পুরাণকথা, পর্ব-৫ (ভারতকথাও বটে)
সংহিতা যুগের একটা বৈশিষ্ট্য হল, আর্যদের জনসংখ্যা তখন খুবই কম। অনার্যদের সাথে সংঘর্ষে তাদের প্রচুর লোকক্ষয় হয়েছিল। সে সময়ে আর্যরা কৃষিকাজকে আয়ত্ত করেছে। কৃষি উপযোগী ভূমিরও অভাব ছিলনা। অভাব ছিল মানুষের আর হালের গরুর।
লোকসংখ্যা বৃদ্ধির নিমিত্তে সমাজের চিন্তাশীল ব্যক্তিরা সমাজরীতি ও নীতির পরিবর্তন সাধন করেছিলেন। পরিবর্তনটা প্রধানত: নানা রকম বিবাহ আর সন্তানোৎপাদন পদ্ধতি।
সে যুগে সমস্ত রকমের দৈহিক মিলনকে, আর সেই মিলনসম্ভুত সন্তানদের বৈধ করনের জন্য আট রকমের বিবাহ পদ্ধতির প্রচলন করা হয়েছিল। আর দ্বাদশ প্রকারের সন্তান জন্মকেও সমাজে স্থান দেওয়া হয়েছিল।
মনু বলেছেন, ইহলোক ও পরলোকে চতুর্ব্বর্ণের হিত ও অহিতজনক ভার্যা প্রাপ্তির -আট প্রকার বিবাহ সংক্ষেপে বলছি শ্রবণ কর।। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -২০)
ব্রাহ্ম, দৈব, আর্য, প্রাজাপত্য, আসুর, গান্ধর্ব্ব, রাক্ষস ও পৈশাচ এই আট প্রকার বিবাহই শ্রাস্ত্রসম্মত। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -২১)
বিবাহের সংজ্ঞা -
১) ব্রাহ্মবিবাহ : বস্ত্রালঙ্কার দ্বারা কন্যা ও বরের আচ্ছাদন ও অর্চ্চনা করিয়া বেদপারগ, অযাচক বরকে যে কন্যাদান তাকে ব্রাহ্মবিবাহ বলে। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -২৭)
২) দৈববিবাহ : জ্যোতিষ্টোমাদি যজ্ঞ সমারদ্ধ কালে হোমাদি কর্ত্তা ঋত্বিককে অলঙ্কৃতা কন্যার যে দান, সেই দান -নিষ্পাপ-বিবাহ, দৈববিবাহ জানবে। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -২৮)
৩) আর্যবিবাহ : একটি গাভী ও বৃষ বরের নিকট থেকে গ্রহণ করে যে কন্যাদান তাই আর্যবিবাহ। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -২৯) আর্যবিবাহের লক্ষণ, গো-মিথুন গ্রহণ করা।
৪) প্রাজাপত্যবিবাহ : তোমরা দুইজনে গার্হস্থ্য ধর্ম্মাচরণ কর এই বলে অর্চ্চনা পূর্ব্বক কন্যাদান প্রাজাপত্যবিবাহ বলে কথিত। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -৩০)
৫) আসুরবিবাহ : কন্যার পিত্রাদি বন্ধুদিগকে অথবা কন্যাকে মূল্যার্থ ধনদান করে উক্ত কন্যাগ্রহণকে অধর্ম্মহেতু আসুরবিবাহ বলে। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -৩১)
৬) গান্ধর্ব্ববিবাহ : কন্যা ও বরের পরস্পর অনুরাগ বশতঃ যে সংযোগ হয় তাকে গান্ধর্ব্ববিবাহ বলে। উক্ত বিবাহ মৈথুনের দ্বারাই সিদ্ধ হয়ে থাকে। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -৩২)
৭) রাক্ষসবিবাহ : বিবাহে কন্যাপক্ষ প্রতিকূল হলে হত্যাদির দ্বারা বলপূর্ব্বক কন্যা হরণ -রাক্ষসবিবাহ বলে। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -৩৩)
৮) পৈশাচবিবাহ : নিদ্রিতা বা মদ্যপানে বিহ্বলা কন্যাতে অভিগমণ করার নাম পৈশাচবিবাহ। এই বিবাহ সকল বিবাহ অপেক্ষা অধম। (৩য় অধ্যায়, শ্লোক -৩৪)
সংহিতা যুগে যে দ্বাদশ প্রকার পুত্রের বিধান ছিল সে সম্পর্কে মনু বলেন - দ্বাদশ প্রকার পুত্রের মধ্যে ১) ঔরস, ২) ক্ষেত্রজ, ৩) দত্তক, ৪) কৃত্রিম, ৫) গূঢ়োৎপন্ন, ৬) অপবিদ্ধ এই ছয় প্রকার পুত্র বান্ধবও বটে, সগোত্র দায়াদও বটে অর্থাৎ ইহারা বান্ধবত্ব প্রযুক্ত পিতার ন্যায় সপিণ্ড সানাদোকের পিণ্ড-তর্পণ করিবে। সগোত্রের ধনও পাইতে পারে কিন্তু ভিন্নগোত্র মাতামহাদির ধন পাইবেনা। আর বাকি ছয় প্রকার পুত্রাদি ১) কানীন, ২)সহোঢ়,
৩) ক্রীত, ৪) পৌনর্ভব, ৫) স্বয়ংদত্ত ও ৬) শৌদ্র। এই ছয় প্রকার পুত্র সগোত্র বা ভিন্নগোত্র সপিণ্ডাদি ধনহর নহে। কিন্তু বান্ধব হইবে অর্থাৎ বান্ধবত্ব প্রযুক্ত সপিণ্ড সমানোদকের পিণ্ড-তর্পণাধিকারী হইবে।
(মনু সংহিতা :৯৷১৫৮)।
দ্বাদশ প্রকার পুত্রের সংজ্ঞা :
১) ঔরস : সবর্ণা পত্নীতে যে পুত্র উৎপন্ন হয় উহা ঔরসপুত্র। সকল প্রকার পুত্রমধ্যে শ্রেষ্ঠ। (মনু সংহিতা : ৯৷১৬৬)।
২) ক্ষেত্রজ : অপুত্র মৃতব্যক্তির স্ত্রী, ব্যাধিযুক্ত ভর্তার স্ত্রী, অথবা ক্লীবের স্ত্রীর নিয়োগপ্রথাতে যে সন্তান তাহাকে ক্ষেত্রজ পুত্র কহে। (মনু সংহিতা : ৯৷১৬৭)। নিয়োগপ্রথা : উল্লেখিত স্ত্রীগণের অভিভাবক বা তাহাদের আদেশ বা অনুরোধে পুত্রসন্তান উৎপাদনার্থে উপগত হওয়াকে নিয়োগপ্রথা বলে।
৩) দত্তক : অপুত্রককে প্রণয়ানুরোধে যে পুত্র অপরে প্রদান করে তাহাকে দত্তকপুত্র কহে। (মনু সংহিতা : ৯৷১৬৮)।
৪) কৃত্রিম : অপরের পুত্রকে যে নিজ সেবার জন্য গ্রহণ করে সেই শুশ্রূষারত পুত্রকে কৃত্রিমপুত্র বলা যায়। (মনু সংহিতা : ৯৷১৬৯)।
৫) গূঢ়োৎপন্ন : আপনার ভার্য্যাতে অজ্ঞাত পুরুষ কত্তৃক উৎপাদিত সন্তানকে গূঢ়োৎপন্নপুত্র বলে। (মনু সংহিতা : ৯৷১৭০)।
৬) অপবিদ্ধ : মাতাপিতা উভয়ে কিম্বা একের অবর্তমানে অপরে যদি নিজ পুত্রকে ত্যাগ করে, সেই পুত্রকে যে আশ্রয় দেয় বা গ্রহণ করে সেই পুত্র ঐ আশ্রয়দাতার বা গ্রহিতার অপবিদ্ধপুত্র হয়। (মনু সংহিতা : ৯৷১৭১)।
৭) কানীন : পিতৃগৃহে কুমারী কন্যা পুত্র প্রসব করিবার পরে বিবাহিতা হইলে ঐ পুত্র ভর্তার কানীনপুত্র নামে অভিহিত হইবে। (মনু সংহিতা : ৯৷১৭২)।
৮) সহোঢ় : জ্ঞাত বা অজ্ঞাত গর্ভকন্যাকে যে বিবাহ করে ঐ সন্তান তাহার সহোঢ় পুত্র নামে পরিচিত হয়। (মনু সংহিতা : ৯৷১৭৩)।
৯) ক্রীত : অর্থ দ্বারা যে সন্তান ক্রয় করা হয় সে সন্তান ক্রেতার ক্রীত পুত্র নামে অভিহিত হয়। (মনু সংহিতা : ৯৷১৭৪)।
১০) পৌনর্ভব : পতি কত্তৃক পরিত্যক্তা অথবা বিধবা স্ত্রী সেচ্ছায় পুনর্বার বিবাহ করিলে যে পুত্র সন্তান হইবে উহা ভর্তার পৌনর্ভব পুত্র হইবে। (মনু সংহিতা : ৯৷১৭৫)।
১১) স্বয়ংদত্ত : মাতাপিতাবিহীন অথবা পিতামাতা কত্তৃক ত্যাজ্য পুত্র স্বয়ং নিজেকে কাহারও নিকট প্রদাণ করিলে সেই পুত্র গ্রহিতার সয়ংদত্ত পুত্র হইবে। (মনু সংহিতা : ৯৷১৭৬)।
১২) শৌদ্র : ব্রাহ্মণের পরিণীতা শূদ্রা ভার্য্যাতে যে পুত্রের জন্ম পন্ডিতেরা তাহাকে পারশব বা শৌদ্র পুত্র কহিয়াছেন। (মনু সংহিতা : ৯৷১৭৭)।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি সুনির্দিষ্ট পন্থাও অবলম্বন করা হয়েছিল। যেমন, স্বামী অথবা নিকট সম্পর্কের আত্মীয়, আত্মীয়ার নির্দেশে অনুবর্তন হল ক্ষেত্রজ সন্তানের। মহাভারতের আদিখন্ডে সায়ম্ভব মনু নির্দেশ করেছেন, 'মানুষেরা নিজের বীর্য ভিন্ন অন্যের কাছ থেকেও ধর্মফলদায়ক শ্রেষ্ঠ সন্তান লাভ করতে পারে। কোন ব্যক্তি কোন কন্যাকে বিয়ে করার জন্য শুল্ক দিয়ে অনেকদিনের জন্য অন্যত্র চলে গেলে, সেই কন্যা শুল্কদাতার উপকার করার মানসে অন্য পুরুষের দ্বারা গর্ভধারন করে সন্তানের জন্ম দিতে পারে (মহাভারত-অনু)।
কোন কন্যা কুমারী অবস্থায় পুত্রবতী হলে পুত্রসহই তার বিবাহ বিধিসম্মত করা হয়, এবং বিবাহিত স্বামীকেই সেই পুত্রকে নিজের ঔরসজাত পুত্রের মতই লালনপালন অবশ্য কর্তব্য। মহা ইতিবৃত্ত, মহাভারতের বনপর্বে বেদের উল্লেখ করে স্পষ্টই বলা হয়েছে, অবিবাহিত রমনীগণ যাকে ইচ্ছা তাকেই কামনা করতে পারে বলেই তাদের 'কন্যা' বলা হয়। কন্যা হচ্ছে স্বতন্ত্রা, পরতন্ত্রা নয়। স্বেচ্ছানুযায়ী কাজ করাটাই সভাবসিদ্ধ ব্যাপার।
মহাভারতের বিভিন্ন পর্বে উল্লেখ আছে, স্বামীর অবর্তমানে দেবরকে পতিত্বে বরণ করা বিধেয় ছিল। স্বামীর ভর্তা ধর্মানুসারে ভর্তা হতে পারতেন। অতিথির মনোরঞ্জনার্থে গৃহস্বামিনী আত্মসমর্পণ করতেন।
প্রত্যেক রমনীর ঋতুরক্ষা অবশ্য পালনীয়। কোন রমনী কোন পুরুষকে ঋতুরক্ষা করতে অনুরোধ করে যদি ব্যর্থ হত, তবে সেই পুরুষ ভ্রুণহত্যা পাতকের জন্য দায়ী হত।
অতীতের বিষয় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে: রমণীগণ অনাবৃত ছিল। তারা ইচ্ছামত গমণ ও বিহার করতে পারতো। কারোর অধীনতায় তাদের কালক্ষেপ করতে হতনা। কৌমারাবধি এরা পুরুষ থেকে পুরুষান্তরে আসক্ত হলেও অধর্ম হতোনা। এসব আচরন ব্যবহার ধর্ম বলে প্রচলিত ছিল। তপস্যাধ্যায় সম্পন্ন মহর্ষিগণ এই প্রামানিক ধর্মের সবিশেষ প্রশংসা করতেন।
বেদবিৎ মহাত্মারা বলেছেন, 'ঋতুস্নান থেকে ষোল দিনের মধ্যে স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষের সংসর্গ করলে অধর্ম হয়। ষোল দিন পরে সংসর্গ করলে কোন অধর্ম হয়না।' এর কারন হিসাবে চিহ্নিত করা যায় একটি ধারনাকে। সে সময়ে ধারনা করা হত যে, ঋতুস্নানের পর সন্তান ধারনের জন্য নারীর ডিম্বানুটি দশ দিন পর্যন্ত্য বেঁচে থাকতে পারে। সেই সময়ে সংসর্গ ঘটলে নারী সন্তানসম্ভবা হয়। বেদবিৎ মহাপুরুষেরা ঋতুস্নান থেকে ষোল দিন পর্যন্ত্য অন্য পুরুষের সংসর্গ নিষেধ করেছেন সম্ভবত এজন্যে যে, অন্য পুরুষে সংসর্গ সিদ্ধ কিন্তু স্বামী ভিন্ন অন্য পুরুষের সন্তান ধারন নিষিদ্ধ।
আনুনিককালে জ্ঞানীজনেরাও বলছেন, প্রাচীন মাতৃ-তান্ত্রিক সমাজে রমনী-পুরুষের অবাধ যৌন সম্পর্ক ছিল। রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাঁর 'ভোলগা থেকে গঙ্গা' বইতে সে সময়ের মাতৃ-তান্ত্রিক সমাজের চিত্র তুলে ধরেছেন।
চলবে
[url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42015 ]পুরাণকথা, পর্ব-৪[/url]
'ঝাঁপি খুলে বহু পুরাতন একটি নোটবই পেলুম। তখনকারদিনে আমাদের দেশে ইন্টরনেটের সুবিধা ছিলনা। বই-পুস্তক ঘেঁটেই যা কিছু পাওয়া। কখন, কোথায়, কিভাবে এগুলো পেয়েছিলাম তা আর এখন মনে করতে পারিনা। তাই সূত্র জানাতে পারবোনা। ক্ষমা করবেন।'
প্রৌঢ়ভাবনা
মন্তব্য
এ পর্বের বিষয় বস্তু যেহেতু মহাভারত থেকে নেয়া, সেহেতু মনে হয় রেফারেন্স দেয়া সম্ভব এবং দিলে কৃতার্থ হব। বানান বোধয় কিছু ভুল আছে। ধন্যবাদ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, রাজ শেখর বসুর মহাভারতের বাংলা অনুবাদটি আমার সংগ্রহে ছিল। কেউ পড়তে নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। সে জন্য সূত্র জানাতে পারছিনা। ক্ষমা করবেন।
আগের ৪টি পর্বের লিঙ্ক কীভাবে পাই?
[url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42015 ]পুরাণকথা, পর্ব-৪[/url]
'প্রাচীন মাতৃ-তান্ত্রিক' সমাজে কত্ত সুখ ছিল...কই গেলো সেই স্বর্ণালী যুগ?
লেখা পড়তে বরাবরের মতই ভাল লেগেছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আবার আসিবে ফিরে, আমাদের মৃত্যুর পরে।
ধন্যবাদ, ভাললাগা জানাবার জন্য।
মহাভারতে রাশি রাশি িববাহপূর্ব সন্তান ধারণের মধ্যে উল্লেখেযোগ্য উদাহরণ কুন্তী-কর্ণ। আর ঋতু রক্ষা বিষয়ে উদাহরণ কচ ও দেবযানী (কবিতা 'বিদায় অভিশাপ'-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
ধন্যবাদ। আপনার দেওয়া তথ্যটি অনেকের প্রয়োজন মেটাবে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য।
দ্বি বর বা দ্বিতীয় বর থেকে দেবর শব্দটি এসেছে বলে জানি।
------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
ধন্যবাদ, পড়বার জন্য।
সম্ভবত আপনার জানাটা সঠিক। আমিও তাই-ই জানি।
আরো বিস্তারিত জানতে পারলে ভাল লাগত।
facebook
ধন্যবাদ, আগ্রহ প্রকাশের জন্য। আগামী পর্বে আরও কিছু সংযোজনের ইচ্ছা আছে।
এই যুগটা কোন সময়কার সেটা কি একটু উল্লেখ করতে পারেন? আনুমানিক কত খ্রীষ্টাব্দ হতে পারে কোন ধারণা আছে কি? জানতে পারলে ভালো লাগতো।
সিরিজ চলতে থাকুক
কোন কোন ইতিহাসবেত্তার মতে ২০০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দের কাছাকাছি কোন এক সময়ে আর্য-অনার্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এসময়ে আর্যরা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত ছিল। অনার্যদের সাথে যুদ্ধের প্রয়োজনে তারা একত্রিত হয়ে নিজেদের পক্ষে একজন সেনানায়ক নির্বাচন করে, এবং তাকে ইন্দ্র উপাধিতে ভূষিত করে। এভাবেই ইতিহাসে প্রথম ইন্দ্রকে পাওয়া যায়। রাহুল সাংকৃত্যায়নের 'ভোলগা থেকে গঙ্গা' বইতেও এরকমই একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ, উৎসাহ যোগাবার জন্য।
একটি সংযোজন: কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে সংহিতা যুগের সময়কাল ১৫০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ -- ১০০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ।
ভাল লাগল!!
নতুন মন্তব্য করুন