কাঠের সুন্দর একটি ক্রাচ বানাতে চাইলে মসৃণ অভঙ্গুর পাতলা কাঠ, যেমন ওক, স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা কিনা হতে পারে একটি সচল পায়ের উত্তম বিকল্প।
--------------------------------------------------------------------------------
ভাকারির বিলের মাঝখানে ব্রিজটার ঠিক আগে রিক্সাটা দাড়িয়ে গেলো। মাঘ মাসে এ বিলে পানি থাকেনা তেমন। বিলের প্রায় মাঝ বরাবর একটা কাঁচা রাস্তা। রাস্তার দুপাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছোট্ট ব্রিজ। মোটা লোহার দুটো অর্ধচন্দ্রাকৃতি পাইপ পরপর বসিয়ে বানানো। ভাটিতে করম আলী ফকিরের ঠোস জাল পাতা থাকে সারা বছর। আজ মনে হয় জালটা নেই। শুধু জাল না। মনে হচ্ছে ব্রিজটাও কেউ তুলে নিয়ে গেছে। ব্রিজের ওখানটায় গর্ত হয়ে মাটি দেবে গেছে। একাদশী জোছনার মায়া মায়া আলোয় আমি ব্রিজটা খুঁজতে থাকলে মেরহামত মিয়া জানায় ওটা উড়ে গেছে। অঘ্রাণের শেষ শেষ এগ্রামের পথে কতোগুলো বিহারি এসেছিল। গঞ্জের দিকে যাবার আগে পেছনে ব্রিজটা উড়িয়ে দিয়ে গেছে। আমি একটা শ্বাস ফেলে রিক্সা থেকে নামার চেষ্টা করি। ওপারে গিয়ে আবার রিক্সায় ওঠা যাবে। মেরহামত মিয়া ত্রস্তে রিক্সার হাতল ছেড়ে আমার বগলের নিচে কাঁধ দেয়। আমার একটু কেমন যেন অস্বস্তি মতন দলা পাকিয়ে উঠতে থাকে। তবুও মেরহামত মিয়ার বাড়িয়ে দেয়া কাঁধে ভর দিয়ে সটান দাড়িয়ে পরি আজন্ম চেনা ভুঁইয়ে।
এই মেরহামত মিয়া লোকটাকে আমি চিনি না। আজই কেবল তাঁর রিক্সায় উঠেছি। মোহনগঞ্জ থেকে শফিকের চাচাত নাকি মামাত ভাই জুলহাস ঠিক করে দিয়েছে। মেরহামত মিয়ার রিক্সাটা না পেলে আজ হয়ত বাড়ি ফেরা হতোনা না আমার। মোহনগঞ্জ থেকে নিশ্চিন্দিপুর প্রায় ছয় মাইল পথ। যাতায়াতের ভালো কোন বাহন নেই। অবস্থাসম্পন্ন কেউ কেউ গরুর গাড়ি ঠিক করে রাখে এই পথে আসার আগে। আমি অবশ্য আগে হেঁটেই পেরিয়েছি এই পথ বারবার। রাতের বেলা এই পথে অদ্ভুত একটা ছবি হয়। দুপাশে ঘন বন। গজারি, শিমুল আর নাম না জানা গাছের ফাঁকে অবাক চাঁদের আলো ঢুকে পড়ে। মাটিতে গাছগুলোর ছায়া বড় অদ্ভুত ঠেকে। অনেক অনেক দূরে কারো বাড়িতে একটু কুপির আলো সভ্যতার অস্তিত্ব নিয়ে জেগে থাকে। ঝিঁঝিঁ পোকার দল আর রাতপাখিগুলো অবিরাম সারাপথ জুড়ে ডেকে ডেকে সঙ্গ দেয়। এইরকম পথে ছয় মাইল হেঁটে ফেলা খুব কঠিন কিছু না। তবে আজকের ফেরাটা অন্য রকম।
মোহনগঞ্জের শফিক ছিল আমার সাথে। সদর হাসপাতাল থেকে একসাথেই ছাড়া পেয়েছি দুজন। মোহনগঞ্জের বাসে উঠে শফিক অবশ্য খুব জোর করছিল আজ রাতে ওদের বাড়ি থেকে যাবার। আমিও নিমরাজীই ছিলাম বোধহয়। সন্ধ্যার একটু আগে মোহনগঞ্জে নেমে ওদের বাড়ির পথ ধরলাম। ওদের বাড়িটা অনেক বড়, শফিক বলছিল। যৌথ পরিবার। বিশাল উঠান। বৈঠকখানা। উঠানের কোণায় বড় একটা বেল গাছ। এইরকম একটু একটু চাঁদ রাতে ঐ বেলগাছের নিচে খেজুর পাটি পেতে মা চাচিরা সবাই গল্প করতে বসে। বাড়ির ছোটরাও যোগ দেয় তাতে। আজও নিশ্চয়ই সবাই বসে আছে ওখানে! আমার মতন শফিকের ফেরার কথাও কেউ জানেনা। আসলে আমরা বেঁচে আছি কি নেই তাই তো জানেনা বাড়ির মানুষ! যুদ্ধ শেষে সবাই ঘরে ফিরেছে বেশ আগেই। আমরাতো ছিলাম হাসপাতালে। আমাদের বেঁচে থাকার কথাটা বাড়িতে জানাবার মতো উপায় ছিল না। সবাই হয়ত ভেবে ভেবে একটু খোঁজ করেছে আশেপাশে। তারপর অনেকেই হয়ত মেনে নিয়েছে যে আমরা আর ফিরছি না। আজ হঠাৎ ফিরে এসে সবাইকে কিছুটা অবাক করে দেয়া যাবে। শফিক বেশ খুশি হয়ে এরকম কিছু বলছিল।
ওদের বাড়ির ঠিক একটু আগে একটা বাঁক। বাঁকটা পেরুলে ঘন একটা বাঁশঝাড়। মোটামোটা বরাক বাঁশগুলো নুয়ে পড়েছে পথের উপর। বাঁশের চিকন পাতায় চাঁদের আলো খেলছে। তার ফাঁকে একঝাক জোনাকির সারি। আমরা বাঁশঝাড় পেরিয়ে যাচ্ছি। শফিক খুব বড় বড় চোখে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে ওদের বাড়ির নিশানা ধরে। ওর শ্বাস ঘন হয়ে আসছে কি এক অপার্থিব উত্তেজনায়। বাড়ি ফেরার এই অদ্ভুত অনুভূতিটা যেন শফিকের ভেতর থেকে আমার মধ্যেও সংক্রামিত হচ্ছে। অকস্মাৎ শফিক ডুকরে উঠল। ওর একটা হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। অন্য হাতের সবগুলো আঙ্গুল আর পাতা মেলে চেপে ধরল চোখের উপর। আমি সামনে তাকালাম। সন্ধ্যার মায়া লাগা আলোয় এ যেন গুয়ের্নিকার ছিড়ে ফেলা ছবি। বড় উঠানের কোণায় বিশাল এক পত্রহীন বৃক্ষ। শীর্ণ রুক্ষ ডাল মেলে ভিখারির মতো আকাশে তাকিয়ে আছে। প্রায় অন্ধকারেও বেশ বুঝতে পারি, ডানদিক ঘেঁসে খাঁচার মতন দাড়িয়ে থাকা ঘরটি বেশ বড়ই ছিল। ওপাশে আরও কয়েকটি পোড়া ঘরদোর যেন পোড়া মাটির উপর ইতিহাসের সাক্ষী। এবাড়িতে আজ আর কোন মানুষ থাকে না। আস্তে আস্তে আশেপাশের কয়েক ঘর প্রতিবেশি কি করে যেন জেনে যায় শফিক ফিরেছে। ওরা শফিককে নিয়ে ব্যস্ত হয়। আমি একফাকে ওর আঙ্গুল ছাড়িয়ে একপায়ে ক্রাচে ভর করে মেরহামত মিয়াকে আশ্রয় করি।
২।
পূবের ভিটার ইন্দু চাচাই প্রথম আমাকে চিনতে পারেন। চাচা রাতে বেশ কয়েকবার বাইরে যান। আজও হয়ত এসেছিলেন। তার হাতে বদনাটা আধো অন্ধকারেও দেখতে পাচ্ছি। বাড়ির রাস্তায় রিক্সার টুংটাং শব্দে উৎসুক হয়ে চাচা বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে পড়েছিলেন। ঘোষদের বাড়ির কুকুরটা অচেনা শব্দ পেয়ে পাড়া জাগিয়ে ঘেউ ঘেউ করছিল। মেরহামত মিয়া ততক্ষণে আমায় নিয়ে পৌঁছে গেছে বাড়ি। আমি ইন্দু চাচাকে ডাকি। উনি রিক্সার কাছে এসে কেমন ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। চিনতে কষ্ট হয় হয়ত। কষ্ট তো হবেই। আমার মুখ ভরা দুমাস বয়সী খোঁচা খোঁচা দাড়ি। চুলগুলোও বেড়েছে বেয়ারারকম। তবে গলার স্বর বোধ হয় লুকাতে পারি নি। চাচা আমার নাম ধরে চিৎকার করে উঠেন। দেখতে দেখতে উঠান ভরে যায় নানা বয়েসি মানুষের ভিড়ে। আমি তখনো অবশ হয়ে বসেই আছি রিক্সার উপর। আমাকে কেন যেন নামতেও বলে নি কেউ। সবাই রিক্সা ঘিরে দাড়িয়ে। এমন সময় তিনি এলেন। আমি আমার শরীরের সমস্ত ভার ছেড়ে তার কাঁধে ভর দিয়ে এগুলাম নিশ্চিত গন্তব্যর দিকে। সেই পুরনো চারচালা টিনের ঘর। দুইপাশে বাঁশের বেড়ার উপর মাটির প্রলেপ দেয়া। আর দুই পাশে মরচে ধরা টিন। বারান্দায় উঠতে গিয়ে মনে হল ঘরের চালটা বুঝি আগের থেকে নিচু হয়ে গেছে। শফিকদের বাড়ির কথা মনে পড়ল। বেচারা! ওর থেকে আমার ভাগ্য ভালো অনেক। আমি তো তবু নিজের ভিটায় ঘুমাতে পারব আজ।
আশেপাশে সবার অনেক গুঞ্জন। এসবের কিছুই আমার কানে ঢোকে না। ঘরের ভিতর মায়ের নামাজের জলচৌকির উপর আমাকে বসাতে বসাতে মা খুব আলতো করে ভয় পাওয়া গলায় বলে--
আর কোথাও গুলি লাগে নি তো বাবা?
আমার কি যেন কি হয়ে যায় হঠাৎ। অর্ধেক বসা থেকে ভীষণ বেগে ক্রাচ ছেড়ে একপায়ে লাফিয়ে উঠি। মায়ের পুরনো শাড়ির আঁচল ফুঁড়ে জড়িয়ে ধরে আমি অন্ধ হয়ে যাই। শাড়ির আঁচল ঠিক কার চোখের জলে এতদূর ভিজে ভিজে ওঠে ঠিক বোঝা যায় না।
পথিক পরাণ
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%70%61%76%65%6c%33%35%32%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%70%61%76%65%6c%33%35%32%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
এই অচলের অন্যান্য লেখা
আমাদের পাঁজরের ইতিহাস
ক্ষয়
এই চেয়েছি কেবল
মন্তব্য
অসাধারণ লিখেছেন।
ভীষণ প্রেরণাদায়ক পাঠ প্রতিক্রিয়া রেখে ধন্য করলেন ভাই।
অনেক ভালো থাকুন।
------------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
লেখা অসাধারণ কিনা জানি না। তবে গুরু যে আমি না, এইটা জানি।
অনেক কৃতজ্ঞতা রইল ভাই।
ভালো থাকুন।
------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
অসাধারণ।
অন্তর্জালীয় কেরামতিতে আপনার এখানে প্রতিমন্তব্য লেখাটি উপরে চলে গেছে!!
কি আর করা সমশের ভাই!! একটা মন্তব্যর জবাবও ঠিকঠাক দিতে পারিনা। এতটাই অকর্মা আমি, গুরু হওয়া তো দূর অস্ত!!
খালি কৃতজ্ঞতা জানাইয়া রাখলাম।
-------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
ধন্যবাদ পথিক পরাণ।
গুরু-শিষ্য ইত্যাদি বিষয় অর্থহীন। আপনার লেখা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে তাই সাধুবাদ দিলাম।
আমি এইরকম একটা লেখা লিখতে পারলে বর্তে যেতাম। আমি আপনাদের মত লিখতে পারিনা, তাই সময় পেলে এসে টুকটাক মন্তব্য করে যাই।
হাত খুলে লিখতে থাকুন।
শমশের ভাই
আবারো ধন্যবাদ। আর সাথে
----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
সুন্দর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমি খুব ভালো লিখি না। লেখাটা মডারেসনে ১৬ ঘণ্টা আটকে ছিল দেখে ভাবছিলাম এটা খুব বেশি রকম বাজে হয়েছে।
রানাপু... 'পোকাদের দল পাতকুয়ায় ফেরে' - লেখে যেই হাত, সেই হাতের 'সুন্দর' শব্দটা কতটা প্রেরণাদায়ক হতে পারে, তা প্রকাশের শব্দমালা আমার জানা নেই।
কৃতজ্ঞতা রইল কেবল।
--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
লেখাটা ভালো লাগলো, খুব ভালো। আমারো মুক্তিযুদ্ধের কিছু ষ্মৃতি জমে আছে ভাই, তারপর সেই সময় ছোট ভাইকে হারানোর গল্প। লিখব, নিশ্চয়ই লিখব। । এ গুলো না লিখলে তো জীবনের ঋণ শোধ হবে না ! এমনিতেই জীবনের কাছে অনেক ঋণ। সে ঋণ তো কিছুটা হলেও শুধতে হবে, না কি।
আপনার ছোট ভাইকে হারানোর কথা শুনে খারাপ লাগছে।
আমার জন্ম যুদ্ধের ৭ বছর পর। আপনারা ঐ কথাগুলো লিখে না গেলে আমরা যে বঞ্চিত হব! লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
অসাধারন
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
উচ্ছলাপু...
আপনার প্রোফাইলে দুইটা আঙ্গুল উঁচানো। মন্তব্যে 'অসাধারণ'- এর পাশে আরেকটা।
আমি তো উড়তে আছি... ঈমানে কইলাম!!
----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
@ পথিক পরাণ
দেশে থাকতে জীবিকা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, আর ছোট ভাইয়ের মৃত্যুকে পেছন ফিরে দেখবার সাহস কখনো সঞ্চয় করে উঠতে পারিনি। এখন বিদেশে আছি, ডাইরীগুলো দেশে। ও গুলো না দেখলে লেখাতে দিন তারিখ ঠিকমতো উল্লেখ করতে পারব না।
আমাদের এবং এরপরের প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন ভাবনা না দেখে মাঝে মাঝে শঙ্কিত হই। মুক্তিযুদ্ধ যেন ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর!! এটিকে ছড়িয়ে দেয়ার কোন তাগাদাও তেমন নেই। আশা করি আমাদের কথা ভেবে হলেও সে সময়ের কিছু অনুভব লিখে যাবেন।
শুভকামনা রইল।
----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
খুব ভাল লিখেছেন। অচলাবস্থার নিরসন হোক এই কামনাআ করছি।
ভালোলাগা রেখে যাবার জন্য
ভালো থাকুন অনেক।
-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
. খুব ভালো লাগলো । লেখালেখি পুরো দমে চলুক...
অনেক ধন্যবাদ তাপস দা। আর সাথে
চমৎকার লিখেছেন। আপনার বর্ণনা খুব সুন্দর, পড়ার সময় চোখে ভাসে।
রাজপুত্রদা--- ধইন্য হইলাম।।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রেরণাদায়ক পাঠপ্রতিক্রিয়ার জন্য।
-------------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
তৃষ্ণা যেন আরো বেরে গেলো.........চাতকের মত পথ চেয়ে থাকলাম ,তৃষ্ণা মেটাবো
বলে।
পথিক পরাণ আপনাকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ নমষ্কার।ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। আর কৃতজ্ঞতা রইল।
ভালো থাকুন।
-------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
চমৎকার।
আপনার লেখার নিয়মিত পাঠক হয়ে উঠছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী আপু (নামটা কিন্তু ঠিকঠাক লিখেছি )
সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর
অনেকদিন হল আপনার কোন লেখা পাচ্ছিনা কিন্তু!
------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
অসম্ভব সুন্দর !
নতুন মন্তব্য করুন