মাসদুয়েক আগের কথা। সকালবেলা ফেসবুক খুলে আমার চোখদু'টি ছানাবড়া হয়েগেলো!!! ছানাবড়া হবার কারন আর কিছুই নয়, সেটি ছিলো ফেসবুকে শেয়ার করা একটি খবর, যেটার মূল কথাটি ছিলো- "আলোর চেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন কণা আবিস্কার। নিউট্রিনো আলোক কণার চেয়ে বেশি বেগে ছুটতে পারে!!!"
বলেকি?? যেখানে আলোর গতিবেগকে ধ্রুব ধরে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব থেকে শুরু করে কোয়ান্টাম ফিল্ড তত্ত্বের মতো বিশাল বিশাল আতেঁলিয় তত্ত্ব সমূহ দাড়িয়ে আছে সেখানে বজ্জাত নিউট্রিনোর এতো সাহস??
কোন ক্র্যাকপটের নিজস্ব ব্লগের লেখা বা ফেসবুকের নোট হলে হয়তো সেটা হাসির খোরাক হিসাবেই উড়িয়ে দেয়া যেতো। কিন্তু খবরটি মোটেও ফেলনা নয়, কারন প্রথমতঃ লিংকগুলি ছিলো BBC news, New York Times এর মতো বড় বড় পত্রিকার, আর দ্বিতীয়তঃ এই খবরটির দাবীদার হলেন স্বয়ং CERN এর Opera গ্রুপের বিজ্ঞানীরা১ ।
এই খবর দেখে অনেকেই যখন চায়ের টেবিলে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার কথা বলে মুখে ফেনা তুলছিলেন, তখন কিছুটা আশঙ্কায়, টেবিলে বসে বসে আমি কুল কুল করা ঘামছিলাম। কারন আর কিছুই নয়, আমার থিসিস। গত কয়েকমাস ধরে রাত জেগে বিচ্ছিরি সব হিসাব কষে কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরীর যে বিষয়টা (আমার থিসিস) প্রায় মিলিয়ে এনেছি, এই খবরটা পেয়ে মনে হতে লাগলো পুরো জিনিসটার উপর কেউ জল ঢেলে দিয়েছে।
CERN যেটি দাবী করছে, সেটি সঠিক হলে আমাদের বাউলাচুলো আইন্সস্টাইনের প্রায় ১০০ বছরের পুরানো আপেক্ষিকতা তত্ত্ব পুরোটাই নতুন করে লিখতে হবে!!! কেন? আসুন তবে দেখা যাক-
প্রথমেই আপেক্ষিকতার একটা উদাহরন দেই। ধরুন কেউ আপনার উপর ভয়ানক খেপে গিয়ে আপনাকে প্যাদানোর জন্য তাড়া করেছে। আপনিও নিজেকে বাচানোর জন্য প্রানপণে ছুট দিয়েছেন। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আপনার তাড়াকারী ধ্রুব একটা গতিতে আপনাকে তাড়া করছে, সেটি হলো ১০ মি/ঘন্টা।
যাই হোক আপনি দৌড়াতে দৌড়াতে কিছুক্ষন পর পিছনে তাকিয়ে দেখলেন সে আপনার থেকে মাত্র ১ মিটার দূরে আছে। প্রান বাঁচাতে আর একটু জোরে ছুট লাগালেন।
এখন যদি আপনার দৌড়ের গতি , আপনার তাড়াকারী লোকটার সমান হয়ে যায় (অর্থাৎ ১০ মি/ঘন্টা), তাহলে সবসময়ই আপনাদের মধ্যকার দূরত্ব ঐ ১ মিটারই থাকবে। এভাবে যদি আপনারা সমবেগে দৌড়াতে থাকেন পিছনের লোকটি কখনই আপনাকে ধরতে পারবে না।
এখন যদি আপনি দৌড়ের গতি একটু বাড়িয়ে দেন (ধরি ১৫মি/ঘন্টা) , তাহলে দেখবেন আপনার তাড়াকারী আপনার থেকে প্রতি ঘন্টা ৫ মিটার করে পিছিয়ে পড়ছে।
এটা হলো আপেক্ষিকতার ছোট্ট একটি ধারনা। এবার একটু এগিয়ে যাওয়া যাক। ধরা যাক আপনি একটা রকেটে করে যাচ্ছেন, এবং সেটি আলোর থেকে বেশি গতিতে যেতে সক্ষম (মানে ১,৮৬,০০০ মাইল/সেকেন্ড এর থেকেও বেশি বেগে যেতে সক্ষম)।
আপনি সেটিকে আলোর গতিতে (সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল) চালিয়ে পৃথিবীর বাইরে চলে আসলেন। এখন পৃথিবী থেকে কেউ আপনার দিকে একটি টর্চ জ্বালালো। যদিও আপনি আলোর বেগেই ছুটছেন, তবুও আলো এসে আপনাকে ধরে ফেলবে।
এবার আপনি রেগে-মেগে রকেটের গতি বাড়িয়ে আলোর চেয়ে বেশি বেগে ছোটা শুরু করলেন। আবার কেউ পৃথিবী থেকে আপনার দিকে আলো ফেললো। এখন কি হবে?
যদিও এবার আপনি আলোর চেয়ে বেশি বেগে ছুটছেন, তবুও আলো এসে আপনাকে ধরে ফেলবে!!!!
এটা সম্ভব। কারন যেকোন জড়কাঠামোতে আলোর বেগ সবসময়ই ধ্রুব। এই জিনিসটি আইন্সস্টাইন ২৬ বছর বয়সে আবিস্কার করেছিলেন।৪
এবং আইন্সস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের দ্বিতীয় স্বীকার্য অনুযায়ী আলোর বেগকে ধ্রুব বলে দাবী করা হয়েছে।৬
এবং এই স্বীকার্য থেকে এটাও প্রমান করা যায়,যে শুধু মাত্র ভরহীন বস্তুই কেবল আলোর বেগে চলতে পারবে (এটা প্রমান করা খুব কঠিন নয়, সূত্রে বসিয়ে আপনি নিজেই বের করে ফেলতে পারবেন)। কিন্তু নিউট্রিনোর সামান্য ভর রয়েছে।৭
তাহলে নিউট্রিনো কিভাবে আলোর চেয়ে বেশিতে ছুটলো? এটা নিয়ে বর্তমানে CERN সহ সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা বেশ টেনশনে রয়েছেন। এমনকি অদ্ভুত কথা হলো, CERN এ যে বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারটি আবিস্কার করেছেন তারা নিজেরাও কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। Dr Ereditato এর বক্তব্য অনুযায়ী - "we are not claiming things, we want just to be helped by the community in understanding our crazy result - because it is crazy"৮
বিজ্ঞানীরা কি তাহলে হাল ছেড়ে দিলেন? আইন্সস্টাইনের ১০০ বছরের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব কি তাহলে ভুল প্রমানিত হলো? নাহ। বিজ্ঞানীরা এত তাড়াতাড়ি কোন কিছু মেনে নেন না। Dr Ereditato এর গ্রুপ CERN এর অন্য বিজ্ঞানীদেরকেও আহবান করেছেন। তাদের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আবার হিসাব কষে দেখা হচ্ছে। সম্ভবত নতুন করে আবারও পরীক্ষাটি করা হবে। কারন কণাটি যেহেতু নিউট্রিনো, কাজেই এর কোন বিশ্বাস নেই। (নিউট্রিনো খুব ছটফটে কণিকা, মাঝে মাঝে অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটিয়ে বসে, ব্যাখ্যা করার জন্য আরেকটা পোস্ট লাগবে) !!
ফোটন কণা (আলোক কণা) থেকে দ্রুত কণিকা আবিস্কার হলে একটি নতুন দ্বারের সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে। সেটা হলো- সময় পরিভ্রমন !!
সময় পরিভ্রমন করা কি আসলেই সম্ভব হবে? সময়ই নাহয় সেটা বলে দেবে।
frdayeen (দায়ীন)
মন্তব্য
দারুণ! অসাধারণ লেখা। আপনি ছিলেন কোথায় এতদিন!
এটা খুব ভালো হয়েছে, কিন্তু পাঠকের ক্ষুধা তো শেষ হবার নয়! তাই আরো বিস্তারিত পোস্ট চাই নিউট্রিনো যে আলোর চেেয় জোরে দৌড়াচ্ছে সেই গবেষণা বিষয়ে, নিউট্রিনো বিষয়ে, আরো এটা সেটা সব বিষয়ে!
পোস্টে পাঁচতারা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বেশ মজার টপিক্স। সম্প্রতি এই ব্যাপার নিয়ে বেশ লিখা হচ্ছে। আপনার লিখাও বেশ মজার।
CERN Lab এর ১ম, ২য় ফেইজের পরীক্ষায় একই রেজাল্ট এসেছে। দেখা যাক, বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত কি রায় দেন।
দুর্দান্ত! ফাটাফাটি! ঘাপটি মেরে বসে এদ্দিন খালি বর্ণচোরা আমের মত কমেন্ট করে যাচ্ছিলেন, এখন তো ধরা খেয়ে গেলেন! এবার আর ছাড়াছাড়ি নাই। আরো লিখেন প্লিজ।
একটা জিনিষ - 'সময় পরিভ্রমণ'-এর কথা উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে পদার্থবিদ পল ডেভিসের একটা ইন্টারেস্টিং থিওরি আছে। তার মতে এটা সম্ভব, কিন্তু বর্তমান মানুষের পক্ষে না এমনকি তেমন টেকনোলজি অর্জন করলেও। আপনি কি এই বিষয়ে কিছু জানেন? জানলে লিখবেন? আমার ডেভিসের সাথে একবার অল্প সময়ের জন্য কথা হয়েছিল, কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি - যদিও খুব বুঝেছি ভাব করে হুঁ-হুঁ করেছিলাম! তবে বোঝার ইচ্ছেটা রয়ে গেছে।
****************************************
আপনি যে থিওরীটার কথা উল্লেখ করলেন সেটা অবশ্য আমার জানা নাই। তবে অন্য একটা ব্যাখ্যা দিতে পারি।
যেহেতু ফোটনের ভর শূন্য, এবং আপেক্ষিকতা তত্ত্ব থেকে আমরা পাই শুধু মাত্র ভরহীন বস্তুই (ফোটন কণা) আলোর সমান বেগ অর্জন করতে পারে (নিউট্রিনো যদিও এক্ষেত্রে ভেজাল বাধিয়েছে) সুতরাং আগে ধারনা করা হতো, আলোর চেয়ে বেশি বেগে ছোটা বস্তুর ভর (ট্যাকিওন কণা) ও শুন্য হতে হবে। সেক্ষেত্রে মানুষের দেহ ভর যুক্ত অবস্থায় আস্তভাবে সময় পরিভ্রমন করতে পারবেনা। কণায় কণায় ভেঙ্গে তারপর তাকে সময় পরিভ্রমন করতে হবে। কোথায় শুনেছিলাম মনে নাই। তাই রেফারেন্সটা বলতে পারছিনা।
খাসা লেখারে ভাই ছিলেন কোথায় এতোদিন ?
থিসিসের শেষ দিকে সচলে লেখা শুরু করলেন! আপনার সুপারভাইজার জানে? যাই হোক ওগুলো মামুলী ব্যাপার। পরের পোস্ট জলদি দিয়েন, দায়ীন।
চালিয়ে যাও মামু !
দুর্দান্ত অসাধারন একটা পোস্ট !!! সময় পরিভ্রমন করে কি নিজের সময়টাকেই পরিভ্রমন করা যাবে নাকি আসলে প্যারালাল কোন সময়ে যাওয়া যাবে ? প্যারালাল কোন ওয়ার্ল্ড যদি আসলেই থাইকা থাকে তাইলে অইখানে গিয়া দেখব আমি আসলে মোটেও বদের হাড্ডি নাহ , নিতান্তই দরিদ্র এক সাগরপাড়ের জেলে ! আরো খারাপ হবে যদি দেখি আমি আসলে সময়ের আলোচিত আবুল !!
অস্থির
আমার মনে একটা প্রশ্ন আছে। যদি কেউ আলোর বেগের থেকে বেশি বেগে চলে তাহলে সে আলোর বেগ কত দেখবে? আলোর বেগ ধ্রুব এইটা কিন্তু হাইপোথিসিস ছিল, যত পরীক্ষা হয়েছে এটা নিয়ে তার কোনটাতেই পরীক্ষকের বেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশী ছিল না।কাজেই এটা ধরে নেয়া ঠিক হবে না যে আলোর বেগের চেয়ে বেশী বেগে চলমান কারো জন্য এই হাইপোথিসিস খাটবে।
জিনিসটা ফ্যানের উপর চড়ে ফ্যানের বাতাস খাওয়ার মতো একটা গিয়াঞ্জাম্যাটিক ব্যাপার
_________________
[খোমাখাতা]
দারুণ।
... নিয়মিত বিজ্ঞানভিত্তিক লেখা আরো চাই। তাদের প্রথমটি আসতে পারে নিউট্রিনোর অব্যাখনীয় কাজকারবারগুলো দিয়েই।
সুপার পোস্ট। আরো আরো অনেক লেখা চাই। আপনার থিসিসের কি হোলো জানালেন না?
ওটা চলছে। কারন আমার থিসিসের মূল বিষয়টি রিলেটিভিটি নয়। কিন্তু কেউ যদি ব্ল্যাকহোলের জন্য আমার হিসাব-কিতাব ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তাকে রিলেটিভিটি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আমার কাজে space-time এর কিছু বিষয় আছে, যেটার জন্য কিছুটা সংশয়ে আছি আবার না নতুন করে হিসাব কষতে হয়!!!
এত সুন্দর একটা পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
দারুণ লিখেছেন! বিজ্ঞান বিষয়ক পোস্ট সচলে আজকাল একটু কম আসছে। তাই আরো বেশি বেশি লিখুন।
_________________
[খোমাখাতা]
চমৎকার পোস্ট , খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।
এই লিংকে http://www.technologyreview.com/blog/arxiv/27260/ কিছু ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে দেখেছিলাম। একটু সময় করে দেখে এব্যাপারে কিছু জানাবেন কি?
তেষ্টা তৈরি হল, মিটলো না। আরো বিস্তারিত লিখবেন আশা করি। তবে প্রয়াস চমৎকার ।
_____________________
Give Her Freedom!
এই বিষয়টা একটু পরিষ্কার করবেন? আলোর বেগের চেয়ে বেশি বেগে গেলেও কিভাবে আলো এসে ধরে ফেলবে সেটা বুঝতে পারছিনা আমি আগে শুনেছিলাম এক্ষেত্রে, মানে যখন রকেট আলোর চেয়ে বেশি বেগে যাবে, তখন রকেটে অবস্থানকৃত আরোহীর চোখে শেষ দৃশ্যমান আলোই দেখা দিবে। আরেকটু বিস্তৃত করলে, ধরুন আরোহীর বন্ধুরা এসেছিলেন রকেটে চড়ার আগে তাকে বিদায় জানাতে। রকেট যখন চলা শুরু করল তখন তারা হাত নাড়িয়ে তাকে বিদায় জানাচ্ছিল। এখন রকেটের গতিবেগ আস্তে আস্তে আলোর বেগকে ছাড়িয়ে গেলে আরোহীর মনে হবে তখনো তার বন্ধুরা তাকে হাতই নাড়াচ্ছে যদিও তারা ইতিমধ্যে চলে গিয়েছে।
অবশ্য এটি ভূল হতে পারে, কোন রেফারেন্স মনে নেই। আরেকটু ব্যাখ্যা করলে সুবিধে হতো। ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনি সম্ভবত তাহলে কাল-সংকোচনের (Time dilation) কথা বলছেন।আলোর ধ্রুবতার সাথে এটার সম্পর্ক নেই অবশ্য।
যদি রকেটের গতি আলোর কাছাকাছি হয়ে যায়, তাহলে সময়ের সংকোচন ঘটে।
যদি রকেট আরোহী আলোর বেগে যাত্রা শুরু করে তাহলে তার কাছে সময় ধীর হয়ে যাবে। হয়তো রকেটে চড়ে সে ১ বছর মহাশূন্যে কাটিয়ে এসে দেখবে পৃথিবীতে ইতোমধ্যে দশ বছর কেটে গেছে। একই জড় কাঠামোতে অপেক্ষাকৃত গতিশীল ব্যক্তির কাছে সময় ধীর হয়ে যাবে।
আমার প্রশ্নের উত্তর কিন্তু পেলামনা আপনার মন্তব্য থেকে ।দুঃখিত আবারো জিজ্ঞেস করছিঃ
১) কেন আলোর চেয়ে বেশি বেগে ছুটলেও আলো এসে ধরে ফেলবে ?
২) এবং ১ এর ব্যাখ্যার সাথে 'যেকোন জড়কাঠামোতে আলোর বেগের ধ্রুবতার সম্পর্ক'
আশা করি বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করবেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কেউ যদি হাতে টর্চলাইট নিয়ে আলোর চেয়ে বেশি জোরে ছুট লাগায়, তবে আমরা কি তার পেছন থেকে আলো বের হচ্ছে এরম দেখতে পাবো?
পেছন দিকে ফিরে ছুট লাগালে?
খাইসে!! সেইরকম একটা যুক্তি বের করসেন
আমারও ব্যাপারটা ঠিক পরিষ্কার হলো না | যদিও পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র নই, কিন্তু যতদুর জানতাম যে প্রথমেই এই জিনিসটা বলা যাবে না যে কিছু আলোর বেগেরচেয়ে বেশি বেগে ছুটলে, কারণ কোনো কিছুকে ওই গতিবেগ পর্যন্ত নিতে অসীম শক্তি লাগবে | আর আমি যেইটা মনে করতাম যে যখন কোনো কিছু আলোর খুব কাছাকাছি কিন্তু অল্প একটু কম গতিতে চলবে তার সাপেক্ষে যদি আলোর বেগ ধ্রুব হতে হয় তাহলে তা করার জন্য তার ফ্রেমের মধ্যে সময় সংকোচন ঘটতে হবে | যখন কিছু একটা আলোর গতিতে চলবে তখন তার সাপেক্ষে সময় থেমে যাবে সুতরাং বেপারটা সিঙ্গুলারিটি তে ঢুকে যাবে | আর আলোরচে বেশি বেগে বলে তো কোনো কথাই নেই (যদিও এই ব্যাপারটা নিয়েই ভেজালটা লাগসে ) তাই আলোরচে বেশি বেগে ছুটলেও আলো আমাকে এসে ধরে ফেলবে এই জিনিসটা বুঝিনাই |
আলোর বেগ ১৮৬০০০ মাইল/ঘন্টা . এটা ঠিক করে দেন. ১৮৬০০০ মাইল/সেকেন্ড . কথাটা অনেকবার আসায় চোখে পড়ছে. লেখায় প্লাস
চমৎকার পোস্ট....জ্ঞান বাড়লো...
মূর্তালা রামাত
আলোর বেগ ১,৮৬,০০০ মাইল/ঘন্টা লিখেছেন শুনলে CERN এর বিজ্ঞানীরা আপনাকে ধরে মারবে।
খেয়ালই করিনাই। শুধু CERN কেন? আমার ছোটবেলা থেকে যতগুলি টিচার আমাকে বিজ্ঞান পড়িয়েছেন সবাই প্যাদাবে!!!
দেখি মডুদের ই-মেইল করি।
লজ্জার কোনো কারণ নাই। ঐসব মাইকেলসনী ফুটাঙ্গিরি বিদেশে খাটে। ঢাকার রাস্তায় ফোটনের এত বেইল নাই, এইখানে এক লাখ ছিয়াশি হাজার মাইল যাইতে যাইতে ঐ ঘন্টাই লাইগা যাইবো।
মিয়া ঢাকায় যে থাকেন না সেইটা কমেন্টেই বুঝা যায়। এক মাসের দূরত্বরে কন এক ঘন্টার দূরত্ব।
দারুণ পোস্ট
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
এই হইলো ঘটনা!
লেখা ভাল লাগছে, নিয়মিত লিখবেন আশা করি
সচল জাহিদ এর সাথে আমি একমত । ওই অংশের কনো ঠিক থিকানা নাই। বেপার টা হতে পারে এমন যে একটা রকেট থেকে লাইট মারলেও আলোর গতি সমান থাকবে। আলোর চেয়ে বেশি গতি বেগে ছুটার প্রশ্ন ই আসেনা ।
পোস্টে ৫ তারা।
আর থিসিসের জন্য শুভকামনা।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অসাধারণ লাগলো - নিয়মিত লিখতে থাকুন বিজ্ঞান এবং নানান বিষয়ে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেকদিন পর বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু পড়লাম সচলে, ধন্যবাদ আপনাকে। আমি অবশ্য শুধু পড়ি, কমেন্টও করি না। আজ লিখছি আপনাকে অনুরোধ করার জন্য, এই বিষয়টা নিয়ে অবশ্যই আরও লিখবেন। আর থিসিস এর জন্য অনেক শুভকামনা।পোস্টে +++++++++++++++++++++++
facebook
এক্কেবারে মনের মত পোস্ট। কত কিছুই না এই সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেত। অথচ। কোত্থেকে এক নিউট্রিনো কণা এসে সব উলট পাল্ট করে দিল। আমার আর এই বিশ্ব ভ্রমাণ্ডের ব্রিফ হিস্ট্রি লেখা হল না।
http://www.sachalayatan.com/node/40963
মাথা গরম হয়ে গেল...
ধরেন, আন্ধারে আলোর চাইতে জোরে রকেট চালাইতে গিয়া সামনে কি আছে দেখার জন্য লাইট মারলাম, এখন গতির কারণে সামনে লাইট পৌঁছানোর আগেই তো আমি চইলা যামু... তাইলে..?
আন্ধারেই চলতে হইবো...!!
একমাত্র উপায়, আলোরে আগে যাইতে হইবো... আপনি সেটা বলেছেনও কিন্তু ব্যাখ্যাটা আমার কাছে পরিষ্কার হয় নাই... কিছু করেন, হ্যাং হয়া গেলাম...
অনেক রকম হিবিজিবি প্রশ্ন চলে এল মাথায়। শিগগির শিগগির সিরিজ পোস্ট দেয়া শুরু করুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বজ্জাত নিউট্রিনোটা তো আবারও বজ্জাতি করতেছে । সার্নের রিপিট পরীক্ষাতেও একই ফলাফল পাওয়া গেছে। এখন কি হবে ?
****************************************
হুম
আপনার লেখা খুব প্রাঞ্জল, খুব উপভোগ করলাম । আরো লিখুন ।
নতুন মন্তব্য করুন