ফেরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ১২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অফিস থেকে বের হয়েই মনটা হাল্কা হয়ে গেল। অদ্ভূত সুন্দর ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কদিন ধরেই কিছুটা গরম পড়ছিল। গ্রীষ্মকাল আসেনি এখনও। যদিও এই শহরের আবহাওয়াটা প্রায় সব ঋতুতেই গুমোট থাকে আজকাল। কিন্তু আজ তার উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। আর্দ্র স্নিগ্ধ বাতাস মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিল দিনভর পরিশ্রমের কথা।

একগাদা কাজ করতে হয়েছে আজ, কাজগুলোও জরুরি ছিল। না সেরে তাই ফেরাও যাচ্ছিল না। মনটা অস্থির হয়ে গিয়েছিল একটানা কাজ করতে করতে। কাল ছুটি, সেই চিন্তায় বড় একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম নিজের অজান্তেই। পকেট থেকে মোবাইল বের করে সময়টা দেখলাম।

রাত ১০:৫২! এত বেজে গেছে!

রাস্তায় লোকজন নেই খুব একটা। মেইন রোডের দিকে তাড়াতাড়ি পা চালালাম। বাস পেলে হয়!

লোকাল বাস পাওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু এখান থেকে কোন লোকাল বাসই আমার গন্তব্যস্থলে সরাসরি যায়না। একমাত্র যে সিটিং সার্ভিসটা আছে ওটাও ১১টার পর বন্ধ হয়ে যায়।

মেইন রোডে চলে এসেছি। লোকজন এত কম কেন আজকে? গাড়িও কম মনে হচ্ছে। কোন লোকাল বাসও দেখতে পেলাম না। কয়েকটা প্রাইভেট কার চলে গেল সাঁ সাঁ করে। রিকশাও কম। যদিও কোন রিকশা যাবেওনা অতদূর। মিনিট দুয়েক অপেক্ষার পর একটা বাসের দেখা মিলল। উঠতে গিয়েও পারলাম না। রাস্তায় এত কম মানুষ, কিন্তু বাসভর্তি লোক ঠাসা। চাইলে হয়ত কোনরকমে পাদানিতে একটা পা রেখে আর হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে যাওয়া যেত, কিন্তু ইচ্ছে করল না। পিছিয়ে এলাম। অপেক্ষমান আরও কয়েকজন যদিও ঠিকই উঠে গিয়ে ঝুলে পড়ল। চলে গেল বাসটা।

ঝুলতে ঝুলতে লোকাল বাসেই ভেঙে ভেঙে যেতে হবে মনে হয় আজ। মনটা বিষিয়ে উঠছে আবার। সারাদিন কাজের পর একটু শান্তিতে বাসায় ফিরব তাও হবেনা।

কি আর করা? ফিরতে তো হবেই। পরের বাসে ঠিকই উঠে পড়ব তাই ভাবছিলাম। এমন সময় দূরে দেখতে পেলাম পরিচিত একটা বাসের কাঠামো। আরেকটু কাছে আসতেই নিশ্চিত হওয়া গেল। আসছে আমার সেই সিটিং সার্ভিসের বাস! এটাই বোধহয় আজকের শেষ বাসটা।

কপালটা ফিরল বোধহয় এবার! সিট পেলে হয়!

হাত উঁচিয়ে একটু এগিয়ে গেলাম। আমাকে দেখে স্লো করল ড্রাইভার, তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম। প্রথম যে সিটটা ফাঁকা পেলাম সেটাতেই বসে পড়লাম। পাশের সিটে একটা মেয়ে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল। একবার আমার দিকে ফিরে আবার বাইরে মন দিল। প্রতিদিনের মত রাস্তাটা যানজটে ভারাক্রান্ত নয় আজ। মনের সুখে টানছে ড্রাইভার।

সাধারণ চেহারা আর বেশভূষা মেয়েটার, আহামরি সুন্দরী বলা যাবেনা। তবে বেশ চোখে পড়ার মত সিল্কি লম্বা চুল তার। ডান কাঁধের ওপর দিয়ে সামনে এনে রাখা। খোলা জানালা দিয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস আর বাসের স্বাধীন গতির তোড়ে কিছুটা উড়ছে তার খোলাচুল। জানালাটা অল্প একটু খোলা। পুরোটা খোলা থাকলে চুল উড়ে বোধহয় আমার গায়ে-মুখেই পড়ত।

"মামা ভারাডা দ্যান।"

মানিব্যাগ বের করে ভাড়াটা দিয়ে দিলাম।

"আপা ভারাডা?"

মেয়েটা ভাড়া বের করছে। ডানহাতে একটা ব্রেসলেটমত কি যেন পরা। বেশ মানিয়েছে হাতে। ভাড়া দিয়ে দিল সে। এমন সময়ই ঘটল ঘটনাটা। বাসটা হঠাৎই একটা মোড় নিল ডানে। আমি প্রায় সামলে নিলেও ঘটনার আকস্মিকতায় তাল সামলাবার সুযোগ পেলনা মেয়েটা, বলতে গেলে প্রায় আমার ওপরই এসে পড়ল। আর তার অবাধ্য চুলগুলোর জায়গা হল একেবারে আমার মুখের ওপর। মুখে এসে পড়াতেই তার চুলে কেমন যেন অদ্ভূত একটা গন্ধ পেলাম। আজব গন্ধ তো!

"কিরে ব্যাটা কি চালাস? মারবি নাকি আমাগো?"

"রাস্তা ফাকা পাইয়া সব ভুইলা গ্যাছে।" পেছন থেকে ক্ষোভ ঝাড়ল দুজন যাত্রী।

স্যরি। বেশ খানিকটা অপ্রস্তত গলায় বলল চুলের মালিক। এর মধ্যে সে আর তার চুলগুলো ফিরে গেছে যথাস্থানে।
আমি তখনও বুঝে উঠতে পারছিনা চুলে এমন গন্ধ হবার কারণটা কি হতে পারে। কিছুটা বিমূঢ়ের মতই ধীরে ধীরে বললাম, "ইটস্‌ ওকে, কিন্তু..."

কিন্তু অংশটা নিশ্চয়ই অদ্ভূত শোনালো। মেয়েটা ভাল করে তাকাল এবার আমার দিকে। নিজেকে অনেকটাই ফিরে পেয়েছে সে। জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

আমি বুঝতে পারছিনা কি বলব এখন। জিভের গোড়ায় যে প্রশ্নটা প্রায় চলে আসছে, সেটা একটা পাবলিক বাসে একজন অপরিচিতাকে করা কোনভাবেই ভদ্রতার পরিচায়ক হবেনা। কি বলে সামাল দেয়া যায় ভেবে পাচ্ছিলাম না তাই।

"না মানে... আরকি... অ্যা... ইয়ে..." অসহায়ের মত হাতড়েই যাচ্ছি নিজের শব্দভাণ্ডার।

ভুরুদুটো খানিকটা ওপরে উঠে গেছে মেয়েটার। হাল্কা কৌতুকও যেন খেলে গেল চোখে। কিংবা ভুলও হতে পারে আমার, কে জানে!

আরও কয়েক মুহূর্ত অস্বস্তিকর নীরবতা। কিছু খুঁজে না পেয়েই হোক কিংবা ক্রমেই তীব্র হয়ে আসা দৃষ্টিটা থেকে বাঁচতেই হোক, আর কিছু না ভেবেই গাপ করে ভদ্রতার মাথাসুদ্ধ পুরো শরীরটাই খেয়ে দুম করে বলে বসলাম, "কিন্তু আপনার চুলে এমন গন্ধ কেন?"

সম্পূর্ণ অপরিচিত কারো কাছে এমন অযাচিত প্রশ্ন কেউই আশা করেনা। মেয়েটাও করেনি। মুহূর্তেই সে সরিয়ে নিল চোখ। তার আগেই তার তীব্র হয়ে আসা দৃষ্টিটার অপ্রস্তত লজ্জায় বদলে যাওয়া দেখে নিতে বন্ধুমহলে ‘স্থূল দৃষ্টিসম্পন্ন’ খেতাবপ্রাপ্ত এই আমারও ভুল হল না।

বদলে গেছে দৃশ্যপট। কয়েক মুহূর্ত আগেই আমি যেমন অপ্রস্তত শব্দহীনতায় ভুগছিলাম, সেই পরিস্থিতিতে এবারে মেয়েটা। পার্থক্য শুধু এটুকুই যে, সে তোতলাচ্ছে না, নীরবে লজ্জাটা সামলাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে শুধু।

কি বিপদ! নিজে নাহয় তোতলাচ্ছিলাম, কিন্তু একেতো এক্কেবারে চুপ করিয়ে দিয়েছি! কবে থেকে এমন সত্যভাষী হয়ে গেলাম যে চলতি বাসে নিতান্ত অপরিচিতাকেও অনাহুতভাবে মুখ ফস্কে বলে ফেলছি!
জানিনা কিভাবে হুঁশ(!) ফিরল, তবে পরিস্থিতি হাল্কা করার চেষ্টায় গলায় তাড়াতাড়ি বললাম, "স্যরি, অন্য কিছু মনে করবেন না। কিন্তু আসলেই খুবই অদ্ভূত... মানে অ্যা... তাই আরকি..."

আবার তোতলামো! এবার কি করি!

হেসে ফেলল মেয়েটা। পরে বুঝেছিলাম ওটা ছিল অপ্রস্ততের হাসি, লজ্জা ঢাকবার হাসি, আর কিছুটা সম্ভবত আমার আহাম্মকি তোতলামো দেখে বিনোদনপ্রাপ্তির হাসি। আমার মুখটাও কিছুটা বেকুবের মত হাসি হাসি হয়ে গেল। সেটা যতটা না সংক্রমিত, সম্ভবত তারচে’ অনেক বেশী তার লাজুক নীরবতা আকস্মিক হাসিতে বদলে যাবার কারণ না বুঝতে পেরে নিজেরই গবেটীয় কিংকর্তব্যবিমূঢ়তায়!

"গন্ধটা কি অনেক কড়া লাগল আপনার?" হাসির সাথেই প্রশ্ন ছুঁড়ল সে।

যাক, এতক্ষণে একটা আপাত-স্বাভাবিক প্রশ্ন, অর্থাৎ স্বাভাবিক কথাবার্তার শুরু বলে আশা করা যায়। কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছিলাম। কিন্তু উত্তরটা দিতে গিয়েই আবার থমকে গেলাম। এই কিছুক্ষণের ভেতরই এতকিছু হয়ে গেছে যে চট করে মনেই করতে পারলাম না গন্ধটা কেমন ছিল। ছোট্ট একটা বেমক্কা কথা বলে ফেলে এখন দেখছি বাকি সময়টা বেকুবের মত বোবা হয়েই থাকতে হবে!

"আসলে গতকাল একটা প্যাক দিয়েছিলাম চুলে..." আরেবাহ! আমাকে দেখি কিছু বলতে হচ্ছে না! মেয়েটাই বলে যাচ্ছে কিছুটা কৈফিয়ত দেবার ভঙ্গিতে। চোখেমুখে খানিকটা আড়ষ্ট লজ্জা ফুটে উঠল এটুকু বলতে গিয়ে, "ওই প্যাকটার গন্ধই... আরকি মানে..."

এতক্ষণে আমার মুখে বুলি ফুটল। বিজ্ঞের মত বললাম, "ও আচ্ছা, আমারও তাই মনে হচ্ছিল (!), যদিও প্রথমে ঠিক ধরতে পারিনি আরকি। আর ইয়ে... স্যরি, আপনি কিছু মনে করেননি তো?" শেষটা বলতে গিয়ে আবার তোতলামো এসে যাচ্ছিল।

"না না ইটস ওকে।" আড়ষ্টতা কেটে গেছে তার অনেকটাই।

"তবে আপনার চুলগুলো কিন্তু খুবই সুন্দর। বোঝাই যায় আপনি চুলের অনেক যত্ন নেন।" মনের কথাটাই কিভাবে যেন বের হয়ে এলো মুখ থেকে।

অচেনা কারো সাথে, বিশেষ করে কোন মেয়ের সাথে এরকম Small Talk করার স্বভাব আমার কোনকালেই ছিল না। যদিও আজকের দিনটা নিশ্চিতভাবেই ব্যতিক্রম। এই অপরিচিতার সাথে দেখা আর গত কিছুক্ষণের কথোপকথনের কোন অংশই আমার দৈনন্দিন ছকে পড়ে না। কথাটার অবচেতন জন্ম হয়ত সেই ছকের বাইরের পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা থেকেই।

প্রশংসা শুনে লজ্জা পেল মেয়েটা। আমার স্থূলদৃষ্টিতেও লজ্জাটা জেনুইন বলেই মনে হল। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে চেষ্টা সফল।

"কিন্তু বললেন নাতো গন্ধটা অনেক কড়া লাগল কিনা।" লজ্জা ঢাকতেই বোধহয় তাড়াতাড়ি বলল সে।

আবারও সেই দিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু লাগামটা সামলে নিয়েছি এতক্ষণে। "আরে নাহ! খুবই সামান্য গন্ধ, বাসটা ওভাবে হঠাৎ ডানে মোড় না নিলে সেটাও টের পেতাম না!" ছেলেভুলানো (নাকি মেয়েভুলানো?) উত্তর দিলাম। মেয়েটাও কি বুঝল কে জানে, কিন্তু এটা নিয়ে আর কথা বাড়াল না। আমিও গোপনে হাঁফ ছাড়লাম।

এমন সময় স্লো হয়ে গেল বাস, সামনেই থামবে। হেল্পার জায়গার নাম নিয়ে হাঁক ছাড়ল, কে কে নামার আছেন গেটে আসেন।

আমার স্টপেজ। কোনদিক দিয়ে যে সময় গেছে একদমই টের পাইনি। এই অদ্ভূত আবহাওয়ার রাতে এই অপরিচিতার সাথে অদ্ভূত এনকাউন্টার, রিলেটিভিটি নিয়ে আইনস্টাইনের কৌতুকের সাথে মিলে গেছে।

আলাপটা সবে জমে উঠছিল। এখনই উঠতে হবে! মেয়েটা যেখানে যাবে সে পর্যন্ত যাবার একটা সূক্ষ্ম চিন্তা মাথায় আসলেও পাত্তা দিলাম না। ওসব ছ্যাবলামো আমার স্বভাবে নেই। আর এমনিতেও I’m too old for that. কাজেই উঠে পড়লাম।

উঠতে উঠতে বললাম, "এখানেই নামব আমি, আসি তাহলে।" বিদায়সূচক একটা মাপা হাসি দিলাম সাথে।
আমাকে অবাক করে মেয়েটাও বলল, "আমিও নামব।"

বলে কি! আরেকটা ধাক্কা! লাগাতার অদ্ভূতের মুখোমুখি হবার কারণেই সম্ভবত এবার আর কোন ছাপ আমার মুখে পড়ল না; সাময়িক স্নায়ুবৈকল্য যাকে বলে।

উঠে দাঁড়িয়েছে সেও, অপেক্ষা করছে আমার এগোনোর। তা দেখে স্থবিরতা কাটল আমার। দ্রুত একটু পিছিয়ে তাকে আগে যাবার জায়গা করে দিলাম।

বড়ই অদ্ভূত যাচ্ছে আজ সময়টা, অন্তত আমার নিস্তরঙ্গ জীবনে আসলেই অদ্ভূত। মনটা তখন অভ্যস্ত ছকে বাঁধা দৈনন্দিন রাজপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে বলা যায় অনেকটা হাইজেনবার্গ সাহেবের অনিশ্চয়তার গলিঘুপচিতে মাথা কুটছে।

এগিয়ে যাচ্ছে সে, পেছনে আমি - টাল খাওয়া গাড়ি টো ট্রাকের পেছনে যেভাবে যায় অনেকটা সেভাবে।
আমাদের নামিয়ে সাঁ করে চলে গেল বাসটা। উড়িয়ে দিয়ে গেল তার খোলাচুল।

ভাবছিলাম কি বলব। তার আগেই মুখ খুলল সে।
"কোনদিকে আপনার বাসা?"
"ওই পারে।"
"আমারও।" পাল্টা প্রশ্ন করার আগেই উত্তরটাও পেয়ে গেলাম।
"চলুন তাহলে এগোই।" স্বাভাবিক গলায় বলল সে, মুখে সৌজন্যসূচক হাসি।
"হ্যাঁ চলুন যাই।" এতক্ষণে অর্থবহ কিছু বলতে পারলাম।

গন্তব্যে যেতে হলে ফুট ওভারব্রিজে উঠতে হবে প্রথমে। দুজনই ওপারে যাব রাস্তার। রাস্তা ফাঁকাই বলা যায়। দোকানপাট প্রায় সব বন্ধ, বাকিগুলোতেও বন্ধের তোড়জোড় চলছে। উঠতে লাগলাম সিঁড়ি বেয়ে, পাশাপাশি।

"সবসময় এত দেরি করেই ফেরেন নাকি?" নিজের পিঠটা চাপড়ে দিতে ইচ্ছে করল জিজ্ঞেস করেই, ফিরে পাচ্ছি নিজেকে আবার।
"না... আজকে আসলে কলেজে একটা প্রোগ্রাম ছিল তো, তাই দেরি হল।"
"কলেজ?"
"হ্যাঁ, আমি ইডেনে অনার্স পড়ছি।"
"ও আচ্ছা!"
"আপনার এমন দেরি হয় প্রতিদিন?"
"না আমারও হয়না, আজ অফিসে একটু বেশি কাজ ছিল আরকি।"
"ও... কি করেন আপনি?"
বললাম।

ওভারব্রিজের ওপরে আমরা ততক্ষণে, এগিয়ে যাচ্ছি সামনে। সাঁ সাঁ করে এদিক-ওদিক কয়েকটা বাস আর গাড়ি চলে গেল নিচ দিয়ে। বইছে সেই অদ্ভূত ঠান্ডা হাওয়া। প্রশ্নের পালা এবারে মেয়েটার, কিন্তু কিছু বলছে না সে।

অপেক্ষা না করে আমিই বললাম, আচ্ছা, আপনার নামটাই তো... কিন্তু শেষ করার আগেই দাঁড়িয়ে গেল সে হঠাৎ করেই, দেখছে চারপাশ। বুঝে পেলাম না ব্যাপার, দাঁড়িয়ে গেছি নিজেও।

"কি সুন্দর বাতাস! তাইনা?" উচ্ছ্বসিত গলায় বলল সে আমার দিকে ফিরে; দুচোখে নিখাঁদ মুগ্ধতা। যাক, এবার বোঝা গেল!

ঠিক ওই মুহূর্তেই হঠাৎ মেঘ ডেকে উঠল। সচকিত দুজনেই তাকালাম আকাশের দিকে।

"বৃষ্টি নামবে মনে হচ্ছে!" আবার আমার দিকে ফিরে বলল সে।

অব্যক্ত সে চাহনি; স্ট্রীট ল্যাম্পের আজব আলোর আবহে আরও অব্যক্ত। অসময় বর্ষার আগমনী সুর মুহুর্মুহু জানান দিচ্ছে দমকা হাওয়ার তোড়ে তার খোলা চুলের নাচন। মুগ্ধতা তখন আমার চোখেও।

-------------------------------------------------------------------------------------------------
মিলু


মন্তব্য

গেরিলা এর ছবি

শয়তানী হাসি

মিলু এর ছবি

ইহার মানে কি জনাব? চিন্তিত

মিলু এর ছবি

ধন্যবাদ নিটোল। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নিটোল(অতিথি) এর ছবি

হুমম... ভালো হয়েছে। চলুক।

মিলু এর ছবি

কন কি!! অ্যাঁ রেফারেন্স দেন দয়া কইরা।

এইডা কিন্তু ভাই বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা। চোখ টিপি

তারপরেও কোন কিছুর সাথে মিল্যা গেলে কমু বড়ই আচানক ব্যাপার। চিন্তিত

মিলু এর ছবি

ধন্যবাদ নিটোল। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তানিম এহসান এর ছবি

মিলু, আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম ভাই। ”চুলের গন্ধে ঘুম আসেনা, একলা জেগে রই”! দেঁতো হাসি

মিলু এর ছবি

আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম ভাই।

তানিম ভাই, বলতে গেলে এইটাই সচলে আমার প্রথম লেখা। এর আগের দুইটারে ঠিক "লেখা" বলা যাবে না।

”চুলের গন্ধে ঘুম আসেনা, একলা জেগে রই”!

হো হো হো চোখ টিপি খাইছে

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

guest_writer এর ছবি

কপি কপি গন্ধ পাইলাম।

=============
আমি জানি না

মিলু এর ছবি

আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম ভাই।

তানিম ভাই, বলতে গেলে এইটাই সচলে আমার প্রথম লেখা। এর আগের দুইটারে ঠিক "লেখা" বলা যাবে না।

”চুলের গন্ধে ঘুম আসেনা, একলা জেগে রই”!

হো হো হো চোখ টিপি খাইছে

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মিলু এর ছবি

কন কি!! অ্যাঁ রেফারেন্স দেন দয়া কইরা।

এইডা কিন্তু ভাই বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা। চোখ টিপি

তারপরেও কোন কিছুর সাথে মিল্যা গেলে কমু বড়ই আচানক ব্যাপার

মিলু এর ছবি

মনেতো হয় সবার মন্তব্যের জবাব জায়গামতই দিছিলাম, কিন্তু পুরাটাই দেখি ডিগবাজি খাইসে। এ কি ভানুমতি, এ কি ইন্দ্রজাল। ইয়ে, মানে... ইয়ে, মানে...

মডু ভাইরা দয়া কইরা একটু হাত লাগাইয়া আমার আগাছা মন্তব্যগুলা ঘ্যাচাং করবেন কি? মন খারাপ

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

প্রতি জবাবের পর একবার পেইজটা রিফ্রেশ করুন তারপর আরেকরটা নতুন জবাব দিন, সাধারণত কাজ হয়।


_____________________
Give Her Freedom!

মিলু এর ছবি

এরপর থেকে মাথায় রাখব। ধন্যবাদ মৃত্যুময়।

আশেক এর ছবি

সাবাশ মিলু! কঠিন হয়েছে! এক্কেবারে জমে ক্ষির দেখছি দাদা! পুরোই তো মাখন মাখন লাগছে! চালিয়ে যাও! সামনে তোমার কাছ থেকে আরও বেশী বেশী লিখা আশা করছি।

তোমাদের আশেক ভাই!

মিলু এর ছবি

এবার থামুনগো দাদা! মাখনে পিছলে যাবেন যে! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

গল্প পড়ে মুগ্ধতা এখন আমার চোখেও... হাসি

চলুক

মিলু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ইস্কান্দর ভাই আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।