি কোটি মানুষ ছুটে আসে পিসার টাওয়ারের একমেবাদ্বিতীয়ম সৌন্দর্য উপভোগের আশায়, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে নে না যে পিসার টাওয়ার প্রাঙ্গণে স্থাপিত চার-চারটি শ্বাসরুদ্ধকর অপূর্ব স্থাপত্যের একটি কেবল ঘণ্টা বাজানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত এই মিনার, কিন্তু আরও আছে ক্যাথেড্রাল, ব্যাপটিস্ট্রি হল এবং ক্যাম্পোসানতো! সেই সাথে সবুজ গালিচার মত মখমল ঘাসের প্রাঙ্গণ এই টাওয়ার স্কয়ারকে পরিচিত করেছে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর স্কয়ারে। এমনকি ইতালির মতো দেশে যেখানে সুন্দর সুন্দর স্কয়ারের ছড়াছড়ি প্রতিটি শহরেই, সেখানেই ধরা হয় পিসার স্কয়ারের স্বর্গীয় সৌন্দর্যের সাথে পাল্লা দিতে পারে এমন স্কয়ার খোদ ইতালিতেই আছে মাত্র একটা- ভেনিসের সেন্ট মার্কো ক্যাথেড্রালের স্কয়ার!
টাওয়ারের পর আমরা এগোলাম ক্যাথেড্রালের দিকে, যা কিনা পিসার টাওয়ারের চেয়েও পুরনো। সুবিশাল স্থাপত্য, ভিতরে- বাহিরে জাকজমকের ছড়াছড়ি, বোঝাই যায় কি ঐশ্বর্যশালী ছিল যাজক সম্প্রদায়।
ক্যাথেড্রালের ছাদ দেখতে যেয়ে আক্ষরিক অর্থেই চোখ কপালে উঠে গেল, গোটা সিলিং সোনালী রঙের প্রলেপ দেওয়া ধাতব পদার্থে তৈরি, চারকোনা অসংখ্য ফ্রেমে দারুন সব গিল্টি করা কাজ।
ভিতরটা বিশাল, চারিদিকে চিত্রকর্মের ছড়াছড়ি, মাঝখানে ছাদ থেকে ঝুলে থাকা এক ঝাড়বাতি। কিংবদন্তী বলে গ্যালিলিও গ্যালিলেই এক ঝড়-বাতাসের রাতে এই বাতির দোলন দেখেই তার বিখ্যাত পেন্ডুলামের দোলন সূত্রগুলোর কথা প্রথম চিন্তা করতে থাকেন!
এর পরেই ব্যাপটিস্ট্রি হল দেখতে গেলাম বাহির থেকে, সময়ের স্বল্পতায় এযাত্রা আর ভেতরে ঢোকা হল না, বাহির থেকেই নয়ন ভরে উপভোগ করলাম এর তিলোত্তমা সৌন্দর্য।
এর পরে ক্যাম্পোসানতো, অন্য তিন বিশালাকার অপার্থিব সৌন্দর্যের অধিকারী স্থাপত্যের কাছে প্রথম দর্শনে একে বেশ ম্রিয়মাণ মনে হলেও পরে জানা গেল এর আসল রহস্য। ক্যাম্পোসানতো আসলে এক দেয়াল ঘেরা সমাধি স্থল, অনেকের মতেই এত বিশ্বের সুন্দরতম ও বিচিত্রতম সমাধি হলঘর। ধারণা করা হয় চতুর্থ ক্রুসেড চলাকালীন সময়ে সুদূর গোলগাথা থেকে আনা পবিত্র মাটিকে কেন্দ্র করে এই অদ্ভুত আবেদনময়ী স্থাপত্যটি তৈরি হয়।
ক্যাম্পোসানতোর এক পাশের ঘরে পিসার টাওয়ারে ওঠার টিকিট ঘর। অতিমাত্রায় সংবেদনশীল বিধায় প্রতিবারে মাত্র ৪০ জন দর্শনার্থী টাওয়ারে উঠতে পারে, তাদের অবস্থানের সময় সেখানে মাত্র ১৫ মিনিট, এর মধ্যেই তারা প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে ৮ তলার ঘণ্টা বাজানোর প্রকোষ্ঠে উঠে আবার নেমে আসেন। লোভ যে হল না তা নয়, কিন্তু তখন আঁধার ঘনিয়ে আসছে পিসার বুকে, আমাদের ট্রেনেরও সময় হয়ে যাচ্ছে। তাই মনকে সান্ত্বনা দিয়ে চট করে কিছু ছবি তুলে ষ্টেশনের পথে আবার, পরবর্তী গন্তব্য - রোম।
মন ভরে আছে বিশ্বের এক বিস্ময়কে কাছ থেকে অবলোকনের অপার সুখানুভূতিতে।।---- তারেক অণু
মন্তব্য
চমৎকার!
প্যারাগুলো ঠিকমত আসে নাই। ছবির বিন্যাসের জন্য লেখাটার ফ্লো কিছুটা কমে গিয়েছে। আপনি ক্যাপশান দিয়ে ছবিগুলোকে আরেকটু সুন্দর করে সাজালে পড়তে আরাম হবে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুমম, ঠিক বলেছেন। পরের বার দেখি আরেকটু ভাল হয় না কি। - অণু
ভালো লাগলো।
... উদাস
ধন্যবাদ।- অণু
বাঃ দারূণ। একটানে পুরোটা পড়ে গেলাম।
ধন্যবাদ, যাহ্, তাহলে তো একটানে আরেকটা লিখতে হয় ধৈবত দা ।- অণু
ক'দিন পরেই আর আপনাকে হিংসা করব না। আপনি সেই সীমা ছাড়িয়ে যাবেন বলে মনে হচ্ছে!
ইউরোপে আছি, অথচ কিছুই দেখা হল না!
তয়, দেইখেন, একদিন আমিও!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ, দেইখেন, একদিন আমরাও ! আরে শুরু করবেন আস্তে ধীরে--- অণু
হেলানো টাওয়ার তাইলে আর হেলবে না?? ভ্রমনে টাওয়ার আপনে উঠেন নাই দেইখা আমার মন খারাপ মিয়া
আপাতত যেন না হেলে সেই ব্যবস্থায় তো চলছে ! আমার কিন্তু মন খারাপ হয় নাই, পরের বার উঠব, একবারেই সব করার দরকারটা কি!! ডিসেম্বরে থাকব ফ্লোরেন্সে তখন হয়ত একটা চেষ্টা করা যেতে পারে। শুভেচ্ছা- অণু
ইটালির ট্রেনের কথা দেখি বন্দনাও বললেন। হুম...
কিছু ভালো পর্যবেক্ষণ লিখেছেন। যেমন, প্রাচ্য-পর্যটক-আধিক্য, বা যাজকদের প্রাচুর্য্য।
বাকি কথা আর বারবার বলতে ভাল্লাগেনা!
জার্মানরা কিন্তু তাদের ট্রেন নিয়ে বিরাট খ্যাপা! ঠিক সময়ে আসলেই অবাক হয়!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমরা যখন ডয়েশবানে ঘোরাঘুরি করেছি তখন কিছু সমস্যা দেখিনি। তবে আমরা অফ-পিক ট্রেন নিতাম...
আরে অত খারাপ না। ঐ একবারই এমনটা হয়েছিল!! ইতালিতে দাদা ট্রেন খারাপ হয়ে থেমে গেলেও লাভ, যে প্যানরোমিক ভিউ!!! শুভেচ্ছা - অণু
ইস এই পিসায় যেতে পারিনি সময়ের অভাবে, কিন্তু খুব ইচ্ছে ছিলো, ছবিগুলো দেখেই আপাতত মন ভরাই, যদি কখনো আবার সুযোগ হয় দেখতে যাব।
অবশ্যই !! সে আর বলতে, শুভেচ্ছা- অণু
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
-
পরবর্তী সুখানুভুতির অপেক্ষায় থাকা হলো! আপনার পোষ্ট পড়ে সোয়াদ মেটে কিন্তু মনের মধ্যে মাঝে মাঝে একটা কাঁটা খচ করে উঠে - চর্মচক্ষে কতকিছু দেখার বাকী রয়ে গেলো!!
না রে ভাই, আমরা না দেখা টা বেশী চিন্তা করি, কিন্তু কত কিছু যে দেখা হল তার কথা ভুলে যায়! পরের পোষ্ট আসছে তাড়াতাড়ি, বিশ্বের অদ্ভুততম জনপদ নিয়ে। অণু
ইউরোপের ট্রেনের কথা বললে সবার আগে আসবে স্পেনের নাম। সবচাইতে সুশৃখঙ্গল। রেল ইঞ্জিনীয়ারিং এ স্পেনের সুনাম আছে।
পিসার টাওয়ারে উঠার শখ আমারও ছিলো, উঠা হয়নাই উচ্চমূল্যের টিকিটের কারণে। একা গেলে অবশ্য উঠেই যেতাম, কিন্তু আমাদের দল ছিলো ১৬ জনের।
তবে আমার নজর কেড়েছিলো ক্যাথেড্রালের দরোজা। অদ্ভুত মেটালের কাজ ছিলো সেখানে।
আপনার ভ্রমণ কাহিনী ভালো লাগছে। সাথে ছবিও। পর্যাপ্ত আলোতে পিসার টাওয়ার বা ক্যাথেড্রালের দেয়ালের রঙ মেনে হয় ছিটকে আসে, সেটা মিস করেছেন।
পিসা নিয়ে আমার লেখাটা এখানে
...........................
Every Picture Tells a Story
ভালো লাগল আপনার লেখা, চমৎকার! হ্যাঁ ভাই, দিনটিতে আলো একটু কমই ছিল, পরের বার পুষিয়ে যাবে আশা করি। শুভেচ্ছা- অণু
অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। মধ্যযুগের 'সপ্তাশ্চর্য' নিয়ে ধারাবাহিক লেখার একটা চিন্তা আছে, দেখা যাক। ছবির ব্যপার বুঝতে একটু দেরী হচ্ছে, ঠিক হয়ে যাবে আশা রাখি, শুভেচ্ছা- অণু
'পিসার হেলানো টাউয়ার' নামটির মধ্যেই যেন কেমন একটা রহস্য লুকিয়ে আছে! আমিও সাধারণ জ্ঞানের বইতে প্রথম নামটি পাই; কিন্তু পত্রিকা বা টেলিভিশনে অন্যান্য 'সপ্তাশ্চর্য' যতটা এসেছে, 'পিসার হেলানো টাউয়ার' ততটা আসেনি। আর এজন্য স্থাপত্যটি সম্পর্কে জানারও তেমন সুযোগ হয়নি। ধারনা করে নিয়েছিলাম, এটিও বুঝি প্রাচীনকালের সপ্তাশ্চর্য 'ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান' এর মতো ইতিহাসের গর্ভে বিলুপ্ত হয়ে গেছে! ভুল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য লেখককে অশেষ ধন্যবাদ!
শুরুর কৌতুকটি অসাধারণ হয়েছে। আর 'টাওয়ার কেন হেলানো' সেই ব্যাখ্যা না দিলে লেখাটি বোধহয় সম্পূর্ণ হতো না। তাছাড়া ছবিগুলোও লেখাটি হৃদয়ঙ্গম করতে যথেষ্ট সাহায্য করেছে; তবে ছবিগুলো টাইটেলসহ সঠিক জায়গায় সন্নিবেশিত হলে পাঠকদের জন্য আরও সুবিধা হতো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। মধ্যযুগের 'সপ্তাশ্চর্য' নিয়ে ধারাবাহিক লেখার একটা চিন্তা আছে, দেখা যাক। ছবির ব্যপার বুঝতে একটু দেরী হচ্ছে, ঠিক হয়ে যাবে আশা রাখি, শুভেচ্ছা- অণু
শুভেচ্ছা...
ভালো লাগলো লেখাটা, বেশ বেড়ানো হয়ে গেলো... ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া-- অণু
'ইনফারনো' পড়তে গিয়ে ফ্লোরেন্সের কথা জানতে মন চাইল।
আপনার পোষ্টগুলি আসলেই অনেক ইনফরমেটিভ, বাংলায় এইসব লেখা পাওয়া পাঠকদের জন্য সৌভাগ্য।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নতুন মন্তব্য করুন