আজকাল বিভিন্ন ব্লগে আস্তিকতা বা নাস্তিকতা নিয়ে ভয়ানক আলোচনা হচ্ছে। স্পস্ট দুইটা পক্ষ দেখা যাচ্ছে। পক্ষ দুইটা যুক্তি, পাল্টা-যুক্তি, কু-যুক্তি দিয়ে সমানে লড়ে যাচ্ছে। প্রতটি ক্ষেত্রে এমন একটা সুর “আমি যেভাবে ব্যখ্যা করছি সেটাই সঠিক, আর সবাই ভুল”। পুরো ব্যাপারটা কি হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে না? যতক্ষণ আমি কারো ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করছি, ততোক্ষণ আমি আস্তিক নাকি নাস্তিক সেটা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয় নয় কি? সুতরাং আমি নামাজ পড়ব না পূজা করব নাকি আকাশের তারা দেখব সেটাতো আমার সিধ্যান্ত। কেউ যদি নাস্তিক হয়েও উন্নত মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হয়, তাহলে সমস্যা কোথায়? আবার এই একই কথা আস্তিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত। ঈশ্বর বিশ্বাস আছে নাকি নাই, এইটা নিয়ে তর্ক করার উদ্যেশ্য কি মানুষের ভেতরের অন্ধকার দূর করা? নাকি এগুলো সব পেজ র্যাঙ্ক বাড়ানোর উদ্দেশ্য? আমাদের চারিদিকে এত সমস্যা যে আমরা সেগুলো নিয়ে সময় কাটালে এক/দুইটা জীবন শেষ হয়ে যাবে। এত কষ্ট করে পড়ালেখা শেখার পরও যদি কারো ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র, মূল্যবোধ, সৎ নৈতিক চরিত্র তৈরি না হয় তার অর্থ হল প্রচলিত পড়ালেখা মূল্যহীন। আর আমাদের প্রচলিত পড়ালেখা যদি মানুষকে এইসব না দিলো অথবা মানুষের পথ খুঁজে নেওয়ার শিক্ষা না দিল তাহলে তো এই আস্তিক নাস্তিক বিতর্কের আর কোন মূল্য থাকে না। আমি আমার জ্ঞান যতই বিতরন করি, তার কোন ফলাফল তো পাওয়া যাবে না।
আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা এখন গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের সীমিত সুযোগ সুবিধার ভিতরে বদ্ধ না থেকে তারা বাইরে বের হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সামনে দাঁড়াচ্ছে। কোথাও সফল হচ্ছে, কোথাও বা লুকিয়ে কাঁদছে। তাদের বিভিন্ন সহযগিতার প্রয়োজন পড়ছে, তারা পাচ্ছে কি? আমাদের দেশের পড়ালেখা বিশ্বের কোথাও স্বীকৃত নয়, এইটা নিয়ে কেউ কাজ করছে না। ভারতের সাথে আমাদের এত রেষারেষি, আমরা তাদের সহ্যই করতে পারি না, কিন্তু ওদের পজিটিভটাতো গ্রহণ করতে পারি? আমরা কি শিখতে পারি না যে কিভাবে ওরা ওদের দেশের ছেলে মেয়েদের জন্য গোটা পৃথিবীটা উন্মুক্ত করে দিচ্ছে? দেশের বাইরে প্রতিটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের একা কাজ করতে হয় কেনো? দয়া করে বিশ্বাস করুন। দেশের সবাই ইউরোপ-আমেরিকা চোলে যাচ্ছে আর আমি আফ্রিকার এক দরিদ্র দেশ মোজাম্বিকে কাজ করছি, সুতরাং ধরে নিলাম কিইবা আর জানি। কিন্তু আজকে এক মহিলা এক ট্যাব্লেট পিসি হাতে নিয়ে হাজীর – উদ্দেশ্য হল এই এলাকার সব মানুষের নাম এই এলাকার সংশ্লিষ্ট হাস্পাতালের সাথে রেজিস্ট্রি করা! আমি পুরাই টাস্কিত (দুঃখিত, উপযুক্ত শব্দ পেলাম না) অবস্থায় আছি। গত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এখানে নেতারা টাকা পয়সা লুটে পুটে খাইতে নিজের নিজের মত ব্যাস্ত ভয়ঙ্করভাবে, তারপরেও এই সব এরা করে কিভাবে? কেম্নে কি? কি নিয়ে শুরু করেছিলাম, কোথায় চলে এসেছি। আসলে এত দুঃখে লিখছি যে ঠিকমত প্রকাশ করতে পারছি না। মূলত বলতে চাচ্ছিলাম যা তা হল আপ্নারা অনেকে অনেক কিছু জানেন, অনেকের থেকে অনেক বেশি জানেন, অনেক ভাল জানেন – তাই আপনাদের জ্ঞান অর্থহীন তর্ক-বিতর্কে খরচ না করে কিছু গঠনমূলক চিন্তা করি আসেন। দয়া করে আমাদের পথ দেখান যে কিভাবে প্রফেশনালী প্রতিযোগিতা করব, কিভাবে নিজের জীবনে সততার চর্চা করবো, কিভাবে নিজের মূল্যবোধ আরোও উন্নত করব, কিভাবে নিজের উন্নতির সাথে সাথে দেশের আর একটা ছেলে/মেয়েকে তুলে নিয়ে আসব, কিভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দাঁড়ায় থাকব ইত্যাদি ইত্যাদি। দয়া করে আমাদের সাথে শেয়ার করেন কিভাবে আপ্নারা আজকের এই অবস্থানে পৌঁচেছেন। আপনারা বলবেন এইসব নিএ বিভিন্ন ব্লগে বহুবার বলা হয়েছে, কিন্তু বিঃশ্বাস করুন এটা যথেষ্ট নয়। (দয়া করে বানান ভুলগুলো ক্ষমা করবেন কারণ বাংলা লেখার অনভ্যাসে অনেক বানান ভুলে গেছি, তবে চেষ্টা করছি ভুল গুলো ঠিক করে নেওয়ার)
কল্যাণ
মন্তব্য
বিতর্কের দরকার আছে। কিন্তু বেহুদা বিতর্কের পক্ষে না। ভালো থাকবেন।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
- কল্যাণ
সাধারণভাবে কে নিজে কোন ধর্ম পালন করলো সেটাতে আমার কিছু যায় আসে না এবং সে ব্যাপারে আমার কিছু বলারও আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু যখন কারো কোন ধর্মীয় বিশ্বাস অথবা অভ্যাস প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে আমাকে আঘাত করে, অথবা, আমার আশপাশের একটা অংশকে প্রভাবিত করে যে অংশ আমার সাথে সোজাসুজি সম্পর্কিত - তখন সেই ধর্মবিশ্বাসের ব্যাপারে কথা বলার অধিকার আমার আছে বলেই আমি মনে করি।
কেউ যদি আমার মা/বোন/বান্ধবী/প্রেমিকা/স্ত্রীর (উদাহরণ হিসেবে বলা, শুধুমাত্র এই কয়েকজন ব্যক্তিতে ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ নয়) সম্পর্কে কোন বাজে মন্তব্য করে, তাহলে সেটা বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আমার পক্ষে স্বাভাবিক, যদি না আমি চরম কাপুরুষ হয়ে থাকি - একই কারণে কোন তথাকথিত ঐশী বাণী যদি তাঁদের সম্পর্কে কোন অবমাননাকর মন্তব্য করে, তাহলেও একইরকম রিঅ্যাকশন দেখানোটাও একই কারণে স্বাভাবিক - যদি না আমি ভন্ড হয়ে থাকি।
আপনার লেখায় যে সব ব্যাপারগুলোর নিয়ে আলোচনা করতে চাওয়া হয়েছে সেগুলো নিঃসন্দেহে দরকারী। তার মানে এই নয় যে শুধুমাত্র সেগুলোকে নিয়েই কথা বলতে হবে বা অন্য কোন ব্যাপারে কথা বলা যাবে না।আপনার বক্তব্য যদি হয়ে থাকে অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারে কথা না বলে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শক্তিটাকে ব্যবহার করার, আমি একমত। আর যদি হয়ে থাকে ধর্মের ব্যাপারে কথা না বলে অন্য সব ব্যাপারে কথা বলার, আমি একমত নই।
ব্যপারটা বোধকরি ধর্মবিশ্বাস অপেক্ষা মূল্যবোধের, শিক্ষার, চেতনার এবং সর্বোপরি বিবেকের। আমরা ধর্মকে চিরদিনই নিজেদের স্বার্থ আদায়ের জন্য ব্যবহার করতে পছন্দ করি। ধর্মের যেটা আমার পছন্দ সেটা ঠিক যেটা পছন্দ নয়া সেটা no big deal.
যুক্তি তর্ক আমাদের চিন্তার জগতটাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। তাই যুক্তি প্রতিযুক্তি চলতেই থাকবে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের যুক্তির এই প্রাখর্যকে আমাদের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করি তাহলে আমাদের শিক্ষা বাড়বে। আমাদের মননশীলতা বাড়বে। আমাদের হয়ত তখন আর এত কিছু বলে মানুষের আস্তিকতা বা নাস্তিকতার পক্ষে সাফাই গাইতে হবেনা।
- কল্যাণ
ভাল হয়েছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ঠিক অর্থ করেছেন, ধন্যবাদ
- কল্যাণ
যথার্থ। বাংলা ব্লগস্ফিয়ারে বিদগ্ধ পণ্ডিতের অভাব নেই, কিন্তু দশের-দেশের চাকা বেশীরভাগ সময় ঘুরছে সেই পেছনেই।
আপনার এমনটা মনে হওয়ার কারণ কী? আপনি কী পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন দেশের মানুষ কত ঘন্টা ব্লগিংয়ের জন্য ব্যয় করে, তার মাঝে কত ঘন্টা প্রোডাক্টিভ? ব্লগের বিদগ্ধ পন্ডিতরা কী ধরনের লেখা লিখেন, চর্চা করেন সে সম্পর্কে আপনার আইডিয়া কতটুকু?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দয়া করে মূল বিষয়ের সাথে থাকুন।
মূল বিষয়ের সাথেই আছি। মিলু ভাই একটা মন্তব্য করলেন, আমিও তার কাছে একটা প্রশ্ন রাখলাম। পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়েই তো কথা হচ্ছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ঈশ্বরের স্বরূপ নিয়ে যদি কোন বিতর্ক তো আর আজকে না, অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। এই বিতর্কের গঠন কিন্তু সময়ের সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। ধর্ম সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী দ্রুত পাল্টাচ্ছে। আমার কাছে এই বিতর্ক অর্থহীন মনে হয় না। বরং যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে মানুষের চিন্তার প্রেক্ষাপট ও বিবর্তন বুঝতে পারা যায়। সবাইকে দৃষ্টিগ্রাহ্য-উৎপাদনশীল-শিক্ষামূলক ব্লগ পোস্ট দিতে হবে আর তা দিলেই উন্নতি অবধারিত এমন সমীকরণ অযৌক্তিক। "গঠনমূলক চিন্তা" এই টার্মটাই ব্যক্তিনির্ভর। কাজেই আস্তিক-নাস্তিক তর্ক হলেই তা ক্যালরির অপচয় এমন ভাবাটা ভুল।
আপনার পোস্টের মূল বিষয়বস্তুর সাথে একমত নই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দেশের পরিস্থিতির দায় অবশ্যই ব্লগের ওপর বর্তায় না। তবে ইদানিং যে জোরালো হারে ব্লগে হাসান সাঈদ-পরিমলমনা ব্যাক্তিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে তারই প্রেক্ষিতে জেনারালাইজ করেছি। অন্য কিছু মিন করতে চাইনি, দুঃখিত।
আমি সবসময়ই বিতর্কের পক্ষে। তবে সেটা যখন নোংরা গালাগালে রূপ নেয়, তাকে নিশ্চয়ই অযথা শক্তিক্ষয় আখ্যা দেয়া যায়। এই পয়েন্ট থেকেই কথাটা বলেছিলাম।
ভাই কল্যান, আপনার সাথে একমত হতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হল না, এখন জ্ঞানী-গুনী ভাইবোনেরা এ আকুতিটুকু শুনলেই হল। অবস্থা যে কতটা খারাপ হইতেছে দিনের পর দিন, এটা কেউ যেন উপলদ্ধি করতে চাইতেছে না ॥ পুরা জাতিটাই উটপাখির মত বালুতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ॥ ব্লগ পড়তে ভাল লাগে, খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি, আশা করি যে সচলায়তন সত্যি সত্যি একদিন আমাদের সব অচলায়তনগুলো ভেঙে দিবে.... সচলায়তন ছাড়া অন্য কোন ব্লগে মন্তব্যও করিনা, কিন্তু আজকাল এখানেও দেখি একইরকম পরিস্থিতি, মাঝে মাঝে খুবই অবাক লাগে, ধর্ম-আস্তিকতা-নাস্তিকতা এসব বিষয়ে জ্ঞান আহরন আর বিতরনের লড়াই দেখে ! অথচ কত জরুরী বিষয়ে সমাধান বাকী, কত কত জরুরী বিষয় এখানে আলোকপাত করা যাইত !!
ভাই কল্যাণ, আমার মনে হয় ব্লগ কেবলমাত্র সমাজের সব অচলায়তন ভেঙ্গে দেয়ার জন্যেই নয়। এখানে কেবল ভাল, ভাল নীতিকথা আর সমাজগঠনমূলক আলোচনা হবে ব্যাপারটা এরকম না। এখানে ব্লগাররা গল্প লেখেন, কবিতা লেখেন, কিভাবে চিন্তা করছেন, কী চিন্তা করছেন সেটা লেখেন, সমাজের অচলয়াতন ভেঙ্গে দেয়ার জন্যেও লেখেন। এই সব রকম সব স্বাদের লেখা আর লেখক আছেন বলেই, অনেক রকম চিন্তা ভাবনার খোরাক আসে বলেই কিন্তু আমরা এখানে আসি। শুধু পথপ্রদর্শক হিসেবে উপদেশ আর গিয়ানের বাণী উৎপাদন করলে এর পাঠকপ্রিয়তা কিন্তু শূণ্যের কোঠায় ঠেকবে।
তবে এটা ঠিক মাঝে মাঝে ধর্ম-অধর্ম, নাস্তিকতা-আস্তিকতা নিয়ে বিতর্ক, বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে কেবল অর্থহীন কাঁদা ছোড়াছুড়িতে রূপ নেয়। কিন্তু সে কারণে কোন আলোচনা একেবারে বন্ধ থাকবে এটা আমি আশা করি না। এক্ষেত্রে বরং সবার সহনশীলতা কিন্তু আলোচনাকে সুন্দর একটা রূপ দিতে পারে। ধন্যবাদ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ওয়েল সেইড
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বোধকরি খুবই ভাল লিখেছেন।
হেহ হে...ধন্যবাদ
পারতপক্ষে আমি এসবের মাঝে যাই না। কিন্তু, মাঝেমাঝে পরিস্থিতি যুক্তির ধার না ধরে যখন বিজ্ঞানকে জোরপূর্বক ধর্মের সাথে মেলবন্ধন করার অপচেষ্টা চালায় তখন যেয়ে বলতেই হয়। জানি না এগুলো হিট বাড়ানোর পদ্ধতি কিনা, তবে, দাঁড়িপাল্লায় মাপলে দেশে বিজ্ঞান আর ধর্মের সেতু হিসেবে কাজ করা লোকদের সংখ্যাই বেশি হবে। তাই, বিষয়টা ভাববার মত।
আমরা সব সময় পরিবর্তনের কথা বলি, কিন্তু বলি না কি করে এই পরিবর্তন করা সম্ভব?
এই যে সচলায়তনে অনেকে লেখালেখি করছেন আর অসংখ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এভাবে কি কিছু করা যায় না?
লেখাটার সাথে দ্বিমত পোষণ করি। যে দোষ আপনি বিতর্ককারীদেরকে দিচ্ছেন আপনি নিজেও সে দোষে দুষ্ট হয়ে গেলেন। আপনি নিজেও আপনার নিজের জাজমেন্ট অন্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। উদাহরণ স্বরূপ বলি, আপনার দৃষ্টিতে এই বিতর্ক অর্থহীন, কিন্তু সেটা যে অন্যের দৃষ্টিতে অর্থহীন নাও হতে পারে সেটা আপনার খেয়ালে আসছে না। আবার আপনি নিজেও এক প্রকার সেই অর্থহীন বিতর্কে নাম লেখালেন। আপনার লেখা এবং আপনার কাজ দু'টো পরস্পর বিরোধী হয়ে গেল।
যা হোক, আমার মতে সব কিছুরই দরকার আছে, কোন কিছুই অর্থহীন নয়। আপনার কথিত গবেষণামূলক, মানব কল্যান মূলক কাজেরও দরকার আছে আবার মূল নীতি নিয়ে বিতর্কেরও প্রয়োজন আছে, শক্তিক্ষয়ের প্রয়োজন আছে। আপনার কাছে এটা অর্থহীন মনে হতে পারে, আমার কাছে নয়। কারণ এই তর্ক/বিতর্ক থেকেই অনেক ফলাফল বের হয়ে আসে। আপনার মনে হতে পারে যে বাংলাদেশ/পাকিস্থানের মতো দু'টো রাষ্ট্রের মাঝে যুদ্ধ মানে শক্তিক্ষয়, কিন্তু সেই যুদ্ধের মাঝে থেকেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বাকস্বাধীনতা, নারীদের অধিকার, কালোদের অধিকার থেকে শুরু করে যা কিছুর সুফল উপভোগ করছেন সব কিছুই এরকম কোন কোন না তর্ক-বিতর্ক, সংগ্রাম, এবং শক্তিক্ষয়ের পরেই এসেছে। কোন কিছু এমনি এমনি হয়ে যায়নি। তাই আমার কাছে কোন বিতর্কই অর্থহীন নয়।
ব্যাপার হচ্ছে অনভ্যাস। যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা মনে হয় ঠিকমত লিখে উঠতে পারি নি। আমার মত কারো উপর চাপিয়ে দিতে চাইনি, আমার উপ্লব্ধিটা সবার সাথে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলাম। এমনও হতে পারে যে আমার ভাবনা সঠিক নয়। আমার মন খোলা বলে আমি মনে করি এবং বিশ্বাস করি। তাই নিজের ভুল স্বীকার করতে বা সুধ্রেনিতে আমার কোন সমস্যা নেই। আমি নতুন কোন বিতর্ক শুরু করতে চাচ্ছি না, মূলত বলতে চাই, বিতর্কের একটা পর্যায়ে যদি বোঝা যায় যে আমি যেটা বলছি সেটা যাকে উদ্দেশ্য করে বলা তার মাথায় ঢুকছে না, তাহলে চেস্টাটা বৃথা হয়ে যায়। সুতরাং গলদটা থেকে গেছে আরো গভীরে। দেশের বেশ কিছু ব্লগ ঘুরে কেন যেন মনে হয়েছে, এখানে মাথাওয়ালা মানুষের সংখ্যা বেশি, সুতরাং তাদের জ্ঞানের ভাগটা যদি তারা শেয়ার করেন, সবাই উপকৃত হত। আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কটা উদাহরন হিশেবে বলেছি, কারণ এই বিতর্কতো বুঝতে শেখার পর থেকে দেখে আসছি, এখনো চলছে। তাই এই বিতর্ক চালিয়ে যাক যারযার ভালো লাগে, আর পাশাপাশি কিছু তুচ্ছ বিষয়ে নজর দেওয়ার অনুরোধ করেছি। ভালো থাকুন, বেশি বেশি সমালোচনা করুন, কারণ এর থেকে ভালো শিক্ষাপদ্ধতি আর নেই বলেই আমি মনে করি।
সহমত।
বিতর্কের প্রচুর দরকার আছে, নতুবা সমাজ থেকে অন্ধকার দূর হবে না। সচেতনতা, মূল্যবোধ, মানবিকতা তৈরির জন্যতো আরো দরকার আছে, তবে বিতর্ককে হতে হবে গঠনমূলক, হিতকর, যুক্তিযুক্ত। তবে অবশ্যই সবাইকেই সবকিছু ফেলে এটা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না, নিজের কাজও চালিয়ে যেতে হবে।
_____________________
Give Her Freedom!
সহমত।
যথার্থ বলেছেন। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে যারা নিজেদের আস্থিক বলে গলা ফাঠান তাঁরা তাঁদের স্রষ্টার আদেশ নিষেধ সর্বান্তকরণে মেনে চলেন কি না? যদি মানেন? তবে বাংলাদেশের এ কি হাল? ঘুষ, দুর্নীতি, খুন...(কত খারাপ বিষয় বলবো?) এসব যারা করে এরা সবাই কি নাস্থিক? তাহলে আস্থিক রা আবার সংখ্যালঘু হয়ে গেলেন। কোনটা সত্য? বাণী না বাস্তবতা?
তাঁদের দরকার যারা সমাজ, দেশ, বিশ্বের জন্য কল্যাণকর। তাঁরা নাস্থিক হলেও। তাঁদের দরকার নাই যারা সবজায়গায়, সব সৃষ্টির জন্য ই বিনাশের কারণ। এমন কি আস্থিক হলেও ...
আস্তিকতা ও নাস্তিকতা নিয়ে সত্যিই ভয়ানক আলোচনা হচ্ছেকি ? এ বিতর্কতো বহু পুরাতন। সর্বক্ষেত্রেই আমরা চাই একটা সমাধানে পৌঁছতে। কিন্তু এটি এমনই একটি বিষয় যে হাজার বছরেও এ বিতর্ক শেষ হয় নাই, কোন সমাধানে পৌঁছানো যায় নাই। এটি মানব জীবনের একটি বিশেষ বিষয়ও বটে। তাই এবিষয়ে কোন তর্কের অবতারনা হলে আমরা এর যুক্তিগুলো নিগুঢ়ভাবে অনুধাবন করার চেষ্টা করি। সংশয়বাদীর যুক্তি শুনলে আমি নিজেও সংশয়বাদী হয়ে যাই। আবার কোন বিশ্বাসীর যুক্তি শুনলে সেটাই সঠিক মনে হয়। এ বিষয়টি জীবন বহির্ভুত নয়, কাজেই এধরনের আলোচনারও প্রয়োজন আছে। কৌতুক মানুষের বৈষয়িক কোন প্রয়োজন মেটায়না বটে তাই বলে সেটা কি বর্জনিয়? আপনারা যাঁরা বিচক্ষন ব্যাক্তি বিষয়টি তাঁরা ভেবে দেখবেন। মন্তব্য লিখেছি আমি : প্রৌঢ়ভাবনা
ভাই বিচক্ষন এখোনো হইনি, আর যেকোন যুক্তি শুনে সাথে সাথে কাত হয়ে যাওয়া কি উচিত? নাকি যুক্তিটা ভালোভাবে বুঝে তারপর কাত হতে হয়। দ্বীতিয়টা মনে হয় সঠিক, কারণ সেক্ষেত্রে টেকসই কিছু পাওয়া যাওয়ার কথা। কষ্ট করে পড়ার জন্য আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বেড়ে লিখেছেন দাদা ! আসল যে জিনিসটার খুব দরকার, সে টা হল জ্ঞান, সুশিক্ষাজনিত জ্ঞান, সেটা আবার স্কুল কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে কিনতে পাওয়া যায় না।
facebook
অণু ধন্যবাদ। তুমি যেটার কথা বলছো সেটার খুব অভাব, তো যাদের সেটা আছে যদি একটু বিতরন করে অসুবিধা আছে? অন্তত কিভাবে সেটা বাড়িয়ে নেওয়া যায় সেটা জানতে পারলেও কাজ হয়। আবার সেটা যদি ব্যবহারিক হয় অর্থাৎ যেটা পথ চলতে সরাসরি কাজে লাগাতে পারি তাহলে কত চমৎকার হত তাই না?
ধর্ম, আস্তিকতা, নাস্তিকতা নিয়া কোনো পক্ষের কথাবার্তাই ঠিক বুঝি না ।
ধর্ম ব্যাপারটা পুরোটাই বিশ্বাস, নয় কী ???!!!
কিছু বিশ্বাসী আসেন তাদের বিশ্বাসের সপক্ষে যুক্তি দিতে, বিশ্বাসের আবার যুক্তি কী ???!!! আপনার প্রেমিকা কুমারী, এটা আপনি বিশ্বাস করলেন, ভাল কথা, আরেকজনরে সেটা যুক্তি দিয়া বোঝানোর দরকার কী ??!! যুক্তি দিয়া না হয় খুব বোঝানো গেল যে আপনার প্রেমিকা কুমারী, খুব ভাল, এখন যদি যুক্তিতে না মানে, প্রমান চায় তাইলে ক্যামনে কী ?!
আর অবিশ্বাসীরা যে বিষয়টায় বিশ্বাস করতেছেন না, সেইটার যুক্তি খোজেন ক্যা !!!??? বিশ্বাস ফিরে পেতেই কী যুক্তি খুজতেছেন, নাইলে এত ক্যাচাল করেন ক্যা !!?? আপনে তো ধর্মে বিশ্বাস করেন না, এখন যদি ধর্মের সবকিছুর জন্য যুক্তি দেয়া হয়,(কতরকম কুযুক্তি তো দেয় লোকজন, কু হইলেও যুক্তি তো, খেয়াল কইরা) তাইলে কী ধর্ম বিশ্বাসী হয়া যাবেন, নইলে ধর্মে যুক্তি খোজেন ক্যা !? নাস্তিকদের ব্যাপারটা হল, তোমার প্রেমিকা কুমারী বলতেছ, যুক্তি দিলা যে তুমিই তার জীবনের প্রথম এবং একমাত্র পুরুষ, আমারে একটু প্রমান করতে দাও দেখি !!
আর ধর্মে তো বিশ্বাসীদের জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু যুক্তি, প্রমান, উদাহরন সব দেয়াই আছে, কিন্তু ঐটুকু ধার্মিক তথা বিশ্বাসীদের জন্য, তার্কিক বা নাস্তিকদের জন্য না ॥
কী আর বলব সবই আসলে গিয়ানজ্যাম, মানে অনেকের গিয়ান অত্যাধিক এবং অত্যাধুনিক, তাই মনে হয় জ্যাম লেগে গেছে !!!
কোন বিষয়ের বিরুদ্ধে যুক্তি দিলেই সেই বিষয়ের সাথে একমত হওয়ার জন্য কাতর হয়ে পড়া বুঝায় না। আমি বললাম রোগ হলে ঝাড়ফুঁক বন্ধ করে সুচিকিৎসার ব্যাবস্থা করা দরকার, সে নিয়ে আমি লোকজনকে যুক্তি দিয়ে বুঝানো শুরু করলাম, তার মানে কি তাহলে দাঁড়ালো যে আমি আসলে ঝাড়ফুঁকে আমার বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্যই তর্ক করছি?
বেড়ে বলেছেন বটে। যুক্তি, প্রমাণও আবার মানুষ ভেদে আলাদা হয়ে যায় নাকি!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সব মানুষ যদি এক যুক্তির হইত তাইলেই হইছিল যুক্তি-প্রমান অথবা বিশ্বাস মানুষ ভেদেই আলাদা হওয়ার কথা, জীব-জন্তুর তো যুক্তি-প্রমান বা বিশ্বাসের বালাই নেই আলাদা আলাদা মানুষের বিশ্বাস, যুক্তিবোধও আলাদা !
“কোন বিষয়ের বিরুদ্ধে যুক্তি দিলেই সেই বিষয়ের সাথে একমত হওয়ার জন্য কাতর হয়ে পড়া বুঝায় না।”- ধর্ম বিষয়ক এসব আজাইরা ক্যাচাল দেখে আমিও তো তাই বলি, এটা কাতরতা না, এটা “ক্যাতরামী” ! বালকবেলায় শব্দটা খুব ব্যবহার করতাম, মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ! ধর্মে কইল বিশ্বাস করতে, আমরা কইলাম যুক্তিটা কী ?
“আমার মনে হয় ব্লগ কেবলমাত্র সমাজের সব অচলায়তন ভেঙ্গে দেয়ার জন্যেই নয়। এখানে কেবল ভাল, ভাল নীতিকথা আর সমাজগঠনমূলক আলোচনা হবে ব্যাপারটা এরকম না। এখানে ব্লগাররা গল্প লেখেন, কবিতা লেখেন, কিভাবে চিন্তা করছেন, কী চিন্তা করছেন সেটা লেখেন, সমাজের অচলয়াতন ভেঙ্গে দেয়ার জন্যেও লেখেন।”-----তাই তো হে ত্রিমাত্রিক কবি,----- “আশা করি যে সচলায়তন সত্যি সত্যি একদিন আমাদের সব অচলায়তনগুলো ভেঙে দিবে....”------ আশায় বাধি বাসা,
“কৌতুক মানুষের বৈষয়িক কোন প্রয়োজন মেটায়না বটে তাই বলে সেটা কি বর্জনিয়?”---- নারে ভাই প্রৌঢ়ভাবনা, মজা করতে করতেই সুদিন আসবে ॥ রক্তারক্তি করে বিপ্লব ঘটিয়ে এদেশে কোনও পরিবর্তনের আশা না করাই মনে হয় উত্তম ! আর কবিতা, গান, কৌতুক এর মধ্য দিয়ে যত সহজে জটিল সব বিষয় তুলে ধরা যায়, তর্ক বিতর্কে কী আর সেরকম হয় ?
“আস্তিকতা ও নাস্তিকতা নিয়ে সত্যিই ভয়ানক আলোচনা হচ্ছেকি ? এ বিতর্কতো বহু পুরাতন। সর্বক্ষেত্রেই আমরা চাই একটা সমাধানে পৌঁছতে। কিন্তু এটি এমনই একটি বিষয় যে হাজার বছরেও এ বিতর্ক শেষ হয় নাই, কোন সমাধানে পৌঁছানো যায় নাই।”--- তাইলে এক্ষুনি সেইটা সমাধানের কী দায় ঠেকছে ? থাক না পইড়া ওইটা আরো কয়েক হাজার বছর, বেহুদা একটা ক্যাচাল হিসেবে,,,, কী ? আপত্তি আছে ??
আপনার সাথে কথা বলা মনে হচ্ছে সময় নষ্ট। নিজে একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখবেন কী বলতে চেয়েছিলেন, অথবা যা উগরে দিয়েছেন তার কোন মানে আছে কিনা। ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ,, আশা করি, এরপর থেকে আর আউলা-ঝাউলা কথায় আর কুটতর্কে জড়িয়ে সময় নষ্ট করবেন না, আপনার সময় আমার কাছেও মূল্যবান আপনিও ভাল থাকবেন ॥
দিনশেষে এসব বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক-কুতর্কের কোনো মানে হয়না, ------ কারন :
“আমি নতুন কোন বিতর্ক শুরু করতে চাচ্ছি না, মূলত বলতে চাই, বিতর্কের একটা পর্যায়ে যদি বোঝা যায় যে আমি যেটা বলছি সেটা যাকে উদ্দেশ্য করে বলা তার মাথায় ঢুকছে না, তাহলে চেস্টাটা বৃথা হয়ে যায়। সুতরাং গলদটা থেকে গেছে আরো গভীরে।”---- লেখকের করা মন্তব্যের সাথে দারুন ভাবে একাত্ম বোধ করছি !
জহির আহমাদ, আপনার দেয়া 'কুমারী প্রেমিকা'র উদাহরণটি রুচিহীন এবং অশোভন, পাশাপাশি আপনার মন্তব্যটিও অসংলগ্ন।
একজন চিন্তাশীল মানুষের পক্ষে নিজের ধর্মের অবৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস করে সন্তষ্ট থাকা মুশকিল। কারণ সে যখন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, দেখতে পায় বিজ্ঞান সরাসরি সংঘাত করছে ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে। স্কুলে সকালে 'ইসলাম শিক্ষা' বইতে সে পড়ছে আল্লা মানুষ সৃষ্টি করেছেন আদম থেকে, বিকেলে 'জীববিজ্ঞান' বইতে সে পড়ছে মানুষ বিবর্তনের উৎকর্ষের ফসল। 'ইসলাম শিক্ষা' বই তাকে কেবল বিশ্বাস করতে বলেছে, সেখানে আদমের কোনো প্রমাণ নেই। 'জীববিজ্ঞান' বই তাকে আদিমানুষের উদ্ভব ও বিকাশের প্রমাণ দিচ্ছে। আপনি যদি চিন্তাশীল মানুষ হন, তাহলে আপনাকে মুখোমুখি হতে হবে এই সংকটের, দুটি পরস্পরবিরোধী তত্ত্ব একই সাথে সত্য হতে পারে না। 'সত্য' গণতান্ত্রিক নয়, আপেক্ষিকও নয়; সত্য সত্যই- সে নির্মোহ এবং 'অ্যাবসল্যুট' । কয়জন মানুষ সেই সত্যকে 'সত্য' বলে গ্রহণ করলো তাতে সত্য বা 'ফ্যাক্ট' পরিবর্তন হয় না।
মানুষ সত্য জানতে চায়, আর এই সত্যান্বেষা থেকেই হাজার হাজার ধর্মের উৎপত্তি। ধর্ম হচ্ছে আদি-বিজ্ঞান বা ভুলবিজ্ঞান। যখন আজকের বিজ্ঞান ছিলো না, মহাজগত সম্পর্কে আমরা জানতাম খুব কমই, তখন মানুষ কল্পনা করেছে বহুকিছু। প্রতিটি মানুষ জানতে চায় সে কোথা থেকে এসেছে? সে কি কোনো মহাপরিকল্পনার অংশ? এই মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো? জীবন কি অর্থহীন না কি তাৎপর্যমন্ডিত? বিধাতা আছেন নাকি নেই? থেকে থাকলে কোন বিধাতা? আল্লা, ভগবান, জিহোভা, নাকি 'দ্য গ্রেট জুজু'? - এগুলো মৌলিক প্রশ্ন। চিন্তাশীল অনুসন্ধিৎসু মানুষের পক্ষে এই প্রশ্নগুলো এড়ানোর উপায় নেই। আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কও এই মৌলিক প্রশ্নগুলো নিয়েই। এ-জাতীয় বিতর্ক আরো বেশি হওয়া উচিৎ। সত্য উদঘাটনে বিতর্কের বিকল্প নেই।
কুমারী প্রেমিকা--- উদাহরনটা মনে হয় আসলেই একটু ইয়ে হয়ে গেছে
জরুরী বিষয়ে বিতর্ক হলে ভাল লাগে, আর বেহুদা বিতর্ক হলে খুব্বি ভালু পাই, মনে হয় বিতর্ক কইরা কইরা একেকজন ঝুনা নারিকেল হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে স্মরনীয় হয়া যাইব । বিতর্ক হোক প্যাঁচ খোলার জন্য, প্যাঁচ খেলার জন্য হলে সেইটা আর বিতর্ক থাকে না, কুতর্ক হয়ে যায় !
জহির আহমাদ, আপনি ঠিক কি বলতে চাইছেন তা ধরতে পারলাম না। উপরে 'সজল' এবং নিচে 'অপছন্দনীয়', যে দুজনেই আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন এবং বোঝেন, তাঁরাও দেখলাম আপনার কথার শানে নুজুল বের করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সজল, অপছন্দনীয় এবং আমাকে করা আপনার তিনটি মন্তব্যকে তিনটি বিশেষণে ভূষিত করলাম: শূণ্যগর্ভ, নিরর্থক, অর্থবিরহিত। ধন্যবাদ।
পয়গম্বরের বানী তো দিতেছি না ভাই, সোজা-সাপ্টা কথায় শানে নুজুল বের করতে গেলে ক্যামনে হইব
মন্তব্যগুলার জন্য দেয়া বিশেষনসমূহ মাথা পেতে নিলাম, ভুলচুক হয়ে থাকলে আন্তরিকভাবেই দুঃখিত !
আপনার রুচিশীলতা, শোভনতা ও বিষয় সংলগ্ন মন্তব্যের প্রশংসা করার মত ভাষাজ্ঞানও আমার সমৃদ্ধ না, আফসোস !
আপনার মত চিন্তাশীল হতে পারলাম না, এইটাও আরেকটা আফসোস
ভাত, কাপড়, যোগাড়ই যেখানে কঠিন, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এখনো যেখানে সবার জন্য অনিশ্চিত, মর্যাদাপূর্ন কর্মসংস্থান যেখানে প্রায় অভাবনীয় হয়ে পড়েছে সেখানে মানুষজন আসলেই কী---
এগুলোর উত্তর নিয়া খুব পেরেশানী করে, না কী যে যার বিশ্বাস নিয়া খুশী থাকতে চায় ? এগুলা আসলে রুচিশীল, শোভন, শিক্ষিত লোকদের নিজেদের জ্ঞান গরিমাকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উপরে তুলে ধরে রাখার হাঁতিয়ার !! এগুলা চর্চ্চা করে জ্ঞানীগন আলাদা করে বোঝাতে যান যে তারাই জ্ঞানী ! কত কত বছর ধরে না কি বিদ্যাধারীগন এ নিয়া বিতর্ক করতেছেন, তাইলে বলতেই হয় এ কত কত বছরে আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্ম-দর্শন তথা মানবসভ্যতাও অনেক পিছিয়েছে । কারন যে পরিস্থিতি মানুষের সহজ,সরল জীবনযাপনের জরুরত পুরা না করে বরং অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের চর্চ্চায় জ্ঞানীদের ব্যস্ত রাখে, তা আর যাই হোক সভ্যতাও না, আর এসবের উত্তরের জন্য মানুষ পেরেশান, এটাও সত্যতা না !
আপনার দেয়া উদাহরণটায় আপত্তি জানালাম - আমার কাছে কুরুচিকর মনে হলো।
বাকি যেটা বলতে চাচ্ছিলাম সেটা সজল বলে দিয়েছেন।
এখন তো আমার কাছেও উদাহরনটা ইয়ে মনে হইতেছে,
তয় কীনা--- হাছা কথা একটু তিতাই লাগে বলে জানতাম,
সজল ভায়ের যুক্তি তো ভালই, যুক্তি মোতাবেক এখন ঝাড়ফুকের ওঝারে উষ্ঠা মাইরা যদি কেউ শিকদার মেডিকেলে যায়া (ডাক্তার!?) ওহাবের খপ্পরে পইড়া রুচিহীন হয়া পড়ে, তাইলে ??
অথবা কেউ পাড়ার এম বি বি এস পাশ ডাক্তারের কাছে যায়া-- “ডাক্তার সাব দেহেন তো ঘটনাডা কী, আমার বলে রুচি নাই” -- বলে ফার্মেসীতে কিছুক্ষন আড্ডা পিডাইতে পিডাইতে ফাও গ্যাজাইয়া, একটা ব্যবস্থাপত্র নিয়া, সে মোতাবেক পথ্যগুলান সেবনের পূর্বে--- “ আল্লাহু শাফী, আল্লাহু কাফী”--- বলে ( অথবা অন্য ধর্মের লোক তাদের যে মন্ত্র পাঠ করে ), তাতে তো ভাই মনে হয় কারো ক্ষতি হয় না বরং সাপও মরবে আবার লাঠিও ভাংবে না, তাই না ?
আমি দুঃখিত, আপনার মন্তব্য পড়ে অর্থ বুঝে ওঠা আমার জন্য দুষ্কর! এটা আগে কোন একটা পোস্টেও খেয়াল করেছিলাম, এখানেও দেখলাম।
যদি আংশিক বুঝে থাকি তাহলে একটা অংশের উত্তর দেই, কেউ যদি মন্ত্রপাঠ করে ওষুধ খায়, তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। কিন্তু মন্ত্রে যদি বলা হয় "অমুক ব্যাটা বদমাশ, তমুক ব্যাটা আমার ক্রীতদাস হওয়ার যোগ্য" তাহলে আপত্তি আছে।
অনেক খেয়াল রাখছেন, ধন্যবাদ
যেটুকু বোঝার সেটুকু ঠিক বুঝেছেন, আবারো বাকী কিছু বোঝার মত থাকলে আস্তে ধীরে বুঝবেন আশা রাখি ॥
এই লেখার সাথে একমত নই। সব বিষয়েই বিতর্কের প্রয়োজন আছে, কোনো বিষয়, ব্যক্তি কিংবা বিশ্বাসই বিতর্কের উর্ধ্বে নয়। সভ্যতার বিকাশ ঘটে তাঁদের হাত ধরেই যাঁরা গৃহপালিত প্রাণীর মতো প্রথাবদ্ধতার জাবর না কেটে প্রশ্ন করেন পূর্বপুরুষের অপবিশ্বাসকে। সমাজ পরিবর্তনের হয় তাঁদের হাত ধরেই যাঁরা সবকিছুই বিচার করে দেখতে চান। এমনকি ধর্মপ্রবর্তকরা যাঁরা নতুন ধর্ম কিংবা সংস্কার প্রস্তাব করেছেন, তাঁরা নিজেরাও ছিলেন তাঁদের সময়ে বিতর্কিত। বিতর্ক ছাড়া সভ্যতা এগোয় না।
আপনি অভিযোগ করেছেন যে আমাদের পড়াশোনার কোনো মূল্য নেই বিশ্বের কোথাও। এর কারণও কিন্তু আমাদের এই প্রথাবদ্ধতা, আমাদের বিতর্ক-মিথস্ক্রিয়া বিমুখতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে নতুন জ্ঞান তৈরি করা, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রথাবদ্ধতায় ঘুরপাক খাচ্ছে, নতুন জ্ঞান সৃষ্টির যোগ্যতা বা সামর্থ্য কোনোটিই তাদের নেই। ছাত্রছাত্রীরা মাদকগ্রস্থের মতো পুরনো বিদ্যা মুখস্ত করে চলেছে প্রশ্নহীন। জ্ঞানের কোনো শাখাতেই আমাদের মৌলিক অবদান নেই, আমরা উদ্ভাবন করিনি কোনো তত্ত্ব বা সূত্র, এমন অচলায়তনের মাঝে সমাজ পরিবর্তন হয় না। এই অচলায়তন ভাঙতে প্রয়োজন আরো বেশি বিতর্কের। যুক্তি-তর্ক-প্রশ্ন পুরনো অপবিশ্বাসের অচলায়তন ভেঙে জন্ম দেয় নতুন চেতনার, আর সেই চেতনাই আনে সমাজ পরিবর্তন।
আপনি আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক নিয়েও আপত্তি করেছেন। চরিত্রগতভাবে একটি বিতর্ক হতে পারে তাত্ত্বিক কিংবা ব্যবহারিক। একটি বিতর্ক তাত্ত্বিক হলেই সেটি মূল্যহীন হয়ে যায় না। একটি উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করি। মহাকাশবিজ্ঞানে যে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করা হয়, তার ব্যবহারিক উপযোগিতা কি? মহাকাশবিজ্ঞানে নিরন্তর গবেষণার কারণে আমরা আজ জানি যে আমাদের এই মহাবিশ্ব ১৩.৭ বিলিয়ন বছরের পুরনো, আমাদের গ্যালাক্সি আরো লক্ষ-কোটি গ্যালাক্সির একটি, আমাদের পৃথিবী এবং আমাদের ক্ষুদ্র সৌরজগতের বাইরে আছে অনন্ত গ্রহমন্ডলী ও আরো অসংখ্য সৌরজগত। এই যে আমরা এই তথ্যগুলো জানলাম কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে এর ব্যবহারিক উপযোগিতা কি? আপাতদৃষ্টিতে নেই। আবার অন্য দিকে মহাকাশবিজ্ঞানে গবেষণার ফলে আবিস্কৃত হয়েছে জিপিএস, নন-স্টিক ফ্রাইপ্যান। কেউ কেউ মনে করতে পারেন মহাবিশ্বের বয়স জানার চেয়ে নন-স্টিক ফ্রাইপ্যানের ব্যবহারিক উপযোগিতা বেশি জরুরি।
কিন্তু মানুষের কৌতুহল ও সম্ভাবনা অনন্ত, সে জানতে চায় সে কোথা থেকে এসেছে, এই মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো, জীবন কি অর্থহীন না কি তাৎপর্যমন্ডিত? এগুলো মৌলিক প্রশ্ন, অনুসন্ধিৎসু মানুষের পক্ষে এই প্রশ্নগুলো এড়ানোর উপায় নেই। আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কও এই মৌলিক প্রশ্নগুলো নিয়েই। এ-জাতীয় বিতর্ক আরো বেশি হওয়া উচিৎ। সত্য উদঘাটনে বিতর্কের বিকল্প নেই।
চমৎকার গুছিয়ে বলেছেন সুমনদা। জ্ঞানের কোনো শাখাতেই আমাদের মৌলিক অবদান নেই, আমরা উদ্ভাবন করিনি কোনো তত্ত্ব বা সূত্র, এমন অচলায়তনের মাঝে সমাজ পরিবর্তন হয় না। এটি খুবই কষ্টের। আমাদের এদিকটাতেও নজর দিতে হবে।
_____________________
Give Her Freedom!
পুরো সহমত সুমন ভাইয়ের সাথে। সাথে একটু যোগ করতে চাই, বিতর্কের কেন্দ্রীকতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা প্রায়শই দেখি একটি বিতর্ক শুরু হয় যে ফোকাসকে সামনে রেখে সেটি দ্রুত পরিবর্তিত হয় এবং পরিশেষে একটি অশ্বডিম্ব প্রসবিত হয়। বিশ্বাস বিষয়টা খুবই সনাতন, ব্যক্তির ‘এক্কালচারেশন’ আর ‘এনকালচারেশন’ এর মিথসক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি নিজেই কিন্তু তার যুক্তির আচার তৈরী করে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই যুক্তির আচার কে কোনভাবে করে।
বিশ্বাস নিয়ে বিতর্ক চলমান ছিলো, থাকবে; এই বিতর্কে শক্তিক্ষয়ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিন্তু সেই শক্তিক্ষয় থেকে নতুন কোন শক্তির একক প্রতিষ্ঠিত হয় তাই দেখার অপেক্ষায় আছি।
বিষয়টা ধর্ম বলেই মনে হয় তর্কটা ক্রমশ আক্রমনের রুপ নিচ্ছে, অন্য কোন বিষয় হলে হয়তো সেটা গঠনমূলক হতো।
বিশ্বাস ভালো কিন্তু অন্ধবিশ্বাস ভালো না। আপনাকে যদি বলা হয় আপনার রাজরোগ হয়েছে, আপনি কি সেটা বিশ্বাস করবেন! আগে প্রমাণ চাইবেন তবেই বিশ্বাস করবেন।
ধর্মে যদি আপনার বিশ্বাস থাকে আর জ্ঞাণ পরিশীলিত থাকে তবে সেটা অন্যের ক্ষতির কারণ হয় না, কিন্তু সেটা অন্ধবিশ্বাস হলেই সমস্যা।
দেশের ছেলেমেয়েদের সাফল্যের অন্যতম ও প্রাথমিক উপকরন হলো যুক্তিশীলতা। আস্তিকতা, নাস্তিকতা, ধার্মিক, অধার্মিক, নধার্মিক এগুলো যুক্তিশীলতার এমন স্থানে অবস্থান করে যে অন্যান্য মূল্যবোধ এগুলোর সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এগুলো ধর্মীয় চেতনা নয়, এগুলো রাজনৈতিক চেতনা থেকে আসে। রাজনৈতিক চেতনাহীন ভুঁড়িভুঁড়ি ছেলেমেয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে কায়িক শ্রমিক আর কেরানী হবার চেয়ে যদি স্বল্প সংখ্যক যুক্তিশীল ও রাজনৈতিক চেতনা সম্পন্ন বিজ্ঞানী, গবেষক আর স্কলার বের হয়ে আসে, তা বরং দেশের ভাবমুর্তি অনেক উপরে তুলে ধরবে।
আপনাদের মন্ত্যব্যগুলো পড়ে ভালো লাগছে। আমি ধরে নিয়েছি যে লেখাটা পড়ে আপনারা মন্তব্য করেছেন। আরোও কিছু বলার আগে দুঃখ প্রকাশ করছি যে বড় একটা বিরতির পর উত্তর দিচ্ছি। আসলে ইচ্ছা থাকলেও কাজের চাপ এতো বেশি ছিলো যে কয়েকবার লেখার জন্য আসার পরও কিছু লিখতে পারি নি। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি তর্ক-বিতর্কের দরকার আছে কিনা তার মাঝে। আমার লেখার উদ্দেশ্য ছিলো “Knowledge Sharing”। অর্থাৎ যেটা আমি কষ্ট করে শিখেছি সেটা যদি ভাগাভাগি করে নিতে পারি তাহলে উপকার হয়।
যাই হোক যেটা করতে চেয়েছিলাম সেটা আমিই শুরু করে দিচ্ছি। গত কয়েক বছর প্রফেশনাল পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যা শিখলামঃ
১। যদি কোন কমিটমেন্ট করে থাকেন এবং ডেডলাইন থাকে তাহলে যেকোন মূল্যে সেটা রাখতে হবে। কোন কারণে যদি না পারেন তাহলে যথা সম্ভব আগেভাগে জানিয়ে দিন এবং অতিরক্ত সময়ের জন্য অনুরোধ করুন। মনে রাখবেন এটাকে কখনোই অভ্যাসে পরিণত করবেন না।
২। ভাল ইংরাজী শেখা খুব জরুরী। আমরা যে ইংরাজী ব্যবহার করি সেটা বাইরে “old and colonial” বলে বিবেচিত হয়। আমরা যখন আমাদের বাংলাদেশে শেখা জ্ঞ্যানে (সাধারন বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য, অন্যদের ব্যাপারে ধারনা নাই তাই লিখছি না) ইংরাজীতে কিছু লিখি, সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে “arrogant” হয়ে যায় যা অনেক ক্ষেত্রে সাংঘাতিক সমস্যা তৈরি করে। বিনয় প্রকাশ করুন এবং বিনীত ব্যবহার করুন।
৩। যেটা পারেন না সেটা সরাসরি স্বীকার করুন। কখনোই এমন ভাব করবেন না যে আপনি একজন ওস্তাদ। কোন কিছু বুঝতে না পারলে সরাসরি স্বীকার করুন যে বুঝতে পারেননি এবং নিঃসংকোচে প্রশ্ন করুন।
৪। পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে উপযুক্ত মূল্যায়ন পেতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রফেশনাল সমিতীর সদস্য হোন। ধাপে ধাপে প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার, তারপরত চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিবন্ধনের পরিকল্পনা করে ফেলুন। এক্ষেত্রে আমারিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা সাউথ আফ্রিকার প্রফেশনাল সমিতীর সদস্য হওয়ার চেষ্টা করুন।
৫। নিয়মিত পড়ালেখা করুন। আপনার নিজস্ব ক্ষেত্রে স্বচ্ছ জ্ঞান রাখা খুব জরুরী।
৬। প্রফেশনাল সততার কোন বিকল্প নেই এবং সবসময় সেটা মেইন্টেইন করুন।
আরও লেখার চেষ্টা করব ফাক মত। ভাল থাকবেন সবাই। আর দয়া করে আপনাদের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করুন।
মাপুতো (২৮।০৮।২০১১, ২২.৪৩)
শুদ্ধিঃ জ্ঞান, ফাঁক
নতুন মন্তব্য করুন