আমাদের হাইস্কুলের নামটা একটু অদ্ভুত। আ,ধ,বে,মে হাইস্কুল। পুরো নাম আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল হাইস্কুল। সবাই ছোট করে বলত ধনাই বেপারীর ছাত্র। আমি ছোট বেলায় অনেকগুলো ব্যাপারে হীনমন্যতায় ভুগেছি তার মধ্যে এই স্কুলের নাম একটা। ধনাই বেপারীর ছাত্র হওয়াটা আমার জন্য মোটেও খুব সুখের কিছু ছিলো না কারণ স্কুলের আসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার ছিলেন আমার চাচা। আমার আব্বা ছিলেন চরম প্রথাগত মানুষ, রবীন্দ্রনাথ নজরুল ছাড়া আর কাউকে কবি মনে করতেন না। বলতেন আরে দূর দূর, ছন্দে মিল দিতে পারে না আর বলে গদ্যকবিতা। তিনি নিজেও একজন নীরব কবি ছিলেন। তখন আমরা ৩ ভাইবোন একই স্কুলে পড়ি। ২১ শে ফেব্রুয়ারী কিংবা স্কুলের অন্য কোন অনুষ্ঠানে ৩ ভাইবোন কে তার রচিত কবিতা আবৃত্তি করতে হত। তিনি নিজেও সেসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন। সবার কাছে বিখ্যাত সব কবির কবিতা শুধু আমরা তিন ভাই বোন গুটিশুটি মেরে আব্বার কবিতার খাতা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আব্বা আমাদের আবৃত্তি শুনে আত্মপ্রসাদ লাভ করতেন।
কিছু ব্যাপারে আমার বাবার চরম দুর্বলতা ছিল। একটি হল স্কাউটিং আরেকটি কড়া শিক্ষক। তিনি নিজেও কড়া শিক্ষক ছিলেন। যাই হোক আব্বার ইচ্ছায় বয় স্কাউটে ভর্তি হলাম। আমাদের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন খুবই মাই ডিয়ার লোক।
স্কাউটিং করতে চাস কেন?
স্যার আব্বা বলছে
আব্বা না বললে কি স্কাউটিং করতি না?
না স্যার
এক্সট্রা কারিকুলার আক্টিভিটিজ কি পারিস? গান, অভিনয়, নাচ, যাদু, মূকাভিনয় কিছু পারিস?
না স্যার।
কি পারিস?
শীষ দিতে পারি স্যার।
যাই হোক খারাপ না, কিছু একটা তো পারিস।
শুরু হল আমার স্কাউট জীবন। স্কাউটিংয়ে আমাদের স্কুল খুবই ভাল ছিল। আমি শুরু করার পর সব ক্লাসের টপ ফাইভ কে স্কাউটিং এ বাধ্যতামূলক করা হয়।
আমার হাইস্কুল জীবনের শেষ প্রেমে পড়েছিলাম স্কাউটিংয়ে গিয়ে।
১৯৯৫ সাল, বরগুনায় ২য় কমডেকা সমাবেশ*। খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ। জিন্দাবাদ বলার কারণ তৎকালীন এই প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেই গার্লস স্কাউটদের আবার সমাবেশে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
যে মেয়েটির প্রেমে পড়ি তার নাম ছিল.......থাক তার আসল নাম। আমার কাছে সে ভায়োলেট। আমরা তার নাম দিয়েছিলাম ভায়োলেট, জুলিয়েট এর সাথে মিলিয়ে। ইউনিফর্মের বাইরে তাকে একটা বেগুনী রঙের জামায় দেখা যেত। আপনারা বিকেলের শেষ আলো মিলিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা নামতে দেখেছেন? তাহলে ভায়োলেটের চেহারা আপনারা কল্পনা করতে পারবেন।
ইয়ুথ ফোরাম নামে একটা আইটেম এই সমাবেশে যোগ করা হয়েছিল। উদ্যোগটা ভাল ছিল, নির্বাচিত সবাই একটা ফোরামে স্কাউটিং, সমাজ ও পরিবেশের উন্নয়ন নিয়ে জাতিকে পথ দেখাবে। এইসব আপাত ভাবগম্ভীর পর্যালোচনায় আমার আগ্রহ ছিল না। গ্রাম্য বালকের প্রেমের তৃষ্ণা জ্ঞানের চেয়ে বেশী, এই কারণেই গেলাম। যারা স্কাউটিং করেন নি তাদের জন্য বলছিঃ প্রত্যেক সমাবেশে আগত দলগুলোকে কয়েকটি উপশিবিরে ভাগ করা হয়। ইয়ুথ ফোরাম ছিল উপশিবির ভিত্তিক কার্যক্রমের বাইরে। সব উপশিবিরের নির্বাচিত রা এক সাথে বসে আলোচনা করবে। বালক তখনই আগডুম বাগডুমে রাজী। আর আমাদের দলের অবস্থা করুণ; কেউ গান নাচ এইসব জানে না। সব ফার্স্ট, সেকেন্ড বয়দের নিয়া দল বানালে তো এমন হবেই। যদিও আমার সঙ্গীতে উৎসাহ আছে। কিন্ত উৎসাহ থাকলেই তো হবে না মিউজেস এর সাথে কানেকশন ও তো চাই। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য জনৈক ফারুক হাসান সমাজ সেবার্থে আমাকে সঙ্গীত সাধনায় ইস্তফা দিতে পরামর্শ দিয়েছিল; কিন্ত বালক দমে নাই।
ইয়ুথ ফোরামে গিয়া দেখি জ্ঞানীর সমাবেশ। ছেলেরা তাদের বিদ্যা ও মেয়েরা তাদের লাস্য বিপণনে ব্যস্ত। দুই দলের উভয় সঙ্কটে গ্রাম্য বালকের চুলের কেতা ঠিক করা ব্যতীত কোন কাজ নাই। জ্ঞানীর দল পরিবেশ বিপর্যয়, বৈশ্বিক উষনায়ন, সামাজিক অবকাঠামো, ব্যাডেন পাওয়েলের দর্শন, স্কাউটিং অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়া আলোচনা করছিল। অংশ না নিলে মান থাকে না এই ভেবে আমি সকল আলোচনায় ‘অবশ্যই’ ‘সত্য কথা’ ‘এইটা কিন্তু দারুণ বলেছ’ এইসব বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে আলোচনাকে সফল গন্তব্যের দিকে ধাবিত করছিলাম। হঠাৎ আমার চোখ গেল কোনার এক চেয়ারে। ভায়োলেট। গ্রাম্য বালক সকল দিকে দৃষ্টিপাত করলেও ললনার মুখের দিকে তাকানোর সাহস হয় নাই বলেই আগে খেয়াল করে নাই। তারপরে বাকি সময় বালিকার হাস্য, লাস্য, কুঞ্চন, স্পন্দন দেখে কাটিয়ে দিলাম। ফোরাম লিডার বলল, আলোচনা শেষ তোমরা শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে যার যার তাবু তে ফিরে যাও। আমি মনে মনে বললাম মাথা খারাপ, দুই ঘন্টার আগে তাবুতে যায় কোন বেকুব? তাবুতে গেলেই এখন রান্নাবান্না, তাবু এলাকা পরিষ্কার এই সব কাজ করতে হবে।
আজকের ফোরাম এখানেই শেষ। জ্ঞানীরা জ্ঞান অবমুক্ত করে যার যার তাবুতে ফিরে যাচ্ছে। আর আমার মনে তখন কবিতা চিলিক দিচ্ছে-
‘শ্রাবণ গোধূলির আলো,
শেষ বিকেলে ও সমান উজ্জ্বল তুমি’
যদিও বেশীদূর এগোতে পারলাম না। কিন্তু বালকের মন প্রেম রসে ভরপূর। ক্লাসিকাল প্রেমিক নয়, নিজেকে সবসময় মাসুদ রানা ভেবে এসেছি আর এখন কিনা আমার আরাধ্য ব্যারনেস আমার সামনে দিয়ে চলে যায়? কি আছে দুনিয়ায়। গেলাম এগিয়ে।
হ্যালো।
হাই, তুমি ধনাই ব্যাপারীর ক্যাপ্টেন না?
স্কুলের নাম শুনে লজ্জায় আমার কান পর্যন্ত লাল হয়ে গেল। কিন্তু আমাকে চেনে কিভাবে? আমাকে চেনার তো কথা না।
কিভাবে বুঝলা?
আরে তোমাদের পাশের তাবুটাই তো আমাদের। বিদ্যাময়ী। কাল তোমাদের কাছ থেকে বটি ধার করলাম না।
ও আচ্ছা। আমি ছিলাম না, বাজারে গেছিলাম স্যারের সাথে।
আমি অবাক হলাম কেউ এই কথাটা আমাকে বলল না। কাল ডাবল ড্রিল লাগাতে হবে। আর আমার কাজিন হাসান অন্তত জানে এই মেয়েকে আমি পছন্দ করি। প্রথম দেখেছিলাম আয়োডিনযুক্ত লবণ বিতরণ কর্মসূচী তে। হাসান ও ছিল।
তুমি কি তাবু তে যাচ্ছ?
আমি বললাম, না। পাশেই একটা বৌদ্ধ মন্দির আছে শুনেছি। একটু ঘুরে আসব ভাবছি। দারুণ একটা ব্রোঞ্জ বুদ্ধ আছে।
আমি ও শুনেছি। দাড়াও আমি ও যাব। ম্যাডামের কাছে বলে আসি।
ম্যাডাম যেতে দেবে?
মাথা খারাপ তোমার? বলব, সকালের নাস্তা কলা, রুটি, জ্যাম এইসব কিনতে যাচ্ছি।
(চলবে)
--------------
শ্যামল
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%61%79%6f%6e%39%39%65%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%61%79%6f%6e%39%39%65%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
মন্তব্য
এত মজা লাগছিল পড়তে...
দেখে রাগ চড়ে গেল!
পরের পর্ব দিন জলদি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
লিখে ফেলব বাকিটা। হাইস্কুলের দিনগুলিতে প্রেম পড়েছিলেন?
লিখুন লিখুন।
তবে প্রেম তো ভাই পড়া যায় না। মানে ইশকুল আর কলেজ কোএড হলেও স্যার -দিদিমনিরা বেশ কড়া ছিলেন। প্রেমে পড়ার কথা জানতে চাইলে তাও নাহয় কিছু বানিয়েটানিয়ে বলা যেতো।
কিস্যু হলো না জেবনে, এত চিৎকারের পরও লুকজন তিথি-ই লিখে চলেছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইস। বালিকা রেগে গেলো দেখি । এই নেও তিথি নয়
তিথী
লিখলুম
আসলে ভুলটা আমি করেছি। "প্রাইমারি স্কুলের দিনগুলিতে প্রেম" নামে দুই পর্বের একটা লেখা লিখেছিলাম সচলে। আমি হাইস্কুলের বলাতে মনে হয় বুঝতে পারেন নি। আর "" দেই নাই। ভুল বুঝাবুঝির জন্য দুঃখিত।
লিঙ্কঃ
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/34120
খুব মিষ্টি লাগল। আর তিথির মতোই আমিও চলবে দেখে ।
ধনাই ব্যাপারি - নামটা সুইট । আমি যে স্কুলে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী অবধি পড়েছিলাম তার নামটাও অদ্ভুত ছিল, আমিও হীনমন্যতায় ভুগতাম এই নাম নিয়ে , কলাছড়ি হাই স্কুল , এমন নাম ; আসলে জায়গাটার নাম দিয়ে স্কুলের নাম ছিল ।
ধনাই ব্যাপারি-লুক্টা নাকি বিরাট তালেবর ছিল।
আপনার টাও কম না।
হেহে চলুক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দারুণ হচ্ছে। চলুক।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
দারুন! । তিথীডোরের মত আমিও রাগ প্রকাশ করলাম। । আপনার কল্পনা চমৎকার। " বিকেলের শেষ আলো মিলিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসা" অসাধারন লেগেছে।
আগামীপর্ব তাড়াতাড়ি চাই।
আপনি লোকটা রসিক আছেন। নিয়মিত লিখুন!
হিমু ভাই আমারে কি শাহাদাৎ কইলেন!!
আমি আপনার লেখার বিরাট ভক্ত। আমার লেখা পড়ছেন এইজন্য ভাল্লাগতেছে। চেষ্টা করব আরেকটু নিয়িমিত হতে।
খুব মজা লাগলো। কিনতু তারপর ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভাল লাগলো
দারুণ হচ্ছে। চলুক।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ ভাইয়া।
চলুক, আশায় রইলাম।
অফিসে বসে বসে লেখা টা পড়তেছিলাম আর মাঝে মাঝে যথারীতি খিক খিক হাসি...আমার পাশে কয়েকজন কোরিয়ান আছেন। ওরা আমার দিকে এমন ভাবে চেয়েছিল যে আমি মনে হয় নিশ্চিত পাগল হয়ে গেছি !
পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি দেন।
চলুক চলুক
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চলুক
দারুন লেখার হাত আপনার
পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি দেন তো, প্লীজ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
পেমকাহিনী! ভালু পেলাম!
_________________
[খোমাখাতা]
চমৎকার লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুষ্ট পেমের মিষ্টি গল্প, চলুক!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
স্কাউট ক্যাম্পে তো ছিলাম, কিন্তু শুধুই বয় স্কাউট। গার্লস গাইডরা সাথে ছিল বটে, কিন্তু কাব ক্যাম্পুরিতে !
facebook
লেখা ভালো লাগলো, চলুক
তবে প্রশ্ন হলো আপনি এক্সট্রা কারিকুলার কিছুই পরতেন না? অন্তত বল টল তো খোঁজাখুজি করার চেষ্টা করতে পরতেন
আগে পারতাম না; এখন পারি!!
কারণ আগে ফার্স্ট বয় আছিলাম, এখন আর নাই, হেহে। ফার্স্ট বয় হওয়া বালকজীবনের অভিশাপ। বিশেষ করে সেই স্কুলের হেডমাস্টার যদি হয় আপনার চাচা।
শ্যামল সাহেব ম্যালা কিছুই পারেন, কিন্তু বিনয়ে বলতেছেন না।
ভাল লেগেছে, স্কাউটিং এ স্কার্ফের বাড়ি খাওয়া ছাড়া তেমন ভাল অভিজ্ঞতা নেই। পরের পর্ব জলদি করে ছেড়ে দেন
এলাকায় এরশাদমার্কা কেউ আসলে আমাদের স্কুল থেকে পোলাপান ধার করে নিয়ে যেত রাস্তার পাশে দাঁড়ায় পতাকা নাড়ানোর জন্য। আজকাল মনে হয় আর এমন করে না। "খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ" পড়ে ওরকম একটা কথা মনে পড়ে গেলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
অপেক্ষায় থাকলাম
ভাই পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। বরগুনার আমতলীতে আমিও গিয়েছিলাম। আমার গ্রুপের নাম ছিল "অরণী মুক্ত স্কাউট দল", সিলেট।
তাই নাকি? খুব ভাল লাগল। মনে আছে খালেদা জিয়ার বক্তৃতা দেওয়ার সময় চাল ভেঙ্গে পড়েছিল, লঞ্চ ভ্রমণ? সমাবেশ টা কষ্টের ছিল যদি ও, মজাও ছিল।
আমরা স্কাউটিং করতাম যখন, আমাদের স্কুল কো-এড হলেও শুধুমাত্র বয়েজ স্কাউট ছিলো, গার্লস গাইড ছিলো না। গার্লস স্কুলগুলোতেই কেবলমাত্র গার্লস গাইড ছিলো। ক্যাম্পুরী/জাম্বুরীগুলো জোস হতো। আমরা যখন কাবিং করি, আমাদের একবার দল ধরে নিয়ে যাওয়া হলো রোভার স্কাউটের মহাসমাবেশের সমাপণী কুচকাওয়াজ দেখতে। আমরা সেই বয়সে রোভার স্কাউটদের দেবতার মতো মনে করতাম। আমাদের স্কাউট স্যারও রোভার স্কাউটের দলনেতা ছিলেন। সারা বাংলাদেশের রোভারদের তিনটি জোনে ভাগ করে তিন দলে প্যারেড হলো। আমাদের কামরুল স্যার সুন্দরবন জোনের দলনেতা হিসেবে প্যারেডে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সালাম দিলেন। গর্বে বুক ফুলে উঠেছিলো সেদিন স্যারের জন্যে যে চশমা পরা সাধাসিধে একজন মানুষের নেতৃত্বে কয়েক হাজার রোভার বুক ফুলিয়ে এগিয়ে চলেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দোস্ত, লেখা জব্বর হৈছে। চালায়া যা।
লেখাটা খুব দ্রুত নীড়পাতা থেকে সরে গেছে বলে আগে খেয়াল করি নাই।
দোস্ত তর লেখা পড়লেই হিংসায় আমারো লেখতে ইচ্ছে করে। তুই এত সুন্দর লেখস।
চালামু, যদিও একটু ব্যস্ত হয়ে গেছি। ভাল থাকিস।
অনেক মজা করে লিখেছেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
জোশ হচ্ছে। তাড়াতাড়ি চালান দিতে থাকুন। বাসা থেকে জাম্বুরিতে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি দেখে জীবনে প্রথমবার বাসা থেকে পালিয়েছিলাম (এর পরে অবশ্য অনেক বার পালিয়েছি )। সারারাত একটা মসজিদে রাত কাটিয়ে সকাল বেলা স্কুলে গিয়ে শুনি জাম্বুরিতে যাওয়া ক্যানসেল করেছে। এই অবস্থায় লেজ গুটিয়ে বাসায় ফিরে যাওয়া অত্যন্ত অপমানজনক। কিন্তু হাতেও টাকা নেই। তাই বাসার সামনে ওঁত পেতে থাকলাম, কখন বাসায় ঢুকে কিছু টাকা পয়সা হাতানো যায়। বাসার সামনে গিয়ে বুঝতে পারলাম বাসায় সব আত্মীয় স্বজন জমায়েত হয়ে আমার হারিয়ে যাওয়া উপলক্ষ্যে শোক সন্তাপ করছে। এরই মধ্যে আমি কুলাঙ্গার এক ফাঁকে বাসায় ঢুকে আলমারি থেকে হাজার দু'য়েক টাকা মেরে দে ছুট। বের হওয়ার পরে সবার টনক নড়ল যে আমি বাসায় ঢুকেছিলাম। যাই হোক, সেই টাকা দিয়ে গ্রামের বাড়ি পালিয়ে গিয়ে ছিলাম মাস খানেক।
আপনি ত সেই রকম আডভেঞ্চারাস। এখনো পালান নাকি?
থ্যাংকস পড়ার জন্য।
না রে ভাই (দীর্ঘশ্বাসের ইমো হবে)। এখন কার কাছ থেকে পালাব আর পালিয়ে কার কাছেই বা যাব এসব ভেবে আর পালানো হয়না।
আপ্নে লুকটা রসিক আছেন। ভাল থাকবেন।
পড়ে মজা পেলাম।আমি ও অংশগ্রহন করেছিলাম বরগুনার কমডেকা'য়। সেই প্রথম তাঁবি বাস।প্রচন্ড শীতে ভোর বেলা উঠে অনেক দূর থেকে খাবার পানি বয়ে নিয়ে আসা...আহা সেই সব দিন।
ভাল কথা মনে করেছেন তো। লবণাক্ত পানি খাওয়া যেতনা। গোসল করতাম পাশের একটা জলায়। তারপরেও মজা ছিল। সেইসব দিন মনে কইরা
নতুন মন্তব্য করুন