নুরুল একদিন ডাক দিয়েছিলেন , জেগে উঠেছিলো এদেশবাসী অন্যায়ের বিরুদ্ধে। প্রিয় পাঠকগণ বাংলাদেশের সামনে আরেক মহা বিপর্যয় উপস্তিত। সেই ১৮৮৫ সালে সামান্য সার্ভে স্কুল থেকে কলেজ অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানের বুয়েট। এতদ অঞ্চলের মুসলিমদের তথা বাঙ্গালি মুসলিমের প্রযুক্তি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র এই বুয়েট। স্বাধীন দেশে তা পরিণত হয়েছে প্রযুক্তিখাতে শেষ ভরসাস্থল। সামান্য বিল্ডিং ভাংগা থেকে শুরু করে ফ্লাইওভারের ফাটল, সিমেন্টের মান যাচাই থেকে শুরু করে বর্জ্যব্যসস্থাপনা সবক্ষেত্রেই কাজের কাজী বুয়েট তথা বুয়েটিয়ানরা।
রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস বলে একসময় খুব সুনাম ছিল বুয়েটের । সকল প্রকার নিয়োগ, পরীক্ষা পদ্ধতি,হলের সিটবন্টন-সবক্ষেত্রেই বুয়েট ছিলো বাংলাদেশের মধ্যে অনন্য উদাহরণ। গুটীকয় ব্যতিক্রম যে হতো না , তা বলবো না। সম্প্রতী স্যারেরা ক্লাস বর্জন শুরু করলেন। কারণ হিসেবে বলা হল, তাদের চাকুরীর বয়স বৃদ্ধি করার দাবি। হঠাত চোখে পড়ল রেজিস্টার অফিসের থেকে পাঠানো একটা নোটিস। তাতে স্যারদের আন্দোলন নিয়ে নেতিবাচক কথা বার্তা ছিলো। আমার প্রশ্ন হলো, তাহলে বুয়েট কারা চালাচ্ছে, এই মূহূর্তে??
আমরা সামান্য সন্দেহ হলেও মেনে নিচ্ছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে ফেসবুক অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে গেছে।
পরবর্তীকালে শিক্ষকদের এক বার্তায় পাওয়া যায়, সাম্প্রতিক বছর গুলোতে বুয়েট প্রশাসনের বেশকিছু বিতর্কিত ও নিয়ম বহির্ভূত(শিক্ষকনিয়োগসহ বেশকিছু যার কথা পরে বলছি) সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমিতিকে হতাশ করেছে। তাদের চাকরীর বয়স ৬০; কিন্তু সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিয়ে তিন দফার (২+২+১) তা ৬৫ তে উন্নীত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ৫ বছর নিজেদের হাতে রেখে দিতে চাচ্ছে। কারণ তাহলে সিনিয়র টিচার (৬০ বছরের উর্ধ্বে) শুধু দলীয় লোকেরাই থাকবেন। স্যারেরা তাই দাবী করছেন যেন বয়স সীমা ৬৫ করা হয়।
আসুন বুয়েটীয়ানদের কথাবার্তা দেখে আসি ফেসবুক থেকে
প্রশাসনে নিয়ম বহির্ভুত ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তঃ বুয়েটে ভিসি নিয়োগ দেবার নিয়ম ছিল সিনিয়রিটির বেসিস এ যা বর্তমানে দলীয় বিবেচনায় দেয়া হয়েছে। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর জন্য বুয়েটে প্রো-ভিসির পদ সৃষ্টি সহ তাতে সক্রিয় দলীয় ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ এই প্রো-ভিসি পদ যদি থাকেও তবে তার দাবিদার সিনিয়র শিক্ষক আছেন কমপক্ষে ১১ জন।
একজন ছাত্রলীগ কর্মীর রেজাল্ট খারাপ হলেও প্রশাসন অন্যায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তাকে গ্রেড বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। যদিও তীব্র প্রতিবাদের করণে তা সম্ভব হয়নি কিন্তু প্রতিবাদকারীকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
আর ভিসি মহোদয়ের পুত্রকে বুয়েট শিক্ষক বানানোর অপচেষ্টার কথা তো সর্বজনবিদিত।
অতি সম্প্রতি বুয়েটের ক্যাফেটেরিয়ার সবার প্রিয় নুরূ ভাইকে বের করে দেওয়া হয়েছে।সাথে বের করে দেওয়া হয়েছে তার অধীনস্থ সকল ক্যান্টিনবয়কে।ত্রিশবছরের অধিক সময় ধরে ক্যাফেটেরিয়া চালাচ্ছেন যে লোকটি,হঠাৎ কিএমন ঘটল যে তাকে বের করে দেওয়া হল?কারণ আর কিছুই না,কিছু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল লোকের অর্থ সংগতির ব্যবস্থা করা।ক্যাফেটেরিয়ার এককোণে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকা নূরু ভাই এর আর্তনাদ কি আমাদের কানে এসে পৌঁছেছে?
sir দের কথা দিয়ে শেষকরিঃ
"যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নৈতিকতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারেরে স্বার্থে তাদের সন্তানদেরকে বুয়েটে ভর্তির ক্ষেত্রে পোষ্য কোটার সুযোগ গ্রহণ করেননা,সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ দাবী পূরণের জন্য ক্লাশ বর্জনের মত সিদ্ধান্ত কতটা অসহায় হলে গ্রহণ করতে পারেন,আশা করি সকলেই তা উপলব্ধি করতে পারবেন
এগুলো একটাও আমার কথা না বুয়েটিয়ানদের কথা।
এর ফলাফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী । আগামী বিশ-তিরিশ বছরে বুয়েট পরিণত হবে ভাগারে। বুয়েটের অবস্থা হবে তখন যখনি যাহার তখুনি তাহার । বুয়েটের ল্যাবটেস্টের কোন পাত্তা কেউ দেবেনা। ফলে সামান্য রড টেস্টের জন্য আপনাকে দৌড়াতে হবে সিংগাপুর কি ভারতে। খরচের কথা বাদই দিলাম, সব জাতী যেখানে এগুতে চাচ্ছে সেখানে আমরা চাচ্ছি পেছানে। এযেনো ডিজিটাল ভূতের উলটা দিকে পা।
এখুনি সময় জেগে উঠার। বুয়েটকে বাচাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্বও হবে সংকটাপন্ন।
কিছু রেফারেন্সঃ
১.
২. শিক্ষক,আমি তোমার সাথে আছি
৩.https://www.facebook.com/savebuet
৪. উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষকদের বিরোধ কর্মবিরতি
লিখছেনঃ নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বুয়েটিয়ান
মন্তব্য
শুধু রাজনীতিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, নিজের নীতি আগে ঠিক করতে হবে। আগে শুনতাম ঘুণে ধরা সমাজ। এখন বাস্তবতা থেকে বুঝতে পারছি ঘুণে ধরা কাকে বলে।
লেখাটা আরো সমৃদ্ধ হতে পারতো। কষ্ট করে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
বুয়েট নিয়ে কথা হোক ঠিক আছে। তবে কথার সুরটা অতিমাত্রায় অহংকারী। একজন বুয়েটিয়ান হিশেবে, এই সুর সমর্থন করতে পারছি না। কথায় কথায় বাংলাদেশ না টেনেও এই কথাগুলো বলা যেতো। বুয়েটের পৃথক একটা স্থান আছে, এটা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু সে কারণে অন্যদেরকে উপেক্ষা করা চলে না। দেশের কাজে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু মানুষই কাজ করে চলেছেন, আমরা একক না।
বুয়েটের পিছিয়ে পড়াটা অনেকদিন আগে থেকেই চলছে। ছাত্ররাজনীতির কুৎসিত কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়ে চলেছে দিন দিন। সাবেকুন নাহার সনি মৃত্যুবরণ করার পরে, কিছুদিন অন্তত বুয়েটের হলগুলো অস্ত্রের ঝঙ্কার থেকে মুক্ত ছিলো। কিন্তু সেই অবস্থা এখনও আছে কি না এই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। চাঁদাবাজি এবং শিক্ষকদের দলাদলির কথা বাদই দিলাম, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশের কথা চিন্তা করলে, সাম্প্রতিক রেগিঙের ঘটনা যেভাবে রাজনীতির করিডরে এগুচ্ছে, সেটা খুবই আশঙ্কাজনক।
এই আশঙ্কাকে মাথায় রেখে অন্য একটা দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলতে হচ্ছে। ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে দাঁড়াবার জন্য কিছু মানুষকে কথা বলতে দেখতে পাচ্ছি। রাজনীতি বিষয়ে মোটামুটি অসচেতন এমন সব মানুষ। আমাদের মূল লক্ষ্যস্থল যদি আমরা ভুল দিকে তাক করি, তাহলে সমস্যার মূলটা যাবে না, বরং পরবর্তী কোনও সময়ে বিকশিত হবার জন্য অপেক্ষা করবে। একই সাথে, ছাত্ররাজনীতির সম্পূর্ণ অপসারণের ফলাফল নিজের দিকে টেনে নিতে চেষ্টা করবে রাজাকারদের উত্তরপ্রজন্ম- ছাত্রশিবির, যারা বুয়েটে স্পষ্টতই বিদ্যমান, কিন্তু উপরিতলের ঠিক নীচে লুকিয়ে থাকে অনুকূল সময়ের প্রতীক্ষায়।
আজকে বুয়েটের অবস্থা আর যাই হোক, শিক্ষাবান্ধব না, গবেষণাবান্ধব না। প্রত্যেক পরীক্ষার আগে পরীক্ষা পেছানোর 'আন্দোলন' করে, আমরাও এই পরিবেশের পেছনে অনেকখানি দায় বহন করছি। ছাত্ররাজনীতির পাশ ঘেঁষে যখন চাঁদাবাজি ঢুকে পড়ছে, তখন আমরাই চোখ বন্ধ করে থেকেছি। এই দায় এড়ানোর কোনও উপায় নাই।
চাঁদাবাজি বন্ধ হোক, নির্লজ্জ্ব দলাদলি বন্ধ হোক। তবে দেশের মানুষকে ডাক দেবার আগে, গজদন্তের স্তম্ভটা থেকে নেমে এসে আমাদের নিজেদের মুখোমুখি দাঁড়ানো দরকার, নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা বুঝে নেয়া দরকার, আত্মশুদ্ধিটা দরকার। বুয়েট যদি ডুবে যায়, এটা জেনে রাখুন, বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে না। ধ্বংস হবে কেবল বুয়েট নিজে। এই শূন্যস্থান অন্য কেউ দখল করে নিয়ে বাংলাদেশকে সচল করে রাখবে। আমরা বহুদিন নিজেদেরকে এলিট ভেবে এসেছি। আর কতোদিন সেটা করতে হবে? আমাদের লড়াই আমাদেরই করতে হবে। দেশ জাতি এগিয়ে এসে, 'জাগো বাহে' হয়ে আমাদের আন্দোলন করে দেবে না। সনি হত্যার সময় আন্দোলন আমাদের সিনিয়ররাই করেছেন, পূজার ছুটি নিয়ে তৎকালীন ভিসি-র সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আমাদেরই অগ্রজরা, রাজাকারদের সবচেয়ে দক্ষ অঙ্গসংগঠন শিবির আজও লুকিয়ে থাকে তাঁদের সেই সময়ের প্রতিবাদের অনুগামী ঘটনাপ্রবাহে। সেই আগুনে দিনগুলো আমাদের বর্তমান অধিকাংশই হয়তো দেখে নাই, কিন্তু ইতিহাসটা বিস্মৃত হলে আমাদেরই ক্ষতি।
বাংলাদেশ ডুবে যাবে না। তবে বুয়েট ডুবে যাবার দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রতিবাদে অগ্রণী হয়ে ওঠার সময় আমাদের, আমাদেরই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
_________________
[খোমাখাতা]
এই লেখাটা বুয়েট নাকি আইইউটি নিয়ে?
বুয়েট এমনিতেই একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে একাত্ব হতে হবে এ ব্যাপারে। এর মধ্যে আপনি আবার একটা ধর্মীয় তকমা লাগিয়ে দিলেন। আপনি জামাত-শিবির কর্মী কী না সন্দেহ হচ্ছে...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
'এতদ অঞ্চলের মুসলিমদের তথা বাঙ্গালি মুসলিমের প্রযুক্তি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র এই বুয়েট।'
এঈ কথাটা বোধহয় বুয়েটের সৃষ্টীর আদি কথা নিয়ে,(বুয়েটের ম্যানুয়ালকে রেফারেন্স মানছি।) তবে স্বাধীন দেশে ধর্মের প্রাধান্য দেয়া হয়নি। @স্পর্শ।
বুয়েট বাংলাদেশের সকল সমস্যার সমাধানে সদা ততপর, ছোট কিংবা বড় যাইক হোক না কেনো। বুয়েটের মান নিয়ে যদি একবার অনাস্থা আজগে দেশে প্রযুক্তিক্ষত্রে প্রলয় হয়ে যাবে। জাতি হিসেবে মাথা উচু করে দাড়াবার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। আর অন্যান্য ভার্সিটী বুয়টের সাথে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে আসলে দেশের জন্য ভালই হত। কিন্তু দরিদ্র দেশ হিসেবে আমরা তাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্হ্র ব্যয় করতে পারবো কিনা সনহেহ আছে।
তবে বুয়েটকে বাচাতে হবে ,এতে কারো সন্দেহ নেই-মনে করি। আর আমার কোন ক্ষমতা নেই লেখা এডীট করার। তবু পড়ে যারা কমেন্ট করেছেন তাদের ধন্যবাদ।
"এতদ অঞ্চলের মুসলিমদের তথা বাঙ্গালি মুসলিমের প্রযুক্তি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র এই বুয়েট"
আপনার এই বক্তব্যের সাথে একমত হতে পারলাম না।বুয়েটের ধর্মীয় পরিচয় কোনদিন ছিল না,এখনও নেই।আশা করি ভবিষ্যতেও থাকবে না।(অবশ্য আপনারা যেদিন ক্ষমতাসীন হবেন সেদিনের কথা ভিন্ন)।
"এঈ কথাটা বোধহয় বুয়েটের সৃষ্টীর আদি কথা নিয়ে,(বুয়েটের ম্যানুয়ালকে রেফারেন্স মানছি।)"
কোথায় পেয়েছেন আপনি এই ম্যানুয়াল? আপনি নিজে লিখেছেন?এই সব কথা বলার পেছনে আপনার কোন না কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে,তা স্পষ্ট।
"বুয়েটের ল্যাব টেস্টের কোন পাত্তা কেউ দেবে না"
না দিলে না দেবে।আপনার সদয় অবগতির জন্য বলছি বুয়েট কোন টেস্টিং ল্যাবরেটরি না,এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়।অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় শব্দের বিশালতা বোঝবার মত সক্ষমতা আপনাদের মত লোকেদের আছে কিনা তা নিয়ে কথা না বাড়ানোই বোধহয় ভাল।
"ফলে সামান্য রড টেস্টের জন্য আপনাকে দৌড়াতে হবে সিংগাপুর কি ভারত"
এই তো থলের বেড়াল বেড়িয়ে গেল মহাশয়ের।সেই কবে থেকে আপনাদের বড় আব্বারা শুরু করেছিলেন এই নীতি তাদের উত্তরসূরি হয়ে আজো সেই একই পথে হেঁটে চলেছেন তাদের সেই ধর্ম ব্যবসার ঝাণ্ডাকে সমুন্নত রাখবার জন্য।
'এযেনো ডিজিটাল ভূতের উলটা দিকে পা"
এই মন্তব্যের পর আপনার পরিচয় নিয়ে তো আর কোন সন্দেহেরই অবকাশ থাকে না।
বুয়েটকে ডোবানোর হাত থেকে বাঁচাতে হলে সব নোংরামোর হাত থেকে বাঁচানো যেমন জরুরি তেমনি আপনাদের মত কিছু ছদ্মবেশী কালসাপের হাত থেকে বাঁচানো আরও বেশি জরুরি।
বুয়েট বাংলাদেশেরই একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশের সমাজ বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। সারা দেশের রাজনৈতিক,সামাজিক অস্থিরতা অবশ্যই একে স্পর্শ করবে। দেশ ডুবলে বুয়েট, ঢাবি এবং আরো সমস্ত প্রতিষ্ঠান একসাথে ডুববে।
বুয়েটের কাম কি ইট বালু সিমেন্ট রড টেস্ট করা? এইডা না করলে কি দেশ গহীন সমুদ্রে ডুইবা যাবে? বুয়েটে কি শুধু এতদ অঞ্ছলের মুসলিমদের জন্য? ভিসি স্যারের ছেলের পজিশন তার ডিপার্ট্মেন্ট ৩য়, তার আগের দুই জন ইতিমধ্য শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। অই ডিপার্ট্মেন্টে একসাথে একই ব্যাচের ৫ জন শিক্ষক নিয়োপি হইছে সেইখানে উনি যদি শিক্ষক হন তাহলে উনি উনার যোগ্যতা দিয়ে হবেন। সচলের মত বড় প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন জায়গা থেকে কপি পেস্ট মাইরা লেখা এই বাল ছাল জিনিস বুয়টের মান ইজ্জত ডুবাইতাছে।
এই লেখা ছাড়ছে কেডায়
বুয়েট ডুবে যাচ্ছে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বুয়েট ডুবে গেলে বাংলাদেশ ডুবে যাবেনা। তখন এই রডসিমেন্ট টেস্ট অন্য কোথাও হবে (যদি এই ধরণের কাজের জন্যই বুয়েটের দরকার হয়ে থাকে)।
বুয়েটকে উদ্ধার করতে হলে আমাদেরই করতে হবে, দেশের বাকী মানুষের আরো অনেক অপশন আছে বুয়েট ছাড়াও। এত বড় ডাক দেয়ার কোন মানে নাই।
কি আচানক ব্যাপার। যমুনা সেতুর ফাটলের পরের ঘটনাতো কইলেন, ফাটলো কেন সেইটাও কন। তখন বিশেষজ্ঞরা কোথা থিকা আইছিলো, কি করছিলো, কারে কারে তেল মারছিল, পয়সা খায়া টাইম মত চক্ষু দুইটা কেন বুইজা আছিল সেই ঘটনাগুলাও কয়া যান?
বিষয়টা নিয়ে লেখা দরকার অবশ্যই। কিন্তু লেখাটার কোন মৌলিকতা নেই। এই লেখা প্রায় পুরোটাই ফেসবুকের একটা নোট থেকে নেয়া। নতুন কোন তথ্য জানলে দিতে পারতেন। আর দেশের আরও হাজারটা প্রতিষ্ঠানের মতই বুয়েটও নোংরা রাজনীতির স্বীকার। সব প্রতিষ্ঠানকেই বাঁচাতে হবে এই নোংরা রাজনীতি থেকে। দেশে বুয়েটের একটা অবস্থান আছে সত্যি, কিন্তু বুয়েট না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না এটা বোধহয় একটু অত্যুক্তি। বরং বুয়েটের এই অবস্থা দেশের অবস্থা কিছুটা রিপ্রেজেন্ট করে। সারা দেশেই এই নোংরা কালচার বন্ধ না করতে পারলে আসলে শুধু একটা দুটা প্রতিষ্ঠান দিয়ে তেমঅন কোন লাভ হবে না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
, স্কুলে পড়ছিলাম চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।
ফেরা কই? জাতি জানতে চায়। এক বন্ধুকে বলেছিলাম পড়তে। এখন দায় চাপছে আমার উপর। আমি আপনার হয়ে বলছি যে উনি ব্যাস্ত। সময় পেলে নিশ্চয়ই দিবে। আর কতদিন আটকাইয়া রাখুম???
ফেরা অবশ্যই আসবে। একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছি আসলেই। মাস্টার্সের আর সাত-আট মাস বাকি। প্রফেসর সেদিন ধরে নিয়ে একেবারে ব্যাপক ডেডলাইনের লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে। তবে এই সপ্তাহের মধ্যেই লিখে ফেল্ব
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
প্রকৌশলবিদ্যা শিখে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে জোকারনায়েকের ফ্যান উপচে পড়ে, সেই বিশ্ববিদ্যালয় ডুবিতেছে না, অলরেডি ডুবিয়াছে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আসলেই এদের তো যুক্তিবাদী মন হবার কথা অথচ পুরাই উল্টা। তাবলীগ বুয়েটরে ডুবায়, চুবায় ব্যারাছ্যারা কৈরা দিলো.............
_________________
[খোমাখাতা]
জায়গামতো হাত পরছে... বাংলাদেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির 'শেষ আশ্রয়স্থল' বুয়েটের 'ল্যান' এ জোকারনায়কের 'বিবর্তনবাদ' তত্ত্বের সব ডকুমেন্টারি বিনামূল্যে পাওন যায়।
প্রথমেই তীব্র নিন্দা ও আপত্তি জানাচ্ছি
এই লাইনটির জন্য, এই কথাটি বলে এরকম একটি পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার কি মানে??? আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কবে থেকে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধর্মালম্বীদের শিক্ষা দেওয়া শুরু করলো কিংবা কবে এর উদ্দেশ্য এরকম ছিলো জানতে চাই.... যেকেউ লেখাটা পড়লে প্রথমেই চোখে পরবে এই অপ্রাসঙ্গিক লাইনটি...
বুয়েট দেশের গর্বের একটি প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে সন্দেহ করবোনা, কিন্তু বুয়েট ডোবার পেছনে কি খালি রাজনীতিই দায়ী?? যেখানে বুয়েট এর প্রকৌশলীরা ভূমিকম্প এর পরে সৃষ্টিকর্তার গজব সংক্রান্ত পোস্ট দিয়ে ভূমিকম্পের কারণ হিসেবে সেটা নির্দেশ করে, যখন কথায় কথায় পরীক্ষা পেছানোর জন্য মিছিল হয়, হল দখলে ছাত্ররাই মদদ দেয় ইত্যাদি তখন কি আসলে মনে হয়না ভিতরে ভিতরে অনেক আগে থেকেই ডোবা শুরু হয়েছিল????
বাংলাদেশের সামাজিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতির কোনো দরকার আছে কিনা সেটা নিয়ে অনেক আগেই চিন্তা করার উচিত ছিলো, সুস্থ ছাত্র রাজনীতি যখন শুধুমাত্র দলীয় রাজনীতিতে পরিণত হয় তখন সেটা আর কখনই ছাত্র দের অধিকার রক্ষার রাজনীতি থাকেনা| তাই শুধু রাজনীতিই নয়, স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সব রকমের দলতন্ত্র, দলাদলি, দলীয় রাজনীতি, বিভেদ, সাম্প্রদায়িকতার অতি সত্তর অপসারণ অতীব জরুরি| দেশ এমনিতেই আধা ডুবে আছে, নাহলে বুয়েট শুধুনা দেশ সব কিছু নিয়েই পুরো ডুববে কিছুদিন পর...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট প্রযুক্তিজ্ঞানসমৃদ্ধ পুলাপানের হট লিস্টে যদি সব রজনিকান্তের 'তামিল' মুভি থাহে... হেইখানে তো এই অবস্থা হইবই...
@চিলতে রোদ: এটা কি আপনার পরিচিত কোন বন্ধুর অবস্থা? আমিতো কখনো দেখিনি এরকম। এরকম যদি দুই একজন থাকতে পারে হয়তোবা।
আর, ব্যাপারটা এখানে অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে করছি।
দারুণ রম্য পোস্ট হইছে।
বুয়েটকে সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়াই পোস্টের বিসমিল্লাহ।
বুয়েট কবে রাজনীতিমুক্ত ছিলো? অন্তত গত ১৫/২০ বছরের ইতিহাসে রাজনীতিমুক্ত বুয়েটকে পাওয়া যায় না।
চাকুরির বয়স বৃদ্ধি নিয়া শিক্ষকদের সমস্যা কোথায়? আলুর লিংকে তো বলছে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকুরির বয়সসীমা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বুয়েটে আবার সিন্ডিকেটের পারমিশনের ব্যাপার আছে। এখন এই জিনিসটার সাথে দলীয় নিয়োগ (যদি থাকে)-এর কোন সম্পর্ক নাই। কারণ, দলীয় সিন্ডিকেট হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বাইরে কাজ করতো না। এই বাড়তি পারমিশনের প্রয়োজনীয়তার জন্য সরকার বা দলকে দায়ী করার হেতু কি?
এটা নিয়ে উপরে একজন বলেছেন। ভিসি মহোদয়ের পুত্রের অবস্থান ৩য় ছিলো। কিন্তু এই ঘটনা বুয়েটে এই প্রথম না। যেমন, ২০০১ সালে ইলেকট্রিক্যালে সেলিয়া শাহনাজকে নেওয়ার জন্য ২৩ সিরিয়াল পর্যন্ত গিয়েছিলো, তখন দুই দফায় তড়িঘড়ি করে শিক্ষক নেয়া হয়, যদিও তার ৪/৫ মাস পরেই পরবর্তী ব্যাচ পাস করে বের হচ্ছিলো। এর প্রভাবে পরবর্তী ব্যাচ থেকে নেয়া হয় মাত্র ৫ জন। সেলিয়া শাহনাজ শিক্ষক আনোয়ারুল ফাত্তাহর বউ।
হা হা হা। শিক্ষক নামের কলঙ্কগুলা পোষ্য কোটায়ই থেমে থাকে নি, বুয়েটের মধ্যে আরেকটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খোলার পায়তারা শুরু করেছিলো। বুয়েটের ছাত্র (সাবেক ও বর্তমান)দের প্রবল সমালোচনার মুখে তারা সেই আকাম থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। এর মধ্যে কোনো নৈতিকতা, সামাজিক ন্যায়বিচারের ব্যাপার নাই, পুরোটাই ঠেলার নাম বাবাজি।
বুয়েটে কেউ বায়ু ত্যাগ করলেও বুয়েট অথোরিটির চেষ্টা থাকে বুয়েট বন্ধ করে দেয়ার। পরীক্ষার সময়ে ইঁদুর বিড়াল খেলা শুরু হয় ছাত্রদের সাথে, যার প্রেক্ষিতে শেষমেষ ভাঙচুর ও বুয়েট বন্ধের ঘটনা ঘটে। - এটা বুয়েটের জন্য মোটামুটি পরিচিত সিনারিও ছিলো। বেশ কয়েক মাস হলো বুয়েট এভাবে বন্ধ হচ্ছে না, ছাত্ররা মনে হয় শেয়ানা হয়ে গেছে, অন্যদিকে প্রাইভেটে খ্যাপের চাপ তো কমছে না, সুতরাং ক্লাস বর্জনের কোনো অজুহাত পেলে উনারা তা লুফে না নেয়ার কারণ নেই।
লেঞ্জা ইজ এ টাফ থিং টু হাইড।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কি হিমু মামা বর্তমান নিয়া কিছু কন???
এক্কেরে সলিড!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
_________________
[খোমাখাতা]
এতগুলো মন্তব্যের পরে লেখকের বক্তব্য জানতে চাচ্ছি। আছেন আপনি?
আমি একটা জবাব দিয়েছিলাম,তবে সেটা মডারেশোন প্যানেল পার হতে পারেনি। সেটা যদি এডিট করেও প্রকাশ করা হয় কৃতজ্ঞ হতাম
নিজেই মডারেট করে পোস্ট করতে পারেন।
একটা দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন কিংবা উদ্দেশ্যমূলক লেখা অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে হালকা করে ফেলতে পারে। এ লেখাটি তার প্রমাণ। ফেসবুকে দেখছি বুয়েটের বর্তমান অবস্থায় ক্ষুদ্ধ ছাত্রদের গ্রুপ/পেজ আছে, তাদের মাঝ থেকে কাউকে একটা ভালো লেখা লিখার অনুরোধ জানাই। বুয়েট ডুবলে দেশ ডুবে যাবে এমন অবাস্তব চিন্তা বর্জিত হলে ভালো হয়।
কে যে কোন পানিতে কী মাছ শিকার করে বুঝা দায়। আমি মুসলিম ছিলাম না, আমার বন্ধুদের মাঝেও অনেকে ছিলো না। পাঁচ বছর বুয়েটে পড়ে আজ এই জ্ঞান লাভ হলো। বুয়েট ডুবছে, তাই সুযোগে তার গায়ে আরেকটা পাথর বেঁধে দিলেন?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল'দা, সত্যিই সন্দেহজনক লেখা। লেজের অস্তিত্ব তীব্রভাবে পাওয়া যায়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
তাড়াহুড়া করে পুরো পোস্ট লেখার জন্য কিছু ভুল বোঝাবোঝি আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। সচলকর্তৃপক্ষ যদি কোনভাবে মেইল করে জানান আমি কি ভাবে এডিট করতে পারি তাহলে ভালো হয়।
১. বুয়েটের ইতিহাসের সাথে মুসলিমদের কেনো জড়িয়ে ফেললাম তা নিয়ে সচলে সংশয় দেখা দিয়েছে।লেখক দাবি করেনঃতিনি কোন মতেই কোন প্রকার রাজনীতির সাথে জড়ীত নয়। আমার কাছে বুয়েটের যে ম্যানুয়াল আছে তা থেকে ২য় লাইনটা আবারো তুলে দিচ্ছিঃ ১৯০৫ সালে ঢাকার নোয়াব আহসানউল্লাহ এ বিদ্যালয়টির প্রতি আকৃষ্ট হন এবং মুসলমানদের শিক্ষাদীক্ষার অগ্রগতির উদ্দেশ্যে এর উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য ১.১২ লক্ষ প্রদান করেন। (বর্তমানে অবশ্য বুয়েটের ওয়েবে এই ধরণের তথ্য নেই।তবে ছবি তুলে আপলোড করে দিতে পারি। ) {ব্যাখ্যাঃ বুয়েটের সামগ্রিক ইতিহাস তুলে ধরার ইচ্ছা থেকেই পোস্টটি শুরু হয়েছিলো ,তবে মাঝপথে বর্তমানের সমস্যার দিকে ফোকাস করতে গিয়ে মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেলার ব্যর্থতা আমি স্বীকার করি। }
২. রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস বলে একসময় খুব সুনাম ছিল বুয়েটের - এটি আমার কথা নয় বরং ঢাকার বাসিন্দারা এখনো এভাবেই পরিচয় দেন; যেমন দিয়েছিলেন আমার কাছেও।
৩. আর ভিসি মহোদয়ের পুত্রকে বুয়েট শিক্ষক বানানোর অপচেষ্টার কথা জানতে বুয়েটের eee 04 এর যেকারো কাছে তথ্য পাবেন। আমার কাছে পাকা খবর আছে উনি ১১তম ছিলেন।
৪. নতুন কিছু তথ্য(রেফারেন্স নেই) ঃ
ক। ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নাকি রেসাল্ট পালটে ৩.১ থেকে ৩.৮ এ নিয়া যাওয়া হয়েছিল। এনিয়ে প্রতিবাদ করে লাভ হয়নি।
খ। আহসান উল্লাহ হলের এক (০৬ ব্যাচ) ছাত্রলীগ কর্মী একটী কোর্সে ফেল করে ।কিন্তু সেখানে বুয়েটের মূল সার্ভারে তাকে আনরেজিস্টারড দেখানো হয়েছে। তার এডভাইজার হার্ড কপি থেকে প্রমাণ দেখালে ০৭ বাদে অন্যান্য ব্যাচের পুরো রেসাল্ট বহুদিন আটকে ছিল।
৫. এযেনো ডিজিটাল ভূতের উলটা দিকে পা-প্রসঙ্গেঃ বাংলাদেশকে যদি ডিজিটাল করতে চান তাহলে বুয়েটকে কাজে লাগাতে হবে সবচেয়ে বেশি। আমাদের প্রত্যাশাও ছিল তাই। কিন্তু সতিকারের ডিজিটাল দেশ বলতে যা বোঝায় তার দিকে না এগুলে যদি সরকারের সমালোচনা করা না যায় বা করলে তাতে ছাগুর লেঞ্জার গন্ধ পান তাহলে কিছু বলার নেই। আর হলের ডাইনিং থেকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় যেকোন প্রোগ্রাম -কোথায় নেই এই মামাবাহিনীর(ছাত্রলীগ) দৌরাত্ব।
৬. বাংলাদেশ ডুবলে বুয়েট না বুয়েট ডুবলে বাংলাদেশ - এনিয়ে কী কী অভিযোগ করেছেন। আমি শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের অভাবে লাতিন আমেরিকার বিলীন হয়ে যাওয়া মায়ান বা ইনকা সভ্যতার দিকে তাকাতে বলব। আর কিছু বলব না।
সর্বশেষ শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি সিন্ডিকেট মিটিংয়ে মেনে নেয়া হয়নি। সামনে হয়তো বড় ধরণের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সকলের কাছে শুভকামনা দাবিকরি।দাবি আদায় ছাড়া বুয়েটিয়ানরা কখনো ঘরে ফিরেনি (- আবারো গর্ব করে ফেললাম ) এবারো যেনো না হয়।
লিখেছেনঃ পোস্টের লেখক
১১ তম না, ০৪ থেকে এ পর্যন্ত ১১ জন ইইই তে নেয়া হয়েছে, মাঝে ১ জন নিজেই ভাইভা দিতে আসেননি। ভিসিপুত্রের পজিশন আরো পরে ।
আহসানুল্লাহ এনজিনিয়ারিং কলেজের ইতিহাস নিয়ে মশগুল হয়ে থাকলে চলবে ভাইডি? বৃটিশ আমল, পাকিস্তান আমল থেকে বের হয়ে একটু বাংলাদেশ আমলে ঢুকেন, তারপর কথাবার্তা বলেন।
"আমি শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের অভাবে লাতিন আমেরিকার বিলীন হয়ে যাওয়া মায়ান বা ইনকা সভ্যতার দিকে তাকাতে বলব।"
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের বিচারেও বুয়েট না থাকলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যাবেনা। দেশে আরো অনেকগুলো প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
বুয়েট এখন আসলেই ডুবন্ত। দু বছর আগে বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগে এক শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়, যার কিনা ডিপার্টমেন্টে কোন পজিশন-ই ছিলো না। তার একমাত্র যোগ্যতা ছিল সে নাকি শিক্ষা-সচিবের গুণধর পূত্র! তার আর সব যোগ্যতা বাদ দিলাম, তার পড়ানোর স্টাইল দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা নাকি ক্লাস থেকে বের হয়ে চলে যায়। এ নিয়ে অনেক প্রতিবাদ হয়েছে, বেশ কিছু জুনিয়ার শিক্ষক তাদের চাকুরী থেকে রিজাইন পর্যন্ত দিয়ে বিদেশে গমন করেছেন কিন্তু সেই নির্লজ্জ বেহায়া দিব্ব্যি বসে বসে মাসে পয়সা নিচ্ছে! এধরনের দূর্ণীতিকে যতদিন রোধ করা যাবে না, বুয়েটেকেও ডুবন্ত অবস্থা থেকেও রক্ষা করা যাবে না। মনে রাখবেন, ছাত্র-ছাত্রী কখনও রাজনীতিতে জড়ায় না। দুর্ণীতিবাজ কিছু শিক্ষকদের প্ররোচনার কারনেই তারা রাজনীতি সহ অপকর্মে জড়ায়। কোথায় আজ সেই দিন, যে দিন কিনা আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে ডঃ ইকবাল মাহমুদকে অপসারন করার দাবী জানানোর সাথে সাথে দল-মত নির্বিশেষে শিক্ষকেরা একজোট হয়ে প্রতিবাদে নেমে এসেছিলেন?
“সচিবের গুণধর পূত্র” হওয়ায় অযোগ্যতা দেখি না। আমাদের লেকচারাররা বেশির ভাগ ই যেখানে এমএস পিএইচডি করে দেশে ফিরে না, সেখানে গ্রাড লেভেল এ বিশেষ কৃতিত্রের পরিচয় দেয়া কাউকে সুযোগ দিলে সমস্যা তো দেখি না। জানামতে সিভিল ছাড়া কম্বেশি সব বিভাগেই শিক্ষক সমস্যা। কেমিকৌশল বিভাগের অন্তত দশ জন শিক্ষককে জানি যারা পিএইচডি শেষ করে বিদেশে সেটলড, ফিরবে না। সিনিয়র শিক্ষক দিয়ে আর কয় দিন?
@অছ্যুৎ বলাই-
I am from BUET 05 EEE. I am not comfortable in typing Bangla, so writing in English. The son of present VC was never 3rd in their batch-BUET EEE 04.
For BUET EEE04 , 7 teachers were taken from the batch in two times and the VC son was never in the top 7. The position of VC son was after class rank 9. As you have mentioned about Fattah Sir & Celia Madam-the fact was not like that.
They were classmates and their class ranks were nearly equal ( 15 & 19 ). It is quite unlikely that after Fattah Sir joined as Lecturer, he would recommend for his wife because he was just a NEWLY JOINED LECTURER. He did not possess such authority that he could recruit his same batchmate as a BUET teacher. They became BUET teachers according to their qualifications and class rank. BUET needed teachers then upto 19 / more and so they joined.
I have known all these from my thesis supervisor who held class rank in the top 3 percentile in the same batch of Fattah Sir and joined in 1st time recruitment from their batch. Both Fattah Sir and Celia Madam joined during 2nd time recruitment.
দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন।
বুয়েটের ভিসির ছেলের পজিশন কতো, তা উপরে এক মন্তব্য থেকে নেয়া। ফাত্তাহ বা সেলিয়া - উনাদের পজিশন ১৫ আর ১৯ (এটা খুব সম্ভবত ২১ বা ২৩ উনার ট্রান্সক্রিপ্ট অনুসারে, আপনি ক্রসচেক করে দেখেন) হলেও সমস্যা নাই। বুয়েটের ভিসির ছেলেকে টিচার নেয়া সমর্থন করাও আমার উদ্দেশ্য না। আমার মন্তব্যের ফোকাস হলো, বুয়েটে এরকম কেস আগেও হয়েছে, নোতুন না।
ফাত্তাহ-সেলিয়া কেসের ওই সেকেন্ড টাইম রিক্রুটমেন্টেই ঘাপলা ছিলো। কারণ, এর ৪/৫ মাস পরেই একটা নোতুন ব্যাচ বের হচ্ছিলো। তখন নোতুন ব্যাচের আগেই তড়িঘড়ি করে ওই ব্যাচ থেকে দ্বিতীয় বারে ১০/১২ জন নোতুন শিক্ষক নেয়া হয়। সেলিয়া শাহনাজ ছিলেন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে লাস্ট পারসন। তার সমান জিপিএ (যতদূর মনে পড়ে ৩,৭৯)-এর আরো ২ জন ছিলো, তারা কেউ নিয়োগ পায় নাই। স্পষ্টতই সেলিনা শাহনাজকে নেয়ার জন্য এই কাজ করা হয়েছিলো। এর ৪ মাস পরেই পরের ব্যাচ পাস করে, তাদের থেকে নিয়োগ দেয়া হয় মাত্র ৫ জন (এদের সর্বনিম্ন জিপিএ ৩,৯০/৩,৯১)। ৪ মাস পরেই যেখানে অপেক্ষাকৃত ভালো (জিপিএ বিবেচনায়) ক্যান্ডিডেট পাস করছে, সেখানে ১০/১২ জন নোতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়াটা খুব দৃষ্টিকটু ছিলো।
আনোয়ারুল ফাত্তাহ অনেক স্মার্ট এবং প্রিয় লোক (খুব সম্ভবত কোচিংয়ে ভালো পড়ানোর কারণে)। অথোরিটি সবসময় নিজের পজিশন থেকে আসে না, নিজের লবিং পাওয়ার থেকেও আসে। এক্ষেত্রে কি কারণে সেলিনা শাহনাজ পর্যন্ত রিক্রুটমেন্ট হলো, তার গাণিতিক প্রমাণ আমার কাছে নাই, এজন্য কাউকে দোষোরোপও করি নাই। আমার কাজ শুধু কেসটা তুলে ধরা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শিক্ষক নিয়োগ-সম্পর্কিত আরো কিছু প্রাসঙ্গিক কথা যোগ করি:
শিক্ষকতার যোগ্যতা সবসময় জিপিএ দিয়ে হয় না। আইডিয়াল কেসে, ইউনিভার্সিটির মূল কাজ গবেষণা, এজন্য শিক্ষকতা পদে গবেষণার বিষয়টা দেখা হয়। বুয়েট/বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, ইউনিভার্সিটির মূল কাজ ছাত্র পড়ানো। ছাত্র পড়াতে অন্য মানুষের সাথে নিজের ধারণা শেয়ার করার মতো উপযুক্ত স্কিল দরকার হয়। ছাত্রের স্কিল ও স্কেল বুঝা ও সেটা বুঝে শিক্ষাদান খুব জরুরী। লেকচারার নিয়োগে একজন ক্যান্ডিডেটের অন্তত পক্ষে প্রেজেন্টেশন স্কিলটা দেখা দরকার। বুয়েট থেকে অন্য ইউনিতে শিক্ষক নেয়া হলে অন্য ইউনি থেকে পাস করা কাউকে বুয়েটে না নেয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি না।
বুয়েটে এক্ষেত্রে সাধারণত বুয়েটি এবং জিপিএই শেষ কথা। এ কারণে অনেক শিক্ষাদানে অদক্ষ লোকেও নিয়োগ পায়। জিপিএ শেষকথার সুবিধা হলো অন্য অনেক ইউনির মতো রাজনৈতিক নিয়োগ বা ব্যাকডোর এন্ট্রি সহজ হয় না। তবে এরও সমাধান আছে। আগে দরকার মতো পজিশন সৃষ্টি করতে হয়, তারপর নেয়া হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শিক্ষকতার যোগ্যতা সব সময় সিজি দিয়ে হয়না ঠিক আছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিশেষত বুয়েটে প্রতিবছরই যেহেতু লেকচারার হিসাবে নতুন নিয়োগ দিতে হয়, সেখানে অন্য ক্ষমতা যাচাই করার উপায়ও থাকে না। হয়তো সেই যাচাইএর কাজটা করা যেত নানা ভাবে, যেমন টিচিং অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে শুরুতে নিয়োগ দিয়ে তারপর তাদের পারফরম্যান্স দেখে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এমন কোন কিছু করা হয় না। নিয়োগ যাকেই দেয়া হয়, তাকে সরাসরি একটা ইন্টারভিউ আর তার সিভি দেখেই নিয়োগ দেয়া হয়। তাইলে, এখানে রেজাল্টের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা কাউকে লেকচারার হিসাবে নিয়োগ দেয়াতে বুঝাই যাচ্ছে যোগ্যতার ব্যাপারটা আসছেই না, বরং আসছে স্বজনপ্রীতি বা রাজনীতির ভূমিকা।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পরের ব্যাচ বের হওয়ার আগে আগে নিয়োগ সব ডিপার্টমেন্টেই হয়। এক্ষেত্রে বলা হয় মাস্টার্সের রেজাল্টের ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে !
এই লেখক কোন আক্কেলে এখানে লিখতে এসেছে সে কি জানেনা যে সচলে তার প্রতিটা শব্দের ব্যবচ্ছেদ হবে। এখানে লিখতে হবে এখানকার 'কাল্ট' ফলো করে সেটা তার এতোদিনে বোঝা উচিত।
বলতে কি বোঝালেন? আপনি নিজেই লেখাটার গুণগত মান যাচাই করুণ। ফেসবুকের একটা নোটের কপিপেস্ট ছাড়া এটাকে আর কি বলবেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ইনি ফয়সাল কবির শুভ, বি এন পি'র আমলে বুয়েটে ছাত্রদলের চমচা ছিলেন বগুড়া বাড়ি হবার সুবাদে তিনি ক্যাম্পাসের ভেতর বরাবর একটা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো আচরন করতেন!
বুয়েট এ এক ই পজিশনের অনেকে আছে। ভি সি স্যার এর ছেলের পজিশন ৭ , কিন্তু এক ই ব্যাচ এ ২য় পজিশনে আছে এক সাথে ৫ জন। এভাবে বিচার করলে অর পজিশন ১৭। তার বুয়েট এর EEE বিভাগে টিচার হবার সম্ভাবনা কখনোই ছিল না। তবে সে এখন বুয়েট এর আই আই সি টি এর লেক্চারার। - বাই দ্যা ওয়ে, কয় জন জানেন যে ০৫ ব্যাচ এর বেশি সি।জি।পি।এ। ওয়ালা candidate দের বাদ দিয়ে ০৪ ব্যাচ আর ০৩ ব্যাচ থেকে ৩ জনকে ডিপার্টমেন্ট অফ eee তে নেওয়া হয়েছিল??
সহমত
নূহ নবীর আছিলো নোয়া'স আর্ক আর বাংলাদেশের আছে বুয়েট আর্ক।
লেখক ভাই, বুয়েটের সাইডে, ডানে-বামে, উপর-নিচে টায়ার-টিউব বাইন্ধা রাখার সিস্টেম নাই? বুয়েট আর্ক ভাইসা থাকলে বাংলাদেশটাও ভাইসা থাকতো তাইলে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার এই কথাটা খুব মনে ধরছে!! হাহহাহাহাহহা
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
বুয়েট আর্কিটেকচারের লগে মিল্লা গেলো কিন্তুক!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে লিখতে গেলে আরো একটু সতর্ক হয়ে লিখা প্রয়োজন, বিশেষত যদি লেখার মাধ্যমে কোন পজিটিভ পরিবর্তন আনতে চান। যাই হোক, আশা করি এখানকার ফিডব্যাক থেকে সেটা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন।
বুয়েটে যা ঘটছে সেটা ভালো কিছু না, দলীয়করণ এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনার চূড়ান্ত মচ্ছব চলছে। সবাইকে তাই অনুরোধ করি, বুয়েটের ঘটনাকে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খারাপ সময় হিসেবে বিবেচনা করে কীভাবে অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায় সে বিষয়ে মতামত দিতে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
একটা ভুল তথ্য বার বার দেয়া হচ্ছে। সঠিক তথ্য হচ্ছে, ০৪ ব্যাচের ১১ জনকে টিচার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভিসির পোলার চেয়ে বেশি জিপিএ ধারী আরো কমপক্ষে ৬/৭ জন ছিল, তাদের কেউ এখন দেশে নেই যদিও।
বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রায় সাত বছর থেকেও কখনো শুনিনি এধরনের কথা।
যাও বুয়েট টা কষ্টে-মষ্টে একটু ভেসে ছিল, এরকম লেখা দিয়া আপ্নে তো দিলেন বাকিটুকুও ডুবাইয়া। এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে লেখা উচিৎ। বাঙ্গালি মুসলিমের প্রযুক্তি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র , প্রযুক্তিখাতে শেষ ভরসাস্থল সহ নানা কথা আর বারংবার বুয়েটিয়ান বুয়েটিয়ান করায় (এই শব্দটা আমার কাছে নতুন, আমাদের সময় মনে হয়না আমরা বুয়েটিয়ান নামে শব্দটি খুব বেশী ব্যবহার করতাম) লেখার ফোকাস অন্যদিকে চলে গেছে ।
এমনিতেই বুয়েটের ছেলেদের বাজারে বদনাম অহংকারী বলে, এভাবে লিখলে সেই কথার সত্যতাই প্রমাণ করা হয় শুধু। অবশ্যই বুয়েটের এসব সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিন্তু তাই বলে বুয়েট বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে কথাটা একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়।
জীবনে প্রথমবার বলে একটা কথা আছেরে ভাই
লেখায় ধর্মীয় তকমা দেখেই বোঝা যায় কোন চিন্তা ভাবনার লেখক। রিপোর্ট তাহলে মিথ্যা নয়, বি এন ই এবং জামাত পন্থি শিক্ষকদের কর্মকান্ড!
এই লেখা দেখে বুঝে গেলেন আন্দোলনটা বিএনপি জামাত পন্থি শিক্ষকদের কাজ? আপনার উদ্দেশ্যও তো সুবিধার মনে হচ্ছে না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বুয়েটের শিক্ষদের ভেতরে রাজনৈতিক অবস্থান এখন অনেক স্পষ্ট তাই কোন কিছুকেই উড়িয়ে দেইনা, সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ!
এতো এতো ভালো লেখা থাকতে মডারেটররা এক সাম্প্রদায়িক পোস্টকে মডারেশনের পুলসিরাত পার করিয়ে তারপরে ব্যাশিং এ মেতে উঠে কি যে মজা পাচ্ছে সচলায়তনের সবাই তা তারাই ভালো বলতে পারবেন!
তবে এতে করে আন্দোলনের বিষয়বস্তুকে চমৎকার একটা রাজনৈতিক রূপ দিয়ে দেওয়া যায়। সচলায়তনের সাথে বুয়েটের এই আন্দোলন কি খাপ খাচ্ছে না নাকি? নাহলে এতো লুকোছাপা, ভাসাভাসা অনীহার মাজেজা কি?
রবাহুতের লাগছে ব্যথা, বুঝছে না কি তারা?
(জানিনা এই কমেন্টটাও যাবে কিনা? আপনাদের সাইট সি. এম. এস. ড্রুপালের প্রেসফ্লো সিক্স এর mollom এর ক্যাপচা বাগে আমি মোটামুটি অতিষ্ঠ!)
নারে ভাই! আর কোনো খোঁচাখুঁচি অন্তঃত এই বিষয়ে নয়। বুয়েটের অবস্থা আসলেই খারাপ। এসময় সচলায়তনের মত প্লাটফর্মে আলোচনা অন্যদিকে ঘুরে গেলে আসলেই খারাপ লাগে।
তো আলোচনা করেন। আলোচনার ভং ধরে সচলা্য়তনরে খোচাইতে আসছেন ক্যান?
শুনি এই বিষয়ে আপনার বিশ্লেষণ। বুয়েটের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন দেখি।
আপনার সাথে সুস্থমস্তিষ্কের কারোর আলোচনা করা কঠিন! আমি ভদ্রতা দেখালাম, আর আপনি সেটাকে দুর্বলতা মনে করে রীতিমত কমান্ড দিয়ে যাচ্ছেন আমাকে! আমি আলোচনা করবো কি করবো না সেটা কি আপনার সম্মতি নিয়ে করবো নাকি? সচলায়তনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র গণ্ডীর বাইরের সবাইকে কি নিচু প্রজাতির আদেশ পালনযোগ্য গোষ্ঠি মনে হয় নাকি? নাকি আপনার ভদ্রতা কোটা স্রেফ সচল আর হাচলদের জন্য বরাদ্দ? নাকি আশা করেন আমি এর পরেও আনন্দে গদগদ হয়ে আপনার সাথে আলোচনা করে নিজেকে ধন্য মনে করবো? অসচল সবাইকেই এমন ক্লীব মনে করেন নাকি?
যত্তসব!
আপনার মতো মধ্যমাসর্বস্ব লোকের জন্য কোনো ভদ্রতা বরাদ্দ নাই, এইটুকু জানিয়ে রাখতে পারি।
প্রথমে বললেন, এই লেখা ব্যাশিং করে সচলায়তনের লোকেরা কী মজা পাচ্ছে? আপনারে জিজ্ঞেস করে সচলায়তনের লোকেরা মজা নিবে? তারপর আসলেন ভাসাভাসা অনীহার মাজেজা নিয়ে। আপনারে জিজ্ঞেস করে লোকে অনীহা প্রকাশ করবে? তারপর বললেন আলোচনা অন্যদিকে ঘুরে গেলে আপনার আঁতে ঘা লাগে। তো আলোচনা ঠিকদিকে ঘুরান আপনি! আপনার মর্জিমতো আলোচনা করবে নাকি লোকে? নিজের বক্তব্য কোনো থাকলে দ্যান, নাহলে ফুটেন।
খোচাইতে আসলে লাত্থিগুতার উপরেই থাকবেন।
কোন রকম আন্দোলনের কোন রকম রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে না। ম্যাসেজ ধর্তে না পারলে এইরাম মনে হয়। তো পরিস্কার করেই বলি, এইটা একটা ছাগলা মার্কা লেখা হইছে। সচলায়তনে যারা নিয়মিত লেখে তারা যে সময় নষ্ট করে এই মাল পুরাটা পড়ে মন্তব্য করছে এতেই লেখকের খুশি হওয়া দরকার ছিল। যতদূর সম্ভব ভদ্র ভাবে আলোচনা-সমালোচনা করতেছিল সবাই। যেটা উচিত হয় নাই। প্রথম থেকেই সব মন্তব্যকারী/নীদের উচিত ছিল ভালো মত যাঁতা দিয়া বুঝাইয়া দেয়া যে বেকুবের মতন খালি কীবোর্ড টেপাটিপি করে খানিক বাংলায় লেখা প্রাক্টিস করে গূরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়কে খেলো করে দেয়ার পরিণতি কি হতে পারে।
পোষ্টটি পড়ে পড়ে মনে হল পোষ্টদাতা হয় বুয়েটের অনেক খবরই রাখেন না, অথবা তিনি আমাদের (বুয়েটিয়ান) কতিপয় প্রাক্তন নাকউচু সতীর্থদের মানসিকতাধারী নতুন প্রজন্মের একজন।
উপরে বলাইদা ২০০১ এর দিকে বুয়েটের ইইই তে টিচার নিয়োগ নিয়ে (সেলিয়া শাহনাজ) যে 'দুর্নীতির' কথা বলেছেন সেটা একসময় হট টপিক ছিল ঐ ডিপার্টমেন্টের টেবিলটকে। এই কাজটা করেন খুব সম্ভবত তৎকালীন ডিপার্টমেন্ট-প্রধান SIK (শহীদুল ইসলাম খান ) স্যার ফাত্তাহ'র লবিং এ। সেসময়ে ফোর্থ ইয়ারে উঠে কয়েকটা ভাগে ভাগ হয়ে যেত ইলেকট্রিকালের ছাত্রছাত্রীরা। পাওয়ার, টেলিকম, ইনস্ট্রুমেন্টেশন ইত্যাদি ভাগে। তো SIK স্যার যেটা করেছিলেন ফাত্তার বউ সেলিয়াকে নেয়ার জন্য (যাতে জিপিএ ফ্যক্টরটা ওভাররাইড করা যায় ) সেটা হল এই গ্রুপিং কে ইস্যু করা। সেসময় যতদূর জানা যায় যে SIK স্যার যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে সব গ্রুপ থেকেই উনি টিচার নিতে চান - এর ফলে সেলিয়া উপরে চলে আসে তার গ্রুপ থেকে। অবশ্য কাউকে আগে থেকে ঠিক করে তারপর তার পক্ষে যুক্তি তৈরী করা কষ্টের কাজ হওয়ার কথা না। বিএনপি পন্থী এই SIK স্যারের সাথে রাজনৈতিক কারনে আওয়ামী পন্থী এক স্যারের প্রকাশ্য বিরোধ (যিনি পরে আরেকটি ইউনির ভিসি হয়েছিলেন) সেসময়ের ছাত্রছাত্রীরা জানত। সো বুয়েটে উপরের লেভেলে রাজনীতি চলে না এইটা যদি কেউ বলতে চান তাহলে সেটা সত্যের অপলাপ হবে।
এছাড়া সিভিল ডিপার্টমেন্টেও প্রায় একইরকম দুর্নীতির কথা জানা যায় সেসময়ে। এক 'প্রভাবশালী' প্রফেসরের সন্তানকে টিচার নিয়োগ দেয়ার জন্য এক ব্যাচের এক ডিসিপ্লিন থেকে ৭ জন বা এরকম সংখ্যার পোলাপান সিভিলে নিয়োগ দেয়া হয় যেখানে প্রতি বছর ১/২ জন নিয়োগ পেতে ডিপার্টমেন্টের সে ডিসিপ্লিন থেকে। কারন সে মেয়ের অবস্থান ছিল ৭ম। অথচ বুয়েটের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ছাত্রদের একজনকে বুয়েটের সিভিলে কোনদিনই নিয়োগ দেয়া হয় নাই। তাঁর গল্প বুয়েটে খুবই প্রচলিত ছিল। উনার নাম খুব সম্ভবত ছিল এনাম। এই ফার্স্টবয় আমেরিকা থেকে পিএইচডি শেষ করে দেশে ফিরলেও (যেখানে এই লেভেলের কয়জন আর দেশে ফেরে) এখন বেসরকারী একটা ইউনির ফ্যাকাল্টি।
আর কিছুদিন আগেই তো বুয়েটের টিচাররা উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য 'পোষ্য' কোটার ব্যবস্থা করতে যেটা তীব্র পাবলিক রিএকশনে ভন্ডুল হয়ে যায়।
আবার আমরা বুয়েট ছাড়ার পর যখন বাইরে এসে আহসানল্লাহ সহ নানা প্রাইভেট ইউনির প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের কাছে জানতে পারি অনেক অজানা গল্প। আমাদের ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র শিক্ষকরা, যাদেরকে তোয়াজ না করে চললে বিপদে পড়ার নানা নজির ছিল - সে সিনিয়র শিক্ষরাই যখন বাইরের প্রাইভেট ইউনি যেতেন তারা হয়ে যেতেন একেবারে 'মাই ডিয়ার টিচার'। সেখানকার ছেলেপেলে রাত ১০/১১ টার দিকেও দরকারে ঐ স্যারদের বাসায় যেত - যেটা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য লাগত। হাউএভার, মানি টকস! এই যে বুয়েটে স্ট্রাইক করছেন স্যাররা, তারা প্রাইভেট ইউনিতে পড়ানো বন্ধ করেন নাই কিন্তু।
এরকম গল্পের পর গল্প লিখে যাওয়া যায় বুয়েটের টিচারদের অনেককে নিয়ে। তবে ছাত্রদের প্রতি ডেডিকেটেড টিচারও অনেক আছেন - তাদেরকে আমরা প্রাক্তন ছাত্ররা শ্রদ্ধাভরেই স্মরন করি। এঁরা ভালো থাকুন।
আপনি কি ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের রেজওয়ান খান স্যারের কথা বলছেন যিনি এখন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ভার্সিটির ভিসি?
সহমত, ০১ ব্যাচের ইলেক্ট্রিক্যালের এক ছেলেকে ৩য় হবার পরেও নেওয়া হয়নাই অথচ এই ছেলে বুয়েটে শিক্ষক হবার জন্য কত সাধনা করেছে আমরা জানি, আর ঝেড়ে কাশেন বস, বুয়েটের প্রাক্তন জামাতপন্থি ভিসির মেয়েকে শিক্ষক করার জন্য সিভিলে সেই বার ৭ জন শিক্ষক নেওয়া হয়েছিল।
এক। আনাম ভাই কিন্তু পুরকৌশল এ জয়েন করেছিলেন। কিন্তু চাকরি পারমানেনট করার আগেই চলে গিয়েছিলেন। আমার ধারনা উনি চাইলে এখনো উনি জয়েন করতে পারবেন (উনাকে এখনো লিজেন্ড মনে করা হয়)।
দুই। পো্ষ্য কো্টার বিরুধ্ধে কিন্তু শিখ্খক রাও (বিশেষ করে জুনিয়র রা) অনেক আন্দলন করেছেন।
স্যারেরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন। উপাচার্য আর মন্ত্রী দুইজনই আশ্বাস দিয়েছেন।
দিন বদলে গেছে। ২০০২ সালে যখন বুয়েটে সন্ত্রাসী মুকিগোষ্ঠীর হাতে বুয়েটের ছাত্রী সনি নিহত হয়, বুয়েট শুরুতে ঠিকমতো মামলা পর্যন্ত করেনি। স্যারেরাও কোনো আন্দোলন সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি। ছাত্ররা নিরুপায় হয়ে সুবিচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়ে আন্দোলন শুরু করলে এক পর্যায়ে তৎকালীন উপাচার্য পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পশুর মতো পিটুনি খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। সম্মানিত অনেক শিক্ষককেই সেদিন ও তার পর কয়েকদিন এ প্রসঙ্গে দাঁত বের করে হাসতে দেখেছিলাম। এখন অবশ্য বুঝেছি, বুয়েটের শিক্ষকরা শুধু নিজেদের গায়ে আঁচ লাগলেই সংগ্রামটংগ্রাম করেন, দুইচারটা ছাত্রছাত্রী মরলে বা মার খেলে তাদের তেমন কিছু আসে যায় না।
খুব ভালো লাগলো যে বর্তমান উপাচার্য স্যারদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছেন, পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে তাঁদের পাশবিক পিটুনি লাগাননি। দিনকাল যা পড়েছে, কিছুতেই ভরসা পাইনা।
আঁত এ ঘা লাগলেই সবাই প্রতিবাদী হয় ... শিক্ষকরা এখন আর পথপ্রদর্শক হিসেবে নেই, অনেক আগেই তারা তাদের পথ থেকে সরে গেছেন, এটা শুধু বুয়েট না সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যই সত্তি...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সেই আন্দোলনের পর থেকেই বুয়েট শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নামক জিনিসটা আর নেই, তাই শিক্ষকদের এই আন্দোলনেও কোন সহমর্মিতা নেই আমার!
হিমু সাহেব যে একটি বিশেষ দলের সাপোর্টার তা এখন স্পষ্ট। প্রকৃত ঘটনা জানলে এমন বলতে পারতেনই না। ভিসি যে সাধারণ ছাত্রদের সাথে প্রতারণা করলেন তা কোন গণমাধ্যমেই ঠাই পায়নি। ছাত্রদের মূল দাবি, 'ছাত্ররাজনীতির অবসান এবং ক্যাম্পাসে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা '-পূরণ হয়নি। তিনি যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তার সময় পেরিয়ে গেলেও নোটিশ আসেনি।
আমি যখন বুয়েটের ছাত্র ছিলাম, তখন ছাত্র শিবির নিজের ব্যানারে একটা আওয়াজ তোলারও সাহস পেতো না। তারা বরাবরই পোস্টার ছাপাতো "সাধারণ ছাত্র"দের ব্যানারে। এই এক দশক পরেও তারা একই কায়দা চালু রেখেছে দেখে ভালো লাগলো। আশা করি ছাত্র শিবিরের সাথে যুগে যুগে সকল ভিসিই প্রতারণার সংস্কৃতি জারি রাখবেন। আর অসাধারণ ছাত্ররা শিবিরকে দৌড়ের উপর রাখবে।
himu,
সাহেব আপনার চরিত্র স্পষ্ট হইলো। আসল ঘটনা না জেনে মন্তব্য করা উচিত না। বুয়েট ছাত্রলীগ কি করেছে তা কি জানেন??
না ভাইয়া। জানি না কী করেছে। তবে আন্দাজ করতে পারি। পোলাপানের উপর মস্তানি করেছে, ক্যান্টিনে খেয়ে বিল বাকি রেখেছে, নিরীহ লোকজনরে ধরে মারধর করেছে, টেণ্ডারবাজি করেছে, নিজেদের লোকজনকে স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করেছে। ছাত্রলীগ একটা ফাতরা সংগঠন। এরা সবচে বেশি ফাতরামি কী করে জানেন? শিবির যখন ধোলাই খেয়ে কাবু হয়, তখন এরা গিয়ে শিবির বাঁচায় দেয়। সব সময়, সব ইউনিতে। আপনি যে লম্ফঝম্প করছেন, আমি নিশ্চিত, আপনার সাথে ছাত্রলীগের দুয়েক্টা পাতি ক্যাডারের হাবভাব আছে।
প্রতিষ্ঠান হিসাবে বুয়েট বলেন আর ঢাবি বলেন ডোবার কিছু অবশিষ্ট নাই। তবে তারপরও বলি এরা পুরোপুরি ডুববে না কখনই - একদল ছেলেপুলে ঠিকই এই ভেজা খড়কুটোর মাঝেই আগুন জ্বালাবে। Life will go on.
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
লেখাটি ভাল লেগেছে। তবে ব্যাপার কিন্তু উল্টো। আমার কাছে মনে হয় 'বাংলাদেশ ডুবে যাচ্ছে বলেই বুয়েট ডুবে যাচ্ছে' কেননা ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়। আমাদের সামগ্রিক অবক্ষয় বুয়েটেও প্রভাব ফেলছে। বুয়েটতো বাংলাদেশের বাইরে নয়।
ভাই আবারো একই অবস্থা।
সাধারণ এক ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে এক জুনিয়র। রাজনীতির কি দাপট!!
সেই ছেলে হয়তো জিবনেও হাটতে পারবে না । (আল্লাহ তা না করুক। ) তবে প্রসাশন কিন্তু সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে।
হিমু ভাই আজ কোথায়। সেদিন আমি বলেছিলাম বুয়েট ডুবে যাচ্ছে। আমাকে শিবির টিবির বলে পচিয়েছিলেন।
আজতো দেখতেই পাচ্ছেন আপনার প্রিয় সোনার ছেলেরা
নুরুভাইসহ পরিচিত ক্যান্টিন বয়দের তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে জানতাম না । খুবই খারাপ লাগলো শুনে।
নতুন মন্তব্য করুন