ক'’দিন আগে প্রথম আলো পত্রিকায় একটা লেখা পড়লাম। লেখাটিতে বলা হয়েছে, দেশের বাচ্চারা মারাত্মক আসক্ত হয়ে পড়েছে, এনিমেশন সিরিয়াল দোরেমনের প্রতি এবং যার ফলশ্রুতিতে বাচ্চারা আকছাড় হিন্দি বলছে, পাশাপাশি বাচ্চারা অনেক অনৈতিক কাজও করা শিখছে। যেমনঃ কার্টুনের একটি চরিত্র নবিতা মিথ্যা বলে, তাই বাচ্চারাও মিথ্যা বলছে।
দোরেমন এনিমেশন সিরিয়ালটি মূলতঃ একটি জাপানিজ এনিমেশন। যার আসল নাম ডরায়মন, যেটি হিন্দিতে হয়ে গেছে দোরেমন। দেশের অনেকেই শংকা প্রকাশ করছেন, বাচ্চাদের হিন্দি শেখা নিয়ে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখি একটু অন্যভাবে। বাচ্চারা যে কোন ভাষা দ্রুত আয়ত্ত্বে আনতে পারে এবং এক সঙ্গে দুই তিনটা ভাষাও শিখতে পারে খুব দ্রুত। এটা শিশুদের ত্তত্বীয় জ্ঞান বিকাশের একটা অংশ। বিষয়টাকে যদি শিশুর শিক্ষণ হিসাবে ধরে নেই, তাহলে বাংলা এবং ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি ভাষা শেখাটাও তাদের ত্তত্বীয় জ্ঞান বিকাশেরই একটা ধাপ। এটা রীতিমত শিশুর একটি দক্ষতা। সারাক্ষণ হিন্দি শুনলে যে, ঝকঝকে হিন্দি বলতে শিখবে এটা কোন অবাক হবার মত বা শংকিত হবার মত কিছু বলে আমি মনে করিনা । কারণ এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। তবে আশার কথা এই যে, যেহেতু তারা হিন্দি লিখতে এবং পড়তে শিখছে না, সেহেতু হিন্দি বিরোধী অনুকূল পরিবেশ পেলেই তারা আবার তা ভুলেও যাবে। বাচ্চারা তো আসলে নিজেরা নিজেদের ভালো মন্দ বোঝেনা। তারা নিজেরা বুঝে কোন যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। তাদের শিক্ষাই শুরু হয়, তাদের পরিবার, স্কুল এবং তাদের পারিপর্শ্বিক অবস্থা থেকে। তারা তাদের সামনে যা দেখে তারই অনুকরন করে মাত্র। কাজেই বাচ্চারা যদি ঝরঝরে হিন্দিতে কথা বলে, অথবা কার্টুন দেখে, বন্ধুদের সাথে মারামারি করে, বা হিরো সাজার জন্য এক ছাদ থেকে লাফিয়ে আরেক ছাদে পড়তে যায়, অথবা মুড়ি-মুড়কির মত মিথ্যা বলে, তাহলে এটাতে চমকে ওঠার কিছু নেই। শিশুদের জন্য এটাই স্বাভাবিক।
আমি বলব, বাচ্চারা শুধু কার্টুন দেখেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, আমেরিকান একটা গবেষণায় দেখা গেছে, বাচ্চা শিশুতোষ প্রোগ্রাম দেখে মাত্র ১০ ভাগ আর ৯০ ভাগ দেখে বড়দের জন্য তৈরী করা প্রোগ্রাম। আমি মনে করি, বাংলাদেশেও তার ব্যাতিক্রম নয়। হিন্দি বলা কিম্বা মিথ্যা বলা তো শুধু বাচ্চারা দোরেমন দেখে শিখছে না। শিখছে হিন্দি গান, হিন্দি সিনেমা, হিন্দি সিরিয়াল এ সব থেকেও।
কিন্তু আমার মনে হয়, আমাদের শংকিত হবার, বিচলিত হবার, মনযোগ দেবার জায়গাটি ভিন্ন, সেটি হল- বাচ্চাদের নৈতিক আচরণের বিকাশটা ঠিক মত হচ্ছে কিনা? শিশুর নৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে আমাদের এখনই সচেতন হওয়া ভীষন জরুরী। আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত হল, আমাদের ইতমধ্যেই অনেক দেরী হয়ে গেছে। কারণ সুস্থ নৈতিক বিকাশ, শিশুদের সব ধরণের অনৈতিকতা অনেক খানি কমিয়ে এনে তাদের সুস্থ, স্বাভাবিক ও সত জীবন যাপনে সাহায্য করে। যেমনঃ যে বাচ্চাটা দূর্দান্ত হিন্দি বা চোস্ত ইংরেজী বলছে, তাদের কি কখনো শেখানো হচ্ছে, তোমার ইংরেজী বা হিন্দির দক্ষতাটা অনেক ভালো কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশী জরুরী নিজের মাতৃভাষাটাকে ভালোভবে জানা বা শেখা। অথবা মিথ্যা বলাটা কোন ভালো কাজ নয়।
এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। ডরায়মন কিন্তু জাপানিজ বাচ্চাদের মধ্যেও অনেক জনপ্রিয়। কিন্তু এটি তাদের মধ্যে কোন নৈতিক সংকট তৈরী করেনি। কারণ জাপানিজ শিশুদের নৈতিক আচরণ বিকাশের ক্ষেত্রে বাবা-মা সহ তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। উন্নত বিশ্বেও শিশুর আচরণের উপর মিডিয়ার প্রভাব একটা বড় সমস্যা। কিন্তু উন্নত দেশের নৈতিকতা শিক্ষার বিষয়টিও অনেক শক্তিশালী।
ব্যাক্তিগত একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি, আমি জাপানে যে জুনিয়র হাই স্কুলে পড়াই, তার পাশের একটা জুনিয়র হাই স্কুলের ক্লাস এইটের বাচ্চা স্কুলের পরে, নিজের বাড়িতে সুপার ম্যানের অনুকরণ করতে গিয়ে এক ছাদ থেকে লাফিয়ে আরেক ছাদে লাফিয়ে পড়তে গিয়ে পড়ে মারা যায়। দৈনিক পত্রিকা গুলো এ সব খবর খুব সযতনে গোপন রাখে। কারণ এ সব জানলে, অন্য বাচ্চারা মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাই। কিন্তু মিডিয়া অন্যভাবে চাপ তৈরী করল, লেখালেখি শুরু হল, যে স্কুল গুলো বাচ্চাদের ভালোভাবে নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছে না। ব্যাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোয় তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। আমি যে প্রদেশে থাকি, সেখানকার ১৫৬ টা স্কুলে একই দিনে একই সাথে নিয়মিত নৈতিক শিক্ষা ক্লাসের পাশাপাশি বিশেষ ক্লাস নেওয়া হল। টিন এজ বাচ্চাদের বোঝানো হল, সচিত্র- যেটাকে তারা বৃষ্টির পর কাদা-জল জমে যাওয়া ছোট্ট গর্ত ভাবছে, না জেনে সেটাতে খেলার জন্য, একটু আনন্দের জন্য পা দিয়ে পানি ছিটাতে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়, কারণ ওটা বড় গর্তও হতে পারে, যেখানে বাচ্চারা ডুবে যেতে পারে।
শিশুদের নৈতিক অধঃপতন কিন্তু শুধু ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্যই ঘটছে, তা কিন্তু নয়। কারণ মিডিয়া অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের জন্য বিশেষ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শিক্ষামূলক বা মান সম্পন্ন শিশুতোষ অনুষ্ঠাণগুলো যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শিশুর নৈতিক অধঃপতন তার সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, শিশুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তার পিয়ার গ্রুপ এবং দারিদ্র, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সর্বোপরি বাবা-মা’র এবিউসিভ পেরেন্টিং এবং মিস গাইডেন্সের জন্যও ঘটে থাকে।
একটা সামান্য ভুলের জন্য শিশুকে শিক্ষক শাস্তি দিচ্ছেন, তার সমবয়সীদের সামনে বিশ্রীভাবে অপমান করছে। বাড়িতে ফিরেও শিশুটি তার ভুলের জন্য শাস্তি পাচ্ছে। তাহলে শিশুটি শাস্তি এড়ানোর জন্য মিথ্যা বলবে, এটা একটা শিশুর জন্য যেমন স্বাভাবিক তেমনি, শিশুটির নৈতিক বিকাশ যদি ঠিকভাবে না হয়ে থাকে অথবা বাবা-মা যদি বিষয়টি ঠিকভাবে হ্যান্ডল করতে না পারেন, শিশুটি নিজেই শুধু মিথ্যা বলবে না, আরো বড় ধরণের অপরাধ করতে পারে।
এক নজরে একটু দেখে নেই, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভায়োলেন্স বা বিভিন্ন ভিডিও গেমস বাচ্চাদের কিভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতি করছে?
বাচ্চারা যে সব প্রোগ্রাম দেখে তখন চরিত্রগুলোর সাথে একাত্ম হয়ে যায় তারা বিভিন্ন ধরণের আবেগীয় অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এক এক বাচ্চা এক এক ধরণের শিক্ষা নেয় এবং বয়স অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে থাকে। আর এ সব ভিডিও গেমস বা টিভি ভায়োলেন্স দেখে শিশুরা অনেক বেশী আগ্রাসী হতে শেখে।
বাচ্চারা এসব ভায়োলেন্স মানে হিন্দি বা বাংলা সিনেমার মারপিট দেখে অনেক বেশী ভীত হয়ে পড়ে এবং সেই বিষয়টা তাদের আবেগীয় বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তারা অল্পতেই উদবিগ্ন বা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
এসব দেখে দেখে বাচ্চাদের অনুভূতি অনেক ভোঁতা হয়ে যেতে পারে, তারা আর অন্যের দুঃখ কষ্টে তেমন বিচলিত হতে শেখে না।
আস্তে আস্তে শিশুরা ভূতের ছবি বা যে কোন ভায়োলেন্সের সাথে অভিযোজিত হয়ে পড়ে। এসব দেখে আর তারা কোন ধরণের ভয় পেতে শেখে না।
এক পর্যায়ে তারা ভায়োলেন্সকে মনে করে, তাদের জীবন –যাপনের একটা অংশ। ভায়লেন্স দিয়ে অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
এরপর শিশুরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী চরিত্র ওনুক রণ করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করে।
একটি রাস্ট্র বা সমাজ শিশুদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দিতে ব্যার্থ হলে, আসলে সব দায়-দায়িত্ব গিয়ে বাবা-মা’র উপরেই বর্তায়। যদিও এটা বাবা-মা’র জন্য এটা একটা বিশাল সামাজিক চাপ। তবুও বলতেই হবে, এক মাত্র বাবা-মাই পারেন শিশুর নৈতিক এবং আবেগীয় বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখতে।
বাবা-মা’ কি কি করতে পারেন?
শিশুদের নৈতিক বিকাশের একটা অন্যতম উপায় হল তাদের সাথে বিভিন্ন ধরণের নৈতিক খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচলা। শিশুটি যে প্রোগ্রামটি দেখছে, কি ভাবে দেখছে, এসব নিয়ে আলোচনা করলে, ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
যেমনঃ অমুক চরিত্রটি সব দুষ্টু লোককে গুলি করে মেরে ফেলল, বন্দুক থাকলে তো মেরে ফেলা সহজ। কিন্ত আমি ভাবছি- বন্দুক ছাড়াই ও কিভাব এ সমস্যাটার সমাধান করত? তুমি এ বিষয়ে কি ভাবছ? তুমি হলে বন্দুক ছাড়াই কি ভাবে কাজটা করতে? জিজ্ঞাসা করুন আপনার শিশুকে। শিশুদের নিরাপদ এবং ভালো যুক্তি দিয়ে নৈতিক বোধটাকে চাঙ্গা করা প্রয়োজন।
দোরেমনের নবিতা মিথ্যা বলছে কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে, কোন বাচ্চা যদি সত্যি সত্যি স্কুলে মিথ্যা বলতে শেখে, তাহলে কি হবে? কিম্বা তুমি যদি আমার সাথে মিথ্যা বল, তাহলে কি হবে? জিজ্ঞাসা করুন আপনার শিশুকে। শিশুর কাছে থেকে বার বার জেনে নিন, তুমি যে প্রোগ্রামটা দেখছ - তাতে সেখানে ওরা কি ভাবে সমস্যার সমাধান করছে? তারপর জিজ্ঞাসা করুন, এই সমস্যটা আরো কি বাস্তব সম্মতভাবে এবং নৈতিকতা বজায় রেখে, কোন সংঘাতে না গিয়ে ভালোভাবে সমাধান করা যায়? শিশুর সাথে গুণগত সময় কাটানো এবং আলোচনার কোন বি্কল্প নেই।
একটি বাচ্চা রোজ ৪ ঘন্টা টিভি দেখলে সপ্তাহে সে টিভি দেখে ২৮ ঘন্টা। বাবা-মা কি সময়টা কখনো খেয়াল করেছেন? বিকল্প আকর্ষনীয় ব্যাবস্থা করে সময়টা কমিয়ে আনা জরুরী।
টিভি দেখা বা ভিডিও গেমস খেলার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম বেধে দেওয়া খুব জরুরী।
বাবা-মা’ অবশ্যই জানা থাকা প্রয়োজন, যে বাচ্চারা কোন প্রোগ্রামটা দেখছে। যেমনঃ বাবা-মা নিজেই যদি কাহানি ঘর ঘর কি, কাভি শাস কাভি বহু থি তে আসক্ত হন, আর সেটা যদি শিশুরাও দেখে, তাহলে আমি নিশ্চিত বলে দিতে পারি, দোরেমন না দেখলেও দেশের শিশুরা মিথ্যা বলতে বা জটিল ভাবে ভাবতে শিখবে। পাশাপাশি বাচ্চা যে প্রগ্রামটি দেখছে, সেটী বাচ্চার পাশে বসে বাবা-মা’র দেখাটাও জরুরী। তাতে আলোচনা করে অনুষ্ঠান্টির মোর্যাল পার্সপেক্টিভ বাচ্চাকে ভালোভাবে বোঝানো সম্ভব।
কাজের লোকটির সাথে বসে ২ থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা টিভি দেখছে কি না, কিম্বা বাবা-মা নিজেই যখন ভয়াবহ ব্যাস্ত সেই ফাঁকে বাচ্চা যা খুশী তা দেখছে কি না সেটি সম্পর্কে বাবা-মা’র সচেতন হওয়া খুবই প্রয়োজন।
টিভি যেন কিছুতেই শিশুদের এক মাত্র বিনোদন না হয়।
বই পড়া, ছবি আঁকা, গল্প শোনানো, আরো যে সব বিষয়ে বাচ্চার আগ্রহ আছে, সেগুলো শিশুদেরকে উতসাহিত করা জরুরী।
শিশুরা কি কি অনুষ্ঠান দেখবে এবং সে গুলো মানসম্মত কি না, সেটা বেছে নেওয়া অনেক জরুরী।
যে সব অনুষ্ঠান বাচ্চাদের ক্ষতি করতে পারে বলে, ভাবছেন তা অবশ্যই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যেমনঃ সারাদিন স্যাটালাইটের মাধ্যমে শীলা কি জওয়ানি না চালিয়ে, কাহানি ঘর ঘর কি অথবা কার্টুন নেটওয়ার্ক না দেখার বদলে, বাবা-মা’ রা নিজেরাও ভালো কোন ছবি সংগ্রহ করে দেখতে পারেন নিজের সুবিধা মত সময়ে আবার বাচ্চাদের জন্য কিনে আনতে পারেন কোন ক্লাসিক কার্টুনের ভিডিও।
সব বাবা-মা একটি সামাজিক চাপ তৈরী করতে পারেন, সরকারকে বা টিভি চ্যানেল গুলোকে বাধ্য করতে পারেন, যেন বাচ্চাদের উপযোগী মান সম্পন্ন প্রোগ্রাম বেশী বেশী করে তৈরী করা হয়।
সমাজে সকল বাবা-মা’র সম্মিলিত প্রচেষ্টা সৃষ্টি করতে পারে শিশুর উপযোগী নতুন পথ।
মন্তব্য
প্রিয় অতিথি, আপনার এই লেখাটি অন্য একটি কমিউনিটি ব্লগে পূর্বপ্রকাশিত। পূর্বপ্রকাশিত লেখা সচলে প্রকাশ করা হয় না। সচলায়তনে আমরা আপনার কাছ থেকে নতুন লেখা আশা করছি। সচলায়তনে অংশগ্রহণের আগে অনুগ্রহ করে আমাদের নীতিমালাটি একটু পড়ে দেখুন। ধন্যবাদ।