যারা জগা খিচুড়ির প্রথম দুই পর্ব পড়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন এই খিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। সুতরাং সামনে এগুনোর আগে সাবধান! তবে কিনা অশ্লীলতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমার নিজের কাছে যে কোন ধরনের ফ্লপ রসিকতাকে অশ্লীল মনে হয়। যেটা শুনে হাসি আসবে সেটা আবার অশ্লীল হবে কেন? বরং আপনাকে কেউ কোন জোকস বলছে, আপনি আশা করে বসে আছেন একটা পাঞ্চ লাইন আসবে আর আপনি একটু মুখ বাঁকাবেন। হটাত করে হতভম্ব হয়ে আবিষ্কার করলেন জোকস বলা শেষ, কিছু বোঝার আগেই। এই গুলাকে বলে অশ্লীল রসিকতা, এবং আমাদের আশেপাশে এইরকম রসিক প্রায়ই দেখা যায়। আমাদের এক বন্ধু ছিল, চরম ফ্লপ রসিক। একদিন এসে রসিকতা শোনাল, এক ছোট ছেলে রিকশাওয়ালা কে জিজ্ঞেস করলো, এই রিকশা যাবে? রিকশাওয়ালা বলে যাব। সেই ছেলে বলে, যাও। আমরা সবাই এই রসিকতা শুনে হতভম্ব। তখনই বুঝেছিলাম এই ছোকরা বড় হলে আর্মি হবে এবং হলও তাই। সামলে উঠে পরে অবশ্য এটাকে আমাদের রসিকতা মাপার স্কেল বানালাম, এক রিকশা, দুই রিকশা, আড়াই রিকশা এভাবে রসিকতার মান মাপা হতো। বায়তুল মোকারম এর খতিব এর কাছে নাকে খত দিয়ে মতি ভাই প্রতিজ্ঞা করেছে, সামলে রসিকতা করবে। আলপিন ভেঙ্গে হয়েছে রস আলো। সেটা পরে মাঝে মাঝে বজ্রাহত হয়ে বসে থাকি, এও কি সম্ভব। এইরকম নির্লজ্জ এবং অশ্লীল রসিকতা মানুষ কিভাবে করে? রসিকতার স্কেলে এর মান তো হাফ-রিকশাও হবে না। রসিকতা যদি না করতে পারেন তাইলে ঝিম ধরে বসে থাকলেই হয়, কে বলছে রসিকতা করতে? দেশের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন, মেহেরজান কে নিয়ে আলাপ করেন, আশরাফুল কে নিয়ে লেখেন, ফ্লপ রসিকতা করার কি দরকার? যাই হোক, তাই বলে ধরে নিবেন না জগাখিচুড়িতে আমি রসিকতা করতে বসেছি। উপরে তাকায়ে দেখেন কথাও রম্য রচনা ট্যাগ আছে কিনা। পরে পড়ে বলবেন, এই পর্বে রস কম হইছে সেটা হবে না। এটা একটা চিন্তাভাবনা ক্যাটাগরির লেখা। পড়ে যদি হাসি পায় সেইটা আপনার মানসিক সমস্যা, মেজাজ খারাপ হলে সেইটা হরমোনের সমস্যা।
জগা খিচুড়ি লেখা শুরু করার পর বন্ধু মহলে হুড়াহুড়ি পড়ে গেছে। বিভিন্ন বন্ধু ফোন দেয়, ইনিয়ে বিনিয়ে এ কথা সে কথার পর আসল কথায় আসে। তুই যেভাবে উদোর মুণ্ডী বুধোর ধড়ে চাপাচ্ছিস এইটা ঠিক না। আমি হয়তো ফোনে একটু আলাপ করতাম কিন্তু রাস্তায় দাড়িয়ে ফোন নাম্বার কখনই বিলি করতাম না। আরেকজন হয়তো বলে, দোস্ত আমাদের বয়স হইছে, বাচ্চা কাচ্চা আছে, এখন এইসব পুরানো দিনের কথা না বলাই ভালো। আবার কেউ জাগতিক লাইন এ সুবিধা করতে না পেরে আধ্যাত্মিক লাইন এ চেষ্টা করে, বলে এমন মিথ্যা কথা আল্লাহ সইবে না। আমি কোন উত্তর না দিয়ে হে হে করে হাসি, মনে হচ্ছে ইয়েলো জার্নালিজম এর মতো করে ইয়েলো ব্লগিজম শুরু করতে পারবো শীঘ্রই। ঘরেও সমস্যা, লেখা পড়ে স্ত্রী ফোঁস করে ওঠে, হ্যাঁগো আমি না হয় মাঝে মাঝে আদর করে তোমাকে চামচ দিয়ে দুই একটা বাড়ি দেই, তাই বলে খুন্তির বাড়ি কবে দিলাম?
মিলিটারি স্কুল থেকে আমরা এক সপ্তাহের শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার। আনন্দে আমাদের সবার ব্রেইন শর্ট সার্কিট হয়ে গেলো। কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে এসে পৌছালাম মধ্য রাতে। ৫০ জন মানুষের থাকার জায়গা হোল বিশাল কমন রুমে। উত্তেজনা সামলাতে না পেরে আমাদের বিশালদেহী বন্ধু যাকে আমরা আদর করে বনমানুষ ডাকতাম, সব কাপড় চোপড় খুলে দিগম্বর হয়ে গেলো। তারপর একটা কালো কম্বল জড়িয়ে একে একে সবার সামনে এসে কম্বল উন্মোচন করে বলে, শিষ্য হ। কম্বল আর ওর গায়ের রঙে কোন পার্থক্য ছিলোনা, দুজনের লোমের তুলনা করলে বন্ধুটি হয়তো কম্বলের চেয়ে এগিয়ে থাকবে। কোন এক হিন্দি ছবিতে মাধুরীকে দেখেছিলাম কামুক নায়কের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে টান দিয়ে জামা খুলে বলে, মেরা সব কুচ লে লো। আমরা সেই দৃশ্য বার বার রিপিট করে টিভির কোনায় গিয়ে চিপাচুপা দিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি, সব কুচ এর কুচ কুচ দেখা যায় নাকি। এক্ষেত্রে সেইরকম কষ্ট করতে হোল না, সব কুচ ই দেখা গেলো। উপরের ছবির নায়ক বেশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে মাধুরীকে আবার কাপড় চোপড় পরিয়ে দিয়েছিল। আমরা অনেক চেষ্টা করেও বন্ধুটিকে কাপড় পরাতে পারলাম না। সে ঘুরে ঘুরে শিষ্য বানাতে লাগলো। গুরু তোমার শিষ্য হলাম বললে খুশী হয়ে পরের জনের কাছে চলে যাচ্ছিলো। গ্যাঞ্জাম বাধল যখন একজন শিষ্য হতে আপত্তি জানাল। ব্যাটা ক্ষিপ্ত হয়ে কম্বল ছুড়ে ওর উপর ঝাপিয়ে পড়ল। তারপর আর কি, আপনারা তো জানেনই মাদ্রাসা আর মিলিটারি স্কুলের ছোকরারা একটু ইয়ে হয় আর কি। বোরাট আর আজামত ভাইয়ের মধ্যে যা হয়েছিলো অথবা মনিকা বেলুচ্চির এর সাথে Irreversible এ যা হয়েছিলো সেইরকমই কিছু একটা হোল। আমার সেই বন্ধুটি এখন আর্মির বড় কর্তা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুনেছি SSF এ আছে, যার কাজ কিনা প্রধান মন্ত্রী সহ সব উঁচু কর্তাদের নিরাপত্তা রক্ষা করা। কবে জানি আবার দিগম্বর হয়ে কোন মন্ত্রীকে চেপে ধরে বলে, শিষ্য হ। তবে কিনা, এই কাজ আর্মির বড় কর্তারা প্রতি পাঁচ বছর পর পর একবার করে করেন। দিগম্বর হয়ে আমাদের দেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলেন, শিষ্য হ। আমরা প্রথমে খুশী হই, মনে হয় এবার হয়তো দেশটা একটু সাইজে আসবে। কিন্তু কিছুদিন পরেই ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হয়।
আমাদের আব্দুল মতিন ছিল ক্লাসের সবচেয়ে ভদ্র ছেলে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত, সিনেমাতে আজে বাজে দৃশ্য দেখা গেলে চোখ নামিয়ে নিতো আর প্রতিদিন ভোরে তার পাজামা ধুয়ে রুমের সামনে নেড়ে দিত। দুষ্টু ছেলেপিলেরা সেই পাজামা ধোয়ার কারন খুজত। সব বাজে কাজের একটা ভালো কোড নেম ছিল আমাদের। "গিটার বাজানো" সেইরকম একটা ব্যাপার ছিল। মতিনকে গিয়ে ধরল পোলাপান, দোস্ত তুই কি গিটার বাজাস না? ও ক্ষেপে গিয়ে বলে, আমি আমার দক্ষিণ হস্ত দিয়া আমার অঙ্গ স্পর্শ করিনা। ধর্মে নাকি নিষেধ আছে। এরপর থেকে পোলাপান ফিশসিশ শুরু করলো, শালার বা হাতে কি জোর রে বাবা। বদ ছেলেপুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আরেকদিন ক্ষেপে বলে, শালার ব্যাটা তোদের আমি এমুন বিদাম দিবো। আমরা খুশী হয়ে ভাবলাম, বাদাম দিবে এ আর এমন খারাপ কি, চানাচুর দিলে আরও ভালো হতো। পরে জেনেছিলাম, হবিগঞ্জের ভাষায় বাদাম দেয়া মানে ধোলাই দেয়া। আমাদের সাথে থেকে থেকে ওহাবও গালি দেয়া শিখে গেল, তবে নিজের মতো করে দিত। চরম ক্ষেপে গেলে বলত, শালার ব্যাটা তোর মাকে আমি বিহা করব। তখনকার বয়সে এইরকম গালি শুনে স্বভাবতই আমাদেরও মাথায় আগুন জ্বলে উঠত। ভুল করল একদিন রনিকে এই গালি দিয়ে। আমরা যেখানে এটা শুনলে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠতাম রনি সেখানে বেশ খুশীই হোল। এরপর থেকে দিন রাত মতিনকে আব্বা ডাকা শুরু করলো। দিন রাত ওর পেছন পেছন ঘুরঘুর করত আর কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করে আবদার ধরত, আব্বা মুড়ি খাইতাম, আব্বা ফেট্টিস (পেটিস) খাইতাম। মতিন এখন RAAB এ আছে। আক্ষরিক অর্থেই আমাদের দেশ মাতৃকা কে বিহা করে সবার আব্বাজান হয়ে মনের সুখে দেশের লোকজনদের ধরে বিদাম দিয়ে যাচ্ছে।
"আব্বা ফেট্টিস খাইতাম" এর শানে নুযূল একটু বলি। "আব্বা ফেট্টিস খাইতাম", আমাদের মাঝে খুব জনপ্রিয় ডায়লগ ছিল। আমাদের বাংলার শিক্ষক, আমাদের পড়ানোর পাশাপাশি দিন রাত শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা নিয়ে লেকচার দিতেন। বিদেহী রাজ্যের রাজকন্যা বৈদেহী আর তাকে হরণ করে রাবণ ব্যাটার নাম হয়েছে বৈদেহীহর, এইসব শুনতে শুনতে মাথা আউলায়ে যেত। মাইকেল মধুসূদন যে শুধু মাত্র কলেজ ছাত্রদের অত্যাচার করার জন্যই মেঘনাদ বধ কাব্য লিখে গেছে সেই ব্যাপার এ আমাদের সন্দেহ ছিলোনা। কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে শূলী-শম্ভূনিভ, ভঞ্জিব, সৌমিত্রি কুমতি, নিকুম্ভিলা-যজ্ঞাগারে এইসব শব্দ ব্যবহার করা সম্ভব না। আমাদের বাংলা শিক্ষক ছলছল চোখে আমাদের মেঘনাদ বধ কাব্য পড়াতেন। আমি তখন আবৃত্তি করতাম। তাঁর কাছে তালিম নেয়ার চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কিছুই ছিলোনা। ২ সপ্তাহ ধরে আমাকে শুধু "এতক্ষণে ,অরিন্দম কহিলা বিষাদে" এই এক লাইনের বাইরে বের হতে দিলেন না। তাও পুরা লাইন ও না, দিন রাত আমাকে দিয়ে খালি "এতক্ষণে" বলিয়ে যাচ্ছে, মন মতো হচ্ছে না। এক শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে কত আবেগ। মেঘনাদ যুদ্ধের মাঝে দৌড়ে এসেছে অস্ত্রাগারে, সেখানে বিভীষণ কে দেখে বুঝতে পারে কে সেই বিশ্বাসঘাতক। একই সাথে দৌড়ে আসার পরিশ্রম, যুদ্ধ ক্লান্তি, হতাশা, অভিমান আর রাগ মিলিয়ে সে বলে " এতক্ষণে ..."। আমিও দিন রাত খালি এতক্ষণে এতক্ষণে করে যাচ্ছি। কিছুতেই তাঁর মন মতো হয়না। পরে আমাকে ৫০ বার কান ধরে উঠবস করিয়ে বলে, এইবার বল। আমি হাঁপাতে হাঁপাতে রাগে শোকে হতাশ হয়ে বলি, এতক্ষণে! আর তিনি বলেন, Exactly! সেইদিনের পর থেকে আমি, কবিতা তোমার দিলাম আজকে ছুটি, খুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় বলে, এই লাইন থেকে অবসর নিলাম। সেই বাংলা শিক্ষক একদিন ক্যান্টিনের সামনে দাড়িয়ে আমাদের শুদ্ধ উচ্চারণ নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন। পরাবারি, পুরাবারি, পড়াবাড়ি, পোড়োবাড়ি, পোড়াবাড়ি, পুরাবাড়ি আর পরবাড়ি এর পার্থক্য বুঝাচ্ছেন। সেই সময় তাঁর শিশু পুত্র হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে বলে, "আব্বা ফেট্টিস খাইতাম"। আরও বছর খানেক পরে হুমায়ুন আহমেদ এর এলেবেলে তে প্রায় এরকম একটা ঘটনার কথা পড়েছিলাম । বিশিষ্ট আঁতেল পিতা যখন মায়াকোভস্কি নিয়ে আলোচনায় মত্ত তখন তাঁর দিগম্বর শিশু পুত্র এসে বলে "হাইগা আইলাম"। যাই হোক, পুত্রের এমন ভাষা জ্ঞান দেখে শিক্ষক বজ্রাহত। আমি আনন্দে ৩২ দাঁত বের করে বললাম, "এতক্ষণে"!
যাই হোক, আজকের খিচুড়ি এখানেই শেষ করি। ভেবেছিলাম, জগাখিচুড়িতে হালকা কথা বলব সবসময় কিন্তু এই পর্বের কিছু জায়গায় সিরিয়াস টোন চলে এসেছে। কিছুক্ষণ আগে ইউটিউব এ "কিলিং মিলন" এর ভিডিও দেখে বাথরুমে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি। তারপর চোখ মুছে দাঁত বের করে জগা খিচুড়ি লিখতে বসেছি। কি হবে এতো অর্থ খুঁজে, জীবনটা আসলেই জগাখিচুড়ি। আপনি বেঁচে আছেন শুধু এই ভেবেই খুশী মনে দাঁত বের করে হাসুন। আনন্দ করুন যতদিন না কেউ আপনাকে পিটিয়ে মেরে না ফেলছে।
...... উদাস
জগা খিচুড়ি - ০১
জগা খিচুড়ি - ০২
মন্তব্য
-মেফিস্টো
খুব ভালো হয়েছে উদাস। খুব ভালো।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাল হয়েছে।
চমৎকার হয়েছে উদাস। আপনাকে পাঁচ রিকশা দিলাম।
মিলনের ভিডিওটা দেখে কাল থেকেই বারবার ক্রোধে আক্রান্ত হচ্ছি - এই ক্রোধ কার উপরে জানি না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শোবার আয়োজন করতে করতে সচলের পাতা উল্টাচ্ছিলাম। জগাখিচুড়ি দেখে বসে গেলাম। প্রচুর হাসলামও কিন্তু শেষে এসে...
ধুস... মনটাকে আর মেজাজটাকে ভাল রাখাই যাবেনা আর...
খুব একচোট হাসলাম। আমি কি তাহলে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত?
ধন্যবাদ মেফিস্টো, অনার্য সঙ্গীত এবং তাসনীম ভাই।
RAB এর বানানে একটা A বেশী পড়ে গেছে মনে হয়। ব্যাপার না, দেখলে ওরা বরং খুশীই হবে।
আপনার লেখার হাত বড়ই রসময় । জগাখিচুড়ি চলতে থাকুক!
আপনার মতো রসিক লোক যখন বলছে, তখন লেচ্চয় রসময়।
... উদাস
তানিম, ঝুমন , যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এবং বন্দনা।
মন খারাপ করে কি লাভ বলেন? খিচুড়ি খান, আনন্দ করেন।
...উদাস
হা হা হা। পাঁচ রিকশার কম দেয়াই যায় না!
এইবারের খিচুড়ির তুলনা নাই!!! রিকশা স্কেলে প্রায়ই অসীমতক!!!!
_____________________
Give Her Freedom!
এইবারের পর্বটা ভালো লেগেছে।
উদাস - আপ নার লিখা টা লাইফ ইজ বিউটিফুল সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিল,,,,
লাইফ ইজ বিউটিফুল দুর্ধর্ষ ছবি। আমার এই জগাখিচুড়ি পড়ে আপনার ওইটার কথা মনে হইলে আপনের স্ক্রুপ ঢিলা পরসে ...
আপনার হাতের একটা ছবি তুইলা ফেসবুকে শেয়ার দিয়েন ভাই, আপনার হাতে একখান চুমা খাবো এই খায়েশ হইছে...সরাসরি তো সম্ভব না তাই এই ব্যবস্থা ৷ চ্রম খিচুড়ি, একদম মর্মে মর্মে পশিল...
তাও ভালো, হাত পর্যন্তই সীমাবদ্ধ আছেন ... । ভাই কি মাদ্রাসা না মিলিটারি স্কুল?? ...
... উদাস
আপনার হাত আসলেই রসময়
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
মিলু, নিটোল, মৃত্যুময় ঈষৎ, রু, অকুতোভয় বিপ্লবী।
...উদাস
ঢাকায় কদিনধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। গিন্নীকে তাই বলে রেখেছিলাম রাতে খিঁচুড়ী রাঁধতে। কিছুক্ষন আগে খিঁচুড়ী খেয়ে কেবলই সচলায়তনে ঠুকেছি। আপনার লেখাটা পড়ে ফেললাম। মজা করে খিঁচুড়ী খেতে বলেছেন, খেয়েছি। কিন্তু জগাটাতো খাওয়া হলনা। খিঁচুড়ী খেয়ে বেশ আনন্দেই ছিলাম, আপনি মিলনকাহিনী স্বরন করিয়ে দিলেন। এক অব্যক্ত ক্ষোভ দানা বেধেছে বুকের মধ্যে। মাঝেমাঝে মোচড় দিয়ে উঠছে। যাহোক লেখাটা খুবই ভাল লেগেছে। মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
ধন্যবাদ
সবাই আপনারে গুপ্তভাবে না বলে সবাই দেখি খোলাখুলিই আপনাকে রসময় নাম দিয়ে দিলো। লেখা আগের গুলোর মতোই উপাদেয় হয়েছে।
মিলনের ভিডিওখানা দেখতে পারিনি। দেখার মতন শক্তি বা সাহস এ জীবনে হবে বলেও মনে হয়না।
শেষমেষ আপনার বাংলার শিক্ষকের প্রতি সম্মান জানায় যাই। কবিতার ভূত মাথা থেকে না নামালে হয়ত এমন গদ্যকার পেতাম না আমরা। সচলের কবিতা মডু হিসেবে বাংলার শিক্ষকের নাম প্রস্তাব করলাম।
রসময় পর্যন্ত ঠিক আছে, গুপ্তে না হয় নাই বা গেলাম ...
শিক্ষক মহোদয় কে কবিতার মডু বানালে এইখানের সব কবিরা বাক্স পেটরা গুছিয়ে চলে যাবে।
... উদাস
চমৎকার লিখেছেন।
মিলনের ভিডিওটা পুরাটা দেখার আগেই গা গুলিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ অসভ্যদের দেশ হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। জানি না তবু কেন এই অসভ্য দেশে ফিরে যাবার জন্য এত পাগল হয়ে উঠেছি আমি।
দারুণ লাগলো লেখা! চলুক চলুক চলুক!
তবে, ইয়ে... আপনি রস-আলো 'পরে' বজ্রাহত হয়ে বসে থাকেন বলে খানিক শংকিত হলাম, যারা আপনাকে রস-আলো 'পরে' বসে থাকতে দ্যাখে তাদের জন্যে আর কি।
শেষ লাইনটা সত্য, এর বেশি আর কি বলার আছে।
ভালো থাকুন, অনেক লিখুন, সচলে স্বাগতম।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মাপ করি দেন, টাইপো হয়ে গেছে। এই ব এ শূন্য আর ড এ শূন্য নিয়ে বড়ই পেরেশানিতে আছি। তবে রস-আলোর যেই সাইজ, ওইটা কি আর ভদ্রলোকের পক্ষে পরা সম্ভব? প্রথম-আলো হলেও কথা ছিল, দিব্যি লুঙ্গী বানিয়ে পরা যেত।
...... উদাস
জগা খিচুড়ি দীর্ঘজীবি হোক।
love the life you live. live the life you love.
দারুণ হোল, থুক্কু হলো....
চরম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মজার সিরিজ। চলুক।
ব্যাপক!
দাঁত বের করেই হাসলুম
ধন্যবাদ তারাপ কোয়াস, ধৈবত, কমেন্ট এবং কৌস্তুভ। হাসতে থাকুন দাঁত বের করে এবং দু দু বার করে।
... উদাস
চমৎকার লেখা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ আশালতা। আপনার হত্যা অথবা মৃত্যু পড়ে কিছু না বলে পালিয়ে এসেছি, কমেন্ট করার শক্তি হয়নি।
... উদাস
বেশ তো, ওটা ছাড়াও 'টিশ্কুল', 'তিন চাকার নবাব' বা 'কচিকাঁচা কথা' র মত লেখাও আছে আমার, সেগুলো পড়তে পারেন, পালাতে হবেনা। আমি সারক্ষণই সব্বাইকে ভয় দেখিয়ে বেড়াই না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বেশ লাগলো -চালিয়ে যান।লেখায়
এই বারের টা সবদিক দিয়ে ব্যালান্সড লেখা। দারুণ লাগলো।
জগা খিচুড়ি - ০৪ এর অপেক্ষায় রইলাম।
--স্বপ্নাদিষ্ট
=============================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
বিরক্ত এবং স্বপ্নাদিষ্ট । লেখা ব্যালান্সড করা বড়ই মুশকিল এর কাজ, রস বাড়ালে অশ্লীলতা বাড়ে আর কমালে জ্ঞানী প্যাঁচাল বেশী হয়ে যায়।
... উদাস
বস্, আমি আপনার শিষ্য হইলাম...
খিচুড়ির প্রতি আমার আজন্ম টান, এরকম হইলেতো কথাই নেই...
পরবর্তী খিচুড়ির অপেক্ষায়...
এটা আসলেই চিন্তাভাবনা ক্যাটাগরীর লেখা যদিও অনেক হাসলাম। ভাগ্যিস মিলিটারী ইশকুল পাশ দিয়ে আপনিও র্যাব, এস এস এফ, বা মেজর/ কর্নেল কিছু হননি...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আমারো এক বন্ধু রিকশার জোক বলত , এক ধরনের মেলেটারি ইশ্কুলের সহপাঠী এখন মেলেটারিতে, আমারো এক স্যার 'এতক্ষণে' শেখাতেন রবার্ট ব্রুসের একাগ্রতা নিয়ে, (খুক খুক) গিটার বাজানোটা আমাদেরো অনেকের ফেভরিট পাসটাইম ছিল, আমরা কি এক গোয়ালেরি গরু নাকি?
'জগা খিচুড়ি' চমৎকার লাগল।
আপনার ৩ পর্ব জগাখিচুড়ি খেয়ে কাল রাত থেকে হাসির ডায়রিয়া হয়ে গেছে, জায়গা-বেজায়গায় হেসে ফেলছি। শেষটা পড়ে অবশ্য হাসি থেমে গেল, কিন্তু কি আছে গুরু, আমরা হলাম গণ্ডার, যেডিন মাংসে পৌঁছাবে সেদিন ব্যথা পাবো, ততদিন অন্যের দুর্দশা দেখে বগল বাজাই আসুন।
সবাইকে।
@ ইস্কান্দর বরকন্দাজঃ শিষ্য হবার দরকার নেই বস, বরং গুরু হন ...
@ দিহানঃ মিলিটারি হয়ে গেলেও সমস্যা হতো না, সচলে তখন খালি রিকশা জোক পোস্ট করতাম।
@ কবিয়ালঃ গরু কিনা বলতে পারছি না কিন্তু একই গোয়ালের তো হতেই পারি ...
@ Elebele ঃ পরের পর্বে না হয় কিছু লবন আর গুড় দিয়ে দিবো আপনার ডায়রিয়া বন্ধের জন্য। ঠিকই বলেছেন, কি আছে জীবনে, আমরা সবাই টোকাই, আসেন বসে বগল বাজাই।
...... উদাস
নাহ, এই বয়সে গুরু হইতাম পাত্তাম না। আপ্নে বস মানুষ। আবার এইসব ব্যাপারে অভিজ্ঞ। আপ্নেই গুরু(কাপড় না খুইল্লাই)...
আপনে এক কাম করেন, নিজের নাম লন "রসময় উপ্তা"। তারপর কেউ আপনের জগা খিচুড়ি পড়ে রমনার ঐ সাদা বাড়িটা দেখাইতে আইলেই কয়া দিতারবেন, আরে নামই তো উপ্তা। রস তো কিছু গড়ায়া পড়বেই দাদা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বস, নামের ‘উপ্তা’ অংশটা ক্যান, বুঝতাছিনা
জটিল নাম দিছেন গো ... রসময় উপ্তা ...
...... উদাস
হুম! নিশ্চিত হলাম আপনিই রসময়!
খিচুড়ির দোকান দিয়ে ফ্যালেন একটা।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
খালি আঙ্গুল আর হাত দেখালেই চলপে??
দ্রোহী, অপছন্দনীয় এবং নিবিড়।
... উদাস
উদাস,
অনেক আনন্দ দিয়েছেন।মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের রম্য (অথবা রমণীয়) আকাশে নতুন নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটেছে। আপনার গল্প বলার স্টাইল, বিষয়বস্তু আর শব্দচয়ন- সব জায়গাতেই রয়েছে হাড়ি-ভর্তি রসের আহবান!
আপনি একজন উৎকৃষ্ট খিচুরি-পাঁচক
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
facebook
লিখা পড়ে শুনালাম বাসার সবাইকে - হাসতে হাসতে চোখ জলে ভেজা ------ মনে পড়ে গেল লাইফ ইজ বিউটিফুল সিনেমার কথা আবারো------
ধন্যবাদ স্বাধীন, কাজি মামুন, সজল, তারেক অণু এবং pathok
...... উদাস
বোকা হাসে তিন বার। প্রথম বার সে হাসে না বুঝে, এর পরে হাসে বুঝে। এরও পরে সে আরেকবার হাসে, আগে কী ভেবে হেসেছিল সেটা মনে করে। আপনার এই লেখা পরে আমার অবস্থা হল এই রকমই বোকার মত। আপাতত প্রথম হাসিটা হেসে নিলাম। পরের হাসি গুলো জমিয়ে রাখলাম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
http://www.somewhereinblog.net/blog/eijeduniya/29428746
হে হে, ব্যাপার না, আপাতত না বুঝেই হাসুন। পরে বুঝলে এসে বলে যাইয়েন কি বুঝলেন ...
......... উদাস
আপনার হাতের লেখা আসলেই জোওওস।।।।।। কোপায় যান গুরু।
ফাটাফাটি লেখা, অনেক দিন পর সেইরকম মজা পাইতাছি, আপনার উচ্চমার্গের রসিকতা যেগুলা আপনি উদ্দেশ্যপ্রনদিতভাবে লোলেভেল নামায়া আনছেন শুনতে/পড়তে মুঞ্চায়। এতদিন পরেও মেঘনাদ বদের এতগুলা শব্দ মনে রাখছেন!
উদাস ভাইজান কি ইয়েমেন থেকে আসা এক সাধক পুরুষের সমাধির শহরের একটু দূরে পাহাড়ের কোলে একটা হাঁটু ইস্কুলে পড়িতেন? সেইখানে এককালে আমিও কিছুকাল পড়সি।
আবার জিগায় ...
ভাইজান, অন্তর্জালে সাবেক হাঁটু-পাঠশালার ছাত্রদের একটি ঠিকানা আছে। ওই খানে মাঝে মধ্যে খিচুরি পাকাইলে আমরা আমরাও ভক্ষণ করিতে পারিতাম।
এতোক্ষণ ঠিক চলছিলো। শেষে এসে মনটা খারাপ করে দিলেন ভাইয়া। আবার মিলনের কথা মনে পরে গেলো। আমরা যে কি নিষ্ঠুর !
উত্তম হয়েছে, চ্রম উদাস ভাই।
সাধু
পাঁচ রিকশা
নতুন মন্তব্য করুন