পথে যেতে যেতে মনে হল রাইট ব্রাদার্স রা নিশ্চয়ই প্রেমে পড়েছিল। না হলে উড়ার কায়দা আবিষ্কার করেছিল কিভাবে? আমি ও উড়ছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম কোন ক্লাসে পড়? “নাইন”। সে ত হবেই। ক্লাস নাইনের চেয়ে জীবনে মধুর কিছু হতে পারে?
কথা খুজে পাই না। জীবনে খেলোয়াড় বালক হতে না পারার সেটা একটা কারণ। যদিও জীবনটা রবীবাবুর ক্যামেলিয়ার মত এত জলো না হয়ে একটু হাঙ্গর কুমিরের আমন্ত্রণ হয়ে ছোট একটা জলার সামনে পড়লাম। আমি তো লাফ দিয়ে পার হলাম। ভায়োলেট পার হতে পারছে না। হাত বাড়িয়ে দিলাম। না ধরলে ইজ্জতের রেলগাড়ি হয়ে যাবে। মুচকি হেসে হাত ধরে পার হল। ইরানি মখমল কেমন কোয়ালিটির তার একটা সম্যক ধারণা পেলাম। আমার কথা ব্লকও কাটল।
তোমার এটা প্রথম সমাবেশ?
হ্যা। আমাদের গার্লস গাইড দের আলাদা থানা সমাবেশ হয়। আমি করিনি। তুমি ত অনেক সমাবেশ করেছ তাইনা? ওহ স্যরি। তুমি করে বললাম।
নো প্রবলেম। ফোরামে তো তুমি করেই বল। সমাবেশ করছি বেশ কিছু। তোমাদের ম্যাডাম কেমন? অনেক কড়া?
আরে না। অনেক ভাল। এসো একবার আমাদের তাবুর সামনে।
ততক্ষণে মন্দিরের কাছে চলে এসেছি। রাখাইন রা যাচ্ছে পিঠা নিয়ে। রাখাইন রা আমার দেখা সবচেয়ে বন্ধুবৎসল মানুষ। সমাবেশে আগত সব স্কাউট কে রাখাইন পল্লীর মানুষেরা একবেলা দারুণ দারুণ পিঠা খাইয়েছিল।
আমি এখানে কিন্তু আগেই আসার প্লান করেছিলাম। কেন জান?
আমি কিভাবে জানব? আমার তো মুনকার নাকিরের সাথে কমুনিকেশন নাই।
মেয়ে এত বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল।
‘দুই কান্ধের ফেরেশতার কথা কই’।
তারপর ঝর্ণাধারার মত হাসি। নজরুল স্মর্তব্য-
‘তারকা রবি শশী
খেলনা তব হে উদাসী
পড়িয়া আছে রাঙা
পায়ের কাছে রাশি রাশি।’
এইখানে নাকি উইশ করলে সেটা পাওয়া যায়।
আরে ধুর ধুর। তুমি এইসব বিশ্বাস কর?
রাখাইন রা করে।
কয়দিন আগেও এখানে ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না, বেশীর ভাগ রাখাইন রা গরীব, রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখছ? উইশে কাজ হয় না বুঝলা? পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
রাখ তো। ভায়োলেট পাত্তাই দিল না। সে কি জানি উইশ করল আল্লাহ ই জানে।
কি উইশ করলা?
বলা যাবে না।
চল আইসক্রিম খাই। বালক সাথে সাথে রাজি।
দুজনে চারটা আইসক্রিম খেলাম। বলাইবাহুল্য টাকা ভায়োলেট দিল। আমি তিনটা ভায়োলেট একটা। তারপর গেলাম বাজারে। বিদ্যাময়ীদের নাশতা কিনলাম। আমি কিনলাম একটা ডায়েরি ।
ফেরার পথে আমি ডায়েরি টা গিফট দিলাম। ও বলল ডায়েরি গিফট দিতে হয় না জান না? আমি জানতাম না।
সমস্যা কি? রুমাল দিলে ঝগড়া হয় জানি, ডায়েরির প্রবলেম টা কি?
সমস্যা হল ডায়েরি তে আমি কিছু লিখলে আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হবে।
জ্ঞানার্জন করলাম। কিছু জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলাম।
শান্ত গলায় বললাম, প্রাচীন অ্যাজটেক সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাজ করে পাতা দেওয়ার প্রচলন ছিল বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে। সেটাই হল আধুনিক ডায়েরি। সো ডায়েরি বন্ধুত্বের গিফট হিসেবে পারফেত্তো।
কি? –পারফেক্টের ইটালিয়ান।
অ্যাজটেক সম্প্রদায়ের কথা বিশ্বাস করল বলে মনে হল না। ‘তুমি দিয়েছ ঠিক আছে নিব। কিন্তু কাউকে বলতে পারবে না।’
সন্ধ্যা নামছে মন্দ মন্থরে। আকাশে লালিমার ছায়া। আমার মনের রঙ চুরি করেছে। একটা মিষ্টি বাতাস আমাদের ছুয়ে পাশের নদীর নৌকার পাল দুলিয়ে যাচ্ছিল। নদীর পাশের মানুষজন দুইটি ছোট প্রাণকে হেটে যেতে দেখেছিল। একজনের হৃৎস্পন্দন ডাক্তারের স্টেথস্কোপের জন্য হুমকি হতে পারত। অন্যজনের ব্যাপারে রবীবাবু, বিধাতার মত বয়স্করা ও বুঝতে পারেন নি। আমি তো এক অবিশ্বাসী গ্রাম্যবালক। বালিকারা সমবয়সী বালকদের তুলনায় নাকি বেশী বুঝতে শেখে, আমাদের সমাজ বুঝতে বাধ্য করে। সেই জন্য বেশী লুকাতেও পারদর্শী হয়। তবে তার গালে এক টুকরো হাসি মেঘের আড়ালে রোদের মতই উঁকি দিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল।
আমরা ভিন্ন দিক দিয়ে যার যার তাবুতে রওনা পৌছলাম। আমাদের একসাথে দেখলে দুই তাবুর শিক্ষক ও স্কাউটদের হার্টের সমস্যা হতে পারত।
আমদের টিম শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বি এ বিএড একজন মাই ডিয়ার স্মার্ট মানুষ। দারুণ রান্না করতেন। আমাদের সাথে দারুণ সম্পর্ক ছিল। ছাত্রদের ভালবাসতেন, সময়ে কঠিন ও হতে জানতেন। আমাকে দেখে বললেন, কেমন হল যুব ফোরাম?
ভাল হইছে স্যার। আমি ই ত লিড দিলাম। বাজার করতে হবে না?
বাজার ত আমি হাসান কে নিয়ে করে আসছি। তুমি সবাইকে নিয়ে ক্যাম্পফায়ারের মহড়া টা দিয়ে ফেলো। কাল ৭ টায় উপশিবির বাছাই। একটু আগে বিদ্যাময়ীর টিচার এসেছিলেন। ওরা আগে সমাবেশ করেনি ত তাই আমাদের ক্যাম্পফায়ার মহড়া দেখবে।
ক্যাম্পফায়ার ছিল আমার স্কাউটিং জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় সময়। এত চমৎকার আইটেম করত দলগুলো। আমাদের দলে গান গাওয়ার মত কেউ নেই। আমরা জোড়াতালি দিয়ে একটা নাটক দাড় করিয়েছি। প্রথমে উপশিবির ভিত্তিক প্রাথমিক বাছাই, তারপর ফাইনাল বাছাই। সবশেষে বাছাইকৃত দলগুলো অন্যান্য উপশিবিরের দলগুলোর সাথে লড়বে ফাইনাল ক্যাম্পফায়ারের শীর্ষ ২০টি আইটেমের জন্য।
তাবুতে ঢুকে দেখি বরাবরের মতই পোলাপান দুষ্টামিতে ব্যস্ত। কেউ কেউ ড্রেস আপ করছে রিহার্সেলের জন্য। আমরা করব একটা ছোট নাটক যেখানে এক শালা দুলাভাইয়ের বাড়িতে এসেছে। দুলাভাই জানতে চায় তার বড়কুটুম কি খাবে? বিস্কুট না চানাচুর? শালা জানায় তার একটা দাত নড়ে। দুলাভাই বুঝতে পারে শালার ধান্দা মিষ্টান্নের দিকে। কৃপণ দুলাভাই তার চাকরকে বলে ১০টা মিষ্টি আনতে। চাকর মিষ্টি আনতে আনতে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সবগুলো মিষ্টি খেয়ে ফেলে। দুলাভাই বলে তুই এতগুলা মিষ্টি কেমনে খাইলি? চাকর বলে, বুঝতারতাছুইন না? এই দেহেন মিষ্টিডা হাতে নিবেন, হা করবেন, তারপরে মুখে দিয়া দিবাইন চাবান। মিষ্টির জান শেষ। বাইর অইব রস আর মজা। সহজ জিনিস।
শালা দুলাভাই করছে হাসান আর ফয়সাল আমি চাকর। অন্যান্য ছোট ছোট কিছু চরিত্র ও আছে। সবমিলিয়ে মজার। আমি তাড়া দিলাম। বয়েজ চল, দর্শক আছে। ভাল করতে হবে।
মহড়ার জন্য বাইরে এসে দেখি রাজহংসীরা এসে গেছে। সবাই ঝলমল করছে। সুযোগ পেয়ে সবাই সাজুগুজু করে তাবু এলাকা আলোকিত করে ফেলেছে। আমরা মহড়া শুরু করলাম। ছেড়া লুঙ্গি, ছেড়া শার্ট পরা কালিঝুলি মাখা আউটফিটে প্রিয় মানুষের সামনে অভিনয় করাটা সহজ নয়। আমি দুই তিনটা ভুল করে ফেললাম। স্যার বললেন তুমি ডায়ালগ দ্রুত ডেলিভারি দিচ্ছ। আরেকটু টাইম নাও। আমিও বুঝতে পারছি আমার চোখের কন্ট্রোল নাই, উল্টাপাল্টা ডায়ালগ দিচ্ছি। বিদ্যাময়ীর ছাত্রীরা দারুণ আগ্রহে অভিনয় দেখছে। শেষের দিকে দুলাভাই আমাকে কান ধরে টেনে নিয়ে যাবে আর আমি বলব আবার দেখাইতেছি কান ছাড়েন। এইখানে মেয়েরা আরো বেশী মজা পেল বলে মনে হল। যাওয়ার সময় ভায়োলেট আমার আর হাসানের দারুণ প্রশংসা করে গেল।
যাই হোক স্বপ্নের মত দিন কাটতে লাগল। যুব ফোরাম থেকে হাটতে যাই, মাঝে মাঝে নদীর ধার পর্যন্ত। শেষের আগের দিন এমনই এক বিকেলে হাটছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম তোমার ঠিকানা দেবে?
আমি তো হোস্টেলে থাকি। মেয়েদের চিঠি ম্যাডাম রা আটকে দেন। তোমার ঠিকানা দাও, আমি লিখব। হাটতে হাটতে যেখানে আমরা আলাদা হই সেখানে এসে পৌছেছি। তখন ও ব্যাগ থেকে একটা কলম বের করে আমাকে দিল। ভালই মিল আমি ভাবলাম।
আমি তোমাদের বাসায় যাব একদিন।
আমি ত তখন স্বর্গে। আমি বললাম অবশ্যই। কিন্তু কখন কিভাবে মাথায় ঢুকল না। কথার কথা হয়ত। আমি তখনই মেয়েদের সব কথা না ধরতে শিখে গেছি।
ওর হাতে আরেকটা জিনিস দেখে আমার দু দুটা হার্টবিট মিস করে গেল। একটা ক্যাপ। আমার একটা ক্যাপ। আমি তো এটা হাসান কে ধার দিয়েছিলাম আজকের জন্য।
তুমি এই ক্যাপটা কোথায় পেলে?
আমার স্পেশাল একজন দিয়েছে। ক্যাপ আমার খুব প্রিয়। সে এটা দিয়েই একচুয়েলি আমাকে প্রপোজ করেছে। আমি বৌদ্ধ মন্দিরে মনে মনে তাকেই চেয়েছি। হাসান। তোমার কাজিন। আমি জানি তুমি অনেক খুশি হবে। তাই না?
আমি স্তব্ধ। এই মেয়ে আমার সাথে ঘুরাঘুরি করে প্রেম কিনা করল হাসানের সাথে? আমি ঘুরেছি, মনে মনে প্রেম করেছি কিন্তু বলিনি তো কিছুই। এখন সবকিছুই পরিষ্কার হল আমার সাথে যুব ফোরামে কথা বলে, ঘুরে। নির্দোষ আনন্দ। কিন্তু হাসানের সাথে দেখা করে গোপনে। সেটাই তার প্রেম। আর আমি? আমি কেউ না।
ভাইরে, এরপর থেকে আর কাউকে ক্যাপ ধার দেই না। কাজিন হলেও না।
........................................................................
শ্যামল
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%61%79%6f%6e%39%39%65%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%61%79%6f%6e%39%39%65%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
মন্তব্য
আহারে!
লেখনী উপাদেয়।
হায় হায় এই কি হৈল। আচ্ছা মেয়ে তো। যুগে যুগে সব কাহিনি বুঝি এরকমই হয়...... আপনার ভাঙা রুহ এর জন্য শান্তি কামনা করি
ঝাঁপিয়ে এসে পড়তে নিয়ে শেষটায় মন খারাপ হয়ে গেল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুবহু।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ভাই, আপনার কি হারাইছে ক্যাপ না সানগ্লাস?
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আহারে!!! পুরাই ছেকামাইছিন কাহিনী!! চুক চুক---
(অ ট-- তাই বইলা আমারে আবার কিসু জিগাইয়েন না। আমার জেবনে এইরাম একটা ছেকামাইছিন কাহিনীও নাই )
----------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
আহা! শেষমেষ এমন করুন পরিণতি!
লেখা খুব রসালো হয়েছে। নিয়মিত লেখা চাই।
দোস্ত তোর পরের লেখা পেলেই আবার ঝাপিয়ে পড়ব।
ছ্যাক খাইছেন তো কি হয়েছে, ক্যাপ তো ফেরত পাইছেন
তা আপনার ভাই ভাবী কেমন আছেন?
লেখা ভালো লাগলো
টুপি জিনিসটা খুউপ খতরনাক
facebook
ইঙ্গিতপূর্ণ কথা কন ক্যা মিয়া!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আগের পর্ব থেকে শখানেক প্যাকেট পপকর্ন খায়া ফেল্লাম একটা সুইটু সুইট কাহিনির অপেক্ষায়। এইটা একটা কাহিনি করলেন মিয়া!
লেখা খুব ভালো হৈছে। তবুও আপ্নারে মাইনাস। মন খ্রাপ।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আপ্নের ও ক্যাপ গেছে নাকি?
আমার শুধু ক্যাপ না রে ভাই, জুতা, সানগ্লাস, মায় আর্চিস থিকা কিনা পুতুল ভি গ্যাছে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আপ্নে ত দেবদাস-মজনু-ফরহাদ শ্রেণীর লুক মশাই। দেন দেন আপনার পায়ের ধূলা দেন। আপ্নে
ধুর ভাই, এইটা একটা কাম করলেন? চমৎকার কাহিনীর ছ্যাকামাইচিন সমাপ্তি?
যাই হোক লেখা ভাল পাইছি, জারি থাকুক ... আমিন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভালো লেগেছে। অনেক ভালো লেগেছে। লেখালেখি চালিয়ে যান। (ইমো দিতে পারছিনা)
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
টেরেজিডি কঠিন টেরেগিডি
লেখাটা সত্যিই ভাল লেগেছে। শেষাবধি আগ্রহটা ধরে রাখতে পেরেছেন।
ভাই, ভাবলাম একটা সুখী প্রেমের শুরুর গপ্পো দিবেন তা না একটা ছ্যাকার গপ্পো দিলেন। খুবই ব্যাথিত হইলাম!
ঐ বয়সটা এমনই, কেমন জানি নস্টালজিক লাগলো।
সমাবেশ করতে করতে বয়স্কাউট জীবনে তামা তামা হইয়া গেলাম। কিন্তু আমাদের সময় বয় স্কাউটের সমাবেশে গার্লস গাইডদের কোনো উপস্থিতি ছিল না।
কেনু রে বিধাতা পাষান কেনু, চারিদিকে তোর বাঁধন কেনু?
ক্যাপ-কুপ কাউকে ধার না দেয়াই ভাল
এই লেখাটা আগেরটার মতই রসালো
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
শ্যামলদা, তোমার লেখা আমি আগে পড়ি নাই। আজকে পড়লাম।
স্বাভাবিক, বুঝতেই পারছো আমি খুব পরিচিত একটা গন্ধ পাচ্ছি।
প্রিয় লেখকের লেখার গন্ধ। হয়ত তার লেখা অনেক পড়েছ বলে এমন হয়েছে।
তবে যাই হোক, তোমার লেখায় একটা তন্ময়তা কাজ করে। একটানে পড়ে গেছি!
ঊপমা অনেক সুন্দর হয়েছে।
তবে তোমাকে আমার কাছে অনেক ইছড়ে পাকা মনে হয়েছে।
ভাল লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ছেকার বদলা নিয়া লেখা চাই । রক্তের বদলে রক্ত...টিট ফর ট্যাট ।
নতুন মন্তব্য করুন