বহুল প্রতীক্ষার পর কিছুক্ষণ আগে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৭ মিনিট) ঘোষিত হয়েছে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনে সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত স্থানগুলোর (৭টি) তালিকা। তালিকায় রয়েছে-
১. আমাজন
২. হালং বে
৩. ইগুয়াজু জলপ্রপাত
৪. জেজু আইল্যান্ড
৫. কমোডো
৬. পুয়ের্তো প্রিন্সেসা আন্ডারগ্রাউন্ড রিভার
৭. টেবল মাউন্টেন
অর্থাৎ স্থান হয়নি বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের!
তবে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্সের সাইটে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে ঘোষিত আনুষ্ঠানিক তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে (সম্ভাব্য)।
তথ্যসূত্রঃ http://www.new7wonders.com/
দীর্ঘদিন প্রচার-প্রচারণা ও ভোটাভুটির পর তালিকায় স্থান না পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই হয়তো কিছুটা মন খারাপ হবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী যেসকল বাঙ্গালী সুন্দরবনকে ভোট দিয়েছেন তাদের। তবে আমি বলবো মন খারাপের কিছু নেই। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের গর্ব সুন্দরবনের নাম দেশে-বিদেশে আলোচিত হয়েছে এবং এর প্রভাব যদি কিছুটা হলেও আমাদের পর্যটন ক্ষেত্রে পড়ে তবে সেটাই আমাদের সার্থকতা বলে ধরে নেওয়া যায়। ফলে যারা ভোট দিয়েছিলেন তাদের সবাই ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার।
যদিও এই আয়োজন বা এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্কও ছিল যথেষ্ট পরিমানে, এটি নিয়ে ব্লগ-ফোরামে অনেক আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে, যদিও সরকার ও মিডিয়ার মাতামাতির কারনে উক্ত বিতর্ক খুব বড় কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফলে শেষদিন পর্যন্ত মানুষ এটি নিয়ে টানটান উত্তেজনাতেই অপেক্ষা করেছে চূড়ান্ত তালিকার জন্য। অবশ্য এই আয়োজন (এমনকি ভোটাভুটি) আদতেই কতটুকু স্বচ্ছ ছিল সেটা নিয়ে বিতর্ক রয়েই যাবে বলে আমার ধারনা।
পরিশেষে, সুন্দরবন-কক্সবাজার সহ আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং এগুলোকে আরো পর্যটকবান্ধব করার জন্য সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের হস্তক্ষেপ আমাদের কাম্য।
মন্তব্য
এটা নিয়ে এতো লাফালাফি কেনো হয়েছিলো আমি আজও বুঝি না। প্রধাণমন্ত্রীও নাকি সবাইকে ভোট দিতে বলেছিলেন।অথচ আসল সমস্যা অন্য জায়গায়। সুন্দরবন কক্সবাজারের ফ্যাসিলিটিগুলো ভালো করলে এমনিতেই আরো ভিজিটর আসবে।
রাজনৈতিক ফায়দা লোটার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল অনেকেই।
আমার মনে হয়েছে আমরা বোধহয় গোটা ব্যাপারটাকে উল্টাভাবে দেখছি। ট্যুরিস্ট আসবে, তারপর আমরা অবকাঠামো বানাবো? ঘোড়ার আগে গাড়ি জুতে দেয়ার মতো না ব্যাপারটা? আমাদের পর্যটনসেবার তো একটা ক্যাপাসিটি আছে, সেটার অতিরিক্ত ট্যুরিস্ট এলে কি আমরা তাদের খুশি করতে পারবো? যদি অব্যবস্থাপনার কারণে লোকজন বেজার হয়ে ফিরে যায়, তারা ফেসবুক টুইটার ব্লগ দিয়ে রটিয়ে দিতে পারে যে অমুক জায়গায় গেসিলাম অবস্থা ভালানা। সেটা কি আমাদের জন্য ভালো হবে? সুন্দরবনে পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ে একটা সমন্বিত পরিকল্পনা থাকা দরকার। সুন্দরবনের প্রচুর পোটেনশিয়াল যেমন আছে, পাশাপাশি কক্সবাজারের মতো সুন্দরবনকেও বারোটা বাজিয়ে অপরিকল্পিত কনস্ট্রাকশন সাইট বানিয়ে ফেলার বিপদ আছে। আমাদের আগে ভেবে দেখা দরকার আমরা সুন্দরবনে সারা বছর কী পরিমাণ ট্যুরিস্ট অ্যাকোমোডেট করতে পারবো, সেই মোতাবেক প্রচারণা দরকার।
পারফেক্ট
ঠিক ঠিক
facebook
সহমত
নামহীন রচনায় বিধৃত এই ভোটাভুটির আয়োজন কতটুকু অথরিটেটিভ? এই ভোটাভুটির উদ্দেশ্যই বা কি? জানতে মঞ্চায়!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সুন্দরবন থাকলে হয়ত ভালই লাগত, কিন্তু চিন্তা করা উচিত এই পরিমাণ টুরিস্ট নেওয়ার সামর্থ আমাদের ছিলো কিনা, নাকি সে কারণে বন এবং এর বাস্তুসংস্থান উল্টো হুমকিতে পরে যেত
এই প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য নিয়ে নানা মতভেদ ও বিতর্ক আছে। এতদ্বসত্বেও আমার কাছে মনে হয়েছে সুন্দরবন শীর্ষ সাতে স্থান করে নিতে পারলে হয়ত বিপর্যয়ের মুখোমুখি থাকা সুন্দরবনকে রক্ষায় বিশ্ব জনমত তৈরিতে সুবিধা হত।
নতুন মন্তব্য করুন