ছোটবেলায় একটা প্রবাদ বাক্য পড়তাম, মনে আছে “ All work and no play makes Jack a dull boy”.
কারণটা কিন্তু অবচেতন মনের অপব্যবহার। Jack তার অবচেতন মনকে অব্যবহৃত রেখেছে। আমরা যখন কোন একটা ব্যাপারে সচেতন মনকে সম্পূর্ণরূপে মনোনিবেশ করাই তখন যুক্তি দিয়ে সে বিষয়টি বিভিন্ন রূপে বিবেচনা করে থাকি। ফলে মুদ্রার অপর পিঠ রয়ে যায় অদৃশ্য বা অবোধ্য, সিদ্ধান্তটি থেকে যায় অসম্পূর্ণ, যা ততখানি নির্ভুল হয় না, যতটা প্রকৃতপক্ষে হতে পারত।
ছবিঃ অবচেতন মন ও সচেতন মনের অনুপাত
কারণ চিন্তাটার জন্য আমরা ব্যবহার করছি মাত্র মনের একদশমাংশ। বাকি ৯০% মন থেকে যাচ্ছে অব্যবহৃত। যে অংশে আছে সঞ্চিত অভিজ্ঞতার ভান্ডার। একভাবে বলতে গেলে এই ধরণের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে নিজের সাথে প্রতারণা করার মত।
সিনেমার একটা সিকোয়েন্স কল্পনা করুন। নায়িকা বড়লোক বাপের কথায় নায়ককে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। নায়কের কন্ঠে ডায়ালগ, “দাঁড়ান চৌধুরী সাহেব। আপনার মেয়েকে বলুন তার মন কে প্রশ্ন করতে, সে কাকে ভালবাসে? আমাকে নাকি আপনার সম্পত্তিকে?” নায়িকা তার যুক্তিবাদী মন থেকে বাপের সম্পত্তির লোভে নায়ককে ছেড়ে চলে গেলেও, আবেগী মন থেকে তার ভালবাসা মুছে দিতে পারেনি। কারণ অবচেতন মনের চেতনা ব্যবহার করলে সে এই রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারত না কখনওই। পরবর্তীতে দেখা যায় বিভিন্ন মারামারির দৃশ্যের পর নায়িকা বিবাগী মনে নায়কের কাছে ফিরে যায়। ভুল শুধরে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে থাকে।
এব্যাপারটা নায়িকার মনে আগে থেকে প্রোগ্রাম করা থাকলে ভাল হত। মারামারির প্রয়োজন হত না। অর্থাৎ আপনার প্রয়োজন মত আপনার কম্পিউটার প্রোগ্রাম করা থাকলে কাজ করতে আপনি অনেক স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন। এখন ভাবুন কিভাবে আপনি নিজে অবচেতন মন নামের লোকটিকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। কারণ আপনার মধ্যে বাস করা যুক্তিবাদী লোক মানে সচেতন মন এবং আবেগ তাড়িত লোক অবচেতন মন, এই দুইজনের মধ্যে যদি বন্ধুত্ব করিয়ে দুজন কে একদলে নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে আপনিই জিতবেন। এই দুই ব্যক্তির যৌথ পরিচালনায় আপনার সব কাজ হবে সহজ সাধ্য।
আগেই বলেছি অবচেতন মন সচেতন মনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে স্বপ্নকে। কিন্তু আপনি চাইলেই তো আর ইচ্ছা মত স্বপ্ন দেখতে পারবেন না। তাহলে কি উপায়ে সচেতন ভাবে অবচেতন মন কে ব্যবহার করবেন?
উপায়টা হল, রিলাক্সড অবস্থাকে আপনার অবচেতন মনের দরজা খোলার চাবি হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। Fehr নামক একজন গবেষক তার কার্য অভ্যাস (Study of Working Habits) এর গবেষণায় দেখিয়েছেন ৭৫% বিজ্ঞানী গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যখন তারা কার্যকর ভাবে গবেষণা কর্মে নিয়োজিত থাকেন না। সুতরাং বুঝতেই পারছেন অলস মস্তিষ্ক সবসময় শয়তানের কারখানা না হয়ে বিজ্ঞানীর কারখানায়ও রূপান্তরিত হতে পারে। ত্রিমাত্রিক কবির “অলস” তার অন্যতম জ্বলন্ত(!!) দৃষ্টান্ত। অলসতা আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে বিশ্বের বড় সর বহু সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে।
সুতরাং আমরা চাচ্ছি সচেতন ষড়যন্ত্র করে অবচেতনতাকে কাজে লাগাতে। কাজটা করতে হবে যথেষ্ট গোপনীয়তা এবং সাবধানতার সাথে, অবচেতন মন যেন কিছুতেই টের না পায়।
এই ব্যপারটা অনেকটা কাচ্চি বিরিয়ানি দম দেওয়ার মত ব্যাপার। চুলার আগুন বাড়িয়ে দিলেই কিন্তু রান্না ভাল হয় না। বরং তাপ কমিয়ে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে দিলে রান্না ভাল হওয়ার সম্ভবনা বেশি। কিংবা রান্না হবার পর খাবারের নীচে গরম পানির হাড়ি রেখে খাবার গরম রাখার পদ্ধতি, যারা রাইস কুকার ব্যবহার করেন তাদের জন্য তো আরো ভাল অপশন আছেই। বিরক্ত হয়ে ভাবছেন কি রান্নার রেসিপি শুরু করলাম? এখানে আইটেম এর নাম হল আপনার “সমস্যা”।
প্রথমে সচেতনভাবে ভাল মত আপনার সমস্যাটাকে নিয়ে ভাবুন। রান্নার মূল অংশ সম্পাদন করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানী শক্তি অপচয় করতে হবে। এরপর চুলার আগুন কমিয়ে বা বন্ধ করে খাবারটাকে গরম অবস্থায় রাখুন। এ সময়ে ভুলেও হাড়ির মুখ খুলবেন না। অল্প তাপে ভাবনাটকে কিছু সময় ধরে পরিপূর্ণ ভাবে রান্না হতে দিন। কিন্তু মূল সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন না। আপনার অবচেতন মনকে সমস্যাটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে দিন।
প্রথমজন(সচেতন মন) যখন কিছু কাজ শুরু করল, পরবর্তীতে দ্বিতীয় জনের (অবচেতন মন) উপর একই কার্যাবলী অর্পিত করা হল। দ্বিতীয় জনের সিদ্ধান্ত ও মতামত প্রথম জনের কাছে অনুভূতি হিসাবে পেশ করতে হবে। এক সময় দুজন মিলে সঠিক সিদ্ধান্তে চলে আসবে।
এর একটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হল একটা কাগজে কিংবা (ল্যাপটপে) সমস্যাটা লেখা যেতে পারে। এর সাম্ভব্য সিদ্ধান্ত এবং সুবিধা অসুবিধাগুলো লিখতে হবে কলাম আকারে। এর পর কাগজটা ছিড়ে ফেলুন বা ফেলে দিন। ল্যাপটপ হলে ফাইলটা ডিলিট করে ফেলুন এবং আপনার পছন্দের অন্য কোন কাজ করতে শুরু করুন। এক সময় হয়ত আপনার অবচেতন মন নিজেই সমস্যার সমাধান করে ফেলবে।
দ্বিতীয় উপায়, এটা বেশ সহজ, যা আমরা প্রায়ই অবচেতন ভাবে করে থাকি। কোন বন্ধু বা সহকর্মীর সাথে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এর ডান, বাম, উপর, নীচ বিভিন্ন দিক অনুসন্ধান করব। এখন যদি অবচেতন মনের চরকায় তেল দিতে চান তাহলে আলোচনায় কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না। বিষয়টি সচেতন মন থেকে বেরিয়ে যেতে দিন। দেখবেন অবচেতন মন হঠাৎ নিজেই সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে।
তৃতীয় উপায়টি হল সমস্যাটা নিয়ে নিজেই ভাবতে থাকুন, যতক্ষণ না মানসিক ভাবে একেবারে ক্লান্তিকর অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছেন। পুরা বিষয়টির উপর আপনি যখন মহা বিরক্ত হয়ে গেলেন তখন অসাধারণ কোন ম্যুভি দেখা শুরু করুন কিংবা গেইম খেলুন বা নতুন কোন রেসিপি দেখে রান্না করুন- যা আপনার পছন্দ। কিন্তু সমস্যাটা মাথা থেকে বের করে দিতে হবে। ফলাফল উপরের দুটি পদ্ধতির মতই পাবেন আশা করা যায়।
অনেক অর্থপূর্ণ স্বপ্ন আমরা মিস করে যাই অনেক সময়। সে ক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠে মনে করার চেষ্টা করুন কি স্বপ্ন দেখলেন। বিছানার পাশে রাখা ডাইরীতে দু একটা বাক্য লিখতে পারেন স্বপ্ন সংক্রান্ত। হতে পারে পরবর্তীতে সেসব বাক্য থেকে বেরিয়ে আসল আপনার জীবনের কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
যদি আপনি এখনো ছাত্র বা ছাত্রী কোটার অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন কিংবা আপনার সন্তানদের ক্ষেত্রে সারাক্ষণ পড়ার টেবিলে বসে থেকে পড়া মনে রাখার মত ভুল উপায় আর হতে পারে না, তা নিশ্চিত বুঝে ফেলেছেন। তাতে মস্তিষ্কের ৯০% অকার্যকর থেকে যায়, কোন বিষয় মোটেও মাথায় ঢোকে না। পড়ার বিষয়টি মাথা থেকে বের করে দিয়ে অন্য ভাল কথা চিন্তা করুন।
আমার এক আঁকিয়ে বন্ধু বলে প্রাকৃতিক কার্যাদি সারবার সময় নাকি তার মাথায় ক্রিয়েটিভ সব নতুন আইডিয়া আসে। এই উপায়টিও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
তো এত কিছু বলার মূল উদ্দেশ্য হল আপনি যদি অবচেতন মনের সচেতন ব্যবহার না করে থাকেন, তা হলে আপনি চেতনার মূল অংশটি তালাবদ্ধ করে রেখে নিজেকেই বঞ্চিত করছেন। চেষ্টা করুন এর সদ্ব্যবহার করতে। জীবনে অবসর, অলসতা, রিল্যাক্সেশান কেও গুরুত্ব দিন। জীবন কে সহজ, সরল ও স্বচ্ছন্দ করে তুলুন।
শাব্দিক
তথ্য সুত্রঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Subconscious
http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_dreams
http://www.spiritualresearchfoundation.org/articles/id/spiritualresearch/happiness/benefitsofspiritualpractice/personalitydevelopment_basicnature_e
http://www.2knowmyself.com/Subconscious_mind
The Conscious Use of the Subconscious Mind- By Robert R. Updegraff
ছবি সুত্রঃ
http://www.leakygutcure.com/blog/lifestyle/subconscious-healing/
মন্তব্য
সমস্যার সমাধান দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
আপনার সমস্যা সমাধান করতে পেরে আমি আনন্দিত।
প্রথম পর্বের মত এবারও ভালো লাগলো লেখাটা।
সচেতন আর অবচেতন মনের এই খেলার কথা প্রায় সবারই জানা, তবুও তথ্য আর মজাদার উপস্থাপনার মোড়কে আপনি জানা বিষয়কেও বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছেন।
ধন্যবাদ সজলায়তন। আপনার নিকটা দারুন
ভালো লেগেছে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ।
_________________
[খোমাখাতা]
লেখার প্রথম অংশ তেমন একটা ভাল লাগেনি, সাবলীল না। অনুবাদ অনুবাদ লেগেছে, চৌধুরী আসার পর থেকে উপ্ভোগ করেছি
ধন্যবাদ সাফি ভাই। প্রথম অংশটুকু আসলেও অনুবাদ।
চৌধুরি বিজরিত পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে নাকি আপনার জীবনে????
জানতে মঞ্চায়।
মাইর খাওয়াইতে চান নাকি আমারে? আমরা বিবাহিত হতে পারি কিন্তু বেকুব না চৌধুরী সাহেব
এইটা তো অসম্ভব। "বিবাহিত কেন বেকুব?" এটাই চিরন্তন সত্য
অবচেতন মন দূরে থাক সচেতন মনের পূর্ণ ব্যবহার করতেই তো শিখলাম না।
৯০% -১০% এর হিসাবটা কী পরীক্ষিত? মানে কতটুকু সঠিক? [সংযুক্তি লিংকগুলোয় ক্লিক করে দেখিনি। ]
সচেতন-অবচেতন মনের ভাগটা করা হয় কীসের ভিত্তিতে? এটা কি ব্রেইন ওয়ভের উপর ভিত্তি করে করা হয় নাকি অন্য কিছু? এ বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করতে পারবেন?
লেখা চলুক।
আসলে অবচেতন মন আপনার সমস্ত স্মৃতি, বিশ্বাস, জীবনের সব পূর্ব অভিজ্ঞতা, যে সমস্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আপনি প্রতিনিয়ত বিচরণ করছেন, আপনার আকাঙ্ক্ষা, আপনার অর্জিত দক্ষতা এবং সক্ষমতা এসব কিছু এক সাথে ধারণ করছে, এটা আগের পোস্টেই বলেছি। এসব অংশ নিয়ে প্রায় ৯০% এ অংশে থেকে যায়। অন্যদিকে সচেতন ভাবে ধারণ করেন কিছু যুক্তি বা লজিক এর অংশ গুলো। তারমানে সবসময় অবচেতন মনের কিছু অংশ কাজ করে যাচ্ছে। নীচের ছবিটি দেখুন, এইভাবে প্রতিনিয়ত মনে ভাবনার ফিল্ট্রেশান চলতে থাকে।
যে কারনে বলা হয় ৯০% অংশ মনের এ ভাগে জমা থাকে। বোঝাতে পারলাম কিনা জানি না। নীচের লিঙ্কটি দেখতে পারেন।
http://www.spiritualresearchfoundation.org/articles/id/spiritualresearch/happiness/benefitsofspiritualpractice/personalitydevelopment_basicnature_e
আমি ভেবেছিলাম মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলের [ফ্রন্টাল লোব, টেম্পোরাল লোব ইত্যাদি] কর্মপদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ১০% - ৯০% ভাগ করা হয়েছে। কোন কিছুর ১০% চিন্তা করলে মাথায় একটা ছবি দাঁড়ায়। যেমন ধরেন একটা ছাগীর ১০% চিন্তা করলে চোখের সামনে ওলান ভেসে উঠে।
তবে জিনিসটা অ্যাবস্ট্রাক্ট ও হতে পারে। সেক্ষেত্রে অ্যাবস্ট্রাক্ট কোনকিছুর ১০% আন্দাজ করা একটু কষ্টকর আর কী!
লেখা চলুক। আপনি কি মনোবিজ্ঞানের ছাত্র? মনোবিজ্ঞান বিষয়টা বেশ আকর্ষণীয়। কিছুদিন আগে রিচার্ড ওয়াইজম্যানের "দ্য লাক ফ্যাক্টর" বইয়ের একটা চ্যাপ্টার পড়েছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দ্রোহী'দা। মনোবিজ্ঞানের উপর আমার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। নিতান্তই আগ্রহের বসে এসবের উপর বই পড়তে ভাল লাগে।
এই ব্যাপারে আমি কোন তথ্য পাইনি। আপনার জানা থাকলে অবশ্যই তথ্যসুত্র দিতে ভুলবেন না।
বাহ বাহ শাব্দিক এখন ফটুকবাজি ছেড়ে মনের ডাক্তর? মাঝখান দিয়ে আমার অলসতার কিছু বিজ্ঞাপন হয় গেল
মনের ডাক্তরি চলুক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বানিয়ে ফেললেন?
না ভাই, এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। তার চেয়ে ফটুগফুরই ভাল ছিল।
রিল্যাক্স করতে করতেই তো ২৫ বছর কাটিয়ে দিলাম!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তাই তো তিথীর কাছ থেকে ভাল ভাল পোস্ট পাই।
facebook
৩য় পদ্ধতিটাই ভালু, তয় ঐটা ফলো করলে শেষে চাকরী বাকরী হারায়া গাছ তলায় বসা লাগতে পারে
গাছের থেকে জাম্বুরা মাথায় পড়লে নতুন সুত্র আবিষ্কার হইলে, সিটা তো চাকরী বাক্রীর চেয়ে ভালু।
ওহ! দারুন! এইভাবে একবার আমি আমার যত টেনশন, কষ্ট, রাগ, ক্ষোভ সব কিছুকে তিন মাসের জন্য একটা বাক্সে বন্দি করে রেখেছিলাম।
মাত্র তিন মাস কেন?
দারুন।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নতুন মন্তব্য করুন