প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য না হয়ে প্রাকৃতিক চৌদ্দাশ্চর্য হয়ে যাওয়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১২/১১/২০১১ - ৪:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত প্রায় দুই বছর ধরে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য হয়ে যাওয়াটা মোটামুটি সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু সেই সুন্দরবন এখন প্রাকৃতিক আশ্চর্যের সেরা সাতের লিস্ট থেকে বের হয়ে চৌদ্দটার লিস্টে রয়ে গেল। এই সপ্তাশ্চর্য না হওয়াই আবার প্রমাণ করল যে বাঙ্গালী কত চৌদ্দ আশ্চর্যের।

অন্য অনেক দেশই তাদের নিজেদের জন্য গত কয়েক সপ্তাহে অনেক ভোট সংগ্রহ করেছে। এজন্য তারা এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে সুন্দরবন এক সময় অনেকটাই অপ্রতিদ্বন্দীভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল সেটা ৭ থেকে বাইরে ছিটকে পড়ায় কি আমাদেরও কিছু ভুমিকা ছিল না? গত কয়েক সপ্তাহে অদ্ভুত এক বিতর্ক এবং প্রচারণা চোখে পড়ছিল। কেন এই ভোটিংয়ে অংশগ্রহণ করা ঠিক না সেটা প্রমাণ করে মানুষকে ভোটদানে নিরুৎসাহী করার প্রচারণা। তখন বেশী মাথা ঘামাইনি। ভেবেছি যে নিজের ভালতো সবাই শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারবে, ঠিকই শেষে ভোট দিবে। এখন মনে হচ্ছে ভাবনাটায় ভুল ছিলো।

যাই হোক, শেষ পর্যন্ত সেই বিরোধী দলেরই জয় হয়েছে। তারা সক্ষম হয়েছেন অনেক মানুষকে অহেতুক নিজেদের পয়সা এবং সময় বাঁচিয়ে ভোটদান থেকে বিরত রাখতে এবং সুন্দরবনকে সাফল্যের সাথে সাতের বাইরে নিয়ে যেতে। তাদেরকে অভিনন্দন।

এখন প্রশ্ন থাকে এর ফলে আমরা আমরা কি হারালাম? প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের যে তালিকা এখন অসংখ্য জায়গায় লিখা হবে সেখানকার কিছু কিছু জায়গায় কিছুদিন হয়ত ১৪টার মধ্যে কে কে ছিল, ২৮টার মধ্যে কে কে ছিল সেটা লিখা থাকবে। এবং আমরা সুন্দরবনের নাম দেখে কিছুটা আনন্দ পাব, কিছুটা আফসোস করব এত কাছে গিয়েও শেষ সাফল্যটা আদায় করতে না পারার কারনে। কিছুদিন পর নিচের ২১ টা নাম আর কেঊ মনে রাখবে না, শুধু থাকবে ৭ টা নাম।

এখনও অনেকে প্রশ্ন করবেন যে সেরা সাতে থাকলে কি লাউ কদু হবে? যার মধ্যে এই প্রশ্নটা তৈরী হচ্ছে তাকে আমি ২টা প্রশ্ন করতে চাই। আপনি কি পাহাড়, সমুদ্র, নদী, বন, ধানক্ষেত, সরিষা ক্ষেত ইত্যাদির কোনটা দেখে কোনদিন আবেগাপ্লুত হয়েছেন? যদি এর উত্তর ‘না’ হয় তাহলে বলব আপনি আমার লেখার উপরের ৪টা প্যারা পরে সময় নষ্ট করেছেন, আর না পড়লেই বরং সময় বাঁচবে। আর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে আমি বলব যে প্রাকৃতিক আশ্চর্যের লিস্টটা (উইকি সপ্তাশ্চর্য, ফাউন্ডেশন সপ্তাশ্চর্য) ভালভাবে দেখে আমার ২য় প্রশ্নের উত্তর দিন। সুযোগ পেলে এই ৭টার কোন একটাকে অন্তত যেতে হবে, সেই স্বপ্নটা কি এক মুহুর্তের জন্যও তৈরী হচ্ছে না? যদি এই প্রশ্নের উত্তরও 'হ্যাঁ' হয় তাহলে ভেবে দেখুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় থাকলে সুন্দরবন নিয়েও পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের এই স্বপ্নটা তৈরী হতে পারত!

সুমন_সাস্ট

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03am

মন্তব্য

হিমু এর ছবি

সুমন ভাই, বাংলাদেশে মানুষ পনেরো কোটি হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোটে কয়েক লক্ষ লোক। কাজেই এই ভোট ফ্রেনজির পুরোটাই যাবে কয়েক কোটি মোবাইল ব্যবহারকারীদের ওপর। এই টাকাটা কোরবানির মাংসের মতো তিন ভাগ হবে, এক ভাগ পাবে সুইৎজারল্যাণ্ডস্থ সপ্তাশ্চর্য অপেরা, এক ভাগ পাবে আমাদের মোবাইল কোম্পানি আর মিসকিনের ভাগ পাবে আমাদের বিটিআরসি। যদি এক কোটি লোকও ভোট দেয়, প্রায় দেড় কোটি টাকা দেশ থেকে বের হয়ে যাবে।

ধরুন আমরা সপ্তাশ্চর্যের এক আশ্চর্য হয়ে গেলাম। এক লাখ টুরিস্ট চলে এলো সুন্দরবন দেখতে। আমরা কি তাদের অ্যাকোমোডেট করতে পারতাম? আমাদের তো অবকাঠামো নাই। আমরা পরোটার দোকানে আসার জন্য বাস থামিয়ে যাত্রী ডাকছি, ওদিকে পরোটার দোকানে ছাউনি নাই, তাওয়া নাই, কয়লা নাই, আটাও নাই। এইরকম পরিস্থিতিতে আমাদের ঐ সপ্তাশ্চর্য ব্যাকফায়ারও করতে পারে।

আমরা আসলে জাতি হিসেবে খুবই আশ্চর্য এক জাতি। আমাদের হাতে পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজার আছে, সেটাকে আমরা এমন ধর্ষণ করেছি, যে এর সৌন্দর্যের বহুলাংশ বিগত। এরচেয়ে অনেক ছোটো বিচ পৃথিবীতে অনেক বেশি ট্যুরিস্ট টানে। কীসের জোরে? অবকাঠামো আর মার্কেটিং। আমাদের এই দুইটার অভাব আছে। এগুলো ঠিক না করে আমরা সপ্তাশ্চর্যের সাতটাও যদি নিজেরা দখল করে বসে থাকতাম, লাভ হতো না তো।

তাই বলে আমরা কি নিজের দেশের জিনিসের প্রশংসা করবো না? তার পেছনে দাঁড়াবো না? অবশ্যই দাঁড়াবো। আসুন, ভোটের সহজ কাজটা না করে আমরা কঠিন কাজটা করি। সরকারকে সুন্দরবন রক্ষার জন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে চাপ দিই। পথে নামি। আলোচনা করি। সুন্দরবন বাংলাদেশের বর্ম। হাজার বছর ধরে শয়ে শয়ে প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করেছে সুন্দরবন। একে বাঈজি বানিয়ে বেচাকে আমরা প্রায়োরিটি দেবো, নাকি শকুন্তলা বানিয়ে আশ্রমে বড় করবো, সেটা আমাদের আগে ঠিক করতে হবে।

বাঙালি এখনও চিপস খেয়ে ঠোঙাটা বিনে ফেলতে শেখেনি, কিন্তু মোবাইল টিপে ভোট দিতে শিখে গেছে, এটাই আমাদের জাতিগত দুর্ভাগ্য। আমরা ক্রমশ বিস্ময়কর জাতির তালিকায় নিচের দিকে নামতে সক্ষম হবো, এই কামনান্তে।

কল্যাণF এর ছবি

বাঙালি এখনও চিপস খেয়ে ঠোঙাটা বিনে ফেলতে শেখেনি, কিন্তু মোবাইল টিপে ভোট দিতে শিখে গেছে, এটাই আমাদের জাতিগত দুর্ভাগ্য

গুরু গুরু

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রাইহান এর ছবি

আমরা ক্রমশ বিস্ময়কর জাতির তালিকায় নিচের দিকে নামতে সক্ষম হবো, এই কামনান্তে।

গুরু গুরু

বন্দনা কবীর এর ছবি

হিমুর মন্তব্যের অক্ষরে অক্ষরে সহমত ।

আমাদের দেশের পর্যটন এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটের এমন বেহাল অবস্থা যে, 'সেইরকম ক্রেজি ট্রাভলার' না হলে ঐ জায়গাগুলোতে কেউ আনন্দ বিহারে যাওয়ার মত বা একটু ঘুরে দেখে আসার মত সাহস করবে না।

আমাদের কোনো সরকারকেই এই বিষয়ে জোরালো কোন পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। কষ্ট স্বিকার করে কোথাও ঘুরতে গিয়ে দেখেছি জায়গাগুলো আক্ষরিক অর্থেই আবর্জনার স্তুপে পরিনত করেছে অল্প সংখ্যক টুরিস্টরাই। যেখানে সেখানে চিপ্স/বিস্কিট/বিরানির প্যাকেট, পানি/কোল্ড ড্রিংক এর খালি বোতল (আরো অনেক কিছু চোখ টিপি ) ছড়ানো।ওপেন রাস্তায় পড়ে আছে কাঁচা মনুষ্য বর্জ্য। কোথাও একটা পাবলিক টয়লেটের ব্যাবস্থা দেখিনি। আর আছে গাইড নামক এক পদার্থের অপ্রয়োজনীয় ঘ্যান ঘ্যানানি। যারা দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে এলাকাটি সম্পর্কে কিছুই জানেনা। (সারা পৃথিবীতেই দর্শন যোগ্য স্থানেই গাইডের উতপাত। কিন্তু তারা কিছুটা হলেও জায়গাটা সম্পর্কে ধারনা রাখে।)

আমাদের সরকারের তো আমাদের সম্পদ বা সৌন্দর্য্য নিয়ে ভাবনা চিন্তা নেই।তারা আছে ভোটারের হিসেব আর নিজের আখের গোছানো নিয়ে। আর কর্পোরেট ব্যাবসায়িরাও তাদের ব্যাবসাটার কথাও ভাব্বে সব্বার আগে। তো তাই-ই না হয় হোক। তারাও ব্যাবসা করুক আর আমাদের পর্যটন এলাকাগুলোরও কিছু উন্নতি হোক।

রাস্তায় রাস্তায় বাক্স ফেলে ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যাক্তির জন্য যেমন সাহায্য দেই তেমনি নিজেরাই চান্দা তুলে আমাদের অসুস্থ্য পর্যটন এলাকাগুলোকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করি কিং বা অনশন/অবস্থান ধর্মঘট খাইছে (হাস্যকর শোনালেও এরকমটা শুরু করলে যদি সরকারের টনক নড়ে)

ভোটাভুটি করে লিস্টে নাম উঠানোয় মোবাইলের পয়সা খরচ করার বদলে নিজেদের পর্যটন এলাকাগুলোর জন্য ফান্ড
কালেক্ট করতে চেয়ে জনগনের কাছে আবেদন করতে পারে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো। সে অর্থ না হয় সেই কোরবানির মাংসের মতই তিন ভাগ হল। এক ভাগ মোবাইল কোম্পানির, আরেকভাগ পর্যটনের আরেকভাগ বিটিআরসির।(যদিও পর্যটনকে দেওয়া টাকাগুলো মাইর যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে)

আমার খুব সরল মস্তিষ্কে এই চিন্তাটা বেশ আগেই এসেছিল ভুটাভুটির কাহিনী জেনে। আজ একটা সুযোগ পেয়ে ঝেড়ে দিলাম আর কি খাইছে

ফালতু পাঠক এর ছবি

যখনি আমাকে কেউ কক্সবাজার বা সুন্দরবনকে ভোট দিতে বলেছে তাদেরকে আমি ঠিক এই কথাগুলিই বলেছি, কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমি রাজাকার, বেইমান, আমি দেশের ভালো চাই না এমন কথাই শুনেছি । আমি মনে করি আমার ঘরের ছাদ নড়বড়ে হলে আমি আগে ছাদ ঠিক করব তারপর আমার বাসায় মেহমান কে দাওয়াত দেব । হিমুদা কে ধন্যবাদ এমন সহজ করে আসল কথাটা বলার জন্য ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গুরু গুরু

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

গুরু গুরু

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

দ্রোহী স্বপ্নেরা এর ছবি

গুরু গুরু

হিমু এর ছবি

আনিসুল হক আর পল্লব মোহাইমেন ঈদের ছুটিতেও যে খেটেখুটে বিজ্ঞাপনদাতা মোবাইল কোম্পানিদের কথা ভুলে না গিয়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, কীভাবে মোবাইল টিপে ভোট দিতে হবে তা পর পর দুইদিন বয়ান করেছেন, তা আসলেই অতুলনীয়। যা কিছু ভালু তার সাথে আলু। তবে আনিসুল হক একটা চমৎকার ছড়া লিখেছিলেন, সেটা পড়ে খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম। হোক সেটা লোকজনের পকেট থেকে টাকা মোবাইল কোম্পানির পকেটে স্থানান্তরের জন্য পাবলিকের ইমোশনে কাতুকুতু দেয়ার জন্যে, কিন্তু ছড়াটা আসলেই সুন্দর ছিলো। আনিসুল হক ভবিষ্যতেও এ ধরনের সপ্তাশ্চর্য অপেরার উদ্যোগের বাখোয়াজি দিক চাপা দিয়ে সুন্দর সব ছড়া লিখবেন, এই কামনা করি।

দ্রোহী এর ছবি

ভাগ্য ভালো যে সুন্দরবন বাটপারাশ্চর্যের তালিকায় ঠাঁই পায় নাই। না হলে দেখা যেত আগামী মাসে কোন এক বাটপার সুন্দরবনের ভেতর বিশাল এলাকা জুড়ে হলিডে রিসোর্ট বানানোর পাঁয়তারা করছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পুরষ্কার পাওয়ার জন্য এতো উৎসুক কেন আমরা! আমাদের সমস্যা কী! পুরষ্কার পাওয়ার জন্য কাজটা কী করছি আমরা! ভোট পেলেই সেরা হয়! আজিব!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মনিকা এর ছবি

মুশকিল! আমি আসমান-জমিন যাই দেখি তাতেই তব্দা লেগে যাই! দরকার পড়লে পুরা দেশের সবকিছু ভোট দিয়ে সামনে নিয়ে আসব!

কিন্তু কথা হল সুন্দরবন সাতের মাঝে থাকলে যে ‍‍'পিরথিমির' লাখ-কোটি মানুষের স্বপ্নে হানা দিত সেসব মানুষজন কী ঘুমের ঘোরে ভেসে ভেসে সুন্দরবনে পৌছে যেত? টুরিষ্টদের হোষ্ট করার মত অবকাঠামো না থাকলে "টুরিষ্ট-টুরিষ্ট" করে মুখে ফেনা তোলার কারণ দেখিনা। গায়ের জোরে ভোট দিয়ে দেশকে সামনে আনা যায়না, পেছানোই হয়। আশাকরি একদিন ১৪ কোটি মানুষ কাজের কাজ করে দেশের নাম ফাটাবে, এসএমএস করে না।

কল্যাণF এর ছবি

সেইরাম একটা মন্তব্য চলুক

মুস্তাফিজ এর ছবি

জবাবহীন মন্তব্য

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমাদের দেশে বেড়িয়ে আসা কিছু বৈদেশিক ট্যুরিস্টের সাথে কথা বলে জেনেছি আমাদের দেশের মানুষজন সম্পর্কে তাদের ধারণা 'মোটামুটি' পর্যায়ের। কিন্তু দর্শনীয় স্থানগুলো অসাধারণ হলেও এগুলোর অবস্থা বড়ই বেহাল, বড়ই করুণ! এখন আমাকে বলেন, এই 'বড়ই বেহাল' আর 'বড়ই করুণ' স্থান দেখতে কোন পর্যটক গাঁটের পয়সা খরচ করে বারবার দেখতে যাবে, নিদেনপক্ষে অন্যকে 'মরার আগে একবারের জন্য হলেও' দেখতে যাওয়ার জন্য ঘ্যানঘ্যান করবে?

এইসব বেহাল দর্শনীয় স্থানগুলো হালনাগাদ না করে, পর্যটক-আকর্ষক না করে লুঙ্গি কাছা মেরে সুন্দরবনকে জামাতের সহিত ভোট দিয়ে জিতিয়েই কী লাভ হতো!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এ যাত্রায় সুন্দরবন প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় শুকরিয়া।

সাফি এর ছবি

পুরোপুরি একমত। ঠিক এই কথাটাই মনে হচ্ছিল, এই পর্যটকদের আবর্জনা আমাদের লঞ্চ মালিকরা ঠিকই খাল নদী আর বনেই ফেলত

তানজিম এর ছবি

সুন্দরবনে ঘাপটি মেরে থাকা ডাকাত আর বনদস্যুদের রুটিরুজি নিয়ে এরকম ছিনিমিনি খেলার জন্য আপনারা যারা ভোট মারেন নাই তাদের প্রতি ধিক্কার জানায়ে গেলাম!!!!

হিমু এর ছবি

আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করা দরকার, এই নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন ঠিক কোন হরিদাস পাল? জেনেভাতে একটা অফিস খুলে তারা চার বছর ধরে দুনিয়াজোড়া আবাল পাবলিকের এসেমেসের পয়সা দফায় দফায় দুইয়ে নিতে পেরেছে বলেই কি তাদের এই "রায়" আমাদের সবার মেনে নিতে হবে? তাদের কর্তৃত্বকে স্বীকার করার কোনো আইনী ভিত্তি কি আছে? আপনি যদি আজ গুলিস্তানে একটা টেবিল পেতে বসে সেইম ব্যবসা শুরু করেন দেশে, আপনার রায় কি মেনে নিতে লোকে বাধ্য? সারা দেশের লোক এসেমেস দিয়ে ভোট দিলেও কাককে উটপাখি বানানো যাবে না, কিংবা উটপাখিকে মুরগি বানানো যাবে না।

এই চার বছরে দেশ থেকে যত লোকে এসেমেস করেছে, সেই পয়সা যদি আমরা সুন্দরবনের পেছনে খরচ করতাম, আরো অনেক উপকারে আসতো। একটা সুন্দরবন ফাণ্ড খোলার জন্য মানুষকে ডাক দেন দেখি কয়জন কয়টা এসেমেস পাঠায়? সুন্দরবনের জন্য মাঠে নেমে স্বেচ্ছাসেবার কাজ করতে ডাক দেন, ময়দানে দশটা লোকও পাবেন না। বাঙালি কক্সবাজারকে ভোট দেন বলে পেপারে ব্লগে কেঁদে ভাসায় ফেলবে, আবার নিজেই সেই কক্সবাজারে গিয়ে বিচের উপর কলার ছিলকা, চিপসের ঠোঙ্গা, ডাবের খোল আর কণ্ডমের প্যাকেট ফেলে আসে। আমাদের হাতে মোবাইল আছে, মাথায় কিছু নাই। সুইসরা করে কর্মে খেতে পারছে আমাদের মতো আরো কয়েকটা বলদ জাতি দুনিয়াতে আছে দেখেই।

দ্রোহী এর ছবি

ধুর মিয়া। আমি একটা কমেন্ট লিখবো ভাবলাম। এ জন্য খানিকটা পড়ালেখাও করলাম। পোস্ট করতে গিয়ে দেখি আপনি যা বলার বলে ফেলছেন।

সপ্তাশ্চর্য ফাউন্ডেশন জিনিসটা বার্নাড ওয়েবার নামের এক সুইস-কানাডিয়ান ব্যাটার মস্তিষ্ক প্রসূত। ওদের সাইটে গেলে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর কোন অথেনটিক অর্গানাইজেশনের সাথেই তাদের কোন প্রকার সম্পর্ক নাই। এ এক ভুঁইফোঁড় ফাউন্ডেশন। তারা জুরি বোর্ডে খেটেখুটে ইউনেস্কোর সভাপতিরে বসাইছিল। কিন্তু ইউনেস্কো ক্যাম্পেইনের শুরুতেই ২০০৭ সালে ফাউন্ডেশনটার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে। [উইকি]

লস এঞ্জেলস টাইমস n7w এর এসেমেস ও ইমেইল পোলিং পদ্ধতিকে "decidedly unscientific" বলেছে। কেননা, যে যত খুশি ভোট দিতে পারলে মগবাজারি ছাগুরাও ভোট দিয়ে গোলাম আযমকে পৃথিবীর সেরা মানুষ বানাতে পারবে।

এ অনেকটা গুলিস্তানের পীর জঙ্গি মাজারে টেবিল পেতে বসে এসেমেস ভোটে গোলাম আযমকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি ঘোষণা করার মত ব্যাপার। চোখ টিপি

আপচুচ, গত ৪ বছরে কোনদিন একটা ভোট ও দিলাম না। একটা ভোট দিলেই তো সুন্দরবন জিতে যেতো। মন খারাপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমিও একটাও ভোট দেই নাই... হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

ডয়চে ভেলের ববস পুরস্কারের কথা মনে পড়ে গ্যালো চোখ টিপি

বন্দনা কবীর এর ছবি

খাইছে খাইছে এই মন্তব্য আগে দেখলে উপ্রের কমেন্টটা করতাম নাহ... মন খারাপ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সুন্দরবনকে সপ্তমাশ্চর্য তালিকায় দেখতে চাওয়া কি দেশপ্রেমের আওতায় পড়ে? সেক্ষেত্রে আমি দেশপ্রেম থেকে দূরে আছি। সুন্দরবন নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো এটি সুন্দর, কিন্তু বিশ্বসেরা সাত হবার যোগ্যতা নেই। এটি শীর্ষ ১০০টি সৌন্দর্যের একটি হলেই আমি সন্তুষ্ট।

আর যদি কেবল পর্যটক আকর্ষন করার বানিজ্যিক দেশপ্রেমের কারণেও কেউ ভোট দিতে বলে, তবু আমি দেবো না। উপরে হিমু এবং আরো কয়েকজন এই ব্যাপারে চমৎকার বলেছে। পর্যটক আকর্ষন করার জায়গাগুলোকে আমরা নির্মমভাবে হত্যা করছি প্রতিদিন।

প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া আমাজনে আমি যাইনি, কিন্তু দ্বিতীয় হওয়া হালং বে-তে গিয়েছিলাম। হালং বে অতি বিস্ময়কর সুন্দর একটা জায়গা, কিন্তু তার কাছাকাছি সৌন্দর্য আমরা রাঙামাটিতেও পাই। অথচ রাঙামাটির পর্যটন অবকাঠামো, পরিচ্ছন্নতা আর পেশাদারীত্ব হালং বে-র ৫% হবে না।

এই ভোটাভুটি নিয়ে সরকারের ব্যাপক আগ্রহ দেখে আমার কৌতুকবোধ হয়েছে। সরকারে পর্যটনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাগলগুলো জানেও না কিভাবে পর্যটক আকর্ষণ করতে হয়। কেবল ভুট দিলেই হয় না, নিজের লুঙ্গির কাছা জায়গামতো আছে কিনা আগে দেখে নেয়া দরকার।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

আচ্ছা, পোথমালু কেন আমাদের ইউনূস কাগুকে দিয়ে সুন্দরবনের জন্য ভোট মাঙালো না? দক্ষিণাফ্রিকার নোবেলপতি বিশপ টুটু নাকি টেবল মাউন্টেনের জন্য গণসংযোগ করেছেন পড়লাম। আমাদের নোবেলপতি দেখি চুপ। উনার বিপদে তো ফ্রেন্ডস অব গ্রামীণে দুনিয়ার তাবত কেষ্টুবিষ্টু রাজারাণীপেসিডেন্টসিনেটর এক তাঁবুর নিচে ঢুকে, উনি ওনার বন্ধুদের কানেকশনও তো ব্যবহার করতে পারতেন? কাগু আলুতে খালি সামাজিক ব্যবসা নিয়ে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, আর সুন্দরবনের জন্য ক্যাম্পেন করতেই খালি সমস্যা? নাকি করছেন আমরা দেখি নাই?

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

পুরা ব্যাপারটাই বায়াসড এবং ভুয়া। বাংলাদেশের যারা ভোট দিয়েছে, তাদের কয়জন সুন্দরবন দেখেছে বলুন। সুন্দরবন দেখেও যদি কেউ ভোট দেই, তাহলে প্রশ্ন আসে, তিনি প্রতিযোগিতার অন্য সাইটগুলা দেখেছেন কীনা। আমরা সুন্দরবনকে ভোট দিলাম, ভিয়েতনামের লোকজন হালং বে কে ভোট দিল। যাচাইটা তাহলে যৌক্তিক কীভাবে হল? এটা নিয়ে দুঃখ করার কোন কারন নেই। সুন্দরবন এমনিতেই তো প্রাকৃতিক আশ্চর্য।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে কক্সবাজারের মত নষ্ট না করে কীভাবে সুন্দরবনে পর্যটকদেরকে আকৃষ্ট করা যায় সেটা ভেবে দেখা।

সাকিন উল আলম ইভান এর ছবি

বাঙালি এরকম ই কিছুদিন দেশপ্রেম উথলে আছড়ে খাল নালা বেয়ে পড়বে আবার পরে কয়দিন পর স্তিমিত হয়ে যাবে । তবে আমার সবচেয়ে মজা লেগেছে ছাগুদের নয়া নয়া প্রপাগান্ডায় ফেসবুক এবং ব্লগেও গতকাল ও শেষ সময় পর্যন্ত কিছু ছাগু ম্যাতকার করেছে যে সুন্দরবন শুধু ভারতের আমাদের না ভোট দিয়ে কি হবে । ইন্ডিয়া কি কিছু করেছে পুরাই.............

হাসান এর ছবি

সুন্দরবন সেই কবে থেকে "ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট" হয়ে বসে আছে সেই খবর নাই, খালি এসেমেস। বালছাল মোবাইল ভোটের চেয়ে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির দাম বেশী হওয়া উচিত না?

দ্রোহী এর ছবি

বোঝেনই তো! ইউনেস্কোর চেয়ে এসেমেসের ভাব বেশি। চোখ টিপি

মুক্ত অভি এর ছবি

বাঙালি এখনও চিপস খেয়ে ঠোঙাটা বিনে ফেলতে শেখেনি, কিন্তু মোবাইল টিপে ভোট দিতে শিখে গেছে, এটাই আমাদের জাতিগত দুর্ভাগ্য।

দুঃখজনক হলেও এটাই নির্মম বাস্তবতা উত্তম জাঝা!

আচ্ছা, পোথমালু কেন আমাদের ইউনূস কাগুকে দিয়ে সুন্দরবনের জন্য ভোট মাঙালো না?

প্রথম-আলো ও ডঃ ইউনুস যে কখন কি উদ্দেশ্যে কাজ করে তা এদ্দিনেও বোধগম্য হলোনা, যদিও কয়েকটি ব্লগে প্রথম-আলোর সুন্দরবন নিয়ে অধিক প্রচার-প্রচারণার কথা বলা হয়েছে (ব্লগে কয়েকজন আবার এর মধ্যে ভারতপ্রীতি খুঁজে পেয়েছেন, কারন সুন্দরবনকে ভোট দিলে জেতার পর ক্রেডিট নিতো ভারত, সুন্দরবনের অবস্থান হিসাবে বাংলাদেশের সাথে ভারতের নামও কেন আসলো ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়েও কথা উঠেছে খাইছে ) তবুও তারা এতবড় (!) ভুলটি কিভাবে করলো সেটি আমাদেরও প্রশ্ন

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ফয়েজ লেকের কমনীয় মুখে ঘেয়ো জড়ুলের মতো হালে গড়ে উঠা কংক্রীটের স্তুপ দেখে মনে হয় আমার সুন্দরী সুন্দরবন যেন না কুমারীত্ব হারায়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সুন্দরবনের সাতে না গিয়ে বেঁচে যাওয়ায় আমি খুশি হয়েছি। কারণ টাকা দিয়ে ভোট দেয়া প্রথম থেকেই আমার কাছে ধান্দাবাজি মনে হয়েছে। তাছাড়া বিষয় বিশ্লেষণ না করে ভোটে এরকম নির্বাচন আমার কাছে প্রশ্নবোধক

০২

সুন্দরবনে এখন পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি
কারণ এই পর্যটনের নামে আগের সব কাঠচোরার এখন নেমেছে পর্যটন ব্যবসায়
সময় নেই অসময় নেই ভটভট করে তারা ঢুকে পড়ে বনে
বনের পানিতে এইসব জাহাজের ডিজেল ভাসা আর জাহাজের শব্দে বনের প্রাণীদের অস্থিরতা এখন এক নৈমিত্তি বিষয় (বাঘ হরিণে প্রজনন প্রক্রিয়াতেও এর প্রভাব পড়ছে)

০৩

বনের পানিতে মিনারেল ওয়াটারের বোতল- বিয়ারের ক্যান ভেসে যাওয়া যেমন এখন নৈমিত্তিক তেমনি বনের ভেতরে হাজার হাজার পর্যটকের ছেঁড়া স্যান্ডেল ভাসাও সাধারণ চিত্র

০৪

পর্যটনের নামে বিকট শব্দে মাইক বাজিয়ে বনে প্রবেশ আর ক্যাম্প ফায়ারের নামে রাতে গভীর বনে আগুন জ্বালিয়ে হৈচৈ কোনোটাই আমার কাছে সুন্দরবনের পক্ষে যায় বলে মনে হয় না

০৫

পর্যটনের নামে কিন্তু হরিণ আর বাঘ শিকার্ও চলে; এখনও এসব বিষয় দেখার কেউ নেই

০৬

সুন্দরবনের উপর কয়েক লাখ লোক নির্ভরশীল। পর্যটনের নামে এদের বনে প্রবেশ বন্ধ করার পক্ষপাতি আমি নই (খাসিয়াদের উচ্ছেদ করে মাধবকুণ্ডে ইকোপার্ক বানানোর নামে মাইক বাজানো আর প্লাস্টিক দিয়ে বন ভরে ফেলার পক্ষপাতি আমি নই)

০৭

বাংলাদেশে পর্যটনের জন্য অফিস- অফিসার এমন কি মন্ত্রী পর্যন্ত আছেন; কিন্তু পর্যটনের কোনো ব্যবস্থা নেই তা প্রমাণিত হয়ে গেছে গত বিশ্বকাপের সময়; সুতরাং হেলিকপ্টার দিয়ে পর্যটকরা সুন্দরবনে আসবে এটা আমি আশা করি না

০৮

সুন্দরবন বঙ্গোপসাগরের লাগোয়া; আমার মনে হয় না এরকম একটা জায়গায় বিদেশিদের বেশি আকৃষ্ট করা আমাদের উচিত...

০৯

সুন্দরবনের আশ্চর্য হবার দরকার নেই; সুন্দরবন আমাদের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়েই থাকুক

তারেক অণু এর ছবি

ঠিক-- সুন্দরবনের আশ্চর্য হবার দরকার নেই; সুন্দরবন আমাদের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়েই থাকুক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

সেটাই

...........................
Every Picture Tells a Story

যুমার এর ছবি

"সুন্দরবনের আশ্চর্য হবার দরকার নেই; সুন্দরবন আমাদের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়েই থাকুক" লীলেনদার সাথে ১০০ ভাগ সহমত।

বাউণ্ডুলে এর ছবি

গত শীতে ৩য় বারের মত সুন্দরবন গিয়াছিলাম। সত্যি বলতে কি সেবার আমার ওটাকে জঙ্গল মনে হয়নি (আগের ২ বারের মত)... মনে হয়েছে আমি কোন ছুটির দিনে/ জাতীয় দিবসে রমনা/ সোরাওয়ারদি উদ্যানে এসেছি। আমি গুনে দেখলাম অন্তত ২৫-৩০ তা লঞ্চ (ঢাকা-বরিশাল রুটের ছোট আকারের লঞ্চ) কটকায় নোঙ্গর করেছে। পুরা জঙ্গল জুরে যেন বোতল, ক্যান, চিপস, বিরানির প্যাকেট, বাঁশি, গান, অট্টহাসি ইত্যাদির মহোৎসব।

আজকাল বেশিরভাগ স্বদেশী পর্যটকরা এভাবেই যায় সুন্দরবন জয় করতে। অতএব অদূর ভবিষ্যতে আমরা ওখানে বসুন্ধরা, কনকর্ড এর মত ভুমিদস্যুদের সাইন বোর্ড (সুশীতল আবাসনের আশ্বাস বাণী সম্বলিত) দেখতে পাব। সুন্দরবন যদি সেরা প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্জের একটি হত হয়ে যেত jjetoতাহলে হয়ত এদের হত পোয়াবারো... জায়গার দাম বাড়ত আর বোকা বাক্সে সকাল বিকাল ললনারা নেচে গেয়ে বলত আসুন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য সুন্দরবনে গড়ি আপনার ভবিষ্যৎ স্বপ্নের আবাসন !!!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সুন্দরবন বিষয়ক ব্যাবসায় এদেশে বিদেশে ম্যালা লোকে ম্যালা টাকা কামায়া নিলো...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মঈনুল ইসলাম এর ছবি

সুন্দরবন সম্পর্কে দেশপ্রেম উজাড় করার অনেক উপায় আছে। সুন্দরবন নিবন্ধটা বেশ সমৃদ্ধ। কিন্তু মৌয়ালদের মধু সংগ্রহের কোনো ছবি নেই, নেই মৌমাছির বিরাট চাকের ছবি। রকমারি ব্যবসা সম্পর্কে বহুদিন থেকে ঘ্যান ঘ্যান করে আমি রাজাকার বনে গেছি। কিন্তু এই নিবন্ধটা এবং করেস্পন্ডিং ইংরেজি উইকির নিবন্ধটা সমৃদ্ধ করলে আমার মনে হয় সবাই-ই উপকৃত হতো আরো বেশি। তাছাড়া সিডরের ধ্বংসযজ্ঞের কোনো ছবি নেই আমাদের হাতে (উইকিতে)। [url=bn.wikipedia.org/wiki/বাংলাদেশে_জলবায়ু_পরিবর্তনের_প্রভাব]বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব[/url] নিবন্ধটাতে নেই প্রয়োজনীয় ছবি। ছবিয়ালদের ছবি আর কবিয়ালদের লেখনী বোধহয় প্রাকৃতিক এই স্থানটিকে আরো মোক্ষমভাবে তুলে ধরতে পারবে মানুষের কাছে, করতে পারবে সচেতন। আবর্জনার ডাস্টবিন নয়, সিডরে ঘষামাজা স্তুপ নয়, মাথা উঁচু করা সুন্দরীর আবাস মানুষকে ডাকবে প্রাকৃতিকভাবে উপভোগ করতে এই সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। আশা করি এই রাজাকারকে ক্ষমা করতে আপত্তি নেই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কাঙালের দুইটি বাসী কথন লিঙ্ক-১ আর লিঙ্ক-২। তিন বছর আগেই বলেছিলাম - পাবলিক পাত্তা দেয় নাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মরুদ্যান এর ছবি

একটাও ভোট দেইনাই। রাগিব ভাইয়ের সাথে একমত:

সুন্দরবনের মতো নাজুক বনভূমি টুরিস্টদের ফেলা আবর্জনায় না ভরুক, এটা সর্বান্তকরণে আমার কাম্য। কাজেই "সপ্তআহাম্মকাশ্চার্যের" তালিকায় ঢুকে টুরিস্টদের টয়লেটে পরিণত হবার সম্ভাবনা কিছু হলেও কমেছে, এতে স্বস্তি প্রকাশ করছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।